হযরত ইসমাঈল (আ)
হযরত ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর বেশ কয়েকজন পুত্র সন্তান ছিলেন যার উল্লেখ
পুর্বেই আমরা করেছি ৷ তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছেন সে দু’জন যীরা ছিলেন
মহান নবী ৷ আবার এ দুজনের মধ্যে ব্য়োজেব্রুষ্ঠ ছিলেন ইসমাঈল (আ) ৷ বিশুদ্ধ মতে যিনি
ছিলেন যাবীহুল্লাহ ৷ তিনিই ছিলেন হযরত ইব্রাহীম (আ) এর প্রথম সন্তান ৷ মা৩ ৷ মিসরের
কিবভী বংশের কন্যা হযরত হাজেরা ৷ যারা হযরত ইসহাককে যাবীহুল্লাহ বলেছেন,৩ তারা বনী
ইসরাঈল থেকে এ মত প্রাপ্ত হয়েছেন ৷ অথচ বনী ইসরাঈলগণ তাওরাত ও ইনজীলের মধ্যে
পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে এবং এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কিতাবের অপব্যাথ্যা দিয়েছে ৷ তারা তাদের
কাছে রক্ষিত আসমানী কিতাবের বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ করেছে ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে
তার প্রথম পুত্র কুরব্ানী করার নির্দেশ দেয়া হয় ৷ অন্য বর্ণনা মতে, তার একমাত্র পুত্রকে যবেহ
করার আদেশ দেয়া হয় ৷ যেটাই ধরা হোক না কেন, এর দ্বারা হযরত ইসমাঈল (আ)-কেই
বোঝানো হয়েছে ৷ তাদের কিভাবে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে যে, হযরত ইসমাঈল (আ) যখন ভুমিষ্ঠ
হন, তখন হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর বয়স ছিল ছিয়াশি বছর ৷ আর যখন হযরত ইসহাক
(আ) এর জন্ম হয় তখন, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর বয়স একশশ্’ণ্ বছরের উপরে ৷ সুতরাং
সন্দেহাভীতভ৷ ৩াবে প্রমাণিত যে, ইসমাঈল (আ) ই খলীলুল্লাহর প্রথম সন্তান ৷ সুতরাং সর্বাব্স্থায়
তিনিই ছিলেন একক সন্তান ৷ বাহ্যত তের বছরের অধিক কাল পর্যন্ত ইসমাঈল (আ) ছিলেন
তার একমাত্র সন্তান ৷ এ সময়ের মধ্যে অন্য কোন সন্তানের জন্ম হয়নি ৷ আর তাৎপর্যগত দিক
থেকে একক এ হিসেবে যে, পিতা ইব্রাহীম (আ) শিশু পুত্র ইসমাঈল (আ) ও তার মা
হাজেরাকে নিয়ে হিজরত করেন এবং মক্কার ফারান পর্বতে র উপত্যকায় উভয়কে নির্বা
করেন ৷ তাদেরকে যখন তিনি রেখে আসেন তখন তাদের সাথে যৎসামান্য পানি ও রসদ
ব্যতীত কিছুই ছিল না ৷ এটা তিনি করেছিলেন আল্লাহর উপর পুর্ণ আস্থা ও ভরসা রেখে ৷
আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহ ও করুণার দ্বারা তাদেরকে বেষ্টন করে নেন ৷ ব্স্তুত তিনিই
প্রকৃত অনুথহকাবী, সাহায্যকারী ও অভিভাব্ক ৷ অতএব, প্রমাণিত হল যে, হযরত ইসমাঈল
(আ)-ই বাহ্যিক ও তাৎপর্যগত উভয় দিক থেকে একক সন্তান ৷ কিন্তু কে বুঝবে এই সুক্ষ্ম তত্ত্ব
এবং কে খুলবে এই৷ ন্ ৷ক্ত পিট ৷ আল্লাহ যাকে গভীর তত্ত্বজ্ঞা ন দা ন করেছেন, তিনিই কেবল এটা
উপলব্ধি করতে সক্ষম ৷ আল্লাহ৩ তা আল৷ হযরত ইসমাঈল (আ) এর বিভিন্ন গুণাগুণের প্রশংসা
করেছেন ৷ যেমন : তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল, সহনশীল, ওয়াদা পালনকা ৷রী, সালাতের
হেফাজতকারী ৷ পরিব্ারব্র্পকে সালাত আদায়ের নির্দেশ দানকারী-যাতে তারা আযাব থেকে
রক্ষা পায় এবং মহা ন প্রভুর ইবাদতে র দিকে মানুষকে আহ্বানকারী ৷ আল্লাহর বাণী৪
অতংপর আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসৎবাদ দিলাম ৷ তারপর সে যখন তার পিতা
সাথে কাজ করবার মত বয়সে উপনীত ৩হল, তখন ইব্রাহীম বলল, বৎস ! আ ৷মি স্বপ্নে দেখিব যে,
তোমাকে আমি যবেহ করছি, এখনও তামার অভিমত কি বল? সে বলল, হে আমার পিতা
আপনি যা করতে আদিষ্ট হয়েছেন৩ তা ই করুন! আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ভৈধর্যশীল
পাবেন ৷ (৩৭ং : ১০১)
তিনি পিতার আহ্বানে সাড়া দেন এবং ওয়াদা করেন যে, তিনি ধৈর্যশীল হবেন ৷ এ ওয়াদা
তিনি পুরণও করেন এবং ধৈর্যধ৷ রণ করেন ৷ আল্লাহ বলেন ং
স্মরণ কর, আমার বান্দ৷ ৷ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা ৷ ওরা ছিল শক্তিশালী ও
সুক্ষ্মদর্ণী ৷ আ ৷মি তাদেরকে অধিকারী করেছিলাম এক বিশ্বে যে গুণের তা ছিল পরলােকের স্মরণ ৷
অবশ্যই ৷ ৷রা ছিল আমার মনাে ৷তনী ও উত্তম বান্দ৷ দের অন্তর্ভুক্ত ৷ (৩৮৪ : ৫ : ৭ )
স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল-য়াসা-আ ও যুল-কিফ্লের কথা, ওরা প্রতে ৷বেইি ছিল সজ্জন ৷
(৩৮ং : ৪৮) ৷
অ আল্লাহর বাণী৪
এবং স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও ষুল কিফ্ল এর কথা তাদের প্রতেকেই ছিল
ধৈর্যশীল ৷ তাদেরকে আমি আমার অনুগ্নহভাজন করেছিলাম ৷ তারা ছিল সৎকর্যপরায়ণ ৷
(২১ : ৮৫-৮৬)
আল্লাহ্র বাণীং
আমি তামার নিকট ওহী প্রেরণ করেছি যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীণণের নিকট প্রেরণ
করেছিলাম-ইবরাহীম , ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরদের কাছে ৷ (৪ : ১৬৩)
তোমরা বল, আমরা আল্লাহতে ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম ,
ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুব ও তার বংশধরদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে ৷ (২ : ১৩৬)
অন্য অনেক সুরায় এ জা৩ ভীয় বহু অদ্য়ৰুত বিদ্যমান আছে !
তোমরা কি বল যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ ইহুদী
কিংবা খৃক্টান ছিল? বল ৫৩ তড়ামরা কি বেশি জন, না আল্লাহ? (২০ ১৪০)
এসব আয়াতে আল্লাহ হযরত ইসমাঈল (আ)-এর উত্তম গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন,
তাকে নবী ও রাসুল বানিয়েছেন এবং অজ্ঞ লোকেরা তার প্রতি যেসব মিথ্যা ও অলীক
কথা-বার্তা আরোপ করেছে তা থেকে তার মুক্ত থাকার কথা ঘোষণা করেছেন ৷ মুমিনদের প্রতি
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন সেই সব বিধানের উপর বিশ্বাস রাখে যা ইসমাঈল
(আ)-এর উপর নাযিল হয়েছিল ৷ নসব-নামা ও বংশ পঞ্জিকার পণ্ডিতগণ এবং মানব জাতির
ঐতিহাসিক ঘটনা ও সভ্যতা বংনািকারিগণ লিখেছেন যে, তিনিই ছিলেন সর্বপ্রথম ঘোড়ার
আরোহণকারী ব্যক্তি ৷ এর পুর্বে ঘোড়া ছিল নেহায়েতই একটি বন্য প্রাণী ৷ তিনি তা পােষ
মানান ও তাতে আংরাহণ করেন ৷ সাঈদ ইবন ইয়াহয়া উমাবী (র)৩ তার ম’াগাযী গ্রন্থে ইবন
উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমরা ঘোড়া পুষবে এবং তার
আদর-যত্ন করবে ৷ কেননা এটা ওে তামাদের পিতা ইসমাঈল (আ) এর মীরাছ বা উত্তরাধিকার
তদানীন্তন আরবরা ছিল বেদুঈন ৷ হযরত ইসমা ঈল (আ) আল্লাহর নিদেশে তাদেরকে দাওয়াত
দেন ৷ তারা তার ডাকে সাড়া দেয় ৷ তিনিই সর্বপ্রথম প্রাঞ্জল আরবী ভাষায় কথা বলেন ৷
আদি আরবদের কাছ থেকে তিনি এ ভাষা শিখেছিলেন ৷ তারা হল হযরত ইবরাহীম (আ )-এর
পুর্বেকার জুরহুম, আমালিক ও ইয়ামানবাসী আরব যারা মক্কায় এসে বসবাস শুরু করেছিল ৷
ঐতিহাসিক উমাবী (র) মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন হুসড়ায়নের পুর্ব-পুরুযগণের বরাতে বর্ণনা
করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন : স্পষ্ট আরবী ভাষায় যিনি সর্বপ্রথম কথা বলেন, তিনি
ছিলেন ইসমাঈল (আ) ৷ তখন তার বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর ৷ আলী ইবন মুপীরা (র) এ কথা
বর্ণনা করার সময় উপস্থিত জনৈক ইউনুস বললেন : হে আবু সাইয়ার ! আপনি সত্য বলেছেন,
আবু জাবীও আমার কাছে ঠিক এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ ইতিপুর্বে আমরা বলে এসেছি যে,
হযরত ইসমাঈল (আ) যৌবনে পদার্পণ করে আমালিকা সম্প্রদায়ের জনৈকা মহিলাকে বিবাহ
করেন এবং পরে পিতার নির্দেশক্রমে তাকে তালাক দেন ৷ উমাবী ঐ মহিলার নাম বলেছেন
আম্মারা বিনত সা দ ইবন উসামা ইবন আকীল অ ল আমালিকা ৷ তারপর তিনি অপর এক
মহিলাকে বিবাহ করেন ৷ পিতার আদেশ অনুযায়ী এই ন্তীকে তিনি বহাল রাখেন ৷ এই শ্ৰীর নাম
সাব্যিদা বিন্ত মাদাদ ইবন আমব আল-জুরহুমী ৷ কেউ কেউ বলেছেন, হযরত ইসমাঈল
(আ)-এর ইনি ছিলেন তৃতীয় শ্রী ৷ এই শ্ৰীর গর্ভে বড়ারজন পুত্র সন্তান জন্মলাভ করেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইসহাক (র) তাদের নাম বর্ণনা করেছেন ৷
আহলি কিতাবগণ তাদের গ্রন্থাদিতেও এরুপই উল্লেখ করেছেন ৷ তবে তাদের মতে , এই
বাবজন ছিলেন সমাজপতি যাদের সম্পর্কে পুর্বেই সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তাদের এ
ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ৷ হযরত ইসমাঈল (আ) মক্কা ও তার পার্শ্ববর্তী জুরহুম,
আমান্সিক ও ইয়ামানবাসীদের প্রতি রসুলরুপে প্রেরিত হন ৷ মৃতৃক্যেলে তিনি আপন ভাই
ইসহাকের প্রতি ওসীয়ত করে যান ৷ ইসমাঈল (আ) তার কন্যা নাসমাকে তার ভাতিজা ঈস
ইবন ইসহাকের সাথে বিবাহ দেন ৷ এই দম্পতির পুত্র সন্তানের নাম রুম ৷ রুম-এর
আওলাদদেরকে বানুল আসফার বলা হয় ৷ কারণ, তাদের পিতা ঈস-এর গায়ের রং ছিল
গেরুয়া ৷ যাতে আরবীতে সুফর ( ঐওপ্রু) বলা হয়ে থাকে ৷ অপর বর্ণনা মতে, ঈসৃ-এর আরও
দুই পুত্র ছিল ইউনান ও আশবান ৷ ইবন জারীর (র) এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি ৷
হযরত ইসমাঈল (আ) কে হিজর নামক স্থানে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় ৷
মৃতৃদ্রকালে তার বয়স ছিল ১৩৭ বছর ৷ উমর ইবন আবদুল আঘীয থেকে বর্ণিত : ইসমাঈল
(আ) মক্কার প্রচণ্ড গরম সম্পর্কে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন ৷ আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে তাকে
জানান যে, যেখানে তোমাকে দাফন করা হবে সে স্থানের দিকে আমি জান্নাতের একটি দরজা
খুলে দেব ৷ কিয়ামত পর্যন্ত সেখানে জান্নড়াতের সুশীতল হাওয়া প্রবাহিত থাকবে ৷
হেজাযী আরবদের সকলেই নাবিত ও কায়জারের বংশ বলে নিজেদেরকে দাবি করে ৷
পরবর্তীতে আমরা আরব জাতি, তাদের বংশ, গোত্র, সমাজ ও কবীলা ও তাদের কৃষ্টি, সভ্যতা
সম্পর্কে আলোচনা করব ৷ হযরত ইসমাঈল (আ) থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) পর্যন্ত সম্পুর্ণ সময়ের
যাবতীয় বর্ণনা এতে থাকবে ৷ হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) পর্বত বনী ইসরাঈলের
উথান পতন, তাদের নবীদের আলোচনা শেষে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে ৷ অতঃপর বনী
ইসরাঈলের যুগ এবং পরে আইয়ামে জাহিলিয়ার ঘটনাবলী এবং সবশেষে বিশ্বনবী (না)-এর
সীরাত যুবারক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আসবে ইনৃশাআল্লাহ্ ৷
ইসহাক ইৰ্ন ইব্রাহীম (আ)
পুইে বলা হয়েছে যে , হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর একশ’ বছর বয়সকালে এবং ইসমাঈল
(আ)-এর জন্মের চৌদ্দ বছর পর ইসহাক (আ)-এর জন্ম হয় ৷ তার মাতা সারাহ্কে যখন পুত্র
হওয়ার সুসংৰাদ দেওয়া হয় তখন তার বয়স ছিল নব্বই বছর আল্লাহ্ বলেন :
আমি ইব্রাহীমকে ইসহাষ্কের সু-সংৰাদ দিয়েইিপড়াম যে স্থিণ একজন নবী ও সৎকর্ম
পরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আমি ইৰ্রাহীমের গ্রত্তি ও ইসহাকের প্রতি বয়কত দান করেছিলাম ৷
তাদের বংশয্রদের মধ্যে কতক সত্কর্মশীল এবং কতক নিঙ্গেদের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারী ৷
(৬৭ : ১১২-১১৩)
আল্পড়াহ্ কুরআনের অনেক আয়াতে ইসহাক (আ)-এর প্রশংসা করেছেন ৷ আবু হুরড়ায়রা (রা)
বর্ণিত এ মর্মের হড়াদীসে পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রসুসুরাহ (যা) বলেছেন : একজন
সম্মানিত বাতি, যার পিতাও ছিলেন সম্মানিত, তার পিতাও ছিলেন সশ্বাষিত এবং তার পিতাও
ছিলেন সম্মানিত ৷ তিনি হলেন ইউসুফ ইবন ইরাকুর হবৃন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম ৷ আহলি
কিতাবগণ বলেন, ইসহাক (আ) তার চল্লিশ বছর বয়সে পিতার জীবদ্দশায় রষ্ফাকা বিনত
বাৎওয়াইলকে বিবাহ করেন ৷ রুফাকা ছিলেন বন্ধ্যড়া ৷ তাই ইসহড়াক (আ) সন্তানের জন্যে
আল্লাহ্র কাছে দৃআ করেন ৷ এরপর শ্রী সন্তান-সারা হল এবং তিনি জময় দুই পুত্র সন্তান প্ৰসব
করেন ৷ তাদের প্রথমজম্মেৱ নাম রাখা হয় ঙ্গসু’ যাকে আরবরা ঈস’ বলে তাকে ৷ এই ঈস
হচ্ছেন রুমের পিতা ৷ দ্বিতীয় সন্তান তুমিষ্ঠ হবার সময় থাকে তার ভাইয়ের পায়ের গোড়ালি
আকড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ এই কারণে তার নাম রাখা হয় ইয়াকুব ৷ কেননা এ শব্দটির মুল
ধাতু ( ন্ন্;) অর্থ গোড়ালি বা পঢাতে আগমনকারী ৷ তার অপর নাম ইসরাঈল, যার নামে
বনী-ইসরাঈল বংশের নামকরণ করা হয়েছে ৷
কিতাৰীপণ বলেন, হযরত ইসহড়াক (আ) ইয়াকুৰের তুলনায় ঈসুকে অধিকতর
ভালবাসতেন; কারণ তিনি ছিলেন প্রথম সন্তান ৷ পক্ষাস্তরে তাদের মা রুফাকা ইয়াকুবকে বেশি
ভালবাসতেন; কেননা, তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ ৷ ইসহাক (আ) যখন বযােবৃদ্ধ হন এবং তার
দৃষ্টি-শক্তিহ্রড়াস পায়, তখন তিনি পুত্র ঙ্গসেয় নিকট একটি উত্তম আহার্য চান ৷ তিনি একটি পশু
শিকার করে রান্না করে আমার জন্যে ঈসক্ষে নির্দেশ দেন ৷ যা আহার করে তিনি তার জন্যে
বরকত ও কল্যাণের দৃআ করবেন ৷ ঈস শিক্ষায় কাজে পারদর্শী ছিলেন ৷ তাই তিনি শিকারে
বেরিয়ে পড়লেন ৷ এদিকে রুফাকা তার প্রিয় পুত্র ইয়াকুবকে পিতার দুআ লাভের জন্যে পিতার
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৫৫-