হযরত সালিহ্ (আ) এর বর্ণনা
ছামুদ একটি ইতিহ্াসপ্রসিদ্ধ জাতি ৷ তাদের পুর্ব-পুরুট্রুষ ছামুদ’ এর নামানুসারে এ জাতির
নামকরণ করা হয়েছে ৷ ছামুদ-এর আর এক ভাই ছিল জুদায়স ৷ তারা উভয়ে আবির ইবন
শ্ইরাম ইবন সাম ইবন নুহ্’-এর পুত্র ৷ এরা ছিল আরবে আরিব৷ তথা আদি আরব সম্প্রদায়ের
লোক ৷ হিজায ও তবুকের মধ্যবর্তী হিজ্বর’ নামক স্থানে তারা বসবাস করত ৷ তবুক যুদ্ধে
যাওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ্ (স) এই পথ দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন এর বংনাি পরে আসছে ৷
আদ জাতির পর ছামুদ জাতির অভুব্রুদয় ঘটে ৷ তাদের মত এরাও মুর্তি পুজা করত ৷ এদেরই
মধ্য থেকে আল্লাহ তার এক বান্দ৷ সালিহ্ (আ) কে রাসুলরুপে প্রেরণ করেন ৷ তার বংশ লতিকা
হচ্ছে : সালিহ্ ইবন অবদ ইবন মাসিহ্ ইবন উবায়দ ইবন হাজির ইবন ছামুদ ইবন আবির ইবন
ইরাম ইবন সাম ইবন নুহ (আ) ৷ তিনি তাদেরকে এক আল্লাহর ইবাদতংকরতে, তার সাথে
কাউকে শরীক না করতে এবং মুর্তিপুজা ও শিরক বর্জসের নির্দেশ ৷দেন ৷ ফলে কিছু স খ্যক
লোক তার প্রতি ঈমা ৷ন আনে ৷ কিন্তু অধিকাংশ লোকই কুফয়ীতে লিপ্ত থা ৷কে এবং কথায়-কাজে
র্তাকে কষ্ট দেয় এমনকি এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করতেও উদ্যত হয় ৷ তারা নবীর সেই
উটনীটিকে হত্যা করে ফেলে যাকে আল্লাহ তাআলা নবুওতের প্ৰমাণস্বরুপ প্রেরণ করেছিলেন ৷
তখন আল্লাহ তাদেরকে শক্তভাবে পাকড়াও করেন এ প্রসং গে সুরা আ’রাফে আল্লাহ বলেনং :
ছামুদ জাতির নিকট তাদের স্ব গােত্রীয় সালিহ্কে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, হে আমার
সম্প্রদায় ৷ তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই ৷
তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে ৷ আল্লাহর এ
উটনীটি তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ একে আল্লাহর যমীনে চরে খেতে দাও এবং একে
কোন ক্লেশ দিও না ৷ৰুদািল তোমাদের উপর মর্মন্তুদ শাস্তি আপতিত হবে ৷ স্মরণ কর, আদ
জাতির পর তিনি তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন, তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে
এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে, তোমরা সমতল ভুমিতে প্রাসাদ ও পাহাড় কেটে বাস-গৃহ
নির্মাণ করছ ৷ সুতরাং আল্লাহর অৰুণ্নহ্ স্মরণ কর এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটিয়ো না ৷
তার সম্প্রদায়ের দান্বিক প্রধানরা সেই সম্প্রদায়ের ঈমানদার যাদের দুর্বল মনে করা হত
তাদের বলল, তোমরা কি জান যে, সালিহ্ আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত ? তারা বলল, তার প্রতি যে
বাণী প্রেরিত হয়েছে আমরা তাতে বিশ্বাসী ৷ দান্বিকেরা বলল, তোমরা যা বিশ্বাস কর আমরা তা
প্রত্যাখ্যান করি ৷ তখন তারা সেই উটনীটি বধ করে এবং আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করে এবং
বলে, হে সাব্দিহ্! তুমি রাসুল হলে আমাদের যার ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো ৷ ’ তারপর তারা
ভুমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হয় ৷ ফলে তাদের প্রভাত হল নিজ গৃহে অবঃমুখে পতিত অবস্থায় ৷
তারপর সে তাদের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ৷ আমি তো
আমার প্রতিপালকের বাণী তোমাদের নিকট পৌহিয়েছিলাম এবং তোমাদেরকে হিতোপদেশ
দিয়েছিলাম কিন্তু তোমরা তো হিতাকাত্তক্ষীদেরকে পছন্দ কর না ৷ ’ (সুরা আরাফ , ৭৩ ৭৯ )
সুরা হ্রদে আল্লাহ বলেন
ছামুদ জাতির নিকট তাদের স্বগােত্রীয় সালিহ্কে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, হে আমার
সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷
তিনি তােমাদেরকে ভুমি থেকে সৃষ্টি করেছেন ৷ এবং তাংজী তিনি তােমাদেরকে বসবাস
করিয়েছেন ৷ সুতরাং তার ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তার দিকেই প্রত্যাবর্তন কর ৷ আমার প্রতিপালক
নিকটেই, তিনি আহ্বানে সাড়া দেন ৷ ’ তারা বলল, হে সালিহ্! এর পুর্বে তুমি ছিলে আমাদের
আশা-স্থল ৷ তুমি কি আমাদেরকে নিষেধ করছ ইবাদত করতে তাদের, যাদের ইবাদত করত
আমাদের পিতৃ-পুরুষরাঃ আমরা অবশ্যই বিভ্রড়াস্তিকর সন্দেহ পোষণ করি যে বিষয়ে, যার প্ৰতি
তুমি আমাদেরকে আহ্বান করছ ৷ ’ সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! তােমরাৰুকি ভেবে দেখেছ,
আমি যদি আমার প্ৰতিপালক প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি আমাকে
তার নিজ অনুগ্নহ দান করে থাকেন, তবে আল্লাহ্র শাস্তি থােক আমাকে কে রক্ষা করবে, আমি
যদি তার অৰাধ্যতা করি? সুতরাং তোমরা তো কেবল আমার ক্ষতিই বাড়িয়ে দিচ্ছ ৷
হে আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহর এ উটনীটি তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ একে আল্লাহর
যমীনে চরে খেতে দাও ৷ একে কোন ক্লেশ দিও না, ক্লেশ দিলে আশু শাস্তি তোমাদের উপর
আপতিত হবে ৷’ কিন্তু তারা ওকে বধ করল ৷ তারপর সে বলল, তোমরা তোমাদের ঘরে
তিনদিন জীবন উপভোগ করে লও ৷ এই একটি প্রতিশ্রুতি যা মিথ্যা হবার নয় ৷ এবং যখন
আমার নির্দেশ আসল, তখন আমি সালিহ্ ও তার সংগে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার
অনুযহে রক্ষা করলাম এবং রক্ষা করলাম সে দিনের লাঞ্জুনা হতে ৷ তোমার প্রতিপালক তো
শক্তিমান, পরাক্রমশালী ৷ তারপর যারা সীমালংঘন করেছিল মহা নাদ তাদেরকে আঘাত করল,
ফলে ওরা নিজ নিজ ঘরে নতজানু অবস্থায় শেষ হয়ে গেল ৷ যেন তারা সেথায় কখনও বসবাস
করেনি ৷ জেনে ব্লেখ ছামুদ জাতি তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছিল ৷ জোন রেখা
ধ্বংসই হল ছামুদ জাতির পরিণাম (সুরা হ্রদ : ৬ ১ ৬৮)
সুরা হিজরে আল্লাহ বলেন প্
হিজ্বরবাসিগণও রাসুলপ ণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল ৷ আমি তাদেরকে আমার নিদর্শন
দিয়েছিলাম, কিত্তু তারা তা উপেক্ষা করেছিল ৷ তারা পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করত নিরাপদ
বাসের জন্যে ৷ তারপর প্রভাতকালে এক মহা নাদ তাদেরকে আঘাত করল ৷ সুতরাং তারা যা
অর্জন করেছিল তা তাদের কোন কাজে আসেনি ৷ (সুরা হিজ্বর : ৮০ ৮৪ )
সুরা ইসৃরায় আল্লাহ বলেন ং
পুর্ববর্তিগণ কর্তৃক নিদর্শন অস্বীকার করাই আমাকে নিদর্শন প্রেরণ করা থেকে বিরত
রাখে ৷ আমি শিক্ষাপ্রদ নিদর্শম্স্বরুপ ছামুদ জাতিকে উটনী দিয়েছিলাম , অতঃপর তারা ওর প্রতি
জুলম করেছিল ৷ আমি ডীতি প্রদর্শনের জন্যেই নিদর্শন প্রেরণ করি ৷ (সুরা ইস্রা : ৫৯)
সুরা শু আরায় আল্লাহ বলেন
ছামুদ সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল ৷ যখন ওদের স্বগােত্রীয় সালিহ্ তাদেরকে
বলল, তােমরা কি সাবধান হবে না ? আমি তাে৫ তামাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসুল ৷ অতএব,
আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার অ ৷নুগতা কর, আমি তে ড়ামাদের নিকট এর জন্যে কোন প্ৰতিদান
চাই না; আমার পুরস্কার তো জগতসমুহের প্রতিপালকের নিকটেই আছে ৷ তােমাদেরকে কি
নিরাপদে ছেড়ে রাখা হবে, যা এখানে আছে তাতে-উদ্যানে, প্ৰস্রবণে ও শস্যক্ষেত্রে এবং
সুকোমল গুচ্ছবিশিষ্ট খেজুর বাগানে? তোমরা তো নৈপুণ্যের সাথে পাহাড় কেটে ঘর তৈরি
করছ ৷ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অ ৷নুগতা কর এবং সীমালং ঘনকারীদের আদেশ
মান্য করে৷ না ৷
যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, শাস্তি স্থাপন করে না তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্নস্তদের
অন্যতম ৷ তুমি তো আমাদের মত একজন মানুষ, কাজেই তুমি যদি স৩ তাবাদী হও একটি
নিদর্শন উপ তকর ৷ সালিহ্ বলল, এই যে উটনী , এর জন্যে আছে পানি পারুনব পালা এবং
তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা, নির্ধারিত এক এক দিনে; এবং এর কোন অনিষ্ট
সাধন করে৷ না, করলে মহা দিবসের শাস্তি৫ তামাদের উপর আপতিত হবে ৷ কিন্তু ওরা ওকে
বধ করল, পরিণামে ওরা অনুতপ্ত হল ৷৩ তারপর শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করল ৷ এতে অবশ্যই
রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু তাদের অধিকাৎশই মু’মিন নয় ৷ তোমার প্রতিপালক, তিনি তো
পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু ৷ (সুরা শুআরা,৪ ১ : ১ ১ ৫৯)
সুরা নামলে আল্লাহ্ বলেন :
আমি অবশ্যই ছামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের স্বগােত্রীয় সাশিহ্ৰে পাঠিশ্নেছিলড়াম এ
আদেশসহ্, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, ফিষু ওরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হল ৷ সে
বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা কেন কদ্যাণের পুর্বে অকদ্যাণ ত্বরান্বিত করতে চষো কেন
তোমরা অন্মোহ্রনিকট কমা প্রার্থনা করহ না, যাতে তোমরা অনুগ্রহ্ভাৰ্স হতে পার? তারা
বলল, তোমাকে ও তোমার সংগে যারা আছে তাদের আমরা অমংণণের কারণ মনে করি ৷ ’
সাশিহ্ কাল, তােমাদের শুভাশুত অস্লোহ্র ইধ্তিন্নাচর, বন্তুত তোমরা এমন এক সম্প্রদায়
যাদেরকে পরীক্ষা করা হসেহ্ ৷ ’
আের সে শহরে ছিল এমন নয় ব্যক্তি, সারা দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করত এবং সৎকর্ম করত
না ৷ তারা বলল, তোমরা আল্পাহ্র নামে শপথ স্হ্ণ কর, “আমরা রাতের বেলা তাকে ও তার
পরিবার-পরিজনকে অবশ্যই আক্রমণ করব, তারপর তার অতিতাবককে নিশ্চয় বলব, তার
পরিবার-পরিজনের হত্যা আমরা প্রত্যক্ষ করিনি; আমরা অবশ্যই সত্যবাদী ৷ ’ তারা এক চক্রাস্ত
করেহাি এবংআষিও এক কৌশল অবলণ্স করলাম, জ্যি ওরা বুঝতে পারেনি ৷ অতএব দেশ,
তাদের চল্যাংষ্র পয়িণাম ৰী লোঃষ্আমি অবশ্যই তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়ের সকলকে
ধ্বংস করেছি ৷ এই তো ওদের ঘরবাড়ি-ষ্ সীমাবংঘনের কারণে যা জনশুন্য অবস্থায় পড়ে
আহে; এতে আনী-সম্প্রদান্নের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এবং যারা মু শিব ও মুত্তাকী হিল
তাঃদরকে আমি মোঃ কব্লেইি ৷ (সুরা নামল : : ৫ ৫৩) ,
সুরা হা-মীমআসসাম্যায় আরাহ্র বাণী :
আল-ৰিদারা ওয়ান নিহারা (১ম খলোঃণোণ্ডুট্রোন্ম্রন্মোঃজ্যো
আর ছামুদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার তো এই যে, আমি তাদেরকে পথ-নির্দেশ করেছিলাম, কিন্তু
তারা সৎপথের পরিবর্তে ভ্রান্তপথ অবলম্বন, করেছিল ৷ তারপর তাদেরকে লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি
আঘাত হানল তাদের কৃতকর্মের পরিণামস্বরুপ ৷ আমি উদ্ধার করলাম তাদেরকে যারা ঈমান
এনেছিল এবং তাকওয়া অবলম্বন করত ৷ (সুরা হা-মীম-আসৃ-সাজদা : ১ ৭ : ১৮)
সুরা বব্লুমারে অশ্রুাল্পাহ্ বনুেন ও ৫ &
ছামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারিগণকে যিথ্যাবাদী বলেছিল ৷ তারা বলেছিল , আমরা কি
আমাদেরই এক ব্যক্তির অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথপামী এবং উন্মাদরুপে গণ্য হ্ব ৷
আমাদের মধ্যে কি ওরই প্রতি প্রত্যাদেশ হয়ােছানা, সে তাে একজন মিথ্যাবাদী,,দাষিক ৷
আগামীকাল তারা জানবে, কে যিথ্যাবাদী, দাম্বিক ৷ আমি তাদের পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়েছি এক
উটনী ৷ অতএব, তৃমি ওদের আচরণ লক্ষ্য কর এবং ধৈর্যশীল হও ৷ এবং ওদেরকে জানিয়ে দাও
যে, ওদের মধ্যে পানি বন্টন নির্ধারিত এবং পানির অংশের জন্যে প্ৰতেদ্রকে উপস্থিত হয়ে
পালাক্রমে ৷ তারপর তারা তাদের এক সংগীকে আহ্বান করল, যে ওকে ধরে হত্যা করল ৷ কী
কঠোর ছিল আমার শান্তি ও সতকবািণী! আমি ওদেরকে আঘাত হেনেছিলাম এক মহানাদ দ্বারা;
ফলে ওরা হয়ে গেল শৌয়াড় প্রন্তুতকারীর বিখণ্ডিত শুকনো শাখা-প্রশাখার মত ৷ আমি কুরআন
সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্যে; অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি ? (সুরা কামারং ২৩-৩২)
ছামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতাবশত অস্বীকার করেছিল ৷ তাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য, সে
যখন তৎপর হয়ে উঠল, তখন আল্লাহর রাসুল তাদেরকে বলল, আল্লাহর উটনী এবং ওকে পানি
পান করাবার বাপারে সাবধান হও ৷ কিন্তু তারা রাসুলকে অস্বীকার করে এবং ওকে কেটে
ফেলে ৷ তাদের পাপের জন্যে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে একাকার করে
দিলেন এবং এর পরিণামের জন্যে আল্লাহর আশংকা করার কিছু নেই ৷ (সুরা শামৃস : ১ ১ ১ ৫)
আল্লাহ্ কুরআনের বহু স্থানে আদ ও ছামুদ জাতির উল্লেখ একসাথে পাশাপাশি করেছেন ৷
যেমন সুরা বারাআত, সুরা ইব্রাহীম, সুরা ফুরকান, সুরা সাদ, সুরা কাফ, সুরা নাজ্বম ও সুরা
ফজ্বর ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এই দুটি জাতিপ্সষ্পর্কে আহ্লিকিতাবরা কিছুই জানতো না এবং
তাদের তাওরাত কিতাবেও এ সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই ৷ কিণ্ডু পবিত্র কুরআন থেকে প্রমাণ
পাওয়া যায় যে, হযরত মুসা (আ) এ দুই জাতি সম্পর্কে তার সম্প্রদায়কে অবগত করেছিলেন ৷
যেমন সুরা ইবরাহীমে আছে
মুসা বলেছিল, তোমরা এবং পৃথিবীর সকলেই যদি অকৃতজ্ঞ হও, তথাপি আল্লাহ
অমুখাপেক্ষী এবং প্রশংসাহ ৷ তোমাদের নিকট কি সংবাদ আসেনি তোমাদের পুর্ববত্মীদর
নুহের সম্প্রদায়ের, আদের ও ছামুদদের এবং তাদের পরবর্তীদের? তাদের বিষয় আল্লাহ
ব্যতীত অন্য কেউ জানে না ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের রাসুল এসেহিল (সুরা
ইবরাহীম৪ ৮ ৯)
এ আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, এখানে সবগুলো কথাই মুসা (আ)-এর যা
তিনি নিজের জাতির উদ্দেশে বলেছিলেন ৷ কিন্তু আদ ও ছামুদ সম্প্রদায় দুটি যেহেতু আরব
জাতির অন্তর্ভুক্ত, তাই বনী ইসরাঈলরা এদের ইতিহাস ভালভাবে সংরক্ষণ করেনি এবং
গুরুত্ব-সহকারে স্মরণও রাখেনি; যদিও মুসা (আ) এর সময়ে বনী ইসরাঈলদের মধ্যে তাদের
ঘটনা মশহুর ছিল ৷ আমার তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ সমস্ত
ৎসাই আল্লাহর ৷
এখন ছামুদ জা ৷তির অবস্থা ও তাদের ঘটনা বর্ণনা করাই আমাদের উদ্দেশ্য ৷ অর্থাৎ আল্লাহ্
তার নবী হযরত সালিহ (আ)-কে ও যারা তার উপর ঈমান এনেছিল তাদেরকে কিভাবে আমার
থেকে র্বাচিয়ে রাখেন, আর রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকাৰী, অত্যাচারী কাফিরদেরকে কিভাবে নির্মুল
করেছিলেন এখন তা বর্ণনা করা হবে ৷ পুর্বেই বলা হয়েছে যে, ছামুদ সম্প্রদায় জাতিতে ছিল
আরব ৷ আদ সম্প্রদায়ের ধ্ব স হবার পর ছামুদ সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয় ৷ তারা তাদের অবস্থা
থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেনি ৷ এ কারণেই তাদের নবী তাদেরকে বলেছিলেন ং
হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন
ইলাহ্ নেই ৷ তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের-কাহু থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে ৷
আল্লাহ্র এই উটনী তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ একে আল্পাহ্র জমিতে চরে খেতে দাও
এবং একে কোন ক্লেশ দিও না , দিলে মর্ষভৃদ শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে ৷ স্মরণ কর,
আদ জাতির পর তিনি তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেহ্নো, তিনি তােমাদেরকে
পৃথিবীতে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে, তোমরা সমতল ভুমিতে প্রাসাদ ও পাহাড় কেটে
বাসগৃহ নির্মাণ করছ ৷ সুতরাং আস্লাহ্র অনুগহ্ স্মরণ কর এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটিয়ো না ৷
(সুরা আরাফ : ৭৩ ৭৪)
“ অর্থাৎ আদ জাতিকে ধ্বংস করে তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করার উদ্দেশ্য এই যে ,
তাদের ঘটনা থেকে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে এবং তারা যে সব অন্যায় আচরণ করত
তোমরা তা করবে না ৷ এ যমীন তোমাদের আয়ত্তাধীন করে দেয়৷ হয়েছে ৷ এর সমভুমিতে
তোমরা অটালিকা নির্মাণ করছ আর পাহাড় কেটে সুনিপুণভাৰে তাতে ঘরবাড়ি তৈরি করছ ৷
অতএব, এর অনিবার্য দাব্ধিহিসেবে এসব নিয়ামতের শোকর আদায় কর , সৎক র্মে তৎপর থাক,
একনিষ্ঠভাবে এক আল্লাহ্র বন্দেগী কর র্ষার কোন শরীকনেই ৷ তার নাকরমানী ও দাসৎ থেকে
ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাক ৷ কেননা, এর পরিণতি খুবই জঘন্য ৷
এ উদ্দেশ্যে নবী এ বাণী দ্বারা উপদেশ দিচ্ছেন ং
তােমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়৷ হবো
উদ্যানসমুহের মধ্যে ও ঝরনাসমুহের মধ্যে৷ শসাক্ষেত্রের মধ্যে ও মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের
মধ্যে ? (সুরা শু আরা ১৪৬ ১৪৮১
তোমরা পাহাড় কেটে জাকজমকের ঘরবাড়ি নির্মাণ করছ ৷ সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় কর ও
আমার আনুগত্য কর এবং সীমালংঘনকারীদ্বের আদেশ মান্য করে৷ না-যারা পৃথিবীতে অনর্থ
সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না ৷ (সুরাৰুশুআরা : ১ : ১ ১ : ২)
নবী তাদেরকে আরও বললেন
হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর দাসৎ কবুল কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের আর
কোন ইলাহ নেই ৷ তিনিই তোমাদেরকে যমীন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তারমধ্যেই বসবাস
করার সুবিধা দিয়েছেন ৷ অর্থাৎ আস্লাহ্ তােমাদেরাক সৃষ্টিকবেহেন এবং যমীন থেকে উদ্ভাবন ;
করেছেন ৷ তারপর তােমড়াদেরকেই যমীনের আৰাদকারী বানিয়েছেন ৷ অর্থাৎ পৃথিবীর যাবতীয়
শস্য এবং ফল-ফলাদি তোমাদেরকে প্রদান করেছেন ৷ এভাবে তিনিই তোমাদের সৃষ্টিকারী ও
রিযিকদাতা ৷ সুতরাং ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র তিনিই, অন্য কেউ নয় ৷ ট্রুদ্বু;ৰুৰুন্াহু
— ৰু৷ ! ;::“;: অতএব, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তওবা কর ৷ অর্থাৎ তোমাদের
বর্তমান কর্মনীতি পরিহার করে তার ইবাদতের দিকে ধাবিত হও; তোমাদের ইবাদত-
ইসতিগৃফার কবুল করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন ৷
আমার প্ৰতিপড়াস্ক নিকটেই আছেন, তিনি আরো কবুল করবেন এতে কোন সন্দেহ
নেই ৷ তারা বগ্যা, হে সালিহ্ষ্ট ইতিপুর্বে তোমার উপর আমাদের বড় আশা ছিল ৷ অর্থাৎ
তোমার এই জাতীয় কথাবার্তা বলার পুর্বে আমাদের আশা জ্জি যে, তুমি একজন প্রজ্ঞাবান
লোক হবে ৷ কিন্তু আমাদের যে আশা ভৃ-লুষ্ঠিত হল-এখন তুমি আমাদেরকে এক আল্লাহ্র
ইবাদত করতে, আমরা যে দেবতাদের পুজা করছি সেগুলো বর্জ্যন্ব করতে ও ৰাপ-দাদার ধর্ম
ত্যাগ করতে বলাহ ৷ এ জন্যেই তারা বাংলা :
আমাদের বাপ-দাদারা যাদের পুজা করত, তুমি কি আমাদেরকে তাদের পুজা করতে নিষেধ
করছে! ৷ তুমি আমাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছ, সে বিষয়ে আমরা অবশ্যই বিভ্রাস্তিকর সন্দেহ
পোষণ করি ৷ সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কি ভেবে দেখেছো আমি যদি আমার
প্রতিপালক প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণসহ প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি, আর তিনি যদি আমাকে তার নিজ
অনুগ্রহ দান করে থাকেন, তারপর আমি যদি তার অবা ধ্যতা করি, তবে তার শাস্তি থেকে
আমাকে কে রক্ষা করবে৷ তোমরা তাে কেবল আমার ক্ষতিই বাড়িয়ে দিছে৷ ৷ (সুরা হ্রদ ও
এ হচ্ছে হযরত সালিহ্ (আ)-এর কোমল ভাষার প্রয়োগ ও সৌজন্যর্মুলক আচরণের
মাধ্যমে তাদেরকে কল্যাণের পথে আহ্বান ৷ অর্থাৎ তোমাদের কী ধারণা যদি আমি
তোমাদেরকে যেদিকে আহ্বান জানাচ্ছি তা প্রকৃতপক্ষে সত্য হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্র নিকট
তোমাদের কি ওজর থাকবে এবং তখন তোমাদেরকে কিসে মুক্তি দেবো অথচ তোমরা আমাকে
আল্লাহর দিকে দাওয়ড়াতের কাজ পরিহার করতে বলছ আর তা কােনক্রমেই আমার পক্ষে সম্ভব
নয় ৷ কেননা, এটি আমার অপরিহার্য কর্তব্য ৷ আমি যদি তা ত্যাগ করি, তবে তার পাকড়াও
থেকে না তোমরা আমাকে বাচাতে পারবে; না অন্য কেউ, না কেউ আমাকে সাহায্য করতে
সক্ষম হবে ৷ সুতরাং তোমাদের ও আমার মধ্যে আল্লাহ্র ফয়সালা আসার পুর্ব পর্যন্ত আমি
লা-শয়ীক এক আল্লাহ্র দিকে আহ্বানের কাজ চালিয়ে যেতে থাকর ৷
সট্রাহ (আ) কে তার সম্প্রদায়ের লোকজন আরো বন্সেছিল : :, ৷ ঞা
গ্লু,মোঃ ৷ (তুমি তো একজন জাদৃগ্রস্ত লোক) অর্থাৎ তোমার উপর জাদুর প্রভাব পড়েছে,
তাই সকল দেবতাংক বাদ দিয়ে এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্যে তুমি যে আমাদেরকে
আহ্বান জানাচ্ছ তাতে তুমি কী বলছে৷ তা তুমি নিজেই বুঝতে পারছো না ৷
অধিকাংশ আলিমই এই অর্থ করেছেন : র্চু,পু ধ্ষ্ট্রুন্র্দু০শুষ্ অর্থ ৷ কেউ কেউ
এর অর্থ করেছেন যে, তোমার কাছে জাদু আছে, অর্থাৎ তুমি জাদুকর্ব ( , < ) ) ৷
তারা এ কথা বলছে যে, তুমি একজন মানুষ, তোমার জাদু জানা আছে ৷ তবে প্রথম অর্থই
অধিকতর স্পষ্ট ৷ যেহেতু পরেই তাদের কথা আসছে যে, তারা বলেছে ক্ট্রর্বুর্বৃন্ ৰু৷ ৷ ষ্ ৷ ৷০
মোঃ তুমি তো আমাদের মতই মানুষ ৷ (তুমি
কোন একটা নিদর্শন নিয়ে এসো যদি তুমি সত্যবড়াদী হয়ে থাক ৷) তবাি নর্বীর কাছে দাবি
জানায়, যে কোন একটা অলৌকিক জিনিস দেখিয়ে তিনি যেন নিজের দাবির সভ্যতার পক্ষে
প্রমাণ উপস্থাপিত করেন ৷
সালিহ্ বলল, এই উটনী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে
পানি গানের পালা-নিল্টি এক এক দিনের ৷ তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না, তাহলে
তােমাদেরকে মহা দিবসের আমার পাকড়াও করবে (সুরা শু আরাং : ১৫৩)
আল্লাহ তা জানা অন্যত্র বলেন
তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে ৷ আল্লাহর এ
উটনী তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ অতএব, একে আল্লাহর মমীনে চরে খেতে দাও ৷ একে
কোন ক্লেশ দিও না, দিলে মর্মন্তুদ শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে ৷ (সুরা অড়ারাফং ৭৩)
আল্লাহর বাণী৪ার্চু ৷মোঃ র্দুর্চুৰুণ্ন্ৰুৰু,বু র্জুাৰু৷ ! র্ন্তদ্বুশুপুও ( ৷ এ আমি শিক্ষাপ্রদ
নিদর্শনস্বরুপ ছামুদ জা ৷তিকে উটনী দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু ওরা তার প্রতি জুলুম করেছিল ৷ (সুরা
বনী ইন্প্ারাঈল০ ৫৯)
ঘুফাসৃসিরগণ উল্লেখ করেন, ছামুদ সম্প্রদায়ের , লোকেরা একবার এক স্থানে সমবেত হয় ৷
ঐ সমাবেশে আল্লাহর নবী হযরত সালিহ্ (আ) আগমন করেন ৷ তিনি তাদেরকে আল্লাহর দিকে
আহ্বান জানান, উপদেশ দান করেন, ডীতি প্রদর্শন করেন, নসীহত করেন এবং তাদেরকে সৎ
কাজের নির্দেশ দেন ৷ উপস্থিত লোকজন তাকে বলল, ঐ যে একটা পাথর দেখা যায়, ওর মধ্য
থেকে যদি অমুক অমুক গুণসম্পন্ন একটি দীর্ঘকায় দশ মাসের গর্ভবতী উটর্নী বের করে দেখাতে
পার, তবে দেখাও ৷ সালিহ্ (আ) বললেন ও তোমাদের বর্ণিত গুণসষ্পন্ন উটনী যদি আমি বের
করে দেই তাহলে কি তোমরা আমার আনীত দীন ও আমার নবুওতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করবেঃ তারা সবাই বললষ্ : হ্যা, বিশ্বাস করব ৷ তখন তিনি এ কথার উপর তাদের থেকে
অঙ্গীকার ও প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন ৷ এরপর সড়ালিহ্ (আ) সালাত আদায়ের জন্যে র্দাড়িয়ে যান
ৎসালাত শেষে আল্লাহর নিকট তাদের আবদার পুরণ করার প্রার্থনা করেন ৷ আল্লাহ ঐ
পাবথবকে কােট গিয়ে অনুরুপ গুণসষ্পন্ন একটি উটনী বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ যখন তারা
স্বচক্ষে এরুপ উটনী দেখতে পেল, তখন তারা সত্যি সত্যি এক বিস্ময়কর বিষয়, ভীতিপ্রদ দৃশ্য,
সুস্পষ্ট কুদরত ও চুড়ান্ত প্রমাণই প্রত্যক্ষ করল ৷ এ দৃশ্য দেখার পর উপস্থিত বহু লোক ঈমান
আসে বটে, কিন্তু অধিকাং শ লোকই তাদের কুফরী, গুমরাহী ও বৈরিতার উপর অটল হয়ে
থাকল
এ জন্যেই কুরআনে বলা হয়েছেং !র্দু !মোঃ (৩ তারা তার সাথে জুলুম করল) অর্থাৎ
তাদের অধিকাত্শ্ইি মানতে অস্বীকার করল এবং সত্যকে গ্রহণ করল না ৷ যারা ঈমান এনেছিল
তাদের প্রধান ছিল জানৃদা ইবন আমর ইবন ঘুহাল্পাত ইবন লবীদ ইবন জুওয়াস ৷ এ ছিল ছামুদ
সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা ৷ সম্প্রদায়ের অবশিষ্ট শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিবর্পও ইসলাম গ্রহণে উদ্যত
হয়, কিন্তু তিন ব্যক্তি তাদেরকে তা থেকে বিরত রাখে ৷ তারা হল : যাওয়ার ইবন উমর ইবন
লবীদ ও খাবৃবাব এ দুইজন ছিল তাদের ধর্ফগুরু এবং বাবার ইবন সামআর ইবন জাল্মাস ৷
জানদা ইসলাম গ্রহণ করার পর আপন চাচাত ডইি শিহাব ইবন খলীফাকে ঈমান আনার জন্যে
আহ্বান জানায় ৷ সেও ছিল সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোক এবং ইসলাম গ্রহণ করার জন্যে সেও
উদতে হয় ৷ কিন্তু ঐ ব্যক্তিরা তাকে বাধা দিলে সে তাদের দিকেই ঝুকে পড়ে ৷ এ ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে মিহরাশ ইবন পানামা ইবন যুমায়ল নামক জনৈক মুসলমান করি তার কবিতায়
বলেন :
“আমর পরিবারের একদল লোক শিহড়াবকে নবীর দীন কবুল করার জন্যে আহ্বান জানায় ৷
এরা সকলেই ছামুদ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট লোক ৷ শিহাবও সে আহ্বানে সাড়া দিতে উদ্যত হয় ৷
যদি সে সাড়া দিত তাহলে নবী সড়ালিহ্ (আ) আমাদের মাঝে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে
যেত ৷ জুওয়াব তার নদীর সাথে সুবিচার করেনি ৷ বরং হিজর উপত্যকার কতিপয় নির্বোধ
লোক আলোর পথ দেখার পরেও মুখ ফিরিয়ে থাকে ৷ ”
এ কারণে হযরত সালিহ (আ) তাদেরকে বললেনং : ১গ্রা (এটি
আল্লাহ্র উটনী, তোমাদের জন্যে নিদর্শন) ৷ আল্লাহর উটনী শব্দটি বলা হয়েছে উটনীটির মর্যাদা
নির্দেশের উদ্দেশ্যে ৷ যেমন বলা হয় এ , প্রু আল্লাহ্র ঘর; এ্যা৷ ,াপ্রু;গ্লুআল্পাহ্র বান্দা ৷
ব্র ৷ এ , তোমাদের জন্যে নিদর্শন ৷ অর্থাৎ আমি তোমাদের কাছে যে দাওয়াত নিয়ে এসেছি
এটা তার সভ্যতার প্রমাণ ৷
একে আল্লাহর যমীনে চরে যেয়ে বেড়াতে দাও এবং এর অনিষ্ট সাধন করো না ৷ অন্যথায়
এক নিকটবর্তী আমার তােমাদেরকে পাকড়াও করবে ৷’ তারপর অবস্থা এই র্দাড়াল যে, এ
উটনীটি তাদের মধ্যে স্বাধীনভাবে যেখানে ইচ্ছা চরে বেড়াত, একদিন পর পর পানির ঘাটে
অবতরণ করত ৷ যেদিন যে পানি পান করত সেদিন কুদ্বুপর সমস্ত পানি নিঃশেষ করে ফেলত ৷
তাইর্চু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের পালার দিনে পরের দিনের জন্যে প্রয়োজনীয় পানি উত্তোলন
করে রখেত ৷ কথিত আছে যে, সম্প্রদায়ের দোকড্ডা ঐ উটনীটির দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ পান
করত ৷ (এ উটনীটির জন্যে রয়েছে পানি পানের
’ ^ এবংপ্ তোমাদের জন্যেও রয়েছে পানি পানের নির্দিষ্ট দিন) ৷ আন্নাহ্ বলেন : ৷পু ৷
ন্ন্ এে ৷ ৷ ৰুা, (আমি এ ঞ্জো পাঠিয়েহি তাদের মোঃ ৷ষ্াদ্যে) প্যাণা এই
যে, তারা কি এতে গ্মাস মানে না কি দ্দৌ করে ৷ আর ধ্কুস্ত ন্তে এই যে তারা কি
স্কো ষ্৷ অ্যাং মা মোঃ ৷ ণ্া৷ (মমএর তুমি ষ্জ্যো আচরণের ণ্ৰি ষ্দ্যে
শো এবং জ্যো ণাৰ্ ৷ (এবং ধৈর্থ ধ্ারণ কর) মোঃ যে fl আসে তা সহ্য
করাজােজ্যো-
,: ন্ন্ণ্ শুর্দু (এবং তাদেরকে ৰ্;া৷ঙ্গিষ্মে দাও যে তাদের মধ্যে পানি ৰ্ষ্ন নির্ধারিত
ৎ পাণির র্সাষ্াদ্ধ৷ স্ন্যে মোঃ লোঃ হয়ে মোঃ ৷ (সুরা খ্যাঃ : ২ ৭ ২৮)
দীর্ঘ দিন মারষ্ এ অরস্থা চলতে থাকার সম্প্রদায়ের সোঙ্কের৷ অ’ধের্য হয়ে পড়ে ৷ এর
থেকে নিকুতি দাসে৷ ষ্ান্যে তারা একদা সমবেত হয় ও পরামর্শ করে ৷ তারা সমিণিততাবে এই
সিদাষ্ করে যে, উষ্মীটিষ্কে হত্যা করতে হবে ৷ এর ধ্ণে তারা ঞ্জোঢির করল থেকে নিঙ্কুতি
পাবে এবং সমস্ত পানির উপর পুর্ণ কর্তৃত্ব তাদের প্রতিষ্ঠিত হবে ৷ শয়তান তাদেরকে এ কাজের
যুক্তি ও সুফ্যা প্রদর্শন করল ৷ আল্লাহর বাণী :
অতঃপর তারা সেই উটনীটি বধ করে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং বলে,
হে সাণিহ্! তুমি রাসুল হয়ে থাকলে আমাদ্যেকেণ্ যার ভয় মোঃ তা নিয়ে এসো ৷
(সুরা অড়ারাক : ৭৭)
যে সোক উটনী হত্যার দায়িত্ব গ্রহ ৷ করে তার নাম কিদার ইবন সালিফ ইবন জানদাষ্-
সে ইিস সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা ৷ সে ছিল গৌরবর্ণ, নীল চোখ ও শিক্ষা চুল বি০িষ্টি ৷ কথিত
মতে, সে দাি মালিক-এর যারজ সন্তান ৷ সায়বান নামক এক ব্যক্তির ঔরসে তার জন্ম হয় ৷
কিংার একা হত্যা করলেও যেহেতু সম্প্রদায়ের সকলের ঐকমত্যে করেছিল তাই হত্যা করার
দায়িত্ব সবার প্রতি আরোপিত হয়েছে ৷
ইৰ্ন আমীর (র) প্রমুখ মুফাসৃসির লিখেছেন : ছামুদ সম্প্রদায়ের দুই মহিলা একজনের
নাম সাদুক ৷ সে মাহ্য়া ইবন যুহায়র ইবন মুখতাব্রের কন্যা এবং প্রচুর ধন-সষ্পদ ও বংশীয়
ৰুগৌরবের অধিকারী ৷ তার স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে ৷ ফলে শ্রী তাকে ত্যাগ করে এবং নিজের
চাচাত তাই মিসৃৱা ইবন মিহ্রাজ ইবন মাহ্য়াকে বলে, যদি তুমি উটনীটি হত্যা করতে পার,
তবে তোমাকে আমি বিবাহ করব ৷ অপর মইিলাটি হিল উনায়যা ৰিনত গুনায়ম ইবন মিজলড়ায,
তাকেউষ্মে উহমান বলে ডাকা হতো ৷ মহিসড়াটি ছিল বৃদ্ধা এবং কাফির ৷ তার স্বামী ছিল
সম্প্রদায়ের অন্যতম সর্দার যুওয়ড়ার ইবন আমর ৷ এই স্বামীর ঔরসে তার চারটি কন্যা ছিল ৷
মহিলাটি কিদার ইবন সালিফকে প্রস্তাব দেয় যে, সে যদি উটনীটি হত্যা করতে পারে তবে তার
এ চার কন্যার মধ্য থেকে যাকে ইছে বিয়ে করতে পারবে ৷ তখন ঐ যুবকদ্বয় উটনী হত্যার
দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং সম্প্রদায়ের লোকদের সমর্থন লাভৈর চেষ্টা চালায় ৷ সে মতে, অপর সাত
ব্যক্তি তাদের ডাকে সাড়া দেয় ৷ এভাবে তারা নয়জন ঐক্যবদ্ধ হয় ৷ কুরআনে সে কথাই বলা
হয়েছে :
আর সেই শহরে ছিল এমন নয় ব্যক্তি যারা দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করত এবং কোন সত্কর্ম
করত যা ৷ (সুরা নামঘ : ৪৮)
তারপর এ! সমস্যা গোটা সম্প্রদজাের কাংৰ্ যায় এবং ডাঃর্মীহ্ত্যার উদ্যোগের কথা
আমার ৷ এ ব্যাপারে সকণেই তাদেরকে সমর্থন করে ও সহযােণিতোর অশ্নোস দের ৷ এরপর
তারা উটর্নীর সন্ধানে বের হয় ৷ যখন তারা দেখতে পেল যে, মোঃ পানির ঘাট থেকে ফিরে
আসছে, তখন তাদের মধ্যকার মিসুরা নামক ব্যক্তিটি যে পুর্ব থেকে শুৎ পেতে বসে ছিল সে
একটি তার তার দিকে ছুড়ে মারে, তীরটি উটনীটির পায়ের পােহা ভেদ করে চলে যায় ৷ এদিকে
মহিলড়ারা তাদের মুখমগুস অরারিত করে গোটা কৰিসড়ার মধ্যে উটনী হত্যার কথা ছড়িয়ে
তাদেরকে উৎসাহিত করতে থাকে ৷ কিদার ইবন সান্সিফ অগ্রসর হয়ে তনোয়ড়ার দিয়ে আঘাত
করে উটনীটির পায়ের গোছার রপ কেটে দেয় ৷ সাথে সাথে উটনীর্টি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং
বিকট শব্দে চিৎকার দিয়ে ওঠে ৷ চিত্কারের মাধ্যমে সে তার পেটের বাচ্চাকে সতর্ক করে ৷
কিদার পুনরায় বর্শা দিয়ে উর্টনীটির বুকে আঘাত করে এবং তাকে হত্যা করে ৷ ওদিকে বাচ্চাটি
একটি দুর্গম পাহাড়ে আরোহণ করে তিনবার ডাক দেয় ৷
আবদুর রজ্জাক (র) হাসান (র) থেকে বর্ণিত : উটনীটির বাচ্চার ডাক ছিল এই : , এ ৷
ণে ;, ৷ হে আমার বব! আমার মা কােথায়ঃ এরপর সে একটি পাথরের মধ্যে প্রবেশ করে
অদৃশ্য হয়ে যায়৷ কারো কারো মতে, লোকজন ঐ বাচ্চার পশ্চাদ্ধাবন করে তড়াকেও হত্যা
করেছিল ৷
’
আল্লাহ বলেন
অতঃপর তারা তাদের এক সং পীকে আহ্বান করল এবং সে এসে উটনীঢিকে ধরে হত্যা
করল ৷ দেখ, কি কঠোর ছিল আমার শান্তি ও সতর্করাণী (সুরা কামার : ২৯-৩০ )
অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন :
৬
ওদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য সে যখন তৎপর হয়ে উঠলো, তখন আল্লাহর রাসুল
বলল, আল্লাহ্র উটনী ও তার পানি পান করার বিষয়ে সাবধান হও ৷ অর্থাৎ তোমরা একে ভয়
করিও ৷ কিন্তু তারা রাসুলকে অস্বীকার করল এবং উটনীঢিকেও হত্যা করে ফেললো ৷
ত্রৈষ্ঠাং
তাদের পাপের জন্যে তাদের প্ৰতিপালক তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে একাকার করে
দিলেন এবং এর পরিণামের জন্য আল্লাহ্র আশঙ্কা করার কিছু নেই ৷ (সুরা শামস্৪ ১ ২ ১৫)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খগ্রা ৪ষ্০জ্যো-ব্লুমোঃ জ্যো
ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র (র) সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন যামআ (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সড়া) একবার ভাষণ দিতে গিয়ে উটনী ও তার হত্যাকারীর প্রসংপ
উল্লেখ করেছিলেনং ৷১ £ ৷ :’ ” ৷ ১৷ (তাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাপা সে যখন
তৎপর হয়ে উঠল) যে সােকটি তৎপর হয়েছিল সে অত্যন্ত কঠিন, রুঢ় ও কওমের সর্দার ৷ আবু
যড়াম আর ন্যায় মুহাম্মদ ইবন ইসহ৷ ক লিখেছেন, ইয়াযীদ ইবন মুহাম্মদ আমার ইবন ইয়াসির
(বা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : হে আলী! আমি কি তোমাকে মানব গোষ্ঠীর
সবচেয়ে বড় দুই হতভাপার কথা শুনবেঃ আলী (বা) বললেন, বলুন, ইয়া রাসুলাল্পাহ! তিনি
বললেন : একজন হল ছামুদ সম্প্রদায়ের সেই গৌরবর্ণ সােকটি, যে উটনী হত্যা করেছিল; আর
দ্বিতীয়জন হল সেই ব্যক্তি যে তোমার এই স্থানে (অর্থাৎ মস্তকের পার্শে) আঘাত করবে, যার
ফলে এটা অর্থাৎ দাড়ি ভিজে যাবে ৷ ইবন আবু হাতিম (ব) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ
তা আলা বলেন :
অতঃপর তারা সেই উটনী বধ করে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং বলে,
হে সালিহ্! ভুমি রাসুল হয়ে থাকলে আমাদেরকে যার ভয় দেথাচ্ছ তা আনয়ন কর ৷ (সুরা
আরাফ : ৭ ৭)
এই উক্তির মধ্যে তারা কয়েকটি জঘন্য কুফরী কথা বলেছে যথা : (১) আল্লাহ যে উটনী
তাদের জন্যে নিদর্শন রুপে পাঠিয়ে তাকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে কঠোরতাবে নিষেধ
করেছিলেন, তারা তাকে হত্যা করে আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে ৷ (২) আযাব
আনয়নের জন্যে তারা বেশি রকম তড়ােহুড়া করে ৷ দুই কারণে তারা যে আয়াবে গ্রেফতার হয়,
(এক) তাদের উপর আরোপিত ৰুার্চু
(একে কে নরুপ কষ্ট দিও না, অন্যথায় অতি শীঘ্রই আমার তােমাদেরকে পাকড়াও করবে ৷)
অন্য এক আয়াতে আছে ছু ^৬ঝু; ? ৷;র্দু (ভয়াবহ আমার), অপর এক আয়াতে আছে —
,৷ ৷া; (পীড়াদায়ক আযাব) ৷ এর প্রতিটিই য়থার্থরুপে দেখা দেয় ৷ (দুই) আযাব
তাড়াতাড়ি এনে দেয়ার জন্যে তাদের পীড়াপীড়ি করা ৷ (৩) তারা তাদের নিকট প্রেরিত
রাসুলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে অথচ তিনি তার নবুওতের দাবির সভ্যতার পক্ষে চুড়ান্ত প্রমাণ
উপস্থিত করেছিলেন এবং তারাও তা নিশ্চিতরুপে জানতে৷ ৷ কিন্তু সত্যকে এড়িয়ে চলার
মানসিকতা ও আযাবে গ্রেফতার হওয়ার যােগ্যতাই তাদেরকে ভ্রান্ত কুফরী পথে যেতে ও বিদ্বেষী
হয়ে চলতে উদ্বুদ্ধ করে ৷ আল্লাহ বলেনং ষ্
জ্যি ওরা তাকে বধ করল ৷ ফলে সড়ালিহ্ বলল, তোমরা তোমাদের বাড়িতে তিনদিন
জীবন উপভোগ করে নাও ৷ এ এমন একটি ওয়াদ৷ যা মিথ্যা হবার নয় ৷ (সুরা হ্রদ৪ ৬৫)
মুফাসসিরগণ লিখেছেন, উটনীটির উপর প্রথম যে ব্যক্তি হামলা করে তার নাম কিদার
ইবন সালিফ (তার প্ৰতি আল্লাহর অভিশাপ বর্নিত হোক ৷) প্রথম আঘাতেই উটনীটির পায়ের
গোছা কেটে যায় এৎ সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ এরপর অন্যরা দৌড়ে গিয়ে তরবারি দ্বারা কেটে
উটনীটির দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে ৷ উটনীটির সদ্য প্রসুত বাচ্চা এ অবস্থা দেখে দৌড়ে নিকটবর্তী
এক পাহাড়ে গিয়ে ওঠে এবং তিনবার আওয়াজ দেয় ৷ এজন্যে সালিহ্ (আ) তাদেরকে
বললেন : তোমরা তিনদিন পর্যন্ত তোমাদের ঘরবাড়িতে
জীবন উপর্তোগ কর ৷ অর্থাৎঘটনার ঐ দিন বাদ দিয়ে পরবর্তী তিনদিন ৷ কিন্তু এত কঠোর
সতর্কবাণী শুনানো সাত্ত্বও তারা এ কথা বিশ্বাস করল না ৷ বরং ঐ রাত্রেই নবীকেও হত্যা করার
ষড়যন্ত্র পাকায এবং উটনীটির মত তাকেও খতম করার পরিকল্পনা করে ৷ £fi€£ !§fié
ৰুপুটু র্চুৰ্টএ্যা —