মিসর্কীনের ন্যায় ভিক্ষা প্রার্থী, আপনার কাছে হীন দৃর্বলের ন্যায় কাকুতি মিনতি কারী ৷ শংকিত
পতিতের ন্যায় আপনার কাছে দৃআ করছি-যার পর্দান আপনার সমীপে অবনত, যার অশ্রু
আপনার জন্য প্রবাহিত, মার দেহ আপনার কাছে আবনমিত, যার নাক (মর্যাদা) আপনার কাছে
ধুলি লুষ্ঠিত ৷ ইয়৷ আল্লাহ আপনার সকাশে দৃআর ওয়াসিলায় আমাকে, হে প্রতিপালকা দুর্ভাগা
বানাবেন না; আমার প্রতি হোন স্লেহশীল, দয়াবান ৷ হে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা শ্রবণকায়ী ! হে শ্রেষ্ট দাতা !
হাত তোলা প্রসংগে
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুশায়ম (র)উসামা ইবন যায়দ (র) সুত্রে বলেন, আরাফাতে
আমি নবী করীম (না)-এর সহ-আরােহী ছিলাম ৷ তিনি দ,আ করার জন্য দৃহাত তুললেন ৷
তখন তার উটনী ঝুকে পড়লে তার লাগাম পড়ে গেল ৷ (উসামা বলেন) , তিনি এক হাত দিয়ে
লাগাম ভুলে নিলেন এবং অন্য হা ৷ত (দৃআর জন্য) উর্দ্ধ দিকে তুলে রেখেছিলেন ৷ ইমাম
সােঈ (র) ও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ হাফিজ বায়হা ৷কী (র) বলেন ৷ অ ৷বু আবদুল্লাহ্
আল-হাফিজ (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আ ৷মি রাসুলুল্লাহ
(না)-কে আরাফ৷ তে দু আ করতে দেখেছি ৷ ফকীর-মিসকীনদের খাদ্য ভিক্ষা ৷র তংগিমায়
দু হাত বুক পর্যন্ত তুলে ৷
উম্মাজাে জন্য দু আ প্রসংগ :
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) তার ঘুসনাদে বলেছেন, আবদুল কাহির ইবনুস সারীয়া আব্বাস
ইবন মিরদাস (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আরাফা দিবসের বিকেল
বেলা তার উম্মতের জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দুআ করলেন এবং খুব বেশী বেশী দৃআ
করলেন ৷ তখন আল্লাহ পাক তার কাছে ওহী পাঠালেন যে-
আমি তা (কবুল) করেছি ৷ তাদের পরস্পরের প্রতি ত্তস্থেম অনাচ৷ র ব্যতীত, আর আমার হক
ৎক্রান্ত পাপ সমুহ আ ৷মি মাফ করে দিলাম ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন, হে প্ৰতিপ৷ লক ৷
আপনি তো ঐ মাযলুমর্কে তার নিপীড়িত হওয়ার পরিমাণের চাইতে উত্তম বিনিময় দিতে এবং এ
জালিমকে মাফ করে দিতে পারেন ৷ কিন্তু ঐ বিকেলে তার এ দৃআ কবুল করা হল না ৷ পরে
মুযদালিফার সকালে (দশ তারিখে) তিনি পুনরায় দৃআ করলে আল্লাহ্ তাআলা তা কবুল
করলেন৷ “আমি তাদের মাফ করে দিলাম, তখন রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-কে মৃদু
হাসতে দােখ কোন কোন সাহাবী তাকে বললেন ৷ ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ! আপনি এমন একটি সময়
হাসলেন যে মুহুর্তে সাধারণত আপনি হাসতেন না ৷ তিনি বললেন, আমি স্মিত হাসি হেসেছি ণ্
আল্লাহর দৃশমন ইবলীসের দুরবস্থা দেখে, সে যখন জানতে পেল যে, যহীয়ান গরিয়ান আল্লাহ
আমার উম্মা;তর ব্যাপারে আমার দৃআ কবুল করলেন, তখন হায় কপাল, হায় মরণ ! বলে চিৎকার
জুড়ে দিল এবং নিজের মাথায় ধুল৷ বালি ছিটাতে লাগল ৷” আবু দাউদ সিজিসতানী (র) তার
সুনান গ্রন্থে এ হাদীছটি আব্বাস ইবন যিরদাস-এর সনদে সংক্ষেপে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম ইবন সাজা (র) আয়ুযে ইবন মুহাম্মদ আল-হাশিমী (র) সুত্রে ঐ সনদে আনুপুর্বিক
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন জারীর (র) তার তাফসীবেঃ এ হাদীছটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷