জ্জাব্লুইাদার৷ ওয়ান নিহড়ায়াজােমোঃ ১৪৩
(এক বছর পুর্ণ হয়ে দ্বিতীয় বছরে পড়েছে) বড়ো-ৰাচ্যুধী; শুধু চল্লিশটি সাইমা’১ ছাগল হলে
একটি ছাগল ৷
উল্লিখিত পরিমাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘু-’মিনদের উপরে নির্ধারিত ফরয’ যাকাতের
পরিমাণ ৷ কেউ ভাল কাজ আরো বাড়িয়ে করলে তা তার জন্য উত্তম হবে ৷ আর যে অন্তত
উল্লিখিত পরিমাণ আদায় করবে এবং মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুমিনদ্দো সাহায্য-সহায়তা করবে,
সে ঈমানদারৰ্দর অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অন্যান্য ঈমানদারদের ন্যায় কর্ডা-অধিকার ও বিধি-
নিবেধ তার জন্য প্রযোজ্য হবে এবং তার জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলের ষিম্মা সাব্যম্ভ হবে ৷
আর ইয়ড়াহুদী-খৃস্টানদের কেউ মুসলমান হলে সেও যু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তার জন্য
অন্যান্য ঈমানদারদের মত অধিকার দায়িতৃ বর্তাবে ৷ কিন্তু যারা তাদের ইয়াহুদী-বৃস্ট ধর্মে
অনড় হয়ে থাকবে, তাদের-ধর্ম থেকে তাদের বিচুত করা হবে না ৷
উপরন্তু তাদের প্রত্যেক ৰরষ্ক পুরুষ, নারী (স্বাধীন ও) দাস নির্বিশেষে এক দীনার
(স্বর্ণযুদ্রড়া) পুর্ণাঙ্গ ও নিখুত জিযিয়া দিতে হবে; কিংবা সমযুভৈল্যর ঘুআফিয়ী’ বস্ত্র বা সমপরিমাণ
অন্যান্য কাপড় ৷ যারা এ পরিমাণ জিযিয়া আল্লাহর রড়াসুলের হাতে সমর্পণ করবে, তাদের
জন্যও আল্লাহ ও তার রাসুনের যিম্মা সাব্যস্ত হবে, আর যারা এতে অস্বীকৃত হয়ে তারা আল্লাহ
ও তার রড়াসুলের দুশমন
- “আমার দুতগণ তোমার কাছে পৌছলে তাদের সাথে সদ্ব্যবহাবের আমি নির্দেশ দিচ্ছি;
- দুঃশণ হলেন মৃআয ইবন জ্যবাল, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ, মালিক ইবন উৰাদা, উকৰা ইবন
- ঝার, মালিক ইবন মুবৃরা (না)-ও তাদের সহযোগীবৃন্দ ৷ তোমাদের যাকাতসাদাকাগুলো
-
তোমাদের প্রতিপক্ষের জিযিয়া সমুদয় সংগ্রহ করে তা আমার দুতদের হাতে সমর্পণ
ৰ্াৰ দুত স্লের প্রধান হল যুআয ইবন জবােল ৷ সে যেন সন্তুষ্ট চিত্তে আমার কাছে ফিরে
সে (নিজে) জর বন্দো ও রাসুল ৷ দুত মালিক ইবন ঘুবৃরা আর রাহাবী আমাকে বলেছে যে,
তুযিই হিময়ড়ারীদের মাঝে সবার আগে ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণকারী; তুমি যুশরিকদের
সাথে লড়াই করে যাচ্ছে; কল্যাণের সৃসংবাদ নাও ; হিময়ারীদের সাথে সদাচরণের নির্দেশ
তোমাকে দিচ্ছি; বিশ্বাস ভঙ্গ কর না, পরস্পর সহযোগিতা বর্জন করে৷ না ৷ আল্লাহ্র রাসুল
তোমাদের ধনী-গরীব সকলের অতিঃাবক ৷
সাদাকা মুহাম্মদ ও তার পরিবারবর্গের জন্য বৈধ নয় ৷ তা হল যাকাত’ যা দিয়ে মুসলমান
অতাবগ্রস্তদের ও পথচারীদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় ৷ দুত মালিক সংবাদ পৌছে দিয়ে
এবং বিশ্বস্ততা রক্ষা করে তার দায়িৎ যথাযথ পালন করেছে; তাই র্তার সাথে নৌজন্যমুলক
আচরণের উপদেশ দিচ্ছি ৷ আমি তোমাদের কাছে আমার সুযোণ্য স্বজনদের পাঠাচ্ছি, যারা
ধার্মিকতড়া ও বিদ্যাবত্তায় সেরা ৷ তাদের প্রতি নৌজন্য-সৌহারুর্কা উপদেশ দিচ্ছি ৷ তাদের প্রতি
লক্ষ্য রাখা হবে ৷ ওরাসৃসালড়াঘু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্পাহি ওরা বারাকাতুহু ৷”
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাসান (র)আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, ঘু
রাযানের দুত মালিক রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এক জোড়া বস্ত্র হাদিয়া দিয়েছিলেন, যা তেত্রিশটি
বড় উট ও তেত্রিশটি বড় উটনীর বিনিময়ে খরিদ করা হয়েছিল ৷ আবু দাউদ (র)-ও
হড়াদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আম্র ইবন আওন আল ওয়াসিভী (র)আনাস (রা)
সুত্রে ৷
হাফিজ বড়ায়হাকী (র) এভাবে রিওয়ায়ড়াত করেছেনআমৃর ইবন হাবুাম (রড়া)-এর চিঠির
বিবরণ আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজ (র)ইসহাক (র) আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন
আম্র ইবন হাঘৃম (রা) থেকে বর্ণিত ৷ আবু বকর (রা) বলেন, এ হল আমাদের কাছে
ৎরক্ষিত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চিঠি যা তিনি আম্র ইবন হাঘৃম (আমার দাদা) (রা)-কে
ইয়ামান পাঠাবার সময় তাকে লিখে দিয়েছিলেন ৷ তাকে ইয়ামানবাসীদের কিতাব ও সুন্নাহ্র
তালীম দেওয়া এবং তাদের যাকাত উসুল করার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছিল ৷ নবী
কল্পীম (সা) তাকে একটি ফরমান ও অঙ্গীকারপত্র লিখে দিলেন এবং যথাযথ নির্দেশ দিলেন ৷
তিনি লিখলেন-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, এটা আল্লাহ্ ও তার রড়াসুলের চিঠি ৷ হে ঈযানদারগণ ৷
অঙ্গীকারসমুহ রক্ষা করে চল; এ হচ্ছে আল্লাহ্র রাসুলের পক্ষ থেকে আম্র ইবনঃ হাঘৃম (রা)-
ণ্ক ইয়ামানে পাঠাবার সময় তাকে প্রদত্ত ফরমান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অল্লোহ্র যাবতীয় আদেশ
নির্দোশ র্তাকে ভয় করে চলার নির্দেশ দিলেন ৷
কেননা, যারা আল্লাহ্কে ভয় করে চলে এবং যারা সৎকর্মর্শীল আল্লাহ্ তাদের সাথে
থাকেন ৷” তিনি তাকে আল্লাহ্র আদেশ অনুসারে যথাযথভাবে হক ও ন্যায়কে আকড়ে থাকার
নির্দেশ দিলেন এবং মানুষকে কল্যাণের সুসৎবড়াদ ও তার আদেশ দিতে বললেন ৷ মানুষকে
কুরআন শেখাংত এবং দীনের বুৎপত্তি অর্জনের নির্দেশ দিলেন ৷ পবিত্র না হয়ে কুরআন স্পর্শ
করা নিষেধ করতে বললেন ৷ লোকদের যা যা অধিকার ও যা যা কর্তব্য তা তাদের জানিয়ে
দিতে বললেন ৷ ন্যায়ের ক্ষেত্রে তাদের সাথে কোমল আচরণ ও জুলুমের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার
উপদেশ দিলেন ৷ কেননা, আল্লাহ্ যাবতীয় জুলুম-অনাচার হারায় করে দিয়েছেন এবং তা
নিষিদ্ধ করেছেন ৷ ” তিনি ইরশাদ করেছেন
জেনে রাখ ! আল্লাহর লানত জালিমদের উপরে ৷ যারা আল্লাহর পথ থেকে (লোকদের)
বিরত রাখে ৷ তিনি তাকে লোকদের জান্নাত এবৎত ৷র উপযোগী আমলের সৃসং বাদ দেয়ার ও
লোকদের জাহান্নাম এবং জাহান্নামণামী আমলের ব্যাপারে সতর্ক করে দিতে বললেন ৷
লোকদের সাথে নৌহার্দ সহৃদয়তার আচরণ করতে বললেন, যাতে তারা দীনের বুৎপত্তি
অর্জনের অবকাশ পায় ৷ লোকদের শেখাতে বললেন, হজ্জ ও হড়াজ্জর ফরযসমুহ, তার সুন্নাহ্
সম্মত পদ্ধতি ও তার নিদর্শনাবলী এবং যে সব ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে আদিষ্ট করণীয় ৷
আল হাজ্জ্বল’ আকবার ৷ বড় হজ্জ হল প্রচলিত হজ্জই, আর ছোট হজ্জ হল, উমর৷ ৷ কোন
মুসল্লীর জন্য (ছতর আবৃত হয় না এমন) ছোট এক কাপড়ে সালাত আদায় করা নিষেধ করতে
বললেন, তবে কাপড় বড় হলে তা বাড়াধের দৃ’দিক থেকে উল্টে৷ করে জড়িয়ে নেয়৷ চলবে; এক
খণ্ড কাপড় (সেলাইবিহীন) ভুাটুতে জড়িয়ে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হতে পারে এমন ইহতিবা১ আসন
নিঘেধ করতে বললেন ৷
অনুরুপ চুল ছড়িয়ে পড়ে ঘাড় ঢেকে দিলে তা খোলা রাখা নিষেধ করতে হবে ৷ আরো
নিষেধ করতে বললেন, কোন দাঙ্গা-হাঙ্গাম৷ দেখা দিলে জাহিলী যুগের পন্থায় গোত্রীয় দলাদলি
ও সাম্প্রদায়িক কােন্দলের প্রশ্রর দিতে বরং তেমন ক্ষেত্রে একক লা-শরীক আল্লাহর পথে
অর্থাৎ ন্যায়ের পক্ষাবলম্বনের আহ্বান জানাতে হবে ৷ কেউ আল্লাহর দিক আহ্বান না করে
গোত্রীয় পক্ষপাতের উসকানী দেয়ার চেষ্টা করলে তরবাবি দিয়ে তাদের গতি রুদ্ধ করতে হবে,
যতক্ষণ না তারা একক লা-শরীক আল্লাহর জন্য আওয়াজ তুলতে বাধ্য হয় ৷ তাদের উযু
পুর্ণাঙ্গ করার আদেশ দিতে হবে ৷ মুখমণ্ডল, কনুইসহ হাত ও গিরাসহ পা ধোয়৷ এবং মাথা
মাসেহ্ করা যেমন মহান-মহীয়ান আল্লাহ্ হুকুম করেছেন ৷ তারা আদিষ্ট হবে যথাসময়ে সালাত
প্রতিষ্ঠায়, রুকু-সিজদাহ পুর্ণাঙ্গ করার সাথে সাথে; ফজর আদায় করতে হবে ভোরের আধার
বিদ্যমান থাকাকালে, যুহর সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়লে, আসর সালাত সুর্য পুর্ণ প্রতায় পৃথিবীতে
আলো বিকিরণকালে, মাণরিব রাতের আগমনীমাত্র আসমানের সিতারার জ্বলজুল করে ওঠার
আগেই, আর ইশা রাতের প্রথম ভাগে ৷ তিনি তাদেরকে আদেশ করলেন গনীমত থেকে
আল্লাহ্র নির্দেশিত পঞ্চমড়াৎশ আদায় করতে ৩৷ আর ভুমির (উৎপন্ন জাত ফসলের) যাকাত
প্রাকৃতিক পানির দ্বারা ফসল উৎপাদিত হলে উশর এক-দশমাংশ ৷ আর সেচকৃত পানির দ্বারা
হলে বিশ ভাগের একভাগ ৷ আর (পশুর যাকাত) প্রতি দশটি উটে দুটি ছাপল ৷ প্রতি কুড়িটি
উটে চারটি ছাগল, প্রতি চল্লিশটি গরুতে একটি (পুর্ণ বয়স্ক) গরু, প্রতি ত্রিশটি ণরুতে একটি
তড়াৰী’ দৃ’বছর বয়সের নব মাদা; উন্মুক্ত মাঠে চরা সাইম৷ মেষ ছাণল শুধু চল্লিশটি হলে একটি
ছাগল এ হল মু’মিনদের যিম্মায় আল্লাহ্র নির্ধারিত ফরয ৷ কেউ বেশী দিলে তা তার জন্য
কল্যাণ বয়ে আনবে ৷ ইয়াহুদী খৃস্টানদেব কেউ মুসলমান হলে মনের ভেতর হতে একবিষ্ঠ
মুসলিম হয়ে দীন-ইসলাম আনুণত করে চললে সেও ঘু’মিন জামাআতের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য
হবে ৷ তার জন্য অন্যান্য ঈমানদার সমতুল্য অধিকার ও দায়-দায়িতৃ বর্তাবে ৷ অ র করা
তাদের ইয়াহুদী-খৃস্ট ধর্ম আকড়ে থাকবে, তাদের সে ধর্ম পবিবতন করানে ৷হ না; তবে
প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, নারী স্বাধীন ও দাস এর (জন্য তার মনিরের) যিদায় শ্কটি পুর্ণাঙ্গ
দীনার কিংবা তার বদলে কাপড় (জিযিয়াস্বরুপ) ধার্য হবে ৷ যে তা আমার করবে তার জন্য
আল্লাহ্ ও তীর রাসুল (না)-এর নিরাপত্তা-যিম্মা সাব্যস্ত হবে, আর যে তা আদায়ে অস্বীকৃত
হবে সে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) এবং সকল ঈমানদারের দৃশমন ৷ মুহাম্মদের উপরে
আল্লাহ্র রহমত বর্ধিত হোক ! এবং তার প্ৰতি সালাম, রহমত ও বরকত নাযিল হোক ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, সুলায়মান ইবন দাউদ (র) আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন
আমর ইবন হাযম (রা) , তার পিতা তীর দাদা থেকে এ হাদীস অবিচ্ছিন্ন সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন এবং তাতে পুর্বোল্লিখিত যাকাত দিয়াত ইত্যাদি সম্পর্কিত বর্ণনায় কিছু কম-বেশী
রয়েছে ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : নাসাঈ (র) ও তার সুনান গ্রন্থে এবং আবু দাউদ তার মারাসীল’ এ ও এ
হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ প্রতিনিধি দল’ পরিচ্ছেদ শেরে ইয়ামানের লোকদের তালীমদ তাদের
যাকাত ও পনীমতের পঞ্চমাংশ উসুলের দায়িতৃ দিয়ে নবী করীম (না)-এর আমীরগণকে
পাঠানোর বিষয়টি আমরা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্! সে আমীরগণ হলেন যুআয ইবন
জাবাল, আবু মুসা, খালিদ ইবনুল ওলীদ ও আলী ইবন আবু তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহুম ৷
জারীর ইবন আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রা) এর আগমন ও তার ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আর কাতান (র) মুগীরা ইবন শাবৃল (র) সুত্রে বলেন, জায়ীর
(রা) বলেছেন, মদীনায় কাছাকাছি পৌছে আমি আমার উটঢি বসালড়াম এবং চামড়ার থলেটি
খুলে আমার নতুন পোশাক পরলাম ৷ পরে মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ভাষণ দিচ্ছেন ৷ লোকেরা আমার দিকে চোখের ইশারা করতে লাগল ৷ আমি আমার পাশের
লোকটিকে বললাম, আল্লাহর বান্দা! আল্পাহ্র রাসুল (না) কি আমার কথা আলোচনা
করেছেন? লোকটি বলল, হী ৷ তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন, মাঝে তোমার কথা বলেছেন এবং উত্তম
বলেছেন ৷ তিনি বলেছেন-
ঐ দরজা দিয়ে (কিংবা তিনি বলেছেন, ঐ পথ দিয়ে) ইয়ামানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লোকটি
প্রবেশ করবে; তবে কিনা তার মাথায় রয়েছে রাজকীয় পশমী চাদর ৷
জারীর (র) বলেন, আমি মহানমহীয়ান আল্লাহ পাকের দেয়া প্রাচুর্য-সৌতাগ্যের জন্য তার
প্রশংসা করলাম ৷ রাবী আবু কাতান বলেন, আমি তাকে (রাবী ইউনুসকে) বললাম, আপনি এ
হাদীস সরাসরি জারীর (রা)-এর কাছে শুনেছেন? নাকি মুপীরা ইবন শাবলের কাছে? তিনি
বললেন, হী ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীস আবু নুআয়ম ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন সনদে এ
রিওয়ায়াতাট উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ হাদীসের সনদ বুখারী-যুসলিমেরর্ম্পর্তানৃরুপ ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (র) জারীর (রা) থেকে, তিনি বলেছেন-
“আমি মুসলমান হওয়ার পর থেকে আল্লাহর রাসুল (সা) কখনো আমাকে তার ঘরে প্রবেশে
বাধা দেন নি এবং মতবার আমাকে দেখেছেন, আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি দিয়েছেন ৷
আবু দাউদ ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তা-এর সকল ইমাম এ হাদীসখানা উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে
বুখারীঘুসলিমে এ অধিক বিবরণ রয়েছে, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এ অভিযোগ
করলাম যে, আমি ঘোড়৷ র পিঠে স্থির হয়ে বসে থাকতে পারি না ৷” তখন তিনি আমার বুকে
তার হাত বুলিয়ে দু আ করলেন হে আল্লাহ তাকে স্থির র খুন
এবং তাকে হিদায়ড়াতকারী ও হিদায়াতপ্রাপ্ত করুন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজ (র) ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ
অথবা কায়স ইবন আবু হাযিম (র) থেকে, তিনি জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) থেকে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন এক ব্যক্তিকে আমার কাছে পাঠালেন ৷ (আমি তার কাছে গেলে)
তিনি বললেন, জারীর? কী উদ্দেশ্যে ওোমার আগমন? আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু
আপনার হাতে হাত রেখে ইসলাম কবুল করার উদ্দেশ্যে এসেছি ৷ আবীর (রা) বলেন, তিনি
আমার পারে একটি চাদর জড়িয়ে দিলেন এবং উপস্থিত তার সহচরদের উদ্দেশ্যে বললেন-
কোন কওমের কোন সভ্রদ্বন্ত লোক ণ্তামাদের কাছে আসলে
তোমরা তার সম্মান করবে ৷ পরে আমাকে বললেন, হে জারীর! আমি £তামাকে আহ্বান করছি
এ সাক্ষ্য দানের প্রতি যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহ্র
রাসুল ৷ আর এ জন্য যে, তুমি আল্পাহ্র আখিরাত দিবস ও তাকদীরের ভাল-মন্দে বিশ্বাস
স্থাপন করবে ৷ ফরয সালাতসমুহ আদায় করবে এবং ফরয যাকাত আদায় করে দিয়ে ৷ অ৷ ৷মি
তাই করলাম ৷ ফলে এরপর থেকে তিনি যখনই আমাকে দেখতে তন, আমার মুখের দিকে
তাকিয়ে ঘৃচকি হাসভেন ৷ এ সুত্রে এ হাদীসখানি গয়ীব পর্যায়ের ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ আল কাত্তান (র) জারীর ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) থেকে, তিনি বলেন, আমি সালাত প্রতিষ্ঠা, যাকাত প্রদান ও প্রতিটি মুসলিম
ব্যক্তির জন্য কল্যাণকামী’ হওয়ার শর্তে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে বায়আত হয়েছিলাম ৷
সহীহ্ বুখারী-মুসলিমে এ হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ (র) সুত্রে ; অনুরুপ
যিয়াদ ইবন উলাছ৷ (র) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন আবু সাঈদ
(র) জারীর (রা) থেকে, তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে বায়আংতর
শর্ত দিন, কেননা, আপনিই তা ভাল জানেন ৷ তিনি বললেন, তোমাকে এ শর্তে বায়আত করে
নিচ্ছি যে, তুমি একমাত্র আল্লাহ্র ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে শৰীক করবে না, সালাত
কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবেঃ ৷ মুসলমানের কল্যাণ ও হিত কামনা করবে এবং শিল্পক-
এর সম্পর্ক মুক্ত থাকবে ৷ নাসা ৷ঈ (র) এ হাদীসখানা একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, জারীর (রা) ইসলাম গ্রহণ করলে নবী কল্পীম (সা) র্তাকে
যুল ’থালাসাহ কািহ ধ্বংস করার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিষেছিসুলন এটি হল খ্যহুআম ও বড়াব্জীলা
গোত্রের মুর্তি ৷ যাকে তার৷ ইয়ামানের কা বা নামে অভিহিত কঃতাে ৷ এ নামকরণের উদ্দেশ্য
ছিল মক্কায় অবস্থিত কা বার প্রতিদ্বব্দী দাড় করানো এ জন্য মক্কার কাবাকে তারা শামের
(সিরিয়ার) কা ৷ব৷ নাম দিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জারীর (রা)-কে বললেন )
-দ্দৌর্ণী এে১ “যুল খালড়াসার আপদ থেকে তুমি আমাকে মুক্ত করবে কি? তখন জারীর (বা)
নবী করীম (সা) এর কাছে এ অনুযােগ করলেন যে তিনি ঘোড়ার পিঠে স্থির হয়ে বসে
থাকতে পারেন না ৷ নবী করীম (সা) জাৰীরের বুকে তার ঘুবারক হাত বৃলিয়ে দিয়ে দিলে তা
কার্যকরী হলো ৷ তিনি দৃআ করেছিলেন, ইয়া আল্লাহ! তাকে স্থিরতা দান করুন এবং তাকে
হিদায়াতপ্রাও ও পথ প্রদর্শক করুন! ফলে এরপরে তিনি আর কখনো ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে
যান নি ৷ তিনি তার কওমের দেড়শ’ দৃর্ধর্ষ আহমাসা নিয়ে যুল খালাসা অভিযানে রওনা হয়ে
গেলেন এবং উপাসনালয়টি ধ্বংস করে তা পুড়িয়ে দিমােন ৷ তার ও পা ণ্ষ্ধু১ প দেখলে মনে হত
যেন পড়াচড়ার দপদগে য়া ভরা উট ৷ অভিযান শেরে আবীর (রা) আবু আরবাত নামের এক
দ্রুতপামী সাওয়ারকে এই সুসংবাদের বর্তোবাহীরুপে নবী কবীম (সা) এর কাছে পাঠালেন ৷
বিজয়ের সৃসংবব্বদ শুনে নবী কবীম (সা) আহমব্বস’ সােড় সাওয়ড়ার ও পদাতিকদের জন্য পাচ
পড়াচবড়ার বরকতের দুআ করলেন ৷ হড়াদীসখানি বুখাবী-মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে বিনদতাবে
বর্ণিত হয়েছে ৷ মক্কা বিজয় প্রসঙ্গে খালিদ ইবনুল ওলীদ (রড়া)-এর হাতে বড়ায়তুল উবযা’ ধ্বংস
হওয়ার আলোচনার পরে প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে আমরা এ বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করে
এসেছি ৷ বাহ্যত জড়াবীর (রা) এর ইসলাম গ্রহণের সময়টি ছিল মক্কা বিজয়ের বেশ পরে ৷
কারণ, ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হিশাম ইরনুল কাসিম (র) জাবীর ইবন আবদুল্লাহ
আল-বড়াজালী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি মুসলমান হয়েছিলাম সুরা মইিদা নাযিল
হওয়ার পরে ৷ আমি মুসলমান হওয়ার পরে রত্বসুলুল্লাহ্ (না)-কে উযুতে পা ধোয়ার পরিবর্তে
মােজার উপরে মড়াসেহ করতে দেখেছি ৷ আহমদ (র) একাকী এ রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন এবং
এর সনদ রেশ উত্তম, যদি না মধ্যবর্তী রড়াবী মুজাহিদ (র) ও আবীর (রড়া)এর মাঝে সংযোগ-
ছিন্নতা থেকে থাকে ৷ এছাড়া বুখাবী-মুসলিমে উল্লিখিত হয়েছে যে, আবদুল্লাহ ইবন নাসউদ (রা)
এর শাগিরদগণ সোজা মাসেহ সম্পর্কিত জারীর (রড়া)এর হাদীসে আনপাপ্লুত হওেন ৷ এ কারণে
যে, আবীর (রা) সুরা মাইদা নাযিল হওয়ার পরে ম্সলমান হয়েছিলেন ৷২
বিদায় হজ্যের আলোচনায় বিবৃত হয়ে যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবীর (রা) কে বলেছিলেন,
“আবীর ! লোকদের আওয়াজ থামিয়ে শুনতে বলবিণেষভাংব আবীর (রা) কে আওয়াজ
থামড়াতে বলার কারণ হল ৷ তিনি ছিলেন বয়সে বালক এবং গায়ে পতরে মোটা সােটা৩ তার
আকার এমন কি তার জুতার দৈর্ঘ্য ছিল এক হাত ৷ তিনি ছিলেন লুশ্ৰী ঢেহড়ারড়ার অধিকারী ৷ তা
সত্বেও তিনি সবসময় দৃষ্টি অবনত করে রড়াখওেণ্৷ ৷ এ কারণে বিশুদ্ধ সনদে তার এ রিওয়ড়ায়াত
পাওয়া যায়ণ্শ্তিনি বলেন (অনাত্মীয়ার দিকে) হঠাৎ নজর পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি
ব্ক্তকৃচুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম ৷ তিনি বললেন, “ তোমার দৃষ্টি
ষ্ৰনত করে ফেলার ৷
দ্যোড়াহ্ (সা) সকাশে ইয়ামানের অন্যতম রজাে ওয়াইল ইবন হুজ্বর ইবন রড়াবীআ ইবন
সৈব্র অ্যাহাযরড়াযী ইবন হুনড়ায়দ এর প্রতিনিধিরুপে আগমন ৷
১ ক্টক্সৰ্ৰ স্বীকুষ্তিপ্রাপ্ত যােদ্ধাদের আহমাস (বীরশ্রেষ্ঠ বা বীর উত্তম) নামে অভিহিত করা হত ৷
২ সুত্র স্খাইদার টবুতে পা ধোয়ার হকুম রয়েছে ৷ সৃতরাৎ এ সুরা নাযিল হওয়ার পরবর্তী সময়ে মোযা
ঘ্নে ঙ্গ র্বিন্থ ব্রিতয়ায়ন্ত সাবস্তে হলে মাসেহ বৈধ হওয়া অবহিত ও সর্বকালীনরুপে প্রমাণিত হতে পারে ৷
অর্থ শিশু, প্রায় তরুণ কিশোর ৷ তবে শব্দটি :প্লু (সায়িতান ) হলে অর্থ
অনেক দুরে পৌছে ৷