হিয্কীল (আ) এর বিবরণ
আল্লাহ্র বাণী :
তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা মৃত্যু-তয়ে হাজারে-হাজারে তাদের আবাস তুমি ত্যাগ
করেছিল? তারপর আল্লাহ্ তাদেরকে বলেছিলেন, “ণ্তামাদের মৃত্যু হোক ৷ তারপর আল্লাহ
তাদেরকে জীবিত করেছিলেন ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল ; কিন্তু অধিকাৎশ
লোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না ৷ (২ বাকারা : ২৪৩)
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহার ইবন মুনড়াব্বিহ্ সুত্রে বর্ণনা করেছেন : ইউশার মৃত্যুর পর
ন্ কালিব ইবন ইউফান্ন৷ রনী-ইসরাঈলের নেতা হন এবং তার ইন্তিকালের পর হিঘৃকীল ইবন
ইউযী রনী ইসরাঈলের পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷ এই হিযকীল ইরনুল আজুয তথা
বৃদ্ধার পুত্ররুপে পরিচিত, যার দােয়ায় আল্লাহ্ সে সব মৃত সোকদেরকে জীবিত করে
দিয়েছিলেন, যাদের ঘটনা পুর্বোক্ত আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এসব লোক মহামাৰীর ভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং এক
প্রাম্ভরে উপনীত হয় ৷ আল্লাহ বললেন, তোমাদের মৃত্যু হোক ৷ ফলে তারা সকলেই তথায় মারা
যায় ৷ অবশ্য তাদের লাশগুলো হিংস্র জন্তুর করল থেকে রক্ষা করার জন্য বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা
হয় ৷ এভাবে সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয় ৷ একদা হযরত হিয্কীল তাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম
করছিলেন ৷ তিনি থমকে দীড়ান ও চিন্তা করতে থাকেন ৷ এ সময় একটি গায়েবী আওয়াজের
মাধ্যমে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আল্লাহ্ এ মৃত লোকগুলােকে তোমার সম্মুখে জীবিত করে দেন
তা কি তুমি চাওন্ হিয্কীল বললেন, জী হীড়া ৷ এরপর তাকে বলা হল, তুমি হাড়গুলোকে আদেশ
কর, যাতে সেগুলো গোশত দ্বারা আবৃত হয় এবং শিরাগুলো যেন পরস্পর সংযুক্ত হয়ে যায় ৷
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী হিযকীল হাড়গুলোকে সে আহ্বান করার সাথে সাথে লড়াশগুলো সবই
জীবিত হয়ে গেল এবং সমস্বরে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করল ৷
আসরড়াত ঐতিহাসিক সুদ্দী থেকে বিভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস, ইবন মাসউদ প্রমুখ সাহাবী
থেকে উপরোক্ত আয়াতে উল্লিখিত ঘটনা সম্পর্কে
লিখেছেন : ওয়াসিত এর নিকটে অবস্থিত একটি জনপদের্বনাম ছিল দাওয়ার-দান এ)
এ জনপদে একবার ভয়াবহ মহামারী দেখা দেয় ৷ এতে সেখানকার অধিকাৎশ লোক ভয়ে
পালিয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী এক এলাকায় অবস্থান করে ৷ জনপদে যারা থেকে গিয়েছিল তাদের
কিছু সংখ্যক মহামাবীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়; কিন্তু বেশির ভাগ লোকই বেচে যায় ৷
মহামারী চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া লোকজন জনপদে ফিরে আসে ৷ জনপদে থেকে
যাওয়া লোকদের মধ্যে যারা বেচেছিল তারা পরস্পর বলারলি করল যে, আমাদের যেসব
ভায়েরা এলাকা ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলত র বাই বুদ্ধিমত্তাও দৃরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে ৷
তাদের মত যদি আমরাও চলে যেতাম তবে সবাই বেচে থাকতাম ৷ পুনরায় যদি এ রকম
মহামারী আসে তবে আমরাও তাদের সাথে চলে যার ৷ পরবর্তী বছর আবার মহামারী ছড়িয়ে
পড়ে ৷ এবার জনপদ শুন্য করে সবাই বেরিয়ে গেল এবং পুর্বের স্থানে গিয়ে অবস্থান নিল ৷
ৎখ্যায় এরা ছিল তেত্রিশ হাজার বা তার চাইতে কিছু বেশি ৷ যে স্থানে তারা সমবেত হয়, সে
স্থানটি ছিল একটি প্রশস্ত উপত্যকা ৷৷ তখন একজন ফিবিশত৷ উপত্যকাটির নীচের দিক থেকে
এবং আর একজন ফিরিশত ৷ উপতাকাটির উপর দিক থেকে আওয়াজ দিয়ে বললেন,
“তোমাদের মৃত্যু হোক” ৷ আগে যে সমস্ত লোক মারা গেল, তাদের মৃত দেহগুলাে সেখানে
পড়ে থাকল ৷ একদা নবী হিয্কীল ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এ দৃশ্য দেখে তিনি বিম্ময়ে দাড়িয়ে
পেলেন, গভীরভাবে চিন্তা করতে লাপলেন এবং আপন মুখের চোয়াল ও হাতের আঙ্গুল মুচড়াতে
থাকলেন ৷ এ অবস্থায় আল্লাহ তার নিকট ওহী পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হিয়কীলৰু তুমি কি
দেখতে চাও , আমি কিভাবে এদেরকে পুনরায় জীবিত করি? হিয্র্কীল বললেন জী হী , আমি তা
দেখতে চাই ৷ বস্তুত তিনি এখানে দাড়িয়ে এই ৰিষয়েই চিন্তামগ্ন ছিলেন এবং আল্লাহর শক্তি
প্রত্যক্ষ করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন ৷ তাকে বলা হল, তুমি আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান
করলেন, হে অন্থিসমুহ! আল্লাহ তোমাদেরকে একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দেখা গেল,
যার যার অন্থি উড়ে উড়ে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে কংকালে পরিণত হয়েছে ৷ তাকে পুনরায় বলা
হল, আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান করলেন, “হে অন্থিসমুহ ! আল্লাহ তোমাদের কংকালগুলাে
গোশত ইত্যাদি দ্বারা আবৃত করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ” দেখা গেল, কংকালগুলাে মাংস দ্বারা
আবৃত হয়ে তাতে শিরা-উপশিরা চালু হয়ে গিয়েছে এবং যে কাপড় পরিহিত অবস্থায় তাদের
মৃত্যু হয়েছিল, সে কাপড়গুলোই তাদের দেহে শোভা পাচ্ছে ৷ এরপর হিয়কীলকে বলা হল,
আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান করলেন, “হে দেহসমুহ৷ আল্লাহ্র হুকুমে দাড়িয়ে যাও !” সাথে
সাথে সবাই দাড়িয়ে গেল ৷ আসবাত বলেন, মনসুর মুজাহিদ সুত্রে বংনাি করেছেন যে,
ণ্লাকগুলাে জীবিত হয়ে এ দােয়াটি পাঠ করে :
অর্থ৪ হে আল্লাহ আপনি অতি পবিত্র মহান, যাবতীয় প্রশংস ৷আপনার, আপনি ব্যতীত
অন্য কে ন ইলাহ নেই এরপর তারা জনপদে আপন সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যায় ৷ জনপদের
অধিবাসীরা দেখেইত ৷ তাদেরকে চিনতে পা রল যে, এরাই ঐসব লোক, যা ৷রা আকস্মিকভারে মৃত্যু
মুখে পতিত হয়েছিল ৷ত তবে যে কাপড়ই তারা পরিধান করতেন, তাই পুরনো হয়ে যেতে৷ ৷
এরপর এ অবন্থায়ই নির্ধারিত সময়ে তাদের সকলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৷ এদের সংখ্যা সম্পর্কে
বিভিন্ন মতামত পাওয়াযায় ৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত, এদের সং খ্যাটি চার হাজার;
অপর বর্ণনা মতে আট হাজার; আবু সালিহ্ এর মতে নয় হাজার; ইবন আব্বাস (রা ) এর
আপার এক বর্ণনায়ু মতে চল্লিশ হাজার ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আযীয তাদের সম্বন্ধে বলেছেন
তারা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী একটি জাতি ৷ ইবন জুরায়জ আতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে শত
সতর্কতা অবলম্বন করা সত্বেও যে কেউ তাকদীর লিখন খণ্ডাতে পারে না, এটা তারই এক রুপক
দৃষ্টান্ত ৷ কিন্তু অধিকাৎশ আলিমের মতে এটা ছিল একটি বাস্তব ঘটনা
ইমাম আহমদ এবং বুখাবী ও মুসলিম (র) ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
একবার হযরত উমর ইবন খড়াত্তাব (বা) সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ সারাগ (র্দুঠুছু) নামক
স্থানে পৌছলে আবু উবায়দা ইবন জাররাহ্ (বা) ও তার সঙ্গী সেনাধ্যক্ষগণ তার সাথে সাক্ষাৎ
করে জানান যে, সিরিয়ার বর্তমানে মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ৷ এ সংবাদ শুনে সম্মুখে
অগ্রসর হবেন কিনা সে বিষয়ে পরামর্শের জন্যে তিনি মুহাজির ও আনসারদের সাথে বৈঠকে
বসেন ৷ আলোচনায় তাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয় ৷ এমন সময় আবদুর রহমান ইবন
আওফ (রা) এসে তথায় উপস্থিত হন ৷ তার কোন এক প্রয়োজনে তিনি প্রথমে পরামর্শ বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন না ৷ তিনি বললেন, এ ব্যাপারে আমার একটা হাদীস জানা আছে ৷ আমি
বাসুলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি : যদি কোন এলাকায় মহামারী দেখা দেয়, আর পুর্ব থেকেই
তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাক, তাহলে মহামারীর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে
এলাকা ত্যাগ করো না ৷ আর যদি কোন অঞ্চলে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাও এবং
তোমরা সে অঞ্চলের বাইরে থাক, তবে সে দিকে অগ্রসর হয়ো না ৷
হাদীসটি শোনার পর হযরত উমর (রা) আল্লাহর গােকর আদায় করেন এবং মদীনায় ফিরে
আসেন ৷ ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন রাবীঅ৷ থেকে বংনাি করেন যে,
আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) সিরিয়ড়ায় হযরত উমর (রা)-কে রাসুল (না)-এর হাদীস
শুনিয়ে বলেছিলেন : “এই মহামারী দ্বারা পুর্ববর্তী যুগের উম্মতদেবকে শাস্তি দেয়া হত; সুতরাং
কোন এলাকায় মহামারী বিস্তারের সংবাদ শুনতে পেলে সেখানে তোমরা প্রবেশ করবে না; কিন্তু
কোন স্থানে তোমাদের অবস্থানকালে যদি মহামারী দেখা দেয় তাহলে ভয়ে সে স্থান ত্যাগ করবে
না ৷” এ কথা শোনার পর হযরত উমর (রা) সিরিয়া থেকে ফিরে আসেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, হিযকীল (আ) বনী-ইসরাঈলের মধ্যে কত কাল অবস্থান
করেছিলেন, সে সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যায় না ৷ যা হোক, কোন এক সময়ে আল্লাহ তাকে
তার নিকট উঠিয়ে নেন ৷ হিযকীলের মৃত্যুর পর বনী-ইসরাঈলরা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকারের
কথা বে-মালুম ভুলে যায় ৷ ফলে তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিদআতের প্রসার ঘটে ৷ তারা মুর্তি
পুজা আরম্ভ করে ৷ তাদের এক উপাস্য দেব-মুর্ডিং৷ নাম ছিল বাআল (ঞ ) ৷ অবশেষে আল্লাহ
তাদের প্রতি একজন নবী প্রেরণ করেন ৷ তার নাম ছিল ইলিয়াস ইবন ইয়াসীন ইবন ফিনহাস
ইবন ঈযার ইবন হড়ারুন ইবন ইমরান ৷ ইতিপুর্বে আমরা হযরত খিযির (আ)-এর আলোচনা
প্রসঙ্গে হযরত ইলিয়াস (আ)-এর আলোচনা করে এসেছি ৷ কেননা, বিভিন্ন স্থানে সাধারণত
তাদের উল্লেখ প্রায় এক সাথে করা হয়ে থাকে ৷ তাছাড়া সুরা সাফ্ফাতে হযরত মুসা (আ)-এর
ঘটনা উল্লেখ করার পর ইলিয়াস (আ)-এর ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ কারণে তার সম্পর্কে
আমরা পুর্বেই আলোচনা করে এসেছি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহব ইবন মুনাব্বিহ (র) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইলিয়ড়াসের পর তারই উত্তরাধিকারী হযরত আল-য়াসা ( ৫ ৷ ৷ )
ইবন আখতৃব বনী ইসরাঈলের প্ৰতি নবীরুপে প্রেরিত হন ৷
আল্লাহ তা’আলা আল-য়াসাআ-এয় নাম অন্যান্য নবীর নামের সাথে কুরআনের বিভিন্ন
স্থানে উল্লেখ করেছেন ৷ সুরা আনআমে বলা হয়েছে :
তো
অর্থ : আরও সৎ পথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল, আল্-য়াসাআ, ইউনুস ও লুতকে;
এবং গ্রেষ্ঠতু দান করেছিলাম বিশ্ব জগতের উপর প্ৰত্যেককে (আনআম : ৮৬) ৷
সুরা সাদ এ বলা হয়েছে :
(
স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল-য়াসাআ ও যুল-কিফ্লের কথা, এরা প্রতেকেই ছিল সজ্জন ৷
(৩৮ সাদ : ৪৮) ৷
ইসহাক ইবন বিশর আবু হুযায়ফা হাসান (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে ইলিয়াস
(আ)-এর পরে আল-য়াসাআ ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী ৷ তিনি আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী
নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে অবস্থান করেন ৷ বনী ইসরাঈলকে তিনি আল্লাহর আনুগত্য
করার ও ইলিয়াসের শরীআতের অনুবর্তী হওয়ার আহ্বান জানান ৷ মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তিনি এ
দায়িত্ব পালন করেন যান ৷ তার ইনতিকালের পর আগত বনী ইসরাঈলের বহু প্রজন্ম এ
পৃথিবীতে আগমন করে ৷ তাদের মধ্যে ব্যাপক হারে বিভিন্ন প্রকার বিদআত ও পাপাচার
ৎক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ এ সময়ে বহু অত্যাচারী বাদশাহর আবির্ভাব ঘটে ৷ তারা
আল্লাহর নবীগণকে নির্বিচারের হত্যা করে ৷ এদের মধ্যে একজন ছিল অত্যন্ত অহংকারী ও
সীমালংঘনকারী ৷ কথিত আছে, হযরত যুল-কিফ্ল (আ) এই অহংকারী বাদশাহ সম্পর্কে
বলেছিলেন যে, সে যদি তওবা করে ও অন্যায় কাজ ত্যাগ করে তবে আমি তার জান্নত্ত্বতের
যিম্মদোর ৷ এ কারণেই তিনি যুল-কিফ্ল বা যিম্মাদার অভিধড়ায় অভিহিত হন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, আল-য়াসাআ ছিলেন আখতুবের পুত্র ৷ কিন্তু হাফিজ
আবুল কাসিম ইবন আসাকির তার বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থে ইয়া’ ( ; ৷ন্ ) হরফের অধীনে
লিখেছেন, আল-য়াসাআর নাম আসবাত এবং পিতার নাম আদী; বংশ তালিকা নিম্নরুপ :
আল-য়াসাআ আসবাত ইবন আদী ইবন শুতড়ালিম ইবন আফরাঈম ১ ) ইবন
ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি
ছিলেন হযরত ইলিয়াস (আ)-এর চাচাত ভাই ৷ কথিত আছে, হযরত আল-য়াসাআ হযরত
ইলিয়াসের সাথে কাসিয়ুন (গ্রেৰুাপ্) নামক পর্বতে বালা-বাক্কা বাদশাহর ভয়ে আত্মগােপন
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড)