হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামানের রিওয়ায়াত
আবু জা ফর ইবন জ্বারীর ইয়৷ কুব আবু আবদুর রহমান আস-সুলড়ামী সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) আমরা মাদায়িন অভিমুখে যাত্রা করলাম ৷ আমরা যখন
সেখান থেকে এক ফারসাখ দুরত্বে অবস্থান করছিলড়াম, তখন জুমআয় সময় হল ৷ এ সময়
আমি ও আমার পিতা জুমআয় উপস্থিত হলাম ৷ তখন হযরত হুযায়ফা আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা
প্রদান করলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্৩ তা আলা ইরশাদ করেন, “কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ
হয়েছে” ৷ সবইি শুনে নাও, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে, দুনিয়া তার বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে, শুনে
, ব্লেখো আজ হল প্রন্তুতিকাল আর আগামীকাল প্রতিযোগিতা কাল ৷ তখন আমি পিতাকে
বললাম, কাল কি আপনি প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবেন ৷ তিনি বললেন, বৎস, তুমি তো
দেখছি মুর্থ ৷ তা হল ণ্নক আমলের প্রতিযোগিতা ৷ এরপর পরবর্তী জুমআ উপস্থিত হল ৷ তখন
তিনি (আমার পিতা ) তাতে উপস্থিত হলেন ৷ এ সময় হুযায়ফা খুৎবা দিয়ে বললেন, সকলে
শুনে নাও আল্লাহ্ তা আলা বলেছেন, “কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ৷ শুনে রেখো,
দুনিয়া তার বিচ্ছেদেয় ঘোষণা দিয়েছে, আর আবু যুরআ আররাযী দালাইলুন্ নবুওয়্যা’ গ্রন্থে
আত৷ ইবন সায়িব থেকে একাধিক সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সেখানে তিনি
বলেন, শুনে ব্লেখো,রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবদ্দশায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে শুনে রেখো, আজ
প্রস্তুতি এবং আগামীকালই হল প্রতিযোগিতা ৷ শুনে রেখো, জাহান্নামই হল পরিণতি আর প্রকৃত
অগ্নবর্তী সে, যে জান্নাতের দিকে অগ্রবর্তী হয়েছে ৷
আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বা৷সের রিওয়ায়াত
বুখারী, ইয়াহ্য়৷ ইবন বুকায়র ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
নবী করীম (না)-এর জীবদ্দশায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া বুখারী ও মুসলিম বক্র ইবন
মুযা রের হাদীস সংগ্রহ থেকে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার অন্য একটি সুত্রে ইবন
র্জারীর ইবন মুছান্ন৷ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ছুছুর্চু ৷
,১ এই আয়াত সম্পর্কে বলেন, চন্দ্র বিদীর্ণ (দ্বিখণ্ডিত) হওয়ার ঘটনা
বিগত হয়েছে ৷ হিজরত্বের পুর্কেহ চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে, এমনকি লোকেরা তার দ্বিখণ্ডিত
অংশদ্বয়কে (পৃথক পৃথক) প্রত্যক্ষ করেছে ৷ আল-আওফী (র) ইবন আব্বাস সুত্রে এমনই
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন আব্বাস (রা) থেকে ভিন্ন একটি সুত্রেও হাদীসখানি বর্ণিত আছে ৷
তাবারানী আল বায্যার ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর জীবদ্দশায় চন্দ্র গ্রহণ হল ৷ তখন মুশরিকরা বলল, যে (মুহাম্মদ) চাদকে য়াদু
করেছে ৷ তখন এ আয়াত নাযিল হলং
এই বর্ণনাটি গরীব গ্রেণীভুক্ত ৷ হতে পারে সে সময় চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার সময় তাতে
গ্রহণও লেল্কাছিল ৷ তাহলে তা ;একথা প্রমাণ করে যে, চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনাটি ঘটে হ্নিা
র্চাদের পুর্ণ অবয়বে (পুকািাকালে) ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷