এই সেই মাসজিদ,যেটা দেখার জন্যে দৈনন্দিন অসংখ্য দর্শনার্থি ভীড় করে৷ বলা যায় সমান্য ব্যবধান ছাড়া ঐতিহাসিক তাজমহলের হুবহু কপি৷ এটি আমার জীবনে দেখা সেরা মাসজিদগুলর অন্যতম একটি মসজিদ৷ সেটি আর অন্য কোন মাসজিদ নয়, মাদরে ইলমী দারুল উলূম দেওবন্দের প্রধান মসজিদ“মসজিদে রাশিদ”৷ ২৩ রজব ১৪০৬ হি, ৪ এপ্রিল ১৯৮৬ ইং সনে জুমু’আর নামাযের পর এটির ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ভিত্তিস্থাপন করেন একঝাঁক আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দ৷ তাদের মধ্যে রয়েছেন- ১. মাওলানা হাকিম আব্দুর রশিদ মাহমুদ রহ:। ২.মাওলানা মুফ্তি মাহমুদুল হাসান গাংগুহী রহ: (মুফতিয়ে আ’জম দারুল উলূম দেওবন্দ)৷ ৪.মাওলানা সায়্যেদ আস’আদ মাদানি রহ:। 5:-মাওলানা উমর পালনপুরি রহ:। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: এই মাসজিদের নামকরণ করা হয় কুতুবুল ইরশাদ মাওলানা রশিদ আহমদ গাংগুহি রহ:-এর নামে”মসজিদে রশিদ”৷ মাওলানা আব্দুল খালেক মাদরাজি দাঃবাঃ এর তত্ববধানে প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর সময়ে দশ কোটি রূপি ব্যয়ে এই মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়৷ পুরো মসজিদটি মরমর পাথরের তৈরি৷ এটি’তে অনেকাংশে তাজমহলের রূপ চিত্রায়ন করা হয়েছে৷ যা মানুষকে খুবই আকর্ষণ করে৷ বলা যায় দ্বিতীয় তাজমহল৷ মাসজিদটিতে প্রবেশের পাঁচটি গেইট রয়েছে৷ তন্মধ্যে পূর্বপাশের সুউচ্চ গেইটটি খুবই বড়, মনকাড়া,চিত্তাকর্ষক৷ বাকি উত্তর ও দক্ষিণে দুটি দুটি করে সুন্দর দরজা রয়েছে৷ মসজিদের সামনের অংশকে বলা যায় একটি গ্যালারি সদৃশ,খুবই দৃষ্টিনন্দন৷ মসজিদটি তিন তলা বিশিষ্ট ৷ প্রায় আট হাজার মানুষ ভেতরের অংশে একযোগে নামায পড়তে পারে৷ বাহিরের অংশসহ মোট ১৮ হাজার মানুষ একযোগে নামায আদায় করতে পারে৷ তথ্যসূত্রঃ- মুখতাসার তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ৷ পৃষ্ঠা নং ১৩২-১৩৩

সম্পর্কিত পোস্ট

দরসে নেজামীর আসল ইতিহাস
08 Sep, 2025

কওমী মাদ্রাসা জাতিকে কী দিয়েছে?
08 Sep, 2025

কওমী মাদ্রাসা কি ও কেন?
08 Sep, 2025
আদর্শ সমাজ গঠনে কওমী মাদরাসা ও উলামায়ে কেরামের ভূমিকা
08 Sep, 2025

কওমী মাদরাসার কিছু সমস্যা: উত্তরণের পথ
08 Sep, 2025

কওমি সনদের স্বীকৃতি, দলাদলি ও একটি পর্যালোচনা
08 Sep, 2025

চাঁদা ও চাঁদাবাজিঃ কওমী ও সরকারী বিতর্কের সমাধান
08 Sep, 2025

দেওবন্দি উলামাদের কে ওহহাবী বলে তিরস্কার করা মারাত্বক মিথ্যা অপবাদ
08 Sep, 2025