ইসলামী ফতোয়া
আমরা জানি, রমযানের রোযা ওজর ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভেঙ্গে ফেললে কাফফারার...
উত্তর
প্রশ্ন আমরা জানি, রমযানের রোযা ওজর ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভেঙ্গে ফেললে কাফফারার রোযা এক নাগাড়ে দু মাস রাখতে হয়। মাঝখানে ছুটে গেলে তা আদায় হয় না। এখন জানার বিষয় হল, দু’মাস রোযা রাখার সময় মাঝখানে ঈদ বা আইয়ামে তাশরীক তথা রোযার জন্য নিষিদ্ধ দিন যদি চলে আসে এবং নিষেধ থাকার পরও রোযা রাখা হয় তাহলে কাফফারা আদায় হবে কি? এতে মাঝখানে বিরতি হয় না। কারণ আমরা আরেকটা মাসআলা জানি যে, কেউ যদি নিষিদ্ধ দিনে রোযার মান্নত করে তাহলে নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি রোযা রাখে তাহলে মান্নত পুরো হয়ে যায়। যদিও তাতে গুনাহ হয়। সে হিসেবে কাফফারাও আদায় হয়ে যাবে কি না? সঠিক মাসআলাটি জানানোর অনুরোধ রইল। উত্তর কাফফারার রোযা এমন সময় শুরু করতে হবে যেন তার মধ্যে শাওয়ালের ১ তারিখ অথবা যিলহজ্বের ১০ থেকে ১৩ তারিখ-এ দিনগুলো না আসে। কাফফারা আদায়ের দু’মাসের ভেতর উক্ত নিষিদ্ধ দিন পড়লে সে দিনগুলোতে রোযা রাখলেও কাফফারা আদায় হবে না; বরং এক্ষেত্রে পুনরায় নতুন করে লাগাতার দু মাস রোযা রাখতে হবে। উল্লেখ্য যে, নিষিদ্ধ দিনসমূহে রোযা রাখার মান্নত সংক্রান্ত মাসআলার সাথে কাফফারার রোযার কোনো মিল নেই। উভয়ের মধ্যে মৌলিকভাবে পার্থক্য রয়েছে। এজন্য দুটোর হুকুমও ভিন্ন। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ১১৫১৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৭৪; আলবাহরুর রায়েক ৪/১০৫, ২৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫১২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৩৪, ৩/৪৭৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২১৫ উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার রোজার ফিদিয়া আল কাউসার অসুস্থতার জন্য রোজার কাফফারা রোজার কাফফারা ২০২৩ কত টাকা ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গের কাফফারা ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখলে মৃত ব্যক্তির রোজার কাফফারা রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় রোজার কাফফারা কত টাকা