ইসলামী ফতোয়া
আমার নিকট এ পরিমাণ টাকা আছে যে, আমার উপর হজ্ব...
উত্তর
প্রশ্ন আমার নিকট এ পরিমাণ টাকা আছে যে, আমার উপর হজ্ব ফরয। আমার স্বামীর দ্বীনের বুঝ নেই। তার উপর হজ্ব ফরয হওয়া সত্তে¡ও তিনি হজ্ব করছেন না। আমি অনুমতি চাচ্ছি আমাকেও অনুমতি দিচ্ছেন না। আমার জানার বিষয় হল, আগামী বছর আমার ভাই হজ্বে যাবেন। স্বামীর অনুমতি ছাড়াই আমি ভাইয়ের সাথে হজ্বে যেতে পারব কি? জানিয়ে বাধিত করবেন। উত্তর হজ্ব আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম। শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ ফরয। হজ্ব ফরয হলে বিলম্ব করা গুনাহ। তাই আপনাদের উভয়েরই অনতিবিলম্বে হজ্বে যাওয়া আবশ্যক। কোনো কারণে স্বামীর যেতে যদি বিলম্ব হয় আর আপনার মাহরামের ব্যবস্থাও হয়ে যায় তবে স্বামীর জন্য আপনাকে বাধা দেওয়া ঠিক হবে না। তাই স্বামীকে এ বিষয় বোঝাতে চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে তাকে রাজি করে তার সাথেই হজ্বে যান। যদি তিনি না যান তবে আপনি ভাইয়ের সঙ্গে ফরয হজ্ব আদায়ের জন্য যেতে পারবেন। কেননা ফরয হজ্ব আদায়ের ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়। তবে নফল হজ্ব কিংবা ওমরা আদায়ের জন্য সফর করতে চাইলে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। তার অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ২/৩০০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৭৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৬৫; গুনইয়াতুন নাসিক ২৮ উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ আয়াতাংশটি কোন সুরায় বর্ণিত আছে হজ্জ কার উপর ফরজ নয় হজ কাদের উপর ফরজ আল কাউসার ওমরা করলে কি হজ্জ ফরজ হয় জীবনে কতবার হজ করা ফরজ জমি থাকলে হজ্জ ফরজ কিনা