ইসলামী ফতোয়া

সাবেরা খাতুন নামে একজন মহিলা নিঃসন্তান অবস্থায় ১৯৯৭ ঈ. সালে ইন্তেকাল করেন। তার স্বামী পূর্বেই ইন্তেকাল করেছেন। তার মা, বাবা, দাদা, দাদী, নানা, নানী ও তাদের উর্ধ্বতন নারী-পুরুষ এবং তার চাচা, ফুফু সকলেই পূর্বে মারা গেছেন। সাবেরা খাতুনরা দুই ভাই, দুই বোন। বোন হাজেরা খাতুন। বড় ভাই ইউনুস আলী ও ছোট ভাই দানিশ। বোন হাজেরা খাতুন ও বড় ভাই ইউনুস আলী সাবেরা খাতুনের পূর্বেই মারা গেছেন। মৃত্যুকালে হাজেরা খাতুন এক ছেলে এবং ইউনুস আলী তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। এরা সবাই বর্তমানে জীবিত রয়েছেন। ছোট ভাই দানিশ সাবেরা খাতুনের পর মারা যান। দানিশের স্ত্রী স্বামীর পূর্বেই মারা গেছেন। দানিশ দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। ছেলেমেয়ে সকলেই জীবিত রয়েছে। এখন সাবেরা খাতুনের সম্পদের বণ্টন কীভাবে হবে?

উত্তর

সাবেরা খাতুনের স্থাবর-অস্থাবর সমুদয় সম্পদ থেকে প্রয়োজন হলে তার কাফন-দাফনের খরচ দিতে হবে। এরপর মৃতের কোনো ঋণ থাকলে তা আদায় করতে হবে। অতপর শরীয়তসম্মত কোনো অসীয়ত থাকলে অবশিষ্ট সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে তা পূরণ করতে হবে। এরপর অবশিষ্ট সকল সম্পদ প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী মৃতের (মহিলার) ছোট ভাই দানিশ একাই পাবেন। কারণ মহিলার মৃত্যুর সময় দানিশই তার সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয় ছিলেন। অন্য আত্মীয়স্বজন যারা জীবিত ছিলেন তারা কেউ দানিশের সমস্তরের নয়। তাই বোনের সমুদয় সম্পদ ভাই দানিশ পাবেন। আর এখন যেহেতু দানিশ বেঁচে নেই তাই তার সূত্রে এ সম্পদ তার জীবিত ওয়ারিশগণের মধ্যে বণ্টন হয়ে যাবে প্রত্যেক ছেলে (সাবেরা খাতুনের ভাতিজা) ২৮.৫৭১ করে পাবে এবং প্রত্যেক মেয়ে (সাবেরা খাতুনের ভাতিজি) ১৪.২৮৫ করে পাবে। সূরা নিসা : ১৭৬; সুনানে আবু দাউদ ২/৪০১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৬/৪৫১; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৪৫৬; আলমুহীতুল বুরহানী ২৩/২০৭, ৩৩৭; কিতাবুল মাবসূত ২৯/১৪০ উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
সব ফতোয়া দেখুন মৃত্যু-জানাজা ক্যাটাগরি