ক্বাফ
ق
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতিশয় মেহেরবান।
1
قٓ ۚ وَٱلْقُرْءَانِ ٱلْمَجِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
কাফ, শপথ কুরআনের (তুমি অবশ্যই সতর্ককারী)।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১. ক্বাফ, এসব যুক্তাক্ষরের ব্যাপারে আলোচনা সূরা বাক্বারার শুরুতেই করা হয়েছে। আল্লাহ এ জন্য কুরআনের শপথ করেছেন। যেহেতু তাতে রয়েছে প্রচুর অর্থ ও অধিক কল্যাণ এবং বরকত। অবশ্যই তোমাদেরকে কিয়ামত দিবসে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে পুনর্বার উঠানো হবে।
2
بَلْ عَجِبُوٓا۟ أَن جَآءَهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ ٱلْكَـٰفِرُونَ هَـٰذَا شَىْءٌ عَجِيبٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
কিন্তু কাফিরেরা তাদের মধ্য হতে একজন সতর্ককারী আবির্ভূত হতে দেখে বিস্ময় বোধ করে এবং বলেঃ এটাতো এক আশ্চর্য ব্যাপার।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২. তাদের দ্বারা আপনাকে পরিত্যাগের কারণ এটি ছিলো না যে, তারা আপনাকে মিথ্যুক ধারণা করে। বরং তারা আপনার সত্যতার কথা জানে। তবে তারা এ কথার উপর আশ্চর্য বোধ করেছে যে, ফিরিশতাদের মধ্য থেকে রাসূল না এসে তাদের মধ্য থেকে রাসূল কীভাবে আসলেন?! তাই তারা আশ্চর্য বোধ করে বলেছে: মানুষের মধ্য থেকে আমাদের প্রতি রাসূল আগমন একটি উদ্ভট ব্যাপার।
3
أَءِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا ۖ ذَٰلِكَ رَجْعٌۢ بَعِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমাদের মৃত্যু হলে এবং আমরা মৃত্তিকায় পরিণত হলে আমরা কি পুনরুজ্জীবিত হব? এ প্রত্যাবর্তন সুদূর পরাহত!
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩. আমরা মরে যাওয়া ও মাটি হয়ে যাওয়ার পর আবারো কি আমাদেরকে উঠানো হবে?! এই পুনরুত্থান ও আমাদের শরীর নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পর জীবন ফেরত আসা একটি অসম্ভব ব্যাপার; যা আদৗ সংঘটিত হওয়ার নয়।
4
قَدْ عَلِمْنَا مَا تَنقُصُ ٱلْأَرْضُ مِنْهُمْ ۖ وَعِندَنَا كِتَـٰبٌ حَفِيظٌۢ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমিতো জানি, মৃত্তিকা ক্ষয় করে তাদের কতটুকু এবং আমার নিকট আছে রক্ষিত ফলক।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪. আমি অবশ্যই তাদের মরে যাওয়ার পর মাটি তাদের শরীরের কী ভক্ষণ করে ও কীভাবে নিঃশেষ করে তা জানি। আমার নিকট এর কোন কিছুই গোপন থাকে না। এমন কি আমার নিকট এমন এক দফতর রয়েছে যাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত তাদের জীবনে ও মরণোত্তর যা কিছু হবে সবই সংরক্ষিত আছে।
5
بَلْ كَذَّبُوا۟ بِٱلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ فَهُمْ فِىٓ أَمْرٍ مَّرِيجٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
বস্তুতঃ তাদের নিকট সত্য আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে তারা সংশয়ে দোদুল্যমান।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৫. বরং এ সব মুশরিক তাদের নিকট রাসূল কুরআন নিয়ে আগমন করলে তারা তা অস্বীকার করে। ফলে তারা এক অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কোন ব্যাপারে তাদের স্থায়িত্ব নেই।
6
أَفَلَمْ يَنظُرُوٓا۟ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَوْقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنَـٰهَا وَزَيَّنَّـٰهَا وَمَا لَهَا مِن فُرُوجٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তারা কি তাদের উর্ধ্বস্থিত আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেনা যে, আমি কিভাবে ওটা নির্মাণ করেছি এবং ওকে সুশোভিত করেছি এবং ওতে কোন ফাটলও নেই?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৬. পুনরুত্থান অস্বীকারকারীরা কি তাদের উপর বিদ্যমান আসমান নিয়ে চিন্তা করে না যে, আমি কীভাবে তা সৃষ্টি করেছি, প্রস্তুত করেছি এবং সেটিকে তারকারাজি দ্বারা সুন্দর করে সাজিয়েছি। যাকে দোষযুক্ত করার কোন খুঁত নেই?! অতএব, যিনি এই আসমান সৃষ্টি করেছেন তিনি মৃতদেরকে জীবিত করে পুনরুত্থানে অবশ্যই সক্ষম।
7
وَٱلْأَرْضَ مَدَدْنَـٰهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَٰسِىَ وَأَنۢبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيجٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমি বিস্তৃত করেছি ভূমিকে ও তাতে স্থাপন করেছি পর্বতমালা এবং ওতে উদ্গত করেছি নয়ন প্রীতিকর সর্বপ্রকার উদ্ভিদ –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৭. আমি যমীনকে তাতে বসবাস করার মতো করে বিছিয়েছি এবং তাতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছি। যাতে তা নড়াচড়া না করে। আর আমি তাতে সর্বপ্রকার উদ্ভিদ ও সুদর্শন বৃক্ষরাজি উদগত করেছি।
8
تَبْصِرَةً وَذِكْرَىٰ لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আল্লাহর অনুরাগী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, জ্ঞান ও উপদেশ স্বরূপ।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৮. আমি এ সব এ জন্য সৃষ্টি করেছি যাতে তা আপন প্রতিপালকের প্রতি প্রত্যাবর্তনকারী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য চিন্তার খোরাক ও উপদেশ হিসাবে পরিগণিত হয়।
9
وَنَزَّلْنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً مُّبَـٰرَكًا فَأَنۢبَتْنَا بِهِۦ جَنَّـٰتٍ وَحَبَّ ٱلْحَصِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আকাশ হতে আমি বর্ষণ করি কল্যাণকর বৃষ্টি এবং তদ্বারা আমি সৃষ্টি করি উদ্যান ও উদগত করি শস্য।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৯. আর অমি আসমান থেকে বহু উপকারী ও কল্যাণপূর্ণ বারি বর্ষিয়েছি এবং তদ্বারা বহু বাগান ও তোমাদের উৎপাদিত যবসহ অন্যান্য শস্যাদির ব্যবস্থা করেছি।
10
وَٱلنَّخْلَ بَاسِقَـٰتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
ও সমুন্নত খেজুর বৃক্ষ, যাতে আছে গুচ্ছ খেজুর –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১০. অমি উঁচু উঁচু সুদীর্ঘ খেজুর বৃক্ষ উৎপন্ন করেছি। যার শেকড় একটির উপর অপরটি ঘনীভূত।
11
رِّزْقًا لِّلْعِبَادِ ۖ وَأَحْيَيْنَا بِهِۦ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذَٰلِكَ ٱلْخُرُوجُ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমার বান্দাদের জীবিকা স্বরূপ; আর আমি সঞ্জীবিত করি মৃত ভূমিকে; এভাবে পুনরুত্থান ঘটবে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১১. আমি যা কিছু উৎপন্ন করেছি তা বান্দাদের জীবিকার উদ্দেশ্যেই করেছি। যা তারা ভক্ষণ করবে এবং আমি তদ্বারা এমন নগর জীবিত করেছি যথায় কোন উদ্ভিদ নেই। বস্তুতঃ আমি যেভাবে উদ্ভিদবিহীন এই নগরকে জীবিত করেছি এভাবেই তোমাদের পুনরুত্থান করবো।
12
كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَأَصْحَـٰبُ ٱلرَّسِّ وَثَمُودُ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাদের পূর্বেও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল নূহের সম্প্রদায়, রা'স ও সামূদ সম্প্রদায় –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১২. হে রাসূল! আপনার পূর্বের জাতিরা তাদের নবীদেরকে মিথ্যারোপ করেছে। নূহ (আলাইহিস-সালাম) এর সম্প্রদায় ও কুয়াবাসীরা মিথ্যারোপ করছে। তেমনিভাবে মিথ্যারোপ করেছে সামূদ সম্প্রদায়।
13
وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ وَإِخْوَٰنُ لُوطٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আদ, ফির‘আউন ও লূত সম্প্রদায়।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৩. অনুরূপভাবে আদ, ফিরআউন ও লুত জাতি মিথ্যারোপ করেছে।
14
وَأَصْحَـٰبُ ٱلْأَيْكَةِ وَقَوْمُ تُبَّعٍ ۚ كُلٌّ كَذَّبَ ٱلرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এবং আইকাহর অধিবাসী ও তুব্বা সম্প্রদায়; তারা সবাই রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। ফলে তাদের উপর আমার শাস্তি আপতিত হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৪. তেমনিভাবে শু‘আইব (আলাইহিস-সালাম) এর জাতি আইকাবাসী ও ইয়েমেনের বাদশাহ তুব্বা’র জাতিও মিথ্যারোপ করে। ফলে তাদের উপর অঙ্গীকারকৃত শাস্তি অবধারিত হয়।
15
أَفَعَيِينَا بِٱلْخَلْقِ ٱلْأَوَّلِ ۚ بَلْ هُمْ فِى لَبْسٍ مِّنْ خَلْقٍ جَدِيدٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি যে, পুনঃসৃষ্টি বিষয়ে তারা সন্দেহ পোষণ করছে?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৫. আমি কি প্রথমবারের সৃষ্টিতে অপারগ হয়েছি, তাই পুনরুত্থানে অপারগ হবো?! বরং তারা নিজেদের প্রথম সৃষ্টির পর নতুন সৃষ্টির ব্যাপারে অনিশ্চয়তার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
16
وَلَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَـٰنَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهِۦ نَفْسُهُۥ ۖ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ ٱلْوَرِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রকৃতি তাকে যে কুমন্ত্রনা দেয় তা আমি জানি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমণী অপেক্ষাও নিকটতর।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৬. আমি অবশ্যই মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মনে যে সব মনোভাব ও চিন্তার উদয় হয় তা আমি জানি। আমি তার অন্তরের সাথে যুক্ত ঘাড়ে অবস্থিত শিরা অপেক্ষা আরো নিকটবর্তী।
17
إِذْ يَتَلَقَّى ٱلْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ ٱلْيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ قَعِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
স্মরণ রেখ, দুই মালাক/ফেরেশতা তার ডানে ও বামে বসে তার কাজ লিপিবদ্ধ করে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৭. যখন তার আমল সংরক্ষণকারী উভয় ফিরিশতা মিলিত হবে। তাদের একজন তার ডান পার্শ্বে বসবে ও অপরজন বসবে তার বাম পার্শ্বে।
18
مَّا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৮. সে যে কথাই বলুক না কেন তার জন্য তার পার্শ্বে একজন পর্যবেক্ষক পিরিশতা উপস্থিত থাকে।
19
وَجَآءَتْ سَكْرَةُ ٱلْمَوْتِ بِٱلْحَقِّ ۖ ذَٰلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে। এটা হতেই তোমরা অব্যাহিত চেয়ে আসছ।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
১৯. যথার্থই মৃত্যুর যাতনা উপস্থিত হলো। এটিই সেই বস্তু যা থেকে হে উদাসীন মানুষ! তুমি পিছিয়ে ও পলায়নরত ছিলে।
20
وَنُفِخَ فِى ٱلصُّورِ ۚ ذَٰلِكَ يَوْمُ ٱلْوَعِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, ওটাই সেই ভয় প্রদর্শনের দিন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২০. ফুৎকারের জন্য নিয়োজিত ফিরিশতা শিঙ্গায় দ্বিতীয়বার ফুৎকার দিবে। এটিই কিয়ামত দিবস তথা কাফির ও পাপীদের জন্য শাস্তির দিন।
21
وَجَآءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَآئِقٌ وَشَهِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি উপস্থিত হবে। তার সাথে থাকবে চালক ও তার কর্মের সাক্ষী।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২১. প্রত্যেক সত্তা তাকে চালনাকারী একজন ফিরিশতাসহ উপস্থিত হবে। আর অপর ফিরিশতা তার আমলের সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত হবে।
22
لَّقَدْ كُنتَ فِى غَفْلَةٍ مِّنْ هَـٰذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَآءَكَ فَبَصَرُكَ ٱلْيَوْمَ حَدِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তুমি এই দিন সম্বন্ধে উদাসীন ছিলে, এখন তোমার সম্মুখ হতে পর্দা উম্মোচন করেছি। অদ্য তোমার দৃষ্টি প্রখর।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২২. সেই চালিত ব্যক্তিকে বলা হবে: তুমি নিজ বিভ্রান্তি, মনোবৃত্তি ও ভোগ-বিলাসে লিপ্ত থাকার ফলে এই দিবস থেকে উদাসীন ছিলে। তাই আমি তোমার উদাসীনতা দূরিভ‚ত করলাম। যাতে তুমি শাস্তি ও আপদ পর্যবেক্ষণ করো।
23
وَقَالَ قَرِينُهُۥ هَـٰذَا مَا لَدَىَّ عَتِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তার সঙ্গী মালাক/ফেরেশতা বলবেঃ এইতো আমার নিকট ‘আমলনামা প্রস্তুত।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৩. তার সাথে নিয়োজিত ফিরিশতা বলবে: এই যে আমার নিকট তার কৃতকর্ম কোনরূপ বেশ-কম ব্যতিরেকে বিদ্যমান রয়েছে।
24
أَلْقِيَا فِى جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِيدٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আদেশ করা হবেঃ তোমরা উভয়েই নিক্ষেপ কর জাহান্নামে, প্রত্যেক উদ্ধত কাফিরকে –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৪. আল্লাহ চালনাকারী ও সাক্ষ্যদাতা উভয় ফিরিশতাকে বলবেন: তোমরা প্রত্যেক সত্য অমান্যকারী গোঁড়াদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো।
25
مَّنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ مُّرِيبٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
কল্যাণকর কাজে প্রবল বাধা দানকারী, সীমালংঘনকারী ও সন্দেহ পোষণকারীকে –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৫. আল্লাহ যে সব অধিকার অবধারিত করেন তা বেশী বেশী প্রত্যাখ্যানকারী, আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘনকারী এবং তিনি যে সব পুরস্কার ও শাস্তির সংবাদ দিয়েছেন তা অস্বীকারকারী।
26
ٱلَّذِى جَعَلَ مَعَ ٱللَّهِ إِلَـٰهًا ءَاخَرَ فَأَلْقِيَاهُ فِى ٱلْعَذَابِ ٱلشَّدِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য মা‘বূদ গ্রহণ করত তাকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৬. যে আল্লাহর সাথে অন্য মাবূদকে শরীক করে নিয়েছে। তাঁর সাথে ওকে ইবাদাতে শরীক করে থাকে। তাই তোমরা তাকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ করো।
27
۞ قَالَ قَرِينُهُۥ رَبَّنَا مَآ أَطْغَيْتُهُۥ وَلَـٰكِن كَانَ فِى ضَلَـٰلٍۭ بَعِيدٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তার সহচর শাইতান বলবেঃ হে আমাদের রাব্ব! আমি তাকে অবাধ্য হতে প্ররোচিত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল ঘোর বিভ্রান্ত।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৭. তার সাথে নিজ শয়তান সঙ্গী সম্পর্কচ্ছেদ করে বলবে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে ভ্রষ্ট করি নি। বরং সে সত্য থেকে বহু দূরে অবস্থানকারী ছিলো।
28
قَالَ لَا تَخْتَصِمُوا۟ لَدَىَّ وَقَدْ قَدَّمْتُ إِلَيْكُم بِٱلْوَعِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আল্লাহ বলবেনঃ আমার সামনে বাক-বিতন্ডা করনা; তোমাদেরকে আমিতো পূবেই সতর্ক করেছি।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৮. আল্লাহ বলবেন: তোমরা আমার নিকট ঝগড়া করো না। কেননা, তাতে কোন লাভ নেই। আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বেই দুনিয়াতে আমার রাসূলদের মাধ্যমে আমাকে অমান্যকরী ও আমার অবাধ্যদের জন্য কঠিন শাস্তির কথা জানিয়ে দিয়েছি।
29
مَا يُبَدَّلُ ٱلْقَوْلُ لَدَىَّ وَمَآ أَنَا۠ بِظَلَّـٰمٍ لِّلْعَبِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমার কথার রদ বদল হয়না এবং আমি আমার বান্দাদের প্রতি কোন অবিচার করিনা।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
২৯. আমার কথা ও অঙ্গীকার কখনো পরিবর্তন হয় না। আর না আমি বান্দাদের পুণ্য কমিয়ে কিংবা পাপ বাড়িয়ে তাদের উপর অবিচার করি। বরং আমি যার যার আমল অনুযায়ী তাকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
30
يَوْمَ نَقُولُ لِجَهَنَّمَ هَلِ ٱمْتَلَأْتِ وَتَقُولُ هَلْ مِن مَّزِيدٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সেই দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করবঃ তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? জাহান্নাম বলবেঃ আরও আছে কি?
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩০. সে দিন আমি জাহান্নামকে বলব: তুমি কি তোমার মধ্যে নিক্ষেপিত কাফির ও পাপীদেরকে দিয়ে পরিপূর্ণ হয়েছো? তখন সে অধিক কামনা করতঃ ও স্বীয় রবের রাগের ফলে তার রবকে এই বলে উত্তর দিবে: আরো কি আছে?
31
وَأُزْلِفَتِ ٱلْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ غَيْرَ بَعِيدٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের নিকটস্থ করা হবে - কোন দূরত্ব থাকবেনা।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩১. আর স্বীয় প্রতিপালকের আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে আল্লাহভীরুদের উদ্দেশ্যে জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে। তাই তারা নিকটে থেকে তথায় বিদ্যমান উপভোগ্য নিয়ামত প্রত্যক্ষ্য করবে।
32
هَـٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِكُلِّ أَوَّابٍ حَفِيظٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এরই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল - প্রত্যেক আল্লাহর অনুরাগী, হিফাযাতকারীর জন্য।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩২. আর তাদেরকে বলা হবে: এটি আল্লাহ কর্তৃক তার প্রতি কৃত অঙ্গীকার যে তাওবার মাধ্যমে নিজ প্রতিপালকের দিকে ফিরে আসে এবং তার উপর বাধ্যতামূলক বিধানের হিফাযত করে।
33
مَّنْ خَشِىَ ٱلرَّحْمَـٰنَ بِٱلْغَيْبِ وَجَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِيبٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যারা না দেখেই দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয় –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৩. যে ব্যক্তি আল্লাহকে এমন গোপনে ভয় করে যেখানে তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাকে দেখার নেই এবং আল্লাহর সাথে নিরাপদ ও তাঁর প্রতি ধাবমান অন্তর নিয়ে সাক্ষাৎ করে। উপরন্তু তাঁর প্রতি বেশী বেশী প্রত্যাবর্তনকারী।
34
ٱدْخُلُوهَا بِسَلَـٰمٍ ۖ ذَٰلِكَ يَوْمُ ٱلْخُلُودِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাদেরকে বলা হবেঃ শান্তির সাথে তোমরা তাতে প্রবেশ কর; এটা অনন্ত জীবনের দিন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৪. আর তাদরেকে বলা হবে, তোমরা নিজেদের অপছন্দের বিষয় থেকে মুক্ত অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করো। এটি সেই চিরস্থায়ী দিন যার কোন লয়-ক্ষয় নেই।
35
لَهُم مَّا يَشَآءُونَ فِيهَا وَلَدَيْنَا مَزِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
সেখানে তারা যা কামনা করবে তা’ই পাবে এবং আমার নিকট রয়েছে তারও অধিক।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৫. তথায় তাদের জন্য রয়েছে নিজেদের চাহিদানুযায়ী অবারিত নিয়ামত। আর আমার নিকট রয়েছে এমন সব অতিরিক্ত নিয়ামত যা কোন চক্ষু দেখে নি। আর না কোন কান শ্রবণ করেছে। আর না কোন মানুষের অন্তর তা হৃদয়ঙ্গম করেছে। তন্মধ্যে মহান আল্লাহর দর্শন অন্যতম।
36
وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هُمْ أَشَدُّ مِنْهُم بَطْشًا فَنَقَّبُوا۟ فِى ٱلْبِلَـٰدِ هَلْ مِن مَّحِيصٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমি তাদের পূর্বে আরও কত মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি যারা ছিল তাদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল, তারা দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করে ফিরত। পরে তাদের অন্য কোন আশ্রয়স্থল রইলনা।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৬. আমি এ সব মিথ্যারোপাকারী মক্কাবাসী মুশরিকের পূর্বে কতো জাতিকে ধ্বংস করেছি। তাই তারা পৃথিবীতে খুঁজে দেখলো। হয়তো বা তারা শাস্তি থেকে পালানোর কোন জায়গা খুঁজে পাবে। কিন্তু তারা তা পায় নি।
37
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَذِكْرَىٰ لِمَن كَانَ لَهُۥ قَلْبٌ أَوْ أَلْقَى ٱلسَّمْعَ وَهُوَ شَهِيدٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার আছে অন্তঃকরণ, অথবা যে শ্রবণ করে নিবিষ্ট চিত্তে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৭. পূর্বেকার জাতিদের ধ্বংসলীলার উপরোক্ত এ সব বর্ণনায় চিন্তাশীল অন্তর সম্পন্ন ব্যক্তি কিংবা সচেতন ও মনোযোগ সহকারে শ্রবণকারীদের জন্য রয়েছে উপদেশ।
38
وَلَقَدْ خَلَقْنَا ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِن لُّغُوبٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এগুলির মধ্যস্থিত সব কিছু সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে। আমাকে কোন ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৮. আমি নিজ প্রচুর ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও আসমান, যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি। তাতে ইহুদীরা যেমন বলছে তেমন কোন কষ্টই আমার হয় নি।
39
فَٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ ٱلشَّمْسِ وَقَبْلَ ٱلْغُرُوبِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
অতএব তারা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার রবের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৩৯. অতএব হে রাসূল! আপনি ইহুদী কিংবা অন্যদের কথার উপর ধৈর্য ধারণ করুন। আর নিজ রবের প্রশংসা করতে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে তাঁর উদ্দেশ্যে ফজরের নামায পড়ুন এবং সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে আসরের নামায পড়ুন।
40
وَمِنَ ٱلَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَأَدْبَـٰرَ ٱلسُّجُودِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাতের একাংশে এবং সালাতের পরেও।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪০. রাত্রেও তাঁর উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং ফরয নামাযের পর তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
41
وَٱسْتَمِعْ يَوْمَ يُنَادِ ٱلْمُنَادِ مِن مَّكَانٍ قَرِيبٍ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
শোন, যেদিন এক ঘোষণাকারী নিকটবর্তী স্থান হতে আহবান করবে –
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪১. হে রাসূল! আপনি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করুন সে দিনের কথা যে দিন দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকারের জন্য নিয়োজিত ফিরিশতা নিকটতম স্থান থেকে আহŸান করবেন।
42
يَوْمَ يَسْمَعُونَ ٱلصَّيْحَةَ بِٱلْحَقِّ ۚ ذَٰلِكَ يَوْمُ ٱلْخُرُوجِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যেদিন মানুষ অবশ্যই শ্রবণ করবে মহানাদ, সেই দিনই পুনরুত্থান দিন।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪২. সে দিন সকল সৃষ্টি সত্যিই পুনরুত্থানের এমন গর্জন শুনতে পাবে যাতে কোনরূপ সন্দেহ নেই। যে দিন তারা এটি শুনবে সেটি মূলতঃ হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে মৃতদের বেরিয়ে আসার দিন।
43
إِنَّا نَحْنُ نُحْىِۦ وَنُمِيتُ وَإِلَيْنَا ٱلْمَصِيرُ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
আমিই জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং সকলের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৩. আমিই জীবন ও মৃত্যু প্রদান করি। আমি ব্যতীত অন্য কোন জীবনদাতা নেই। আর না কোন মরণদাতা আছে। এককভাবে আমার দিকেই কিয়ামত দিবসে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে বান্দাদের প্রত্যাবর্তন।
44
يَوْمَ تَشَقَّقُ ٱلْأَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًا ۚ ذَٰلِكَ حَشْرٌ عَلَيْنَا يَسِيرٌ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
যেদিন পৃথিবী বিদীর্ণ হবে এবং মানুষ বের হয়ে আসবে ব্যস্ত ত্রস্ত হয়ে, এই সমবেত সমাবেশ করণ আমার জন্য সহজ।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৪. সে দিন তাদের যমীন ফেটে চৌচির হবে। ফলে তারা দ্রæত তা থেকে বেরিয়ে পড়বে। এই হাশর সংঘটিত করা আমার জন্য অতি সহজ।
45
نَّحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ ۖ وَمَآ أَنتَ عَلَيْهِم بِجَبَّارٍ ۖ فَذَكِّرْ بِٱلْقُرْءَانِ مَن يَخَافُ وَعِيدِ
বাংলা অনুবাদ (রাওয়াই আল-বায়ান)
তারা যা বলে তা আমি জানি, তুমি তাদের উপর জবরদস্তিকারী নও। সুতরাং যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে উপদেশ দান কর কুরআনের সাহায্যে।
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
৪৫. আমি এ সব মিথ্যারোপকারীর কথা অধিক জানি। আর হে রাসূল! আপনি তাদের উপর দারোগা নন। যার ভিত্তিতে আপনি তাদেরকে ঈমান আনতে বাধ্য করবেন। বরং আপনি তো কেবল আল্লাহ যে বিষয় প্রচার করতে নির্দেশ প্রদান করেন তা পৌঁছোনোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। অতএব, আপনি কুরআনের মাধ্যমে কাফির ও পাপীদের মধ্যে তাকে ভীতি প্রদর্শন করুন যে আমার শাস্তিকে ভয় পায়। কেননা, কেবল ভীতজনই উপদেশ গ্রহণের জন্য বললে সে তা গ্রহণ করে এবং স্মরণ করিয়ে দিলে সে তা স্মরণ করে।