নিজেরা বহন করে নিতে পারবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বললেন, যদি তোমরা কোন কিছু
গোপন কর তাহলে তোমাদের সন্ধি তৎগ হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ্
ও তার রাসুলের কোন জিয়া থাকবে না ৷ উপরোক্ত শর্তগুলাের উপরই তাদের সাথে সন্ধি
স্থাপিত হল ৷
ইবন কাহীর (র) বলেন, এ জন্যেই যখন তারা সম্পদ গোপন করল, মিথ্যা বলল এবং
বিশেষ করে বহু সম্পদে পরিপুর্ণ চামড়ার বড় থলেটি লুকিয়ে ফে লল তখন সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে,
তারা সন্ধি তৎগ করেছে ৷৩ তাই আবুল হুকাইকের পুত্রদ্বয়ও তার বংশের কতিপয় লোককে চুক্তি
ভৎগের কারণে হত্যা করা হল ৷
বায়হাকী (র) আবুল হাসান ইবন উমর (রা ) হত বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এমনড়াক তিনি তাদেরকে তাদের দৃর্গে
অবরোধ করে রাখেন ৷ তিনি তাদের জমিজমা, (ক্ষত খামার ও ণ্খজুর বাগান দখল করে নেন ৷
তারা তখন দেশাম্ভরিত হওয়ার শর্তে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ তবে তারা
পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার যা তাদের বহনযোগে নিতে পারে তার অনুমতি দেওয়া
হয়েছিল ৷ আর সােনা রুপা ও হাতিয়ার সব কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তারা সমর্পণ
করেছিল৩ ৷৩াদের প্রতি শর্ত অারােপ করা হয়েছিল যেন তারা কো ন কিছু গোপন না করে বা কোন
দ্রব্য না লুকায় ৷ যদি৩ারা কোন কিছু লুকায় বা গোপন করে তাহলে তাদের সাথে আর কোন
প্রকারের সন্ধি থাকবে না এবং৩ তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার দায়িতৃও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থাকবে না ৷
তা সত্বেও তারা একটি বড় চামড়ার থলে গোপন করল যার মধ্যে প্রচুর সম্পদ ও গহনাদি রাখা
হয়েছিল এবং তা বনুনাযীরকে বিতাড়িত করার সময় হুয়াই ইবন আখতা বের তত্ত্বাবধানে ছিল যা
সে তা খায়বারে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুয়াইর নিয়ে যাওয়া খলে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল
যে, বনুনাযীর হতে প্রাপ্ত সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি সে কি করেছিল ? সে বলেছিল যে, দৈনন্দিন
খরচ ও যুদ্ধের ব্যয়ে তা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, এত অল্প সময়ে
এত অধিক সম্পদ নিংশেষ হতে পারে না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে যুবাযর (রা ) এর হাওলা
করলেন তিনি তাকে শাস্তি দিলেন ৷ এর পুর্বে হুয়াইকে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে আনাগোনা করতে
দেখা গেল এবং একজন লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে হাযির হয়ে বলল, আমি হুয়াইকে
এখানে আনাগােনা করতে দেখেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশক্রমে সাহাবায়ে কিরাম তথায়
গেলেন এবং ঘোজ করা র পর সেখা নে অর্থ সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এ বিশ্বাসঘা৩ কতার জন্যে আবুল হুকাইকের দুই পুত্রকে হত্যা করার হুকুম দিলেন ৷ তাদের মধ্যে
একজন ছিলেন সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াই ইবন আখ৩াবের পুর্বামী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
পরিবার পরিজনকে বন্দী করে ফেলেন এবং ওয়াদা তংগের জন্যে তাদের সম্পদ সাহাবায়ে
কিরামের মধ্যে বণ্টন করার আদেশ দিলেন ৷ ফলে তিনি খায়রার হতে৩াদেরকে বিতাড়িত
করতে মনস্থ করলেন তখন তারা বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমাদেরকে এ যমীনে থাকতে দিন ৷
আমরা এ যমীনের উন্নতি সাধন করব এবং৩ তা উত্তমরুপে আবাদ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও
সাহাবায়ে কিরামের কাছে কোন খাদ্যশস্য ছিলা না যার মাধ্যমে৩ তারা নিজেদের ভরংা পোষণ নির্বাহ
করবেন ৷ আর যমিন আবাদ করার মত পর্যাপ্ত সময়ও সাহাবায়ে কিরামের ছিল না ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্
(সা) ইয়াহুদীদেরকে থায়বার এ শর্তে দান করলেন যে, তারা খেজুর ও প্রতিটি ফসলের অর্ধেক
ঘুসলমানদেরকে দিতে থাকবে ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) প্ৰতি বছর তাদের কাছে আসতেন
এবং অর্ধেক বর্গা ফসল তাদের থেকে আদায় করতেন ৷ একবার তারা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) এর বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নড়ালিশ করল ৷ অন্যদিকে তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা
করল ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ (রা) বললেন, হে আল্লাহর দৃশমনরা তোমরা আমাকে ঘুষ
দিতে চাও ? আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদের কাছে এমন ব্যক্তির নিকট হতে এসেছি যিনি আমার
কাছে সৰ্বাধিক প্রিয় ৷ আর তোমরা আমার কাছে বানর ও শুকর থেকে অধিকতর নিকৃষ্ট ৷ এ
উৎকৃষ্টতা ও নিকৃষ্টতা কিন্তু তোমাদের উপর যুলুম করার জন্যে আমাকে কখনও প্ৰরোচিত করতে
পারে না ৷ তারা বলল, এ নীতির উপরই এ আসমান ও যমীন দণ্ডায়মান ও পরিচালিত ৷ রাবী
বলেন , এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর চোখ নীল দেখতে গেলেন এবং প্রশ্ন করলেন,
হে সাফিয়্যা, তোমার চোখ নীল কেন ? তখন তিনি বললেন, ইবন আবুল হুকাইকের কোলে ছিল
আমার মাথা ৷ আর আমি ছিলাম নিদ্রাবত ৷ তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম, চাদ যেন আমার কোলে
নেমে এল ৷ আমি তার কাছে এ স্বপ্নঢি বর্ণনা করলাম ৷ সে তখন এমন জোরে চপেটাঘাত করল
এবং বলল, তুমি কি ইয়াছরিব অধিপতির আকাভক্ষা করছ ? সাফিয়্যা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ছিলেন আমার অত্যন্ত অপসন্দের লোক ৷ কেননা, তিনি আমার স্বামী ও পিতার হত্যার কারণ
ছিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সব সময় এ সম্বন্ধে আমার কাছে আলোচনা করতেন এবং
বলতেন, তোমার পিতা আমার বিরুদ্ধে সকল আরববাসীকে সংঘবদ্ধ করেছে এবং আমার সমুহ
ক্ষতি সাধন করেছে ৷ এরুপ বলতে বলতে কিছুদিন পর এ ক্ষোভ আমার অন্তর হতে চলে যায় ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রত্যেক ন্তীকে প্ৰতি বছর ৮০ ওয়াসাক ১ খেজুর এবং ২০
ওয়াসাক যব বরাদ্ধ করতেন; কিন্তু যখন হযরত উমর (রা) এর যুগ আসল তখন ইয়াহুদীরা
মুসলমানদের সাথে ধোকাবড়াজি ও প্রতারণা শুরু করল ৷ তারা ইবন উমর (রা)-কে ঘরের ছাদ
থেকে ফেলে দিল, ফলে তার দু হাত ভেঙ্গে যায় ৷ তখন উমর (রা) বলেন, খায়বারের যমীনে
যাদের অংশ আছে আসুন তাদের মধ্যে আমি তা বণ্টন করে ৫স্টু ৷ তখন তিনি তা বণ্টন করে
দিলেন ৷ ইয়াহুদীদের সর্দার বলল, আমাদেরকে বিতাড়িত করবেন না, আমাদেরকে থাকতে
দিন ৷ যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও হযরত আবু বকর (বা) আমাদেরকে এখানে থাকতে
দিয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) বললেন, “তোমরা কি আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কথা লংঘন
করতে দেখছ ? তােমরাই বরং দিন দিন সন্ধির শর্তসমুহ লংঘন করে যাচ্ছ ৷
হযরত উমর (রা) ইয়াহ্রদীদেরকে তাদের ষড়যত্রের দরুন বিতাড়িত করলেন এবং তাদের
জমিজমা হুদায়বিয়ার সন্ধিতে উপস্থিত মুজাহিদদের মধ্যে যারা খায়বারেও উপস্থিত ছিলেন তাদের
মধ্যে বণ্টন করলেন ৷
আবু দাউদ (র) উপরোক্ত রিওয়ায়েতটি হাম্মাদ ইবন সালামা থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা
করেন
১ এক ওয়াসাক ৬০ সা’ বা প্রায় দৃইশ কেজি ৷
আবুদাউদ (র) ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন, যখন খায়বার বিজিত হল তখন
ইয়াহ্রদীরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আবেদন করায় তিনিও তাদেরকে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক
দেওয়ার শর্তে তাদেরকে সেখানে থাকতে দেন এবং বলেন, আমাদের যতদিন ইচ্ছে ততদিন
ভোমাদেরকে থাকতে দেব ৷ আর ইয়াহুদীরা এ শ ৷তে র উপর সেখানে অবস্থান করছিল ৷
খায়বারের প্রাপ্ত অর্ধেক খেজুরকে হুয়ুর (সা) দুই অং শে বণ্টন করতেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
থেকে এক পঞ্চমাৎশ গ্রহণ করতেন ৷ আর এ পঞ্চমাংশ থেকে কতার প্রতোক সহধর্মিণীকে
একশত ওয়াসাক খেজুর এবং ২০ ওয়াসাক যব বরাদ্দ করতেন ৷ হ্াখন উমর (রা) ইয়াহুদীদেরকে
তাদের ষড়যস্তের দরুন বিতাড়িত করতে মনন্থ করেন ৷ তখন তনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সহধর্মিণীপণকে বললেন, আপনাদের মধ্যে যারা চান যে, তাদেরকে মা থা৷ পিছু একশত ওয়াসাক
খেজুর বরাদ্দ করব তাকে তাই দেওয়া হবে ৷৩ তার জন্যে খেজুর গাছ য়মীন ও খেজুর গাছে পানি
দেওয়া ইত্যাদির জিম্ম৷ বতাবে ৷ আর তাকে উৎপন্ন শস্য হচত্ং: বশ ওয়াসাক যব দেওয়া হবে ৷
তাহলে তাকে তাই দেওয়া হবে ৷ আর যিনি চান যে, এক-পঞ্চমাৎপ হতে তার অংশ পৃথক করে
দেওয়া হবে ৷ তাহলে তাকে তাই দেওয়া হবে ৷
আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন,
উমর (রা) বলেন, হে জনমণ্ডলী, আপনারা জেনে রাখুন, রাসুলুল্লাহ (সা) খায়বারের ইয়াহ্রদীদের
সাথে সন্ধি করেছিলেন এ শর্তে যে, যখন ইচ্ছে তখন তাদেরকে বিতাড়িত করা হবে ৷
ইয়াহ্রদীদের কাছে যার কোন সম্পদ পাওন৷ আছে সে যেন তাদের থেকে আদায় করে নেয় ৷
কেননা, আমি ইয়াহ্রদীদেরকে বিতাড়িত করব ৷ এরপর তিনি৩ তাদেরকে বিতাড়িত করলেন ৷
ইমাম বৃখারী (র) ইয়াহইয়৷ ইবন বুকায়র জুবায়র ইবন মু৩ তয়িম (রা) এর বর্ণনায়
বলেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এবং উছমড়ান ইবন আফ্ফা ন (রা) একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
দরবারে হাযির হয়ে বললাম , আপনি বনু মুত্তালিবকে খায়বারের এক-পঞ্চমাংশ হতে দান করেছেন
কিন্তু আমাদেরকে দিলেন না অথচ তারাও আমরা আপনার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একই
পর্যায়ের ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, নিঃসন্দেহে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব অভিন্ন ৷ জুবায়র ইবন
মুর্তৃইম (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আবদে শামস ও বনু নওফলের জন্য কোন কিছু বরাদ্দ
করেননি ৷ উপরোক্ত বর্ণনাটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, “নিঃসন্দেহে বনু হাশিম ও বনু আবদে মুত্তালিব একই পর্যায়ের ৷” তারা আমাদের থেকে
জাহিলিয়্যাত ৎব৷ ইসলাম কো ন যুগেই বিচ্ছিন্ন হয় নাই ৷ শা ৷ফিঈ (র) বলেন, “বনু হ গ্রিা৷ম ও বনু
মুত্তালিবের সাথে আবু৩ তালিবের গিরিসৎকটে প্রবেশ করেছিল এবং তাদের জ হিলিয্যা
ইসলাম উভয় যুগে সাহায্য সহায়তা করেছিল ৷
ইবন কাহীর (র) বলেন, আবুতা ৩ালিব বনুআবদে শামস ও নওফলের কুৎস৷ পেয়েছেন ৷ তিনি
বলেছেন :
অর্থাৎ আমাদের বিরোধিতা করার আল্লাহ যেন বনুআবদে শামস ও বনু নওফলকে বিলন্বে নয়
অতি শীঘ্র৷ ত ৷দের দুস্কর্মের জন্য শাস্তি প্রদান করেন ৷
বুখারী (র) হাসান ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন,
খায়বারের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিটি ঘোড়ার জন্যে দুই অংশ এবং প্রত্যেক পদাতিক সৈনিকের
জন্য এক অ ×শ বরাদ্দ করেন ৷ উপরোক্ত হ দীছেব ব্যাথ্যায় নাফি (র) বলেন, কোন লোকের
সাথে যদি একটি ঘোড়া থাকেত তাহলে তার হবে৩ তিন অংশ ৷ আর যার সাথে ঘোড়া থাকবে না
তার হবে এক অংশ ৷
বুথারী (র) স ঈদ ইবন আবু মুত ত্ইম উমার ইবন খাত্তা ৷শ্ন (রা) এর সনদে বর্ণনা
করেন,৩ তিনি বলেন, “আমার প্রাণ যার হাতে রয়েছে তার শপথ করে বলছি, যদি আমার আশ×ক কা
না হত যে, মানুষকে আমি কপর্দকশুন্য পার, তাদের হাতে প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব হবে
তাহলে আমার দ্বারা কোন একটি জনপদ বিজিত হবার সাথে সাথে আমি তা এমনভাবে
মুজাহিদগণের মধ্যে বণ্টন করে দিতাম যেরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের সম্পদ বণ্টন করে
দিয়েছিলেন ৷ তবে আমি তাদের জন্য গচ্ছিত রাখছি যাতে তা রন্ ভবিষ্যতে নিজেদের মধ্যে
প্রয়োজনে বণ্টন করে নিতে পারে ৷ বুখারী মালিক ও আবু দাউদ উমর (রা)-এর অন্য
একটি সুত্রেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ উপরোক্ত দুটি বর্ণনায় বুঝা যায় যে, খায়বারের সম্পদ
পুরাপুরি যোদ্ধাগণের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছিল ৷
আবুদাউদ (র) ইবনে শিহাব (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, “আমার
কাছে এমর্মে হাদীছ পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধ করে খায়বার জয় করেন এবং যুদ্ধের পর
যাকে যেখানে থাকতে দেবার প্রয়োজন আছে মনে করেছেন, তাকে সেখানে থাকতে দিয়েছেন ৷
এই রিওয়ায়াতের প্রেক্ষিতে যুহরী (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের সম্পদ হতে প্রথমত
এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করেন ৷ এরপর অবশিষ্ট সম্পদ ঐ যুদ্ধে অংশ প্রহণকারীদের মধ্যে বন্টন
করে দেন ৷
ইবনে কাহীর (র) বলেন, যুহরী (র) এর উপরোক্ত মতামত টি সন্দেহাভীত নয় ৷ কেননা,
বিশুদ্ধ মতে , খায়বারের সমস্ত সম্পদ বণ্টন করা হয়নি; বর× তার অর্ধেক সম্পদ অংশ
প্রাহণক ৷রীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল যা পরে আসছে ৷ আর খায়বারের ঘটনা থেকে ইমাম
মালিক (র) ওত ৷র অনুসারিগণ প্রমাণ করেছেন যে বিজিত সম্পদের বণ্টন সম্পর্কে ইমাম পুর্ণ
ক্ষমতা রাখেন, যদি তিনি৷ চা ন তাহলে তাৎক্ষণিকভ৷ ৷বে বণ্টন করে দিতে পারেন, নতু বা ভবিষ্যতে
মুসলমানদের জনহিতকর ক জসমুহে খরচ করার জন্যে স×রক্ষণ করতেও পারেন ৷ আর যদি
তিনি চান তাহলে কিছু অং ×শ বর্তমানে বণ্টন করতে পারেন এবং অবশিষ্ট ভবিষ্যতের দুর্যোগ
মুক৷ ৷বিলা ও জনহি৩ তকর কাজের জন্যে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷
আবুদাউদ (র) রবী ইবন সুলায়মান সহল ইবন আবুহাসমা (রা)-এর সনদে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারে প্রাপ্ত সম্পদকে প্রথমত দু’ভাগে ভাগ করেছেন এক ভাগ ভবিষ্যতের
দুর্যোগ মুকাবিলা ও জনহিতকর কর্মকাণ্ড আঞ্জাম দেয়ার জন্যে সংরক্ষণ করেন এবং অন্য ভাগ
মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করেন ও তাদের মধ্যে আঠার অংশে ভাগ করেন ৷ এ বর্ণনাটি আবু
দাউদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷ এরপর তিনি মুরসাল হিস্যেব বাশীর ইবন ইয়াসার (বা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ যে এক ভাগ দুর্যোগ মুকাবিলার জন্যে সংরক্ষণ করেছেন তা হচ্ছে আল-ওয়াতী,
আল-কাতীব৷ ও আস-সুলালিম দুর্গত্রয় ও এগুলোর সংলগ্ন এলাকা ৷ আর যে এক ভাগ
মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করেন তা হচ্ছে আশ-শাব ও আননাতাত দুষ্দ্বিয় ও এগুলোর সংলগ্ন
এলাকা ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর অংশও এ দৃর্ণদ্বয়ের সংলগ্ন এলাকায় অব ত ছিল ৷
আবুদাউদ (র) হুসায়ন ইবন আলী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কতিপয় সাহাবীর বরাতে
বলেন, “নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার জয় করলেন তখন প্রাপ্ত সম্পদকে ৩৬ অংশে
বণ্টন করেন ৷ আবার প্রতি অংশকে একশত ভাগে বণ্টন ত্রুত্বাহ্বরন ৷ সমস্ত সম্পদের অর্ধেক
মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করেন ৷ অবশিষ্ট অর্ধেক ভবিষ্যতের দুর্যোগ, জনহিতকর কর্মকাণ্ড ও
বহিরাগত মেহমানদের আপ্যায়নের জন্যে স০ রক্ষা করেন ৷ উপরোক্ত রিওয়ায়ড়া৩ টিও আবু দ ৷উদ
(র)-এর একক বর্ণনা ৷
আবু দ ৷উদ (র) পুনরায় মুহাম্মাদ ইবন ঈস৷ মুজ ৷ম্মা ইবন হ বিছ ৩া৷-ল আনস৷ রী (যিনি
একজন প্রসিদ্ধ কারীও ছিলেন) এর বর্ণনায় বলেন, খায়বারের সম্পদ হুদায়বিয়ায় অংশ গ্রহণকারী
মুজ৷ ৷হিদদের মধ্যে বণ্টন করা হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ) তা আঠার অংশে বণ্টন করেন ৷ আর সৈন্য
ৎখ্যা ছিল ১ ৫০ : তার মধ্যে ৩০০ জন ছিল ঘোড় সাওয়াব ৷ প্রতি অশ্বারোহীকে দু অংশ এবং
পদ৷ ৷তিককে এক অংশ প্রদান করা হয় ৷ এ বর্ণনাটিও আবু দ ৷উদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷
ইমাম মালিক (র) যুহরী সাঈদ ইবন মৃসাব্যিব (র)-এর সনদে বলেন, “রাসুলুল্লাহ্
(সা ) খঃায়বারের কিছু অংশ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় করেন ৷” আবু দ উদ (র) ইবন শিহড়াব যুহরী
(র) এর বরাতে বলেন, “খায়বারের কিছু অংশ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় করা হয় আবার কিছু অংশ
সন্ধির মাধ্যমে হস্তগত হয় ৷ কাতীব৷ দৃর্গটির অধিক৷ ৷ৎশ এলাকা যুদ্ধের মাধ্যমে এবং কিছু অংশ
সন্ধির মাধ্যমে হস্তগত হয় ৷ ইমাম মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয় কাতীব৷ কি : তখন তিনি
বলেন, তা হচ্ছে খায়বারের একটি ভুখণ্ড যেখানে রয়েছে চল্লিশ হাজার খেজুর গাছ ৷
বুখারী (র) মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর সনদে বলেন, তিনি
বলেছেন, যখন খায়বার জয় হয় তখন আমরা বললাম, এখন আমরা তৃপ্তি সহকারে খেজুর খেতে
পারব ৷
হাসান (র ) হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা ) সুত্রে বলেন , তিনি বলেছেন, “আমরা
থেজুরে আত্মতৃপ্ত হতে পারি না ৷ই যতক্ষণ না আমরা খায়বার জয় করতে পেরেছি ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহ ক বলেন, আশ-শাক ও আন নাত ৷ত ৷দৃর্গ দুটি মুসলমানদের মধ্যে বপ্টিত
হয় ৷ আশ শাকে ছিল তেব অংশ আর আননাতাতে ছিল পাচ অংশ ৷ এ মে৷ ৷ট আঠ৷ ৷র অংশকে
অড়াঠার৷ :০৩ অংশে বণ্টন করা হয় ৷ যারা হুদায়বিয়ায় সন্ধিতে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বণ্টন
করে দেওয়া হয়েছে ৷ তারা খায়বারে উপস্থিত থাকুন বা না থাকুন ৷ যেমন জা ৷বির ইবন আবদুল্লাহ
(বা) তিনি হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন; কিন্তু খায়বারে অনুপ ত ছিলেন ৷ তাকে অংশ দেয়া
হয়েছে তবে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) ব্যতীত অন্য কেউ খায়বারে অনুপস্থিত ছিলেন না বলে
জানা যায় ৷ হুদায়বিয়ায় উপস্থিত সৈনিকের সংখ্যা ছিল ১৪০০ তাদের সাথে ২০০ ঘোড়া, প্রত্যেক
ঘোড়াকে দেওয়া হয়েছিল দু অ০ শ ৷ প্রতি একশ ৷ত সৈনিককে আঠার ভাগের এক ভাগ দেওয়া
হয়েছিল ৷ ২০ : জন অশ্বারোহীকে তাদের ঘোড়ার জন্যে ৪০০ অংশ অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছিল ৷
অনুরুপতাবে বায়হাকী (র)ও সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ থেকে সালিহ্ ইবন কায়সানের বরাতে বর্ণনা
করেন যে, তারা ছিলেন ১৪০০ এবং তাদের সাথে ঘোড়া ছিল ২০০ ৷
গ্রন্থক৷ র বলেন, তাদের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও একটি ভাগ গ্রহণ করেছিলেন ৷ আশ-শাক
দুর্গের প্রথম ভাগটি দেওয়া হয়েছিল আসিম ইবন আদীকে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “ক ভীবা দুর্গের সম্পদের মধ্যে এক পঞ্চমা-ৎশ ছিল আল্লাহর জন্যে,
এক অং শ ছিল আল্লাহর রাসুল (সা) এর জন্যে, এক এক অংশা নকট আত্মীয়, ইয়াভীম,
মিসকীন, মুস৷ ৷ফির, রাসুলের সহধর্বীগণের ভরণ পোষণ এবং ফাদাকরাসীদের সাথে সন্ধি স্থাপনে
য়ার ৷গুরুত্পুর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন ৷ তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাহীসাহ ইবন মাসউদ
তা তবে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) ৩০ ওয়াসাক খেজুর এবং ত্রিশ ওয়াসাক (৬৩০০ কেজি) য়ব দিয়েছিলেন ৷
রাবী বলেন, তবে যে দুটি উপত্যকা দেওয়া হয়েছিল এগুলোর নাম হচ্ছে ওয়ার্দিস সারীর ও ওয়াদি
খাস ৷ এরপর ইবন ইসহাক ঐসব জমি জমার বিস্তারিত বর্ণনা দেন যা রাসুলুল্লাহ (সা) অন্যদের
জন্য বরাদ্দ করেছেন ৷ খায়বারের বণ্টন ও হিসাব রক্ষার দা ৷য়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বনু স ৷লামার
জব্বার ইবন সখর ইবন উম ৷ইয়৷ ইবন খানস৷ এবং যায়দ ইবন ছাবিত (রা) ৷
গ্রন্থকার বলেন, “হযরত আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ খেজুরের ফসল ও ভাগ নির্ধারণের দায়িত্বে
নিযুক্ত ছিলেন ৷ তিনি দুই বছর এ মুল্যায়নের কাজে নিয়োজিত ছিলেন ৷ মুতার যুদ্ধে তিনি শাহাদত
বরণ করলে জাব্বার ইবন ছখর (রা) কে এই পদে নিযুক্ত করা হয় ৷
বুখারী (র) ইসমাঈল আবু সাঈদ খুদরী (রা) ও আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার এক ব্যক্তিকে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তখন তিনি ওখান
থেকে উৎকৃষ্ট ধরনের খেজুর নিয়ে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, খায়বারের সব খেজুর কি
এরুপ ? তিনি উত্তরে বলেন , না’ ৷ আল্লাহর কসম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমরা সাধারণ দুই সা এর
খেজুরের পরিবর্তে এক সা উৎকৃষ্ট খেজুর এনেছি ৷ কিৎর৷ খারাপ খেজুর এবং ৩ সা এর
পরিবর্তে ২ সা নিয়ে এসেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “এরুপ করােনা , সমস্ত খেজুর দিরহামের
পরিবর্তে বিক্রি করে ফেল, এরপর দিরহাম দিয়ে ভাল খেজুর খরিদ কর ৷
বুখারী (র) অন্য সনদে দাওয়ার্দী আবু সাঈদ খুদরী (রা) ও আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসারদের মধ্য হতে বনু আদীর এক ব্যক্তিকে খায়বারে পাঠান ও
তথাকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ আবার তিনি অন্য এক সনদেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
গ্রন্থকার বলেন, “খায়বারে বণ্টনকৃত অন্যান্য মুসলমানের মত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অংশ্
এবং ফাদাকের সমস্ত অংশ হচ্ছে খায়বারের এক বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ইয়াহ্রদীরা অত্যন্ত ভীত হয়ে
পড়ায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ বনুনাযীরের প্রচুর সম্পদ যার জন্যে মুসলমানগণ
কো ন যুদ্ধ বিগ্রহ করেননি তাও ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ সম্পদ, তার থেকে
তিনি৩ ৷র পরিবারের বা ৷র্ষিক ভরণ পোষণের জন্যে সম্পদ পৃথক করে রাখতেন ৷ এরপর অবশিষ্ট
সম্পদ আল্লাহর সম্পদ হিসেবে মুসলমানদের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ ও জনহিতকর কাজে খরচ করা হত ৷
যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেন, ফাতিমা (বা) এবং উন্মুল মু’মিনীনগণ কিত্বা সকলেই
ধারণা করতে লাগলেন, তারা এসব সম্পদ রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত হবেন
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৬৫
কিন্তুত তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঐ হাদীছটি পৌবুছনি, যাতে তিনি ববুলবুছনং : :,;;
অর্থাৎ আমরা নবীগণ কাউকে
উত্তরা ধিকা বী করিনা আমরা যা বুছবুড় যাই৩ সবই সাদাক কা৷ ফাতিমা (রা), নবী সহধর্মিণীগণ এবং
আব্বাস (রা) যখন তাদের অংশ দাবী করেন ৷ আর আবু বকর (রা) বুক তাদের অংশ সমর্পণ
করার জন্যে অনুরোধ জানান তখন আবু বকর (রা) তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপরোক্ত
বাণীটি অবগতি করান যাতে তিনি তাদেরকে যাদেরকে ভরণ পোষণ করতেন আামিও তাদের ভরণ
পোষণ করে যার ৷ আল্লাহ্র শপথ, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আত্মীয় স্কজন আমার কাবুছ আত্মীয়তার
বন্ধন সুদৃঢ় রাখার ক্ষেত্রে আমার আত্মীয়-াজন থেকে অধিক প্রিয় ৷ আবু বকর (রা) এর এ মন্তব্য
ছিল যথার্থ ৷ কেননা, তিনি ছিলেন বুনককার , অত্যন্ত নায়পরায়ণ এবং সত্যের অনুসারী ৷ আব্বাস
(রা) ও আলী (রা), হযরত ফাতিমা (রা)-এর মাধ্যমে এ হক দাবী করেছিলেন ৷ তারা যখন
উত্তরাধিকারী হতে পারলেন না তখন তারা চাইবুলন যেন এ সাদকা সম্পদের তত্ত্বাবধান তারা
করতে পারেন ৷ এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেসব ক্ষেত্রে এ সম্পদ খরচ করতেন তারাও যেন অনুরুপ
খরচ করতে পারেন, কিন্তু হযরত আবু বকর (বা) তাদের এ দাবীও অগ্রাহ্য করেন এবং তিনি তার
জন্যে সমীচীন মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেভাবে খরচ করতেন তিনিও সেভাবে খরচ
করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আরোপিত রীতি তিনি কো নরুপে লংঘন করবেন না ৷ এ ব্যাপারে
তখন ফাতিমা (রা) খলীফার সাথে রাগাম্বিত ও ব্যথিত হ্ন ৷ আসলে এটা তার জন্যে শোভনীয়
ছিল না ৷ তিনি এবং ঘুসলমানগণ আবু বকর (রা)-এর মান-মর্যাদা ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
তার সম্পর্ক সম্বন্ধে সম্যক অবগত ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় ও ইনতিকাবুলর
পর ইসলামের কীরুপ সাহায্য-সহায়তা করেছেন তা তার ও মুসলমানগবুণর করো অজানা ছিল
না ৷ ছয়মাস পর ফাতিমা (রা) ইনতিকাল করেন ৷ এরপর আলী (রা) খলীফার প্রতি তার বায়আত
নবায়ন করেন ৷ উমর (রা) এর যুগে আলী (রা) ও আব্বাস (রা) তাদের কাছে এ সাদকার পুর্ণ
দাযিতু প্ৰদা বুনর জন্যে খলীফাবুক অনুরোধ জানান এবং কিছু সংখ্যক প্রবীণ সাহাবীদের মাধ্যবুম
খলীফার উপর চাপ সৃষ্টি করেন ৷ ৩ খন উমর (রা)৩ তাদেরকে এ দায়িতু প্রদানের সম্মত হলেন ৷
আর এটা সম্ভব হয়েছিল খলীফার কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়া এবং ইসলামী রাবুষ্ট্ৰর বিন্তুতি ও জন
সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে আলী (রা) তার চাচা আব্বাস (রা)-এর উপর প্রভাব
বিস্তার করেন এবং পরব৩ ত দৃজনই উমর (রা)-এর কাছে মুকাদ্দমা পেশ করেন ও তাদের
মতবিরোধ নিরসন কল্পে তাদের মধ্যে দায়িত্ব অর্পণ করার লবুক্ষ্য সুপারিশ করার জন্যে একজন
প্রবীণ সাহাবীবুক উদ্বুদ্ধ করেন ৷ যাতে তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ রণ্টনকৃত সম্পদের প্রতিই শুধু
লক্ষ্য রাখবেন অন্যজবুনর সম্পদের প্রতি দৃষ্টি দেবেন না ৷ কিন্তু উমর (রা) এটার কঠোর
বিরোধিতা করেন এবং আশংকা ব্যক্ত করেন যে, এটা পরবর্তীতে উত্তরাধিকার বণ্টবুনর রুপ ধারণ
করবে ৷ তিনি বললেন, “আপনারা দৃই জনই একত্রে এ সম্পদের বুদখাশুনা করেন, যদি আপনারা
অপরাগ হয়ে পড়েন তাহলে আমার কাবুছ৩ তা ফিরিয়ে দেবেন ৷ ঐ সত্তার শপথ, য র হুকুবুম
আসমান ও যমীন পরিচালিত ৩হবুয় থাকে ৷ আমি এ ব্যাপারে এটা ব্যতীত অন্য কোন সিদ্ধান্ত
দেবনা ৷ ” তারা ও তাদের পরে তাদের সন্তান-সম্ভতিগণ আব্বাসীয় যুগ পর্যন্ত এভাবে এ সম্পত্তির
দেখাশুনা করতে থাকেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেরুপ বনু নাযীবুরর পরিত্যক্ত সম্পদ, ফাদাবুকর
সম্পদ ও খায়বারে প্রাপ্ত রা সুলুল্লাহ্ (সা) এর অংশ খরচ করেছেন তারাও অনুরুপ খরচ করতে
থাকেন ৷
অযোদ্ধাদের দান প্রসঙ্গে
দাস ও ত্রীলােকদের মধ্যে যারা খায়বারে অংশ গ্রহণ করেছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে
গনীমতের সাল হতে কিছু সম্পদ প্রদান করেছিলেন; কিন্তু তাদেরকে সৈনিকদের ন্যায় যথারীতি
ৎশ প্রদান করেননি ৷
আবু দাউদ (রা) আহমদ ইবন হাম্বল আবুল লাহামের আযাদকৃত দাস উমায়র (রা)
সুত্রে বলেন, “আমি আমার মুনীবের সাথে খায়বার যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কারহ্নিনাম ৷ উপস্থিত সকলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আমার প্রশংসা করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে অনুমতি দিলেন ৷
তখন আমি একটি তরবারি ঝুলিয়ে নিলাম; কিন্তু আমি ছিলাম আমার মুনীবের ভৃত্য ৷ তাই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বখশিস স্বরুপ কিছু দান করলেন ৷
তিরমিযী (র ) এবং নাসাঈ (ব)-ও এ হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিযী (র) এ হাদীছটি হাসান
ও সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইবন মাজাও আলী ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে কিছু সংখ্যক শ্ৰীলোক খায়বার
অভিযানে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদেরকে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্দ সম্পদ) হতে
কিছু দান করেন; কিন্তু তাদেরকে সৈনিকদের ন্যায় যথারীতি অংশ প্রদান করেননি ৷ তিনি আরো
বলেন, সুলায়মান ইবন সুহায়ম বনুগিফারের একজন মহিলার ররাতে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, বনু গিফারের অন্যান্য মহিলাদের সাথে আমিও রাসুলুল্লাহ্ (না) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে
বললাম , “ইয়া রড়াসুলাল্লাহ, ! আমরা আপনার সাথে খায়বারের এ অভিযানে অংশ গ্রহণের জন্যে
বের হতে আগ্রহী, যাতে করে আমরা জখমীদের সেবা করতে পারি এবং সাধ্যমত আমরা
মুসলমানদের সাহায্য করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ধ্দু৷ ৷ দ্ভব্র)ট্রু ;;রু অর্থাৎ তাদেরকে
অনুমতি দিলেন, বললেন, তােমাদেরকে আল্লাহ বরকত দান করুন ! মহিলাটি বললেন, “আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ তিনি আরো বললেন, “আমি ছিলাম অপ্রাপ্ত বয়স্কা ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে তার সওয়ারীর পিছনে বসিয়ে নিলেন ৷ তিনি বলেন, “সকালের দিকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাওয়ারী হতে অবতরণ করলেন ৷ আমিও তার সওয়ারীর পিছন থেকে অবতরণ
করলাম ৷ সাথে সাথে আমি তাতে ঋতৃস্রড়ারের চিহ্ন দেখতে পেলাম ৷ আর এটাই ছিল আমার
প্রথম ঋতুস্রাব ৷ তিনি বলেন, তখন আমি উষ্টীর দিকে সংকােচিত হতে লাগলাম এবং অত্যন্ত
লজ্জাবাে ধ করতে লাগলড়াম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আমার জড়সড় অবস্থা ও আমার রক্ত দেখতে
পেলেন, তখন বললেন, তোমার কী হয়েছে ? মনে হয় ঋতুবতী হয়েছ ৷ আমি বললাম, “জী
ইভ্রা ৷” তিনি বললেন, “প্রথমত নিজকে সামলিয়ে নাও ৷ এরপর এক পাত্র পানি নাও এবং পানিতে
কিছু লবণ ঢেলে দাও ৷ এরপর এ লবণ পানি দিয়ে সওয়ারীর গদীটা ধুয়ে ফেল ৷ এরপর পুনরায়
তুমি সওয়ারীতে উঠ ৷ ” তিনি বলেন, যখন আল্লাহ তড়াআলা খায়বারের বিজয় দান করলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) থেকে কিছু কিছু দান করলেন এবং
আমার গলায় যে হারটি দেখতে পাচ্ছো, তা তিনিই আমাকে দান করেছিলেন এবং নিজ হাতে
তিনি এটা আমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহর শপথ, এ হারটি কখনও আমি হাতছড়াড়া
করবো না ৷ উল্লেখ থাকে যে, সত্যিই মৃত্যু পর্যন্ত এ হারটি তার গলায়ই ছিল ৷ তিনি ওসীয়ত
করে যান, যেন এ হারটিও তার সাথে দাফন করা হয় ৷ তিনি বলেন, যখনি তিনি হায়েয থেকে
পবিত্রতা অর্জন করতেন তখনি পানির সাথে লবণ মিশাতেন এবং শেষ পর্যন্ত একথা ওসীয়ত
করেন যে, তার যখন মৃত্যুর পর গোসল দেওয়া হবে তখনও যেন পানিতে লবণ দেওয়া হয় ৷
উপরোক্ত হাদীছটি আহমদ এবং আবুদাউদ ও মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক হতে বর্ণনা করেন ৷
“আমাদের ওস্তাদ আবুল হাজ্জাজ আল মিঘৃষী বলেন, ওয়াকিদী উমাইয়া ৰিনত আবুস
সালতের সনদে রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাসান ইবন মুসা হাশরাজ ইবন যিয়াদের দাদী সুত্রে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, “খড়ায়বার অভিযানে আমিও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর শংগী ছিলাম ৷ আর আমি ছয়জন
রমণীর ষষ্ঠা মহিলা ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন টের পেলেন যে, তার সাথে মহিলারা রয়েছেন,
আমাদের কাছে লোক পাঠালেন ও আমাদেরকে ডাকলেন ৷ তার কাছে উপ ত হয়ে তাকে আমরা
রাপাৰিত দেখতে পেলাম ৷ তিনি বললেন, “তোমরা কেন এসেছো এবং তোমরা করে হুকুমে
এসেছো ? আমরা বললড়াম , “আমরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে এসেছি ৷ আমরা যােদ্ধাদেরকে তীর
কুড়িয়ে দেবাে , ছাতু খাওয়ার এবং আমাদের সাথে রয়েছে আহতদেব জন্যে ঔষধপত্র ৷ আমরা
পযল গইিব , এভাবে আমরা আল্লাহর পথে সাহায্য সহায়তা করব ৷ রাবী বলেন, “এভাবে মহিলারা
অনুমতি নিলেন ও জিহাদের ময়দানে গেলেন ৷ উক্ত মহিলাটি বলেন, “আল্লাহ তাআলা যখন
আমাদেরকে খায়বারের বিজয় দান করলেন তখন পুরুষদের অংশের ন্যায় আমাদেরকেও অংশ
দেওয়া হয় ৷ ” রাবী বলেন, আমি তখন বললাম , হে দাদী ! তোমাদেরকে যা দেওয়া হয়েছিল, তা
কী ? বললেন, “খেজুর ৷
গ্রন্থকার বলেন, মহিলাদেরকে অস্থাবর সম্পদ থেকে কিছু দেওয়া হয়েছিল তবে তাদেরকে
পুরুষ সৈনিকদের ন্যায় কোন জমি অংশরুপে দেয়া হয়নি ৷ আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত ৷
হাফিয বায়হড়াকী (র) আবদুল্লাহ ইবন উনাইস এর বরাতে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে খায়বার অভিযানে বের হয়েছিলাম ৷ আমার সাথে ছিল
আমার গর্তবতী ত্রী ৷ রাস্তায় তার সন্তান তুমিষ্ঠ হয় ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে এ সংবাদ দিলে
তিনি তখন আমাকে বললেন, তার জন্যে খেজুর ভিজিয়ে রাখ, যখন ভাল করে ভিজবে তখন
তাকে সে পানি পান করতে বল ৷ সে অনুরুপ করল ৷ ফলে পরবর্তীতে সে কোন প্রকার অসুবিধার
সম্মুখীন হয়নি ৷ যখন আমরা খায়বার জয় করলাম হুয়ুর (সা) মহিলাদেরকে কিছু দান করলেন ৷
তিনি তাদেরকে গনীমতের পুর্ণ অংশ প্রদান করেন নাই ৷ আমার শ্রী ও সদ্য ভুমিষ্ঠ সন্তানকেও
কিছু উপহারস্বরুপ দেওয়া হল ৷ রাবী আবদুস সালাম বলেন, সন্তানটি ছেলে ছিল না মেয়ে , তা
আমার জানা নেই ৷
জা ফর ইৰ্ন আবু তালিব ও হাবশায় হিজরতকারী
মুসলমানদের প্রত্যত্বগমণের বিবরণ
ৰুখারী (র) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল আলা আবুমুসা আশআরী (রা)-এর সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, “আমরা যখন ইয়ামানে ছিলাম তখন রাসুলুল্পাহ (না)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির
খবর আমাদের কাছে পৌছে ৷ তাই আমরা তার কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়লাম ৷
আমার আরো দুইজন ভাই ছিল ৷ তাদের একজনের নাম আবুবুরদাহ্ এবং অন্য জনের নাম আবু
রুহম ৷ আমি ছিলাম সকলের ছোট ৷ আমরা ৫২ জন কিৎবা ৫৩ জন একই সম্প্রদায়ের লোক
ছিলাম ৷ আমরা নৌযানে আরোহণ করলাম ৷ নৌযানে আমরা হাবশার (বর্তমান ইথিওপিয়ার)
নাজ্জাশী বাদশাহর দরবারে পৌছলাম ৷ আমরা জাফর ইবন আবুতালিব (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ
করলাম ও তার সাথে দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করলাম ৷ পরে আমরা সকলে মিলে রওয়ানা
হলাম এবং খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে এসে মিলিত হলাম ৷ কিছু সংখ্যক
লোক আমাদের নৌযান আরোহীদেরকে লক্ষ্য করে বলতে লাপলেন যে, আমরা তোমাদের পুর্বে
হিজরত করেছি ৷ আমাদের সাথে যারা পৌছলেন তাদের মধ্য হতে আসমা বিনৃত উমাইস (বা)
একদিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফসা (রা)-এর ঘরে সাক্ষাতের জন্য গেলেন ৷ নাজ্জাশীর দেশে
হিজরতকারিণীদের মধ্যে আসমা (রা) ছিলেন অন্যতম ৷ একদা উমর (রা) হাফসা (বা) এর ঘরে
ঢুকলেন তখন আসমা (রা) ছিলেন হাফসা (রা) এর কাছে উপবিষ্ট ৷ আসমাকে দেখে উমর (রা)
বললেন, ইনি কে ? হাফসা (রা) বলেন, “ইনি আসমা বিনতে উমাইসা (বা) ৷ “ উমর (রা)
বললেন, এটা কি এ হাবশীয়৷ বাহরীয়া ? (অর্থাৎ সমুদ্র পথে হাবশা ভ্রমণকারিণী) ৷ আসমা (রা)
বললেন, “জী হয়” ৷ উমর (রা) বললেন, আমরা তোমাদের পুর্বে হিজরত করেছি ৷ সুতরাং
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার ৷ এ উক্তিতে আসমা রাপাম্বিত
হলেন এবং বললেন, “কখনও না, আল্লাহর শপথ, আপনারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে ছিলেন ৷
তিনি আপনাদের মধ্যকার ক্ষুধার্তকে খাবার প্রদান করতেন এবং আপনাদের অজ্ঞদেরকে নসীহত
করতেন ৷ অন্যদিকে আমরা ছিলাম দুরতম অপরিচিত দেশ হাবশায় ৷ আর এটা ছিল শুধুমাত্র
আল্লাহ ও রাসুলের পথে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি কোন কিছু পানাহড়ার করব না
যতক্ষণ না আপনি যা বলেছেন তা আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট উত্থাপন করব, আমি তাকে
তা’ জিজ্ঞেস করব ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি মিথ্যা বলব না, বাক্যে কোন প্রকার তারতম্য করব না
এবং অতিরিক্তও কিছু বলব না ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাশরীফ ভানেলেন ৷ আসমা (বা) বললেন,
হে আল্লাহর নবী (সা) ! উমর (রা) এরুপ এরুপ বলেছেন ৷ হুয়ুর (সা) বললেন : তুমি তাকে কী
বলেছ ? তিনি বললেন, আমি এরুপ এরুপ বলেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “তোমাদের
চেয়ে আমার কাছে অন্য কেউ বেশী হকদার বা প্রিয় নয় ৷ তার এবং তার সাথীদের জন্যে হল
একটি মাত্র হিজরত আর নৌযানে ভ্রমণকারী তোমাদের জন্যে হল দুটি হিজরত ৷” আসমা (রা)
বলেন, “এরপর আবু মুসা আশআরী (রা) ও অন্যান্য নৌযান ভ্রমণকারীদের দেখলাম তারা দলে
দলে আমার কাছে এসে এ কথোপকথন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করতেন ৷ তাদের কাছে দুনিয়ার কোন
জিনিসই রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ উক্তির ন্যায় এত আনন্দদায়ক ও এত তাৎপর্যবহ ছিল না ৷ আবু