তক্লো বলল, ইনি নবী হলে তো মারা যেতেন না ৷ আমি বললাম, তার আগের নবীপণও তো
ইনতিকাল করেছেন ৷ আমি আমার ইসলামে মযবুত থাকলাম এবং পরে এক সময় মদীনায়
উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম ৷ তখন আমি জনৈক ধর্যযাজকের কাছে গেলাম; মার মতামত না
নিয়ে আমরা কোন বিষয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতাম না ৷ আমি তাকে বললাম, আমাকে একটি বিষয়
অবহিত করুন, যায় আমি সংকল্প করেছি ৷ কিন্তু সে বিষয় আমার মনে কিছুটা দ্বিধা অংকুরিত
হয়েছে, তিনি বললেন, তুমি যে কোন একটি নাম আমাকে দাও ! আমি কাব’ নামটি তার
কাছে উপস্থাপন করলে তিনি একটি গ্রন্থ বের করে বললেন, নামটি এ গ্রন্থে রেখে দাও ! আমি
কাব নামটি তাতে রেখে দিলে তিনি তার পৃষ্ঠা উল্টাতে লাপলেন ৷ দেখলাম তাতে নবী কয়ীম
(সা)এর বর্ণনা রয়েছে ৷ যেমন আমি তাকে দেখেছি ৷ আরো দেখলাম যে, তাতে তার মৃত্যুর
সে সময়টিরও উল্লেখ রয়েছে যে দিন তিনি ইনতিকাল করেছিলেন ৷ কাব (বা) বলেন, ফলে
আমার ঈমানের অম্ভর্দুষ্টি আরো দৃঢ়তর হল এবং আমি আবু বকর (রা)-এর নিকটে গিয়ে
তাকে বিষয়টি অবহিত করলাম এবং তার নিকটে অবস্থান করলাম ৷ তিনি আমাকে (মিশরের
শাসনকর্তা) ঘুকাওকিসএর দরবারে পাঠালেন, আমি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম ৷ পরে
উমর ইবনুল খড়াত্তাব (বা)ও আমাকে তার দরবারে পাঠিয়েছিলেন ৷ আমি তীর চিঠি নিয়ে
মুকাওকিসের নিকটে গিয়েছিলড়াম ৷ আমি তার উপনীত হলাম ৷ ওদিকে ইয়ারমুকের
ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হল, কিন্তু সে বিষয়ে ভ্রর্হি অবগত ছিলাম না ৰু মুকম্বুওকিন আমাকে
বললেন, তুমি কি জান যে বিপ্ত হয়েছে এবং তাদের পরাস্ত
করেছে? আসি রললড়াম, কক্ষ: তিনি বললেন ? তো র্তার
নবী করীম (না)-কে এ ভোকর নির-হ্নম্ যে স্ব ধর্মের বিরনদ্ধ তদ্বকে বিজয় দান
করবেন এবং তিনি শুরড়ান্ র্ষিক্তজৌ ন্ন্-ন ম্বুকর্শ্বকস বললেন তোমাদের নবী তােমাদেরকে
সত্য কহুই র-ল্হ্নে ! “আন জাতির ন্যায় নিধ্নযজ্ঞের শিকার
হয়েছে ৰুব্ (বা ৷ ম্মেহ্নত্তিন্ তাদ্বাক রাসুলুল্লাহ (সা)-এর বিশিষ্ট সাহাবীদের
সম্পর্কে ক্রিজ্রন আং স্শ্বি তাকে ম্ববহিৎ ব্বলাম ৷ তিনি উমর (রা) ও অন্যান্যদের জন্য
উপচৌৰু মোঃ : অিনি ল্মন ম্মে উতৌঙ্ঘ পাঠিরেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন আলী,
আবদুর রহমদ্রন (হুবৃন ড্ডা) ও ফ্রান্সের (বা) (এবং সম্ভবত আদী (বা) এ স্থানে আব্বাস (রা)-
এব নামও ৷ কবে (বা) বলেছেন, জাহিলী যুগে আমি উমর (রা)-এর সংগে
কাপড়ের কলার অংশীদার ফ্লিম পরে যখন ভাতা নির্ধারণ করা হল এবং তাতাধারীদের
তালিকাভুজ্যি ন্সা দ্দৌত হল তখন বনু আদী ইবন কাব-এর তালিকায় আমার নামও
তাতপ্রেপষ্কেষ্ তিনি অন্তর্ভুক্ত ক্যলেন ৷ এ বিবরণটি বেশ বিরল প্রকৃতির এবং এতে বেশ
চমকাংন্ রহ্ট্ট করেছে এবং তা সনদের বিচারে বিশুদ্ধ ৷
অনুচ্ছেদ :-এর ণ্ডফাত পরবর্তী প্রাথমিক পরিস্থিতি
ল্দো ইবন্ৰ্ ইসহন্ক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলে আরবদের অনেকেই
ধ্র্বভ্রক্তইন্ন্ হতে লাগল, ইয়াহুদীবাদী ও খ্রীষ্টবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল এবং মুনাফিকরা নতুন
রুপে ন্মোকাশ করল ৷ নবীকে হারিয়ে তখন মুসলমানদের অবস্থা র্দড়োল প্রবল ভৈশতা
প্রবাহের রাতে বৃষ্টি ভেজা বকয়ী পড়ালের ন্যায় ৷ অবশেষে আল্লাহ তাদেরকে আবু বকর (র:)
এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করলেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেছেন, আবু উবায়দা (র) প্রমুখ
বিদ্বান মনীষীবর্গ বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্পাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে অধিকাংশ
মক্কাবাসী ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করল এবং তারা তাতে উদ্যতও
হয়েছিল ৷ এমন কি (মক্কার শাসন দায়িত্বে নিয়োজিত) আত্তাব ইবন আসীদ (বা) তাদের
ভয়ে আত্মগােপন করতে বাধ্য হলেন ৷ তখন সুহায়ল ইবন আমৃর (রা) বলিষ্ঠ ভুমিকা গ্রহণ
করেন এবং জনতার সামনে দাড়িয়ে এক মন্স্পির্শী ভাষণ দেন ৷ প্রথমে তিনি আল্পাহ্র হড়ামৃদ ও
ছানা আদায়ের পরে নবী করীম (না)-এর ইনতিকাল বিষয়টি উল্লেখ করে বললেন, এটা তো
ইসলামের শক্তিই বৃদ্ধি করেছে ৷ সুতরাং যারাই ঝামেলা সৃষ্টি করবে আমরা তাদের গর্দান
উড়িয়ে দেব ৷ এ ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় লোকেরা তাদের অন্যায় সংকল্প পরিত্যম্পো করে সৃষ্ট
জীবনে ফিরে আসতে লাগল ৷ আত্তাব ইবন আসীফ (রা)-ও আত্মপ্রকাশ ব্বালন ৷ নবী কব্রীম
(সা) সুহায়ল ইবন আমৃর (রা)-এর এ সাহসিকতাপুর্ণ অবস্থানের ভবিষ্যদ্বাণী করে ব্লেখেহািলন ৷
নবী করীম (সা) বদর যুদ্ধে সুহায়ল (রা) বন্দীরুভৈপ আনীত হলে উমর (রা) তার সামনের র্দাত
ভুলে দেয়ার ইংগিত ক্যালে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন, সম্ভবত সে একদিন এমন একটি
অবস্থানে র্দাড়াবে যার তুমি নিন্দা করতে পারবে না ৷
গ্রস্থুকারের বক্তব্য : পরবর্তী অনুচ্ছেদসমুহে নবী করীম (সা)-এর ওফাত পরবর্তী বিভিন্ন
পরিস্থিতি, আরবের অধিকাংশ গোত্রের রিদ্দা ও ধর্মত্যাগ ইয়ামামায় ভণ্ড নবী ঘুসায়লামা ইবন
হাবীবের অপ-তৎপরতা, ইয়ামানে আসওয়াদ আনসারী তৎপরতা; মহান ও সত্যনিষ্ঠ খলীফা
আবু বকর সিদ্দীক (না)-এর সযয়ােচিত দৃ৪সাহসী পদক্ষেপের ফলে তার প্রতি মুসলমানদের
সম্মিলিত আনুগত্যে প্ৰতাবর্ভন এবং শয়তানের প্ররোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের নির্বুদ্ধিতা ও চরম
অজ্ঞতাজনিত কর্মকাণ্ড বিশেষত র্ধম ত্যাগের হিড়িক হতে প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি প্রসংগে বিশদ
বিন্তুত ও প্রামাণ্য আলোচনা করা হবে ইনশা আল্লাহ্ তাআলা ৷
অনুচ্ছেদ : নবী করীম (না)-এর ওফাতে রচিত শোক পথােসমুহ
ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ রাসুলুল্পাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্পামের ওফাত উপলক্ষে
রচিত হাসৃসান ইবন ছুাবিত (রা)-এর একাধিক কাসীদা ও কবিতাসমষ্টি উল্লেখ উদ্ধৃত
করেছেন ৷ সে সবের মাঝে মহতুর, শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক বাশ্মীতাপুর্ণ পাথাঢি হল যা আবদুল
মালিক ইবন হিশাম (র) আবু যায়দ আনসাবী (র) সুত্রে হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) থেকে
আহরণ করেছেন ৷ এতে রাসুলুল্পাহ (না)-এর বিরহে শোক প্রকাশ করে “রাসুল কবি’ হাসৃসান
(রা) বলছেন,
তায়বা (পবিত্র ভুমি মদীনা)-য় রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা) স্মৃতি নিদর্শন ও প্রোজ্জল প্রতিষ্ঠান ৷
তবে নিদর্শন তো প্রায়শ মুছে যায় ও সমতলে বিলীন হয়ে যায় ৷
কিন্তু সে দারুল হুরবড়াত (মর্যদার ভুমি) হতে নিদর্শনসমুহ মুছে ফেলা যাবে না, যেখানে
রয়েছে হাদী (পথ প্ৰদর্শক)-এর মিনার, যাতে তিনি আরোহণ করতেন ৷