চলে আসত, তবে তারা মুক্ত “হয়ে যেত এবং মুহাজিরদের যে সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ছিল,
তারাও তা লাভ করত ৷ এরপর বর্ণনাকারী (আতা) চুক্তিবদ্ধ ঘৃশরিকদের প্রসংগে মুজাহিদের
অনুরুপ হড়াদীছ বর্ণনা করেছেন যা এখানে হুবহু বর্ণনা করা হল ৷ কোন হাবৃবী মুশবিক
মহিলা হিজরত করে আসলে ঋতুস্রাব হওয়া ও পুনরায় পাক না হওয়া পর্যন্ত তার কাছে
বিবাহের প্রস্তাব দেয়া যাবে না ৷” এ কথার অনিবার্য দ ৷বী হল একবারের ঋতুম্রার দ্বারা তার
জরায়ু পবিষ্কা র হয়ে যাবে ৷ তিনবার ঋতুস্রাব দ্বারা ইদ্দত পালন করার প্রয়োজন নেই ৷” একদল
আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন ৷ অনুরুপ “বিবাহের পুর্বেই যদি তার স্বামী হিজরত করে আসে
তবে তাকে ঐ স্বামীর কাছেই ফিরিয়ে দেয়া হবে” এই বাক্যটির দাবীও এই যে ইদ্দত ও
জরায়ু পরিষ্কার হওয়ার সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যতদিনপর্যম্ভ অন্যত্র বিবাহ না হবে
ততদিনের মধ্যে স্বামী হিজরত করে আসলে তার কাছেই মহিলাকে ফেরত দেয়া যাবে ৷
রাসুলুল্লাহ্র কন্যা যযনবের ঘটনা থেকে এ কথারই প্রমাণ মিলে একদল আলিম এ মতই পোষণ
করেন ৷
অনুচ্ছেদ
বদর যুদ্ধ সম্পর্কে রচিত বিভিন্ন কবিতা
বদর যুদ্ধ সম্পর্কে যে সব কবিতা রচিত হয়েছে তার মধ্যে ইবন ইসহড়াক হযরত হামযা
ইবন আবদুল মুত্তালিবের নিম্নলিখিত কবিতাটি উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু ইবন হিশাম একে
হামযার কবিতা বলতে অস্বীকার করেছেন ৷
হযরত হামযার কবিতা
(অর্থ) মি কি এমন বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করনি যা যুগের ব্লিস্মৃয় হিসেবে গণ্য ? আর মৃত্যুর
জন্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার স্পষ্ট উপকরণ ৷
আর এ ঘটনা এ ছাড়া আর কিছুই ছিল না যে ঐ সম্প্রদায়কে উপদেশ থেকে উপকৃত হতে
বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা অবাধ্যত৷ ও অস্বীকার করার মাধ্যমে উপদেশদাতার বিরুদ্ধাচরণ
করেছে ৷
ফলে সন্ধ্যাকালে তারা সদল বলে বদরের দিকে অগ্রসর হল এবং বদর প্রাতরের পাথুরে
ভুমিতে স্থায়ীভাবে অ টক ৷পড়ল
আমরা তো কেবল বাণিজ্য কাফিলার জন্যেই বেবিয়েছিলাম ৷ এ ছাড় আর কোন উদ্দেশ্য
আমাদের ছিল ন ৷৷ পক্ষান্তরে তারা আমাদের দিকে এগিয়ে এত্তুল৷ ৷ ফলে ঘটনাক্রমে তাদের
সাথে আমাদের সংঘর্ষ বেধে গেল ৷
আর যখন সংঘর্ষ বেধে গেল, তখন তাদের প্রতি ধুসর বর্ণেরতীক্ষ্ণ তীর নিক্ষেপ করা ছাড়া
আমাদের আর কোন পতন্তর ছিল না ৷
আর মন্তক ছোদ্নকারী অলংকার খচিত ঝকঝকে সাদা ধারাল তরবারি দ্বারা আঘাত করা
ব্যতীত কোন উপায় ছিল না ৷
আর পখভ্রপথভ্রষ্ট উত যাকে আমরা মাটির সাথে মিশিয়ে দিই এবং শায়বাকে অন্ধকুপের
মধ্যে নিহত দের মাঝে উপুড় করে নিক্ষেপ করি ৷
তাদের যে সব মিত্রর৷ মাটির সাথে মিশে গিয়েছে, আমরও সেই সাথে মাটির সাথে মিশে
গিয়েছে ৷ ফলে বিলাপকারিণীদের আমার আন্তীন আমরের শোকে ছিড়ে-ফেটে গিয়েছে ৷
আস্তীন বিদীর্ণকারী এসব মহিলা হচ্ছে ফিহ্র গোত্রের শাখা লু-আই ইবন পানির-এর স্ল্লাম্ভ
মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত ৷
এরা এমন এক সম্প্রদায়ের লোক, যারা নিজেদের ভ্রান্তপথে চলর কারণে নিহত হয়েছে ৷
তারা শেষ পর্যন্ত ঝাণ্ডা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে এবং পরাজয়বরণ করা পর্যন্ত তাদের
সাহায্যার্থে কেউ এগিয়ে আসেনি ৷
তাদের সে ঝাণ্ডা ছিল ভ্রষ্টতা ৷র প্রতীক ৷ আর তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল স্বয়ং ইবলীস ৷ অবশেষে
সে তাদের সাথে বিশ্ব৷ সঘাতকতা করে ৷ যে খবীছ, বিশ্বাসঘ৷ ৷তকতা করা তার নীতি ৷
যখন সে মুসলমানদের সাহায্যার্থে ফেরেশত ৷দের অবতরণ স্পষ্টভাবে দেখতে পেল, তখন
সে বলল, আমি তোমাদের থেকে পৃথক হয়ে গেলাম, আজ আর ধৈর্য-ধারণ করার ক্ষমত ৷
আমার সেই ৷
কেননা, আমি যা দেখতে পা ৷চ্ছি তােমরা তা দেখছো না ৷ আমি আল্লাহর শা ৷স্তির ভয় করছি,
কারণ, আল্লাহ পরাক্রমশালী ৷
সে তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, আর তারা তাতে আটকা পড়েছে ৷ সে যে
কথাটি তাদেরকে জানায়নি, ঐ কথাটি সে ভাল করেই জানতে৷ ৷
যে প্ৰভাতকালে তারা বদরের ক্যুপ পৌছায়, তখন তাদের সংখ্যা ছিল এক হাযার ৷ অন্য
দিকে আমাদের দলে ছিল শুভ্র রং বিশিষ্ট নব উটের ন্যায় তেজােদীপ্ত তিনশ’ যোদ্ধ৷ ৷
আর আমাদের মাঝে ছিল আল্লাহর প্রেরিত সৈনিকগণ ৷ র্তার৷ বদরে আমাদেরকে শত্রুদের
মুকাবিলায় সাহায্য করছিলেন ৷ এরপর এ কথা সর্বত্র আলোচিত হতে থাকে ৷
জিবরাঈল ফেরেশতা আমাদের পতাকড়াতলে থেকে তাদেরকে এক সংকীর্ণ স্থানে এমন
কঠে৷ ৷র আঘা ৷ত হানেন যে, তাদের উপর দিয়ে মৃতু ভ্যুর হিম শীতল বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে ৷
এই কবিত ৷র জবাবে রচিত হারিছ ইবন হিশামের কবিতার কথা ইবন ইসহাক উল্লেখ
করেছেন ৷ আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে তা বাদ দিয়েছি ৷
হযরত আলী (না)-এর কবিতা
বদর যুদ্ধ সম্পর্কে আ ৷লী ইবন আবৃত তালিব নিম্নলিখিত কবিতা রচনা করেন ৷ অবশ্য ইবন
হিশাম একে অস্বীকার করেছেন ৷