কথা শুনে মুআয (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আসন্ন ৰিরহ আশঙ্কায় কেদে ফেললেন ৷ তারপর
ৰিবগ্ন বদলে মদীনায় পানে দৃষ্টি ঘোরালেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন-
“আমার অধিকতর সাব্লিধ্যের লোক হল যুত্তাকীরা ৷ তারা যে কোন দেশ গোত্রের হোক
এবং যেখানে থাকুক না কেন ৷ আহমদ (র) পরবর্তী রিওয়ায়াত নিয়েছেন আবুল ইয়ামান
(র)আসিম ইবন হুমারদ আস সাকুনী (র) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তাতে
অতিরিক্ত আছে তখন আরো বলেছিলেন-
া:হ মুআয! কেদাে না, কান্নার অনেক উপযোগী সময় রয়েছে ! (তা ছাড়া) কান্না মুলত
শয়তানের পক্ষ থেকে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবুল মুগীরা (র) মুআয (না)
থেকে এ মর্মে যে, তিনি বলতেন, রাসুলুস্লাহ্ (সা) আমাকে ইরামানে পাঠালেন ৷ তিনি আমাকে
বললেন,
হয়ত, তুমি আমার কবর ও মসজিদের পাশ দিয়ে পথ চলবে; তোমাকে আমি এমন একটি
সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাচ্ছি যাদের হৃদয় কোমল, যারা ন্যারের ভিত্তিতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়
(কথাটি তিনি দৃ’বার বললেন) ৷ সুতরাং তাদের মাঝে যারা তোমার অনুণামী হয়ে তাদের
সহায়তা নিয়ে তাদের মধ্যকার অবাধ্যদের সাথে যুদ্ধ করবে ৷ ফলে তারা ইসলামের দিকে
ফিরে আসবে ৷ এমন কি শ্রী তার স্বামীর সাথে, সন্তান তার জনকের সাথে এবং তইি ভাইয়ের
সাথে প্রতিযোগীতা করে দীনের পথে ফিরে আসবে ৷ তুমি সাকুন’ ও সাকাসিক’ পােত্রদ্বরের
মাঝে অবস্থান করবে ৷
এ হাদীসে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে মুআয (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
মিলিত হওয়ার অবকাশ পাবেন না ৷ বাস্তবেও তাই ঘটেছিল ৷ কেননা, বিদায় হজ্জ পর্যন্ত মুআয
(রা) ইয়ামড়ানেই অবস্থানরত ছিলেন ৷ এদিকে হচ্ছে আকবর (বিদায় হজ্জএর একাশি দিন
পরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত হয়ে যায় ৷ তাই যে সব হাদীসে এর বিপরীত বর্ণনা পরিদৃষ্ট
হয় যেমন, ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র)মুআয (রা) থেকে বর্ণনা করেন এ মর্মে
যে, তিনি ইয়ামান থেকে ফিরে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমি ইয়ামানে কিছু লোক
এমন দেখেছি যারা একে অন্যকে সিজদা করে ৷ আমরাও কি আপনাকে সিজদা করবো না ?
তিনি বললেন-
“আমি কোন মানুষকে অন্য কোন মানুষের সামনে সিজদাবনত হওয়ার হুকুম করতে চইিলে
দ্রীদের হুকুম দিতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে ৷” আহমদ (র) এ হাদীসখানা
ইবন নুমায়র (ব)মুআয ইবন জ্যবাল (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ম্বআয (রা) ইয়ামান
থেকে ফিরে এলেন ৷ তিনি বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু আমি কিছু লোককে দেখেছি (অনুরুপ
অর্থমম্পন্ন) এ বর্ণনা ন্স্পের্কে আমাদের বক্তব্য ৷ হাদীসটি ঘুরে ফিরে জভৈনক ব্যক্তি’ অর্থাৎ
নাম-পরিচয় অজ্ঞাত এক ব্যজ্যি সুত্র মাধ্যমে ৰিবৃত হচ্ছে ৷ আর এ ধরনের বর্ণনা তেমন
প্রামাণ্য বলে স্বীকৃত ৩নর ৷ বিশেষত এর বিপরীতে নির্তরখেগ্যে ও উল্লেখযোগ্য বড়াবীদের বর্ণনা
বিদ্যমান ৷ তাদের মতে যুআব যখন শাম (সিরিয়া ) থেকে ফিরে এলেন এটা তখনকার ঘটনা,
(ইয়ামান থেকে প্রত্যাবর্তনের পরের ঘটনা নয় ৷)
আহমদ (র)-এর অন্যান্য প্রাসঙ্গিক রিওয়ায়ত ইব্রাহীম ইবন মাহ্দী (ব)যুআয ইবন
জাবড়াল (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন
” “জান্নড়াতের চাবিগুচ্ছ এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, এক আল্লাহ ব্যতীত
আর কোন ইলাহ্ নেই ৷”
ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী (র)ফ্লুআয (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেনরুিগু
”হে ঘুআয ! মন্দেব পিছনে তলে করবে, তার তাল মন্দকে’ মুছে দেবে; মান্যুবর সাথে
উত্তম আচরণ করবে ৷” ওয়াকী (র) বলেন, আমার পাণ্ডুলিপিতে দেখলাম “আবু যার (রা)
থেকে অর্থাৎ (সম্ভবত) প্রথমবড়ারে র্তার কাছে শুনেছিলেন ৷ (ওমাকী (র) এর শায়খ) সুফিয়ান
(র) মাঝে মাঝে বলতেন “মুআয (বা) থেকে, (অর্থাৎ তার কাছ থেকেও সম্ভবত এ হাদীসের
রিওয়ায়াত রয়েছে) ৷
পরবর্তী রিওয়ায়াতে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইসমাঈল (র)যুআযং (বা) থেকে, তিনি
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে উপদেশ দিন ৷ তিনি বললেন
“যেখানেই থাক আল্লাহ্কে ভয় করে চলবে ৷” যুআব বললেন, আরাে কিছু বলুন ৷ তিনি
বললেন, “মন্দ করার পরে ভাল করবে, ভাল মন্দকে মুছে দিয়ে ৷” ঘুআয (রা) বললেন, আরো
কিছু বলুন ৷ তিনি বললেন, মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণ করবে ৷” তিরঘিযী (র) তীর আল-
জ্যমি গ্রন্থে এ হাদীস মাহমুদ ইবন পারলাম (র) থেকে উক্ত সনদে রিওয়ায়াত করেছেন এবং
মন্তব্য করেছেন, হাসান’ উত্তম ৷
আতরড়াফ এ আমাদের শারখ বলেছেন, এ হাদীসের অনৃপামী হাসানী (৩ তড়াবী) রিওমায়াত
পাওয়া যায় ফুমায়ল (র)হাবীব (ব) মাধ্যমে উংল্লখিত সনদে ৷
আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবুল ইয়ামান (ব) যুআয ইবন জ্যবাল (বা) থেকে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে দশটি বিষয়ের বিশেষ উপদেশ দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন-
১ মানুষ মানুষকে সিজদা করার বিষয় ইয়ামানের তুলনায় অধিকতর পারস্য স স্কৃতি প্রভাবিত শাক্ষুমর
ক্ষেত্রেই অধিকতর সমীচীন ৷ তবে কোন হাদীছ ৰিশারদের মতে ঘুআরের একবারের প্রড্যামমন স্বীকৃত এবং
রাসুল (সা) এর ভবিষ্যদ্বাণী এ প্রত্যাপমনের পরবর্তী গমনকষ্কলে প্রযোজ্য ৷
১ আল্লাহর সাথে কা ৷উকে ৷রীক করবে না; তোমাকে খুন করা হলেও, তোমাকে পুড়িয়ে
মারা হলেও;
, ২ তােমড়ার পিতামাতড়ার অবাধ্য হবে না যদিও তারা তোমাকে তোমার শ্রী পরিজন ও
সহায়-সম্পত্তি হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আদেশ করেন;
৩ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও ফরয সালাত বর্জন করবে না ৷ কেননা, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভারে
ফরম সালাত বর্জন করে, তার ব্যাপারে আল্লাহ্র যিম্মা ও নিরাপত্তা রহিত হয়ে যায়;
৪ কখনো মদ পান করবে না; কেননা, মদই সব পাপ ও অশ্লীলতার মুল;
৫ পাপ হতে দুরে থাকবে ৷ কেননা, পাপ আল্লাহর ক্রোধ’ অবতারণ করে; ৬ কখনো যুদ্ধ
ক্ষেত্রে থেকে পলায়ন বহ্ববে না যদিও মানুষ মরতে থাকে;
৭ যখন মানুষ (মহামরীি আকারে) ব্যাপক মৃত্যুতে আক্রান্ত হয় এর ৎ তৃনিও তাদের মাঝে
অবস্থানরত হও, তখন অবিচল থাকবে;
৮ ৰুতামার সাধ্য-সামর্থ্য অনুপাতে তোমার পরিজনের ব্যয় নির্বাহ করলে;
৯ অধীনস্থদের গ্রিষ্টিড়াচার শিক্ষাদানে শৈথিল্য দেখাবে না এবং
১০ মহান মহীয়ান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান উদ্দেশ্যে পরিবার-পরিজনদের ভালবাসার ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, ইউনুস (র)যুআয ইবন জাবাল (বা) থেকে বর্ণনা
করেন, এ মর্মে যে, তাকে ইয়ামানে পাঠাৰার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, ’ ৰিলাসিতা
থেকে তুমি আত্মরক্ষা করে চলবে; কেননা, আল্লাহর বান্দাগণ এতটুকুও বিলাসী হন না ৷
আহমদ (র) আরো বলেন, সুলায়মান (র)মুআয (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তড়াকে ইয়ামড়ানে পাঠালেন এবং আমাকে নির্দেশ দিলেন যেন প্রত্যেক প্রাপ্ত
বয়স্ক ব্যক্তির নিকট থেকে এক দীনার (জিঘৃয়া) আদায় করি কিংবা তার সমমুল্যের
মা৩া৷ফির’২ নিতে ৩বললেন ৷ আর প্রতি চল্লিশটি গরুতে একটি মুসিন্ন৷ (৩ তভীয় বছরে পড়েছে
এমন) এবং প্ৰতি ত্রিশটি গরুতে একটি ভারী ৷ (দ্বিতীয় বছরে পড়েছে এমন বয়সের) গরু
(যাকাত) উসুল করার আদেশ দিলেন ৷ আর বৃষ্টির পানিতে সেচকৃত জমির উৎপন্ন ফসল হতে
বিশ ভাগের এক ভাগ আদায় করার আদেশ দিলেন ৷ আবু দ ৷উদ (র) আবু মুআবিয়া (র)
থেকে এবং নাসাঈ (র) মুহাম্মদ ইবনঃ ইসহাক (র) থেকে উল্লিখিত রুপে এ হাদীস রিওয়ায়াত
২ মাআফিয় ) ইয়ামানে তৈরি কাপড় বিশেষ মিহিন আট৷ বা ছাতু বা পােষণযোগ্য যে কোন শষ্যবীজ ৷
করেছেন ৷ চার সুনান গ্রন্থের ও ইবন মাজা সঙ্কলক ইমামণ ণ এ হাদীসখানা, আমাশ (র)
মুআয (বা) থেকে একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আহমদ (র) বলেন, যুআবিয়া (র)ঘুআয (বা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
ইয়ামানবাসীদের যাকাত উসুল করার কাজে পাঠালেন ৷ তিনি আমাকে হুকুম দিলেন যেন গরুর
প্ৰতি ত্রিশ সং খ্যা থেকে একটি করে তাবী আদায় করি ৷ হারুন (র) বলেন,ত তাবী হল জায৷ বা
জাযাআ (দ্বিতীয় বছরে পদার্পণকায়ী নয় বা মাদী বাছুর) ৷ আর প্রতি চল্লিশ সংখ্যা থেকে একটি
করে মুসিন্ন৷ (ত ততীয় বছরে পদার্পণকারী পাভী) আদায় করি ৷ ইয়ামানবাসীর৷ আমাকে চল্লিশ ও
পঞ্চাশের মধ্যবর্তী, বাট ও সতুরের মধ্যবর্তী এবং আশি ও নব্বই এর মধ্যবর্তী একক সং থ্যা
হতেও যাকাত গ্রহণের প্রস্তাব দিল ৷ কিন্তু আমি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানা লাম ৷ আমি তাদের
বললাম, আমি এ বিষয় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে জিজ্ঞেস করে দেখব ৷ ণ্
আমি এসে নবী করীম (সা) কে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি আমাকে প্রতি ত্রিশটি হতে
একটি ভারী, প্রতি চল্লিশটি হতে একটি মুসিন্না, যটিটি হতে দুটি তাবী , সতুরটি হতে একটি
মুসিন্ন৷ ও একটি ভারী, আশিটি হতে ৩দুটি ঘুসিন্না, ৷নব্বইটি হতে৩ তিনটি যুসিন্না,এ একশ’টি হতে
একটি ঘুসিন্ন৷ ও দুটি তাবী, একশ দশটি হতে দু টি মুসিন্ন৷ ও একটি ভারী এবং একশ ৷’বিশটি
হতে তিনটি মুসিন্ন৷ ৷অথবা চারটি তাবী গ্রহণে র নির্দেশ দিলেন ৷ ঘুআয (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে হুকুম করলেন আমি যেন মধ্যবর্তী একক ও তান ৷ ৎখ্যা থেকে কিইে উসৃল না
করি, যতক্ষণ না মুসিন্ন৷ বা জায৷ (ত ৷ৰী ) ধার্য হওয়ার সং থ্যায় উপনীত তহয় ৷ তিনি এ কথাও
বলেছেন যে, আওকাস ( )এ নিধস্লিত যাকাত নেই ৷ এ হাদীস ইমাম আহমদ (র)-
এর একক বর্ণিত ৷ এ হাদীস প্রতীয়মান করে যে, মুআয (বা) ইয়ামানে যাওয়ার পরে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ফিরে এসেছিলেন ৷ তবে বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে তিনি ইয়ামান যাওয়ার
পরে আর নবী কৰীম (সা) কে দেখার সুযোগ প্া৷ন নি ( যেমন পুর্ববর্তী হাদীসে ৰিবৃত হয়েছে) ৷
এছাড়া আবদুর রাঘৃযাক (ব) বলেছেন, মামার (ব)উবাই ইবন কাব ইবন মালিক (বা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মুআয ইবন জাবাল (বা) ছিলেন আদর্শ ও সুশ্ৰী দানশীল
তরুণ গোত্রের শ্রেষ্ঠ তকণদের অন্যতম ৷ কেউ তার কাছে হাত থেকে ৰিঘুখ হত না ৷ ফলে
তিনি ঋণত৷ ৷রে জর্জরিত হয়ে পতণোণ ৷ তা৷ পাওনাপারত্রের শান্ত করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর কাছে আরেঞ্চা করলেন ৷ রাসুণুমাং (না) সে পাওনাদারদের কাছে সুপারিশ করলেন ৷
কিন্তু তারা পাওন৷ কমাতে সম্মত হল না ৷ কারো কথায় যদি কারো করয রইি৩করণ বিধি ব ও
ও আইনত জরুরী হত তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কথার যুআয়ের জন্য অবশ ৷৷ই তা রহিত
হত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ( না) তাকে ডেকে এনেত তার সহায় সম্পদ বেচে দিয়েত
পাওনদ্যোরদের মাঝে বন্টন করে দিতে লা ৷ণলেন ৷ বর্ণনাকরী বলেন, যুআয (বা) তখন রিক্তহস্ত
হয়ে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হরুজ্জর উদ্দেশ্যে গমনের প্রাক্কালে ঘুআয (বা)-কে ইয়ামানে
(শাসক নিয়োগ করে) পাঠালেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মুআয (বা) হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি
(রাসুলের অনুমতি নিয়ে) সর্বপ্রথম এ রাষ্টীয় সম্পদ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করলেন ৷ বংনািকাবী
১ একবচনে খুত বা দোষ ও ব্যাধিগ্রস্ত পশু; দুই দশকের মধ্যবর্তী একক ও ভগ্নসংথ্যা ৷
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের পরে আবু বকর (রা) খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণের
পরে মুআয (রা) ইয়ড়ামান থেকে তার কাছে আসলেন ৷ উমর (রা) তার কাছে এসে বললেন,
তুমি আমার পরামর্শ (মনে চললে আমি বলব যে, এসব সম্পদ আবু বকর (রা)-এর হাতে
তুলে দাও, তিনি তোমাকে দিয়ে দিলে তখন তা নিয়ে নেবে ৷ ঘুআয (রা) বললেন, আমি
তাকে দিতে যাব কেন? রাসুলুল্লাহ্ (না) তো আমার ক্ষতিপুরণের উদ্দেশ্যেই আমাকে নিয়োগ
করে পাঠিয়েছিলেন ৷ মুআয (রা) অস্বীকৃত হলে উমর (রা) আবু বকর (রা)-এর কাছে গিয়ে
বললেন, এ ল্যেকটির কাছে খবর পাঠিয়ে তার আহরিত সম্পদের অংশ বিশেষ (বায়তুল
সালে) নিয়ে নিন এবং কিছু অংশের তাকে অনুমতি দিয়ে দিন ৷ আবু বব্ব (রা) বললেন, আমি
তা করতে যাচ্ছি না ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পুনবসািনর উঃদ্দশেইি-তাকে নিয়োগ করে
পুড়াঠিয়েছিলেন ৷ সুতরাং তার কাছ থেকে আমি কিছুই (নব না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, পরদিন সকালে মুআয (বা) উমর (না)-এর কাছে গিয়ে বললেন, আপনি
যা বলেছিলেন, তা করা ব্যতিরেকে আমার কোন ণত্যন্তর নেই দেখছি! আমি গত রাতে স্বপ্নে
দেখলাম (পরবর্তী বর্ণনার আবদুর রন্বৃষ্যক (র)-এর ধারণা মতে) আমাকে জাহান্নড়ামের দিকে
টেনে হেচড়ে নেয়া হচ্ছে আর আপনি আমার কােমর ধরে রেখেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, যুআম
(রা) তার সঞ্চিত সযুদর সম্পদ নিয়ে আবু বব্ব (রা)-এর কাছে আসলেন ৷ এমনকি তিনি
তার ব্যবহারের লাঠিটিও বাদ দিলেন না এবং কমন করে বললেন যে, তিনি কোন কিছুই
গোপন করে রাখেন নি ৷ বপনাকারী বলেন, তখন আবুবকঃ (বা) বলেন, “ওসব তােমাব্রই;
আমি তার কিছুই নিচ্ছি না ৷ আবু ছাওর (র)কাব ইবন মালিক (বা) সুত্রে এটি ৰিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তবে তার বংনািতে অতিরিক্ত আছে যে, অবশেষে মক্কা বিজয়ের সময় এলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুআম (রা)-কে ইয়ড়ামানের একটি অঞ্চলের শাসনকর্তারুপে পাঠালেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন ৷ তারপর আবু বকর (রা)-এর
খিলাফতকালও অতিক্রাম্ভ হল ৷ এরপরে তিনি সিরিয়া অভিমুখে চলে যান ৷
বায়হাকী বলেন, একথা আমরা আগেই আলোচনা করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কাবাসীদের তালীমের উদ্দেশ্যে আত্তাব ইবন আসীদ (রা)-এর সাথে ঘুআয (রা)-কে মক্কায়
প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন ৷ এছাড়া তিনি তাবুক অভিযানেও অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷
অতএব ইয়ামড়ানে তার নিযুক্তি তাবুকের পরে হওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷
পরবর্তী বণ্নািয় বায়হাকী (র) মুআয (রা)-এর স্বপ্ন সম্পর্কিত ঘটনার একটি সমথকি বর্ণনা
(শাহিদ) উল্লেখ করেছেন ৷ অড়ামড়াশ (র) সুত্রেআবদুল্লাহ্ (না) থেকে বর্ণিত তাতে একথাও
রয়েছে যে, জর আনীত সম্পদের মাঝে কিছু পােলামও ছিল এবং সেগুলোও তিনি আবু বকর
(রা)-এর কাছে উপস্থিত করেছিলেন ৷ আবু বকর (রা) তাকে সমুদর সম্পদ ফিরিয়ে দিলে
তিনি গোলড়ামগুলোও ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন ৷ তারপর তিনি সালাতে র্দাড়ালে গোলামরাও সকলে
তার সাথে সালাতে দাড়িয়ে গেল ৷ সালাত শেষ করে তিনি বললেন, তোমরা কার উদ্দেশ্যে
সালাত আদায় করেছ? তারা বলল, “আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ৷” তিনি বললেন, তাহলে তোমরা
তারই উদ্দেশ্যে মুক্ত ও আযাদ ৷ অর্থাৎ তিনি সকলকেই যুক্ত করে দিলেন ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৮৯
ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহম্মেদ ইবন জাকর (র)হিম্স এর বাসিন্দা মুআয (রা)-
এর কতক শাগরিদের বরাতে হযরত মুআয (বা) হতে বচ্নাি করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
র্তাকে ইয়ামানে নিয়োগ দিয়ে পাঠাবার সময় বললেন কোন বিষয় কায়সালা দেয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে তুমি কোন পস্থায় কাও৷ কর রে ? ” তিনি
বললেন, “আল্লাহর কিভাবে যেমন আছে, তেমন কায়সালা করব ৷ নবী কয়ীম (সা) বললেন,
—ডাঃ যদি আল্লাহর কিভাবে ৰিষয়ড়াদির সমাধান না থাকে ? তিনি
বললেন, তবে আল্লাহর রাসুলের সৃন্নাহ্ অনুসরণ করব ৷ নবী কৰীম (সা ) বললেন
এ আল্লাহর রাসৃলের সৃন্নড়াহ্ণ্ এ যদি তা না থাকে ? তিনি বললেন, আমি
তখন আমার (বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে) ইজতিহাদ’ করব ৷ এতে আমি ত্রুটি করবো না ৷ মুআয
(রা) বলেন, এ কথায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার বুকে থাপ্পড় দিয়ে বললেন-
“সব হামুদ সে আল্লাহর যিনি রাসুলুল্লাহ্র মনোনীত দুতকে এমন বিষয়ের তাওফীক
দিয়েছেন যার প্রতি রয়েছে আল্লাহর রাসুলের সন্তুষ্টি ৷ ” আহমদ (র) এ হাদীস ওয়ড়াকী (র)
শুবা (র) সুত্রেও উল্লিখিত সনদ ও শব্দে রিওয়য়োত করেছেন ৷ আবু দাউদ ও তিরমিযী শুবা
থেকে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী মন্তব্য করেছেন, এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন
মাধ্যমে আমরা এ হাদীসটি পাই নি এবং আমার মতে এ সনদ মুত্তাসিল’ নয় ৷ ইবন মাজা (র)
শুরা সুত্রে একটি দুর্বল সুত্রে এ হাদীসখানড়া রিওযয়ােত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) প্রাসঙ্গিক বচ্নািয বলেন, মুহাম্মদ ইবন জা কর ও ইয়ড়াহ্য়া সাঈদ
(র) আবুল আসওয়াদ আদ্-দীলী (র) থেকে, তিনি বলেন, মুআয (রা) ইরামানে
অবস্থানকালে জনৈক ইয়াহুদীর মীরাছের ৰিযয়ে র্তার কাছে উত্থাপন করা হল ৷ ইয়াহুদী তার
এক মুসলমান ভাইকে রেখে মারা গিয়েছিল ৷ মুআয (রা) বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা )
তো বলেছেন “ইসলাম বাড়িয়ে দেয় , কমিয়ে দেয় না ৷ ” এ মুল
বিধির ভিত্তিতে তিনি মুসলমান ভাইকে মৃত কাফির ভাইয়ের মীরাছের অধিকার দিলেন ৷ আবু
দাউদ (র) ইবন বুরাযদা (র ) সুত্রে উল্লিখিত সনদে এ হাদীসখানা রিওয়ারাত করেছেন ৷
তিনি মুআৰিয়া ইবন সুফিরান (রা) থেকেও এ মাযহড়াব উদ্ধৃত করেছেন এবং কাষী ইরাহ্রা
ইবন মামার (র) ও পুর্বসুবী ধর্মরেত্তাগঃণর একটি দল থেকে এরুপ অভিমত বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমামগণের মাঝে ইসহ্যক ইবন রাহওরড়ায়হও এ অভিমত পোষণ করেছেন ৷
তবে জমহুর এ মতের বিরোধিতা করেছেন ৷ চার ইমাম এবং র্তাদের অনুসারী শাগরিদগ ণ
এ বিরোধী মতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ৷ র্তাদের দলীল হল বৃখারী ও মুসলিমের বিশুদ্ধ
রিওয়ায়াত ৷ উসড়ামা ইবন যদ্বয়দ (রা) থেকে বর্ণিত, তাতে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )
বলেছেন )কাফির মুসলমানের ওয়ারিছ হয়ে না ;
মুসলমানও কাফিরেব মীরাছ পাবে না ৷
এ আলোচনার মুখ্য উদ্দেশ্য এ কথা প্রমাণ করা যে, মুআয (রা) ইয়ামানে নবী করীম
(সা) এর পক্ষ হতে কাযী ও যুদ্ধবিগ্রহে হাকিম এবং যাকাতের উসুলকারী ছিলেন ৷ পুর্বোল্লিখিত
৫০ শে)
ইবন আব্বাস (র৷ ) এর হাদীসের মর্মানুসাংর ঐ এলাকার যাকাত তার কাছেই সংগৃহীত হত ৷
এছাড়াও তিনি জনসমড়াজে বিশে গ্রেষ্ঠরু তুর অধিকারী ছিলেন বিধায় পাচ ওয়াক্ত সালাতে তাদের
ইমামতিও করভ্রু৩ ন ৷ যেমনটি বৃখারী (র) এর বর্ণনার রয়েছে ৷ সৃলামমান ইবন হাবব
(র)আমর ইবন মায়মুন (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, মু আয (রা ) ইয়ামানে আগমন করলে
তাদের ফজবের নামাযে ইমামতি করলেন এবং সালাতে তিনি
(আল্লাহ্ ইবরাহীম (আ)-কে খলীলরুপে বরণ করেছেন) আয়ড়াতটি তিলাওয়াত করলে উপস্থিত
মুসল্লীদের একজন বলল, ইবরড়াহীম (আ) এর চোখ জুড়িয়েছে
বটে ৷ ’ এ হাদীস বুখারী (র)এর একাকী’ বর্ণিত ৷
বুখারী (র) এর পরবর্তী বর্ণনা-
বিদায় হতজ্জর পুর্বে হযরত আলী ও খালিদ ইবনুল
ওয়ালীদকে ইয়ামানে নিয়োগ প্রসঙ্গ
আহমদ ইবন উসমান (র)আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বারা
ইবন আমির (রা)ং£ক আমি বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবনুল ওলীদ (রা)এর
সাথে আমাদেরকে ইয়ামানে পাঠালেন ৷ বার৷ (রা) বলেন, পরে আলী (রা)-(ক খালিদ (রা)
এর স্থলাভিষিক্ত করে পাঠালেন এবং তাকে এ করমান দিলেন খালিদের সহযোগী বাহিনীকে
বলবে, তাদের মাঝে যার ইচ্ছা তোমার সাথে সেখানে থেকে যেতে পারবে, আর কারো মনে
চাইলে সে চলে আদতেও পারবে ৷ (বর্ণনাকারী বলেন) আমি ছিলাম আলী (রা)-এর সাথে বয়ে
যাওয়া দলের একজন ৷ এ অভিযানে আমি বেশ কতক উকির৷ করি ৷ এ
সুত্রে হাদীসটি বুখারী (র) এর একক বর্ণনা ৷
বুখারী (র) এর পরবর্তী বর্ণনা ও মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার (র)বুরায়দ৷ সুত্রে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন যে, নবী কৰীম (সা) গনীমতের খুমুস’ (বায়তুল মালের জন্য নির্ধারিত পঞ্চমাৎশ)
উসুল করার উদ্দেশ্যে আলী (রা) কে (ইয়ড়ামানে অবস্থানরত) খালিদ ইবনুল ওলীদ (রা)-এর
কাছে পাঠালেন ৷ আমি আলী (রা)- পদন্দ করতাম না ৷ সকালে দেখলাম , আলী (রা)
গোসল করে এসেছেন ৷ ১ আমি খালিদ (রা)£ক বললাম, এ লোবল্টার কাণ্ড কারখানা দেখঃছেন
না প্ আমরা ৷নবী করীম (সা) এর কাছে ফিরে আসলে আমি বিষরটি তার কাছে উত্থাপন
করলাম ৷ তিনি বললেন, বৃরায়দা! তুমি আলীর প্ৰতি বৈরিত৷ পোষণ কর? আমি বললাম, জী
হা ৷ নবী করীম (সা) বললেন, তার প্রতি
ৰিদ্বিষ্ট হয়াে না, কেননা, গনীমতেরপ্ পঞ্চমাৎশে তার আরো ৷অঘিক অধিকার রয়েছে ৷ এ সুত্রেও
এটি বুখারী একক বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইরাহ্য়া ইবন সাঈদ (র)(আবু মিজলাম (র) ও বুরায়দা
(রড়া)-এর দুই ছেলের উপস্থিতিতে এ কটি মজলিসে) আবদুল্লাহ্ ইবন বৃরায়দ৷ (রা) বললেন,
আবু (?) বরারদ৷ (রা) আমাকে হাদীস শুনিরেছেন, তিনি বলেন, আমি আলী (বা)-এর প্রতি
১ অর্থাৎ রাতে তিনি গনীমতে প্রাপ্ত বাদী ব্যবহার করেছেন ৷ অনৃবড়াদক
এতই বিদ্বেষ পোষণ করতাম যে, আর কখনো আমি কারো প্ৰতি অত ৰিদ্বেষ পোষণ করি নি ৷
তিনি এও বললেন যে, আমি কুরায়শী এক ব্যক্তিকে শুধু এ জন্য ভালরাসতাম যে, তিনি আলী
(রা)এর প্ৰতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন ৷ বর্ণনড়াকারী (বুরায়দা) বলেন, যে কুরায়শী লোকটিকে
একদল ঘোড় সওয়ারের অধিনায়ক করে পাঠানো হলে আমি তার সঙ্গী হলড়াম ৷ আলী (রা) এর
প্ৰতি তীর ৰিদ্বেষই আমাকে তীর সান্নিধ্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা কিছু
যুদ্ধবন্দী পেয়ে গেলাম ৷ তখন দল নেতা খুমুস উলুলকারী পাঠাবার আবেদন জানিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে চিঠি পাঠালেন ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, (নবী করীম সা ) আমাদের
কাছে আলী (রা)-কে পাঠড়ালেন ৷ বন্দীদের মাঝে সেরা বন্দীনী এক তকণী ছিল ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, আলী খুঘুস বুঝে নিলেন এবং ভাগবাটোয়ারা করলেন এবং (সকালে) যখন বের
হলেন তখন তার মাথা থেকে পানির কেটিড়া পড়িয়ে পড়ছিল ৷ আমরা বললাম, আবুল হাসান শু১
একী ব্যাপার? তিনি বললেন, তোমরা কি বন্দীনীদের মাঝে যে কিংশারীটিকে দেখ নি?
বড়াটোয়ারা থুযুস উসুল করলে আমি সেটি খুঘুসের’ অন্তর্ভুক্ত করি ৷ পরবর্তী বণ্টান সেটি নবী
পরিবারের অংশে২ পড়ে এবং সে সুত্রে তা আমার ভাগে পড়ে এবং রাতে আমি তাকে ব্যবহার’
করি ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তখন দললেত৷ নবী করীম (সা)এর কাছে চিঠি পড়াঠাচ্ছিলেন ৷ আমি
বললাম, আমাকেও পাঠিয়ে দিন ৷ তিনি আমাকে যাকাত বিভাগের দায়িতুড়াধিকাবীরুপে পাঠাতে
সম্মত হলেন ৷ (নববী দরবারে পৌছে) আমি চিঠি পড়ে শ্যেনড়াতে লাগলাম এবং (মাঝে মাঝে)
বলতে থাকলাম যথার্থ লিখেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, চিঠি পাঠের এক পর্যায়ে নবী করীম (সা)
আমার হাত ও চিঠিটি থামিয়ে ধরে বললেন, তুমি কি আলীর প্ৰতি বিদ্বেষ পোষণ
কর ? আমি বললাম, জী হী ৷ তিনি বললেন-
ছো ফোৰু
“না, তার প্রতি ৰিদ্বেষ পোষণ করো না ! হী , তার প্রতি ভালবাসা রেখে থাকলে তার ভালবাসা
আরো বাড়িয়ে দাও ! কেননা, যীর অধিকারে মুহাম্মদের জীবন তার শপথ ৷ পনীমতের পঞ্চমাংশে
আলী পরিবারের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই একটি কিশোরী যীদীর চাইতে বেশী ৷ বর্ণনাকারী (বুরায়দা
রা) বলেন, নবী করীম (সা)-এর এ উক্তির পরে মানবকুলের মাঝে আলী (রা)-এর চাইতে
অধিকতর প্রিয় আমার কাছে আর কেউ ছিল না ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আবান ইবন সালিহ (র)আঘৃর ইবন শাস আল
আসলড়ামী (বা) সুত্রে যিনি হুদায়ৰিয়ড়ায় উপস্থিত সাহাবী জামাআতের অন্যতম ছিলেন ৷ তিনি
বলেন, আমি আলী (রা) ইবন আবু তালিব-এর সে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর সদস্য ছিলাম ৷ যার
নেতৃত্ব দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন ৷ আলী (বা) আমার সাথে কিছু
একটা দুর্ব্যবহার করলে আমি মনে মনে তার উপর রেগে থাকলাম ৷ মদীনায় ফিরে এলে আমি
১ পুত্র আবুল হাসান (রা)ণ্এর নামানুসারে আলী (রা) এর কুনিয়াত হাসানের বাপ ৷
২ আল কুরাআনে বিবৃত বণ্টনের ধারায় বায়তুল মালের পঞ্চমাংশে নবী পরিবার ও যুল কুরবা-নবী করীম
, (সা) এর আত্মীয়দের একটি অংশ রয়েছে; যাদের জন্য যাকাত নিষিদ্ধ ৷ অনুবাদক
১৯২ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া
মদীনায় বিভিন্ন মজলিসে এবং যার য়ার সাথে আমার সাক্ষাত হল তাদের কাছে আলীর নামে
অনুযােগ করলাম ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন এমন অবস্থায় একদিন আমি
সেখানে পৌছলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাকে তার দু’চেখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তার
কাছে বলে না পড়া পর্যন্ত তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন ৷ আমি তার কাছে বসে
পড়লে তিনি বললেন, “খোলা আমুর ইবন শাস! আল্লাহর
কসম! তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছো ৷ আমি বললাম, ইন্নড়া লিল্লাহি ওয়া ইন্নড়া ইলায়হি রড়াজিউন
(অর্থাৎ তরে তো তা আমার জন্য চরম মুসীবতের ব্যাপার ৷) ৷ আল্লাহর রড়াসুলকে মনােকষ্ট
দেয়ার ব্যাপারে আমি আল্লাহ এবং ইসলামের আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷ তিনি বললেন আলীকে যে কষ্ট দেয় সে আমাকেই কষ্ট দিল ৷ বায়হাকী অন্য একটি সুত্রে
ইবন ইসহাকের মাধ্যমে এর একটি সমার্থক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷
এ প্রসঙ্গে হাফিজ বায়হাকী বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র)বার৷ (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়ামানবাসীদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে
থালিদ ইবনুল ওলীদ (রড়া)-কে তাদের কাছে পাঠালেন ৷ তারা তীর আহ্বানে সাড়া দিল না ৷
পরবর্তী সময়ে য়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিব (রা) কে পাঠালেন এবং তাকে থালিদ
বাহিনীকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়ে দিলেন ৷ তবে যারা খড়ালিদ (রা)-এর সাথে ছিল,
তাদের কেউ আলী (রা)এর সাথে থাকতে চাইলে তার জন্য সেরুপ অনুমতি থাকবে ৷ বারা (বা)
বলেন, আলী (রা)প্এর সাথে বয়ে যাওয়া লোকদের মাঝে আমিও ছিলাম ৷ আমরা প্রতিপক্ষীয়
সম্প্রদায়ের কাছে পৌছলে তারা আমাদের কাছে বেরিয়ে এল ৷ আলী (রা) সামনে এগিয়ে গিয়ে
আমাদের সালাতে ইয়ামতি করলেন ৷ পরে আমাদের একটি সারিতে সারিবদ্ধ করার পর
আমাদের সামনে এগিয়ে গেলেন এবং আগত লোকদের রাসৃলুল্লাহ্ (সা)এর চিঠি পড়ে
া:শানান্বলন ৷ ফলে সমুদয়ষ্শ্হামাদান গোত্র ইসলাম কবুল করল ৷ আলী (বা) য়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর
বরাবয়ে তাদের ইসলাম গ্রহণের কথা জানিয়ে চিঠি লিখলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঢিঠির বিবয়বস্তু
অবগত হয়ে সিজদাবনত হলেন ৷ পরে মাথা তুলে বললেন, “হামাদানীদের প্রতি সালাম হামাদানীদের প্রতি শাস্তি ! বায়হাকী বলেন, বৃথারী এ
হাদীসখানা অন্য একটি সুত্রে সংক্ষিপ্ত আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বায়াহাকী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন মুহাম্মদ ইবনৃল ফাঘৃল আল কাত্তান (র)আবু সাঈদ
আলৰুখুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিব
(রা)কে ইয়ামানে পাঠালেন ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, র্তার সাথে পমনকাৰীদের মাঝে আমিও
ছিলাম ৷ তিনি য়াকাতের উট সংপ্রহ করলে আমরা সেগুলোকে বাহনরুপে ব্যবহার করার এবং
আমাদের উটগুল্যেকে বিশ্রাম দেয়ার আবেদন জানালার ৷ আমাদের উটগুলোতে আমরা শীর্ণতা
ও দুর্বলতা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ৷ আলী (রা) অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তিনি বললেন,
এতে তোমাদের অংশ অনাড়ান্য মুসলমানদের সমান ৷ বর্ণনাকরীি (আবু সাঈদ রা) বলেন, আলী
(বা) তার কর্তব্য সম্পাদন করার পর ইয়ামান থেকে ফিরে যেতে লাগলে এক ব্যক্তিকে আমাদের
আমীর নিয়োগ করলেন এবং নিজে দ্রুত গতিতে সফর করে (বিদায়) হব্লুজ্জ শামিল হলেন ৷ হজ্জ
সম্পাদনের পরে নবী করীম (না) তাকে বললেন,