বালুকাম্য় স্থইনের (খজুর গ্শ্চেছও ণ্তহ্বয়ন্ক্কৰু করে নড়া তৰুর মৰুলিৰুকর, যখন ণ্স হয় তৃপ্তৰু যখন
সে দাড ৷য় ৷নিজের পায়ে ৷
ইবন ইসহাক প্রমুখ কবি৩ ৷টি উল্লেখ করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র আল-হুমায়দী
প্রমুখ সুফিয়ান ইবন উয়ায়না, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আনসারী সুত্রে এক আনসারী বৃদ্ধার
উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাসকে এ কবিতামা ৷লা
বর্ণনড়াকালে সুরমা ইবন কায়স এর নিকট আসা যাওয়া করতে দেখেছি ৷ ইমাম বায়হাকী
বর্ণনাটি উদধৃত করেছেন ৷
অনুচ্ছেদ
মকা-মদীনার ফযীলত
মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হিজরতের মাধ্যমে মদীনা নগরী ধন্য হয় ৷ আল্লাহ্র বন্ধু এবং
তীর নেক বন্দোদের জন্য তা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয় ৷ মুসলমানদের জন্য তা পরিণত
হয় দুর্ভেদ্য দুর্ণে, আর গোটা বিশ্ববাসীর জন্য তা হয়ে উঠে ইিদায়াতের কেন্দ্রস্থল ৷ মদীনায়
ফযীলত সম্পর্কে অনেক অনেক হাদীছ বর্ণিত আছে ৷ বিভিন্ন স্থানে সে সমস্ত হাদীছ আমরা
উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷
বুখারী এবং মুসলিম শরীফে হাবীব ইবন ইয়াসাফ সুত্রে জাফর ইবন আসিম-এর বরাতে
আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ঘ্র
“নিশ্চয়ই ঈমান মদীনায় আশ্রয় নেবে যেমন সর্প আশ্রয় নেয় তার গর্ভে ৷” ইমাম মুসলিম
মুহাম্মদ ইবন রাফি’ সুত্রে ইবন উমর (রা) থেকে আর তিনি নবী করীম (সা) থেকে অনুরুপ
হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী এবং মুসলিম শরীফে মালিক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) এর বরাতে
বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“এমন একটি জনপদে (হিজবত করার জন্য) আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যে জনপদ
সমস্ত জনপদকে গ্রাস করবে ৷ লোকেরা সে জনপদকে ইয়াছরিব বলে, (আসলে) তা হল মদীনা
রা নবীর নগরী, এ নগরী মানুষকে পরিচ্ছন্ন করে (পাপ-পংকিলতার আবর্ত থেকে) যেমন
আগুনের র্ভাটি লোহার মরিচা দুর করে ৷ চার ইমামের মধ্যে কেবল ইমাম মালিকই এককভাবে
মক্কার উপর মদীনায় শ্রেষ্ঠতৃ স্বীকার করেন ৷ ইমাম বায়হাকী (র) হাফিয আবু আবদুল্লাহ্ সুত্রে
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
“হে আল্লাহ ! আমার সবচাইতে প্রিয় নগরী থেকে তুমি আমাকে বের করেছ, কাজেই
তোমার নিকট প্রিয়তম নগরীতে আমাকে বাসিন্দা কর ! ফলে আল্লাহ র্তাকে মদীনায় বাসিন্দা
করেন ৷ ” এ হাদীছটি অতিশয় গরীব পর্যায়ের ৷ আর জমহুর আলিম সমাজের মতে মক্কা হচ্ছে
মদীনা থেকে শ্রেষ্ঠ ৷ তবে সে স্থান ব্যতীত, যাতে রাসুলের পবিত্র দেহ ঢিড়াশে আছে ৷ জমহুরে
উলামা এ ব্যাপারে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন যার আলোচনা এখানে করতে গেলে
অনেক দীর্ঘ হবে ৷ আমরা গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ এ প্রসঙ্গ আলোচনা
করবো ৷ তবে তাদের প্রসিদ্ধ দলীল, যা ইমাম আহমদ আবুল ইয়ামান সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন
আদী ইবন হড়ামরার বৱাতে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ : মক্কার বাজারে
হাবুরা’ নামক স্থানে দাড়িয়ে বলতে শ্যুনছেন :
“আল্লাহর শপথ, আল্লাহর দুনিয়ার তুমি আমার নিকট এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম এবং
সবচেয়ে প্রিয় ভুমি ৷ তোমার কােল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা না হলে আমি কখনো তা থেকে
বের হতাম না ৷ অনুরুপভাবে ইমাম আহমদ ইয়াবুয ইবন ইব্রাহীম সুত্রে যুহ্য়ী থেকে হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ্ লায়ছ সুত্রে যুহ্য়ী থেকে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং তিরমিযী হড়াদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলেছেন ৷ তিরমিযী ইউনুস
সুত্রে যুহ্য়ী থেকেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আম্র আবু সালামা সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ আমার মতে যুহ্য়ী বর্ণিত হাদীছটি বিশুদ্ধতর ৷
ইমাম আহমদ আবদুর রায্যাক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হায়ুরা’ নামক স্থানে দাড়িয়ে বলেন :
“আমি জানি যে, তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ ভুমি এবং আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ভুমি ৷
তোমার অধিবাসীরা আমাকে তোমা থেকে বহিষ্কার না করলে আমি বের হতাম না ”
অনুরুপভাবে ইমাম নাসাঈ মামার সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেন,
এটা মামারের ভ্রম ৷ কোন কোন মুহাদ্দিছ মুহাম্মদ ইবন আমৃর সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকেও
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এটিও ভ্রম ৷ জামাআত তথা বিপুল সংখ্যক লোকের বর্ণনাই বিশুদ্ধ ৷
ইমাম আহমদ ইব্রাহীম ইবন খালিদ সুত্রে আবু সালামা থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
তাবারানী আহমদ ইবন খালিদ সুত্রে আদী ইবন হামরা থেকেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
এগুলো হলো হাদীছটির সুত্র বা সনদ ৷ আর এ সবের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বিশুদ্ধ, সে সম্পর্কে
ইতোপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন ৷
হিজরী প্রথম সনের ঘটনাবলী
হিজরী ষোড়শ, কারো কারো মতে সপ্তদশ বা অষ্টাদশ সনে খলীফা হযরত উমর (রা ) এর
শাসনামলে হিজরী সন গণনার সুচনা সম্পর্কে সাহাবায়ে কিরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম একমত
হন ৷ আর তা এভাবে হয় যে, আমীরুল মুমিনীন উমর (রা) এর দরবারে কোন এক ব্যক্তির
বিরুদ্ধে কিছু দলীল-দস্তাবেজ উপস্থাপন করা হয় এবং তাতে একথা উল্লেখ ছিল যে, শাবান
সালে তা পরিশোধ করতে হবে ৷ তখন হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন শাবান
মাস ? এর এ বছরের শাবান মাস, যাতে আমরা এখন আছি, নাকি গত বছরের শাবান মাস, না
আগামী বছরের শাবান মাস ? এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামকে ডেকে একটা তারিখ
নির্ধারণের ব্যাপারে তাদের নিকট পরামর্শ আহ্বান করেন, যাতে ঋণ পরিশোধ ইত্যাদির ক্ষেত্রে
উক্ত তারিখ দ্বারা পরিচয় পাওয়া যায় ৷ কেউ কেউ পারস্যের অনুরুপ তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব
করলে খলীফা তা না-পসন্দ করেন ৷ আর পারসিকরা একের পর এক তাদের রাজত্ব-বাদশাহ
দ্বারা তারিখ গণনা করতো ৷ কেউ কেউ রোম সাম্রাজেব্রর তারিখ অদুযত্মী তারিখ নির্ধারণের জন্য
প্রস্তাব করে ৷ বোমানরা তারিখ নির্ধারণ করে মেসিডোনিয়ার ফিলিপৃস তনয় সম্রাট
আলেকজান্ডারের রাজতৃকাল থেকে ৷ খলীফা উমর (বা) এ প্রস্তাবও পসন্দ করেননি ৷ কিছু কিছু
সাহাবী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্ম থেকে তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ৷ আবার কোন কোন
সাহাবী প্রস্তাব করেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ থেকে তারিখ গণনা শুরু করতে ৷
আবার কিছু লোক বলেন, বরং রাসুল (না)-এর হিজরত থেকেই তারিখ গণনা শুরু করা হোক চ
কেউ কেউ বলেন, বরং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফড়াত থেকেই শুরু করা হোক ৷ হিজরত থেকে
তারিখ গণনা শুরু করার দিকে খলীফা উমর (রা) ঝুকেন ৷ কারণ, হিজরতের ঘটনা প্রসিদ্ধ ও
খ্যাত ৷ এ ব্যাপারে সকলে তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন ৷
ইমাম বুখারী (র) সহীহ্ বুখারী গ্রন্থে তারিখ এবং তারিখের সুচনা পরিচ্ছেদে আবদুল্লাহ
ইবন মুসলিম সুত্রে সাহল ইবন সাআদ থেকে বর্ণনা করে বলেনঃ
সাহাবায়ে কিরাম রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ বা ওফাত থেকে (তারিখ) গণনা শুরু
করেননি, বরং তারা শুরু করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মদীনায় আগমন থেকে ৷
ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ইবন আবিয যিনাদ সুত্রে ইবন সীরীন থেকে বর্ণনা করে বলেন :
হযরত উমর (রা) সমীপে কেউ একজন আবেদন জানায় : তারিখ নির্ধারণ করে দিন হে
আমীরুল মু’মিনীন ৷ খলীফা উমর জানতে চাইলেন, কী তারিখ ? লোকটি বললাে : আজমী
তথা অনারবরা একটা কাজ করে তারা লিখে রাখে অমুক শহরে অমুক সালে এ ঘটনা
ৎঘটিত হয়েছে ৷ তখন হযরত উমর (রা ) বললেন : চমৎকার, তাহলে তােমরাও লিখে রাখ ৷
তখন লোকজন বললাে : কোন সন থেকে আমরা সুচনা করবো ? কিছু লোক বললাে,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ থেকে ৷ অপর কিছু লোক বললো৪ না, বরং তার ওফাত
থেকেই শুরু করি ৷ এরপর হিজরত থেকে সুচনা করার ব্যাপারে সকলেই একমত হন ৷ পরে
কিছু লোক বললেন : কোন মাস থেকে আমরা সুচনা করবো ? কিছু লোক বললেন : রমাযান
মাস থেকে ৷ আবার অপর কিছু লোক বললেন : না বরং মুহাররম মাস থেকে (শুরু করা