থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবৃদ রাব্বিহী (স্বপ্নে) যা দেখেছিলেন
তার সমর্থনে ওহী নাযিল হয়েছিল যেমনটি কেউ কেউ স্পষ্ট ব্যক্ত করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে বনু নাজ্জারের জনৈক মহিলা মারফত
আমি জানতে পেরেছি যে, ঐ মহিলা বলেনঃ মসজিদের নিকটে আমার ঘরটি ছিল সবচেয়ে
উচু ৷ এ ঘরের ছাদে উঠে বিলাল প্রতিদিন ভোরে অযােন দিতেন ৷ শেষ রাত্রে তিনি এসে ঘরের
ছাদে বসে ফজরের অপেক্ষায় থাকতেন ৷ ফজরের সময় হয়েছে দেখতে পেয়ে তিনি দাড়িয়ে
ৰু দৃআ করতেন :
“হে আল্লাহ্ ! আমি তোমার প্রশংসা করছি এবং কুরায়শের ব্যাপারে তোমার নিকট সাহায্য
কামনা করছি যাতে তারা তোমার দীন কাইম করে ৷” মহিলা বলেন : (এ দুআ করার পর)
তিনি আযান দিতেন ৷ নাজ্জারী মহিলা আল্পাহ্র কসম করে বলেন কোন রাতেই তিনি এ
দুআটি বাদ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই ৷ ইমাম আবু দাউদ এ হড়াদীছটি এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷
অনুচ্ছেদ
হড়ামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (না)-এর অভিযান
ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর রমাযান মাসে
হিজরতের সাত মাসের মাথায় সাদা রঙের পতাকা দিয়ে ৩০জন মুহাজিরের একটি দলকে
কুরায়শের বণিক কাফেলাকে ঠেকাবার জন্য প্রেরণ করেন ৷ আবু জাহ্লের নেতৃত্বে পরিচালিত
তিনশ’ জন কুরায়শী কাফেলা হযরত হামযার মুখোমুখি হয় ৷ মাজদী ইবন আম্রের মধ্যস্থতার
ফলে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ রাবী বলেন, হযরত হামযার পতাকা১ বহন করেন আবু মারছাদ
আল-গানাবী ৷
অনুচ্ছেদ
উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর অভিযান
ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, নবী (সা) এ বছর অষ্টম মাসের মাথায়
শাওয়াল মাসে উবায়দা ইবন হারিছ (ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবৃদ মানাফ) এর নেতৃত্বে
একদল মুজাহিদ প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে বাত্নে রাবিগ২ অভিমুখে রওনা হওয়ার নির্দেশ
দান করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা ছিল মিসতাহ ইবন আছাছার হস্তে ৷ তারা জুহ্ফার দিকে
ছানিয়া আল-মুররা পর্যন্ত পৌছেন ৷ এ দলে ছিলেন ৬০ জন মুহাজির কোন আনসারী ছিলেন
না ৷ আহ্য়া’ নামক জলাশয়ের কাছে তারা মুশরিক বাহিনীর মুখোমুখি হন ৷ তাদের মধ্যে তীর
১ ইবন সাআদ বলেন : এটাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম পতাকা ৷
২ জুহ্ফা থেকে কুদায়দ অভিমুখে যাওয়ার পথে ১০ মাইল দুরবর্তী একটি স্থান ৷