Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » অনুচ্ছেদ : হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর জন্ম প্রসঙ্গে

অনুচ্ছেদ : হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর জন্ম প্রসঙ্গে

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন সাআদ ইবন রাবী-এর গৃহে ৷ সেখান থেকে বনু নাজ্জারের পল্লীতে
    যাওয়ার কথা ইতােপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ইবন আহীর বলেন, কথিত আছে যে, রাসুলের
    মদীনা আগমনের পর মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি ইনতিকাল করেন, তিনি ছিলেন কুলছুম
    ইবন হিদম ৷ এরপর মৃত্যু হয় আসআদ ইবন যুরারার ৷ ঐতিহাসিক তাবারীও একথা উল্লেখ
    করেছেন ৷

    অনুচ্ছেদ
    হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর জন্ম প্রসঙ্গে

    হিজরতের পর মুহড়াজিরদের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী প্রথম সন্তান ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ্
    ইবন যুবায়র, যেমন আনসারদের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী প্রথম সন্তান ছিলেন নুমান ইবন বাশীর ৷
    কেউ কেউ ধারণা করেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র হিজরতের ২০ মাস পরে জন্মগ্রহণ
    করেন ৷ এটা আবুল আসওয়াদের উক্তি ৷ ঐতিহাসিক ওয়াকিদী মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে
    তার পিতা এবং পিতামহের উদ্ধৃতি দিয়ে এটি বর্ণনা করেন ৷ একদল ঐতিহাসিক ধারণা করেন
    যে, নুমান ইবন বাশীর আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র-এর ৬ মাস পুর্বে হিজরতের ১৪ মাসের মাথায়
    জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ বিশুদ্ধ মত ভাই, যা আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷

    ইমাম বুখারী (র) যাকারিয়ড়া ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে আসমা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, আবদৃল্লাহ্ ইবন যুবায়রকে গর্ভে নিয়ে আমি হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হই এবং মদীনায়
    এসে কুবায় অবস্থান করি এবং এখানেই সন্তানের জন্ম হলে তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
    নিয়ে এলে তিনি নবজাত শিশুকে কোলে তুলে নেন এবং খেজুর নিয়ে আসতে বলেন ৷ খেজুর
    নিয়ে এসে তিনি তা চিবিয়ে সন্তানের মুখে তুলে দেন ৷ তাই সর্বপ্রথম যে বন্তুটি শিশুর পেটে
    যায় তা ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাবিত্র মুখের লালা ৷ এরপর খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দেন
    এবং এ সময় তিনি শিশুর জন্য বরকতের দুআ করেন ৷ তিনি ছিলেন হিজরতের পর প্রথম
    মুসলিম সন্তান ৷

    খালিদ ইবন মাখলাদ আসমা থেকে বর্ণনা করেন যে, আসমা (রা) হিজরতকালে অন্তঃসত্ত্বা
    ছিলেন ৷ কুতড়ায়বা সুত্রে আইশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, মদীনায় মুসলিম
    সমাজে যে শিশু সন্তানটি সর্বপ্রথম জন্মগ্রহণ করে, সে ছিল আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র ৷ শিশুটিকে
    নবী (না)-এর নিকট আনা হলে নবী (সা) খেজুর নিয়ে তা চিবিয়ে শিশুর মুখে তুলে দেন ৷ তাই
    প্রথম যে বন্তুটি শিশুর পেটে যায়, তা জ্জি নবী (না)-এর পবিত্র মুখের লালা ৷ এটা ওয়াকিদীর
    মতকে খণ্ডন করে ৷ কারণ, তিনি উল্লেখ করেন যে, নবী (সা) আবদুল্লাহ্ ইবন আরীকত-এর
    সঙ্গে যায়দ ইবন হারিছা এবং আবু রাফিকে মক্কা প্রেরণ করেন, যাতে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    এবং আবু বকর (রা)-এর পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হিজরতের
    পর তারা তাদেরকে নিঃয় আসেন এবং আসমা তখন অন্তঃসত্ত্ব৷ ছিলেন ৷ আসমার সন্তান প্রসব
    তখন আসন্ন ছিল ৷ তিনি সন্তান প্রসব করলে নবজাতকের জন্যে উৎফুল্ল হয়ে মুসলমানগণ এক
    বিরাট তাক্বীর ধ্বনি তোলেন ৷ কারণ, ইয়াহুদীদের পক্ষ হতে মুসলমানদের নিকট এ খবর

    পৌছেছিল যে, তারা মুসলমানদেরকে জাদু করেছে, যার ফলে হিজরতের পর তাদের কোন
    সন্তান জন্ম নেবে না ৷ ইয়াহ্রদীদের কল্পিত ধারণাকে আল্লাহ্ মিথ্যা প্রতিপন্ন করলেন ৷

    অনুচ্ছেদ
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে ভোলা প্রসঙ্গে

    ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত আইশা (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ হযরত
    আইশা (রা),বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শাওয়াল মাসে আমাকে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসে
    আমাকে ঘরে তুলে আনেন ৷ তাই রাসুল (সা )-এব সহধর্মিণীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার
    চাইতে অধিকতর প্রিয় ছিলেন ? আর এজ্যন্যই হযরত আইশা পসন্দ করতেন যে, শ্ৰীরা শাওয়াল
    মাসেই স্বামীগৃহে গমন করুক ৷ মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজা সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে
    হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ইমাম তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করে মন্তব্য
    করেন যে, সুফিয়ান ছাওরীর সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্র হাদীছটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই ৷
    এ হাদীছ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা)-এর সঙ্গে হযরত আইশা (রা)-এর বাসর
    হিজরতের সাত বা আট মাস পরে হয়েছিল ৷ ইবন জারীর তাবারী এ দু’টি উক্তিই উল্লেখ
    করেছেন ৷ ইতোপুর্বে হযরত সাওদার সঙ্গে নবী (সা)-এর বিবাহের বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করা
    হয়েছে এবং কিভাবে এ বিবাহ সংঘটিত হয়েছে এবং হযরত আইশার সঙ্গে তার বাসরের
    বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর এ বাসর হয় মদীনা আগমনের পর সোকজনের
    বর্তমানকালের অভ্যাসের বিপরীতে সুনেহ্’ নামক স্থানে দিনের বেলা ৷ নবী করীম (সা) কর্তৃক
    শাওয়াল মাসে হযরত আইশা (রা)-এব সঙ্গে সংগত হওয়ার মধ্যে কিছু লোকের এ ধারণার
    প্রতিবাদ রয়েছে যে, দুই ঈদের মধ্যবর্তী কালে (অর্থাৎ শাওয়াল মাসে) নববধুর সঙ্গে সংগত
    হলে স্বামী-শ্ৰীর মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার আশংকা থাকে ৷ এ কারণে কেউ কেউ এ সময়ের
    মিলনকে না-পসন্দ করতেন ৷ এ কথার কোন ভিত্তি নেই ৷ এ ধরনের উক্তির১ প্রতিবাদ করেই
    হযরত আইশা (বা) বলেন : নবী (সা) আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল
    মাসেই আমার সঙ্গে সংগত হয়েছেন ৷ সুতরাং তীর ত্রীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার চেয়ে
    প্রিয়তর ? এ থেকে বুঝা যায় যে, হযরত আইশা (বা) বুঝতে পেরেছেন যে, নবী (সা)-এর
    শ্রীদের মধ্যে তিনি তার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় ৷ তার এ উপলব্ধি যথার্থ ৷ কারণ, এর পক্ষে
    স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে ৷ প্রমাণ হিসাবে সহীহ্ বুখারীতে আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত হড়াদীছ
    দু’ঢিই যথেষ্ট ৷ উক্ত হাদীছে আছে, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার নিকট প্রিয়তম
    ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, আইশা ৷ আমি বললাম , পুরুষদের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে
    বেশী প্রিয় ? তিনি বললেন, অইিশার পিতা ৷

    ১ আবু আসিম বলেন ;; অতীতকালে শাওয়াল মাসে প্লেপ রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে লোকেরা এ মাসে শ্রী
    সংপমকে অশুভ কর্ম মনে করতো ৷ তার এ উক্তি ঠিক হয়ে থাকলে এ ধারণা দুর করার জন্যই তিনি
    শাওয়াল মাসে শ্রীদের সঙ্গে সংগত হন ৷ ইবন সাআদ তারকাত খ ৮ পৃ , ৬০

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর জন্ম প্রসঙ্গে Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.