যে, তাদের স০ ×খ্যা ছিল নয়শ ত্রিশ জন ৷৩ তবে এরুপ সুনির্দিষ্ট স০ ×খ্যা নির্ধারণ ৷প্রমাণ সাপেক্ষ ৷
পুর্বে এক হাদীছের উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বলা হয়েছে যে, কুরায়শদের স০ ×খ্যা ছিল এক হাযারের বেশী ৷
সম্ভবত সৈন্যদের সাথে আগত বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকেও এই স০ ×খ্যার মধ্যে ধরা
হয়েছে ৷ সহীহ্ ৰুখারী গ্রন্থে হযরত বা বা ইবন আযিব (র ) থেকে বর্ণিত হাদীছ আগেই উল্লেখ
করা হয়েছে যে বদর যুদ্ধে কুরায়শদের সত্তর জন নিহত ও সত্তর জন বন্দী হয় ৷ এটাই
অধিকাৎশ ঐতিহাসিকের মত ৷ ক আর ইবন মালিক তার কাসীদায় বলেন : (কবিতা) এরপর
উট বাধার দুর্গন্ধময় স্থানে পড়ে থাকল তাদের সত্তর জন লোক যাদের মধ্যে উতবা ও
আসওয়ড়াদ রয়েছে ৷
ওয়াকিদী বলেন, এই স০ ×খ্যার উপর ঐতিহাসিকদের ঐকমত্য প্রতি ষ্ঠিত ৷কিন্তু ওয়াকিদীর
এই দা ৷বী বিতর্কাভীত নয় ৷ কেননা মুসা ইবন উক্বা ও উরওয়৷ এই স০ ×খ্যা স্বীকার করেন না ৷
তারা বলেছেন, ভিন্ন সংখ্যা ৷ এরা ৷উভয়েই ইতিহাসের ইমাম ৷ সুতরাং তাদের মতামত ব্যতীত
ঐকমত্যের দ বী সঠিক নয় ৷ যদিও সহীহ্ হাদীছের মুকাবিলড়ায় ঠাদের মতামত দুর্বল ৷ ইবন
ইসহাক ও অন্যরা বদর যুদ্ধে কুরায়শদের নিহত ও বন্দীদের নাম ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ
করেছেন ৷ হাফিয যিয়া’ তার আহকাম’ গ্রন্থে চমৎকারতাবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন ৷
বদর যুদ্ধের শুরুতেই বলা হয়েছে যে, কুরায়শদের মধ্যে সর্বপ্রথম নিহত হয় আসওয়াদ ইবন
আবদুল আসাদ মাখবুমী এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রথম পলায়ন করে খালিদ ইবন আলাম খুযাঈ বা
উকায়লী ৷ সে ছিল বনু মাখবুমের মিত্র ৷ কিন্তু পালায়ন করে তার লাভ হয়নি ৷ কেননা, অচিরেই
সে ধরা পড়ে ও বন্দী হয় ৷ সে তার কবিতায় বলেছেং :
(কবিতা) আমরা পশ্চাৎ দিকে যখন হয়ে রক্ত ঝরাইনি, বরৎ রক্ত ঝরেছে আমাদের দেহের
সম্মুখ দিক হতে ৷
কিন্তু তার এ দ৷ ৷বী মিথ্যা ৷ কুরায়শদের মধ্যে সর্বপ্রথম বন্দী হয় উকব৷ ইবন অড়াবী মুআয়ত
ও নযর ইবন হড়ারিছ ৷ এ দু জনকেই বন্দী অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা) এর সম্মুখে হত্যা করা হয় ৷
তবে কাকে প্রথমে হত্যা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে দু’ধরনের বক্তব্য আছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)
কয়েকজন বন্দীকে বিনা মুক্তিপণে ছেড়ে দেন ৷ র্তারা হচ্ছেন :
১ আবুল আস ইবন রবী উমাবী ৷
২ মুত্তা ৷লিব ইবন৷ হা ন৩ তার ইবন হড়ারিছ মাখয়ুমী ৷
৩ সায়ফী ইবন আবু রিফা আ ৷
৪ কবি আবুইবযা ৷
৫ ওয়াহব ইবন উমায়র উমায়র ইবন ওয়াহব আল-জুমাহী ৷
এ কয়জন ব্যতীত অবশিষ্ট সকল বন্দী থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছিল ৷ এমনকি
রাসুলুল্লাহ্র চাচা আব্বাসের নিকট থেকে সবচেয়ে বেশী মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছিল ৷ অন্য
কোন বন্দীর নিকট থেকে এঙ্গু তা অধিক মুক্তিপণ আদায় করা হয়নি ৷ এরুপ করা হয় যাতে
রাসুলুল্লাহ্র চাচা বলে নমনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছে এরুপ সন্দেহের কোন অবকাশ না
থাকে ৷ অথচ যে আনসাররা তাকে বন্দী করেছিলেন, তারাই রাসুলুল্লাহকেত তার মুক্তিপণ না
নিয়ে ছেড়ে দেয়ার জন্যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তার
ধার্যকৃত মুক্তিপণ হতে এক দিরহামও কম নিও না ৷ বদর যুদ্ধের বন্দীদের ঘুক্তিপণের পরিমাণ
সবার জন্যে এক রকম ছিল না, বরৎ৩ ব ম৷ ছিল ৷ সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল চারশ দিরহাম ৷
কারও থেকে নেয়া হয় চল্লিশ উকিয়া স্বর্ণ ৷ মুসা ইবন উকবা বলেন, আব্বাসের নিকট থেকে
যুক্তিপণ নেয়া হয় একশ’ উকিয়া স্বর্ণ ৷ কতিপয় বন্দী যুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হলে তাদেরকে
মুক্তিপণের পরিমাণ অনুযায়ী কাজে লাগান হয় ৷ এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ (র) আলী ইবন
আসিম সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন যে, বদর যুদ্ধে আ ৷টককুত কিছু সংখ্যক বন্দীর
দেয়ার মত মুক্তিপণ ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদেরকে ঘুক্তিপণের বিনিময়ে আনসার শিশুদের
লেখা ৷৷শিক্ষ ৷দেয়ার কাজে নিযুক্ত করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন এক শিশু কাদতে র্কাদতে তার
মায়ের কাছে আসে ৷ যা তার র্কাদার কারণ জিজ্ঞেস করলে শিশুটি বলল, আমার শিক্ষক
আমাকে যেরেছে ৷ তখন মা বলল, যে দুরাচার বদরের খুনের প্রতিশোধ্ নিতে চাচ্ছে ৷ আর
কখনও তার কাছে শিখতে ৩যেও ন৷ ৷ এ হাদীছটি শুধু ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন, তবে এটি
সুনানের শর্ত অনুযায়ী বর্ণিত ৷ পুর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷
অনুচ্ছেদ
বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলমানদের মর্যাদা
সংক্রান্ত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী বলেন ঘ্র আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ আনাস থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, হারিছা ছিল একজন অল্প বয়সী যুবক ৷ বদর যুদ্ধে সে শহীদ হয়ে গেলে
তার মা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ হারিছা আমার কত
আদরের সন্তান তা আপনি জা নেন ৷ সে যদি জান্নাতী হয় তা হলে আমি ধৈর্য ধারণ করবো এবং
এ জন্যে ছওয়ারের আশা পোষণ করবো ৷ আ র যদি ভিন্ন কিছু হয়, তবে আপনি তো দেখতেই
পাচ্ছেন, আমি কি করছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, থাম , পাগল হয়েছ নাকি ৷ জান্নাত কি মাত্র
একটি ? অনেক জান্নাত আছে ৷ সে তো জান্নাতুল ফিরদাউসে আছে ৷ এ হাদীছটি অন্য সুত্রে
ছড়াবিত, কাতাদ৷ ও আসাম থেকে বর্ণিত ৷ তাতে আছে “হারিছা ছিল যুদ্ধের ময়দানের
পর্য্যবক্ষণকরীি এবং “তোমার ছেলে জ ন্ন৷ ল ফিরদাউসের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত আছে ৷
কথাটির মধ্যে বদরী সাহাবীদের মর্যাদার ব্যাপারে এক নিগৃঢ়৩ তত্ত্ব লুক্কায়িত আছে ৷ কেননা,
রিহাছা বণক্ষেত্রে বা যুদ্ধের সারিতে ছিলেন না ৷ বরং দুর থেকে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছিলেন ৷
তিনি হা ওয থেকে পানি পান করার সময় হঠাৎ এক তীর এসেত তার শরীরে বিদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধের
সাথে এতটুকু সৎশ্রিষ্টতা ৷র জন্যে পুরস্কার স্বরুপ তাকে সেই ফিরদা উসে স্থান দেয়৷ হয়, যা সকল
জান্নাতের সেরা জান্নাত, সর্বোত্তম জান্নাত, যেখান থেকে নহর প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে
অন্যান্য জ ন্নাতে যে জান্নাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উম্মতকে বলেছেন, তোমরা যখন
আল্লাহ্র কাছে জান্নাতের প্রার্থনা কর, তখন জান্না ল ফিরদড়াউসের জন্যে প্রার্থনা করবে ৷