আঙ্গিনায় খড়কুটো বিছিয়ে ঘুমানাের ইচ্ছা করলাম ৷ পরিস্থিতি আমাকে র্কাদিয়ে দিল ৷ সুলায়মা
আমার অনুপস্থিতিতে চোখে সুরমা মেখো না কারো আগমনের অপেক্ষায় থেকাে না ৷ ”
আবু কুবায়শা ! তুমি (তা জান,আমি অভিজাতদের সেরা, আমার জিহ্বা রুখে রাখা যায় না ৷
যদি শেষ হয়ে যাই, তবে তোমাদের এক সহকর্মীকে হারালে, আর বেচে থাকলে আমার
অবস্থান তোমাদের অজ্ঞাত থাকবে না ৷ এক উচ্চাভিলড়াষী তরুণ যা কিছু সঞ্চয় করে তা আমি
আহরণ করেছিলাম বীরত্, কানাডা ও বাগািত৷ ৷ ”
রেড়ামানরা তাকে শুলিৰিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে র্তাকে ফিলিসতীনের আফাররা জলাশয়ের
পাড়ে নিয়ে গেল ৷ সে সময় রচিত ফারওয়ার কবিতা-
“ও হার! সালমা কি খবর পেল যে, তার জীবন সাথী আফাররা জলড়াশয়ের পাড়ে এক
বিশেষ বাহনের আরোহী ৷ এমন এক উয়ী যার মাঝে কোন নর উট সঙ্গম করে নি ৷ (অর্থাৎ
শুলি) তাকে তথায় বেধে দেয়া হয়েছে অষ্ঠে পৃষ্ঠে ৷
ইবনু ইসহাক (র) বলেন, যুহরী বলেছেন, তারা তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ঠেলে দিলে
তিনি বললেন,
ত্রণ্ণ্ড্রসুদ্বুং দ্বু সৌং৷ শ্রু
মুসলমান নেতা সরদারদের সংবাদ পৌছে দিও , আমি আমার অস্থি-মজ্জা, আমার স্থান-
অবস্থান আমার প্রতিপালক সকাশে সমর্থিত ও নিবেদিত
বংনািকারী বলেন, রােমানরা তীর গর্দান বিচ্ছিন্ন করে তাকে সে জলড়াশয়ের কাছে শুলি বিদ্ধ
করে রেখে দিল ৷ আল্লাহ্ র্তার প্রতি রাজী থাকুন, তাকে জান্নাতরাসী করে তীর মনের তুষ্টি দান
করুন ৷
তামীম আদৃ-দারী (রা)-এর আগমন প্রসঙ্গ
আবু আবদুল্লাহ্ সাহ্ল ইবন মুহাম্মদ ইবন নাসরুযেহ্ আল মারওয়াষী (র) ফাতিমা ৰিনৃত
কারস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তামীম আদ্-দাবী (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
উপস্থিত হয়ে তীকে এ মর্মে খবর দিলেন যে, তিনি সামুদ্রিক সফরে গিয়েছিলেন ৷ জদের
মোঃ পথ হারিয়ে ফেলল ৷ তারা একটি দ্বীপে উপনীত হলেন ৷ দ্বীপে নেমে জরা খাবার
শ্ঈদ্ভ৷ সন্বান করতে লাগলেন ৷ সেখানে বিশেষ আকৃতির একটা মানুষ দেখতে পেলেন; সে
ষ্ব্ক্ত ফ্রীর্ঘ কেশরাশি মাটিতে টেনে চলছিল ৷ তামীম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? সে
, আসৃসাসাহ্’-গোপন তথ্য সন্ধানী ও গোয়েন্দা ৷ তারা বললেন, তবে আমাদের
যে বলল, আমি তোমাদের কিছু বলব না, তবে তোমরা দ্বীপের অভ্যন্তরে যাও !
মোঃ ৷ সেখানে দেখতে পেলাম, একজন বন্দী লোক রয়েছে ৷ সে বলল,
ত্মম্ব৷ ৰললাম, আমরা আরব দেশীয় একদল লোক ৷ সে বলল, তোমাদের
ঐ ন্সীর খবর কী? আমরা ৰললাম, লোকেরা তার প্ৰতি ঈমান এসেছে, তড়াকে
তার! আনুগত্য ব্বহে ৷ সে বলল, তাই তাদের জন্য কল্যাণকর ৷ তারপর
আমরা তাকে তার খবর ৰললাম (যে তার পানি দিয়ে এখন
—! আ যে মন এমন জোরে লক্ষে দিল যে মনে হল যেন, দেয়াল টপকে
বেরিয়ে পড়বে ৷ তারপর বলল, বায়সান’ খেজুর বাগানের খবর কী ? তাতে কি ফল ধরতে শুরু
করেছে? আমরা বললাম, হী, তা ফল দিতে শুরু করেছে ৷ সে আগের বারের মত জোরে
লাফিয়ে উঠল ৷ তারপর বলল, শুনে রেখাে ৷ আমাকে বেরিয়ে আসার অবকাশ দেয়া হলে
তায়বা’ ব্যতীত সারা দুনিয়া আমি মাড়িয়ে দেব ৷ রাবী ফাতিমা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তামীম (রা)-কে ঘরের বাইরে নিয়ে আসলে তিনি লোকদের এ ঘটনা শেনোংলন ৷ নবী করীম
(সা) তখন বললেন, এ (মদীনা) হল তায়বা’ (পবিত্র ভুমি) আর ঐ লোকটি হল দাজ্জাল’ ৷
ইমাম আহমদ, মুসলিম ও অন্যান্য সুনান সৎকলকগণ এ হাদীসখানি একাধিক সুত্রে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) ও উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা
(বা) থেকে এ হাদীসের সমর্থক রিওয়ায়াত বিবৃত করেছেন, কিতাবুল ফিতান’ ফিতনা :
অধ্যায়ে এ হাদীসের’ বিশদ বিবরণ উল্লিখিত হবে ৷
বনু আসাদ গোত্রের প্রতিনিধিদল প্রসঙ্গ
(এ পর্যায়ে ওয়াকিদী (র) লাখমী’দের শাখা দারিস’ উপগােত্রের দশ সদস্য বিশিষ্ট
প্রতিনিধি দলের আগমনী বিবরণ দিয়েছেন) ৷
বিবরণটি নিম্নরুপ নবম হিজয়ীর প্রথমভাগে বনু আসাদ প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সকড়াশে উপস্থিত হয়, তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল দশ ৷ এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন যিরার
ইবনুল আঘৃওয়ার, ওয়াবিসা ইবন মাবাদ, তুলায়হা ইবন খুওয়ায়লিদ (পরবর্তীতে নৰুয়তের
মিধ্যা দাবীদার এবং আরো পরে মুসলমান হয়ে র্খাটি ইসলামী জীবন যাপনকারী) ও নাফাযা
(মতান্তরে নাকাদা) ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খালাফ ৷ দল নেতা হাদরামী ইবন আমির রাসুলুল্পাহ্
(সা)কে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! নিঝুম রাতের বর্য পরিধান করে এক খরা পীড়িত বছরে
আমরা আপনার কাছে এসেছি আপনি আমাদের বিরুদ্ধে কোন বাহিনীও পাঠাননি (অর্থাৎ
স্বেচ্ছায় এসেছি) ৷ তখন তাদের সম্পর্কে নাযিল হল
“তারা আত্মসমর্পণ করেছে ৰ্ৰুল (তামাকে ধন্য করেছে ম্ৰুন করে বল, (তামাদের
আত্মসমর্পণ আমাকে ধন্য করেছে, মনে করো না ৷ বরং আল্লা ইে ঈমানের দিকে পথ দেখিয়ে
তোমাদের প্ৰতি করুণা করেছেন; যদি তোমরা সত্যব্যদী হও (৪৯ : ১৭) ৷
এদের মাঝে বনুর-রাতিয়্যাহ (আভিধানিক অর্থে কঠোরতা সম্পন্ন) নামে একটি উপগােত্র
ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নাম পরিবর্তন করে বললেন, “তোমরা বাবুর রুশৃদা :
(সুমতিপ্রাপ্ত পরিবার) ৷ নবী করীম (সা) নাফাদা, ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন ধ্লােফ্এর কাছ
একটি উটনী হাদিয়াস্বরুপ চেয়েছিলেন, যা সহজ আরোহনীয় ও তার সাখে তার বক্ষো না
থাকলেও সহজে দোহনযোগ্য হয় ৷ কিন্তু নাফাদা অনেক খুল্লেও এমন জো গেল না ৷
অবশেষে তার এক জ্ঞাতি ভাইয়ের কাছে তা পাওয়া গেল ৷ সেটি নিম্নে অ্যাষ্ক হলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) র্তীকে সেটি দােহন করতে বললেন ৷ তিনি নিজে সে দুধ পান ন্সেলন অবশিষ্ট দুধ
দোহনকারীকে পান করালেন ৷ তারপর তিনি বললেন-