নিয়েড়াগের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না) জিববীল (আ)-এর সঙ্গে পরামর্শ করলেন ৷ জিববীল (আ)
বললেন, তাকে কাতিব নিয়েপে করতে পারেন ৷ কেননা, সে বিশ্বস্ত ৷ এ বিবরণটি বিরল
প্রকৃতির; বরং মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) ৷ কেননা অন্যতম রাবী সরীি ইবন আসিম ও তার
উর্ধ্বতন রাবীদের সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷
মোটকথা, এ বর্ণনাটি প্রড়ামাণ্য নয় এবং তা দিয়ে প্রভাবিত হওয়ার অবকাশ নেই ৷ কিন্তু
বিস্ময়ের ব্যাপার হল হাফিয ইবন আসাকির (র)-এর আচরণ ৷ তার অৰিস্মরণীয় মাহাত্ম্য ও
বিদ্যাবত্তা এবং সমকালীন হাদীস বিশারদবর্গষ্ববং তার পুর্বসুবী অনেকের তৃলনায়ও হাদীস
শাস্তে তার অভিজ্ঞতার বিশাল পরিধি সত্বেও কিভাবে তিনি তার তারীখ (ইতিহাস) গ্রন্থে এ
হাদীসটি এবং এ প্রকৃতির আরো অনেক হাদীস আহরণ করেছেন; অথচ সেগুলোর দৃর্বলতার
বিবরণ প্রদান জরুরী মনে করেন নি ৷ তার মত বিগ্রিষ্টি মনীষীর এ ধরনের আচরণ
সমালোচনাযোগ্য এবং তা সমর্থনয্যেগ্য নয় ৷-অল্লোহ্ সম্যক অবগত ৷
বইিশ : কড়াতিব তালিকায় অন্যতম রয়েছেন বিগ্রিষ্টি সাহাবী ঘুগীরা ইবন শুবা আছ ছাকাফী
(রা) ৷ নবী কবীম (না)-এর মাওলা নন তার এমন সাহাবী খাদিমগণের তালিকায় তার সংক্ষিপ্ত
জীবনী আলোচনা করে এসেছি ৷ (সেখানে উল্লিখিত হয়েছে যে) তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর মাথার নিকটে উন্মুক্ত তরবাবি হাতে দণ্ডায়মান অতন্দ্র দেহরক্ষী প্রহরী ৷ ইতোপুর্বে
একাধিকবার উল্লিখিত আতীক ইবন ইয়াকুব (র)এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সনদে ইবন আসাকাি
(র) রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) হুসায়ন ইবন ন্যযলা আল-অস্যেদী (রা)-ন্নে
জায়গীর প্রদান করেছিলেন তার দলীলপত্রটি নবী কবীম (না)-এর হুকুমে মুগীরা ইবন ণ্ডবা
(রা)-ই লিখে দিয়েছিলেন ৷
এরা হলেন নবী কবীম (না)-এর কতিব ও সচিববৃন্দ মারা তীর দফতরে তীর সকাশে তীর
নির্দোশ বিভিন্ন সনদপত্র ও দলীল-দন্তাবেজ লিখনের কর্তব্য পালন করতেন ৷
নববী দরবারের আমীন’ (একান্ত সচিংবৃন্দ)
নবী কবীম (না)-এর আমীন’ (বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিগত ও একান্ত সচিব) তালিকায় ইবন
আসাকির (র) উল্লেখ করেছেন (প্রথমত) আল আশরাতুল ঘুবাশশারা’ (জান্নাতের আগাম
সুসংবাদ প্রাপ্ত দশ জন)-এর অন্যতম (এক) আবু উবায়দা আমির ইবন আবদুল্লাহ ইবনুল
জারুরাহ কুরায়শী ফিহরী (মা) ও (দুই) আবদুর রহমান ইবন আওফ ঘুহরী (রা)এর নাম ৷
আবু উবায়দা (রা) আনাস (বা) থেকে আবু কিলাবা (র)-এর হাদীস সুত্রে বুখাবী (র)
রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন,
“প্রতিটি উম্মাহ্র একজন আযীন (বিশ্বাসভাজন) থাকে; এ উম্মাহ্র আযীন হচ্ছেন আবু
উবায়দা ইৰ্নুল জাবৃরাহ (রা) ৷ অন্য একটি ভাষ্য রয়েছে যে, নাজরড়ান থােক আগত আবদুল
কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দলকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন
“অবশ্যই তোমাদের মাঝে পাঠাচ্ছি একজ্যা আমীন’ (বিশ্বস্ত)-কে; যিনি যথার্থই আযীন ৷ ”
পরে তাদের সঙ্গে আবুউবায়দা (রা)-কে নিয়োগ দিয়ে পাঠালেন ৷
ইবন আসাকির (র) বলেন, এ তালিকায় অন্যতম যুআয়কিব ইবন আবু ফাতিমা আদ
দাওসী (বা) আবদ শামস গোত্রের মাওলা ৷ তিনি ছিলেন নবী করীম (না)-এর আৎটি (সীল-
মােহর)-এর তত্ত্বাবধায়ক ৷ কেউ কেউ তাকে পাদিম তালিকাভুক্ত করেছেন ৷ অন্যদের বর্ণনায়
রয়েছে, প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম ৷ হড়াবশাপামী মুহাজির দলের সাথে
হিজ্যাত করেন ৷ পরে মদীনায় হিজরত করে আসেন ৷
বদর ও তার পরের অভিযানসমুহে অংশ গ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন সীল মােহরের
তত্ত্ববধায়ক এবং আবু বকর ও উমর (রা) তাকে বায়তৃল মাল’১-এর কর্মাধ্যক্ষ নিয়োগ
করেছিলেন ৷ বর্ণনাকারীগণ বলেছেন যে, তিনি কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ তখন উমর
ইবন পাতায় (বা) আদেশ করলে তাকে মাকাল জাতীয় ফল দিয়ে চিকিৎসা করা হলে ব্লোগ
বৃদ্ধি রুদ্ধ হয়ে গেল ৷ তিনি ইনতিকাল করেছিলেন উছমান (রড়া)-এর খিলাফত যুগে মতাতরে
চল্লিশ হিজরী সালে ৷-আল্পাহ্ই সমধিক অবগত ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইরাহয়া ইবন আবী বুকায়র (র) মুআয়কীব (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, সিজদা করার স্থানে যুসল্লীর মাটি (উচু-নিচু বা কংকর)
সমান করা প্রসঙ্গে একান্তই যদি তোমাকে তা করতে হয়, তবে
তা একবার (করবে) ৷
সহীহ গ্রন্থদ্বয়ের সংকলকদ্বয় হাদীসটি আহরণ করেছেন (উল্লিখিত সনদের) শায়বান নাহবী
(র)-এর বরাতে ৷ মুসলিম (র) তিরমিযী, নসােঈ, ইবন মাজা হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
তিরিমিষী (র) মন্তব্য করেস্ফো হাদীসটি হাসান সহীহ ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, খালাক ইবনুল ওলীদ (র) মুআয়কীব (বা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ধ্বংস উযুর
সময় না ভেজানাে) পায়ের গোড়ালীর জন্য ৷
এ বর্ণনা একাকী ইমাম আহমদ (র)-এর ৷ আবু দাউদ ও নসােঈ (র) আবু আত্তাব সাহল
ইবন হড়াম্মাদ দাল্পাল (র)-এর বরাতে মুআয়কীব থেকে বর্ণনা করেন যে, যিনি নবী করীম
(না)-এর সীল মােহরের যিম্মাদার ছিলেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না)-এর আৎটি (মােহর)
ছিল লোহার তৈরী; যার উপরে রুপার আস্তরণ দেয়া হয়েছিল ৷ তিনি আরো বলেন, অনেক
সময় সেটি আমার হাতেও থাকত ৷
গ্রস্থকারর মন্তব্য : নবী করীম (না)-এর নীল মােহর ও আংটির ব্যাপারে প্রামাণ্য তথ্য হল-তা
ছিল রুপার তৈরী এবং তার মণি’ অংশও ছিল রুপার পাতের তৈরী (সহীহ গ্রন্থদ্বয় বরাতে
পরবর্তীতে বিষয়টি আলোচিত হবে) ৷ ইভােপুর্বে তিনি (সা) সোনা দিয়ে একটি আংটি তৈরী
করেছিলেন এবং তা কিছু সময় ব্যবহার করেছিলেন ৷
পরে তা ছুড়ে ফেলে লে এবং বলেন আ শ্ব প্মাড্রু “আল্লাহর কসম ! ওটি আমি আর পরব
না ৷” পরে রুপার এ অংটিটি জৌ বল্পান, যার পাত (মণি)-ও ছিল রুপারই এবং তাতে অংকিত
ছিল মোঃ (মুহাম্মাদৃর ৱাসৃলুল্লাহ্) (তিন লাইনে) ৷ ’ এক লইিনে মোঃ এক লইিনে
এশ্যে এবৎ অপর লইিনে ঘ্র৷ ৷ এ আৎটি নবী কবীম (না)-এর পবিত্র হাতে ছিল এবৎ তার পরে
ছিল আবু ববন্ম (রা)-এর হাতে; তার পরে উমর (রা)-এর হাতে এবৎ তার পরে উছমান (রা)এর
হাতে ৷ তীর হাতে ছয় বছর পর্যন্ত থাকার পরে তীর নিকট হতে (মতাতরে তার সচিবের নিকট
হতে) আবীস’ কুপে পড়ে যায় ৷ তিনি তা খুজে পাওয়ার ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরেও তা
পুনরুদ্ধারে সমর্থ হলেন না ৷
আবু দাউদ (র) তীর সুনান গ্রন্থে ওধু খাতাম (আংটি ও নীল মােহর) প্রসঙ্গে একটি স্বতন্ত্র
অধ্যায় সংযোজন করেছেন ৷ তার প্রয়োজনীয় অং ×শ আমরা একটু পরেই (সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে)
উপস্থাপন করব ইনশাআল্পাহ্, আল্লাহ সহায় ৷
তবে মুআয়কীব (রা) কর্তৃক এ আংটি হাতে পরার বিষয়টি তার কুষ্ঠ আক্রান্ত হওয়ার
বর্ণনাটি দুর্বলতা নির্দেশ করে ৷ যেমন-ইবন আবদুল বাবুর (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন ৷ ৰিস্তু
বর্ণনাটি প্রসিদ্ধি পেয়েছে ৷ অতএব, সম্ভবত তা হয়েছিল নবী করীম (সা) এর ওফাতের পরে ৷
কিংবা আগে থেবেইি তা ছিল, তবে তা সং ×ক্রমিত হচ্ছিল না ৷ কিংবা তা ছিল আল্লাহর প্ৰতি
নবী বত্রীম (সা) এর অবিচল তাওয়কেফুল্ ও একনিষ্ঠ ভরসার কারণে তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য
(যে, এ সং ×ক্রামক ব্যধি তার সং ×ত্রুমিত হচ্ছিল না) ৷ যেমন তিনি সে কুষ্ঠ রােপীকে-যে তার
হাত খাবার পাত্রে প্রবিষ্ট করেছিল তাকে বলেছিলেন “যাও,
আল্লাহর মির্জা করে এবং তার উপরে ভরসা করে ৷” এ রিওয়ড়ায়াত আবু দাউদ (র)-এর ৷
পক্ষাতরে, সহীহ মুসলিম শরীফে প্রামাণ্য উদ্ধৃতি রয়েছে যে, রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
“কুষ্ঠ রােগী হতে পলায়ন কর সিংহ হতে তোমার পলায়নের
মত ৷ ”-আল্পাহৃই সমধিক অবগত ৷
নবী বল্পীম (না)-এর নিযুক্ত আমীর ও সেনাপতিবৃন্দ
বিভিন্ন অভিযানের বিবরণ প্রদানের ক্ষেত্রে যে সনের জন্য নবী করীম (সা) এর নিযুক্ত
সেনাপতি ও আমীরগণের নাম-ধামসহ্ স্পষ্ট বিবরণ আমরা দিয়ে এদুসছি ৷-আল্লাহৃইি ড্ডা!
হামৃদ এবৎ তারই অনুকম্পা ৷
সর্বমেটি সাহাবী সংখ্যা এবং হাদীস বণনিকােরী রাবী সাহাবীপণের সংখ্যা
সাহাবীদের (রা) সর্বমোট সং ×খ্যা নির্ণয়ে মনীষীদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে ৷ আবু যুরআ
(র) হতে উদ্ধৃত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, তাদের সংখ্যা এক লাখ বিশ হাজার পর্যন্ত
পৌছবে ৷ শাফিঈ (র) থেকে উদ্ধৃত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ইনতিকালের সময় তার বাণী শুনেছেন এবং তাকে দেখেছেন এমন মুসলমানের স ×খ্যা ছিল
প্রায় ষাট হাজার ৷