নবী করীম (সা) এর দাফনের বিবরণ এবং দাফনের স্থান নির্ণয় প্রসংগ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রাযযা ফ (ব) আবদুল আযীয ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, নবী করীয (সা) এর সাহাবীগণ বুঝতে ৩পারছিলেন না যে, রােত নবী কবীম
( সা) কে কোথায় দাফন করবেন? অবশেষে আবু বকর (বা) বললেন, নবী করীম (সা) কে
আমি বলতে কোনও নবীকে তার মৃতুত্ত্বন্থান ব্যতীত অন্য
কোথাও কবর দেয়া হয়নি ! তখন তারা নবী করীম (সা) এর ৰিছানা সৰিৰুর সিলেনৰু এবং ঐ
স্থানেই তার জন্য (কবর) খনন করলেন ৷ এ সনদে রত্বর্বী আবদু আ স ইবন র্জুরায়ল (র) ও
আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর মাঝে সুত্রচ্ছিন্নতা রয়েছে :কননর্ভু, আবদুল আযীয (র) আবু
বকর (বা) এর সাক্ষাত লাভ করেন নি ৷ তবে হাফি রে) হাদীসটি আবু বকর
সিদ্দীক (বা) হতে ইবন আব্বাস ও তা ইশ ন্ধু (রা) রএ করেছেন ৷ তিনি বলেন,
আবু মুসা আলু হারাবী (র) আইশা (রা) , করেন যে, বলেছেন নবী করীয
(না)-কে উঠিয়ে নেয়া হলে সাহাবীগণ ভীর কররু৩ লাল ( ল ন ৷ তখন
আবু বকর (রা) বললেন নবী করীয ন(সস্ব) কে আমি
“নবীকে তার সর্বাধিক প্রিয় স্থা নই ও নত দেয়া হয়ে থাকে ণ্” তখ্যা
আবু বকর (বা) বললেন, যে স্থানে তার ওফাত হয়েছে সেখানেই তাকে দাফন কর অনুরুপ
তিরমিষী (র) আবু কুরায়ব (র) আইশা (বা) সনদেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন রু আইশা (রা)
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-কে উঠিয়ে নেয়া হলে র্তার দাফনের ব্যাপারে মতৰিরোধে দেখা দিলে
আবু বকর (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটে আমি এমন কিছু শুদুনছি, যা আমি ভুলে
যাই নি ৷ তিনি বলেছেন,
আল্লাহ্ যে কোন নবীকে সে স্থানেই মৃত্যু দেন যেখানে সমাহিত হওয়া তিনি পসন্দ করেন ৷
(তাই) তার শয্যাস্থলেই তাকে সমাহিত কর ৷ তবে তিরমিযী (র)-এ সনদের মধ্যবর্তী রড়াবী আল
মুলায়র্কী (র) কে দুর্বল মন্তব্য করে বলেছেন, এ সুত্র ব্যতীত অন্য সুত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে
ইবন আব্বাস (রা)অ অ ড়াবু বকর (বা) সুত্রে নবী কবীয (না) থেকে হ দীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৰু
উযড়াবী (র)অ ই৩ম্পো ড়া(রা) থেকে বর্ণনা করে ন যে, গ্রা ধু বকর (রা) বলেছেন, রাসুন্
(সা)-কে আ )মি বলতে শুনেছি,কোন নবীকে
ওফাতের স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও কখনও দাফন করা হয় নি )
আবু বকর ইবন আৰিদ্ দুনৃয়া (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন সাহ্ল আত তামীঘী (র) ভ্রই
(বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মদীনায় দুইজন কবর খননকারী ছিলেন ৷ নবী কর
ওফাতের পর সাহাবীগণ বললেন, আমরা তাকে কোথায় দাফন করব ? তখন আবু বকর ন্হ্ব
বললেন, যে স্থানে তিনি ইনতিকাল করেছেন যে স্থানেই ৷” ঐ দু’জনের একজন বগলী কবর
খুড়তেন এবং অন্য জন খুড়তেন সিন্দুর্কী কবর ৷ যিনি বপলী কবর খনন করতেন তিনি (আগে)
এসে পড়লে নবী করীম (না)-এর জন্য তিনি বগলী কবর খনন করলেন ৷ মালিক ইবন আনড়াস
(র) এ বিবরণটি উরওয়া (র) থেকে মুনকাতি (বিচ্ছিন্ন) সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ আবু ইয়ালা
(র) বলেন, জাফর ইবন মিহ্রান (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
লোকজন যখন নবী করীম (না)-এর জন্য (কবর) খনন করতে মনস্থ করলেন ৷ তখন আবু
উবায়দা ইবনৃল জাবৃরাহ (রা) মক্কাৰাসীদের কবরের ন্যায় সিন্দুকী কবর খনন করতেন এবং
আবু তাল্হা যায়দ ইবন সাহ্ল (রা) মদীনাৰাসীদের জন্য বগলী কবর খনন করতেন ৷ তাই
আব্বাস (বা) দুই জন লোককে ডেকে এনে তাদের একজনকে বললেন, তুমি আবু উবায়দার
কাছে যাও এবং অন্যজনকে বললেন তুমি যাও আবু তাল হার কাছে ৷ (আরো বললেন) ইয়া
আল্লাহ আপনার রাসুলের জন্য যা আপনার পসন্দ তাই বেছে নিন ! বর্ণনাকারী (ইবন আব্বাস)
বলেন, আবু তালহা (রা)-এর কাছে প্রেরিত ব্যক্তিটি ভীকে পেয়ে সংগে করে নিয়ে এলো ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্য বগলী কবর তৈরী করলেন ৷ মংগলবার দিন রাসুলুল্লাহ (সা)-
এর অন্তিম সফরের ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন হলে তাকে তীর ঘরে তার খড়াটিয়ার উপরে রেখে দেয়া
হল ৷ ওদিকে মুসলমড়ানগণ তীর দাফনের স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন মত ব্যক্ত করছিলেন ৷ কেউ
বলছিলেন, আমরা তীকে তার মসজিদে দাফন করব ৷ অন্য কেউ বলছিলেন, তার সাহাবীদের
সংগে (বাকী গোরস্তানে) দাফন করব ৷ তখন আবু বকর (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে
আমি বলতে শুনেছি, কোনও নৰীকে তার ওফাতের স্থান
ব্যতীত অন্য কোথাও দাফন করা হয় নি৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) যে বিছানায় ইনতিকাল
করেছিলেন তা তুলে ফেলা হল এবং সেখানেই তার জন্য কবর খনন করা হলো ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ (সা)এর জড়ানড়াযার সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে লোকদের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে
তীর নিকটে আসার অনুমতি দেয়া হল ৷
প্রথমে পুরুষেরা এবং তাদের সালাত সমাপ্ত হলে নারীদের প্রবেশাধিকার দেয়া হল এবং
নারীদের সালাত সমাপ্ত হলে প্রবেশ করতে দেয়া হল অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ
(না)-এর জন্য সালাতে কেউ ইমামের দায়িতৃ পালন করেন নি ৷ পরে বুধবারের (পুর্ববর্তী)
রাতের মধ্যে রাতে রাসুলুল্লাহ (না)-কে দাফন করা হল ৷ ইবন মাজ৷ (র) ও নাসৃর ইবন আলী
আলু জাহযামী (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে উক্ত সনদে হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তবে এতে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন, তার কবরে অবতরণ করলেন আলী আব্বাস
(রা)-এর দুই ছেলে ফায্ল ও কুছাস এবং রড়াসুলুল্লাহ (সা)-এর আযাদকৃত গোলাম শৃকরান
(বা) ৷ তখন আবু লায়লা আওস ইবন খাওলী (রা) আলী ইবন আবু তালিব (না)-কে বললেন,
আপনাকে আল্লাহ্র দোহাই! রাসুলুল্লাহ (না)-এর বিষয়ে আমাদের ইিস্সা ! তখন আলী (রা)
তাকে বললেন, আপনিও নেমে পড়ুন! নবী করীম (না)-এর গোলাম শুক্রান (বা) একটি মোটা
চাদর (কম্বল) নিয়ে এলেন যেটি রাসুলুল্লাহ (সা) পরিধান করতেন ৷ তিনি সেটি কবরে বিছিয়ে
দিয়ে বললেন, আল্লাহর কসম ! আপনার পরে কেউ আর সেটি পরিধান করতে পারে না ৷
সুতরাং সেটিও রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সংগে দাফন করা হল ৷ ইমাম আহমদ (র)-ও হাদীসটি
ৎক্ষেপে রিওয়ায়ড়াত করেছেন হুসায়ন ইবন মুহাম্মদ (র) ইবন ইলহাক (র) সনদে ৷ অনুরুপ,
ইউনুস ইবন যুবায়র (র) প্রমুখও ইবন ইসহাক (র) সুত্রেই ঐ লনদে হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত
করেছেন ৷
ওয়াকিদী (র) রিওয়ায়ড়াত করেছেন ইবন আবু হাৰীবা (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে, তিনি
আবু বকর সিদ্দীক (রা) হতে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ৮৩
মোঃ “আল্লাহ কোনও নবীকে মৃত্যু দান করলে যে স্থানে তীকে
ওফাত দেয়া হয়েছে সে স্থানেই তীকে সমাহিত করা হয়েছে ৷” রায়হাকী (র) রিওয়ায়াত
করেছেন হাকিম (র) (মুহাম্মদ ইবন ইসহাক) মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ
ইবৃৰুল হুসায়ন (র), কিৎবা মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবনৃঘৃ যুবায়র (র) সুত্রে ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্র ওফাত হলে লোকেরা তীর দাফনের বম্পোরে মম্ভব্যিরাধ করতে লাগলেন ৷ তারা
বলাবলি করতে লাগলেন যে, কোথায় তাকৈ দাফন করব ? ব্রুনতব সট্টৰু নর্বকি তীর রুকড়ান ঘরে ?
তখন আবু বকর (রা) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি আল্লাহ কেত্ত্বনও নৰীকে
তুলে নেন নি৷ কিন্তু যেখান থেকে তীকে তুলে নেয়া হয়েছে সেখানেই তীকে দাফন করা
হয়েছে ৷” সুতরাং যেখানে তীর ৰিছানা ছিল সেখানেই তীকে দাফন করা হল ৷ ৰিছানা তুলে
ফেলে তার নীচে কবর খোড়া হল ৷ ওয়ড়াকিদী (র) আরো বলেছেন, আবদুল হামীদ ইবন জাফর
(র) আবদুর রহমান ইবন সাঈদ, অর্থাৎ ইবন ইয়ারবু (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী
করীম (সা)এর ওফাত হয়ে গেলে লোকেরা তীর কবরের স্থান সম্পর্কে মতভৈদ্বধতায় লিপ্ত হল ৷
কেউ বলল, বার্কীতে; কেননা, তিনি তো বাকীবাসীদের জন্য বেশী বেশী মাগফিরাতের দুআ
করতেন ৷ অন্য কেউ বলল, তীর মিম্বারের কাছে ৷ আবার কেউ বলল, তীর ঘুসাল্লা, তীর সালাত
আদায়ের স্থানে ৷ তখন আবু বকর (রা) এসে বললেন, এ বিষয় আমার কাছে ইল্ম ও তথ্য
রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)কে আমি বলতে শুনেছি, যে কোন নৰীকে তুলে নেয়া হলে যে স্থানে
তীকে ওফাত দেয়া হয়েছে সেখানেই তীকে দাফন করা হয়েছে ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেছেন,
এ বিবরণটি ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ (র) ও ইবন জুরায়হ (র) আবু বকর সিদ্দীক (রা) সুত্রে নবী
করীম (সা) থেকে মুরসাল’ সনদ ৰিযুক্তরুপে বিবৃত হয়েছে ৷
বায়হার্কী (র) আরো বলেন, হাকিম (র) সালিম ইবন উরায়দ (রা) থেকে, ইনি সৃফ্ফার
বাসিন্দাকুলের অন্যতম বর্ণিত ৷ তিনি ব রাসুগৃর ৷ হ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে আবু
বকর (রা) সেখানে প্রবেশ করলেন এবং একটু পরে বের হয়ে এলে তীকে বলা হলে
রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ? তিনি বললেন, হী ৷ তফা তারা বুঝতে পারল যে
ব্যাপারটা তেমনই ! যেমনটি তিনি বলেছেন ৷ আবার তীকে জিজ্ঞাসা করা হল ভ্রত্ত্বমর তব্
জন্য (জ্যনড়াযার) সালাত আদায় করব ? করলে কি প্ৰকারে আমরা তীর করব? তিনি বললেন তোমরা (ছোট) দলে দলে বিভক্ত হয়ে ন্ম্রর্ভদবে এবং তার রচনা
আদায় করবে ৷ ভবন তারা অনুধাবন করলেন যে ব্যাপর শৃভমনই ৰেস্ন তিনি বলতুন্থন্ ন্থক্ষ্ম
বললেন :
বায়হাকী (র) আর একটি রিওয়ায়াত নিয়েছেন সৃফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) সাঈদ ইবনুল
মুসায়্যাব (র) সুত্রের হাদীস হতে ৷ তিনি বলেন, আইশা (রা) তার পিতার কাছে একটি স্বপ্নের
বিবরণ দিলেন ৷ তিনি ছিলেন স্বপ্ন ব্যাখ্যার পারদর্শীদের অন্যতম ৷ আইশা (রা) বললেন, আমি
দেখলাম তিনটি চীদ আমার কোলে নেমে এল ৷ আবু বকর (রা) তার কন্যাকে বললেন,
তোমার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানবদের তিনজনকে তোমার ঘরে দাফন করা
হবে ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে আবু বকর (রা) বললেন, হে আইশা ! এ
হচ্ছে তোমার চীদগুলির (শ্রষ্ঠটি ৷ মালিক (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ইয়াহ্য়া ইবন
সাঈদ (র) সুত্রে আইশা (রা) থেকে মুনকাতি (বিচ্ছিন্ন) লনদে ৷ (এ প্রসংগে) সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে
আইশা (রা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেনঃ, নবী করীম (না) আমার ঘরে এবং আমার
পালার দিয়ে এবং আমার বুক ও কণ্ঠার মাঝে ওফাত বরণ করলেন এবং দুনিয়ার শেষ মুহুর্ত ও
আখিরাতের প্রথম মুহুর্তে আল্লাহ আমার লালা ও তার লালার মাঝে সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন ৷
সহীহ্ বুখারীতে আবু আওয়ানা (ব) আইশা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) যে অসুস্থতার ইনতিকাল করলেন যে সময় র্তীকে আমি বলতে শুনেছি,
দো
আল্লাহ ইয়াহুদী ও নাসারাদের লানত করুন ! তারা তাদের নবীণণের কবরসমুহকে
মসজিদে (ইবাদতের স্থানে) রুপান্তরিত করছিল ৷ আইশা (রা) বলেন, তেমন আশংকা না
থাকলে উন্মুক্ত হাণে ৩ার কবর করা হ৩ , কিগু তিনি তাকে মসজিদে পরিণত করার আশংকা
করেছিলেন ৷
ইবন মাজা (র) বলেন, মাহমুদ ইবন ণড়ারলান (র)আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) যখন ইনতিকাল করলেন, তখন মদীনায় একজন লোক
বগলী কবর খুড়ভৈতন এবং অন্যজন সিন্দুকী কবর খনন করতেন ৷ সাহীবীগণ বললেন, আমরা
আল্লাহর নিকটে কল্যাণ ও পসন্দ কামনা করছি এবং এ দুজনের কাছে লোক পাঠাচ্ছি ৷ এদের
মধ্যে যিনি আগে আসবেন র্তাকেই (কবর খননের) সুযোগ দেয়া হবে ৷ তখন তাদের কাছে
লোক পাঠানো হলে বগলী কবর খননকারী ব্যক্তি আগে এসে গেলে সে নবী করীম (না)-এর
জন্য বণলী কবর বষ্মন করলেন ৷ এ রিওয়ায়াত একাকী ইবন মাজা (র) এর ৷ ইমাম আহমদ
(ব) হাদীসটি বি নাবব হড়াশিম ইবনুল কাসিম (র) হতে, ঐ সনদে ৷
ইবন মজাে (র) আরো বলেছেন উমর ইবন শায়ব৷ (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, র সৃলুল্লহ (ল: ৷-এর ওকদ্বত হয়ে গেলে সাহাবীণণ বণলী ও সিন্দুকী কবরের ব্যাপারে
মতানৈক্য করতে এমন কি এতে বকে-বিতণ্ডা হল এবং তাদের আওয়ায উচ্চাসিত
হতে লাগল ই দ্র ( র ) বললেন রাসুলুল্লাহ (সা)এর নিকটে চিৎকার কর না তিনি
জীবিত এর সমর্থক অন্য কোন কথা বলেছিলেন ৷ তখন তারা
সিন্দুকী কবর ও কালী কবর খননকাৰী উভয় ব্যক্তির কাছে লোক পাঠালেন এবং
(অ্যান) এসে গেলে তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য বগলী কবর তৈরী
করহ্র ন্ন তারপর ত্তীকে সমাহিত করা হল ৷ এ হাদীস একাকী ইবন মাজা (র) বর্ণিত ৷ ইমাম
অর্চহ্হ্বদ ( র ) বলেনঃ, ওয়াকী (র) ইবন উমর (রা) হতে এবং (কাসিম সুত্রে) আইশা (বা) হতে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ (সা)এর জন্য বগলী কবর খনন করা হয়েছিল ৷ এ দুই সুত্রেই
হাদীসটি একাকী আহমদ (র) বর্ণনা করেছেন ৷
কবরে চাদর প্রদান প্ৰসংগ : ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়ড়াহ্য়া ইবন ভাষা ও ইবন
জাফর (র) , ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী কবীম (না)-এর
কবরে একটি লাল মখমলের চাদর দেয়া হয়েছিল ৷ মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (র)ও
হড়াদীসটি শুবা (রা) সুত্রের বিভিন্ন সনদে রিওয়া“য়াত করেছেন ৷ ওরাকী (র) ও হাদীসটি শুবা
(র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, এ বিষয়টি ছিল রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্য
খাস ৷ এ বর্ণনা দিয়েছেন ইবন আসাকির (র) ৷ ইবন সাদ (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ আল্ আনসারী (র) হাসান (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর বদন
মুবারকের নীচে মখঃমলের লাল একটি চাদর ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল যা তিনি পরিধান
করতেন ৷ তিনি বলেছেন, কবরের মাটি ছিল আর্দ্র ৷ হুশায়ম ইবন মানৃসুর (ব) বলেছেন
হাসান (রা ) হতে, তিনি বলেন, নবী কবীম (না)-এর কবরে মখমলের একটি লাল চাদর
দিয়ে দেয়া হয়েছিল যা তিনি হুনায়ন যুদ্ধকালে প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ হাসান (রা) বলেছেন, সেটি
দেয়ার কারণ ছিল এই যে, মদীনায় লবণাক্ত মাটির দেশ ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আরো
বলেছেন, হস্ফোদ ইবন খালিদ আলু খায়্যাত (র) হাসান (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন, আমার কবরে আমার জন্য একটি বড় চাদর ৰিছিয়ে দেবে ৷
কেননা, মাটিকে নবীগণের দেহের উপরে প্রাধান্য দেয়া হয় নি ৷
রায়হাকী (র) রিওয়ায়াত করেন ৷ ঘুসাদ্দাদ, সাঈদ ইবনুল ষুসামািব (র) সুত্রে ৷ তিনি
বলেন, আলী (বা) বলেন, আমি নবী কবীম (না)-কে গোসল দিলাম ৷ আমি তখন সাধারণ
মৃতদের যা হয়ে থাকে তেমন কিছু’ রয়েছে কিনা তা দেখতে চাইলাম ৷ কিন্তু কিছুই দেখতে
পেলাম না ৷ তিনি ছিলেন জীবনে ও মরণে পুত-পবিত্র ৷ বর্ণনাকারী (সাঈদ) আরো বলেন, নবী
কবীম (না)-এর দাফন ও র্তাকে আচ্ছাদিত করার দায়িতু পালন করেছিল চারজন আলী,
আব্বাস, ফবৃল ও নবী কবীম (সা) এর আযাদকৃত গোলাম সালিহ্ (রা) ৷ নবী কবীম (না)-এর
কবর তৈরী করা হয়েছিল বগলী করব এবং তার উপরে ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল র্কাচা ইট ৷ কোন
কোন সুত্রে বায়হাকী (র) আরো উল্লেখ করেছেন যে, নবী কবীম (সা) এর কবরে নয়টি র্কীচা
ইট ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আবু সাবৃরা (র) ইবন আব্বাস
(রা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে ণ্,সামবারের সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়ার পর হতে
ৎগলবারের সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়া পর্যন্ত র্তার খাটিয়ার উপরে রেখে দেয়া হয়েছিল ৷
লোকেরা তার জানাজার সালাত আদায় করছিল এবং তার খাট ছিল তার কবরের পাড়ে ৷ পরে
ভীরা নবী কবীম (না)-কে সমাহিত করার ইচ্ছা করলে তার খাটিয়া র্তার (কবরের) পায়ের
দিকে সরিয়ে নিয়ে সে দিক থেকে তাকে কবরে প্ৰৰিষ্ট করা হয় ৷ তীর কবরে প্রবেশ
করেছিলেন আব্বাস, আলী, কুছাম, ফায্ল ও শাক্রান (বা) ৷ বায়হাকী (র) রিওয়ায়াত
করেছেন, ইসমাঈল আস্-সুদ্দী (র)-এর বরড়াতে, ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর কবরে অবতরণ করেছিলেন আব্বাস, আলী ও ফঘৃল (বা) এবং তীর কবর
সমতল করেছিলেন জনৈক আনসারী ব্যক্তি, যিনি বদর’ যুদ্ধের শহীদগণের বগলী কবর