অবশিষ্টাত্শ তার সকল প্রতিবেশীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ এভাবে আল্লাহ্ তাতে প্রভুত
বরকত ও কল্যাণ দান করলেন ৷ সনদ ও পাঠ বিবেচনায় এ হাদীসখড়ানিও গরীব পর্যায়ের ৷ আর
ইতিপুর্বে আমরা নবৃওয়াতের সুচনাকালের আলোচনা প্রসঙ্গে যখন এই আয়াত নাযিল হয়
ট্রু,টু ৰুঠুর্দুৰুা৷ ণ্াট্রুট্রুট্রু :ছু টু ৷ ) আর আপনি আপনার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দিন ৷
হযরত আলীর সুত্রে ৱাবীআ ইবন মাজ্যিদর হাদীস উল্লেখ করেছি ৷ সে হাদীসের বিষয়বস্তু হল,
নবী করীম (সা) বনু হাশিমের চল্লিশ জনকে দাওয়াত করলেন ৷ তারপর একমুঠ পরিমাণ যব
থেকে প্রস্তুত খাবার তাদেরকে পরিবেশন করলেন ৷ তখন তারা খেয়ে তৃপ্ত হল এবং খাবারের
পরিমাণ পুর্বের মতই রয়ে গেল ৷ তিনি তাদেরকে একটি বড় পেয়ালা থেকে পান করালেন
তখন তারা তৃপ্ত হল এবং পেয়ালার পানি যেমন ছিল তেমনি রয়ে গেল ৷ এভাবে পর পর
তিনদিন করলেন এরপর তাদেরকে আল্লাহ্র দিকে আহ্বান করলেন, যেমনটি পুর্বে বিগত
হয়েছে ৷
নবী গৃহে সংঘটিত আরেকটি ঘটনা
ইমাম আহমাদ আলী ইবন আদিম সামুরা ইবন জুনদৃব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একবার আমরা নবী করীম (না)-এর কাছে অবস্থান করছিলাম ৷ তখন তার
কাছে ছারীদপুর্ণ একটি খাঞ্চা আসল ৷ সামুরা (রা) বলেন, তখন তিনি খেলেন এবং তার সাথে
উপস্থিত সকলেই খেলেন ৷ এরপর তারা প্রায় যুহর নামায পর্যন্ত তা হাত বদল করতে
থাকলেন ৷ একদল খেয়ে উঠে যান তারপর আরেক দল এসে একের পর এক নিয়ে খেতে
থাকেন ৷ তখন এক ব্যক্তি সামুরা (রা)কে জিজ্ঞেস করল, তাতে কি (নতুন) খাবার সরবরাহ
করা হচ্ছিল ? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আসমান থেকে হচ্ছিল ৷ তারপর ইমাম আহমাদ ইয়াযীদ
ইবন হারুন সামুরা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ছারীদপুর্ণ
একটি খাঞ্চা আসল ৷ তখন ণ্লাকেবা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তা খেতে লাগল ৷
একদল উঠে যায়, আরেক দল খেতে বসে ৷ তখন একব্যক্তি সামুরাকে বলল, তাকে কি
(নতুন) খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল ? তখন তিনি বললেন, তা হলে আর আশ্চর্য হওয়ার কী
আছে ? ওখান থেকেই তা সরবরাহ করা হচ্ছিল, একথা বলে তিনি আকাশের দিকে ইঙ্গিত
করলেন ৷ এছাড়া তিরমিযী ও নাসাঈও মু’তামির ইবন সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহ থেকে
হযরত সামুরার বরাতে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আবু বকরের (রা) বাড়ির ঘটনা
সম্ভবত এটা হযরত সামুরার হাদীসে উল্লেখিত ঘটনড়াটিই ৷ আর আল্লাহ্ই সর্বাধিক জানেন ৷
বুখারী, মুসা ইবন ইসমাঈল আবদুর রহমান ইবন আবু বকর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
সুফ্ফাবাসীরা ছিলেন নিঃস্ব ও দজ্জি ৷ একবার নবী করীম (সা) বললেন, যার ঘরে দু’জনের
খাবার আছে, সে যেন তৃতীয়জনকে সাথে নিয়ে খায়, আর যার কাছে চারজনের খাবার আছে
সে যেন পঞ্চম বা ষষ্ঠত্তনেকে নিয়ে খায়, অথবা তিনি যেমন বলেছেন ৷ আর এডাবেআবু বকর
তিনজনকে নিয়ে আসলেন, আর নবী করীম (সা) দশজনকে নিয়ে ণ্গ্যলন ৷ আর আবু বকর
পরিবার ছিল তিনজনের তা হল আমি, আমার পিতা (আবু বকর) এবং আমার মাতা, আবু
উছমান বলেন, আমি জানিনা তিনি একথা বলেছেন কিনা আমাদের গৃহ এবং আবু বকরের
গুহ থেকে আমার শ্রী ও আমার দাসী ৷