বনুতাগলিব প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ১
কথিত আছে যে, মুসলমান ও খৃস্টান মিলিয়ে এ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ষোল ৷
খৃস্টানদের বুকে সোনার তৈরি ক্রুশ লাগানো ছিল ৷ তারা রামালা বিনতুল হাবিছ-এর বাড়িতে
অবস্থান নিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলমান সদস্যদের নিরাপত্তা দান করলেন এবং খৃস্টান
সদস্যদের সাথে এ মর্মে সন্ধি করলেন যে, খৃস্টবাদের অনুসারী বানিয়ে তারা তাদের
সন্তানদের বিনষ্ট করবে না ৷
ইয়ামানী প্রতিনিধি দলসমুহ : নাজীবী (মহান) প্রতিনিধি দল
ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন, এ দলের আগমন হয়েছিল নবম হিজরীতে এবং তাদের
ত্খ্যা ছিল তেব ৷ অন্যান্যদের তুলনায় দলকে অধিক হারে সম্মানী উপহার দেয়া হয়েছিল ৷
দলের অন্যতম তরুণ সদস্যকে রাসুলুল্লাহ্ (না) জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ তোমার কি চাই? যে
বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনি আল্লাহর কাছে দৃআ করুন যেন তিনি আমাকে মাফ করে
দেন ৷ আমাকে রহম করেন এবং আমার হৃদয়কে অভাবযুক্ত করেন৷ নবী করীম (সা)
বললেন-
“ইয়া আল্লাহ! তাকে মাগফিরাত দিন, তাকে রহম করুন এবং তাকে মনের ধনী’ বানিয়ে
দিন ৷ ফলে পরবর্তী সময়ে এ তরুণটি হয়েছিলেন পার্থিব মােহঘুক্ত শ্রেষ্ঠ যাহিদ’ ও দরবেশ ৷
খাওয়ালানী প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
তাদের সংখ্যার বিবরণে বলা হয়েছে যে, তারা ছিলেন দশজন এবং তাদের আগমন
হয়েছিল দশম হিজরীর শাবান মাসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের কাছে আম্মু আনড়াস’ নামে
অভিহিত তাদের প্রতিমাঢির বিষয় জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন, “তার বদলে তার চোয়
উত্তমটি আমরা গ্রহণ করেছি ৷ আর আমরা ফিরে যাওয়া মাত্র সেটিকে ভেঙ্গে চুরে গুড়িয়ে
দেব ৷ তারা কিছুদিন কুরআন-সৃন্নাহ্র তালীম গ্রহণ করলেন এবং যথাসময়ে ফিরে গিয়ে
প্রতিমাটি গুড়িয়ে দিলেন ৷ তারা আল্লাহর হালালকৃত বিষয়কে হালাল সাব্যস্ত করা এবং
আল্লাহ্র হারামকৃত বিষয়কে হারাম সাব্যস্ত করাকে নিজেদের জীবনাদর্শরুপে গ্রহণ করলেন ৷
জুফী প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
জুফীদের বিষয় এ উল্লেখ পাওয়া যায় যে, তারা কলিজা খাওয়া হারাম মনে করতেন ৷
প্রতিনিধি দল মুসলমান হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কলিজা খাওয়ার হুকুম দিলেন
এবং তা তুনা করতে বললেন এবং দলপতির হাতে তা তুলে দিয়ে বললেন, এটা না খাওয়া
পর্যন্ত তোমাদের ঈমানের পুর্ণাঙ্গত৷ আসবে না ৷ দলপতি তা হাতে নিয়ে যেতে লাগলেন ৷
১ মতান্তরে বনুছাল্মৰা প্রতিনিধিদল ৷