দিনগুলি সেখানে অবস্থান করে সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়ার সময় জামরায় কংকর মারতে
থাকলেনশ্ প্রতি জামরায় সাত কংকর এবং প্রতি কংকরের সাথে তাকবীর ধ্বনি দিতেন ৷ প্রথম
ও দ্বিতীয় জামরায় কংকর মারার পরে থেমে র্দাড়াতেন এবং দীর্ঘ সময় অবস্থান করে কাকুতি-
মিনুতির সংগে দুআ করতেন এবং তৃতীয় (বড়) জামরায় কংকর মারার পরে র্দাড়াতেন না ৷ এ
হাদীস একাকী আবু দাউদ (র)-এর রিওয়ায়াত ৷
বুখারী (র) ইউনুস ইবন ইয়াযীদ (ব)ইবন উমার (রা) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেনএ
মর্মে যে, তিনি ইবন উমার (রা) নিকটবর্তী (প্রথম) জামরায় সাতটি কংকর মারতেন, প্রতি
কংকরের পরেই তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ বন্মতেন ৷ তারপর একটু এগিয়ে গিয়ে সমতলে সহজ
ভাবে র্দাড়াতেন এবং কিবলামুথী হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দৃহাত তুলে দুআ করতেন ৷ তারপর
মধ্যবর্তী (দ্বিতীয়) জামরায় কংকর মারতেন ৷ তারপর একটু বামে সরে গিয়ে সমতলে
কিবলামৃথী হয়ে সহজভাবে র্দাড়াতেন এবং দৃহাত তুলে দুআ করতেন এবং (এ ভাবে)
দীর্ঘক্ষণ র্দাড়িয়ে থাকতেন ৷ তারপর উপত্যকার নিম্নভুমি হতে জামরাতুল আকাবায় (তৃতীয় ও
াশব জামরায়) কংকর মারতেন এবং পরে সেখানে না থেমে চলে য়েতেন ৷ তিনি বলতেন
“রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে আমি এ রুপই করতে দেখেছি ৷”
ব্যতিক্রমী বর্ণনা ও ওয়াৰারা ইবন আবদুর রহমান (র) বলেছেন, “ইবন উমর (বা) শেষ
জামরায় কাছে সুরা বকোরা তিলাওয়াতের সম-পরিমাণ সময় র্দাড়িয়েছেন ৷” আবুমিজ্বলায (র)
বলেছেন, “কংকর মারার পরে তার (ইবন উমর) র্দাড়াবার পরিমাণ আমি অনুমান করেছি সুরা
ইউসুফ তিলাওয়াতের সমপৰিমাণ ৷ এ দুটি রিওয়ায়াত বায়হাকী (র)-এব ৷
রাখানদের কংকর মারার সহ্জীক্যাণ প্রসংগ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র)আবুল কাদ্দাহ (র)-এর পিতা
হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রাখালীদের জন্য একদিন কংকর মারার এবং
একদিন বিরতি দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷” আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর (র)আবুল কাদ্দাহ্-এব পিতা (আসিম) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) রাখালদের
জন্য পালাক্রাম কংকর মারার অনুমতি দিয়েছেন ৷
অর্থাৎ তারা দশ তারিখে কংকর মারার পরে একদিন একরাত বাদ দিয়ে পরের দিন কংকর
মারবে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, আবদুর রহমান (র)আবুল কাদ্দাহ্ ইবন
আসিম ইবন আদী (র) তার পিতা (আসিম (রা)) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উটপালের রাখলেদের দশ তারিখের রাতে) মিনার চলে গিয়ে রাত যাপনের অনুমতি দিয়েছেন,
যাতে তারা দশ তারিখে কংকর মারতে পারে (এভাবে তারা দশ তারিখে কংকর মাববে,
তারপর তার পরের দিন কিংবা তারও পরের দিন (মোট) দুদিন কংকর মারবে, তারপর
ফেরার দিন (তেব তারিখে) কংকর মারবে ৷ আবদুর রাঘৃযাক (র) (মালিক) ইতেও অনুরুপ
রিওয়ায়ত করেছেন ৷ চার সুনান গ্রন্থ সংকলক মালিক ও সুফিয়ান ইবন উয়ড়ায়না (র) সুত্রে এ
হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) বলেছেন, মালিক (র)-এৱ রিওয়ায়াত বিংন্দ্ধতর
এবং এটি হাসানসহীহ্ ৷
মিনার খুতবা প্রদানের দিন ও খুতবার বিষয়বস্তু ও আনুষৎগিক প্রসংপ এবং অইিয়ামে তাশরীক
এর দ্বিতীয় দিন অ্যাং মধ্যবর্তী শ্রেষ্ঠ দিনে খুগ্রা প্রদান নির্দেশক হাদীসের আলােনাে
আবুদাউদ (র)-এর অনুচ্ছেদ শিরোনাম : খুতবা প্রদানের দিন কোনটি ? মুহাম্মদ ইবনুল
আলা (র) ইবন আবু নাজী (র)-বনু বাক্র-এর দুজন লোক হতে, র্তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে আমরা ভাষণ দিতে দেখেছি আইয়ামে তাশরীকের মাঝামাঝিতে, আমরা তখন তার
বাহনের কাছে ছিলাম ৷ এটিই তার যে (ঐতিহাসিক) ভাষণ যা তিনি মিনায় প্রদান
করেছিলেন ৷ এ রিওয়ায়াত একাকী আবু দাউদ (র)-এর আবু দাউদ (র)-এর ৷ পরবর্তী
মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার (র)সারবা বিনত নাবৃহাম (রা)-যিনি জাহিলী যুগে একটি প্রতিমা
মন্দিরের অধিকারিনী ছিলেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইয়াওমুর রুউস (কুরবানীর পশুর
মাথা খাওয়ার দিন-এপার তারিখ)-এ আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, এটি
কোন দিন ? আমরা বললাম, আল্লাহ্ এবং তার রাসুল (সা) ভাল জানেন ৷ তিনি বললেন, ওেট্টগ্
;ষ্ট্রপ্লুপৌ৷ ণ্া এএে;৷ “এটি আইয়ামে তাশরীক (গোশৃত শুকানাের দিনসমুহ)-এর মধ্যবর্তী
শ্রেষ্ঠ দিন নয় কি ? আবু দাউদ (র)-এর একক রিওয়ায়াত ৷ তিনি আরো বলেছেন, আবু হাবৃবা
আবৃ-রুকাশী (র)এর চাচা-ও অনুরুপ বলেছেন যে, নবী করীম (সা) আইয়্যাম-ই-তাশরীকের
মধ্যবর্তী দিনে থুতবা দিয়েছিলেন ৷
ইমাম আহ্মদ (র) এ হাদীসটি সনদযুক্ত করে বিশদ আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি
বলেছেন, উছমান (র)আবু হাবৃবা আবৃ-রুকাশী (র) তার চাচা থেকে, তিনি বলেন,
আইয়্যামে তাশরীকের মধ্যবর্তী দিলে আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উঃষ্টীর লাপাম ধরে রেখেছিলাম
এবং আমি তার নিকট হতে লোকদের সরিয়ে রাখছিলাম ৷ তিনি (সা) তখন বললেন—
“তোমরা জান কি, তোমরা কোন মানে, ণ্কান দিনে এবং কোন নগরীতে অবস্থান করছ ?
তীরা বললেন, (আমরা অবস্থান করছি) একটি পবিত্র দিনে, একটি পবিত্র মাসে এবং একটি
পবিত্র নগরীতে ৷ তিনি (সা) বললেন, সুতরাং তোমাদের জান, মাল, ইজ্জত পবিত্র, যেমন পবিত্র
তোমাদের এ দিনটি তোমাদের এ মাসে, তোমাদের এ নগরে ; তার (আল্লাহ্র) সাথে তোমাদের
সক্ষোত করা পর্যন্ত (এ বিদান প্রযোজ্য) ৷ তারপর বললেন,