করার পরই তিনি আমার সংগে নিভৃতে মিলিত হয়েছিলেন ৷ নবী কবীম (সা) তীর সংগে নিভৃত
বাস করতেন এবং প্রায়শ তা করতে ন ৷ এ এ প্লে তিনি নবী কবীম (সা) এর নিকটেই ছিলেন
এবং অবশেষে বিদায় হজ্জ থেকে নবী কবীম (সা) এর প্ৰত্যাগমন কালে তার মৃত্যু হল ৷ নবী
করিম (সা)৩ তাকে বাকী গোরস্তানে দাফন করলেন ৷ নবী কবীম (সা)৩ তাকে বিবাহ করেছিলেন
হিজরতে ব ষষ্ঠ বর্ষে মুহাররম মাসে ৷
ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, ইউনুস ইবন ইয়াবীদ (র) সুত্রে যুহবী (র) থেকে ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বনু কুরায়জার রায়হানাকে বীদী পত্নীরুপে গ্রহণ করলেন ৷ পরে জকে
যুক্তি দিয়ে দিলে তিনি তার পরিবারপােরিজনের সং গে মিলিত হলেন ৷ আবু উবায়দ৷ মামার
ইবনুল মুদান্ন৷ (র) বলেছেন, রায়হান৷ বিনত যায়দ ইবন শ ৷৷ম উন ছিলেন বনু নাবীর গোত্রের !
আবার কারো মতে বনু কুরায়জা গোত্রের ৷ সাদাকার বাগানসঘুহের এক খেজুর বাগানে তিনি
অবস্থান করতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) মাঝে মধ্যে সেখানে মধ্যাহ্ন বিশ্রাম নিতেন ৷ শাওয়াল,
চার হিজবীতে তিনি তাকে বন্দিনী রুপে পান ৷
আবু বকর ইবন আবু খায়ছড়ামা (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর দুজন বীদী-পত্নী ছিলেন;
মারিয়া কিবতীয়া ও রারহন্তো ৰিনত শামউন ইবন যায়দ ইবন থিনাদাকুরায়জার বনু আয়র-
এর লোক ৷ প্রথমে তিনি যতদুর জানা যায়, র্তার চাচাত ভাই হাকাম এর শ্রী ছিলেন ৷ নবী
কবীর (সা) এর ওফাতের আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল ৷ আবু উবায়দড়া মামার ইবনুল মুছান্না
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ র চার জন র্বাদী ছিলেন মারিয়া, কিবতিয়া, রায়হান৷ কুরাজী ,
আর একজন বীদী ছিলেন জমীল৷ সুন্দবী ৷ নবী সহবযিণীগণ তার বিরুদ্ধে কৌশল অবলম্বন
করলেন ৷ র্তীন্সের আশংকা ছিল যে, নবী কবীম (সা ) এ র উপর তিনি তাদের তুলনায় প্রাধান্য
বিস্তার করে ফেলবেন এবং অন্য জন বীদী নফীসা ইা৷কে যায়নাব (রা) তাকে হিবা
করেছিলেন ৷ (ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে) নবী কবীর (সা) সফিয়্যা বিনত হুয়ায় (রা)এর
কারণে যায়নাব (রা)-া:ক পরিত্যাগ করে রেখেছিলেনন্যিলহজ্জ , ঘৃহাররম ও সফর মাস ৷ তার
ওফাতের মাস রাবীউল আউয়াল শুরু হলে তিনি যায়নাব (বা) বললেন, আমি তেরে স্থির
করতে পারছি না যে আপনাকে কি প্রতিদান দেব ? পরে এ বীদীটিরুক নবী কবীম (সা)কে
হিব৷ করলেন ৷
সায়ফ ইবন উমার (র) বলেছেন, সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা (র৷ ) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) এক সময় মারিয়া ও রায়হানার জন্য (ত্রীদের প্রাপ্য) ংংল্
নির্ধারণ করতেন ৷ আবার কোন কোন সময় তাদের বাদ দিয়েও রাখতেন ৷ দ্বহ্বৃ নৃম্রৰু::
বলেন, আবু মুহাম্মদ ইবন উমার আল ওরাকিদী (র) বলেন ররহ নষ্ ন্শ্ ন্থিরাদ্ভ্র
ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ৬ঘার ইবনুল খত্তেব (বা) ইইর
বাকী কবরহাণে
দ্বিমত নেই ৷ ইবরাহীম (বা) এর জন্ম হয়েছিল মারিয়া বিনত শামউন কিবডীর গর্ভে ৷ মুহাম্মদ
ইবন সড়াদ (র) বলেন, হিশাম ইবনুল কালবী (র)ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন কাসিম ৷ তারপর যায়নাব (র৷ ) , তার
পরে রুকড়ায়দ্র৷ (রা) ৷ নবী কৰীম (সা) এর সন্তানদের মধ্যে কাসিম (রা) মক্কায় প্রথম মৃত্যু
বরণ করেন ৷ তারপরে মৃত্যু হল আবদুল্লাহ (রা)-এর ৷ তখন আস ইবন ওয়ড়াইল আস সাহসী
বলেন, তার বংশ ধারা ছিন্ন হয়ে গিয়েছে; সুতরাং সে লেজ কাটা নির্বৎশ ৷ তখন মহান মহীয়ড়ান
অল্লোহ্ নাযিল করলেন,
“আমি তোমাকে কাওছার (মঙ্গলের প্রাচুর্য ৰিষেশতঘ্র হড়াওয-কাওছার) দান করেছি ৷ সুতরাং
তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সল্দোত আদায় কর এবং কুরবানী কর ৷ নিশ্চয় তোমার প্রতি
বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বৎশ (সুরা কড়াওছার) ৷ বর্ণনড়াকারী (ইবন আব্বাস) বলেন, এরপরে
অষ্টম হিজরীব যিলহজ্জ মাসে মদীনায় মারিয়া-এর গর্ভে ইবরাহীম (রড়া)-এর জন্ম হয় ৷ পরে
আঠার মাস বয়সে তার মৃত্যু হয় ৷
যাকারিয়্যা আল জাৰীয়ী (র) ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, খাদীজা
(রা)-এব গর্ভে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রা) এর জন্ম হয় ৷ পরে তার সন্তান হওয়া ৰিলন্বিত
হতে লাগল ৷ একদিন রড়াসুলুল্লাহ (না) এক ব্যক্তির সংগে কথা বলছিলেন, তখন আস ইবনৃল
ওরড়াইল তার দিকে তাকিয়ে ছিল ৷ তখনই এক ব্যক্তি আসকে বলল, এ লোকটি কে ? সে
র্তাকে বলল, এ তো লেজ কাটা ব্যক্তি ৷ কোন লোকের একটি সন্তান হওয়ার পরে পরবর্তী সম্ভ
ড়ান বেশ ৰিলম্বে হলে কুরায়শরা তাকে অড়াবতার (লেজকাটড়া) বলত ৷ তখন আল্লাহ নাযিল
কররুলন, তোমার প্ৰতি ৰিদ্বেষ পোষণকারীই সব কল্যাণ ও মংগল হতে
কর্তিত (এবং প্রকৃত লেজকাটা) ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর খ্যদীজা (রা) এর গর্ভে যায়নাবের
জন্ম হয় ৷ তারপর জন্ম হয় রুকড়ায়ড়ার ৷ তারপর জন্ম হয় কাসিম (রা)-এর ৷ তারপর তাকে সম্ভ
ান উপহার দিলেন তাহির (রা)শ্ফে ৷ তারপর তিনি জন্ম দিলেন মুতাহহড়ার (বা)-কে; তারপর
তিনি জন্ম দিলেন তারািব (রা)-বো; তারপর জন্ম দিলেন মুতায়াব (রড়া)প্ফে; তারপর জন্ম
দিলেন উস্মৃ কুলছুম (রড়া)কাে তার পর তিনি জন্ম দিলেন ফাতিমা (বা) কে এবং তিনি ছিলেন
তাদের সর্ব কণিষ্ঠা ৷ খড়াদীজা (বা) এর কোন সন্তান জন্ম নিলে তিনি তাকে কোন দুধ মায়ের
হাতে তুলে দিতেন ৷ কিন্তু ফাতিমা জন্ম লাভ করলে তিনিই জকে দুধ খাওয়ড়াতে থাকলেন ৷
হারছাম ইবন আদী (র) বলেন, হিশাম ইবন উরওয়ড়া সাঈদ ইবনৃল ঘুসায়্যাকের মাধ্যমে তার
পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) এর দুটি পুত্র সন্তান ছিলেন; তাব্যিব
ও তাহির এদের একজনের নাম রাখা হয়েছিল আবদ শড়ামছ এবং অন্য জনের নাম রাখা
হরেস্কি আবদুল উয ষা : এ হাদীসে আপত্তিকর ও অসমর্থিত বিষয় রয়েছে ৷ আল্লাহ্ সর্বাধিক
ড্ডাৎ ’ দ্বুহম্মেন্ ইবন আইয (র) বলেন, ওলীদ ইবন মুসলিম (র) সাঈদ ইবন আবদুল
ঙ্গইব ৷ র ৷ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, খাদীজ্য (রা) কাসিম, তাব্যিব , তাহির , মুতাহহার, যায়নড়াব,
নােল্ল! ৰুঢিষা ৩ উম্মু কুলছুম জন্ম দেন ৷
ন্তো ইমৃন স্ফো (র) বলেন আমার চাচা ঘুসআব ইবন আবদুল্লাহ (রা) আমাকে
জ্জীভ্ ল্লো ৷ নীি বলেনঃ ৰ্াদীক্তা (বা) কাসিম ও তাহিরকে জন্ম দিলেন ৷ তাহিরকে
তাব্যিব নামেও ডাকা হত ৷ তাহিরের জন্ম হয়েছিল নবুয়ড়াত প্রাপ্তির পরে ৷ তার (মুল) নাম ছিল
আবদুল্লাহ এবং শৈশবেই তার মৃত্যু হয় ৷ ফাতিমা , মায়নাব, রুকায়্যা ও উন্মু কুলছুমকেও (জন্ম
দিলেন) ৷ যুবায়র (র) বলেন, ইররাহীম ইবনুল মুনঘির (র) আবুল আসওয়ড়াদ (র) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, খাদীজা (বা) কাসিম, তাহিৱ, তাখ্যিব, আবদুল্লাহ, মায়নাব, ককড়ায়্যা, ফাতিমা
ও উম্মু কুলছুম (রড়া)-কে জন্ম দেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ফুযালা (র) তার জনৈক শায়খ সুত্রে আমাকে বলেছেন ৷ তিনি বলেন,
খাদীজা (বা) কড়াসিম ও আবদুল্লাহ (ক জন্ম দিলেন ৷ কাসিম হেটে চলার বয়স পর্যন্ত বেচে
ছিলেন ৷ আর অবদুল্লাহ শিশু অবন্থায়ই মারা যান ৷
যুবড়ায়র ইবন বাক্কার (র) বলেন, জড়াহিলী যুগে খাদীজা (রা) আত তাহিরাহ (পুত পবিত্রা)
ৰিনত খুওয়ড়ায়লিদ নামে অভিহিতা হতেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর পক্ষে জন্ম দেন কাসিম
(রা)৫ক ৷ কাসিমই জর জ্যেষ্ঠ সন্তান ৷ এবং তার নামেই নবী কবীম (সা) এর কুনিয়ত
(উপনাম) আবুল কড়াসিম হয়েছিল ৷ তারপর যায়নারকে ৷ তারপর আরদুল্লা কে; র্তাকে তামািব
এবং তাহির নামেও অভিহিত করা হত ৷ তীর জন্ম হয়েছিল নবী কবীম (সা) এর নবুয়্যাত
প্রাপ্তির পরে এবং তিনি শৈশবেই মারা যান ৷
তারপর কন্যা কুলছুম (বা) কে; তারপর ফাতিমা (রা ) কে; তারপর রুকায়্যা (বা) (ক ৷
এভাবে একের পর এক জন্মলাত করে ৷ তারপর কাসিম (রা ) মক্কায় মারা যান ৷ নবী কবীম
(সা) এর সন্তানদের মধ্যে প্রথমে তারই মৃত্যু হয় ৷ তারপরে মারা যান আবদুল্লাহ ৷ এরপরে
মারিয়া বিনত শামউন (রা)এর গর্ভে নবী কবীম (সা) এর পুত্র ইবরাহীম এর জন্ম হয় ৷
মারিয়া হলেন (আলেকজাদ্রিয়ার) শাসক মুকাওকিস-এর তরফ থেকে উপচৌকন স্বরুপ
প্রেরিত মহিলা ৷ মুকাওকিস মারিয়ার সংগে তার বোন শীবীন এবং মাবুর নামের এক
খােজাকেও উপহার রুপে পাঠান ৷ নবী কবীম (সা) শীবীনকে হেবা করে দেন হড়াসসান ইব ন
ছাৰিত (রড়া)-৫ক ৷ তার গর্ভে হাসসান (রা)এর পুত্র আবদুর রহমানের জন্ম হয় ৷ তবে পরে এ
বংশধারা ল্যেপ পেয়ে গিয়েছিল ৷
আবু বকর ইবন রাত্তী (র) বলেছেন, কথিত মতে তাহির ও তায়িার অভিন্ন ৷ আবার কথিত
হয়েছে, তায়িাব ও ঘুতায়্যাব (জময়) রুপে জন্মেছিলেন এবং তাহির ও ক্ষুতাহহার অনুরুপ জময়
জন্মেছিলেন ৷
ঘুফায়যাল ইবন গাসৃসড়ান (র) বলেছেন, আহমদ ইবন হড়াম্বল (র) ঘৃজাহিদ (র) সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) পুত্র কাসিম সড়াতদিন বেচে থাকার পরে মারা যান ৷
মুফারযাল (র) মন্তব্য করেন, এ তথ্য ত্রুটিপুর্ণ ৷ সঠিক তথ্য হল, তিনি সতের মাস জীবিত
ছিলেন ৷ হাফিয আবু নুআয়ম (র) বলেন, মুজাহিদ (র) বলেছেন, কাসিমের মৃত্যু হয়েছিল
সাত দিন বয়সে ৷ যুহবী (র) বলেন, দুবছর বয়সে ৷ কাতাদা (র) বলেছেন, হেটে চলার বয়স
পর্যন্ত তিনি বেচে ছিলেন ৷
হিশাম ইবন উরওয়া (র) বলেছেন, তায়িাব ও তাহিরের নাম ইরাকীদের উদ্ভাবিত ৷ আর
আমাদের শায়খগণ তাদের নাম বলেছেন, আবদুল উযমা, আরদ মানাফ ও কাসিম এবং
মেয়েদের মধ্যে ককড়ায়্যা, উম্মু কুলছুম ও ফাতিমা (রা ) ৷ ইবন আসাফির (র) এ ভাবেই
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এটি অসমর্থিত ও প্রত্যাথ্যাত এবং এ বংনািয় যেটিকে প্রত্যাখ্যান করা
হয়েছে সল (সঢিই সমর্থিত ও স্বীকৃত ৷ এ ছাড়া এ বর্ণনায় যায়নাব (রা)ণ্এর নাম বাদ
পড়েছে তার নাম থাকা আবশ্যক ৷ আল্লাহই সর্বত্বধিক অবগত
যারনাব (রা) )সশ্বন্ধে যথার্থ তথ্য হল, আবদুর রাজ্জাক (র) ইবন জুবায়জ (র) সুত্রে
উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন জুবায়জ (র) বলেন, একাধিক ব্যক্তি আমাকে বলেছেন, যায়নাব (বা )
হলেন নবী করীম (সা)-এর কন্যাদের মাঝে চজ্যষ্ঠা ৷ আর ফাতিমা (বা) ছিলেন তাদের
কণিষ্ঠা এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটে সর্বাধিক আদরের ৷ যায়নাব (বা) এর বিবাহ
হয়েছিল আবুল আস ইবনুর রাবী এর সংগে ৷ এ স্বামীর ঘরেই তার পুত্র আলী ও কন্যা
উমড়ামার জন্ম হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এ উমড়ামাকেই সালাতের সময় (কাধে ) তুলে নিতেন,
সিজদা করার সময় তাকে না ড়ামিরে রাখতেন ও দাড়াবার সময় আবার তুলে নিতেন ৷ সম্ভবত
এটা ছিল হিজবী অষ্টম বর্ষে তার মায়ের মৃত্যুর পরে ৷ ওয়াকিদী, কাতাদা ও আবদুল্লাহ ইবন
আবু বকর ইবন হড়াযম (র) প্রমুখ এর বর্ণনায় এরুপই অনুমিত হয় ৷ সম্ভবত তিনি ছিলেন
ছোট্ট শিশু ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷ ফাতিমড়া (রড়া)-এর মৃত্যুর পরে আলী (বা) এ
উমমােকেই বিবাহ করেছিলেন (পরবর্তীতে তার বচ্নাি আসছে) ৷ যায়নাব (রা) এর মৃত্যু হয়
অষ্টম হিজরীতে ৷ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন কাতদাে (র) আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন
হাযম (র) এর উদ্ধৃতিতে খলীফা ইবন খায়্যাত, আবু বকর ইবন আবু খায়সামড়া ও অন্যানারা
অভিন্ন মত পোষণ করেন, ইবন হাযম (র) থেকে কাতাদা (র)-এর অন্য একটি বর্ণনায়
-অষ্টম হিজরীর প্রারম্ভে ৷ হাম্মাদ ইবন সালামা (র)উরওয়া (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷
যায়নাব (বা) হিজরাত করে আসার সময় এক ব্যক্তি র্তাকে ধাক্কা দিলে তিনি একটি বড়
পাথরের উপর পড়ে গেলেন এবং তাতে জর গর্ভের সন্তানের অকাল প্রসব হয় ৷ শেষ পর্যন্ত
তার এ ব্যথা উপশম হয়নি এবং তাতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ এ জন্য তারা মনে করতেন
যে তিনি শহীদদের মর্যাদা লাভ করেছেন ৷
আর রুকায়্যা (বা) এর প্রথমে বিবাহ হয়েছিল উতবা ইবন আবু লড়াহাবের সংগে এবং তার
বোন উম্মু কুলছুম (রা)-এর বিবাহ হয়েছিল উতবার ভাই উতড়ায়বা ইবন আবু লাহাবের সংগে ৷
পরে যখন আল্লাহ পাক সুরা লাহাব নাযিল করলেন তখন রাসুলুল্লাহ (না)-এর প্রতি বিদ্বিষ্ট হয়ে
তারা উভয়ে ঐ দুই বোনকে বাসদুরর আগেই তালাক দিয়ে দেয় ৷ আল্লাহ পাক নাযিল
করেছিলেন,
(সুরা লাহাব)
(রা) (বা) কে বিবাহ করলেন ৷ তিনি স্বামীর সংগে
হৃবশর হজরত করে ণ্গলেন ৷ বলা হয় যে, তিনি হাবাশা দেশে প্রথম হিজরতকারিনী ৷ পরে
র্তারা উভয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করলেন এবং পুনরায় মদীনায় হিজরত করলেন ৷ (পুর্বেই তা
বর্ণিত হয়েছে) রুকায়্যা (রা)এর গর্ভে জন্ম হয় উসমান (বা) এর পুত্র আবদুল্লাহর ৷ তীর বয়স
ছয় বছর হওয়ার সময় একটি থােরগ তার চোখে ঠোকর দিয়েছিল ৷ যাতে তীর মৃত্যু হয় ৷
প্রথম দিকে এ ছেলের নামেই উসমড়ান (রা)-এর কুনিয়াত হয়েছিল আবু অবদুল্লাহ ৷ পরে
অবশ্য পুত্র উমরের নামে তার কুনিয়াত পরিবর্তিত হয় ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) যখন মীমাংসা
দিবসে’ দুই দলের মুথামুখি হওয়ার দিন অর্থাৎ বদরে বিজয় লাভ করলেন যে সময় মদীনায়
রুকায়্যা (রা)-এর মৃত্যু হয় ৷ যুদ্ধ বিজয়ের সুসংবাদ বাহক-যায়দ ইবন হারিছা (রা) মদীনায়
পৌছে দেখলেন যে, তারা রুকায়ব্রুার কবরের উপরে মাটি বিছিয়ে দিয়েছেন ৷ উসমড়ান (রা)
রাসুলুল্লাহ (সা)-এর হুকুমে স্তীর সেবা-শুশ্রুষার উদ্দেশ্যে মদীনায় রয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাই নবী
করীম (সা) র্তাকে প্রতিদান (হওয়ার) ও গণীমতেব হিসসা প্রদানের ঘোষণা দিলেন ৷ মদীনায়
প্ৰত্যাগমনের পরে রুক্যয়্যা-ও বোন উম্মু কৃলছুম (বা) কেও উসমানের নিকট বিবাহ দিয়ে
দিলেন ৷ এ কারণেই র্তাকে যুন নুরায়ন’ (দুই নুরের অধিকারী) নামে অভিহিত করা হত ৷ পরে
নবম হিজরীর শাবান মাসে উসমান (না)-এর নিকটে থাকা অবস্থায় উম্মু কুলছুম (রা)ও
ইনতিকাল করলেন এবং এ ঘরে তাদের কোন সন্তান হল না ৷ এ সময় বাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছিলেন, “আমার কাছে তৃতীয় (আর একটি কন্যা)
থাকলে ভীকেও উসমানের হাতে তুলে দিতাম ৷ অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে যে,
রাসুলুল্লাহ (না) বলেছিলেন, তারা (মেয়েরা) দশজন থাকলেও
আমি তাদেরকে (একের পর এক করে) আমি উসমানের কাছে নিয়ে দিতাম ৷
আর ফাতিমড়া (রা)-এর বিবাহ হল আলী ইবন আবু তালিব (বা) এর সংগে দ্বিতীয়
হিজরীর সফর মাসে ৷ জদের ঘরে জন্ম নিলেন হাসান ও হুসায়ন (বা) এবং কারো কারো
মতে মুহসিন (রা)ও ৷ আরো জন্ম নিলেন উন্মু কুলছুম ও যায়নাব (রা) ৷ উমার ইবনুল খাত্তাব
(বা) তার খিলাকতকালে আলী ও ফড়াতিমা (রা)-এর কন্যা উন্মু কুলছুমকে বিবাহ করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে তার বংশ সুত্রের কারণে ভীকে অধিক মর্যাদার আসন দেন এবং
তাকে চল্লিশ হাজার দিরহড়াম মোহর প্রদান করে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন ৷ এ ঘরে
জন্ম লাভ করেন যায়দ ইবন উমার ইবনুল খাত্তাব (বা) ৷ উমর (রা) শাহাদাত বরণ করলে
উম্মু কুলছুমের চাচাত ভাই আওন ইবন জাফার (রা) তাকে বিয়ে করেন ৷ আওন (রা)ও
স্তীকে রেখে মৃত্যু বরণ করলে তার ভাই মুহাম্মদ ইবন জাফার তাকে বিয়ে করেন ৷ তারও
ইনতিকাল হলে আর এক ভাই আবদুল্লাহ ইবন জাফার (রা)-এর সংগে উম্মু কুলছুম (বা)
বিয়ে হয় এবং এ স্বামীর ঘরেই তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ এ ছাড়া আবদুল্লাহ ইবন জাফার
(বা) উম্মু কুলছুমের (পরে তার) বোন যায়নাব (রা)কেও বিবাহ করেছিলেন এবং তিনিও এ
স্বামীর ঘরেই ইনতিকাল করেন ৷
ও দিকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরে ছয় মাসের ব্যবধানেই ফাতিমা (বা)
ইনতিকাল করলেন ৷ এটাই এ ব্যাপারে প্রসিদ্ধতম অভিমত এবং সহীহ বুখারীতে আইশা (রা)
সুত্রের রিওয়ায়াতে এটাই প্রমাণিত ৷ যুহরী ও আবু জাফার আল বাকির (র)ও অনুরুপ অভিমত
ব্যক্ত করেছেন ৷ তবে যুহরী (র) থেকে অন্য একটি বর্ণনায় তিন মাসের ব্যবধানে; আবুয
যুবৰুয়র (র) বলেছেন দুই মাসের ব্যবধানে ৷ আবু যুবায়দ৷ (র) বলেছেন, নবী কবীম (সা) এর
পরে ফাডিমা (রা) দিনরাত মিলিয়ে সত্তর দিন বেচে ছিলেন ৷ আমর ইবন দীনাব ব(র) বলেন,
নবী কহী ন্ (না)-এর ইন্তেকালের পরে ফাতিম৷ (রা) বেচে ছিলেন তা ট মাস ৷ আবদুল্লাহ
ইবনুল হর্করিছ (র) ও অনুরুপ বলেছেন ৷ আমর ইবন দীনার (র)-এব একটি রিওয়ায়াত রয়েছে
-চার মাসের ব্যবধানে ৷
আর ইব্রাহীম (বা) জন্মগ্রহণ করেছিলেন মারিয়া কিবর্তী (রা) এর গর্ভে (পুর্ব বর্ণনা
দ্রবষ্ট্য) ৷ তার জন্ম হয়েছিল অষ্টম হিজরীর জিলহজ্জ মাসে ৷ ইবন লাহীম৷ (র) প্রমুখ সুত্রে
আবদুর রহমান ইবন যিয়ড়াদ ইবরাহীম (রা)-এর আগমন ঘটলে জিবরীল (আ) আগমন করে
বললেন,
“আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা ইবরাহীম ! আল্লাহ আপনাকে আপনার বাদী প্৷ ত্নীর ঘরে
একটি পুত্র সন্তান দান করেছেন ৷ তার নাম ইবরাহীম রাখার জন্য আপনাকে হুকুম দিয়েছেন ৷
আল্লাহ আপ না বেং ৩াওে বরক৩ দান করশু ন এবং আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে র্তাকে আপনার
নয়ন মণি’ করুন ৷”
হাফিয আবু বকর আল বাযযার (র) রিওয়ায়াত করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন মিষ্ণ্ কীান (র)
আমাস (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, নবী কবীম ম(সা)-এর পুত্র ইবরাহীমে র জন্ম হলে তার
ব্যাপারে নবী কবীম (না)-এর মনে কিছু দ্বিধার উদ্রেক হল ৷ তখন জিবরীল (আ) তীর নিন্টে
আগমন করে বললেন, আসসালড়াযু আলড়ায়কা ইয়৷ আব৷ ইবরাহীম !
ভ্রাসবতে (র) ইসমাঈল ইবন আবদুর রহমান আস-সুদ্দী (র) থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেনৃ ভ্রন্স ইবন মালিক (রা) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, নবী কবীম (সা) পুত্র ইবরাহীম
(রা) কত বয়সে পৌছেছিলেন ৷ তিনি বললেন, যে ছিল দােলনা জোড়া (মায়ের কোল
জোড়া) বেচে থাকলে অবশ্যই নবী হত ৷ কিন্তু বেচে থাকার জন্য সে আসেনি ৷ কেননা,
তেড়ামাদের নই সর্বশেষ নবী৷ ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন আবদুর <৷ হ্মা ন ইবন
মড়াহদী (রা) )থেকে বর্ণিত ; তিনি বলেন, নবী কবীম (সা) পুত্র
ইবরাহীম ( র শুবৰুচ থাকলে নব? ও ঙ্গিদ্দীক হতেন ৷ আবু৩ উবায়দুল্লাহ ইবন মানদড়া (র) বলেন,
মুহাম্মদ ইবন নদ ও হুহর্বৰুদ ইবন ইব্রাহীম (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
নবী কবীম এর পুত্র ইবরহীম (রা) মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তার বয়স ষোল মাস ৷
তখন র র্তীকে
বার্কীতে দন্ফন কর: কেন ণ্না) তার দুধ পান সম্পন্ন করবার জন্য জান্নাতে তার দুধ-মা
রয়েছে ;
আবু ইয়লন্ (র) বলেন আবু খায়ছামা (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
পরিবরপ্দ্বরিজৰুনর প্রতি রহ্বসৃলুল্লাহ (সা) এর চেয়ে অধিক স্বেহ-মমতড়াবান কাউকে আমি
দেন্হ্ল ইবরইম্ব ( র ) ন্দ্দীনার আউয়ালী (উচু) মহল্লায় দুধ পানরত ছিল ৷ নবী কবীম (সা)
৫০ ৷ড়া
সেখানে চলে যেতেন ৷ আমরাও তার সংগে যেতাম ৷ তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন; ঘরটি বুয়ায়
ভর্তি থাকত ৷ (কারণ) ইবরাহীমে দুধ-পিতা ছিলেন একজন কর্যকার ৷ নবী করীম (না) তাকে
( কোলে) তুলে নিচতন এবং পরে ফিরে আসতেন ৷ আমর (র) বলেন, পরে ইবরাহীম (রা)-এর
মৃত্যু হলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
ইবরাহীম আমার পুত্র; সে দুধ খাওয়া অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে ৷৩ তার জন্য দুই জন যাত্রী
মাতা রয়েছে, যারা জান্নাতে তার দুধ পান সম্পন্ন করবে ৷ আর জড়ারীর ও আবু আওয়ান৷ (র)
রিওয়ায়াত করেছেন, আমলে (র) বারা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর
পুত্র ইবরাহীম৩ ৷র সােল মড়াস বয়সে ইনতিকা ড়াল করলেন ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, “তাকে বাকীতে দাফন কর ৷ কেননা, জ ৷ন্নড়াতে তার জন্য ও
ন্য দানকারিণী রয়েছে ৷ আহমাদ (র) ও বাবা (রা) এর বরাতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তদ্র্যপ,
সুফিয়ান ছাওরী (র)ও হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ফিরাস (র) বারা ইবন আযিব
(বা) থেকে ৷ ছাওরী (র) আবু ইসহাক (র)বারা (রা) সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইবন আসাকির (ব) আত্তাব ইবন মুহাম্মদ ইবন শাওয়ড়াব (র) সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন
আৰী আওফা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ইব্রাহীম (রা) ইনতিকড়াল করলে
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,জান্নাতে তার অবশিষ্ট দুধ পানের
মেয়াদ পুর্ণ হবে ৷ আবু ইয়ড়ালা আল মড়াওসিলী (র) বলেন, যাকারিয়্যা ইবন ইয়াহয়ড়া আল
ওয়াসির্তী (র) সুত্রেইসমাঈল (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি ইবন আবী আওফা
(রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম কিৎবা কাউকে তার কাছে জিজ্ঞাসা করতে শুনলাম-নৰী কৰীম
(সা) এর পুত্র ইবরাহীম (বা ) সম্পর্কে ৷ তিনি বললেন, যে শৈশবে মৃদ্ভু তবরণ করে ৷ নবী করীম
(সা) এর পরে, কোন নবী হওয়ার (কুদরাতী) ফায়সালা থাকলে অবশ্যই যে বেচে থাকত ৷
ইবন আসাকির (র) বলেন, হাফিয আহমাদ ইবন মুহাম্মদ ইবন সাঈদ (র) বরাতে
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রড়াসুলুল্পাহ (যা) বলেছেন,
ইবরড়াহীম বেচে থাকলে তিনি অবশ্যই নবী হতে তন ৷ ইবনৰুঅড়াসাকির (র)
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসম৷ ঈল ইবন সামুরা (র) সুত্রে অড়ানাস (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইবরাহীম (রা) মৃত্যুবরণ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি তাকে না দেখা পর্যন্ত তাকে কাফান জড়িয়ে দিও না ৷ পরে
তিনি এসে তার উপরে ঝুকে পড়লেন এবং র্কাদতে লাগলেন ৷ এমনকি তার দাড়ি ও গণ্ডদ্বয়
কেপে কেপে উঠতে লাগল ৷ এ আবু শায়বা-ও রিওয়ায়াতকে গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় না ৷
ইবন আসাকির (র) এর পুর্ববর্তী রিওয়ায়াত মুসলিম ইবন খালিদ আয যানজী (র)
আসমা বিনত য়াযীদ ইবনুস সাকান (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইবরাহীম (বা)
ইনতিকড়াল করলে রাসুলুল্লাহ (সা) র্কাদলেন, তখন আবু বকর ও উমর (রা) বললেন, “আল্লাহ
পাকের য়থার্থ হক ও অধিকার অনুধাবনে আপনিই সর্বাধিক উপযোগী ৷ তখন নবী করীম (সা)
বললেন,
চোখ অশ্রুসিক্ত, হৃদয় ব্যথিত আর আমরা এমন কিছু বলি না যা প্রতিপালককে অসম্ভষ্ট
করে; যদি না তা (মৃত্যু) বাস্তব অং গীকার ও সমরেতকা ত্ত্বরী প্রতিশ্রুতি হত এবং যদি না এমন
হত যে আমাদের পরবভীরা পুর্বব্ভীদের অনুগমন করে তবে অবশ্যই আমরা তোমার জন্য
শ্ যত ম মড়াধ্৩ হয়েছি তার চেয়ে অতি অধিক মর্মাহত হতাম ৷ আর হে ইব্রাহীম! তোমার কারণে
আমরা অবশ্যই দুঃখ ভ ৷রাক্রা ম্ভ ৷” ইমাম আহমাদ (র) আসওয়াদ ইবন আমির (র)ৰারা’
(রা)-এর বরাতে বলেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ভীর পুত্র ইব্রাহীম (রা)-এর
জানযৌর ল ৷ পা ও আদার করলেন ৷ ভী র মুঙু৷ হয়েছিল ষোল মাস বয়সে ৷ তিনি বললেন, “অবশ্যই জান্নাতে রয়েছে তীর জ্যা ধাত্রী যে স্ত
ন্যদানের মেয়াদ পুর্ণ করবে এবং সে একজন সিদ্দীক ৷” হাকাম ইবন উয়ায়ন৷ (র) এর বরাঃত
ব্ড়ারা’ (বা) থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷
আবু ইয়া লা (র) বলেন, কড়াওয়ারিরী (র)ইবন আবু আওফা (রা) থেকে বংনাি করেন
যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) তার পুত্রের জানাযীর সালাত আদায় করলেন ৷ আমি তার
পিছনে সালডো আদায় করলাম ৷ তিনি চার তড়াকবীর বললেন ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র (র)
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) য়ুহ্াঅ্যাং ইবন ৩ম্পোহ্৷ ইবন ইয়াযীদ ইবন রুকান৷ (র) থেকে
রিওয়ায়ড়াত করেছেন যে, তিনি বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ (সা)এর পুত্র ইব্রাহীম ইনর্তিকাল করলেন
অড়াঠার মাস বয়সে ৷ তার জানার্ষড়ার সালাত আদায় করা হল না ৷ ইবন আসাকির (র)
রিওয়ায়ান্ করেছেন ইসহাক ইবন মুহাম্মদ আ ল ফ৷ ৷রবী (ব) আলী (রা) থেকে ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (ল ব্া) এর পুত্র ইব্রাহীম ইনতিকা ৷ল করলে তিনি আলী (রা) ইবন আবু
৩ালিব্কে ইব্রড়াহীৰুমর মা মারিয়া কিব্ভীয়ার কাছে পাঠালেন ৷ মারিয়া (রা) তখন একটি কক্ষে
অবস্থান করছিলেন আলী (রা) ইবরাহীমের মৃতদেহ একটি থলেতে তুলে নিয়ে ঘোড়ার পিঠে
নিজের সামনে রেখে দিলেন ৷ তারপর তাকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সামনে নিয়ে আসলে তিনি
তাকে গোসল দািয় ও কাফন পরিয়ে ভীকে নিয়ে বের হলেন ৷ সােকেরাও তার মা গে বের
হল ৷ পৰুরহু ত্ম্মেদ ইবন যায়দ (রা) এর বাড়ির পাশ্বব্ভী গলিপথের ধারে দাফন করলেন ৷
আলী (রা) ভ্রর করার নামলেন এবং তার (বগলী) কবরে মাটি সমান করে দিয়ে দাফন সম্পন্ন
করলেন পদুর বের হয়ে এসে তার কবরের উপরে পানি ছিটিয়ে দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তার
হাত করবে ঢুর্কিয়ে দিয়ে বললেন, “ “শোনাে ! আল্লাহর ৰুস্যা ’ সে
অবশ্যই নবী পুত্র নবী ৷ ১ রাসুলুল্লাহ (সা) র্কাদলেন এবং তার চারপাশে মুসলমানরাও কেব্দে
ট্টঠলেন এ মন কি কজ্বন্নার আওয়াজ উচু হয়ে উঠল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন
১ এ বর্ণনাঢি পুর্কেল্লিথিত নহীহ রিওয়ায়াতের পরিপন্থি বিধায় এটি ব্যাখ্যা স পেক্ষ ৷ কেননা
বলেছেন ইব্রাহীম বেচে থাকলে নবী হত-অর্খাৎ যদি নবুওতের সম্ভাবনা থাকত ৷ সম্পাদক মলীেক্ট্র
“চোখ অশ্রু টলমল, হৃদয় যেদনাহত; এবং আমরা এমন কিছু বলব না যা প্রতিপালকের
৫ক্রাধ সৃষ্টি করে ৷ আর হে ইব্রাহীম! তোমার বিয়ােগে আমরা সকলেই দুঃখ ভারাক্রাত ৷
ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর পুত্র ইবরাহীম ইনতিকাল করেন দশম হিজরীর রবিউল
আউয়াল মাসের দশ দিন যেতে ৷ তখন তার বয়স ছিল আঠার মাস ৷ তার মৃত্যু হয়েছিল
নাজ্জার গোত্রের বনু মাযিন পরিবারের উন্মু বারযাঃ বিনতুল মুনযির (রা)-এর বাড়িতে এবং
ষ্ ভীকে সমাহিত করা হয়েছিল বড়াকীতে ৷
প্রস্থাকারের মন্তব্য : আমরা পুর্বে উল্লেখ করে এসেছি যে, ইব্রাহীম (রা)-এর মৃত্যুর দিন
সুর্য গ্রহণ হয়েছিল ৷ তখন লোকেরা বলতে লাগল, ইবরাহীমের মৃত্যুর কারণে সুর্য গ্রহণ
হয়েছে ৷ তখন নবী করীম (সা) ভাষণ দিয়ে বললেন,
“সুর্য ও চন্দ্র মহান মহীয়ান আল্লাহর নিদর্শন সমুহের দুটি নিদর্শন ৷ ক ৷রো মৃত্যুর কারণে
এগুলোর গ্রহণ হয় না ৷’ ড়াহ ড়াফিয আবুল কা ড়াসিম ইবন আসাফির (র) এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
নবী করীম (না)-এর গোলাম, বাদী, খ ৷দিম,
সচিববৃন্দ ও বিশ্বস্ত সহচরবৃন্দ
আ ল্লাহ্ পাক্যে৷ সাহায্য প্রা ৷র্থনা করে এ প্রসংগের আ দ্যে পােম্ভ বিবরণ প্রদানের প্রয়াস পাব
একং : আবু যায়দ উসামা ইবন হ রিছা আল কা ৷লৰী (বা) ৷ মত স্তেরে আবু যায়ীদ বা আবু
মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা)এর আযাদকৃত গোলাম এবং অন্যতম আযাদকৃত গোলাম (যায়দ)-
এর পুত্র; তার প্রিয়জন ও প্রিয়জনের পুত্র ৷ তার মা হলেন উম্মু আয়মান; যীর নাম ছিল
বারাকা৪, যিনি রাসুলুল্লাহ (সা) কে শৈশবে কোলে-পিঠে করে লালন-পালন করেছেন এবং
নৃবুওয়্যাৎ প্রাপ্তির পরে প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷
জীবনের শেষ দিনগুলিতে রাসুলুল্লাহ (সা) উসড়াম৷ (রা) কে সেনাপতি নিয়োগ করেছিলেন ৷
তখন তার বয়স মাত্র আঠার কিৎবা উনিশ ৷ নবী করীম (না)-এর ওফাতকালে তিনি এক
বিশাল বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন ৷ যে বাহিনীতে তালিকাভুক্ত ছিলেন উমর ইবনুল খাত্তাব
(রড়া)-ও ৷ কারো কারো মতে আবু বকর সিদ্দীক (রড়া)-ও ৷ তবে এ অভিমতটি দুর্বল ৷ কেননা,
বাসুলুল্লাহ (সা) ই র্তাকে (সালা তের) ইমামতির জন্যে নিয়োগ করেছিলেন ৷ আগেই বিবৃত
হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে যাওয়ার সময় উসড়ামা বাহিনী জুরদে অবস্থান
করছিল ৷ আবু বকর (বা) উমর (রা) কে রেখে যাওয়ার জন্য উসড়ামড়াকে অনুরোধ করলেন ৷
যাতে তিনি তার কাছে র্কাছে থাকতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে র্তার পরামর্শের আলো
পেতে পারেন ৷ তখন উসামড়া (রা)৩ তাকে রেখে পেলেন ৷ উসামা বাহিনীকে পরিকল্পিত অভিযান
অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আবু বকর (বা) এর সংগে সড়াহাবা ই কিরামের দীর্ঘ বাদানৃবাদ ও
মত বিনিময়ের পুর্বেও৩ তিনি তাতে দৃঢ় সং কল্প থাকলেন ৷ সকলের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি
বললেন, “আল্লাহর কসম রাসুলুল্লাহ (সা) এর বেধে দেওয়া পতাকা আ ড়ামি কখনো খুলব না ৷ ”