রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি ওহী নাযিলের সুচনা
এবং প্রথম ওহী
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতি ওহী নাযিলের সুচনা এবং প্রথম ওহী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বয়স
যখন ৪০ বছর, তখন ওহীর সুচনা হয় ৷
ইবন জারীর (র) ইবন আব্বাস ও সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রা)-এর বরাতে উদ্ধৃত করেছেন
যে, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বয়স ছিল ৪৩ বছর ৷
ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়র হযরত আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতি ওহী নাযিলের সুচনা হয় সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে ৷
তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন তা প্রভাত আলাের ন্যায় ফুটে উঠভো ৷ এরপর তিনি নির্জনত৷ প্রিয়
হয়ে উঠলেন ৷ তখন তিনি হেরাগুহার একাকী অবস্থা ন করতে লাগলেন ৷ সেখানে তিনি ইবাদতে
মপ্ন থাকতেন ৷ তিনির্ত তার পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তনের পুর্বে একাধারে কয়েক রাত সেখানে
ইবাদতরত থাকতেন ৷ এ সময়ের জন্যে প্রয়োজনীয় আহার্যাদি সঙ্গে নিয়ে যেতেন ৷ তারপর
হযরত খাদীজা ৷র কাছে ফিরে পুনরায় আহার্যাদি নিয়ে যেতেন ৷ অবশেষে হেব৷ গুহার৩ার নিকট
সত্য এল ৷ তা ৷র নিকট ফেরেশত৷ আসলেন এবং বললেন, আপনি পাঠ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, আমি তো পাঠ করতে পারি না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, এরপর তিনি আমাকে
সজােরে চেপে ধরলেন ৷ তাতে আমি আমার সহ্যের শেষ সীমার গিয়ে পৌছি ৷ তারপর তিনি
আমাকে ছেড়ে দেন এবং বলেন ং পড়ুন, আমি বললাম, আমি তাে পাঠ করতে পারি না ৷ তখন
তিনি দ্বিতীর৷ বা র আমাকে সজােরে চেপে ধরেন ৷ত তাতে আমি আমার সহ্যের শেষ সীমার পৌছে
যাই ৷ তিনি আমাকে ছেড়ে দেন এবং বলেনং পড়ুন, আমি বললাম, আমি পাঠ করতে পারি না ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তিনি তভীয়৷ বার আমাকে সজােরে চেপে ধরেন ৷ আমি আমার
সহ্যের শেষ সীমার পৌছে যাই ৷ এর৷ রওত তিনি আমাকে ছেড়ে দেন এবং বলেন £
— পড়ুন আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন ৷ যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন
জমাট রক্ত থেকে ৷ পড়ুন, আপনার প্রতিপালক তাে মহান মহিমাম্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে
শিক্ষা দিয়েছেন ৷ শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না ৷
এ আয়াতগুলাে নিয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ফিরে এলেন ৷ তখন তার হৃৎপিণ্ড থরথর করে
র্কাপছিল ৷ তিনি ফিরে এলেন হযরত খড়াদীজা (রা)-এর নিকট এবং বললেন, আমাকে চাদরে
ঢেকে দাও, ১ আমাকে চাদরে ঢেকে দাও ৷ তিনি তাকে চাদরে ঢেকে দিলেন ৷ এক সময় তার ভয়
কেটে গেল ৷ তিনি হযরত খড়াদীজা (রা)-এর নিকট ওই ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, আমি তো
আমার জীবন সম্পর্কে শংকিত হয়ে পড়েছি ৷ খাদীজা (রা) বললেন, না কখনো নয়, আল্লাহ্র
কসম, তিনি কখনও আপনাকে লড়াঞ্ছিত করবেন না ৷ আপনি তো আত্মীয়তা রক্ষা করেন,
মেহমানদের সমাদর করেন, অন্যের বোঝা বহন করেন ৷ নিঃস্ব ও কপর্দক হীনদের উপার্জনের
ব্যবস্থা করেন ৷ বিপদাপদে অন্যকে সাহায্য করেন ৷
এরপর হযরত খাদীজা (রা) তাকে নিয়ে তার চচােত ভাই ওয়ারাকা ইবন নাওফিল ইবন
আসাদ ইবন আবদুল উয্যা-এর নিকটে গেলেন ৷ জাইিলী যুগে এ ব্যক্তি খৃন্ট ধর্ম গ্রহণ
করেছিলেন এবং তিনি হিব্রু ভাষায় পুস্তকাদি লিপিবদ্ধ করতেন ৷
আল্পাহ্র দেওয়া সামর্থ অনুযায়ী তিনি ইনজীল থেকে হিব্রু ভাষায় অনুবাদ করতেন ৷ তিনি
তখন বৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তি হীন ৷ হযরত খড়াদীজা (রা) বললেন, “চাচাত ভাই! আপনার ভাতিজা কী
বলেন তা শুনুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে সম্বোধন করে ওয়ারাকা বললেন, ভাতিজা! আপনি কি
দেখেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা’ যা’ দেখেছেন তা তাকে অবহিত করলেন ৷ ওয়ারাকা বললেন,
ইনিভাে গোপন বার্তাবাহক , যিনি মুসা (আ)-এর নিকট আসতেন, হায়! ওই সময়ে আমি যদি
শক্ত-সমর্থ যুবক থাকতড়াম, আমি যদি জীবিত থাকতড়াম, যে সময়ে আপনার সম্প্রদায় আপনাকে
দেশ থেকে বহিষ্কার করবে! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওরা কি আমাকে দেশ থেকে বহিষ্কার
করে দেবে ? ওয়ারাকা বললেন, জী স্টা, আপনি যা নিয়ে এসেছেন এরুপ বাণী নিয়ে ইভােপুর্বে
যিনিই এসেছেন তার প্রতিই ংাত্রুতা পোষণ করা হয়েছে ৷ আপনার যুগে আমি যদি বেচে
থাকতড়াম তবে আপনাকে দৃঢ়ভাবে সাহায্য করতাম ৷ এ ঘটনার পর অল্প দিনের মধ্যেই ওয়ারাকা
ইবন নাওফিল ইনতিকাল করেন ৷
এদিকে সাময়িকভাবে ওহী আগমন বন্ধ হয়ে যায় ৷২ এতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে
পড়েন ৷ আমাদের নিকট যে বর্ণনা এসেছে, তা থেকে বুঝা যায়, তিনি এতই চিন্তিত হয়ে
পড়েছিলেন যে, তিনি কয়েক বার ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন পাহাড়ের চুড়া থেকে নিজেকে নীচে
ফেলে দেয়ার জন্যে ৷ বস্তুত যখনই তিনি নিজেকে নীচের দিকে ফেলে দেয়ার জন্যে পাহাড়ের
চুড়ায় উঠার পুর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছেন, তখনই হযরত জিবরাঈল তার নিকট উপস্থিত হয়ে
বলেছেন : হে মুহাম্মদ (সা) ! আপনিভাে আল্পাহ্র রাসুল, এটি ধ্রুব সত্য ৷ এতে র্তার অন্থিরতা
কেটে শাস্তি আসত এবং তীর মন শান্ত হত ৷ তিনি ঘরে ফিরে আসতেন ৷ ওহী বিরতির এই
মেয়াদ দীর্ঘ হলে তিনি ঐরুপ অস্থির হয়ে উঠতেন এবং অনুরুপভাবে পাহাড়ের চুড়ায় আরোহণ
আমাকে উটের পিঠে তুলে দাও ৷
২ এ পর্যন্ত সহীহ্ বুখারীর বর্ণনা সমাপ্ত ৷ বর্ণনায় শব্দগত তারতমা আছে বটে রুিন্তু অর্থাত কোন পার্থক্য
নেই ৷
করতেন ৷ সেখানে জিবরাঈল (আ) উপস্থিত হতেন এবং তাকে অনুরুপ সান্তুনা দিতেন ৷ সহীহ্
বুখারীর আততাবীর অধ্যায়ে এ সম্পর্কে দীর্ঘ বর্ণনা রয়েছে ৷
ইবন শিহাব বলেন, আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন যে, ওহী
বিরতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জাবির ইবন আবদুল্লাহ আনসারী (বা) বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, আমি হেটে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ আকাশের দিক থেকে একটি শব্দ শুনতে পাই ৷
চোখ তুলে দেখি, সেই ফেরেশতা যিনি হেরা গুহায় আমার নিকট এসেছিলেন ৷ আকাশ আর
পৃথিবীর মাঝখানে একটি কুরসীতে সমাসীন ৷ তা’ দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং ঘরে ফিরে
আসি ৷ ঘরের লোকদেরকে আমি বলি, “আমাকে চাদরে ঢেকে দাও, আমাকে চাদরে ঢেকে
দাও ৷” তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন :
“হে বস্ত্রড়াচ্ছাদিত ৷ উঠুন, সতর্কবাণী প্রচার করুন এবং আপনার প্রতিপালকেব গ্রেষ্ঠত্বের
ঘোষণা করুন ৷ আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখুন ৷ অপৰিত্রতা থেকে দুরে থাকুন (৭৪ : ১ ৫) ৷
এরপর থেকে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে ওহী আসতে থাকে ৷
তারপর ইমাম বুখড়ারী (র) বলেন, লায়ছের বর্ণনার সমর্থক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন
আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ ও আবু সালিহ ৷ হিলাল ইবন দাউদ ও যুহরীর বরাতে তার সমর্থক
বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ইউসুফ ও মামার ’ঠুাদ্বু’ব্র (তার হৃৎপিণ্ড র্কাপছিল)-এর পরিবর্তে তার
ঘাড়ের রগ র্কাপছিল বলে উল্লেখ করেছেন ৷
ইমাম বুখারী (র) এই হড়াদীসটি তার সহীহ্ গ্রন্থের একাধিক স্থানে উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা
সহীহ্ বুখারীর ভাষ্য গ্রন্থের প্রথমদিকে ওহীর সুচনা অধ্যায়ে এই হড়াদীছের সনদ ও মুল পাঠ
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহ্র ৷
ইমাম মুসলিম (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে লায়ছ সুত্রে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷ ইউনুস ও
মামারের বর্ণনা যুহরী থেকে সনদ বাদ দিয়ে উল্লেখ করেছেন যেমন করেছেন ইমাম বুখড়ারী
(র) ৷ আমরা মুসলিম-এর অতিরিক্ত বর্ণনা পার্শ্ব টীকায় এ দিকে ইঙ্গিত করেছি যে, ওয়ারাকার
বক্তব্য “আমি আপনাকে দৃঢ়ভাবে সাহায্য করতড়াম” পর্যন্ত বলেই তিনি ক্ষাম্ভ হয়েছেন ৷
বন্তুত হযরত আইশা (রা)-এর উক্তি, সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ওহীর
সুচনা হয়, তার দেখা স্বপ্ন পরবর্তীতে প্রভাত আলোর ন্যায় ফুটে উঠভাে ৷ হযরত আইশার এই
বক্তব্য উবড়ায়দ ইবন উমার লায়হী থেকে বর্ণনাকৃত মুহাম্মাদ ইবন ইসহড়াক ইবন ইয়াসারের
বর্ণনাকে সমর্থন করে ৷ এ বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম ৷
তখন রেশমের তৈরী একটি চাদরে করে একটি কিতাব নিয়ে হযরত জিবরাঈল (আ) আমার
নিকট আসেন এবং বলেন, “পড়ুন” ৷ আমি বললাম, আমি কি পড়ব ? তিনি আমাকে সজােরে
চেপে ধরলেন আমি আশঙ্কা করছিলাম তাতে আমার না মৃত্যু হয়ে যায় ৷ এরপর তিনি আমাকে
ছেড়ে দেন ৷ এরপর থেকে তিনি হযরত আইশা (রা)-এর উল্লিখিত বর্ণনার অনুরুপ বর্ণনা
করেন ৷ বন্তুত পরবর্তীতে সজাগ অবস্থায় যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার কথা এই স্বপ্ন ছিল
তার পুর্বাভাস ৷ মুসা ইবন উক্বা সংকলিত মগোযী গ্রন্থে যুহরী থেকে এ কথা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত
হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুমের মধ্যে এরুপ দেখেছিলেন ৷ তারপর সজাগ অবস্থায় ওই
ফেরেশতা তার নিকট এসেছিলেন ৷
হাফিয আবু ন্নুআয়ম ইস্পাহানী তার “দড়ালাইলুন নবুওয়ড়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে
মুহাম্মাদ ইবন আহমদ আলকামা ইবন কায়স থেকে বর্ণনা করেন , তিনি বলেছেন, নবীগণকে যা
দেয়া হত প্রথম অবস্থায় তা ঘুমের মধ্যেই দেয়া হত ৷ যাতে তাদের অন্তঃকরণ ধৈর্যশীল ও
সুন্থির হয়ে ওঠে ৷ এরপর তাদের প্রতি ওহী নাযিল করা হত ৷ এটি আলকামা ইবন কড়ায়সের
নিজস্ব ব্যাখ্যা ৷
এটি একটি সুন্দর বক্তব্য ৷ পুৰ্বাপর বক্তব্যগুলো এটিকে সমর্থন করে ৷
ওহী প্রাপ্তিকালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বয়স এবং ওহী নাযিলের তারিখ
ইমাম আহমদ আমির শাবীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন
চল্লিশ বছর বয়সে ৷ তার নিকট নবুওয়াত আনয়ন তথা ওহী আনয়নে তিন বছর যাবত
ফেরেশতা ইসরাফীল (আ) সম্পৃক্ত ছিলেন ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ক্ষে বিভিন্ন বাণী ও বস্তু
সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন ৷ তখন কুরআন নাযিল হয়নি ৷ তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর হযরত
জিবরাঈল (আ) ওহী নাযিলের সাথে সম্পৃক্ত হন ৷ এরপর জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যমে ২০
বছরে পুর্ণ কুরআন মজীদ নাযিল হয় ৷ ১০ বছর মক্কায় এবং দশ বছর মদীনায় ৷ ৬৩ বছর
বয়সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকাল হয় ৷ শাবী পর্যন্ত এটি একটি বিশুদ্ধ সনদ ৷ এত দ্বারা
বুঝা যায় যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চল্লিশ বছর বয়সের পর পরবর্তী ৩ বছর ইসরাফীল (আ)
তার সাথে ছিলেন ৷ এরপরই জিবরাঈল (আ) তার নিকট এসেছেন ৷
শায়খ শিহাবুদ্দীন আবু শামা বলেছেন, হযরত আইশা (রা)-এর হাদীছ এই বর্ণনার সাথে
সাৎঘর্ষিক নয় ৷ কারণ, এমনও হতে পারে যে, প্রথমাবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বপ্ন দেখতেন ৷
তারপর হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকার মেয়াদে ইসরাফীল (আ) তার নিকট আসতেন ৷ তিনি দ্রুত
বাক্য বলে দিয়ে চলে যেতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অবস্থান করতেন না ৷ রাসুলুল্লড়াহ্
(সা)-এর প্রশিক্ষণ ও ক্রমান্বয়ে র্তাকে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্যে উপযোগী করে তোলার
উদ্দেশ্যে এরপর জিবরাঈল (আ) তিনি এমনটি করতেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর নিকট আগমন
করলেন এবং তাকে তিনবার চেপে ধরার পর যা শেখানাের তা শেখালেন ৷ হাদীছ সংক্ষিপ্ত
করার উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) ও জিবরাঈল (আ)-এর মাঝে যা অনুষ্ঠিত হয়েছে হযরত
আইশা (বা) তা বর্ণনা করেছেন ৷ ইসরাফীল (অড়া)-এর সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ
করেননি ৷ অথবা এমনও হতে পারে যে, হযরত ইসরাফীল (আ) এর সম্পৃক্ততার বিষয়টি তার
জানা ছিল না ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহইয়া ইবন আব্বাস (রা) সুত্র বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট ওহী নাযিল হয় তার তেতাল্লিশ বছর বয়সে ৷ এরপর তিনি মক্কায় অবস্থান
করেন দশ বছর আর মদীনায় অবস্থান করেন দশ বছর ৷ তেষট্টি বছর বয়সে তার ইনতিকাল