সাত যমীন প্রসঙ্গ
অর্থাৎ-আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সাত আকাশ এবং পৃথিবীও, তাদের অনুরুপভারে তাদের
মধ্যে নেমে আসে তীর নির্দেশ, ফলে তোমরা বুঝতে পায় যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান
, এবং জ্ঞানে আল্লাহ সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন ৷ (৬৫ : ১২)
বুখারী (ব) বর্ণনা করেন যে, আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রা) ও কতিপয় লোকের
মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিরোধ ছিল ৷ আয়েশা (রা)-এর নিকট গিয়ে তিনি তাকে ঘটনাটি
অবহিত করেন ৷ জবাবে আয়েশা (রা ) বললেন, আবু সালামা ! জমির ব্যাপারে ভয় করে চল,
কারণ রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
অর্থাৎ-কেউ এক বিঘত পরিমাণ জমি অন্যায়ভাবে গ্রাস করলে সাত যমীন থেকে তা
শৃৎখল বানিয়ে তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে ৷
ইমাম বুখারী মাজালিম’ অধ্যায়েও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) এবং
ইমাম আহমদ (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু সালিম বলেন, নবী কয়ীম (সা) বলেছেন :
অর্থাৎ-“যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সামান্য একটু জমিও দখল করবে, কিয়ামতের দিন তা সহ
তাকে সাত যমীন পর্যন্ত ধসিয়ে দেওয়া হবে ৷”
ইমাম বুখারী (ব) মাজালিম’ অধ্যায়েও মুসা ইবন উক্বা সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
এক্ষেত্রে ইমাম বুখারী (র) আবু বকর ও আবু বকর (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখ করেছেন
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
অর্থাৎ সময় আপন গতিতে আকাশসমুহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে পর্যায়ক্রমে
পবিক্রমণ করে আসছে ৷ বছর হলো বার মাস ৷ ’ উল্লেখ্য যে, এ হাদীসের প্রকৃত মর্ম কি তা
আভাল্লাহই ৷লো জানেন ৷ তবে এ হাদীসের অর্থ —
এ আঘাতের সমর্থক ৷ যার অর্থ হলো : আল্লাহ তা জানা সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন এবং
ৎখ্যায় তাদের অনুরুপ যমীনও সৃষ্টি করেছেন ৷ (৬৫ : ১২) অর্থাৎ এখন মাসের সংখ্যা যেমন
বার তেমনি সৃষ্টির সুচনায় আল্লাহর নিকটও মাসের সংখ্যা বারটিই ছিল ৷ এটা হলো কালের
মিল আর আলোচ্য আয়াতে স্থানের মিলের কথা বলা হয়েছে ৷
সাঈদ ইবন যায়দ আমর ইবন নৃফায়ল থেকে যথাক্রমে আবু হিশাম , হিশাম , আবু উসামা
ও উবায়দ ইবন ইসমাঈল সুত্রে ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আরওয়৷ নাম্বী মহিলা সাঈদ
ইবন আমর-এর বিরুদ্ধে মারওয়ানের নিকট জমি আত্মসাতের অভিযোগ করেন ৷ জবাবে সাঈদ
বললেন, আমি করবো র্তার সম্পদ জবরদখল? আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি অবশ্যই রাসুলুল্লাহ
(না)-কে বলতে শুনেছি :
অর্থাৎ “কেউ অন্যায়ভা যে এক বিঘত জমি আত্মসাৎ করলে কিয়ামতের দিন সাত তবক
য়মীন তার গলায় জড়িয়ে দেয়৷ হবে ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (বা) বলেন, আমি বাংলায়, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! কোন জুল্ম সর্বাধিক গুরভ্রতর? তিনি বললেন :
অর্থাৎ-কো ৷ন মুসলমান ব্যক্তি তার ভাইয়ের হক এক হাত পরিমাণ জমিও যদি কেড়ে নেয়
তবে তার প্রতিটি কঙ্করের জন্য সাত যমীনের সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত কিয়ামতে তর দিন তার গলায়
ঝুলিয়ে দেওয়া হবে ৷ আর যমীনের সর্বনিম্ন স্তরের গভীরতা সম্পর্কে একমাত্র তার সৃষ্টিকর্তা
ছাড়াঅ ৷র কেউই জ্ঞা ত নন ৷
ইমাম আহমদ (র) এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আর এ সনদটি ত্রুটিমুক্ত ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
অর্থাৎ-কেউ অন্যায়ভ৷ যে এক বিঘত জমি আত্মসাৎ করলে সাতত তবক যমীন তার গলায়
ঝুলিশ্নে দেওয়া হবে ৷
এ সুত্রে ইমাম আহমদ (র) একাই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ হাদীসটি মুসলিমের
শর্ভে উত্তীর্ণ ৷ ইমাম আহমদ (র ) ভিন্ন সুত্রে ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী আবু হুর ৷য়রা (রা) সুত্রে
আরেকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যাতে ১! এর স্থলে শব্দটি রয়েছে ৷
আবু হুরায়র৷ (রা) থেকে ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত অন্য হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
এটিও ইমাম আহমদের এককভাবে বর্ণিত হাদীস ৷ ইমাম তাবারানী (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
মােটকথা, এ হাদীসগুলে৷ যমীনের সংখ্যা যে সাত তার প্রমাণ হিসাবে প্রায় মুতাওয়াতিব
তৃল্য যাতে সন্দেহের অবকাশ থাকে না ৷ আর এর দ্বারা সাত যমীনের একটি যে অপরটির
উপর অবস্থিত আ ই বুঝানো হয়েছে ৷ জ্যেড়াতির্বিজ্ঞা নীদেব মতে, নীচের যমীন উপরের যমীনের
ঠিক মাঝ বরাবর অবস্থিত ৷ সপ্তমটি পর্যন্ত এতা ৷বেই রয়েছে ৷ সপ্তমটি হলো সম্পুর্ণ নিরেট-
যার মধ্যে একটুও ফাকা নেই ৷ এর মধ্যখানেই হলো কেন্দ্র ৷ এটি একটি কল্পিত ৰিন্দু আর
এটিই হলো ভারি বন্তু পতনের স্থল ৷ চতুর্কিংভ্র থেকে যা কিছু পতিত হয়, কোন কিছুর দ্বারা
বাধাগ্রস্ত না হলে তার সব গিয়ে ওখানেই পতিত হয় ৷ আর প্রতিটি যমীন একটির সঙ্গে
অপরটি মিলিত, নাকি প্রতিটির মাঝে ফাকা রয়েছে, এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ
রয়েছে ৷ উল্লেখ্য যে, এ মতভেদ আসমানের বেলায়ও রয়েছে ৷ স্পষ্টত এটা প্রতীয়মান হয় যে,
৷ তবে প্রতিটির একটি থেকে অপরটির মাঝে দুরৎ রয়েছে ৷ কারণ, আল্লাহ তা আলা বলেন ং
অর্থাৎ-আ ল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সাত আকাশ এবং তাদের অনুরুপ পৃথিবীও, তাদের মধ্যে
নেমে আসে তার নির্দেশ ৷ (৬৫ং ১২)
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়র৷ (রা) বলেন : একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ
(না)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ এ সময়ে একখগু মেঘ অতিক্রম করলে তিনি বললেন :
তোমরা কি জান এগুলো কী? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং র্তার রাসুলই ভালো জানেন ৷ তিনি
বললেন : “এগুলো হচ্ছে যেঘমালা ৷ পৃথিবীর দিক-দিগন্ত থেকে এগুলোকে হাকিয়ে নেওয়া হয়
অকৃতজ্ঞ আল্লাহর বান্দাদের নিকট বাবা তাকে ডাকে না ৷” তোমরা কি জান, তোমাদের
উর্ধ্বদেশে এটা কী ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই অধিকতর জ্ঞাত ৷ তিনি
বললেন,এ হচ্ছে সুউচ্চ জমাট ঢেউ এবং সুরক্ষিত ছাদ ৷ তোমরা কি জান, তোমাদের ও তার
মধ্যকার দুরত্ব কতটুকু ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই সম্যক অবহিত ৷ তিনি
বললেন : পাচশ বছরের পথ ৷ তারপর তিনি বললেন : তােমরা কি জান যে, তার উপরে কী
আছে ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই সম্যক জ্ঞাত ৷ তিনি বললেন, পাচশ বছরের দুরতু ৷
এভাবে তিনি একে একে সাতটি আসমান পর্যন্ত বর্ণনা দিলেন ৷ তারপর তিনি বললেন,
তোমরা কি জান, তার উপরে কি রয়েছে ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই সম্যক
অবহিত ৷ তিনি বললেন, আরশ ৷ তোমরা কি জান যে, তার ও সপ্তম আসমানের মধ্যে দুরত্ব
কতটুকু ? আমরা বললাম , আল্লাহ এবং তার রাসুলই অধিকতর জ্ঞাত ৷ তিনি বললেন, পড়াচশ
বছরের পথ ৷ তারপর তিনি বললেন : তোমরা কি জান যে, তোমাদের নিচে এসব কী ? আমরা
বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ তিনি বললেন, যমীন ৷ তোমরা কি জান যে,
তার নিচে কী আছে? আমরা বললাম, আল্লাহ এবৎ৩ ৩ার রাসুলই অধিক৩ তর জ্ঞাত ৷ তিনি
বললেনং আরেকটি যমীন ৷ তোমরা কি জান, এ দৃ’টির মাঝে দুরত্ব কতটুকু? আমরা বললাম,
আল্লাহ এবং তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ তিনি বললেনং সা৩ শ বছরের পথ ৷ এভাবে তিনি
গুনে গুনে সাত যমীনের কথা উল্লেখ করে পরে বললেনং আল্লাহর শপথ ! যদি তোমাদের
কাউকে নিচের দিকে চাপ দিতে থাকে তাহলে সে সপ্তম যমীন পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে ৷ তারপর
তিনি নিম্নের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন :
অর্থাৎ-তিনিই আদি, তিনিই অম্ভ,৩ তিনিই ব্যক্ত ও তিনিই গুপ্ত এবং৩ তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত ৷ (৫ ৭ : ৩)
ইমাম তিরমিযী (র) এবং আরও একাধিক আলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম
তিরমিযী (র) আবু ছরায়রা (রা) সুত্র উল্লেখ করে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু তাতে প্রতি
দুযমীনের মধ্যে পাচশ’ বছরের দুরত্বের উল্লেখ রয়েছে ৷ আবার বর্ণনার শেষে তিনি একটি কথা
উল্লেখ করেছেন, যা আমরা সুরা হাদীদের এ আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ করেছি ৷ তারপর
ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ সুত্রে হাদীসটি গরীব গ্রের্ণীভুক্ত ৷ অপর দিকে ইবন জারীর (র)
তার তাফসীরে কাতাদা (র) সুত্রে মুরসাল’২ রুপে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ এ সনদটিই বেশি
গ্রহণযোগ্য বলে আমি মনে করি ৷ আল্লাহ্ই সম্যক জ্ঞাত ৷ হাফিজ আবু বকর, বায্যার ও
বায়হাকী (র) আবুযব গিফারী (রা) সুত্রে নবী করীম (সা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
তবে তার সনদ সহীহ নয় ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
আরশের বর্ণনায় উল্লেখিত পাহাড়ী যেষ সংক্রান্ত হাদীসটি সপ্তম আসমান থেকে আরশের
উচ্চতার ব্যাপারে এ হাদীস এবং এর অনুরুপ আরো কয়েকটি হাদীসের বর্ণনার মধ্যে পার্থক্য
রয়েছে ৷ প্রথমোক্ত হাদীসে এও আছে যে, দৃ’ আকাশের মধ্যকার দুরত্ব হলো পাচশ বছর এবং
তার স্থুলতাও পাচশ বছর ৷
পক্ষান্তরে ,০,ট্রি ণ্ ওে হ্ওগ্লু৬ এ হাদীদের ব্যাখ্যার কোন কোন ক লামশাস্ত্রবিদ
বলেছেন যে, এর দ্বারা সাতটি মহাদেশ (গ্রিা ৷ বুঝানো হয়েছে ৷ তা এ আয়াত ও সহীহ
হাদীদের সম্পুর্ণ পবিপন্থী ৷ এছাড়া এটা দলীল প্রমাণ ৷ব্যভীত হাদীস ও আয়াতকে সাধারণ
অর্থের বিপরীত অর্থে প্রয়োগ করার নামান্তর ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷
অনুরুপভাবে আহ্লে কিতাব সম্প্রদায়ের অনেকে বলে বেড়ান এবৎ আমাদের একদল
আলিমও তাদের নিকট থেকে তা করেছেন যে, এ পৃথিবী হলো মাটির তৈরি, এর নিচেরটা
লোহার ত ৷র ৷নিচেরট৷ গন্ধকের তার নিচেরটা আরেক ধাতুর ইত্যাদি ৷ বিশুদ্ধ সনদে র ৷সুলুল্লাহ
(সা) থেকে বর্ণিত না হওয়ার কারণে তাও প্রত্যাখ্যাত ৩৷ আবার ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত
১ গরীব হচ্ছে ঐ সহীহ হাদীস যার সনদে কোন যুগে একজন মাত্র রাবী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
২ মুরসাল হছে ঐ হাদীস যার সনদে সাহাবীর নাম উল্লেখিত হয়নি ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ১০-
এ মর্মের রিওয়ায়েত যে, প্রতিটি যমীনে ঠিক এ পৃথিবীর মত মাখলুক রয়েছে ৷ এমনকি
তোমাদের আদমের মত আদম ও তোমাদের ইবরাহীমের মত ইবরাহীমও আছে, একথাগুলো
ইবন জারীর (র) সৎক্ষিপ্তাকারে উল্লেখ করেছেন এবং বায়হাকী আল-আসমা ওয়াসৃ সিফাত’
গ্রন্থে তা উদ্ধৃত করেছেন ৷ কিন্তু এতথ্যটি ইবন আব্বাস (রা) থেকে উদ্ধৃত হওয়ার দাবিটি সঠিক
হয়ে থাকলে বলতে হবে যে, ইবন আব্বাস (বা) তা ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গ্রহণ করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবাস (রা) রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন
যে, তিনি বলেনং আল্লাহ তাঅ৷ ৷ল৷ পৃথিবী সৃষ্টি করার পর তা দুলতে শুরু করে ত ই তিনি
পর্বতমালা সৃষ্টি করেত তার উপর তা স্থাপন করেন ৷ তাতে পৃথিবী স্থির হয়ে যায় ৷ পর্বতমালা
দেখে ফেরেশতাপণ অবাক হয়ে বললেন, হে আমাদের প্রতিপা ৷লক আপন র সৃষ্টির মধ্যে পর্বত
থেকে মজবুত আর কিছু আছে কি? আল্লাহ বললেন, হীা, লোহা ৷ ফেরেশতাগণ বললেন, হে
আমাদের প্রতিপালক ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা থেকে বেশি মজবুত আর কিছু আছে কি?
আল্লাহ বললেন ইা৷, আগুন ৷ ফেরেশতাপণ বললেন, হে আমাদের প্রতিপালক ৷ আপনার সৃষ্টির
মধ্যে আগুনের চাইতে অধিকতর শক্তিশালী আর কিছু আছে কি? আল্লাহ বললেন : হীা
বাতাস ৷ ফোরশতাগণ বললেন, হে আমাদের প্রতিপালক৷ আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাসের
চইিতে অধিকতর শক্তিশালী কিছু আছে কি? আল্লাহ বললেন : হীা, আদম সন্তান, যে ডান
হাতে দান করে আর বাম হাত থেকে তা গোপন রাখে ৷ ইমাম আহমদ (র) এককভাবে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
পৃথিবীর পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমগ্র ভুখণ্ডে কত পাহাড় পর্বত আছে; জ্যোতির্বিদগণাতার
সংখ্যা উল্লেখ করেছেন এবং তার দৈর্ঘ, গ্রন্থ ও উচ্চতার পরিসং খ্যান প্রদান করেছেন ৷ এ
ব্যাপারে তারা এত দীর্ঘ আলোচনা করেছেন যে, এখানে তার ব্যাখ্যা দিতে গেলে কিতাবের
কলেবর অনেক বেড়ে যাবে ৷
আল্লাহ তা আলা বলেন ও
অর্থাৎ-পাহাড়ের মধ্যে অ ৷ছে বিচিত্র বর্ণের পথ-শুভ্র, লাল ও নিকষ কালো ৷ (৩৫ং ২৭)
ইবন আব্বাস (বা) প্রমুখ বলেন, ঝু,ব্লুন্৷ মানে পথঘ ট ৷ ইকরিম৷ ৷(র) প্রমুখ বলেন
দ্বুন্৷ ; ৷ মানে সুউচ্চ কালো পাহাড় ৷ সমগ্র পৃথিবীর পর্বতমালার স্থানের ও বর্ণের বৈচিত্রের
মধ্যে এ চিত্রই পরিলক্ষিত হয়ে থাকে ৷
আল্লাহ তো তার কিতাবে সুনিল্টিভাবে জুদী পাহাড়ের কথা উল্লেখই করেছেন ৷ সে কি
বিরাট পাহাড় দিজলার পাশে জাষীরা ইবন উমরের পুর্ব অং শে যার অবস্থান ৷ মাওসিলের কাছে
দক্ষিণ থেকে উত্তরে তার দৈর্ঘ হলো, তিন দিনের পথ আর উচ্চতা আধা দিনের পথ ৷ বর্ণ তার
সবুজ ৷ কারণ তা ওক জাতীয় গাছে পরিপুর্ণ ৷ তার পাশে আছে একটি গ্রাম, নাম তার
কারয়াতুস সামানীন (আশি ব্যক্তির গ্রাম) ৷ কারণ একাধিক মুফাসসিরের মতে, তা নুহ
(আ)-এর সঙ্গে মুক্তিপ্রাপ্ত লোকজনের আবাসস্থল ছিল ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
সাগর ও নদ-নদী
আল্লহ্ ত আলা বলেনং :
অর্থাৎ-তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন যাতে তোমরা তা থেকে তাজা মাছ খেতে পায়
এবং যাতে তা থেকে আহরণ করতে পার রত্নাবলী, যা তোমরা ভুষণরুপে পরতে পার এবং
তোমরা দেখতে পাও , তার বুক চিরে নৌযান চলাচল করে এবং তা এ জন্য যে , তোমরা যেন
তবে অনুগ্রহ সন্ধান করতে পড়ার এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর;
এবং তিনি পৃথিবীতে সৃদৃঢ় পর্বত স্থাপন করেছেন, যাতে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে আন্দোলিত
না হয় এবং স্থাপন করেছেন নদ-নদী ও পথ, যাতে তোমরা তোমাদের গম্ভব্য স্থলে পৌছুতে
পার; এবং পথ নির্ণায়ক চিহ্নসমুহও ৷ আর তারা নক্ষত্রের সাহায্যেও পথের নির্দেশ পায় ৷
সুতরাং যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি কি তারই মত, যে সৃষ্টি করে না? তবুও কি তোমরা শিক্ষা
গ্রহণ করবে না ? তোমরা আল্লাহ্র অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না ৷
আল্লাহ্ অবশ্যই ক্ষমাপবাযণ পরম দয লু ৷ (১৬৪ ১৪ ১৮)
অর্থাৎ-সমুদ্র দুটো একরুপ নয় এর্কটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অপরটির পানি লোনা,
খর ৷ প্রত্যেকটি থেকে তোমরা তাজা গোশত আহার কর এবং অলংকার যা তোমরা পরিধান
কর এবং রত্বাবলী আহরণ কর এবং তোমরা দেখ তার বুক চিরে নৌযান চলাচল করে যাতে
তোমরা তার অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও ৷ (৩৫ : ১২)