ইবন ইসহাক বলেন ঘ্র কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) গায়ওয়া
আবৃওয়া থেকে ফিরে মদীনা পৌছার পুর্বেই র্তাকে প্রেরণ করেছিলেন ৷ মুসা ইবন উকবাও যুহ্রী
সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
অনুচ্ছেদ
সারিয়্যা হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব প্রসঙ্গে
ইবন ইসহাক বলেন : বাসুলুল্লাহ্ (না) এ স্থান থেকে হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন
হাশিমকে ৩০ জনের একটা বাহিনীসহ ঈস’ নামক স্থানের দিকে সীফুল বাহরে প্রেরণ করেন ৷
এ বাহিনীতে কোন আনসারী সাহাবী ছিলো না ৷ এ বাইিনীটি সমুদ্র তীরে আবু জাহ্ল ইবন
হিশামের নেতৃত্বে পরিচালিত ৩০০ অশ্বারোহী বাহিনীর মুখোমুখি হয় ৷ এখানে মাজদী ইবন
আম্র আল-জুহানী উভয় বাহিনীর মধ্যে মধ্যন্থতা করে সমঝোতা করে দেন ৷ ফলে উভয় দলের
লোকেরা ফিরে যান তাদের মধ্যে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷
ইবন ইসহাক বলেন : কেউ কেউ বলেন যে, হামযার পতাকা ছিল প্রথম পতাকা, যা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন মুসলমানের হাতে তুলে দেন ৷ আর এটা এ কারণে যে, হামযা আর
উবায়দার বাহিনী একই সময় প্রেরণ করা হয়, তাই তা লোকদের নিকট সন্দেহের কারণ হয়ে
দাড়ায় ৷
মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উবায়দা ইবন হারিছের বাহিনীর পুর্বে
হামযার বাহিনীকে প্রেরণ করা হয় ৷ আর হামযার বাহিনীকে যে আবওয়ার যুদ্ধের পুর্বে প্রেরণ
করা হয় তিনি তার পক্ষে প্রমাণও পেশ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবৃওয়া থেকে প্রত্যাবর্তন
করে মুহাজিরদের ৬০ জনের বাহিনীসহ উবায়দা ইবন হারিছকে প্রেরণ করেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি
যা বলেছেন, তা পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ইভােপুর্বে ওয়াকিদীর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, তিনি বলেন : প্রথম হিজরী সনের রমাযান মাসে হামযার বাহিনীকে প্রেরণ করা হয়,
এরপর শাওয়াল মাসে প্রেরণ করা হয় উবায়দার বাহিনীকে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহড়াক হামযা (রা)-এর একটা কবিতা উল্লেখ করেছেন, যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে
ইসলামে তার পতাকাই ছিল প্রথম পতাকা ৷ তবে ইবন ইসহাক বলেন, হামযা এ কবিতা বলে
থাকলে ঠিবইি বলেছেন ৷ কারণ, তিনি সত্য কথাই বলেন ৷ আসলে কোনটা ঘটেছিল, তা
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ তবে আমরা জ্ঞানীদের নিকট থেকে যা শুনেছি, সে অনুযায়ী উবড়ায়দাই
ছিলেন অপ্রবর্তী ৷ আর তার কাসীদাটি এই —
হে আমার সম্প্রদায়, সাবধান! নিজেদের মিথ্যা স্বপ্ন আর অজ্ঞতার জন্য বিস্ময় প্রকাশ কর;
বিম্ময় প্রকাশ কর জ্ঞান-বুদ্ধি আর লোকের মতের বিরুদ্ধাচরণের জন্যেও ৷
দৌন্
আরো বিম্ময় প্রকাশ কর অশ্বারােহী বাহিনীর জুলুম নির্যাতনের জন্যে ৷ আমরা তাদের
সম্পদ আর জনবলের অবমাননা করিনি ৷
যেন আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি, অথচ আমরা তা করি না ৷ আমরা তাদের
জন্য পবিত্রতা আর ইনসাফের হুকুম ছাড়া আর কিছুই করি না ৷
ইসলাম গ্রহণে ব হুকুম ছাড়া আমরা অন্য কোন হুকুম করি না ৷ তবে তারা ইসলাম কবুল
করে না, বরং৩ ৷ ৩ারা উপহাসের অবস্থান গ্রহণ করে ৷
এে
তারা অটল থাকে (একই অবস্থায়) শেষ পর্যন্ত আমি প্রেরিত হই একটা আকস্মিক
অভিযানে ৷ যেখানেই তারা অবস্থান নেয়, সেখানে আমি কামনা করি তাদের জন্যে শাস্তি আর
কল্যাণ !
রাসুলুল্লাহ্র নিদেশে৩ার উপর উড়ছে প্রথম পতাকা, যা ইতোপুর্বে কখনো উডষ্টীন হয়নি ৷
এ পতাকার সাথে আছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য, যে আল্লাহ সর্বশক্তিমান, র্যার
কাজ সর্বোত্তম কাজ ৷
তারা যাত্রা করে রাতের প্রথম প্ৰহরে প্রস্তুত হয়ে, আর আমাদের অন্তর উরুত্তজিত হচ্ছিল
তাদের প্ৰতি ক্রোধে ৷
আমরা যখন পরস্পরে মুখোমুখি হলাম, তারা তখন সওয়ারী বসিয়ে বেধে ফেললাে ৷
আমরাও তখন বাহনগুলোকে বেধে নেই তীরেব লক্ষ্য-সীমার বাইরে ৷
আমরা তাদের বললাম, আল্লাহর রজ্জ্ব (কুরআন) আমাদের সহায়, আর তোমাদের জন্য
গোমরাহী ছ৷ ৷ড়৷ কো ন আশ্রয় নেই ৷
সেখানে আবু জাহ্ল গর্জে উঠে ঔদ্ধত্যে, আবু জাহ্লের চক্রাম্ভকে ব্যর্থ করে দেন আল্লাহ ৷
আমরা ছিলাম কেবল ত্রিশ জন অশ্বারোহী আর৩ ৷রা ছিল দুই শ’ এক জন ৷
হে লুয়াই গোত্রের লোকেরা ! তোমরা আনুগত্য করো না তোমাদের গোমরাহ লোকদের ৷
ফিরে এসো তোমরা ইসলামে, সরল পথে ৷
আমার আশংকা হয় তোমাদের উপর নাযিল হবে আবার তখন তোমরা লাঞ্ছিত হয়ে সন্তান
হারানাের জন্যে রােদন করবে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আবু জাহ্ল ইবন হিশাম তার প্রতি আল্পাহ্র অভিসম্পাত হোক-
এর জবাবে বলে-
মোঃ
এসব রাগ-ণ্লাভ আর অজ্ঞতার কারণসমুহ নিয়ে আমি অবাক, বিরোধ আর অর্থহীন কথায়
যারা যেতে উঠে, তাদের জন্য আমি অবাক হই ৷
যারা বিসর্জন দেয় পুর্ব পুরুষের রীতিনীতি, (তাদের জন্য বিস্ময়) বাবা ছিলেন বংশ-মর্ষাদা
আর নেতৃত্-কর্তৃত্বের অধিকারী ৷
অধিকাংশ আলিমই এই দু’টি কবিতা হামযা ও আবু জাহ্লের হওয়ার ব্যাপারে অস্বীকৃতি
জানিয়েছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : এরপর রাসুলুল্পাহ্ (স) দ্বিতীয় হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে
কুরায়শের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বের হন ৷ ইবন হিশাম বলেন : এবং সাইব ইবন উছমান ইবন
মাযউনকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ পক্ষাম্ভরে ওয়াকিদী বলেন : মদীনায়
স্থলাভিষিক্ত করেন সাআদ ইবন ঘুআযকে ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে ছিলেন দু’শ’
আরােহী আর তীর পতাকা ছিল সাআদ ইবন আবু ওয়কােসের হাতে ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
লক্ষ্য জ্যি কুরায়শের বণিক দলের উপর আক্রমণ করা ৷ এ দলে উমাইয়া ইবন খাল্ফ এবং তার
নেতৃত্বে একশ’ ব্যক্তি এবং দু’ হাজার পড়াচ শ’ উট ছিল ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (স) রিজবী পাহাড়ের দিক থেকে বুওয়াত পৌছেন ৷
সেখান থেকে মদীনা প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এ অভিযানে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ তিনি সেখানে
রবিউছ-ছানী মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো এবং জুমাদাল উলার কিছু সময় কাটড়ান ৷
আশীরার যুদ্ধ
ইবন হিশাম বলেন : এ যাত্রার নবী করীম (স) আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদকে
মদীনায় শাসনকর্তা নিযুক্ত করে যান ৷ আর ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর পতাকা কাি
হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের হাতে ৷ তিনি বলেন, সিরিয়াগামী কুরায়শের বণিক দলকে
ঠেকাবার জন্যই রাসুলুল্লাহ্ (না) অভিযানে বের হন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) বনু
দীনারের পথ ধরে চলেন ৷ এরপর ফাইফা আল-খিয়ার-এর উচু ভুমির দিকে যান এবং ইবন