Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » আযরুহ, জারবাবাসী এবং আয়লা রাজ্যের সাথে রাসূলুল্পাহ (সা)-এর সন্ধি

আযরুহ, জারবাবাসী এবং আয়লা রাজ্যের সাথে রাসূলুল্পাহ (সা)-এর সন্ধি

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • “তুমি একজন দুত; তাই তোমার কিছু অধিকার রয়েছে ৷ উপচৌকন দেওয়ার মত কিছু
    আমাদের সংগ্রহে এসে গেলে তা দিয়ে তোমাকে উপচৌকন দিব ৷ এখন তো আমরা খালি হাত
    মুসাস্কির ৷

    বর্ণনাকাৰী বলেন, তখন সমবেত লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে আওয়ায দিয়ে
    বলল, আমি তাকে উপচৌকন দিয়ে দিচ্ছি ৷ ’ এ কথা বলে সে তার জাম্বিল থুলল, দেখলাম
    কি, এক জোড়া সোনালী বর্ণ বস্ত্র নিয়ে এসে যে তা আমার কোলে রেখে দিল ৷ আমি বললাম ,
    উপচৌকন প্রদানকারী ইনি কে ? আমাকে বলা হল, উছমান (বা) ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা)
    বললেন,“এ যেহমানের যেহমানদারী করবে কে ?

    এক আনসারী তরুণ বলল, আমি ৷ ’ আনসাৰী উঠে দীড়ালে আমিও তার সাথে চলতে
    লাগলাম ৷ মজলিসের চৌহদ্দি পার হয়ে যেতে লাগলে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে ডেকে বললেন,
    “ এস হে তানুখী!” আমি এগিয়ে যে স্থানে র্দাড়ালাম , যেখানে একটু আগে
    তার সামনে আমি , বসে ছিলাম ৷ তিনি পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে দিয়ে বললেন,“ তোমার প্রতি আদিষ্ট (তৃতীয়) বিষয়টিন জন্য এদিক দিয়ে এস ৷

    তখন আমি তার পিঠে দৃষ্টি নিবন্ধ করলাম ৷ দেখি কি, তার স্কন্ধ-সন্ধিতে হিমহিমা’
    ঘাসফুলের ন্যায় (পাওযবড়ান ফুলের আকৃতির) নবুয়তের মােহর ৷ ’ এ বর্ণনাটি গরীব পর্যায়ের ৷
    তবে এর সনদ ত্রুটি মুক্ত ৷ ইমাম আহমাদ (র) একক ভাবে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    তাবুক থেকে ফেরার পুর্বে আবৃরুহ ও আরো বাসীদের সাথে এবং আলো
    রাজ্যের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধি প্ৰসংগ

    ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ৩াধুণ্ডে উপনী৩ হ্ণে আরলা এর শাসক ইয়াহনা
    ইবন রুবা রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে হাজির হলেন এবং জিঘৃয়া প্রদানে স্বীকৃত হয়ে তার
    সাথে সন্ধিবদ্ধ হলেন ৷ আলো ও আযরুহ-এর অধিবাসীরাও জিবৃয়া প্রদানে স্বীকৃত হল ৷
    রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে সন্ধি-সনদ লিখে দিলেন ৷ যা তাদের কাছে সংরক্ষিত ছিল ৷ ইয়াহনা
    ইবন করা ও আয়লাবাসীদেব প্রদত্ত সন্ধি-সনদে তিনি লিখলেন,

    “যেহেরবান দয়ালু আল্লাহ্র নামেশ্আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রাসুল ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর
    পক্ষ থেকে এ নিরাপত্তা পত্র ইয়ড়াহনা ইবন করা ও আয়লাবাসীদের জন্য; জলেস্থলে চলমান
    তাদের ও নৌবহরের জন্য আল্লাহ্ ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর জিম্মা এবং তাদের মিত্রবর্গ

    শাম, য়ামান ও উপকুলীয়বাসীদের জন্য ৷ তবে তাদের কেউ বিশৃৎখলা সৃষ্টি করলে তার
    সম্পদ তার জীবনের জন্য রক্ষাকবচ হবে না এবং সে ক্ষেত্রে যে ভ্রুকড়ান মানুষ তা অধিকার

    করলে তা তার জন্য হালাল বলে পরিগণিত হবে ৷ আর জলেস্থলে কোন পানির ক্ষেত্র বা
    জলপখে তারা অবতরণ করলে তা থেকে অন্যদের বিরত রাখার অনুমোদন তাদের জন্য
    থাকবে না ৷”

    ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত ইউনুস ইবন বুকায়র (র)-এর রিওয়ায়াতে একটু অধিক
    বিবরণ রয়েছে ৷ এ পত্র জুহায়ম ইবনুস সালত ও শুরাহবীল ইবন হাসনাে-এর সাক্ষাতে
    আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর অনুমোদন সুত্রে প্রদত্ত ৷

    ইবন ইসহাক (র) থেকে উদ্ধৃত করে ইউনুস (র) আরো বলেছেন, জারবা ও আযরুহ
    বাসীদের প্রদত্ত সন্ধি সনদে তিনি লিখলেন,

    ইহা আল্লাহ্র নবী ও রাসুল (না)-এর পক্ষ থেকে আবকহ ও জারবা বড়াসীদেরকে প্রদত্ত
    সনদ ৷ তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত নিরাপত্তা ও মুহাম্মদ (সা) প্রদত্ত নিরাপত্তার অধিকারে শ্ ৎকামুক্ত ৷
    আর তারা প্রতি রজব মাসে একশ’ দীনার (স্বর্ণ মুদ্রা) ও একশ’ উকিয়া দিরহাম (চার হাজার
    রৌপ্য মুদ্রা) (জিঘৃরা) আদায় করবে ৷ আর ইসলাম ও মুসলিম জাতির প্রতি এবং তাদের কাছে
    আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলমানদের সাথে সদাচরণ ও কল্যাণ কড়ামনার ব্যাপারে আল্লাহ্ই তাদের
    তত্ত্বাবধায়ক ৷ বণ্নািকায়ী বলেন, আয়লাবাসীদের জন্য নিরাপত্তার প্রর্তীকস্বরুপ নবী করীম (সা)

    তার সনদপত্রের সাথে তার চাদর মুৰারকও দিয়ে দিলেন ৷ বর্ণনাকারী আরো বলেন, পরবর্তী

    সময়ে আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) তিনশত দীনাংরর বিনিময়ে সে ঢাদরখানা
    খরিদ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন ৷

    রাসুলুল্লাহ (না)-এর নির্দেশে দুমা : আল-জানদাল এর শাসক উকায়দির-এর বিরুদ্ধে
    খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) এর অভিযান

    ইবন ইসহাক (র) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)-কে তােক
    পাঠালেন এবং তাকে উকায়দির ইবন মালিক-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ
    দিলেন ৷ সে হল কিনানা: গোত্রের সামন্ত রজাে উকায়দির ইবন আবদুল মালিক ৷ সে ছিল খৃস্ট
    ধর্মানুসাবী ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ (রা)-কে বলে দিয়েছিলেন যে,
    তুমি তাকে ৰুনাে গরু শিকারে মগ্ন অবস্থায় পেয়ে যাবে ৷ খালিদ (রা) অভিযানে বেরিয়ে
    পড়লেন এবং রাতের প্রথম প্রহরে দুর্গের দৃষ্টি সীমায় পৌছে গেলেন ৷ রাতটি ছিল প্রীল্মকালের
    জোৎস্না রাত ৷ উকায়দির তার শ্ৰীকে নিয়ে প্রাসাদের ছাদে সান্ধ্য বিনোদন করছিলেন ৷ বুনো
    পরুগুল্যে দুর্গ ৷;তারণে শিং ঘষছিল ৷ উকায়দির পত্নী স্বামীকে বলল, এমন মনােহর দৃশ্য কি
    তুমি কখনো দেখেছ ? সে বলল, না ৷ আল্লাহ্র কলম! রানী বলল, (শিকারের) এমন সুবর্ণ
    সুযোগ কি কেউ হেলায় হারায় ? রাজা বলল, €কউ না ৷ ’ তারপর নীচে নেমে এসে ঘোড়া
    তৈরী করার হুকুম দিল ৷ ঘোড়ার জ্বিন পড়ানো হলে সে বেরিয়ে পড়ল ৷ সাথে ছিল পরিবারের

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ আযরুহ, জারবাবাসী এবং আয়লা রাজ্যের সাথে রাসূলুল্পাহ (সা)-এর সন্ধি Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.