করতেন? তিনি বললেন, আমাদের মাঝে যার ইচ্ছা তালৰিয়া উচ্চারণ করছিল ৷ তাকে বাধা
দেয়া হচ্ছিল না এবং আমাদের মাঝে মার ইচ্ছা তাকবীর ধ্বনি দিচ্ছিল, তাকে তাতে বাধা দেয়া
হজ্যি না ৷ মুসলিম (র) এ হাদীয়খানা আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখাবী (র) আরো
বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা (র) সালিম ইবন আবদুল্লাহ (র) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন
যে, (খলীকা) আবদুল মানিক ইবন মারওয়ান হাজ্জাজ ইবন ইউসৃবুফ্যা কাছে হত্তজ্জর ব্যাপারে
আবদৃল্লাহ্ ইবন উমাব (রা) এর অনুসরণ করার নির্দেশ লিখে পাঠালেন ৷ আরাফা দিবসে সুর্য
ঢলে পড়ার সময় আমাকে সংগে নিয়ে ইবন উমাব (রা) তার তাবুর কাছে এসে আওয়ায দিলেন,
এ লোক কোথায় ? তখন হাজ্জাজ তার কাছে বেরিয়ে এলে ইবন উমাব (বা) বললেন, চলুন,
হাজ্জাজ বলল, এখন? ইবন উমর (রা) বললেন, ই৷ ৷ হাজ্জাজ বলল, একটু সময় দিন, একটু
গায়ে পানি ঢেলে আসি ৷ তখন ইবন উমার (রা) নেমে পড়লেন এবং হাজ্জাজ বেরিয়ে আসলে
আমরা লেতে লাগলড়াম ৷ হাজ্জাজ ছিল আমার পিতা ও আমার মাঝখানে ৷ আমি তাকে বললড়াম,
আপনি আজকের সুন্নাত (নিয়ম) সঠিকভাবে পালন করতে চইিলে ভাষণ সংক্ষিপ্ত করবেন এবং
উকুফ (অবস্থান ) শুরুর ত্বরান্বিত করবেন ৷ তখন ইবন উমাব (বা) বললেন, সে যথাইে
বলেছে ৷ বুখাবী (রা) কানাবী (র) হতে ও এ হাদীস রিওয়ারাত করেছেন ৷ নাসাঈ এ হাদীস
উদ্ধৃত করেছেন আশহাব ও ইবন ওয়াহাব (র) সুত্রে মালিক (র) থেকে ৷
বুখাবী (র) এ হাদীস রিওয়ারাত করার পরে বলেছেন ৷ লায়ছ (র) বলেছেন (একায়ল)
সালিম (র) হতে এ মর্মে যে, ইবনুয যুবায়র (রা)-এর বিরুদ্ধে অভিমানকালে হাজ্জাজ আবদুল্লাহ
(রা)-ফে জিজ্ঞাসা করল ৷ এ অবস্থান ক্ষেত্রে (আরাফায়) আপনি কী রুপ করেন? সালিম (বা)
বললেন, আপনি যদি সুন্নাত অনুসরণ করতে চান তবে আরাফ৷ দিবসে সলোত আদায় ত্বরান্বিত
করবেন ৷ তখন ইবন উমাব (বা) বললেন, যে যথার্থ বলেছে, র্তারা (সাহাবীগণ) সুন্নাত অনুসারে
যুহর ও আসর একত্রিত করে আদায় করতেন ৷ রাবী আমি, সালিম (না)-কে বললাম, রাসুলুল্পাহ্
(না)-ও কি তাই করেছেন? তিনি বললেন, তা সুন্নত ছাড়া আর কী হতে পারে ? আবু দাউদ (র)
বলেন, আহম্মদ ইবন হাবল (র) ইবন উমার (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আরাফা দিবসের (নয় তারিখে) প্রত্যুষে ফজর সালাত আদায়ের পর মিনা রওয়ানা হলেন
এবং নামিবায় অবতরণ করলেন ৷ নামিবায় হল আরাফায় অবস্থানের জন্য ইমামের অবস্থান হন ৷
অবশেষে জুহর সালাতের সময় হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রা করে বেরিয়ে পড়লেন
এবং যুহর ও আছর একত্রিত করে আদায় করলেন ৷ জাবির (রা) ও তার হাদীসে পুর্বোল্পিখিত
খুতবার বিবরণ দেয়ার পরে অনুরুপ উল্লেখ্য করে বলেছেন ৷ তারপর বিলাল (রা) আমান
দিলেন, তারপর ইকামাত বললেন, তখন নবী করীম (সা) যুহর আদায় করলেন ৷ তারপর
আবার বিলাল (বা) ইকামত বললেন, নবী করীম (সা) আসর সালাত আদায় করলেন এবং এ
দুরের মাঝে আর কোন সালাত (সুন্নাত নকল) আদায় করলেন না ৷ এ বর্ণনার দাবী হল নবী
করীম (সা) প্রথমে খুৎবা দেয়ার পরে সালাত আদায় করা হল এবং দ্বিতীয় খুতবার প্রয়োজন
অনুভব করলেন না ৷ ওদিকে ইমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ (র) প্রঘুখও
জাৰির (বা) হতে বর্ণনা করেন, বিদায় হজ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, নবী কয়ীম (সা) আরাফার
অবস্থান ক্ষেত্রের দিকে চললেন, সেখানে প্রথম খুতবা দিলেন, তারপর বিলাল (রা) আমান
দিতে লাগলেন ৷ তারপর নবী করীম (সা) দ্বিতীয় খুতবা দিতে লাগলেন এবং তিনি খুতবা শেষ
করলেন, ওদিকে বিলালও আযান শেষ করলেন ৷ তারপর বিলাল (রা) ইকামত বললে নবী
করীম (সা) যুহর সালাত আদায় করলেন; তারপর বিলাল ইকামত দিলে আসর সালাত আদায়
করলেন ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু ইয়াহয়া (র) একাকী এ
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম (র) জাবির (বা) হতে বর্ণনা করেন তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সওয়ারীতে আরোহণ করে আরাফার অবস্থান ক্ষেত্রে গমন করলেন ৷ তিনি তার উটনী
কাসওয়ার পেট রাখলেন পাথরের বিশাল খণ্ডগুলাের দিকে আর পথচারী জনতাকে রাখলেন
তার সামনে এবং৩ তিনি কিবলামুথী হলেন ৷
আরাফা দিবসে রাসুল (সা) এর সিয়াম প্রসংগ
বুখারী (র) বলেন, ইয়াহয়৷ ইবন সুলায়মান (র) ইবন ওয়াহাব, মায়মুনা (বা) হতে, এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, লোকেরা নবী করীম (সা) এর সিয়াম পালনের ব্যাপারে দ্বিধায় পড়ে
গেল ৷ আমি তার কাছে দুধ পাঠিয়ে দিলাম ৷ তিনি তখন অবস্থান ক্ষেত্রে অবস্থান করছিলেন ৷
তিনি সে পাত্র হতে পান করলেন আর লোকেরা তা প্রত্যক্ষ করছিল ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস
উদ্ধৃত করেছেন হারুন ইবন সাঈদ আল-আয়লী (র) ইবন ওয়াহাব হতে ঐ সনদে ৷ বুখারী (র)
আরো বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) ইবন আব্বাস (রা) এর আযাদ কৃত গোলাম
উমায়র (র) হতে তিনি উম্মুল ফাযল বিনভুল হারিছ (বা) হতে এ মমে বর্ণনা করেন যে, তার
কাছে একদল লোক আরাফা দিবসে নবী করীম (সা) এর সিয়াম পালন বিষয় বিতর্কে লিপ্ত
হল ৷ কেউ কেউ বলল, তিনি ণ্রাযা আছেন ৷ আবার কেউ বলল, তিনি রােযা রাখেননি ৷ তখন
তিনি (উম্মুল ফাযল) তার কাছে এক পাত্র দুধ পা ৷ঠিয়ে দিলেন ৷ নবী করীম (না) তখন তার
উটেৰ্ পিঠে সওয়ার ছিলেন ৷ তিনি সে দুধ পান করলেন ৷ বুখারী, মুসলিম আরো একা ৷ধিক
সুত্রে আবুন নাযর (র) হতে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷
গ্রস্থুকারের মন্তব্য : উম্মুল ফাযল হলেন, উম্মুল মু মিনীন মায়মুন৷ ৰিনতুল হারিছ (রা) এর
বোন ৷ এদের দুজনের দুধ পাঠানোর ঘটনা অভিন্ন ৷ তবে তাদের প্রত্যেকের সাথে দুধ
পাঠানোর সম্পৃক্তি যথার্থ হয়েছে ৷ কেননা, তারা একত্রে একই স্থানে ছিলেন এবং সেখান হতে
দুধ পাঠানো হয়েছিল ৷ তবে হী, এমনও হতে পারে যে, প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন পাঠিয়েছিলেন
কিংবা একের পরে অন্য জন পাঠিয়েছিলেন ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ ইমাম আহমদ (র)
বলেন ৷ ইসমাঈল (র) সাঈদ ইবন জুবায়র (র) হতে তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা)-
এর সামনে গেলাম তিনি তখন আরাফার ছিলেন এবং তিনি একটি ডালিম খাচ্ছিলেন ৷ তিনি
বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরাফার রােযা ছিলেন না ৷ উম্মুল ফাযল তার কাছে দুধ পাঠালে
তিনি তা পান করেছিলেন ৷ আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী ইবন আবু যিব (র)ইবন আব্বাস
(রা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তারা (সাহাবীগণ) আরাফা দিবসে নবী করীম (না)-এর
সিয়াম পালনের ব্যাপারে বিতণ্ডায় লিপ্ত হলে উম্মুল ফাযল (রা) রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কাছে দুধ
পাঠালে তিনি তা পান করলেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রায্যাক ও আবু বকর
(র) আতা (র) থেকে বলেন, তিনি আরাফার দিন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) ফাযল ইবন
আব্বাস (রা)ৰুকে খান৷ খাওয়ার জন্য ডাকলে তিনি বললেন, আমি তো সিয়াম পালন করছি ৷
আবদৃল্লাহ্ (বা) বলেন, (আজ) সিয়াম পালন করো না ৷ কেননা, আরাফায় দিন রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর কাছে একটি পাত্র পাঠানো হল যাতে দুধ ছিল ৷ তিনি তা থেকে পান করলেন ৷
অতএব তুমি সিয়াম পালন করো না ৷ কেননা, লোকেরা তোমাদের অনুসরণ করবে ৷
আনুবংগিক বিভিন্ন প্ৰসংগ : বুখারী (র) বলেন, সুলায়মান ইবন হারব (র) ইবন আব্বাস
(বা) হতে ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে আরাফায় অবস্থান করছিলেন,
ইতোমধ্যে সে তার বাহন হতে পড়ে গেল ৷ উটনীটি তাকে ফেলে দেয়ার ফলে তীর ঘাড় মটকে
যাওয়ায় তার মৃত্যু হয় ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন, তাকে পানি ও বরই পাতা (মিশিয়ে)
দিয়ে গোসল দিবে ৷ তাকে (তার ইহরামের) দুই কাপড় কাফন পরাবে, তাকে সুগন্ধি লাপাবে
না ৷ র্তার মাথা আবৃত করবেনা এবং তাকে হানুত (কপুর ইত্যাদি) মাখাবে না ৷ কেননা,
আল্লাহ কিয়ামতের দিন র্তাকে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় পুনরুথিত করবেন ৷ মুসলিম (র) ও
এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবুর রাবী আয যাহরানী (র) হতে, নাসাঈ (র) বলেন,
ইসহাক ইবন ইবরাহীম অর্থাৎ ইবন রাহওয়ায়াহ (র) , আবদুর রহমান ইবন ইয়ামুর আদ-দীলা
(বা) হতে তিনি বলেন, আমি আরাফায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছি ৷ তখন নাজদবাসী
একদল লোক তার কাছে এসে তাকে হজ্জ সম্পর্কে ত্তিজ্ঞেসাে করল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন
আরাফায় অবস্থান হজ্জ ৷ সুতরাং ঘুযদালিফার রাতের ফজর শুরু হওয়ার আগে হাড়ারা
আরাফায় রাত (এর অবস্থান) পেয়ে যাবে তাদের হজ্জ পুর্ণ হয়ে যাবে ৷ সুনান গ্রন্থসমুহের
অন্যান্য সংকলনবৃন্দ এ হাদীস সুফিয়ান ছাওরী (র)-এর বরাতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে
নাসাঈ (র) শুৰা (র) হতেও অতিরিক্ত একটি রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷
নাসাঈ (র) বলেন, কুতায়বা (র) ইয়াষীদ ইবন শায়বান (বা) হতে ৷ তিনি বলেন, আমরা
আরাফায় অবস্থান ক্ষেত্রের এক দুরবর্তী প্রান্তে অবস্থানরত ছিলাম ৷ তখন ইবন মারবা আল
আনসারী (বা) আমাদের সংবাদ দিলেন ৷ তিনি বললেন, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রাসুল
(না)-এর দুত ৷ তিনি তোমাদের বলছেন, তোমরা তোমাদের নিদর্শনাবলী ও স্মৃতিচিহ্নসমুহে
ন্থিতিবান থাকবে ৷ কেননা, তোমরা তোমাদের পুর্বপুরুষ ইব্রাহীম (আ)-এর উত্তরাধিকারী
প্রাপ্ত হয়েছে৷ ৷ আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা (র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে ঐ সনদে ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন এর সনদ (হাসান) ৷
আমর ইবন দীনার (র) হতে প্রাপ্ত সুফিয়ান (ৱ)-এর হাদীস ব্যতীত অন্য কােন সুত্রে এ
হাদীসের পরিচিতি আমরা পইি নি ৷ আর ইবন মারবা-এর নাম হল যায়দ ইবন মারবা আ ল
আনসারী (রা) ৷ তার সুত্রে মাত্র এই একটি হাদীসই পাওয়া যায় ৷ তিরমিযী (র) আরো বলেন,
এ প্রসংগে আলী, আইশা, জুবায়র ইবন ঘুতইম ও শারীদ ইবন সুওয়ায়দ (রা) হতেও
রিওয়ায়াত রয়েছে ৷
জাবির (বা) হতে মুসলিম (র)-এর এ রিওয়ায়াত আগেই উল্লিখিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, এ) আমি এখানে উকুফ করেছি ৷ তবে গেঢাি