বললেন, রক্ষা করবেন আল্লাহ্ তাআলা ৷ এমন সময় হযরত জিবরাঈল (আ) এসে ওর বুকে
সজ্যেরে আঘাত করেন ৷ তার হাত থেকে তরবারি মনে পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা হাতে তুলে
নিলেন এবং বললেন, এখন আমার হাত থেকে তোমাকে কে রক্ষা করবে ? সে বলল, “কেউই
তাে এখন আমাকে রক্ষা করতে পারবে না ৷ এখন আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন
মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল ৷ সে আরো বলল, জীবনে আর আমি আপনার
বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করব না ৷” তিনি তার তরবারি ফেরত দিলেন ৷ যে নিজের সঙ্গী-সাথীদের
নিকট ফিরে পেল ৷ তারা বলল, ব্যাপার কী ? তোমার কী হয়েছিল ? সে বলল, আমি দেখতে
পেলাম এক দীর্ঘকায় মানুষ ৷ সে আমার বুকে ঘুষি মারে ৷ তাতে আমি বে–সামাল হয়ে চিৎ হয়ে
পড়ে যাই ৷ আমি বুঝতে পেয়েছি যে, তিনি ছিলেন ফেরেশতা ৷ তাই আমি সাক্ষ্য দিয়েছি যে,
মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল, আল্লাহর কলম, আমি কোন দিন তীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করব না
সে তার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করে ৷ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে
নাযিল হয় আল্লাহ তাআলার বাণী :
হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্নহের কথা স্মরণ কর যখন এক সম্প্রদায়
তোমাদের বিরুদ্ধে হাত উঠাতে চেয়েছিল, তখন আল্পাহ্ তাদের হাত সংযত করেছিলেন এবং
আল্লাহ্কে ভয় কর, আর আল্লাহুরই প্রতি মু’মিনগণ নির্ভর করুক ৷ ( ৫ মায়িদা : ১১) ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ ঘটনার মত একটি ঘটনা যাতুর রিকা যুদ্ধের আলোচনায় উল্লেখ
করা হবে ৷ এগুলো সম্ভবত দুটো পৃথক পৃথক ঘটনা ৷ আমি বলি, বর্ণনা যদি সত্য হয়, তবে
এগুলো যে দুটো পৃথক পৃথক ঘটনা তা সুনিশ্চিত ৷ কারণ, ওই ব্যক্তির নাম পাওরাছ ইবন হারিছ ৷
সে ঈমান আনয়ন করেনি, বরং তার পুর্ব ধর্মে অবিলে ছিল ৷ সে রাসুলুল্লাহ (না)-কে হত্যা করবে
না তেমন কোন প্রতিশ্রুতি যে তাকে দেয়নি ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞাত ৷
বৃহ্রান অঞ্চলে ফুরা এর যুদ্ধ
ইবন ইসহাক বলেন, যে সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুরা রবিউল আউয়াল মাস কিৎবা তার কিছু
কম সময় মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর কুরায়শদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে
বেরিয়ে পড়েন ৷ ইবন হিশাম বলেন, তখনকার জন্যে মদীনায় শাসনভার ন্যস্ত করেছিলেন ইবন
উষ্মে মাকভুমের উপর ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ওই অভিযানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বৃহরানে এসে
পৌহ্নে৷ ৷ বৃহরান হল আরবে তুংা৷ অঞ্চালর নিকটবর্তী একটি খনি ৷ ওয়াকিদী বলেন, এই যাত্রায়
১০ কিং রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷
মদীনায় ইরাহ্রদী গোত্র ৰানু কায়নুকা প্রসংগ
ওয়াকিদীর ধারণা বানুকায়নুকা অভিযান সংঘটিত হয়েহিং হিজরী ২য় সনের ১৫ই শাওয়াল
শনিবারে ৷ নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা ওদের কথইি উল্লেখ করেছেন :
এদের তুলনা হল এদের অব্যবহিত পুর্বে যারা ছিল তারা ৷ তারা নিজেদের কৃতকর্মের শাস্তি
ভোগ করেছে ৷ তাদের জন্যে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি ৷ (৫৯-হাশর : ১৫) ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, বানু কায়নুকা গোত্রের বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর অভিযান
পরিচালনার পটভুমি হলো, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন তাদেরকে এক বাজারে সমবেত করেছিলেন ৷
তিনি বলেছিলেন, হে ইয়াহ্রদী সম্প্রদায় ! আল্পাহ্র আযাবের ব্যাপারে তোমরা সতর্ক হও ৷ বদর
যুদ্ধে কুরায়শদের উপর যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল তোমাদের উপরও তেমন আমার আসতে
পারে ৷ তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর ৷ তোমরা তো বুঝতে পেরেছ যে, আমি আল্লাহ্র সেই প্রেরিত
রাসুল যার কথা তোমাদের কিভাবে তোমরা পেরেছ এবং যার সম্পর্কে অড়াল্পাহ্ তোমাদের
অঙ্গীকারও নিয়েছেন ৷ ওরা বলে , হে মুহাম্মাদ ! আপনার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন তা
যেন আমাদের সম্পর্কে আপনাকে প্রভাবিত না করে ৷ আপনিতাে মুখোমুখি হয়েছিলেন এমন
আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিদ্যায় যাদের কোন জ্ঞানই নেই ৷ তাই আপনি ঐ সুযোগে বিজয়
অর্জন করেছেন ৷ আল্লাহ্র কলম, আমরা যদি আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হই, তবে আপনি
বুঝবেন আমরাই আসল যোদ্ধা জাতি ৷
ইবন ইসহাক বলেন ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন, নিম্নের
আয়াতগুলো ওদের সষ্পর্কেই নাযিল হয়েছে :
যারা কুফরী করে তাদেরকে বলে দিন, তোমরা শীঘ্রই পরাতুত হবে এবং তোমাদেরকে
জাহান্নামে একত্রিত করা হবে ৷ আর সেটি কত নিকৃষ্ট আবাসস্থল ৷ দু দলের পরস্পর সম্মুখীন
হওয়ার মধ্যে তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ একদল আল্পাহ্র পথে সংগ্রাম করছিল আর
অন্যদল কাফির ছিল ৷ ওরা তাদেরকে বাহ্যদৃষ্টিতে দ্বিগুণ দেখছিল ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ
সাহায্য দ্বারা শক্তিশালী করেন ৷ নিশ্চয় এতে অস্তর্বৃষ্টিসম্পন্ন লোকদের জন্যে শিক্ষা রয়েছে ৷
আয়াতে দু’ দল অর্থ বদরের যুদ্ধে অং শ গ্রহণকারী সাহাবীগণ আর তাদের প্রতিপক্ষ
বুল্পায়শগণ ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, আসিম ইবন উনার ইবন কাতাদা বলেছেন, বানু কায়নুকা গোত্র হল
মুসলমানদের সাথে চুক্তি ভঙ্গকারী প্রথম ইয়াহুদী গোত্র ৷ বদর ও উহুদ যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে
তাদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ হয় ৷ ইবন হিশাম বলেন, আবু আওন সুত্রে আবদুল্পাহ্ ইবন
জাফর বলেছেন, বানু কায়নুকা যুদ্ধের পটভুমি এই ছিল যে, একজন আরব মহিলা তার
স্বর্ণালংকার নিয়ে তা বিক্রয় করার জন্যে বাজারে এসেছিল ৷ ঐ বাজারে যে তা বিক্রিও করেছিল ৷
এরপর কায়নুকা গোত্রীয় এক ইয়াহ্রদী স্বর্ণকারের দোকানে সে বসেছিল ৷ তারা বোরকা পরা
মহিলাটির চেহারা উন্মোচন করতে প্রয়াস পায় ৷ যে তা হতে দেয়নি ৷ স্বর্ণকার কৌশলে তার
পরনের কাপড়টি তার পিঠের সাথে বেধে দেয় ৷ ফলে বসা থেকে র্দাড়ানাের সাথে সাথে মহিলাটি
বিবস্ত্র হয়ে যায় ৷ এ নিয়ে উপস্থিত ইয়াহুদিগণ হাসাহাসি করে ৷ লজ্জায় ক্ষোভে মহিলা চীৎকার
জুড়ে দেয় ৷ একজন মুসলমান তা প্রত্যক্ষ করে স্বর্ণকারের উপর ঝাপিয়ে পড়েন ৷ এবং তাকে
হত্যা করেন ৷ ইয়াহ্রদীরা ওই মুসলমানের উপর আক্রমণ করে তীকেও হত্য৷ করে ৷ মুসলমানগণ
ইয়াহ্রদীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে অন্য মুসলমানদের সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ ফলে
মুসলমানগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ৷ উভয় পক্ষে যুদ্ধ অবস্থা সৃষ্টি হয় ৷ উত্তেজনা বিরাজ করতে
থাকে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ওদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷ শেষে তারা তার ফায়সালা মেনে নিতে রাজী হয় ৷ তখন
আবদুল্লাহ্ ইবন উবইি ইবন সালুল তাদের পক্ষ হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কথা বলল ৷ সে
বলল, হে মুহাম্মাদ (সা) ! আমার মিত্রদের প্রতি অনুগ্রহ করুন ! ওরা খাযরাজ গোত্রের মিত্র ছিল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন উত্তর দিলেন না ৷ সে আবার বলল, হে মুহাম্মাদ (সা) ৷ আমার মিত্রদের প্রতি
অনুগ্রহ করুন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷ এবার সে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আমার ফাকে
হাত ঢুকিয়ে দিল ৷
ইবন হিশাম বলেন, এই যুদ্ধকে “যাত-আলফুযুল যুদ্ধও বলা হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আবদুল্লাহ ইবন উবাইকে বললেন, আমার জামা ছেড়ে দাও ৷ তিনি তখন ভীষণ ক্রুদ্ধ হন ৷ চোখে
মুখে রাগের চিহ্ন ফুটে উঠে ৷ তিনি আবার বললেন, ধ্যেৎ, আমার জামা ছেড়ে দাও ৷ আবদুল্লাহ্
বলল, না , আমার মিত্রদের প্রতি যতক্ষণ উদার ও সহজ সিদ্ধান্ত না দেবেন ততক্ষণ জামা ছাড়ব
না ৷ ওরা ছিল ৭০০ জন ৷ চারশ’ জন নিরস্ত্র আর তিন শ’ জন বর্ম পরিহিত ৷ সাদা-কালো সকল
মানুষদের আক্রমণ থেকে ওরা আমাকে রক্ষা করেছে ৷ আপনি কি এক তােরেই ওদের সকলকে
নির্মুল করে দিতে চান ? আল্লাহর কসম, আমি কিন্তু তাতে বড় বিপদের আশংকা করছি ৷ এবার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তবে তাদের ব্যাপার তোমার উপরই ছেড়ে দিলাম ৷
ইবন হিশাম বলেন, বানু কায়নুকা পােত্রকে অবরোধ করে রাখার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনায় শাসনভার দিয়ে এসেছিলেন আবু লুবাবা বাশীর ইবন আবদুল মুনযির এর হাতে ৷ এই
অবরোধ ১ ৫দিন ব্যাপী কার্যকর ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আমার পিতা আমাকে জানিয়েছেন,
উবাদা ইবন ওয়ালীদ ইবন উবাদা ইবন সামিত সুত্রে ৷ তিনি বলেছেন, বানু কায়নুকা গোত্র যখন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল তখন আবদুল্লাহ ইবন উবইি তাদের পক্ষে কথা
বলার দায়িত্ব নিল ৷ এবং সে তাদের পক্ষ অবলম্বন করল ৷ উবাদা ইবন সামিত রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট গেলেন ৷ আবদৃল্লাহ্ ইবন উবইি এর সাথে যেমন ইয়াহ্রদী গোত্র বানু কায়নুকা এর
মৈত্রীচুক্তি ছিল, বানু আওফ গোত্রের উবাদা ইবন সামিত (রড়া)-এর সাথেও তাদের মৈত্রী চুক্তি
ছিল ৷ উবাদা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ওই চুক্তি প্ৰত্যাহারের ঘোষণা
দিলেন, এবং ওদের সাথে সম্পর্ক বর্জন করে আল্লাহ্ তাআলা ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ
অবলম্বন করলেন ৷ তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লড়াহ্ ! আমি আল্লাহ্ তাআলা, তীর রাসুল এবং
মু’মিনদের সাথে রয়েছি ৷ সাথে সাথে এসব ইয়াহুদী কাফিরদের সম্পাদিত চুক্তি ও বন্ধুত্ব আমি
প্রত্যাহার করে নিচ্ছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উবাদা ইবন সামিত এবং আবদুল্লাহ ইবন উবাই দুজনকে
উপল্য করে সুরা মায়িদার এ আয়াত নাযিল হয়েছে :
হে মুমিনণণ ! ইয়াহ্রদী ও খৃণ্টানদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না , তারা পরস্পর পরস্পরের
বন্ধু ৷ তোমাদের মধ্যে কেউ ওদেরকে বন্ধু রুপে গ্রহণ করলে (ন্ন্ তাদেরই একজন হবে ৷ আল্লাহ্
যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না এবং যাদের অম্ভরে ব্যাধি রয়েছে তুমি তাদের
সত্র ওদের সাথে মিলিত হতে দেখবে এই বলে “আমাদের আশংকা হয় আমাদের ভাগ্য বিপর্যয়
ঘটবে ৷ হয়ত আল্লাহ বিজয় অথবা তার নিকট হতে এমন কিছু দিবেন যাতে তারা তাদের অস্তরে
যা গোপন রেখেছিল তার জন্যে অনুতপ্ত হবে ৷ এবং মুমিনণণ বলবে, এরাই কী তারা যারা
আল্লাহর নামে দৃঢ়ভাবে শপথ করেছিল যে, তারা তোমাদের সংগেই আছে ? তাদের কর্ম নিম্ফল
হয়েছে ৷ ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ হে মুমিনণণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দীন হতে ফিরে
গেলে আল্লাহ্ এমন এক সম্প্রদায় অড়ানবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন ও যারা র্তাকে ভাল-
বাসবে, তারা মু’মিনদের প্ৰতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে
জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না, এটি আল্লাহ্র অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তিনি
দান করেন এবং আল্লাহ্ প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময় ৷ তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ্ তার রাসুল ও
মু’মিনগণ যারা বিনত হয়ে সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় ৷ কেউ আল্লাহ্, র্তার রাসুল এবং
মু’মিনদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করলে আল্লাহ্র দলই তো বিজয়ী হবে ৷ (৫-মায়িদা : ৫ ১ ৫৬) ৷
আয়াতে “যাদের মনে ব্যাধি আছে” দ্বারা আবদুল্লাহ ইবন উবাইকে এবং “যারা আল্লাহ্কে তার
রাসুলকে এবং মুমিনদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে” দ্বারা উবাদা ইবন সামিতকে বুঝানো হয়েছে ৷
আমাদের তাফসীর গ্রন্থে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
যায়দ ইবন হারিছার নেতৃত্বে সেনা-অভিযান (বু-কাৱদা অভিমুখে)
এই অভিযান ছিল আবু সুফিয়ানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কুরায়শের ব্যবসায়ী কাফেলার
উদ্দেশ্যে ৷ কেউ বলেছেন, ওই কাফেলা যাত্রা করেছিল সাফওয়ানের তত্ত্বাবধানে ৷ ইউনুস ইবন
বুকায়র (র) ইবন ইসহাক সুত্রে বলেছেন যে, এই অভিযানটি পরিচালিত হয় বদর যুদ্ধের ছয় মাস
পর ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ঘটনাটি ছিল এই : বদর যুদ্ধের পুর্বে কুরায়শগণ যে পথে সিরিয়া যেত
বদর যুদ্ধের পর ওই পথে সিরিয়া যেতে তারা ভয় পেতে৷ ৷ তাই এবার তারা ইরাকের পথে রওনা
করে ৷ ওই কাফেলার কুরায়শের বহু ব্যবসায়ী শামিল ছিল ৷ নেতৃত্বে ছিল আবু সুফিয়ান ৷ তার
সাথে প্রচুর রৌপ্য ছিল ৷ ঐগুলোই ছিল এই কাফেলার বড় মুলধন ৷ পথ চিনিয়ে দেয়ার জন্যে