Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » গালিব ইবৃন আবল্লোহ্ (রা)-এর অভিযান

গালিব ইবৃন আবল্লোহ্ (রা)-এর অভিযান

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • হাবশী লোককে তার সাথে রেখে গেলেন ও তাকে পাহার৷ (করার জন্যে বললেন আর যদি কোন
    প্রকার খিয়ানত করে তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দেরারও অনুমতি দিলেন ৷ রাবী বলেন “আমরা
    বাতনে কাদীদ’ নামক স্থানে আসরের পর পৌছলাম ৷ সেখানে অভিযান চালাবার জন্যে আমার
    সাথীর৷ আমাকে একটি টিলায় পৌছ৷ ৷র লক্ষে৷ প্রেরণ করেন ৷ আমিও টিলায় উঠা ৷র ইচ্ছা পোষণ
    করি যাতে করে আমি কারা পানি নিয়ে আসে তা প্রত্যক্ষ করতে পারি ৷ টিলায় উঠে মুখ নিচের
    দিকে দিয়ে তথায় আমি শুয়ে পড়লাম ৷ তখন ছিল সুর্যাস্তলগ্ন ৷ শত্রুপক্ষের একজন লোক ঘর
    থেকে বের হয়ে আসল এবং আমাকে টিলায় উপর নিচের দিকে মুখ করে ণ্ডইয়ে থ ৷কতে দেখল;
    কিন্তু মানুষ বলে সে নিশ্চিত হতে পারলােনা ৷ তাই সেত ৷৩র শ্রীকে বলল, “আমি ঐ টিলায় উপর
    যেন একটি মানুষের ছায়া দেখতে পাচ্ছি যা দিনের প্রথম ভাগে দেখি নাই ন্ লক্ষ্য কর কোন
    কুকুরত নয় যা তোমার হাড়ি পাত্র থেকে কিছু থেয়ে নিয়েছে” মহিলাটি খোজ নিল এবং বলল,
    “না আমার কোন জিনিস হারানো যায়নি বা কোন কিছু কোন প্রাণী থেয়ে নিয়েছে বলেও মনে হচ্ছে
    না ৷ লোকটি তার স্তীকে একটি ধনুক ও কোষ হতে ৩দৃইটি তীর প্রদান করার জন্যে নির্দেশ দিল ৷
    মহিলা তার হাতে দুইটি তীর তুলে দিল ৷ সে আমার পাজর লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ
    করল, কিৎব৷ রাবী বলেন সে আমার কপাল লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করল ৷ আমি তীরটি
    আমার শরীর থেকে বের করে নিলাম এবং পাশে রেখে দিলাম ৷ আর কোন প্রকার নড়াচড়া
    করলাম না ৷ এরপর সে আমার দিকে দ্বিতীয় তীরটি নিক্ষেপ করল এবং তা আমার বাহুতে বিদ্ধ
    হল ৷ আমি এটাও খুলে নিলাম এবং পাশে রেখে দিলাম: কিন্তু কোন নড়াচড়া করলাম না ৷ সে
    তার ত্রীকে বলল, আমার দুই দুইটি তীরই তাকে আঘাত করেছে ৷ যদি কোন সন্দেহের বস্তু হত
    তাহলে অবশ্যই যে নড়াচড়া করত ৷ যখন ভোর হবে তখন তুমি আমার তীরগুলাে খোজ করে
    আনবে ৷ কুকুরের জন্যে আমরা এগুলো অযথ৷ ফেলে রাখব না ৷ গালিব (বা) বলেন, “(
    আমাকে প্রচুর সময় দিল ৷ এমনকি যখন তাদের হৈচৈ থেমে গেল তারা দৃধপান করল, মদ পান
    করল, নীরব হয়ে পড়ল এবং রাতের একাং ×শ কেটে (পল ৷ তখন আমরা তাদের উপর আক্রমণ
    চালালাম ৷ তাদেরকে হত্যা করলাম, তাদের পশুপালকে হাকিয়ে নিয়ে আসতে লাগলাম এবং
    আমরা এগুলো নিয়ে ফেরত আমার জন্যে রওয়ান৷ হলাম ৷ এমন সময় বিষয়টি জানাজানি হয়ে
    গেলে তাদের সম্প্রদায়ের বাকী লোকজন আমাদের দিকে ছুটে আসল ৷ রাবী বলেন আমরা অতি
    দ্রুত দৌড়াতে লাগলাম ৷ হারিছ ইবন মালিক ইবন আল-বারসা ও তার সাথীর স ৷ক্ষাত পেলাম ৷
    তাকে আমাদের সাথে নিয়ে নিলাম ৷ লোকজনের হৈচৈ আমাদের কা নে পৌছতে লাগল ৷ তারা
    এত অধিক সংখ্যায় আসছিল যে, তাদের মুকাবিল৷ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ যখন
    তাদের মধ্যেও আমাদের মধ্যে শুধুমাত্র কাদীদের উপত্যকা ৷র দুরৎ বিরাজমান ছিল ৷ তখন আল্লাহ

    তাআল৷ পানির ঢল প্রেরণ করলেন ৷ বর্তমানে কি×বা অতীতে তও কোন প্রকার বৃষ্টির অস্তিত্ব দেখা
    যায়নি ৷ পানির এ ঢলের জন্যে কেউ আর সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারল না ৷ আমরা
    তাদেরকে থ’ হয়ে র্দ৷ ড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলাম ৷ আর তারাও আমাদেরকে দণ্ডায়মান অবস্থায়
    দেখতে পেল ৷ তারা ৷শুধু আমাদের দিকে৩ ৷কিয়ে ছিল ৷ সামনে তাঃাসর হওয়া কারো পক্ষে সম্ভব
    ছিল না ৷ শত্রু পক্ষের জন্তু আনোয়ার ও অন্যান্য সম্পদসহ অনাপথে দ্রুত রাস্তার দিকে আমরা
    অগ্রসর হলাম ৷ শত্রুকে পিছনে ফেলে আমরা দ্রুত গতিতে মদীনায় চলে আসলাম ৷

    আবু দাউদ (র) গালিব ইবন আবদুঃাড়াহ্কে আবদুল্লাহ ইবন পালিব বলে, বর্ণনা করেছেন তবে
    শুদ্ধ হল পালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) ৷ ওয়াকিদী অন্য সনদেও এ হাদীছটি বপ্টা৷ করেছেন ৷ তিনি
    তাতে পালিব ইবন আবদুল্লাহর সাথে ত্রিশজন সাহাবী থাকার কথা উল্লেখ করেছেন ৷

    বায়হার্কী (র) ওয়াকিদীর বরাতে বাশীর ইবন সাদের অভিযানের বর্ণনা দিয়েছেন ৷ এ
    সৈন্যদলটি খায়বার সংলগ্ন এলাকায় প্রেরণ করা হয়েছিল ৷ এ ক্ষুদ্রদলের সদস্যগণ আরবের
    একদল শত্রুর মৃকাবিলা করেন এবং প্রচুর গনীমত লাভ করেন ৷ রাসলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর (রা)
    ও উমর (রা) এর পরামর্শ অনুযায়ী বাশীর ইবন স৷ দ (রা) এর নেতৃত্বে তিনশত লোকের একটি
    বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ হুসাইল ইবন নাবীর৷ (রা) ছিলেন তাদের পথ প্রদর্শক ৷ ওয়াকিদী বলেন,
    “তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ও খায়বারে পথ প্রদর্শক ছিলেন ৷

    আবু হড়াদরড়াদ (না)-এর অভিযান

    ইউনুস (র) আবুহাদরাদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ ৷হ্ণ্ননি বলেন, “আমার সম্প্রদায়ের
    একটি মহিলাকে আমি বিয়ে করলাম, তার মহর স্থির হয় দুইশ’ দিরহাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
    (স৷ ) এর কাছে এসে আমার বিয়ের জন্যে সাহায্য প্রার্থনা করলাম ৷ তিনি বললেন, মোহরানা
    কত দিচ্ছ ? আমি বললাম, “দৃইশত দিরহাম ৷ রাসুলুল্লা হ্ (সা) বললেন, সুবাহানাল্লাহ, আল্লাহর
    শপথ যদি তুমি তোমার কো ন উপত কো থেকেও এ মহর নিতে পারতে তাহলেওভো তুমি তার
    থেকে বেশী মােহরান৷ দিতে পা ৷রতে না ৷ আল্লাহর শপথ, বর্তমানে আমার কাছে এমন সম্পদ নেই
    যে তোমাকে আমি সাহায্য করতে পারি ৷ আবুহাদরাদ (রা) বলেন, “আমি কয়েকদিন অপেক্ষা
    করলাম ৷ এরপর জিশাম ইবন মুআবিয়া নামী এক বড় গোত্রের এক ব্যক্তি, যার নাম ছিল
    রিফ৷ আ ইবন কায়স অথবা কায়স ইবন রিফ৷ আ ও তার সাথীর৷ তার সম্প্রদায়ের জনপােষ্ঠিকে
    নিয়ে মাঠে নেমে সমাবেশ করে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্রস্তুতি ৩নেয় ৷
    জিশাম গোত্রে সে ছিল অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তি ও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ৷ আবু হাদরাদ (বা ) বলেন,
    “আ আল্লাহ্র রাসুল (সা) আমাকে ও আরো দুইজন মুসলমান ভাইকে ডাকলেন এবং নির্দেশ দিলেন,

    তোমরা এ লোকটির খোজে যাও, তার সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    আমাদেরকে একটি দুর্বল উন্থী দিলেন ৷ এটার উপরে আমাদের একজন সওয়ার হল ৷ দৃর্বলতার
    কারণে যে তাকে নিয়ে হ টণ্ডে পারছিল না ৷ লোকজন তাকে পেছন থেকে হাত ৩দিয়ে ধাক্কা
    দিচ্ছিল ৷ পরে সে চলতে লাগল ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এটার উপর চড়ে তোমরা গম্ভব্য
    স্থলে পৌছবে ৷ আবু হাদরাদ (রা) বলেন, “আমরা বের হয়ে পড়লাম ৷ আমাদের সাথে ছিল
    আমাদের হাতিয়ার, তীর, বর্শা ও৩ তলোয়ার ৷ সুর্যাস্তের সময় আমরা উক্ত সমাবেশের নিকট
    পৌছলাম এবং একপার্শে ওৎপেতে রইলাম ৷ আমার অন্য দুই সাথীকে সমাবেশের অন্য দিকে
    ওৎপাতার জন্যে নির্দেশ দিলাম ৷ আমি তাদেরকে বললাম , যখন তোমরা আমাকে তাকবীর বলতে
    শুনবে ও আক্রমণ করতে দেখবে তখন তোমরা তাকবীর বলবে ও আমার সাথে সাথে আক্রমণ
    করবে ৷ আল্লাহর শপথ, আমরা যে কোন প্রকার সুযোগ পাবার জন্যে এরুপে অপেক্ষা করছিলাম ৷
    রাত নামার পরও আমরা অপেক্ষা করছিলাম এমনকি এশার অন্ধকার কিছুটা ঘনীভুত হতে লাগল ৷
    তাদের ছিল একটি রাখাল ৷ সে কোন কাজে শহরে গিয়েছিল ; কিন্তু ফিরে আসতে দেরী করছিল ৷

    তার৷ তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ৷ রিফাআ ইবন কায়স উঠে র্দাড়াল ৷ তার তলােয়ার ঘাড়ে ঝুলিয়ে
    নিল এবং বলল, আল্লাহর শপথ, আমি আমাদের রাখালের ব্যাপারটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাই ৷
    সে বোধ হয় কোন বিপদে পড়েছে ৷” তার কয়েকজন সাথী বলল, “আল্লাহর শপথ, তুমি যারেনা
    আমরাই যথেষ্ট ৷” তখন সে বলল, “না, আমিই যাব ৷” তারা বলল, তাহলে আমরা তোমার সাথে
    যাব ৷” সে বলল, “আল্লাহ্র শপথ, তোমরা কেউ আমার সংগে আসবেন৷ ৷” একথা বলে সে
    এক কী বের হল ৷ আবু হাদবাদ (বা) বলেন, “যখন সে আমার কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিল এবং
    আমার পুরাপুরি নাগালে পৌছে গেল, তখন আমি তার বুকে৩ ভীর নিক্ষেপ করলাম ৷ আল্লাহর
    শপথ, সে কোন কিছু উচ্চারণ করা র পুর্বেই ঢলে পড়ল ৷ এমনি সময় আমি তার দিকে লাফ দিয়ে
    গেলাম এবং তার মাথাটি কেটে ফেললাম ৷ এরপর আমি তাকবী ৷ব দিলাম ও তাদের প্রতি
    আক্রমণ পরিচালনা করলাম ৷ আমার সাথীদ্বয়গু তাকবীর বললেন এবং আক্রমণ পরিচালনা
    করলেন ৷ আল্লাহর শপথ, এখানে যার বাছিল সকলেই তাদের কাছে যা কিছু সম্পদ ছিলত বিয়ে ও
    পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মসমর্পণ করল ৷ আমরা বড় বড় উন্নীও বহু বকরী হাকিয়ে নিয়ে
    আসলাম ৷ আর গনীমতে তর মালামাল ও রিফা আ ইবন কায়সের কর্তিত মাথা নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
    (না)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ ঐসব উষ্টীর মধ্য হতে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমার মােহরানা
    আদায়ের জন্যে আমাকে তেরটি উদ্রী দান করলেন ৷ আমি মােহরান৷ আদায় করে আমার শ্ৰীকে
    ঘরে উঠিয়ে নিলাম ৷

    মিহলাম ইৰ্ন জুছামা যে ক্ষুদ্র যুদ্ধে আমির ইৰ্ন আল-আয্ৰাতকে হত্যা করেছিল

    ইবন ইসহাক আবু হ দবাদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন “ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    কয়েকজন ঘুসলমানসহ আমাকে আযাম নামক স্থানে প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন আবু
    কাতাদা আল-হারিছ ইবন রিবৃয়ী (বা) এবং মিহলাম ইবন জ্বছাম৷ ইবন কায়স ৷ আমরা যখন
    বাতনে আযাম নামক স্থানে পৌছলাম আমির ইবন আল-আঘৃবাত ইবন আল-আশজায়ী’ এর সাথে
    আমাদের সাক্ষাত হল ৷ তার সাথে ছিল একটি আসন এবং দুধের একটি বড় মশক ৷ সে
    আমাদেরকে ইসলামী কায়দায় সালাম দিল ৷৩ তাই আমরা তার প্রতি হামলা করা থেকে বিরত
    রইলাম, কিভু মিহলাম ইবন জুছামাত তার উপর হামলা করলেন এবং তাকে হত্যা করলেন ৷
    তাদের এ দৃ’ জনের মধ্যে মনােমালিন্য ছিল ৷ তিনি তার উটও অন্যান্য পরিত্যক্ত সামগ্রী গনীমত
    হিসেবে লাভ করেন ৷ আমরা যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ফিরে আসলাম এবং তাকে এ

    ঘটনা সম্পর্কে জানালাম তখন আমাদের মাঝে অবতীর্ণ হল১০ ৷ ৷

    ,

    তোমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্র ৷ ত্রকরবে তখন যাচাই করে নেবে এবং কেউ তোমাদের সালাম

    দিলে ইহজীবনের সম্পদের আকাৎখায় তাকে বলবেনা, তুমি মু মিন নও কারণ, তা ৷ল্লাহ্র নিকট
    অনায়াসলভ্য সম্পদ প্রচুর রয়েছে ৷ তােমরাও পুর্বে এরুপই ছিলে, এরপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি
    অনুগ্রহ করেছেন ৷ সুতরাং তোমরা যাচাই করে নেবে ৷ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে

    সবিশেষ অবহিত

    ইমা ৷ম আহমদ (র) ও আবু হ দব দ (বা) হতে ৩এরুপ রংনাি করেন ৷

    ইবন ইসহাক ষুবায়র (রা) ও তার পিতা আওয়াম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তারা
    উভয়ে হুনায়ন যুদ্ধে যোগদান করেন এবং বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন যুহরের স ৷লাত আদায়
    করেন ৷ এরপর তিনি একটি গাছের ছায়ায় গিয়ে বলেন ৷ তখন উয়ায়না ইবন বদর, রাসুলুল্লাহ্
    (সা )-এর কাছে এসে নিহত আমির ইবন আল-আযরাত আল আশজ৷ ৷ঈ এর রক্তপণ দাবী করে
    কেননা, সে ছিল আমিরের মুনির ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) রলেন, “তোমরা কি এখন ৫০টি উট
    গ্রহণ করতে এবং মদীনায় প্রত্যাব৩ নের পর বাকী ৫ :টি উট্রি গ্রহণ করতে রাযী আছ ?” উয়ায়না
    ইবন বদর বলেন, “আল্লাহর শপথ, আমি তার সাথে কোন আপোস করব না ৷ যতক্ষণ না তার
    রমণীরা ঐরুপ কষ্ট ভোগ করবে যেরুপ আমাদের রমণীরা কষ্ট ভোগ করেছে ৷ বনু লায়ছের এক
    ব্যক্তি যাকে ইবন মুকায়াতিল বলা হয়, আবার সে আকারেও খাট ছিল ৷ সে বলতে লাগল, “হে
    আল্লাহর রাসুল ! ইসলামের ছত্রছায়ায় প্রতারণার ক্ষেত্রে তাদের উপমা দেয়৷ চলে এমন কতগুলো
    বকরীর সাথে যেগুলো পানি পান করতে এসে এদের অ্যাভাগে যেগুলো রয়েছে এরা পানি পান
    করে আর পশ্চাতেরগুলে৷ পালিয়ে যায় ৷ অর্থাৎ তাদের মধ্যে কোন প্রকার একত৷ কিৎবা সহয়োগি
    তার মনোভাব নেই ৷ আজকে এক প্রকার ঘটনা ঘটায়, পরদিন আবার অন্যরুপ ঘটনা ঘটাবে ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ তোমরা কি এখন ৫ :টি উট গ্রহণ করতে এবং মদীনায় প্রত্যাবর্তনের
    পর বাকী ৫ :টি উট গ্রহণ করতে রাযী আছ ? এরুপ অনেকবার অনৃরোধের পর যে তা গ্রহণ
    করতে রাযী হল ৷ মিহলাম ইবন জুছামার লোকজন বলতে লাগল, “চল, আমরা মিহলামকে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে যাই ৷ যাতে তিনি তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা ৷করেন ৷ রাবী বলেন,
    একজন দীর্ঘকায়, সুস্বাস্থ্যবান এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চাদর পরিহিত ব্যক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্
    (সা) এর সামনে দীড়াল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “হে আল্লাহ ! মিহলামকে মাফ করবেন
    না “এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন ৷ লোকটি দাড়িয়ে রইল এবং কাপড় দিয়ে অশ্রু যুছতে ছিল ৷

    মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, “মিহলামের লোকেরা মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    পরবর্তীতে তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ উপরোক্ত বর্ণনার ন্যায় আবু দাউদ ও ইবন মাজা
    বিভিন্ন সনদে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেন ৷

    ইবন ইসহাক, আবু নয়র সালিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমিরের
    লোকজন রক্তপণ কবুল করেন নাই যতক্ষণ পর্যন্ত না আকরা ইবন হাবিস (বা) তাদের সাথে
    একাম্ভে আলোচনা করেন ৷ আকর৷ (বা) বলেন, “(হ কায়সের বং ×শধরগণ ! রাসুলুল্লাহ (সা)
    তোমাদের মধ্যে মীমাং সার খাতিরে তে ৷মাদেরকে বলেছেন, একটি নিহত ব্যক্তির হত্যার জন্যে
    রক্তপণ গ্রহণ করতে, আর তোমার তার কথা অমান্য করছ ৷ তোমরা কি চিন্তা করে দেখছ যে,
    যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা)তে তামাদের প্রতি ৩ক্রুদ্ধ হন, তাহলে তার ক্রোধের কারণে আল্লাহ তোমাদের

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ গালিব ইবৃন আবল্লোহ্ (রা)-এর অভিযান Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.