হাফিম বায়হড়াকীর অনুচ্ছেদ শিরোনাম : মুহাসৃসার নিনভুমিতে দ্রুত বাহন পরিচালনা প্রসঙ্গে :
আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিজ (র) জাৰির (বা) হতে নবী কবীম (সা) এর হজ্জ সম্বন্ধে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন অবশেষে যখন তিনি ঘুহাস্সির এ পৌছলেন তখন বাহনেব গতি
একটু বাড়িয়ে দিলেন ৷ মুসলিম (র) তার সহীহ্-তে এ হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন আবু বকর
ইবন আবু শায়বড়া (বা) থেকে ৷ বড়ায়হাকী (র) এর পরবর্তী রিওয়ায়াত সুফিয়ান ছাওরী (র)
সুত্রে জাঘির (বা) হতে, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) (মুবৃদালিফা হতে) প্ৰন্থান শুরু
করলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রশান্ত ৷ তিনি সাথীদেরও শান্ত সুশৃৎখল থাকতে বললেন এবং
ঘুহাস্সির নিমঙুমিঃ৩ প্রু৩ ব ৷ হন পরিচালনা করলেন ব্র তিনি ৩াদেরওে :িল ছেড়াড়ার আকৃতির
ৎকর দিয়ে জামরাসমুহে (তিন শয়তানের পায়ে) কংকর মারতে নির্দেশ দিলেন এবং
বললেনরুগু ন্ঞ “তোমরা আমার কাছে
তোমাদের হজ্জ পালনের য়ীতি-নীতি শিখে নাও , হতে পারে আমার এ বছরের পরে তোমাদের
সাথে আমার আর সাক্ষাত হবে না ৷ ” বড়ায়হড়াকী (র)শ্এর পরবর্তী রিওয়ড়ায়ড়াত ছাওরী (র)
সুত্রের, আবদুর রহমান ইবনৃল হড়ারিছ (র) , আলী (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুঘৃদালিফা থেকে চলতে শুরু করে যুহাসৃসির পর্যন্ত পৌছলে তার উটনীকে
তাড়া দিলেন ৷ অবশেষে নিম্নভুমি অতিক্রম করার পর থাকলেন ৷ তারপর ফাঘৃল (রা)-চুক
সহ-আরােহী করে আমরা-য় এসে কৎকর মারলেন ৷ এ রিওয়ায়াত এ ভাবেই সংক্ষেপে বর্ণিত ৷
এ প্রসংগে ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আবু আহমদ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আন যুবায়বী
(র) আলী (রড়া)-এর বরড়াতে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আরাফাতে
অবস্থান করে এটিই অবস্থান ক্ষেত্র; এবং
গোটা আরাফা-ই অবস্থান ক্ষেত্র ৷ এবং সুর্য অন্ত গেলে তিনি প্রস্থান শুরু করলেন এবং উসামা
(রড়া)-া;ক সহ-আরোহী করলেন ৷ তিনি র্তার উটকে আনড়াক চালে ( ধীর মন্দপতিতে) চালাতে
লাপলেন ৷ জনতা তার ডানে বামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছিল , তিনি যেন তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত
করছিলেন না ৷ (তাদের প্রতি ৰিঘি-নিয়েধ আরোপিত হচ্ছিল না ৷) তিনি বলে চলছিলেন, ধীরে
হে লোক সকল ! ” তারপর ঘুঘৃদালিফায় পৌছে লোকদের নিয়ে নাগরিক ও ইশার সালাতদ্বয়
আদায় করলেন ৷
তারপর সকাল হওয়া পর্যন্ত রাত্রি যাপন করলেন ৷ তারপর কুযাহ্’ পাহাড়ে এলে-কুযাহ্
পাহাড়ের উপরে অবস্থান করলেন এবং বললেন, “এটাই
অবস্থান ক্ষেত্র; এবং মুঘৃদালিফা পুরোটাই অবস্থান ক্ষেত্র ৷ ” তারপর চলতে শুরু করলেন এবং
ঘুহাসৃসির প্রান্তে পৌছে থামলেন ৷ তখন তার বাহনকে তাড়া দিয়ে দ্রুত গতিতে নিম্নভুমি
অতিক্রম করার পর তাকে থামিয়ে দিলেন ৷ তারপর ফাঘৃল (রা)-চুক সহ-আরােহী করে চলতে
লাপলেন এবং আমরা-য় পৌছে কৎকব নিক্ষেপ করলেন ৷ তারপর (কুররড়ানীর স্থলে) পৌছে
বললেন, মিঃ “ এ হভ্রুচ্ছ কৃরবানী ক্ষেত্র, আর মিনা-র সম্পুংটিইি
কুরবানী ক্ষেত্র ৷ বর্ণনা কড়ারী বলেন, এ সময় খাছ’আম গোত্রের এক তরুণী তীর কাছে
ফাত্ওয়৷ জিজ্ঞাসা করল, যে বলল, আমার পিতা একজন অভিনয় বৃদ্ধ, কথার থেই হারিয়ে
৫০ শে)
ফেলার বয়সে পৌছেছেন ৷ ওদিকে হজ্জ সম্পর্কিত আল্লাহর বিধান তার উপর বর্তিয়েছে ৷ এখন
র্তীর পক্ষে আমি হজ্জ আদায় করলে তা তার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে? নবী কবীম (সা)
বললেন, হী তেমন হলে তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে আদায় করতে
পড়ার ৷ বনাি কাবী বলেন, এবং নবী কবীম (সা) ফায্ল (বা) এর ঘাড় ঘুরিয়ে দিলেন ৷
তখন আব্বাস (রা) র্তাকে বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আপনার চাচাত ভাইয়ের রক্তে
ঘুরিয়ে দেয়ার কারণ কি ? তিনি বললেন, “আমি দেখলাম এক তরুণ আর এক তকপী তাই
তাদের ব্যাপারে শয়তান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারলাম না ৷ ” বর্ননাকাবী বলেন, এরপরে এক
ব্যক্তি র্তার কাছে এসে বলল, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷ আমি কুরবানী করার আগে মাথা কামিয়ে
ফেলেছি! নবী করীম (সা) বললেন,“এখন কুরবানী করে নাও-কােন অসুবিধা
(নই! তখন আর একজন এসে বলল, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ! মাথা কামাবার আগেই আমি প্রস্থান
করে ফেলেছিন্ত্র নবী কবীম (সা) বললেন,গ্লু )“এখন যুণ্ডন করে ফেল
কিৎব৷ ছেটে ফেল কোন অসুবিধা নেইন্ত্র তারপর বায়তুল্লায় গিয়ে তাওয়াফ করলেন ৷ পরে
যমযম্ এর কাছে গিয়ে বললেন-
“আবদুল মুত্তালিৰের সন্তানরা তোমাদের পানি পান করাবার দায়িতু সৃচাকরুপে আঞ্জাম
দিতে থাক ল্যেকেরা£ তামাদের উপরে প্রধান বিস্তার করার এবং তোমাদের কাজে হস্তক্ষেপ
করার আশা কা না থাকলে আমিও তোমাদের সাথে পানি তুলতড়াম ৷ আবু দাউদ (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ ইবন হাস্বল (র)হতে এবং তিরমিঘী (র) বুনৃদার
(র) সুত্রে এবং ইবন সাজা (র) আলী ইবন মুহাম্মদ (র) সুত্রে ৷ তিরঘিষী (র) এটা হাসান
সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ আলী (রা)-র হাদীসরুপে এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এর
পরিচিতি আমরা পাই না ৷
গ্রস্থকারের মন্তব্য : একা ৷ধিক বিশুদ্ধ সুত্রে এর সমর্থনে রিওয়ায়াত রয়েছে যা সিহাহ
গ্রন্থসঘুহ এবং অন্যান্য প্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে ৷ যেমন খাছআমী তকণীটির ঘটনা সহীহ্ বুখারী,
মুসলিম ফাঘৃল (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং জাবির (রা) এর পুখোল্লিখিত হাদীসেও তা
বিবৃত হয়েছে ৷ পরে আরো সমর্থক রিওরায়াত উল্লেখ করা হয়ে ৷ ইবন আব্বাস (রা) এর
সাথে সম্পৃক্ত একটি সনদের ভিত্তিতে বায়হাকী (র) যুহাস সির নিম্নতুমিতে নবী কবীম (সা) এর
দ্রুত চলার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷
তিনি বলেছেন, তা ছিল যাযাবর বেদুঈনদের কাজ ৷ বায়হাকী (র) আরো বলেছেন ৷ আর
(উসুলে হাদীসের বিধান মতে) কোন বিষয় সাব্যস্তকা রী ও ইতিবাচক হাদীস ঐ বিষয়
প্রত্যাখ্যানকাবী’ ও নেতিবাচক হাদীসের চা ৷ইতে অপ্রাধিকার যে ৷গ্য ৷ (আমার মতে ত) ইবন
আব্বাস (বা) হতে এ হাদীস বর্ণিত হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷
অথচ বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে একদল সাহাবী সুত্রে প্রমাণিত এবং শারখায়ন-দৃই
প্রধান ও প্রবীণ সাহাবী আবু বকর ও উমর (রা) এর বাস্তব কর্মের বিষয়টি সারম্ভে হয়েছে যে,
র্তার৷ দু’জন অনুরুপ করতেন ৷ যেমন বায়হাকী (র) মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা (বা) হতে
বিওয়ায়াড় করেছেন যে, উমর (রা) দ্রুত উট ছোটাতেন এবং বলতেন
তোমার দিকে হাওদার রশি কেপে কেপে ধাবিত হচ্ছে,
তার ধর্যকর্য খৃস্টানদের ধর্যকর্মের পরিপন্থী ৷
দশ তারিখে নবী করীম (সা) এর শুধু বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপ; কংকর নিক্ষেপের পদ্ধতি;
সময় ও স্থান এবং কংকরের সংখ্যা ও কংকর মাবা-র সময় তালবিয়া পাঠ বন্ধ ক্যা প্ৰসৎগ
উসামা, ফাযল ও অন্যান্য সাহাবী (বা) হতে এ বিওয়ারাত আগেই উল্লিখিত হয়েছে যে,
বড় জামরা য় ক০ ×কর মারার সময় পর্যন্ত নবী করীম (না) অবিরাম তালবিয়া উচ্চারণ করতে
থাকেন ৷ বায়হার্কী (র) বলেন, ইমাম আবু উছমান (রা) আবদুল্লাহ (বা) হতে,৩ তিনি বলেন,
আমি নবী করীম (সা) এর প্ৰতি লক্ষ্য রাখতে লাপলাম ৷ বড় জামরায় প্রথম কংকর নিক্ষেপ
করা পর্যন্ত তিনি লাপা৩ার তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকলেন” ৷ ঐ সনদে ইবন খুযায়মা
(র) ইবন আব্বাস সুত্রে ফা য়ল (বা) হতে তিনি বলেন, আ ৷মি আরাফ৷ ৷ত হতে রাসুলুল্পাহ (সা)-
এর স০ ×গে প্রত্যাবর্তন করলাম ৷ তিনি জামরাতুল আকাবা-য় (বড় শয়তানকে) ক০ কর মারা
পর্যন্ত লাগাতার তা ৷লৰিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ প্রতিটি ক০ ×করের সাথে তিনি তাকবীর ধ্বনি
দিচ্ছিলেন ৷ শেষ ক০ ×করের সাথে সাথে তালবিয়া বন্ধ করলেন ৷ রায়হাবী (র) বলেছেন, এ
অংশটি বিরল ধরনের বধির্ত কথা, যা ফ৷ যল (বা) হতে ইবন আব্বাস সুত্রের প্রসিদ্ধ বর্ণনা
সমুহে উল্লিখিত ৩হয় নি ৷
যদিও ইবন খুযায়ম৷ (র) এ বর্ণনাটি গ্রহণ করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক (র) বলেন,
আবান ইবন সালিহ্ (র) ইক্রিমা: (বা) হতে, তিনি বলেন, আমি হুসায়ন ইবন আলী (র)-এর
সৎগে (আরাফা ৷ত হতে) প্ৰস্থান করলাম ৷ জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত ভীকে
লাপাতার ত ৷লিবিয়া পাঠ করতে শুনলাম ৷ ক০ কর নিক্ষেপের পর তিনি তালবিয়া বন্ধ করলেন ৷
আ৷ ৷মি বললাম, এটা কী করলেন?৩ তিনি বললেন,অ আমি আমার পিতা আ ৷লী ইবন আবৃত তালিব
(রা)-কে জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত তালবিয়া উচ্চারণ করতে দেখছি ৷ তিনি
আমাকে খবর দিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাই করতেন ৷ “আর ইতোপুর্বে লায়ছ (র) ইবন
আব্বাস (বা) তার (ছোট) ভাই ফাযল হতে আগত বিওয়ায়াতে উল্লিখিত ৩হয়েছে যে, নবী করীম
(সা) ঘুহাসসির উপত্যাকায় লোকদের ঢিল মার ৷র আকারের ক০ কর সৎগ্নহ করার নির্দেশ
দিয়েছিলেন, যা দিয়ে জামরায় কংকর ম রা৷ হবে (মুসলিম) ৷ আবুল আ ৷লিয়৷ (র) বলেন, আব্বাস
ফাযল (বা) হতে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দশ তারিখের ভোরে আমাকে বললেন,
আেএে “এসো আমার জন্য কংকর কুড়িয়ে আন ৷ ” আমি তার জন্য ঢেলার ন্যায় কিছু
কংকর কুড়িয়ে আনলাম ৷ তিনি সেগুলি নিজের হাতে নিয়ে বললেন
“এ গুলির আকারের এগুলির আক৷ বের (কৎ কর দিয়েই) ৫৩ ৷মর৷ অবশ্যই বাড়াবাড়ি করবে
না; কেননা, দীনের ব্যাপারে বাড়ার বাড়ি তোমাদের পুর্ববভীচিদর ধ্বৎ স করে দিয়েছে (বয়হাকী)া
আর জাৰির (বা) তীর হাদীসে বলেছেন, অবশেষে মুহাসৃসির নিম্নভুমিতে ৩৩এলে তিনি কিছু গতি