হাফিজ আবুল কাসিম তাবাৱানী (র) বলেন, ইসহাক ইবন ইবরাহীম আদ-দাবারী (র) উবাদা
ইবনুস-সামিত (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আরাফার দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
লোক সকল; এ দিনটিতে আল্লাহ্ তোমাদের প্ৰতি করুণা দৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের
মাগফিরাত দান করেছেন ৷ তবে তোমাদের পারস্পারিক দাবী-দাওয়া (হক্কুল ইবাদ) ৷ তোমাদের
সদাচারী পুন্যবানের ওসীলায় তোমাদের অসদাচারী পাপীকে ক্ষমা দান করেছেন এবং পুন্যবানফে
তার প্রার্থিত বিষয় দিয়ে দিয়েছেন ৷ ৰিসমিল্লাহআল্পাহ্র নামে এবার (সৃযদালিফায়) চলো ! পরে
তারা যুযদালিফায় থাকা কালে তিনি বললেন
আল্লাহ তোমাদের পুণ্যবান লোকদের মাফ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের মন্দ লোকদের
জন্য ভাল লোকদের সুপারিশকারী রুপে গ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন ৷ রহমত অবতব্লিত হয়ে সৰজ্জাকে
ব্যাপ্ত করে ফোবরে তারপর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে নিজের জিহব৷ ও হাত সংরক্ষণকারী
প্রত্যেক তাওবাকায়ীর ভন্যে বপ্টিত হবে ৷ ওদিকে আল্লাহ তাদের (বন্দোদের) সাথে কী করেন তা
দেখার জন্য ইবলীস ও তার দলবল আরাফাতের পর্বতমালার প্রতীক্ষা বল্মজ্যি, রহমত নেমে আসলে
ইবলীস ও তার দলবল হায় মরণ হায় মরণ চিৎকার জুড়ে দিল ৷ (যে আক্ষেপ করতে লাগল)
এক দীর্ঘ যুগ তাদের আমি ৰিপথপামী হতে উদ্বুদ্ধ করে চলেছিলাম-ক্ষমা প্রাপ্তির আশংকায় (কিন্তু)
ক্ষমা তাদের আবৃত করেই য়েলেল ৷ তখন তারা হীয় মরণ, হীয় মরণ বলে ছাভেৎগ হয়ে গেল ৷
অনুচ্ছেদ : আবফোতে অবস্থান কালে রাসুলুয়াহ্ (না)-এর কাছে আগত ওহী প্রসংগ
ইমাম আহম্মদ (র) বলেন, জাফর ইবন আওন (র)তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা)-এর কাছে জনৈক ইয়াহুদী ব্যক্তি এসে বলল, আমীরুল যুমিনীন ! আপনারা আপনাদের
কিভাবে একটি আয়াত তিলায়াত করে থাকেন ৷ সে রকম একটি আয়াত আমাদের ইয়াহুদী
সমাজের জন্য নাযিল হবে আমরা ঐ (আয়াত নাযিল হওয়ার) দিনটিকে ঈদ দিবস রুপে
পালন করতাম ৷ উমর (রা) বললেন, সেটি কোন আয়াত? ইয়াহুদী বলল, আল্লাহ তাআলার
বাণী ন্ত্র আজ
তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পুর্ণাৎগ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পুর্ণ বল্মলাম
এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম (৫ : ৩) ৷ উমার (না) তখন বললেন, আল্লাহর
কসম ! আমি যথার্থ ভাবে সে দিনটির কথা জানি যে দিন এ আয়াত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি
নাযিল হয়েছিল এবং যে বিশেষ সুহুর্তটিও আমি যখন তা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে নাযিল
হয়েছিল ৷ ষ্সেটি ছিল জুমুআর দিন আরাফার বিকেল বেলা ৷ বুখারী (র) এটি রিওয়ায়াত
করেছেন হাসান ইবনুস-সাবাহ্ (র)হতে এবং বুখারী অন্য এক রিওয়ড়ায়াতে এবং মুসলিম,
তিরমিযী ও নাসাঈ (র) কায়স ইবন মুসলিম (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে ঐ সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷
আরাফাত হতে নবী বত্মীম (না)-এর আল-মাশআরুল হারাম-মৃযদালিফাঅভিষুখে গমন
জাবির (বা) তার দীর্ঘ হাদীসে বলেছেন, তিনি নবী করীম করতে থাকলেন ৷ অবশেষে
সুর্যড়াস্তের পর দিপন্তে তা হলু (সা) (আরাফা প্রান্তরে) অবস্থান দের আভা মিলিয়ে যেতে থাকলে
যখন সুর্য-বৃত্ত অদৃশ্য হয়ে গেল তখন উসামা (রা)-কে নিজের পিছনে সহ-আরোহী করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে শুরু করলেন ৷ তিনি কাসওয়া উদ্রীর লাগাম এমন সজােরে টেনে রাখলেন
যে, তার মাথা তার উরু ছুতে লাগল ৷
তিনি তখন তার জ্ঞান হাত , দিয়ে ইৎগিত করে করে বলছিলেন লোক সকল ! ধীর ন্থিরে ৷
শান্তভাবে (এগিয়ে চল) ! সামনে কোন টিলা পাহাড় পড়লে তাতে চড়া পর্যন্ত উটনীর লাগাম
ঢিলা করে দিতেন ৷ এভাবে মুযদালিফায় পৌছে সেখানে এক আমান ও দুই ইকড়ামতে মাগরিব
ও ইশড়ার সালাতদ্বয় আদায় করলেন এবং এ দুইয়ের মাঝে কোন তাসবীহ (নকল) আদায়
করলেন না ৷ (মুসলিম)
বুখারী (র) আরাফা হতে প্রস্থানকালে চলার গতি ৷
অনুচ্ছেদ শিরোনামে বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেন, উসামা (রা)-কে
রাবী উরওয়ার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসা করা হল-বিদায় হরুজ্জ আরাফা হতে ঘুয়দালিফা যাওয়ার
পথে নবী করীম (সা) কিভাবে পথ চলেছিলেন? তিনি বললেন, সাধারণত তিনি আনাক চালে
চলতেন, তার সামনে ফাকা দেখলে নাস’ চালে চলতেন ৷ রাবী হিশ ৷ম (র) বলেন, নাস হল
আনাক এর চেয়ে দ্রুততর গতি ৷
ইমাম আহম্মদ (র) এবং তিরমিযী (র) ব্যতীত ছয় গ্রন্থকার সকলেই হিশাম ইবন
উরওয়া উসামা ইবন যায়দ (রা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেন, ইয়াকুব (র) উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) হতে তিনি বলেন, আমি অ ৷রাফার শেষ বেলায়
রাসুলুল্লট্রুহ (সা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ উসামা (বা) বলেন, সুর্য অস্ত গেলে রাসুলুল্লাহ (সা)
(ষুযদালিফা পানে) চলতে লাপলেন, তিনি যখন পিছনে জনতার ভিড়ের হৈহল্লা শুনতে পেলেন
তখন বললেন- ৷ ধীরে, লোক সকল!
শান্ত স্থির থাকবে ! দ্রত উট ঘোড়া ছুটানােতে কোন পুন্য নেই ৷ উসামা (রা) বলেন, এভাবে
রাসুলুল্লাহ (সা) লোকদের ভিড় দেখলে অনোক গতিতে চলতেন এবং পথ ফীকা দেখলে উটকে
গতিশীল করতেন ৷ অবশেষে যুযদালিফায় উপনীত হলে তিনি মাগরিব ও ইশড়ার সালাতদ্বয়
একত্রিত করলেন ৷ তারপর ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রের ইব্রাহীম (র)
উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) আরো
বলেন, আবু কামিল (র) ইবন উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
১ আনাক ( তাে) ও নাসস ( খো’) উঃটর গতি চলার বিশেষ ৷ প্রথমটি ঘাড় উচু করে দােলার তালে
চলা ৷ দ্বিতীয়টি দ্রুত চলার জন্য উটকে উত্তেজিত করা ৷-অনুবাদক