Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » অষ্টম হিজরীর রামযােন মাস

অষ্টম হিজরীর রামযােন মাস

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • ইবন ইসহাক বলেন, তাদের আক্রান্ত হবার কারণ ছিল এই যে, আসওয়াদ ইবন বিমানের
    মিত্র মালিক ইবন আব্বাদ নামক বনু হাদরামীর এক ব্যক্তি ব্যবসার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে
    যখন খুযাআ গোত্রের এলাকায় পৌছে তখন তারা তার উপর হামলা করে তাকে হত্যা করে ও
    তার মালপত্র হস্তপত করে নেয় ৷ তাই বনু বকর ও বনু খুযাআর এক ব্যক্তির উপর হামলা করে
    তাকে হত্যা করে ৷ এরপর ইসলামের পুর্বে বনু খুযাআও আসওয়াদ ইবন রিযান আদ-দায়লীর
    পুত্রদের উপর হামলা করে ৷ তারা ছিলেন সালামা, কুলসুম ও যুওয়ইিব ৷ আর তারা ছিলেন বনু
    কিনানার খুবই গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৷ তাদেরকে আরাফাতের হারমের সীমানা স্তম্ভগুলোর সামনেই
    হত্যা করা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, দায়লি গোত্রের এক ব্যক্তি বর্ণনা করে যে, জাহেলিয়াতের
    যুগে আমাদের একটি রক্তপণের পরিবর্তে রনুআসওয়াদ ইবন রিযান দুইটি রক্তপণ আদায় করত ৷
    বনু বকর ও বনু খুযাআর বিরোধপুর্ণ এরুপ অবস্থায় ইসলামের আবির্ভাব হয় ৷ যখন হদায়বিয়ার
    সন্ধি সংঘটিত হয় তখন বনু বকর কুরায়শদের পক্ষে যোগ <:দয় এবং বনু খুযাআ রাসুলুল্লাহ্
    (না)-এর পক্ষে যোগ দেয় ৷

    বনু বকরের একটি অংশ বনু দায়ল হদায়বিয়ার সন্ধিরকড়ালে বনু খুযাআর লোকদের থেকে
    প্রতিশোধ নিতে মনস্থ করে ৷ বনুদায়লের সর্দার নওফল ইবন মুআবিয়া আদ-দায়লী আল-ওয়াতীর
    জলাশয়ের নিকট বনু খুযাআর উপর রাতের বেলা হামলা করে তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে
    ও অন্যদের লুটপাট করে ৷ বনু বকরের লোকেরা তাদের সাহায্য করে এমনকি কুরায়শরাও অস্ত্র
    দিয়ে তাদের সাহায্য করে ৷ কুরায়শরা রাতের বেলায় গোপনে তাদের সাথে এ আক্রমণে
    অংশ্যাহণ করে , এমনকি বনু খুযাআকে হারাম শরীফে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ৷ বনু বকরের
    সর্দারকে অন্যান্য সদস্যরা বলতে লাগল আমরা হেরেমে এসে গেছি, তোমাদের সামনে
    তোমাদের উপাস্য, থেমে যাও ৷ তখন তাদের সর্দার বিজয়ের জোশে একটি জঘন্য কথা বলে
    ফেলে, সে বলল, হে বনু বকর, আজকের দিয়ে কোন উপাস্য নেই ৷ আজ প্রতিশো ধ নেবার দিন ৷
    তোমরা হারমে চুরি করতে পার আর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবে না ? শেষ পর্যন্ত বনু খুযাআ
    মক্কায় অবস্থিত বুদায়ল ইবন ওরাকার ঘরে ও তাদের অড়াযাদকৃত গোলাম রাফি“র ঘরে আশ্রয় গ্রহণ
    করে ৷ এই অবস্থার বর্ণনা দিয়ে অড়াখযার ইবন লাত আদ-দায়লী কবিতার ছন্দে বলেন :
    “কুরায়শের দুরবর্তী লোকেরা কি সংবাদ পায়নি যে, আমরা বনুকাবকে বর্শাফলকের উপরিভাগের
    আঘাতে আঘাতে কুয়ার স্থান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি এবং গোলাম রাফি এর ঘরে তাদেরকে
    অবরুদ্ধ করেছি ? আর কিছুক্ষণের জন্যে নেতা বুদায়লের ঘরেও তাদেরকে অবরোধ করা
    হয়েছে ৷ তাদের কিছু সংখ্যক লোককে বর্শা পতিত হওয়ার স্থানে হত্যা করে আমাদের মনের
    ঝাল মিঢিয়েছি ৷ তাদের অবশিষ্টদেরকে অত্যাচারী ও নিতান্তহীন ব্যক্তির ঘরে আমরা অবরোধ
    করে রেখেছি ৷ তাদের অবরোধ দীর্যায়িত হল তখন আমরা ধ্বনি দিতে লাপলাম যাতে প্রতিটি
    গোত্র থেকে বহু সংখ্যক লোক তাদের গোচনীয় অবস্থা দেখার জন্যে জমায়েত হতে পারে ৷
    আমরা তাদেরকে তলােয়ার দিয়ে যবাই করেছিলাম যেমন সিংহকুল বকরীগুলেড়াকে তাদের নখর
    দিয়ে খন্ডবিখন্ড করে ফেলে ৷ তারা আমাদের প্রতি যুলুম করেছে, তাদের কর্মকান্ডে তারা
    সীমালংঘন করেছে ৷ আর হারমের পাথর ফলকগুলোর সম্মুখে ছিল তাদের প্রথম ঘাতক ব্যক্তিটি
    যখন তাদেরকে তাড়ানাে হয়েছিল বনুকাবের লোকেরা ভয়ে এমনভাবে ছুটাছুটি করেছিল যেমন
    কেউ উটপাখির ছানাদের তাড়াচ্ছিল ৷

    রাবী বলেন , আখযারের উত্তরে বুদায়ল ইবন আবদে মানাত ইবন ছালামা ইবন আমর ইবন
    আল আজব যাকে বুদায়ল ইবন উম্মে আসৃরামও বলা হয় ৷ কবিতায় বলেন-ৰুব্

    “একটি সম্প্রদায় সন্ধিতে আবদ্ধ হয়েছে এজন্য তারা পর্ব করছে ৷ তাদের জন্যে কোন
    সর্দারকে আমরা অবশিষ্ট রাখিনি যে (যুদ্ধজয়ী হয়ে) গনীমত বিতরণ করা র ৷ তুমি কি পুর্বোক্ত
    সম্প্রদায়ের ভয়ে তাদেরকে ঘৃণা করে, ভয়ে ভয়ে নিরাশ হয়ে ওয়াভীর অতিক্রম কর ? আমরা
    প্ৰতিদিনই কারো না কারো রক্তপণ শোধ করে থাকি ৷ অথচ আমাদেরকে কো ন রক্তপণ দেওয়া
    হয়না ৷ (কেননা, আমাদের কেউ নিহত হয় না, ফলে রক্তপণ পাওয়ার প্রশ্নই হুষ্ঠে না ৷) আমরা
    আমাদের তলোয়ার সহকারে সকালে তোমাদের এলাকায় পৌছেছি ৷ আমাদের তলোয়ার
    ভব্লুসনাকারীর তর্ধসনার পরোয়৷ করে না ৷ এবং আশে পাশের পােত্রওক্ষ্:লাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার
    প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি ৷ গামীমের যুদ্ধের দিনে যখন তোমাদের
    একজন পালিয়ে যাচ্ছিল তখন আমাদের এক বীর অশ্বারোহীর মাধ্যমে আমরা তার দফা রফা
    করেছি ৷ আল্লাহর ঘরের কসম তোমরা যুদ্ধ শুরু করোনি, তা সত্য নয় ৷ তোমরা মিথ্যা বলেছ ৷
    তোমরা যদি কাউকে হত্যা করে থাক, তবে আমরাও তােমাদেরকে কঠিন বিপর্যয়ে ফেলা র ব্যবস্থা
    করছি ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, বনু খুযাআ র কিছু সং থ্যক লোক নিয়ে বুদায়ল ইবন ওরাক৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) এর দরবারে আগমন করলেন এবং তাদের কত ল্যে ক নিহত হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে বনু
    বকরের কুরায়শদের সাহায্য করার ব্যাপারটি সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বিস্তারিত জানালেন ৷
    এরপর তারা মক্কা প্রত্যাবর্তন করেন ৷ রাস্তায় উছফা ৷ন নামক স্থানে আবু সুফিয়ান (বা ) এর সাথে
    তাদের ঘুলাক৷ ৷ত হয় ৷ সন্ধি নবায়ন ও সন্ধির সময় বৃদ্ধি করার জন্যে কুরায়শরা৩ তাকে মদীনা
    প্রেরণ করেছিল ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বলেন, হে বুদায়ল ! তুমি কো ৷থা থেকে আগমন করলে ?
    আর ৷তিনি ধারণা করলেন যে, বুদায়ল সম্ভবত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে গিয়েছিলেন ৷ বুদ৷ য়ল
    বললেন, বনু খুযাআর এলাকা পর্যন্ত আমরা গিয়েছিলাম ৷ রাবী বলেন, আবু সুফিয়ান (রা) বুদায়ল
    তার সাথীদের উটের মাল পরীক্ষা করে বললেন, আল্লাহ্র শপথ, বুদায়ল ও তার সাথীরা
    মদীনায় মুহাম্মাদ (সা ) এর নিকট গিয়েছিল ৷ এরপর আবু সুফিয়ান (রা) মদীনায় ব ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
    -এর কাছে আগমন করেন এবং নিজের কন্যা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সহধর্মিণী উম্মে হাবীব৷ (রা)
    এর ঘরে প্রবেশ করেন ৷ যখন তিনি বিছানায় বসতে চান তখন উম্মুল মু’মিনীন উম্মে হাবীব৷ (রা)
    বিছানা গুঢিয়ে ফেলেন ৷ তিনি বলেন, হে আমার কন্যা ! আমি কি এ বিছ ৷র উপযুক্ত নই ? না এ
    বিছ৷ ৷না আমার উপযুক্ত নয় বলে তুমি মনে করছ ? তিনি বলেন, এটা অ ৷ল্লাহ্র রাসুলের বিছানা
    তুমি মুশরিক ও নাপ৷ ক ৷৩ তাই আমি চাই না যে, তুমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিছানা ৷য় বস ৷ আবু
    সুফিয়ান (বা) বললেন, হে আমার কন্যা ! আল্লাহ্র শপথ, আমি চলে যাবার পর তোমার অমঙ্গল
    হবে ৷ একথা বলে তিনি উষ্মে হাবীব৷ (না)-এর ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন এবং আবু বকর
    সিদ্দীক (রা)-এর ঘরে গেলেন ও কথা বললেন ৷ যাতে আবু বকর সিদ্দীক (রা) আবু সুফিয়ান

    (না)-এর পক্ষে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সুপারিশ করেন ৷ কিন্তু তিনি বললেন, আমি একাজ
    করতে পারবনা ৷ ’ এরপর তিনি উমর (রা)-এর কাছে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে
    তার জন্যে সুপা ৷বিশ করার অনুরোধ করলেন ৷ ওমর (রা) বললেন, আমি তোমার জন্যে রা সুলুল্লা হ
    (সা) এর কাছে সুপা ৷বিশ করব ? এটা হতেই পাবে না ৷ আ মিাত কোন অবন্থায়ই তোমাদের সাথে
    যুদ্ধ বাদ দিতে রাজী নই ৷ এরপর তিনি আলী (বা) ইবন আবুতা তালিবের ঘরে প্রবেশ করলেন ৷
    তার কাছে ফাতিম৷ বিনত রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও উপস্থিত ছিলেন ৷ আর বালক হাসান (রা ) তাদের
    সামনে খেলা করছিলেন ৷ তিনি বললেন, হে আলী তুমিত আমাদের লোকজনের প্রতি খুবই
    সদয় এবং তাদের কাছে বংশের দিক দিয়ে আমার চ ইং ও ঘনিষ্ট তর আমি একটি দরকারী
    কা জে এসেছিলড়াম ৷ আ ৷মি কি অকৃতকার্য হয়ে চলে যাব ? তুমি আমার জং ন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
    কাছে একটু সুপারিশ করবে ? তিনি বললেন, হে আবু সুফিয়ান ! আ ল্লাহর শপথ, তুমি জেনে
    রেখো, আমাদের মধ্যে কারো শক্তি নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এণ্₹ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কোন
    কথা বলে ৷ এরপর আবুসুফিয়ান (রা) ফাতিম৷ (রা) কে লক্ষ্য করে বলালন, হে মুহাম্মাদের কন্যা
    ! তুমি কি তে তামার এ ছেলেকে অনুমতি দিতে পা ৷র যে, সে জনগণকে নিরাপত্তা ৷দেবে, এরপর সে
    শেষযুগ পর্যন্ত আরবের সর্দার হিসেবে পরিগণিত হবে ? তিনি বললেন, প্রথমত আমার ছেলের
    এত বয়স হয়নি যে, সে জনগণকে নিরাপত্তা ৷প্রদান করবে ৷ দ্বিতীয়ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মতের
    বিরুদ্ধে কেউ জনগণকে নিরাপত্তা ৷দেয়ার জন্যে এগিয়ে আসবে না ৷ত তারপর আবু সুফিয়ান (রা)
    আলী (রা) কে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবুল হাসান ! আমি দেখছি যে, ব্যাপারটি অত ম্ভে জটিল
    আকার ধারণ করেছে ৷ তুমি আমাকে উপদেশ দাও আমি এখন কি করতে ৩পারি ? তিনি বললেন,
    আল্লাহর শপথ, আমিও জানি না কি করলে তােমার এ মিশন কৃতকার্য হবে ? তবে আমার মনে
    হয়, একটি কাজ করা যায়, তাতে তোমার কতদুর উপক৷ ৷র হবে তাও আমার জানা নেই ৷ঙু ত
    রনুকিনানার সর্দার, তুমি দাড়িয়ে যাবে ও জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণা দেবে ৷ তারপর
    নিজের দেশে চলে যাবে ৷ তিনি বললেন, তুমি কি মনে কর যে এতে ক ৷ন উপক৷ ৷র হবে ? আলী
    (রা) বললেন, না আল্লাহর শপথ, এটাতে কে ন উপক ব আমি দেখছিনাত তবে এটা ছাড়া অন্য
    কোন পথও তোমার জন্যে আমি দেখতে পাচ্ছি না ৷ আবুসুফিয়ড়ান মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং
    দাড়িয়ে বললেন, “হে জনগণ ! আমি তােমাদেরকে নিরাপত্তার ঘোষণা দিচ্ছি ৷ তারপর তিনি তার
    উটে সওয়ার হয়ে চলে যান ৷ যখন তিনি কুরায়শদের কাছে গমন করলেন, খনত তারা বললেন,
    “কী হল ? ” তিনি বললেন, মুহাম্মাদের কাছে পিয়েছিলাম, তার সাথে কথা বললড়াম, আল্লাহর
    শপথ, তিনি কিছুই বললেন না ৷ তারপর ইবন আবু কুহাফা (রা) এর কাছে গেলাম ৷ আল্লাহর
    শপথ, তার মধ্যেও কোন মঙ্গলের লক্ষণ দেখতে পেলাম না৷ এরপর উমরের কাছে গেলাম ৷
    তাকে দুশমনদের মধ্যে সেরা দৃশমনরুপে পেলাম ৷ এরপর আলী এর কাছে গেলাম ৷ তাকে
    কিছুটা নরম দেখা গেল ৷ আলী একটি কাজের পরামর্শ দিলেন ৷ আর যে কাজটি আমি করেও
    এসেছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি জানি না, এতে আমাদের কোন কাজ হবে কিনা ? তারা বলল, যে
    কাজটা কী ? তিনি বললেন, আলী বললেন, আমি যেন জনগণের সামনে দী ড়িয়ে নিরাপত্তা ঘোষণা
    করি ৷ আর আমি তা করে এসেছি ৷ তারা বলল, মুহাম্মাদ কিধ্ব তামাকে এ কাজটি করার জন্যে
    অনুমতি দিয়েছিলেন ? তিনি বললেন, না’ ৷ তারা বলল, তোমার জন্যে আফ্সোস, আলী তোমার র

    সাথে উপহাস করার জন্যেই এ পরামর্শ দিয়েছেন ৷ তুমি যা বলেছ এতে আমাদের কােনই
    উপকার হবে না ৷ তিনি বললেন, না তবে এ ছাড়া আমার কিছু করণীয়ও ছিল না ৷

    সুহায়লী এ ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন ৷ এ হাদীছে উল্লিখিত ফাতিমা (রা)-এর উক্তিটি নিয়ে
    তিনি আলোচনা করেছেন ৷ যাতেফ্াতিমা (রা) বলেছিলেন, কেউ রাসুলুল্লাহ (সা) এর ইচ্ছার
    বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ঘোষণা করবে ন, ৷অথচ হ দীছে রয়েছেং :র্থাৎ মুসলমানদের একজন সাধারণ লে ক ও নিরাপত্তা ঘোষণা করতে পারে ৷ তিনি বলেন, এদুই
    হাদীছেব মধ্যে সমন্বয় সাধন করা যায় এভাবে যে, শেষোক্ত হাদীছে ব্যক্তি বিশেষ কিৎবা
    কয়েকজনকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ আর ফাতিমা (রা) এর হাদীছে ইমামের যুদ্ধ
    নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর জনতাকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে কারোর
    জন্যে নিরাপত্তা প্রদানের অধিকার নেই ৷ সাহনুন ও ইবনুল মাজিণ্ডন বলেন, শ্ৰীলোকের নিরাপত্তা
    প্রদান ইমায়ের অনুমতির উপর নির্ডাব্শীল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে হানীকে বলেছিলেন : ংাট্রুষ্
    নিরাপত্তা দিলাম ৷ ” রাবী বলেন, উপরোক্ত হাদীছটি আমর ইবন আস (বা) এবং খালিদ ইবন
    ওয়ালীদ (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে ৷

    আবু হ নীফ ৷(র) বলেন, কোন গো লাম নিরাপত্তা ৷প্রদা নের অধিকা ৷র রাখে না ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্
    (সা) এর বাণীং অর্থাৎ “তাদের মধ্যে সাধারণ ব্যক্তিও নিরাপত্তা দিতে
    পারে ৷” এর মধ্যে গোলাম এবং মহিলাও অন্তর্ভুক্ত বলে প্রতীয়মান হয় ৷ আল্লাহ্ত তা আলাই অধিক
    পরিজ্ঞাত ৷

    বায়হাকী আবু হুরায়র৷ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বনু কাব (আমর ইবন
    সালিম বিরচিত কবিতা আবৃত্তি করে) বলে : “হে আল্লাহ ! আমি মুহাম্মাদ (সা)-কে তার ও
    আমাদের মহাসন্মানিত পিতৃপুরুষদের ওয়াদ৷ অঙ্গীকার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ৷ হে রাসুল ! আপনি
    আমাদেরকে সাহায্য করুন ! আল্লাহ আপনাকে তওফীক দিন এবং আমাদের সাহায্যের জন্যে
    এগিয়ে আসতে আপনি আল্লাহর বান্দাদেরকে আহ্বান করুন ৷

    মক্কা বিজয়ের বর্ণনায় মুসা ইবন উকব৷ বলেনং এরপর বনু আদ দায়ল এর অংশ বনু
    নুফাসাহ বনু কা র এর উপর লুটপা ৷ট চালায় ৷৩ তাদের এ ঘটনা ৷রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও কুরায়শদের
    মধ্যে অনুষ্ঠিত সন্ধির সময়ে সংঘটিত হয়েছিল ৷ বনু কা ব রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধিবদ্ধ ছিল ৷
    অন্যদিকে বনু নুফাসাহ ছিল কুরায়শদের সাথে সম্পৃক্ত ৷৩ তাই কুরায়শদের মিত্র বনু বকর বনু
    নুফাসাহ্কে সাহায্য করে ৷ আবার তাদেরকে কুরায়শরাও অস্ত্র শস্ত্র এবং গোলাম দিয়ে সাহায্য
    করে ৷ কিন্তু বনু মুদলিজ তাদের থেকে পৃথক থাকে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সম্পাদিত
    সন্ধি মেনে চলে ৷ বনু আদ-দায়লের দুইজন সর্দার সালামা ইবনুল আসওদ ও কুলদুয ইবনুল
    আসওদ আর তাদের সাহায্যকারী সাফওয়ান ইবন উমাইয়া, শায়বা ইবন উসমান এবং সুহায়ল
    ইবন আমর , তার৷ সকলে মিলে বনু আমরের সাধারণ জনতার উপর লুটতরাজ চালায় ৷ তাদের

    মহিলা, ছেলেমেয়ে ও দুর্বল পুরুষদের কিছু স ×খ্যককে তারা হত্যা করে এবং অবশিষ্টদেরকে
    মক্কায় অবস্থিত বুদায়ল ইবন ওরাকা এর ঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ৷৩ তাই বণু ক বের একটি
    কাফেল৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে তাদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছে এবং কুরায়শরা তাদের
    বিরুদ্ধে দৃশমনকে যে সাহায্য করেছে এসব সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবহিত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) তাদেরকে বলেন, তোমরা ফিরে যাও এবং বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে ৷
    অন্যদিকে আবু সুফিয়ান (রা) পুর্বোক্ত ঘটনার কারণে মক্কা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ভীত
    সন্ত্রস্ত হয়ে আগমন করে এবং বলে, হে মুহাম্মাদ ! মেয়াদের পরেও সন্ধি নবায়ন করুন ৷
    রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এজন্যে কি তুমি এসেছ ? তোমাদের মধ্যে কি কেউ সন্ধি ভঙ্গ করেছে ?
    তিনি বললেন, আল্লাহ রক্ষা করুন ! আমরা হুদায়বিয়া ৷র সন্ধি মেনে চলছি ৷ আমরা তা পরিবর্ভা
    করব না ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘর থেকে বের হলেন ও আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর
    ঘরে গেলেন এবং বললেন, সন্ধিটি নবায়ন এবং তার সময় বৃদ্ধির ন্াব্রবস্থা কর ৷ আবু বকর (রা
    বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিরাপত্তাই আমার নিরাপত্তা ৷ আল্লাহর শ পথ, আমি যদি একটি
    পিপড়াকেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দেখি, তাহলে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য
    করব ৷ এরপর তিনি বের হয়ে গেলেন এবং উমর (রা)-এর কাছে গিয়ে তার সাথে কথা
    বললেন ৷ তিনি জবাব দিলেন, আমাদের সন্ধি যদি নতুনও হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা
    এটা ৷কে পুরনো করে দিন ৷ আর যদি কো ৷নট৷ মযবুত হয়ে থাকে তাহলে তিনি তা ছিন্ন করে দিন ৷
    আবার যদি কো ৷নট৷ কর্তিত হয়ে থ৷ কে তাহলে তিনি এটাকে যেন আর কখনও স×ফুক্ত না করেন ৷
    আবু সুফিয়ান তাকে বললেন, আত্মীয়তার বন্ধনের তুমি কো ন মুল্যই দিলে না ! তারপর তিনি
    উছমান (রা) এর ঘরে প্রবেশ করেন এবং তার সাথে কথা বলেন ৷ উছমান (রা) বললেন, আমার
    নিরাপত্তা রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিরাপত্তার মধ্যেই নিহিত ৷ তারপর তিনি মুসলিম কুরায়শদের
    গণ্যমান্য লোকদের সাথে সাক্ষাত করলেন ও তাদের সাথে কথা বললেন ৷ তাদের সকলে জবাব
    দিলেন আমাদের সন্ধি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধির সাথে সম্পৃক্ত ৷ যখন তিনি তাদের থেকে নিরাশ
    হয়ে গেলেন তখন ফাতিমা বিনত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘরে প্রবেশ করেন ও তার সাথে কথা
    বলেন ৷ তিনি বলেন, আমি একজন মহিলা ৷ আর এটা হচ্ছে একান্তই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    ব্যাপার ৷ তখন তিনি ফাতিমা (রা) কে বললেন, তোমার একটি ছেলেকে এরুপ হুকুম কর!
    তিনি বললেন, “তারা একা ৷স্তই ছেলে মানুষ ৷৩ তাদের মত অল্পবয়স্করা কাউকে নিরাপত্তা দিতে
    পারে না ৷ তিনি বললেন, তাহলে আমাকে আলী (রা) এর সাথে কথা বলার সুযোগ করে দাও ৷
    তিনি বললেন, যান আপনি নিজে তার সাথে কথা বলুন ৷ তিনি আলী (রা) এর সাথে কথা
    বললেন ৷ আলী (রা) বললেন, হে আবুসুফিয়৷ ন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীগণের মধ্যে কেউই
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুকাবিলায় নিরাপত্তা নিয়ে গোপনে কথা বলবেন না ৷ আর আপনি কুরায়শদের
    সর্দার, তাদের মধ্যে সবচাইতে প্রবীণ ও প্রতাপশালী ৷ আপনি আপনার সমাজকে নিরাপত্তা দিন ৷
    তিনি বললেন, তুমি ঠিক বলেছ, আমি এরকমই একজন সর্দার ৷ এরপর তিনি বের হয়ে গেলেন
    এবং চীৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন, শুনে রাখুন, আমি জনগণকে নিরাপত্তা দিচ্ছি ৷ আল্লাহর
    শপথ ! আমি ধারণা করি না যে, কেউ আমার এ নিরাপত্তার অংগীকার ভৎগ করবে ৷ তারপর আবু
    সুফিয়ান (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে প্রবেশ করলেন এবং বলতে লাগলেন, “হে মুহাম্মাদ ৷

    আমি জনগণকে নিরাপত্তা ৷৷প্রদ ন করেছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি ধারণা করিনা যে, কেউ আমার এ
    নিরাপত্তা ৷র অং পীকার ভঙ্গ করবে এবং আমার নিরাপত্তাকে কেউ প্রত্যাখ্যান করবে ৷ রাসুলুল্পাহ্
    (সা) বললেন, “হে আবুহানযালা ও এটা ৷ওধুতু মিই বলছ ৷” তখন আবুসুফিয়ান (বা) এ কথার
    উপর বের হয়ে গেলেন ৷ ইতিহাসবিদপণ বলেন, (আল্পাহ্ অধিক পবিজ্ঞা ৩ ) যখন আবু সুফিয়ান
    (বা) চলে যাচ্ছিলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “হে আল্লাহ্ ! তাদের শোনার ও দেখার
    শক্তি রহিত করে দিন ৷ তারা যেন আমাদেরকে আকস্মিকভাবে দেখে ও; অতর্কিতে আমাদের কথা
    শোনে ৷ এদিকে আবু সুফিয়ান (বা) মক্কায় ফিরে গেলেন ৷ কুরায়শর৷ প্রশ্ন করল, খবর কী ?
    মুহাম্মাদ (সা) হতে কি কোন চুক্তিনামা বা অঙ্গীকা ৷র নিয়ে আসতে পারলেন ? তিনি বললেন, না’

    আল্লাহর শপথ, তিনিত মতে স্বীকৃত হননি ৷ এরপর আমি তার স হ্ার্বী ৷দের সাথে পরপর কথা
    বলেছি ৷ আমি এরুপ কোন সম্প্রদায় আর দেখিনি যারা তাদের শাসনকর্তা ৷র প্ৰতি এদের চাইতে
    বেশি অনুগত ৷ শুধুমাত্র আ ৷লী (রা) আমাকে বলেছেন, তৃমি তোমার লোকজ্যনর কাছে নিরাপত্তা
    চাও ! তুমি৩ তো মার সম্প্রদ৷ য়কে নিরাপত্তা কেন দিতে যাবে ? তুমি কুরায়শদের সর্দার, তুমি তাদের
    সকলের চাইতে প্রবীণ ৷এবং তুমি সকলের চেয়ে বেশী হকদা র যে , তােমা র নিরাপত্তা অঙ্গীকার
    কেউই ভঙ্গ করবে না ৷’ আবু সুফিয়ান বলেন, আমি নিরাপত্তার ঘোষণ ৷ ৷দিলাম এবং পরে আমি
    মুহাম্মাদের কাছে গেলাম ৷ আর আমিত ৷র কাছে উল্লেখ করলাম যে, আমি জনগণকে নিরাপত্তা
    দান করেছি এবং এও বললাম, আমার মনে হয় না, কেউ আমার নিরাপত্তা ভঙ্গ করবে ৷ তিনি
    বললেন, “হে আবু হানৃযাল৷ তুমিই শুধু এটা বলছ ৷” তারা তখন আবু সুফিয়া ৷নের প্রতিউত্তরে
    বলল, ত ৷র ৷সম্মতি ছাড়ইি আপনি নিজে নিজে সম্মত হয়ে এসেছেন ৷ আর আপনি এমন বস্তু নিয়ে
    এসেছেন যার মধ্যে আমাদের বা আপনার কোন উপকার নেই ৷ আলী (বা) আপনার সাথে উপহাস
    করেছেন ৷ আল্লাহর শপথ আপনার নিরাপত্তার ঘোষণ ৷ ৷বৈধ নয় ৷ আর এ নিরাপত্তা ঘোষণার বর-
    থেলাপ করা তাদের জন্যে খুবই সহজ ৷ এরপর আ বু সুফিয়ান তা ৷র ত্রীর কাছে গেলেন এবং তার

    কাছে সমস্ত ঘটনা ৷খুলে বললেন ৷ তা ৷র ত্রী বললেন, সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে আল্লাহ্ তোমার
    চেহারা কুৎসিত করুন ৷ তুমি কোন মঙ্গলই নিয়ে আসতে পারনি ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    একটি মেঘখণ্ড দেখে বলেছিলেন, “এ মেঘ খণ্ডটিও বনু কা বের সাহায্যে বর্ষিত হবে ৷” আবু
    সুফিয়ান (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছ থেকে বের হয়ে আসার পর যতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ৷টা
    আল্লাহর মঞ্জুর ছিল ততদিন পর্যন্ত তিনি অপেক্ষায় রইলেন ৷ এরপর তিনি তৈরী হতে লাগলেন ৷
    আইশা (বা ) কে তৈরী হত ৩নির্দেশ দিলেন ৷ আর তা গোপন রাখতেও বললেন ৷ এরপর
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদের দিকে বের হয়ে গেলেন অথবা কোন প্রয়োজনে কোথায়ও পেলেন ৷
    আবু বকর (বা) আইশা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং দেখতে পেলেন আইশা (বা) গম
    পরিষ্কার করছেন ৷ তিনি তাকে বললেন, “হে আমার কন্যা ! এ খাবার কেন তৈরী করছ ? তিনি
    চুপ করে রইলেন ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি কোন যুদ্ধে যেতে মনস্থ করেছেন ? তিনি
    নিরুত্তর রইলেন ৷ আবু বকর (বা) আবারো বললেন, তিনি কি বনুল আসৃফার অর্থাৎ রোমানদের
    বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবেন ? তিনি চুপ করে রইলেন ৷ তিনি আবার বললেন, হয়ত নজদবাসীদের
    উদ্দেশ্যে অভিযানে যাবেন ? আইশা (রা) এবারও চুপ করে রইলেন ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস
    করলেন, সম্ভবত কুরায়শদের বিরুদ্ধে তিনি এবার যুদ্ধ করবেন ? আইশা সিদ্দীকা (বা) এবারও

    চুপ করে রইলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা)
    বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি কি কােথায়ও যুদ্ধে যাচ্ছেন ? তিনি বললেন, হীত্ব ৷ এরপর
    তিনি বললেন, আপনি হয়ত বনুল আসৃফারের দিকে অভিযান পরিচালনা করবেন ? রাসুলুল্লাহ্ (না)
    বললেন, না’ ৷ তিনি বললেন, “তাহলে কি নজদবাসীদের উদ্দেশ্যে রওয়ড়ানা হবেন ?” তিনি
    বললেন, “না ৷” এরপর তিনি বললেন, “সম্ভবত কুরায়শদের বিরুদ্ধে আপনি যুদ্ধ করবেন ?
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “হী৷ ৷” আবু বকর (বা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনার মধ্যে ও
    তাদের মধ্যে একটি সন্ধি রয়েছে না ? রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি জাননা , তারা বনুকাবের
    সাথে কী আচরণ করেছে ? রাবী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাধারণ্যে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন ৷
    হাতির ইবন আবুবালুতাআ (রা) কুরায়শদের উদ্দেশ্যে একটি পত্র লিখেন; কিন্তু আল্লাহ তাআলা
    তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে এ বিষয়ে অবহিত করে দিলেন ৷

    মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আইশা সিদ্দীকা (র ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
    আবু বকর সিদ্দীক (বা) আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ দেখলেন, তিনি গম
    চালছেন ৷ তিনি বললেন, এটা কী ? রাসুলুল্লাহ্ (না) কি তোমাকে প্রন্তুতির হুকুম দিয়েছেন ? তিনি
    বললেন, হী৷ ৷ ’ আবু বকর (রা ) বললেন, কোথায় ষ্’ আইশা (বা) বললেন, “তিনি আমার কাছে
    জায়গার নাম বলেননি, শুধু আমাকে তৈরী হতে বলেছেন ৷”

    ইবন ইসহাক বলেন, “এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) জনগণকে অবহিত করলেন যে, তিনি মক্কার
    উদ্দেশ্যে রওয়ড়ানা হবেন ৷ তাই তিনি তাদেরকে তৈরী হতে বললেন ৷ তিনি আরো বললেন, হে
    আল্লাহ ! কুরায়শ থেকে খবরটি গোপন রাখ যাতে আমরা তাদের শহরে পৌছে তাদেরকে
    আকম্মিকভাংব আক্রমণ করতে পারি ৷ তারপর লোকজন তৈরী হল ৷ জনগণকে উৎসাহিত করার
    জন্যে বনু খুযাআর উপর আপতিত ঘুসীবতের বর্ণনায় হাসৃসান ইবন ছাবিত বলেন £

    আমার উটের লাগান আমার হাতে, আমি তৈরী কিন্তু আমি এখনও মক্কার বাতহায় পৌছতে
    পারিনি ৷ সেখানে বনু কাবের লোকদের গলা কাটা হয়েছে এমন লোকদের দ্বারা যারা প্রকাশ্যে
    শত্রুর বিরুদ্ধে তলোয়ার কােষমুক্ত করেনি ৷ এতবেশী লোক তারা হত্যা করেছে যাদেরকে
    যথারীতি কাপড় দিয়ে উত্তমরুপে কাফন দেয়া সম্ভব হয়নি ৷ আফসােস, যদি আমি জানতে পারতাম
    যখন আমার সাহায্য সুহায়ল ইবন আমরের বিরুদ্ধে পৌছবে ৷ কেননা, সে যুদ্ধকে ভড়কে
    দিয়েছিল এবং যুদ্ধের ঘীটিকে উত্তপ্ত করেছিল ৷ আমার সাহায্য কি কাপুরুষ সাফওয়ানের বিরুদ্ধে
    পৌছবে ৷ প্ৰতিশোধ নেয়ার জন্যে এখনই যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধের জন্যে তৈরী হওয়ার সময় ৷
    হে উম্মে মুজালিদের পুত্র (ইকরামড়া ইবন আবু জাহ্ল) ! আমাদের হাত থেকে তুমি নিজেকে
    নিরাপদ মনে করোনা যখন যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করবে ৷ র্চেচামেচি করে লাভ হবে না ৷
    আমাদের তলোয়ারগুলো যুদ্ধের প্রারন্তেই ভীষণ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে প্রস্তুত ৷

    হাতির ইবন আবু বালতাআর ঘটনা

    মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) প্রমুখ আলিমগণ <;খকে বর্ণনা করেন,
    তারা বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা অভিযানে যেতে মনস্থ করলেন তখন হাতির ইবন আবু
    বালতাআ (রা) কুরায়শদের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ তাতে তিনি লিখেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    মক্কা অভিযানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৷ তারপর তা’ তিনি একজন মহিলার কাছে সমর্পণ করেন ৷ মুহাম্মাদ
    ইবন জাফর বলেন, এ মহিলাঢি মুযায়না গোত্রের ৷ অন্যান্যরা মনে করেন যে, মহিলাঢিয় নাম
    সারা ৷ যে ছিল বনুআরদুল মুত্তালিবের কারোর দাসী ৷ কুরায়শদের কাছে এ পত্রটি পৌছিয়ে দেয়ার
    বিনিময়ে তিনি তাকে উপযুক্ত পারিশ্রমিকও দেন ৷ সে পত্রটি তার মাথার চুলে ব্লেখেছিল এবং চুল
    দিয়ে তার সাথে বেণী বেধেছিল ৷ হাতির (রা)এর এ ব্যাপারটি সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে
    আসমান থেকে খবর আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালির (রা) ও যুবায়র ইবন
    আওয়াম (রা)-কে প্রেরণ করেন এবং বলেন, তোমরা দুজনে একজন মহিলাকে পারে যার দ্বারা
    হাতির ইবন আবু বালতাআ (রা) কুরায়শদেরকে একটি পত্র লিখেছে ৷ তাদের প্রতি আক্রমণ
    করার জন্যে আমরা যে মনস্থ করেছি এ সম্বন্ধে যে এ পত্রে তাদেরকে ভুশিয়ার করেছে ৷ তারা
    দুজন বের হয়ে গেলেন এবং সে মহিলাকে তারা রনু আবু আহমদের হুলাইফায় (তৃণভুমিতে)
    পেলেন ৷ র্তারা দুজন তাকে অবতরণ করতে অনুরোধ করলেন এবং তার বাহনের হাওদায় তল্লাশী
    চলোঃলন; কিন্তু তাতে কোন কিছু পেলেন না ৷ আলী (রা) তাকে বললেন, আমি আল্লাহ্র শপথ
    করে বলছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিথ্যা রলেননি ৷ আর আমরাও মিথ্যা বলছিনা ৷ তুমি আমাদের কাছে
    এ পত্রটি সমর্পণ কর নচেৎ আমরা তোমার কাপড় খুলে তল্লাশী চালাব ৷ যখন মহিলাঢি তাদের দৃঢ়
    প্রত্যয় দেখতে পেল , তখন বলল, আপনি অন্য দিকে মুখ ফিরান ৷ তিনি অন্যদিকে মুখ
    ফিরালেন ৷ তখন মহিলাঢি তার মাথার খোপা থেকে পত্রটি বের করে দিল ৷ আলী (রা) ও যুবায়র
    (বা) এ পত্রটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে পেশ করলেন ৷ তিনি হাতির (রা)-কে ডেকে
    পাঠালেন এবং বললেন, “ হে হাতির ! একাজ করতে তোমাকে কিসে প্ররােচিত করল ? তিনি
    বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহ্র শপথ, আমি আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রাসুলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস
    রাখি ৷ আমি আমার বিশ্বাস ও ধর্ম পরিবর্তা করিনি; কিন্তু আমি এমন এক ব্যক্তি যার মক্কারাসীদের
    কাছে কোন পোত্রগােষ্ঠী নেই এবং আপন জন বলতেও কেউ নেই ৷ কিন্তু তাদের মাঝে আমার শ্রী
    পুত্ররা রয়ে গেছে ৷ তাই আমি তাদের একটু ইহ্সান করতে ইচ্ছে করেছিলাম যাতে তারা
    পরিবাররর্গের প্রতি একটু লক্ষ্য রাখে ৷ উমর ইবন খাত্তার (রা) বলে উঠলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
    এ মুনাফিককে হত্যা করার জন্যে আমাকে অনুমতি দিন ! কেননা, এতো মুনাফিকী করেছে ৷
    রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, “হে উমর (রা) ! তুমি কি আমরা বদরের যুদ্ধের দিন আল্লাহ্ তাআলা

    বদরের যুদ্ধে অংশঃা ন্াগ্রহণকারীদের উপর সদয় হয়ে বলেছিলেন ৷ তোমরা যা ইচ্ছে করতে পার ৷
    আমিও তামাদের মার্জ্যা করে দিয়েছি ?”

    হাতির (রা) সম্বন্ধে আল্লাহ তাআালা ইরশা দ করেন

    অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরুপে গ্রহশ্া করবে না ৷ তোমরা
    তাদের সাথে বন্ধুতৃ করছ অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে,
    রাসুলকে এবং তোমাদেরকে বহিষ্কার করেছ এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্ৰতিপালক
    আল্ল হতে বিশ্বাস কর ৷ (৬০ ঘুম৩ তাহিনা ১ ৬)

    ইবন ইসহাক (র) উপরোক্ত ঘটনাটি মুরসালরুপে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সুহায়লী উল্লেখ
    করেন যে, হাতির (রা)৩ তার পত্রে লিখেছিলেন, নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিশাল বাহিনী নিয়ে
    তোমাদের দিকে রওয়ানা হয়েছেন ৷ প্লাবনের গতিতে তারা এগিয়ে চলেছেন ৷ আল্লাহর শপথ
    করে আমি বলছি, তিনি যদি একাই এ অভিযান পরিচালনা করেন তাহলে আল্লাহ্ তাআলা
    তোমাদের বিরুদ্ধে তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন ৷ কেননা, তার ওয়াদা তিনি অবশ্যই পুর্ণ
    করবেন ৷ রাবী বলেন, ইবনে সালামের তাফসীরে আছে যে, হ মির (রা) লিখেছিলেন যে, মুহাম্মাদ
    (সা) ঘর থেকে বের হয়ে পড়েছেন, জানি না তোমাদের দিকে, না কি অন্য কোন দিকে অগ্রসর
    হচ্ছেন ? তবে তোমাদের উচিত সারধানতা অবলম্বন করা ৷

    ইমাম বুখারী (র) আলী (রা) হত ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    একদিন আমাকে যুবায়র (রা) ও মিকদাদ (রা) কে প্রেরণ করলেন এবং বললেন, “তোমরা
    চলতে থাকবে যতক্ষণ না তোমরা রওযায়ে খাখ নামক স্থানে পৌছ ৷ ঐখানে তোমরা একজন
    আরোহিণীকে পারে, তার সাথে একটি পত্র রয়েছে ৷ তার থেকে পত্রঢি উদ্ধার করে নিয়ে
    আসবে ৷ ’আলী (রা) বলেন, আমরা এরপর চলতে লাগলাম ৷ আমাদেরকে নিয়ে আমাদের
    সওয়ারী খুব দ্রুত চলতে লাগল যতক্ষণ না আমরা রওযায়ে খাংখ পৌছি ৷ সেখানে পৌছে আমরা
    একজন আরােহিণীকে পেলাম ৷ তখন আমরা তাকে বললাম, পএটি বের করে দাও ! সে বলল,
    আমার কাছে কোন পত্র নেই ৷ আমরা তাকে রললাম, পত্র বের করে দেবে নচেৎ আমরা তোমার
    কাপড় খুলে তল্লাশী করতে বাধ্য হলো ৷ রাবী বলেন, এরপর সে চুলের থাোপা থেকে পএটি বের
    করে দিল ৷ পত্রটি নিয়ে এসে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সমর্পণ করলাম ৷ পত্রে লিখা জ্যি ,
    হাতির ইবন আবু বালতাআ হতে মক্কার মুশরিক জনগণের প্রতি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কিছু
    কর্মকান্ড সম্বন্ধে সে মুশরিকদেরকে খবর দিচ্ছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাতিবকে (রা) বললেন, হে
    হাতির (রা) ! এটা কী ? তিনি বললেন, “হে আল্লাহ্র রাসুল ! দয়া করে আমার সম্বন্ধে ত্রিৎ
    সিদ্ধান্ত নেবেন না ৷ আমি কুরায়শদের সাথে জড়িত ছিলাম ৷ আমি তাদের মিত্র ছিলাম ৷ কিন্তু

    আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না ৷ আপনার সাথে যেসব মুহাজির আছেন তাদের নিকট আত্মীয়
    রয়েছে যারা তাদের পবির৷ ৷ব ও মালপত্র রক্ষা করতে পারে ৷ আমার এ ধরনের রং শগত কোন
    সম্পর্ক না থাকার দরুন আমি চেয়েছিলাম তাদের আমি কিছু উপকার করব যাতে করে তারা
    আমার পরিবার-পরিজনকে হিফাযত করে ৷ আর আমি এটা ধর্মান্তরিত ৩হয়ে বা ইসলামের পর
    পুনরায় কুফুরীকে পসন্দ করেও করিনি ৷” তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এ ব্যক্তি তোমাদের
    কাছে সত্য কথাই বলেছে ৷ উমর (রা) বলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ মুনাফিককে হত্যা করার
    অনুমতি দিন ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এ ব্যক্তি বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে আর আল্লাহ
    তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্বন্ধে বলেছেন, “(তামরা যা ইচ্ছে কর, আমি
    তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা অত্র আয়াত ষ্ অবতীর্ণ করেন :

    অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে রন্ধুরুপে গ্রহণ করবে না ৷ তোমরা
    তাদের সাথে বন্ধুত্ব করছ অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে,
    রাসুলকে এবং তােমাদেরকে বহিষ্কার করেছে এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক
    আল্লাহ্তে বিশ্বাস কর ৷ যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে
    বের হয়ে থাক তবে কেন তোমরা তাদের সাথে গোপনে বন্ধুত্ব করছ ? তোমরা যা গোপন কর
    এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তা আমি সম্যক অবগত ৷ তোমাদের যে কেউ এটা করে, সে তো
    বিচুদ্রত হয় সরল পথ হতে ৷” (৬০ মুমতাহিনা হয় ১ ৮)

    উপরোক্ত হাদীছটি ইবন মাজা ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ বর্ণনা করেছেন ৷
    তিরমিযী বলেন, “এ হাদীছটি হাসান ও সহীহ্ ৷

    ইমাম আহমদ (রা) — জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে ৩রর্ণন৷ করেন ৷ তিনি বলেন,

    হাতির ইবন আবুব ৷লতাআ (রা) মক্কারাসীদের কাছে একটি পত্র লিথে৩াদেরকে জানিয়ে দিতে
    চেয়েছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে যুদ্ধ করার মনন্থ করেছেন ৷ এরপর র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
    মহিলাটির কথা বলে দিলেন যার সাথে পত্রটি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটির কাছে লোক প্রেরণ
    করেন যে, তার মাথা থেকে পত্রটি উদ্ধার করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রদান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) হাতির (রা) কে ডেকে আসেন ও জিজ্ঞেস করেন ৷ হে হাতির ! তুমি কিএট৷ করেছ ? তিনি
    বললেন, ইব্রা’ ৷ তিনি আরো বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে বোকা দেয়ার জন্যে কিৎরা
    প্রতারণা করার জন্যে এটা করিনি ৷ আমি জানি যে, আল্লাহ্ তা আলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫-ক অবশ্যই
    বিজয়৷ দা ন করবেন এবং তার মিশনকে পুর্ণ করবেন ৷ তবে আমি ঘুশরিকদের মধ্যে অবস্থানকারী
    একজন অসহায় ব্যক্তি ছিলাম ৷ আমার যা এখনো তাদের মধ্যে রয়েছেন ৷ এজন্যই আমি
    চেয়েছিলাম তাদের একটি উপকার করতে ৷ উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন, আমি কি

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অষ্টম হিজরীর রামযােন মাস Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.