বাহ্রায়ন ও ওমান এর ঘটনা
কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সুত্রে বর্ণিত যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে বলেছিলেন, বাহরায়নের মাল এসে পড়লে তোমাকে এই এই এই পরিমাণ দিয়ে
দিতাম, এই পরিমাণ তিনি তিনবার বললেন ৷ কিন্তু বাহবায়নের মাল আসার আগেই
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর ওফাত হয়ে গেল ৷ আবু বকর (রড়া) খলীফা হলে তার কাছে সে মালামাল
এল ৷ তিনি এক ঘোষককে এ যেষ্মেণড়া দিতে বললেন, “নবী করীম (সা) এর কাছে যার কোন
পড়াওনা বা ওয়াদা রয়েছে সে যেন আমার কাছে আসে ৷ জারির (বা) বলেন, আমি আবু বকর
(রা)এর কাছে গিয়ে জকে জানালাম যে, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “বাহরায়নের মাল
এসে পড়লে তোমাকে এত, এত এবং এত পরিমাণ দিয়ে দিতাম ৷ তিনবার বলেছিলেন ৷
জারির (বা) বলেন, আবু বকর (বা) আমার কথায় মনোযোগ দিলেন না ৷ তাই পরে আবার
আমি তার সাথে লড়াক্ষাত করে আমার দাবী জানালার ৷ কিন্তু তখনও তিনি আমাকে কিছু দিলেন
না ৷ তৃতীয়বার আমি তার কাছে যাওয়ার পরেও তিনি আমাকে কিছু দিলেন না ৷ তখন আমি
তাকে বললাম , বারবার আমি আপনার কাছে এলায, কিন্তু আপনি আমাকে কিছুই দিলেন না ৷
হয় আপনি আমাকে কিছু দিয়ে দিন, না হয় বখিলী করুন ৷ তিনি বললেন, তুমি বখিলী’ ও
কিপটেষী করার কথা বললে? কিপটিমির চাইতে জঘন্য বদভ্যাস আর কী হতে পারে ? তিনি
কথাটি তিনবার বললেন ৷ তিনি আরো বললেন, যতবারই আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি,
আমার সিদ্ধান্ত ছিল তোমাকে দেয়ার ৷ এক্ষেত্রে বুখরীি (র) হাদীসটি অনুরুপই রিওরায়াত
করেছেন ৷ মুসলিম (র) ও আমৃর আন নাকিদ (র)সুফিয়ড়ান (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওরড়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বংনািয় বুখারী (র) বলেছেন, আঘৃর (র)জারির ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) কে বলতে শুনেছি,আমি আবু বকর (রড়া)এর কাছে গোলে তিনি (কিছু মুদ্রা
দিয়ে) বললেন, এগুলো গুণে ফেল ৷ গুণে দেখলাম পাচশ রয়েছে, তিনি বললেন, ওর সাথে
আরো দ্বিগুণ নিয়ে যাও ৷’
বৃখারী (র) আলী ইবনুল মাদীনী (র)জারির (বা) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
অন্যত্র বুখারী (র) এবং মুসলিম (র)ও একাধিক সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন৷ তার
অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছেন্শ্ আবু বকর (বা) তাকে নির্দেশ দিলে তিনি আজলা ভরে
দিরহড়াম ( রৌপ্যযুদ্রা) তুললেন এবং সেগুলো ওণে দেখলেন যে তাতে গাচশ’ রয়েছে ৷ তখন
আবু বকর (বা) আরো দৃবার তার সমপরিমাণ দিয়ে দানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন ৷ অর্থাৎ
তাকে প্রদত্ত মোট মুদ্রার পরিমাণ ছিল দেড়হজাের দিরহাম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফারওয়া ইবন মিসৃসীক আলমুরড়াদীর প্রতিনিধিরুপে আগমন
ইব ন ইসহাক (র) বলেন,কিনদার সামত রজােদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফারওয়া ইবন
মিসৃসীক আল-মুরাদী রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপস্থিত হলেন ৷ ইসলামের আরিভাবের
প্রাক্কালে তার গোত্র মুরাদ’ ও পার্শ্ববর্তী হামাদড়ান গোত্রের মাঝে লড়াই বেধেছিল এবং তাতে
হামাদানীৱা তার পােত্ররুক পরিজিত করে ও তাদের রভ্রুক্তা বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ৷ এ যুদ্ধ
ইয়ড়াওযুর-রাদ্ম নামে পরিচিত ৷ এতে হামাদানীদের সেনাপতি ছিল আল-আজদা ইবন
মালিক ইবন হিশামের মতে তার নাম ফ্লি মালিক ইবনুল হুরড়ায়ম আল-হড়ামাদানী ৷ ইবন
ইসহাক (র) বলেন, ফারওয়া ইবন মিসৃসীক ঐ যুদ্ধের স্মরণে কবিতা রচনা করেছিলেন
(সারাংশ) ৷
সুঠামদেহী অশ্বদল টণবগিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে ছুটে এল ৷ যুদ্ধে জয়-পরড়াজর অনিবার্য ৷
আমরা বিজয়ী হলে সে কোন নতুন ব্যাপার নয় ৷ আর অণত্যা পরাজিত হলে ভীরুতা আমাদের
কাবু করেছে এমন মনে করার কোন কারণ নেই ৷ ও তো নির্ধারিত মৃত্যু, যা কাউকেই খাতির
করে না ৷ কালচক্রের আবর্তন এমনি, কখনো এরুপ, কখনো ওরুপ, উথাল-পাথাল করাই তার
কাজ ৷ আনন্দের পালা কখনো দীর্ঘ মেয়াদী হয়, আবার তা ওলট-পালট হয়ে আটা-পেষা করে
দেয় ৷ আমাদের দৃর্যোগে কেউ উল্লসিত হলে একটু পরেই সে কালের কুটচক্র সে টের পেয়ে
যাবে ৷ অতীতের রাজ-রজােড়ার চিরস্থায়ী হলে আমরাও চিরদিন টিকে থাকতাম, অভিজাত
ালাকেরইি শুধু বেচে থাকলে আমরাও অমর হতাম ৷ যা হোক, কালক্রে আমাদের সেরা
লোকদের নিঃশেষ করে দিয়েছে, যেমনটি পুর্ববর্তী ষুশেও ঘটেছে ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, ফারওরা ইবন মিসৃসীক কিন্দার রাজ্যাবর্গের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ
করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমনের ডো রওনা করলে এ কবিতা রচনা করলেন
“কিন্দার রাজাদের মাঝে যখন প্রত্যক্ষ করলাম (অনৈক্য ও ঐক্যে) অনীহা-ব্যধিগ্নস্থের এক
পা যেমন অন্য পায়ের সাথে বিশ্বাস তলের আচরণ করে; আমি আমার বাহনটি কাছে নিয়ে
এলাম ঘৃহাম্মদ এর কাছে পৌছার উদ্দেশ্যে তীর অনুগ্নহ ও পুণ্য প্ৰভার আকর্ষচুণ ৷”
ইবন ইসহাক (র) বলেন, ফারওয়া রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপনীত হলে যদ্দুর আমি
জানি তিনি তাকে বললেন-
“কারওয়ড়া আর-রাদম’ যুদ্ধে তোমার গোত্রের যে পরিণতি হয়েকাি তা কি তোমার মনহ্রকষ্টের
কারণ হয়েছে?”
ফারওয়া বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এমন কোন সচেতন লোক কি আছে যার দেত্রে আমার
গোত্রের আর রড়াদম’ দিবসের পরিণতির ন্যায় দৃয়েগৈর সম্মুখীন হলে তার মনঃষ্কষ্ট হয় না ষ্
রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাকে এই বলে সাভুনা দিলেন
গােন, ঐ ঘটনা তোমার গোত্রের জন্য ইসলাম গ্রহণ ও স্ফোলোঃ লোঃই বৃদ্ধি
করেছে ৷ পরে তাকে মুরাদ ষাবীদ ও যুবকাি মোঃসৃহ্যে৷ ন্যে ন্মোনিঙ্গেগ্ মোঃ এবং
তার সাথে খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস (ৱাক্লে সাদক্যের ল্টোন্মো ঠােলন ৷
রড়াসুলুল্পাহ্ (না)-এর ওকাত পর্যন্ত খালিদ (রা) ন্মোাহ (ন্ন)-ম্র ম্াৰে অর লোঃর
অবস্থান রত ছিলেন ৷
যাবীদ এর কড়ারুফ্ফার সাথে আমৃব ইবন মাদীকারাব এর আগমন
ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আবির্তাবের খবর ছড়িয়ে পড়লে আমর ইবন
মাদীকরােব কায়স ইবন মাকশুহ আল-যুরাদীকে বললেন, হে কায়স ! তু তো তোমার গোত্রের
সরদার ৷ আমরা সবাই এ কথা শুনেছি যে, হিজাঘে কুরায়শ বংশীয় মুহাম্মদ নামে এক ব্যক্তির
আবির্ভাব হয়েছে, মীর নবী হওয়ার কথা আলোচিত হচ্ছে ৷ চলো না, কাছে গিয়ে জকে দেখে
শুনে আসি ৷ যদি ল্যেকটি সত্যি নবীই হয়ে থাকেন, তবে তা আমাদের কাছে গোপন থাকবে
না ৷ আমরা র্তার সাক্ষাতে জর আনুগত্য ৷:ঘামণা করে আসর ৷ অন্যথায় আমরা ব্যাপারটি বুঝে
ফেলব ৷ কিন্তু কারন তাতে স্বীকৃত হল না এবং তার প্ৰস্তাবকে বোকামী ঠাউরিয়ে উপহাস
ধ্বং ৷ আমৃর ইবন মাদীকন্মোব (রা) সফর করে এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপনীত
হলেন এবং নবী কবীম (না)-এর প্ৰতি ঈমান এনে র্তার নবুওয়তের স্বীকৃতি দিয়ে মুসলমান
হয়ে গেলেন ৷ কায়স ইবন মাকশুহ-এর কাছে এ স বাদ পৌছলে তার বিকদ্ধাচরণ ও তার
মতামতকে অবজ্ঞা করার কথা উল্লেখ করে সে আমরকে হুমকি দিল ৷ আমর ইবন মাদীকারড়াব
(রা) সে হুমকির জবাব দিলেন এ কবিতায় (সারকথা ) ৷
সানআ দিবসে লোঃ;ক একটা ভ ৷ল কাজের পরামর্শ দিয়েছিলাম, আল্লাহর ভর ও ন্যায়
সঙ্গত কাজে প্ৰন্তুভির ৷ গাধাব আত্মগবিমা আ ড়ার গুড় (দখলে ৷ পিঠে সিংহবাইি অশ্ব আমাকে
আশান্বিত করল ৷ বর্ষ যেন ম্ফটিক স্বচ্ছ পানির বিশাল হ্রদ ৷ বল্লম ফিরিয়ে দেয় নিঘিঘে ৷
লক্ষচ্যুত করে তার কলা ৷ এসো না একদিন ৷ কশরধারী সিংহের সাক্ষাত পেয়ে যাবে; আসতে
পারে বন রাজের ঞ্চাস্ত থাবন্থ বিস্তীর্ণ কাধের কউ আসে যদি যুঝে দেখতে ,তাকে উপরে
উঠিয়ে আছড়ে মায়ে, মগজ বের করে দেয়, চুর্গ-বিচুর্ণ করে তাকে ছাড়ে, তারপর যেন ক্ষুধাব
তাড়নড়ায় তাকে গিলে ফেলে প্রায় ৷ মুশরিক দৃরাচড়ারদ্র সামনে থাক, ৰাড়াবাড়ি করো না ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, আম্র ইবন মাদীকরােব (বা) স্বগােত্র বনু বাবীদেই অবস্থান
করলেন ৷ গোত্রের শাসন কভুত্বেগ্ নিয়োজিত ছিলেন ফারওয়া ইবন মিসৃন্সীক (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ওফাতের পরে আমৃর ইবন মদ্বঙ্গীকরােবও ধমত্যাগীদেব দলত্যুঃ হল এর ৎ ফারওয়া
ইবন মিনৃসীক (রা) কে বাস করে কবিতা লিখন-
“ফারওয়ড়ার রাজতু; আর বলো না, এমন নিকুষ্ট আর দেখি নি; পাধায় নড়াকে দড়ি বেধে
দেয়া হয়েছে; আবু উমায়রকে যদি কখনো দেখ , তাহলে দেখবে :িস্পোভ্রুচপনা ও গাদ্দারীর এক
ৰিদঘুটে প্রতিচ্ছৰি ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : পরে আবার মাদীকারাব ইসলাম ধর্মে প্রত্যাবর্তন করেন এবং উত্তমতারে
ইসলামী জীবন যাপন করেন ৷ আবু বকর ও উমর (রা) এর যুগে বিভিন্ন বিজয় অভিযানে অংশ
গ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য ণ্বড়াহাদুর এবং বীরতে, খ্যাতি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যের
অধিকারী একজন কবি ৷ নাহাওয়ড়ান্দ অভিযানে অংশ গ্রহণের পরে ২১ হিজবীতে ইন্তিকাল
করেন ৷ কারো কারো মতে কাদিসিয়ার যুদ্ধে তিনি অংশ গ্রহণ করে লাভ করেন ৷ আবু আমর
ইবন আবদুল বড়াবৃর (র) বলেন, র্তার প্রতিনিধিরুপে আগমনের সময় ছিল নবম হিজরীতে ৷
ইবন ইসহাক ও ওয়াকিদীর বর্ণনা মতে দশ্যা হিজরীতে ৷ ইমাম শড়াফিঈ (র)-এর উক্তিতে
দ্বিতীয় মতের প্রতি সমর্থন লক্ষণীয় ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত
— ১ ৮