জন্য হজর এলাকার উদ্দেশ্যে সফরে বের হলেন ৷ তার অনুপস্থিতির সুযোগে তার ত্রী-স্বাঘীর
আেবাধ্যতায় ঘর ছেড়ে পালাল এবং ঐ পাত্রেরই ঘুতারবড়াফ ইবন নড়াহশানের কাছে আশ্রয় নিল ৷
ঘুতাররাক তাকে অন্দরে আশ্রয় দিল ৷ আশা ফিরে এসে স্তীকে ঘরে পেলেন না ৷ র্তাকে বলা
হল, র্তার শ্রী ঘর ছেড়ে যুতাররিফ এর কাছে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এ কথা জানতে পেয়ে তিনি
যুতাররিদেব কাছে গিয়ে বললেন, ঢাচাত তাই! আমার বউ মুআযা কি (তামার এখানে আছে?
থাকলে আমার সাথে তাকে দিয়ে দাও ৷ মুতাররিদ বলল, না আমার এখানে (নই ৷ আর
থাকলেও তোমার হাতে তুলে দিতাম না ৷ যুতাররিদ আশার চেয়ে উচু স্তরের নেতা ছিল ৷ আশা
গোত্র থেকে বের হয়ে এসে নবী কবীম (সা) এর শরণ প্রার্থী হয়ে কবিতায় বললেন-
“ওহে মানব সরদার, ওহে আরবের শ্রেষ্ঠ বিচারক ! আপনার সকাশে এক যুখরা রমণীর
নামে অভিযোগ ! সে যেন দলের মাঝে (নরবাঘের) অবাধ্যা ৷ এ শক্ত দেহী বাঘিনী; তারই জন্য
খাদ্য অন্বেরণে গত রজর মাসে আমি বেরিয়েছিলড়াম ৷
আমার অনুপস্থিতির সুযোগে সে বীধন ছিড়ে পালাবার পথ ধরল ৷ দম্পেতা অঙ্গীকার ভঙ্গ
করে সে লেজগুটিয়ে ছুট দিল ৷ আমাকে নিক্ষেপ করে পেল অম্ভহীন সমস্যা ও সংকটের মাঝে;
ঐ জাতটি এমনই মন্দ এবং অকল্যাণের প্রতিযোগিতায় অজেয় এবং ওরা সর্বদা বিজয়ীদের
পক্ষপুটে থাকে ৷ নবী কবীম (না)-ও তার ৷;শব উক্তিটির স্বীকৃতি দিয়ে বললেন,
দো প্ৰতিযোগীতার ওরা নিকৃষ্ট বিজয়ী তার সর্বদাই ওরা বিজয়ীদেরই হয়ে থাকে ৷ আশা
নবী কবীম (সা) এর কাছে তার দ্রীর পলায়ন বৃত্তান্ত থেশ করলেন এবং যে যে তার স্বগােত্রীয়
য়ুতাবৃরিদের অন্দরে রয়েছে সে কথা জানিয়ে তার সাহায্যপ্রাথী হলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
মুতাররিদের কাছে আশার জন্য সুপারিশ করে চিঠি লিখলেন “ এ লোকের শ্রী মুআযকে খুজে বের করে তা কে তার হাতে ফ্রের৩ দেয়ার ব্যবস্থা করবে ৷
নবী কবীম (সা) এর চিঠি তার কাছে পৌছল ৷ তা তাকে পড়ে গােনান হলে সে যেয়ে
ল্যেকটিকে বলল, যুআযা এ হল তোমার ব্যাপারে থােদ নবী কবীর (সা) এর চিঠি ৷ এ বন
আমি তোমাকে তার কাছে প্ৰত্যার্পণ করছি ৷ মুআয বলল, আমার পক্ষে তার কাছ থেকে
ওয়াদা অঙ্গীকার নাও এবং তার নবীর যিম্মা নাও যে সে আমাকে আমার অপরাধের শাস্তি
দেবে না ৷ সেরুপ অঙ্গীকার নিয়ে যুতারবিদ ঘুআযাকে আশার হাতে প্রত্যার্পণ করলে আশা এ
কবিতা রচনা করলেন-
“যুআযার প্ৰতি আমার অনুরড়াগ এমন নয় যে, চোপলখোরদের ফ্লুপলছুগো ৩াওে ৩াঞ্চা
ধরাবে কিৎবা কালের প্ৰলন্বিত হওয়ন্নে তাতে তটিড়া পড়বে এবং আমার অনুপস্থিতিতে মন্দ’
পুরুধেরা তাকে কান যন্ত্র দিয়ে যে ফুসলিয়েছিল, তার যে কুকর্মের জন্যেও নয় ৷
পােত্রীর দোকজনসহ্সৃরাদ ইবন আবদুল্লাহ্আল-আযুদীর আগমন, জারাশ প্রতিনিধি দলের আগমন
ইবন ইসহাক (র) বলেন, আঘৃদ গোত্রের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সুরাদ ইবন
আবদৃল্লাহ্ আল-আৰ্বুদী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হলেন এবং মুসলমান হয়ে পুর্ণাঙ্গ
ইসলামী জীবন যাপন ব্বভে লগ্যেলন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে তার গোত্রের মুসলমানদের
আমীর মনোনীত করেছিলেন এবং মৃসলমন্যেদর সাথে নিয়ে চারপাশের ইয়ামানী মুশরিক
গোত্রগুলোর সাথে জিহাদ করার নির্দেশ দিলেন ৷ সৃবদে (বা) ফিরে গিয়ে জারাশ’ দুর্গ অবরোধ
করলেন ৷ সেখানে ইয়ামানের কয়েকটি পেত্রে অড্রয় ব্যির্শ্বছুল ৷ খাছ আমীরা সুরাদ (রা)-এর
অভিযান সম্পর্কে শুনতে পেয়ে আগে-ভাগে ইয়ামানীদের সত র্কু কঃ ব্র দিয়েছিল ৷ প্রায় একমাস
কাল তিনি তাদের অবরোধ করে রইলেন ৷ তারা দুর্গের মোঃ লোঃ ব্বল৷ ৷সুরাদ (বা)
অবরোধ তুলে নিয়ে ফিরে যেতে লাগলেন ৷ তার বাহিনী স্তো র্নোঙ্ঘ কাছে পৌছলে
প্রতিপক্ষ ধারণা করল যে, সুরাদ (বা) ব্যর্থ হয়ে ফিরে য়ন্ক্রো৷ দৃর্গহোড় বেব্রিরে র্তীরা তাকে
ধাওয়া করলে তিনি ণিছন ফিরে রুখে র্দজ্যোন্সেন এবংত ক্রোব্র পইিকক্টো হ্যৰে হত্যা ব্বালন ৷
ওদিকে জদ্ররশে’ ৰ্ঙ্কঙ্গীক্স খ্যাঃ দৃক্ষ্য কােক ল্যাং (সম্বফ্তে ব্ক্ত!হে ঠােয় পাঠিয়েজ্জি ৷
একদিন মোরব পরে ঐ লেকে দু ক্ষা নবী কৰীম (না)-এর কাছে থাকা কালে তিনি বললেন,
– ছোশ্ আল্লাহ্ব্র কোন দেশে শাকার রয়েছে? জরােশী লোক দু জন দাড়িয়ে
বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমাদের দেশে কাশার নামে একটি পাহাড় আছে ৷ জড়ার ড়াবাশীদের
কাছে পাহাড়ঢি এ নামেই পরিচিত ছিল ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন,
ওটি কশোর নয়, বরং ওটির নাম শ কোর ৷৩ তারা বলল, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্! সেটির হাল
অবস্থা কি ? তিনি বললেন, সেখানে এখন আল্লাহ্র
পশুগুলােকে যবা ইিকুরবানী করা হচ্ছে ৷ বর্ণনাকরী বলেন, লোক দুটি উঠে গিয়ে আবু বকর
(বা) কিৎবা উছমান (রা) এর কাছে বসলে তিনি তাদের বললেন, কী সর্বনড়াশ রাসুলুল্পাহ্ (না)
তো এখন তোমাদের দু জনকে তোমাদের গোত্রেরগ ণ মৃত্যুর সংবাদ দিচ্ছিলেন ৷ যাও, তার
কাছে গিয়ে আল্লাহর কাছে দৃ আ করার দরখাস্ত কর, যেন তিনিও তামাদের কওমের বিপদ
তুলে নেন ৷ তারা দৃ’ জন উঠে গিয়ে তার কাছে অনুরুপ আবেদন জানালে তিনি বললেন,
ইয়া আল্লাহ ’ তাদের বিপদ তুলে নিন! তারা স্বগোত্রে ফিরে দেখল যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সংবাদ প্রদানের দিনেই তড়াদের কওম দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছিল ৷ পরে বেচে থাকা
জারাশবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সকাশে এসে ইসলাম গ্রহণ
করেছিল এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইসলামী জীবন যাপন করেছিল ৷ তাদেরকে তাদের
জনপদের আশপাশে পড্ডারণের খাসভুমি দেয়া হয়েছিল ৷
হিময়ারী রাজাদের রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে আগমন
ওয়াকিদী বলেন, এ আগমন হয়েছিল নবম হিজরীর রমযান মাসে ৷ ইবন ইসহাক (র)
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তাবুক থেকে প্রত্যাপযনকালে তার কাছে হিময়া রী রাজন্যবর্গের
ইসলাম গ্রহণের সং বাদ পৌছল ৷ এ রাজন্যবর্গের মাঝে ছিল আল হড়ারিছ ইবন আবদ কুলাল,
নৃআয়ম ইবন আবদ কুলাল ৷ যু-রাঈন, মাআফির ও হমোদানের নেতা আন নু মান ৷ হিযয়ারী
রাজা যুরআ য়ু-য়াযান মালিক ইবন যুর রা আর রাহাবীকে তার ঐ গোত্রকুলের ইসলাম গ্রহণ
সম্পর্কিত সং বাদ এবং শিরক ও অংশীবাদের সাথে তাদের সম্পর্ক ত্যাগের খবর দিয়ে পাঠাল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের চিঠির জবাবে লিখলেন–