Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ

খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • তাকে তার সাথীদের সম্পর্কে জাি,জ্ঞস করেন ৷ সে বলে যে, ওরা সবাই পুর্বের দিন এলাকা ছেড়ে
    পালি য় গিয়েছে ৷ রাসুলুলাহ (না) তাকে ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব দিলেন, যে ইসলাম গ্রহণ করে ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (স ) মদীনায় ফিরে এলেন ৷

    ওয়াকিদী বলেন রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) দুমাতুল জানদা ল অভিযানে ৷ররিয়েছিলেন ৫ম হিজরীর
    রবীউ ল আখের মাসে ৷ ওয়াকিদী এও বলেন যে ওই মাসেই স৷ দ ইবন উবাদ৷ ৷(রা) এর মা
    ইনতিকাল ৷করেন ৷ তখন স৷ দ (রা) রাসৃলুল্লাহ্( সা)-এর সাথেই ছি?ণ্ষ্ান ৷

    ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী তার জামি গ্রন্থে বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার সাঈদ
    ইবন মুসাব্যিব (র) থেকে বংনাি করেন যে, সাদ (বা) এর ম যখন মারা যান তখন রাসুলুল্লাহ্
    (সা) মদীনায় ছিলেন না ৷ মদীনায় প্রত্যাবর্তনের পর তিনি মরহুমার জাল নামায আদায় করেন ৷
    মৃত্যুর একমাস পর তিনি এই নামায আদায় করেন ৷ এটি একটি উত্তম ঘুরসাল পদ্ধতির হাদীছ ৷
    এতে প্ৰ৩ ভীয়মান হয় যে নাসুলুল্ল হ (না) এই যুদ্ধ উপলক্ষে প্রায়এ ক পান বা ততোধিক সময়
    মদীনায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷ যেমনটি ওয়াকিদী বলেছেন ৷

    খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ

    এ প্ৰসংণে আল্লাহু তা আ ল৷ সুরা আহয়াধেয় প্ৰথ ৷ দিকের আয়া৩ ওগুলো অবতীর্ণ করেন ৷
    আল্লাহ তাআলা বলেন

    অর্থাং হে মুমিনগণ ৷ তোমরা তোমাদের প্ৰতি অল্লোহ্র অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন
    শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি ওদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম
    ঝঞা বার এবং এক বাহিনী যা তোমরা দেখনি ৷ তোমরা য৷ কর আল্লাহ্ তার সম্যক দ্রষ্ট৷ ৷ যখন
    ওরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাণত হয়েছিল ডচ্চ অঞ্চল ংনিম্ন অঞ্চল হতে তোমাদের চক্ষু
    বিম্ফারিত হয়েছিল , তোমাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কণ্ঠাণত এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানাবিধ
    ধারণা পোষণ ৷করছিলে ৷ তথাং ম’মিনগণ পরীক্ষিদ্ হয়েছিল এবং তারা ভীযণভাবে প্রকম্পিত
    হয়েছিল এবং মুনাফিকরা ও যাদের অম্ভার ছিল বাধিত তারা বলছিল আল্লাহ্ এবং তার রাসুল
    আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যভীত কিছুই নয় ৷ এবং ওদের একদল
    বলেছিল হে ইয়াছরিররাসী ৷ এখানে তোমাদের কোন স্থান নেই, তোমরা ফিরে চল এবং ওদের
    মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল, আমাদের বাড়ী ঘর অরক্ষিত ৷ অথচ
    ওগুলো অরক্ষিত :ি ল না অ৷ ৷-সরু’৷ পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্য ৷ যদি শত্রুর৷ নগরীর বিভিন্ন
    দিক হতে প্রবেশ করে ওদের৫ক’ বািদ্রাহের জ্যনা প্ৰরোচিত করত ন্ব্রার৷ অবশ্য তা-ই করে বসত,
    তারা তাতে কাল ধিলম্ব করত না ৷ এরাতাে পুর্বেই আল্লাহ্র সাথে অৎগীকার করেছিল যে, এরা
    পৃষ্ঠ প্ৰদশ্নি করে, পালাবে না শ্ আল্লাহর সাথে কত অত্গীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে ৷
    বলুন, তোমাদের কোন লাভ হবে না যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর এবং

    সেক্ষেত্রে তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে ৷ বলে দিন, কে তোমাদেরকে আল্লাহ
    হতে রক্ষা করবে ৷ যদি তিনি তোমাদের অমংগল ইচ্ছা করেন এবং তিনি যদি তোমাদেরকে
    অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন কে তোমাদের ক্ষতি করবে ? ওরা আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের কোন
    অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না ৷ আল্লাহ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কারা তোমাদেরকে
    যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে বাধা দেয় এবং তাদের ভ্রাতৃবর্গকে বলে “আমাদের সংগে এস ৷ ” ওরা
    অল্পই যুদ্ধে অংশ নেয় তোমাদের ব্যাপারে কৃপণতাবশত যখন বিপদ আসে তখন আপনি
    দেখবেন মৃত্যু ভয়ে মুচ্ছড্রির ব্যক্তির ন্যায় চক্ষু উল্টিয়ে ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কিন্তু
    যখন বিপদ চলে যায় তখন ওরা বনের লালসায় তোমাদেরকে ভীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে ৷ ওরা ঈমান
    আসে নাই, এজন্যে আল্লাহ ওদের কার্যাবলী নিম্ফল করেছেন এবং আল্লাহর পক্ষে তা সহজ ৷ ওরা
    মনে করে , সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি ৷ যদি সম্মিলিত বাহিনী আবার এসে পড়ে, তখন ওরা
    কামনা করবে যে, ভাল হত যদি ওরা যাযাবর মরুবাসীদের নাথে থেকে তোমাদের সংবাদ নিত ৷
    ওরা তোমাদের সাথে অবস্থান করলেও ওরা যুদ্ধ অল্পই করত ; ণ্তামাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও
    আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর মধ্যে
    রয়েছে উত্তম আদর্শ ৷ ঘু’মিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল ওরা বলে উঠল , এটি তো তাই
    আল্লাহ ও তার রাসুল যার প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তার রাসুল সতাই
    বলেছেন ৷ আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই বৃদ্ধি পেল ৷ মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর
    সাথে তাদের কৃত অংপীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে ৷ ওদের কেউ
    কেউ প্রভীক্ষায় রয়েছে, তারা তাদের অংপীকারে কোন পরিবর্তন করেনি ৷ কারণ, আল্লাহ
    সতবােদীদেরকে পুরস্কৃত করেন ৷ সতবােদিতার জন্যে এবং তার ইচ্ছা হলে ঘুনাফিকদেরকে শাস্তি
    দেন অথবা ওদেরকে ক্ষমা করেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ৷ আল্লাহ কাফিরদেরকে
    ক্রুদ্ধাবন্থায় বিফল মনােরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন ৷ যুদ্ধে মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই
    যথেষ্ট ৷ আল্লাহ সর্বশক্তিমান পরাক্রমশালী ৷ কিতাবীদের মধ্যে যারা ওদেরকে সাহায্য করেছিল
    তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ থেকে অবতরণে বাধ্য করলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার
    করলেন; এখন তোমরা ওদের কতককে হত্যা করছ এবং কতককে করছ বন্দী, এবং তিনি
    তােমাদেরকে অধিকারী করলেন ওদের ভুমি, ঘববাড়ী ও ধন-সম্পদের এবং এমন ভুমির যা
    তোমরা এখনও পদানত করনি, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ (৩৩-আহযাব : ৯-২ ৭ ৷)

    উপরোক্ত আয়াতগুলাের প্ৰতেকেটি সম্পর্কে আমরা তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা
    করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷ এখানে আমরা সংশ্লিষ্ট যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়গুলো
    আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

    খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৫ম হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ ইবন ইসহড়াক, উবওয়া ইবন যুরায়র ,
    কাতাদ৷ , বায়হাকী এবং প্রাচীন ও আধুনিক যুগের বহু উলামা-ই-কিরাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দলীল
    প্রমাণ পেশ করেছেন ৷ মুসা ইবন উক্বা যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
    খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে : র্থ হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ আহমদ ইবন হাম্বল (র) মুসা ইবন
    দাউদের বরাতে ইমাম মালিক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন যে, বায়হাকী (র ) বলেন, মুলত

    এখানে কোন ভৈবপরী৩ ত নেই ৷ কারণ,ারাত : র্থ হিজরী বলে এ কথা বুঝিয়েছেন যে, যুদ্ধটি
    ৎঘটিত হয়েছে হিজরী : র্থ বছর পুর্ণ হবার পর এবং ৫ম বছর পুর্ণ হবার পুর্বে ৷

    এটা নিশ্চিত যে উহুদ যুদ্ধ থেকে প্ৰতাবর্তনের সময় মুশরিকরা পরবর্তী বছর পুনরায় বদর
    প্রান্তরে যুদ্ধের আগাম ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিল ৷ সেই যুতাবিক রাসুলুন্ব: হ্ ( সা) তার সাহাবীগণকে
    নিয়ে : র্থ হিজরীর শা বান মাসে বদর প্ৰাম্ভরে উপস্থিত ৩হন ৷ আর দুর্ভিক্ষের বাহানা দিয়ে আবু
    সুফিয়ান তার কুরায়শী বাহিনী নিয়ে মক্কায় ফিরে যায় ৷ এ পরিস্থিতিতে মাত্র দু” মাস পর তাদের
    মদীনা আক্রমণ করা সম্ভব ছিলনা ৷ ফলে এটি নিশ্চিতভারে জা না (গল <য, পরবর্তী বছরের অর্থাৎ
    ৫ম হিজরীর শাওয়াল সালে তারা মদীনা আক্রমণের জন্যে এসেছিল ৷

    ঘুহরী স্পষ্ট বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দু’ বছর পর খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এতে কারো
    াদ্বমত নেই যে, উহুদ যুদ্ধ সৎঘ টিতহয়েছিল ৩য় হিজরী সনের শাওয়াল মাচস ৷ অবশ্য কেউ কেউ
    বলে থাকেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর হিজরভ্রুতর পরবর্তীমুহাররম মাস থেকে হিজবী সন গণনা
    শুরু হয় ৷ তারা হিজরস্তু৩ তর বছরের রবীউল আওয়াল হতে ৩যিলহজ্জ মাস পর্যন্ত এই মাসগুলোকে
    গণনায় আনয়ন করেন না ৷ বায়হাকী এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ফাসাবী এই
    মতের সমর্থক ৷ এই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি সুস্পষ্টভা বে বলেন যে, বদরের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে
    ১ম হিজরীতে, উহুদ ২য় হিজরীতে, বদর-ই ছানী ততীয় হিজরীর শা বান মাসে এবং খন্দকের যুদ্ধ
    ৎযটিত হয় : র্থ হিজরী সনে ৷ ১ম হিজরীর মাস গুলো বাদ দিয়ে হিজরী সন গণনা করাটা জমহুর
    তথা অধিকাৎশ ইমামের ঐক্যবদ্ধ অডিমবু৩ তর বিরোধী ৷৷ কারণ এটা সুপ্ৰসিদ্ধ যে হযরত ৩উমর
    ইবন খঃা তোর (রা) )হিজরতের ১লা যুহাররম কে হিজবী বর্ষপঞ্জির পথম দিবস হিসেবে নির্ধারণ
    করেছিলেন ৷ অন্যদিকে ইমাম মালিক (র) হিজররুত তর বছরের রবীউল আওয়াল মাস থেকে হিজরী
    সনের সুচনা বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷ ফলে হিজরী সনের সুচনাসষ্পর্কে তিনটি অভিমত
    বিদ্যমান ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
    বিশুদ্ধ মত হলো জমহুরের অভিমত যে, উহুদ যুদ্ধ তত য় হিজরীর শাওয়াল মাসে এবং
    খন্দকের যুদ্ধ ৫ম হিজরীর শাওয়াল সালে সংঘটিত হয় ৷ তবে সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে
    উবায়দুল্লাহ্ভ্রু সুএে এানাফি থেকে বর্ণিত যে, ইবন উমর (রা) বলেছেন উহুদ যুদ্ধের সময় আমার
    বয়স ছিল ১৪ বছর ৷ যুদ্ধে অং শ গ্রহণের জন্যে আমি নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পেশ
    করলে তিনি আমাকে ৩াণুনা৩ পেনান ৷ খস্পাকের যুদ্ধের সময় আমি নিজেকে তীর নিকট পেশ
    করি ৷ তখন আমার বয়স ১৫ বছর ৷ তিনি এবার আমাকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দিলেন ৷ ইবন
    উমর (রা) এর এ বক্তব্য সম্পর্কে উলামা-ই-কিরাম বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷ এ প্রসৎগে বায়হাকী
    বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিবসে তিনি যখন নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পােণ করেছেন
    তখন তার চৌদ্দতম বছর মাত্র শুরু হয়েছিল ৷ আর খন্দকের যুদ্ধের দিবসে যখন তিনি নিজেকে
    পেশ করেছিলেন তখন তীর বয়স ১৫ বছর পুর্ণ হওয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল ৷
    আমি বলি, এমন ব্যাথ্যাও দেয়া যায় যে, খন্দকের যুদ্ধের দিলে তিনি যখন নিজেকে রাসুলুল্লাহ্
    (না)-এর নিকট পেশ করেছিলেন তখন তীর বয়স ১৫ বছর পুর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ সাধারণতঃ ১৫
    বছর পুর্ণ হলে বালকদেরকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেয়া হত ৷ ১৫ বছরের অধিক হবার জন্যে

    অনুমতি আটকে থাকত না ৷ এ জন্যে নাফি যখন এই হাদীছ উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট
    পাঠান তখন এই মন্তব্য করেছিলেন যে, নাবালক ও সাবালকের মধ্যে সীমা নির্ধারণকারী মানদণ্ড
    হল এটি ৷ত তারপর তিনি এই হাদীছ ও এই মন্তব্য সব জায়গায় পীছিয়ে দেন ৷ জমহুব তথা
    অধিকাৎশ আলিম এটাকেই নির্ভরযোগ্য অভিমত বলে গ্রহণ করেক্ষ্রুহৃহুন ৷ আল্লাহ্ইত ভাল জানেন ৷

    ইবন ইসহাক ও প্রমুখ খন্দকের যুদ্ধের ঘটনা এভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক
    বলেছেন, তারপর কথা হল ৫ম হিজরী সনের শাওয়াল মানেই ন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ
    প্ৰসংগে আমার নিকট বংনাি করেছেন উবায়দুল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে ৷ আরো বংনাি
    করেছেন, মুহাম্মাদ ইবন কা’ব কুরাযী, যুহরী, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ৷ এবং আবদুল্লাহ
    ইবন আবুবকর প্রমুখ ৷ত তাদের কেউ এমন তথ্য বর্ণনা করেছেন য সনাের বর্ণনায় নেই ৷ তবে
    তারা সকলে বলেছেন, খন্দক যুদ্ধের পটভুমি এই যে, ইয়াহদী <নতা সালাম ইবন আবুল হুকায়ক
    নয়রী, হুয়৷ ৷ই ইবন আখতার, কিনান৷ ইবন রা ৷বী ইবন আবুল হুকায়ক, হাওয৷ ইবন কায়স ওয়া ৷ইলী
    এবং আবু আম্মার ওয়াইলীর নেতৃত্বে বনু নবীর ও বনু ওয়াইল পত্রের কতিপয় লেকে মিলে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর বিরুদ্ধে একটি (জ ট বাধে ৷ তারা একসময় মক্কায় কুরায়শদের নিকট
    উপ ত হয় ৷ তার৷ কুরায়শীদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সাৰু)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের আহ্বান
    জানায় ৷ তারা আশ্বাস দিয়ে বলে যে, মুহাম্মাদ (সা) কে সমুলে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমরা
    তোমাদের সাথে থাকবই ৷ কুরায়শী লোকেরা তাদেরকে বলল, হে ইয়াহদী সম্প্রদায় ! আমরা
    এবং ঘুহ৷ ম্মাদ (সা) যে বিষয়ে মতভেদ করছি তা সৃষ্টি হওয়ার পুর্বেকা র কিতাবের তোমরা অনুস৷ ৷রী
    এবং তোমরা তখনও জ্ঞা ৷নবান ছিলে, আচ্ছা তোমরা ৷ই বল আমাদের ধর্ম ভ ৷,ল না কি মুহাম্মাদের
    (সা) ধর্ম ? ইয়াহদী জোটের লোকেরা বলল, ওে ৷মাদের ধর্মই ররৎ৩ার ধর্মের চাইতে উত্তম ৷
    তোমরা ৷ই সব্লু৩ তার অধিকতর নিকটবর্তী, সকল ইয়াহ্রদীদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআল৷ বলেন

    আপনি কিত ৷দেরকে দেখেননি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল ৷ তারা আল্লাহ
    ব্যতীত অন্যান্য উপাসে৷ বিশ্বাস করে ৷ তারা ক ফিবদেব সম্বন্ধে বলে, এদেরই পথ ঘুমিনদের

    চেয়ে প্রকৃষ্টত র ৷ এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ লা নত করেছেন ৷ এবং আল্লাহ যাকে লা নত
    করেন আপনি তার জন্যে কখনো কোন সাহায্যক৷ ৷বী পাবেন না ৷ (৪ নিস৷ ৫ ১ ৫২) ৷

    তাদের উত্তর শুনে কুরায়শরা মহা খুশী ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তাবে
    সানন্দে রাষী হয়ে গেল ৷ তারা সকলে একমত হল এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগল ৷ এরপর
    ইয়াহদী দল পাতফান গোত্রের নিকট যায় ৷ তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ
    নিতে প্ৰরোচিত করে ৷ নিজেরা এই যুদ্ধে অংশ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি তারা পাতফানীদেরকে
    দেয় ৷ কুরায়শরা যে যুদ্ধে শরীক হবে সে সৎবাদও তারা জানান ৷ পাতফড়ানীরা তাদের সাথে
    একাত্মত৷ ঘোষণা করল ৷

    যথা সময়ে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরায়শরা উয়ায়না ইবন হিসান ইবন হুযায়ফা ইবন বদর
    -এর নেতৃত্বে পাতফানীরা ও ফাযাবীরা, হারিছ ইবন আওফ ইবন আবু হারিছা মুররী এর নেতৃত্বে
    বনু মুররা গোত্রের লোকজন এবং মিসআর ইবন রুখড়ায়লা ইবন নুওয়ায়রা এর নেতৃত্বে আশজাঈ
    গোত্রের লোকেরা যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ ওদের আগমন ও পরিকল্পিত যুদ্ধ প্রন্তুতির সংবাদ শুনে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনার সীমানায় পরিখা (খন্দক) খননের নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন,
    পরিখা থননের পরামর্শ দিয়েছিলেন হযরত সালমান ফাবেসী (রা ) ৷

    তাবারী ও সুহায়লী বলেন, যুদ্ধে সর্ব প্রথম পরিখা খনন করেছিল , মনুচেহ্র ইবন ঈরাজ ইবন
    আফবীদুন ৷ সে ছিল মুসা (আ)-এর যুগের লোক ৷ ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমড়ানদেরকে এ
    ছাওযাবের কাজে উৎসাহিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজেও পরিখা খননে অংশ নেন ৷ মুসলিম
    সৈনম্পোণ তার সাথে পরিখা খনন করেন ৷ মুনাফিকদের একটি দল শারিরীক দৃর্বলতার অজুহাতে এ
    কাজ থেকে বিরত থাকে ৷ তাদের কতক আবার রাসুলুল্লাহ্ (ৰুন্ন্দ্)এ্যা অনুমতি ও অবগতি
    ব্যতিবেকে চুপিসারে পালিয়ে যায় ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করে বলেন :

    তারাই মু’মিন যারা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রতি ঈমান আসে এবং রাসুলের সাথে
    সামষ্টিক ব্যাপারে একত্র হলে তার অনুমতি ব্যতীত সরে পড়েনা ৷ যারা আপনার অনুমতি প্রার্থনা
    করে তারাই আল্লাহ্ এবং তার রাসুলে বিশ্বাসী ৷ অতএব, তারা তাদের কোন কাজে বাইরে যাবার
    জন্যে আপনার অনুমতি চাইলে তাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা আপনি অনুমতি দেবেন এবং তাদের
    জন্যে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থাংড়া করবেন ৷ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল , পরম দযালু ৷ রাসুলের অড়াহ্বানকে
    তোমরা (তামাদের একে অপরের প্রতি আহ্বানের ন্যায় গণ্য করো না , তোমাদের মধ্যে যারা চুপি
    চুপি সরে পড়ে আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন ৷ সুতরাং যারা তার আদেশের বিরোধিতা করে তারা
    সতর্ক থাকুক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হয়ে তাদের উপর কঠিন
    শাস্তি ৷ জেনে রেখো, আকাশরাজি ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহ্রই ৷ তোমরা যাতে
    ব্যাপৃত তিনি তা জানেন, যেদিন তারা তার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে
    দেবেন, তারা যা করত ৷ আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ৷ (২৪ নুর : ৬২-৬৪ ) ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম সৈন্যগণ পরিখা খনন করতে লেগে গেলেন এবং উত্তমভাবে
    তা সম্পন্ন করলেন ৷ জনৈক মুসলমানকে উপলক্ষ করে তারা কবিতা ও আবৃত্তি করেছিলেন ৷
    ল্যেকটির নাম ছিল জুআঈল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নামকরণ করেন আমর ৷ তখন মুসলমানগণ
    নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলেন :
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম রাখলেন আমর ৷ প্রথমে তার নাম ছিল জুআঈল ৷ এক সময় সে
    ফকীর মিসকীন ও অভাবীদের সাহায্যকারী ছিল ৷

    কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে ওার৷ যখন আম র৷ ণ্৷ উচ্চারণ করতেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও
    তাদের সাথে আমরান উচ্চারণ করতেন ৷ তারা যখন যাহরান” উচ্চারণ করতেন তখন তিনিও
    “যাহরান” উচ্চারণ করতেন ৷

    বুখারী (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
    (সা) পরিখ৷ এলাকায় গমন করলেন ৷ তিনি সেখানে দেখতে পেলেন যে, শীতকালের ভোর
    বেলায় আনসার ও মুহাজিরগণ পরিখ৷ খনন করছেন ৷ র্তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করে দেয়ার মত
    কোন দাস র্তাদের ছিল না ৷ র্তাদের দুঃখ কষ্ট ও ক্ষুধা দেখে তিনি দুআ করে বললেন,

    হে আল্লাহ ! আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন ৷ আপনি আনস৷ র ও মুহাজিরদেরকে ক্ষমা
    করে দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআর জবাবে র্তারা বললেন ঘ্র

    আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে বায় আত করেছি এবং মঙ্গীকার করেছি যে যত দিন বেচে
    থাকর জিহ৷ ৷দ করেই যাব ৷

    সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে শুব৷ আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত আছে ৷
    ইমাম মুসলিম (র) হাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র)
    বলেছেন, আবুমামার আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, মদীনার সীমানায়

    আনসার ও মৃহাজিরগণ পরিখ৷ খনন করছিলেন, নিজেদের পিঠে করে তারা মাটি বহন করছিলেন,
    এবং এ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :

    আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে বায় আত করেছি এ বিষয়ে যে য়৩ তদিন বেচে থাকি
    ইসলামের পথে অবিচল ও অটল থাকর ৷
    তাদের কবিতার জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

    বর্ণনাকা বী বলেন, পরিখ৷ খননের এই কষ্টময় সময়ে র্তাদের খাদ্য হিসেবে আজলা ভরে য়ব

    আনা হতে৷ আর দুর্গন্ধযুক্ত চর্বি মিশি ৷য়ে তা দিয়ে তাদের জন্যে খাদ্য তৈরী করা হত ৷ সেই স্বল্প

    পরিমাণ খাদ্য র্ত৷ ৷দের সম্মুখে রাখা হত ৷ অথচ তারা সকলে তখন অভুক্ত তদুপরি ওই খাদ্য গলায়
    আটকে যেত এবং ৷দুর্গন্ধময়ও ছিল ৷

    বুখারী বলেন, কুতায়ব৷ ইবন সাঈদ সাহ্ল ইবন সাদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম ৷ মুসলিম মুজাহিদগণ
    পরিখ৷ খনন করছিল ৷ আমরা কাধে বয়ে মাটি সরাচ্ছিলাম ৷ এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন :

    ইমাম মুসলিম (রা) কানবী সুত্রে আবদুল আযীয থেকে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

    বুখারী বলেছেন, মুসলিম ইবন ইব্রাহীম বার৷ ইবন আযিব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে খন্দক যুদ্ধে মাটি সরিয়েছেন ৷ তাতে তার পবিত্র পেটও
    ধুলায়িত হয়ে পড়ে ৷ তিনি তখন নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :

    আল্লাহর কসম , আল্লাহ্র দয়া না থাকলে আমরা হিদায়াত ণ্পতাম না ৷ আমরা সাদকাও
    করতাম না ৷ নামাযও পড়তাম না ৷

    হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করুন এবং আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি
    হব, তখন আমাদেরকে সুদৃঢ় ও অবিচল রাখুন :

    হে আল্লাহ ! শত্রুরা আমাদের প্ৰতি সীমালং ×ঘন করেছে ৷ ওরা যখনই কোন ফিতনা ফাসাদ
    সৃষ্টির চেষ্টা ৷করেছে তখনই আমরা তা প্রতিরোধ করি ৷ প্ৰ৩ ৷৷খ্যান করি ৷ রাসুলুলুড়াহ্ (সা) ৷ ৷

    শব্দ উচ্চারণ করার সময় উচ্চস্বরে ৷ ৷ ৷ ৷ বলছিলেন ৷ মুসলিম (র) ওশু বা সুত্রে এ
    হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

    এরপর ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, আহমদ ইবন উছমান প্রমুখ এবং বাবা (রা) থেকে, বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ খনন করেছিলেন ৷ আমি
    তাকে দেখেছি যে, তিনি পরিখার মাটিগুলে৷ অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এক পর্যায়ে এমন হল যে,
    মাটির আবরণে তীর পবিত্র পেটের চামড়া ঢেকে গেল ৷৩ তার শরীরে প্রচুর সোম ছিল ৷ আমি
    শুনেছি, তিনি মাটি বহন করেছিলেন আর আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ বিরচিত এই কবিতা পা ৷ঠ
    করছিলেন :

    বায়হার্কী (র) তার৷ দাল লাইল গ্রন্থে বলেছেন, আ ৷লী ইবন আহমদ সালমান (বা) থকে
    বর্ণনা করেন ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা ) পরিখ৷ খননে অংশ গ্রহণ করেন এবং তখন তিনি এ কবিতা আবৃত্তি
    করেছেন :

    আরম্ভ করছি আল্লাহর নামে ৷ তার দয়ায় আমরা হিদায়াত পেয়েছি ৷ আমরা যদি তাকে ছাড়া
    অন্য কারো ইরাদত করতাম তবে নিঃসন্দেহে আমরা হতভাপ্য হয়ে যেতাম ৷

    আহ ৷ কতই না ভাল প্রভু ! আহ! কতই না ভাল দীন ৷ এই সনদের এটি একক বর্ণনা ৷ ইমাম
    আহমদ বলেন, সুলায়মান হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুজাহিদগণ পরিখা
    খনন করছিল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :

    হে আল্লাহ! পরকালের কল্যাণ ব্যতীত প্রকৃত কোন কল্যাণ (নই ৷ আপনি আনসার ও
    মুহড়াজিরদেরকে পরিংত্তদ্ধ করে দিন ৷ বুখারী ও মুসলিম তাদের সহীহ গ্নন্থদ্বয়ে এ হাদীছটি গুনদার
    সুত্রে শুবা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, পরিখা খননকালে এমন কতক ঘটনা ঘটেছে বলে আমার নিকট হড়াদীছ
    পৌছেছে যে ঘটনাওলাের মধ্যে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷ষ্ণ্ক্ষথীয় বিষয় রয়েছে ৷ সে ঘটনা
    গুলোতে প্রমাণ রয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সত্যায়নের এবং তার নুবুওয়াতের যথার্থতার ৷
    উপস্থিত মুসলমানগণ ওহী সব ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন ৷ তার একটি এই হযরত জাবির (রা )
    বর্ণনা করেছেন যে, একটি পরিখা খনন করার সময় তারা একটি কঠিন শিলা খন্ডের মুখোমুখি
    হন ৷ কোন কুঠার ও শাবল দ্বারা তা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না ৷ তারা বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
    জানালেন ৷ তিনি এক পাত্র পানি আনতে বললেন ৷ তিনি ওই পানিতে তার পবিত্র মুখের থু থু
    মিশিয়ে তারপর দৃআ করলেন ৷ তারপর ওই পাথরে পানিটুকু ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেখানে যারা
    উপস্থিত ছিল তারা বলল যে, যে মহান সত্তা তাকে সত্য রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন তার কলম ,
    ওইপাথর একেবারেই নরম হয়ে গেল ৷ এমনকি তা বালুর ঢিবিতে পরিণত হল ৷ তারপর আর
    কোন কুঠার কিৎরা রেলচার আঘাত ব্যর্থ হয়নি ৷ ইবন ইসহাক এভাবে হযরত জাবির (রা) থেকে
    সনদ ছাড়া এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

    বুখারী (র ) বলেছেন, খড়াল্লাদ ইবন ইয়াহ্য়া আয়মান সুত্রে বলেছেন যে, তিনি বলেন, আমি
    হযরত জাবির (রা) এর নিকট এসেছিলাম ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে
    আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ আমাদের সামনে পড়ল একটি কঠিন শিলাখণ্ড ৷ লোকজন
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে তাকে ঘটনা জানান ৷ তিনি বললেন, আমি নিজে ওই পরিখড়াতে
    নামব ৷ তিনি উঠলেন ৷ তার পেটে পাথর বাধা ছিল ৷ তিনদিন আমরা কোন খাবার খেতে পাইনি ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (না) শাবল হাতে নিলেন ৷ তারপর ওই শিলাখণ্ডে আঘাত করলেন ৷ সেটি বালির ঢিবি
    বালির স্তুপের ন্যায় হয়ে গেলে ৷ হযরত জাবির (রা) বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    নিকট আরয করলাম যে, আমাকে একটু বাড়ী যাবার অনুমতি দিন ৷ তিনি অনুমতি দিলেন ৷ বাড়ী
    গিয়ে আমি আমার ত্রীকে বললাম, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এতই ক্ষুধার্ত ও করুণ অবস্থায়
    দেখে এসেছি যে, আমি আর ধৈর্য ধারণ করতে পারছিলাম না ৷ তোমার নিকট কি কোন খাদ্য দ্রব্য
    আছে ? সে বলল, আমার নিকট সামান্য বর ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে ৷ আমি ওটি যবাই
    করলাম ৷ সে যবগুলো পিষে নিল ৷ আমরা পাতিলে গোশত ঢেলে রান্না চডিয়ে দিলাম ৷ আমি
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এলাম ৷ তখন আটাগুলো পৃথক করার খামীরের পর্যায়ে ছিল এবং

    চুলার উপর পাতিলের গোশত রান্না হয়ে আসছিল ৷ আমি বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! আমার
    বাড়ীতে সামান্য খাবার আছে ৷ আপনি চলুন ৷ সাথে এক দু’জন লোক নেয়া যায় ৷ তিনি বললেন,
    খাদ্যের পরিমাণ কতটুকু ? আমি পরিমাণ বললাম, তিনি বললেন, ভাল, ভাল , তড়াতে৷ অনেক
    বেশী ৷ তুমি তোমার প্রীকে গিয়ে বল, আমি না আশা পর্যন্ত যেন চুলা থেকে পাতিল না নামায় আর
    তন্দুর থেকে রুটি বের না করে ৷ এদিকে তিনি সবাইকে বললেন, চল , সকলে আস ৷ তাতে
    মুহাজির এবং আনসার উপস্থিত সবাই যাত্রা করলেন ৷ হযরত জাবির (বা) তার শ্ৰীর নিকট গিয়ে
    বললেন, হায় কপাল ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসার, মুহাজির এবং তাদের সাদুণ যারা আছে সবাইকে
    নিয়ে যাত্রা করেছেন ৷ তার শ্রী বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলেন ?
    আমি বললাম, হা জিজ্ঞেস করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সকলে সুশৃৎখঃলভাবে ভেতরে
    প্রবেশ কর ৷ কোন প্রকারের হুড়ােহুড়ি না হয় ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে রুটি ভেঙ্গে তাতে
    গোশত দিয়ে এক একজন করে দিতে লাগলেন ৷ একেক বার নেয়ার পর তিনি পাতিল ও চুলাে
    ঢেকে রাখছিলেন ৷ এভাবে দিচ্ছিলেন আর ঢেকে রাখছিলেন ৷ রুটি ভেঙ্গে দিতে দিতে এবং
    গােশতের পাতিল থেকে গোশত তুলে দিতে দিতে একে একে সকলের তৃপ্তি সহকারে খাওয়া
    হয়ে গেল ৷ তবু কিছু খাবার অবশিষ্ট রয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা)-এর ন্তীকে বললেন,
    এটা তুমি খাও এবং অন্যকে উপহার হিসেবে দাও ৷ কারণ, আশে পাশের লোকজন অভুক্ত আছে ৷
    এই বর্ণনা ইমাম বুখারী (র) একাই উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র ) উকী জাবির
    (রা) সুত্রে কঠিন শিলাখও এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পবিত্র পােট পাথর বাধার ঘটনা বর্ণনা
    করেছেন ৷ বায়হাকী (র) দালাইল গ্রন্থে হাকিম জাবির (বা) সুত্রে কঠিন শিলাখণ্ড এবং
    খাদ্য তৈরীরও পরিরেশনের ঘটনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ তার বংনািটি ইমাম বুখারী (র) এর বনাি
    অপেক্ষা দীর্ঘ ও পুণঙ্গি ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে, খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে অবগত হবার পর
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) উপস্থিত সকল মুসলমানকে বললেন, সবাই জাবির (বা) এর বাড়ী চল ৷ সবাই
    যাত্রা করলেন ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি তাতে এত বেশী লজ্জিত হয়ে পড়েছিলাম যা আল্লাহ
    ছাড়া কেউ জানে না ৷ আমি মনে মনে বললাম , হায় ৷ আমার এক সা (৩৫ সের প্রায়) য়ব ও
    একটি ছোট্ট বকরীর বাচ্চার তৈরী খাবারের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিরাট জামাত নিয়ে আসছেন ৷
    আমি আমার শ্রীর নিকট গিয়ে বললাম , এবার তোমার লজ্জা পাওয়ার পালা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খন্দক
    যুদ্ধে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে তোমার বাড়ীতে আসছেন ৷ শ্রী বলল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি আপনাকে
    খাদ্যের পরিমাণ জিজ্ঞেস করেছেন ? আমি বললাম, হা, জিজ্ঞেস করেছেন ৷ সে বলল, তবে
    আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ আমরা তো আমাদের নিকট যা আছে তা জানিয়ে দিয়েছি ৷
    তার কথায় আমার প্রচন্ড দুশ্চিভার অবসান হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ী এলেন ৷ আমার ত্রীকে
    বললেন, তুমি রুটি পােশতের ব্যাপারটি আমার হাতে ছেড়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুটি ভেঙ্গে
    ভেঙ্গে আর পাতিল থেকে গোশত তুলে তুলে দিচ্ছিলেন ৷ রুটি নেয়ার পর চুলা এবং গোশত
    নেয়ার পর পাতিল ঢেকে রাখছিলেন ৷ তিনি এভাবে সবাইকে খাদ্য পরিবেশন করছিলেন ৷ এক
    পর্যায়ে সবারই তৃপ্তির সাথে খাওয়া শেষ হল ৷ চুলা ও পাতিলে শুরুতে যা খাবার ছিল এখন তার
    চাইতে আরো বেশী অবশিষ্ট থাকল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা ) এর ত্রীকে বললেন, এবার তু

    নিজে খাও এবং প্রতিবেশীদেরকে হাদিয়া স্বরুপ দাও ৷ সে দিন পুর্ণ দিবস সে নিজে থেয়েছে এবং
    প্রতিবেশীদেরকে দান করেছে ৷

    আবু বকর ইবন আবু শায়বা হযরত জাবির সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সেটি
    আরো দীর্ঘ ওই হাদীছের শেষ দিকে আছে যে, তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তার বাড়ীতে
    উপস্থিত মুজাহিদদের সংখ্যা ৮০০; অথচ তিনি বলেছেন ৩০ : ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র
    জাবির (রা) সুত্রে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি খাবার সম্পর্কিত হাদীছটি উল্লেখ করেছেন ৷
    তিনি উদ্ধৃত করেছেন যে, উপস্থিত লোকজনের সংখ্যা ছিল ৩০০ ৷

    এরপর ইমাম বুখাবী (র) বলেছেন, আমর ইবন আলী জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)
    সুত্রে বলেছেন, পবিখা যখন খনন করা হচ্ছিল তখন আমি রাসুলুল্লহ্ (সা) এর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষুধার
    আলামত দেখতে প ই ৷ আ ৷মি আমার ত্রীর নিকট ফিরে আসি ৷ আমি তাকে বলি “ তামার নিকট
    কি কোন খাবার আছে ? আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে এসেছি ৷ সে
    আমাকে একটি থলে বের করে দিল ৷৩ তার মধ্যে ছিল এক স৷ ৷ ৩ ৫ সের প্রায়) যব ৷ আর
    আমাদের একটি ছোট্ট বকরী ছিল ৷ আমি বকরীটি যবাই করে দিলাম ৷ সে যবগুলে৷ পষে আটা

    বানিয়ে নিল ৷ সে তার কাজ শেষ করল, আমি আমার কাজ শেষ করলাম ৷ বকরীর গোশত কেটে
    আমি পাতিলে রাখলাম ৷ত তারপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম ৷ শ্রী বলল,
    দেখুন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাথে যারা আছেন সবাইকে এনে আমাকে লজ্জা দিবেন না ৷ আমি
    রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট এলাম ৷ তার কানে কানে রললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমাদের
    এক সা পরিমাণ যব ছিল ৷ সেগুলো আমরা গিয়েছি ৷ ছোট্ট একটা বকরী ছিল ৷ সেটি যবাই
    করেছি ৷ আপনি অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে যেহেরবানী করে আসুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উচ্চস্বরে
    সবাইকে ডেকে বললেন, হে খন্দকে উপস্থিত লোকজন ! জাবির (রা) তোমাদের জন্যে খাবার
    তৈরী করেছে ৷ সুতরাং তোমরা সকলে চল ৷ তিনি আমাকে বললেন যে, আমি না আসা পর্যন্ত
    তোমরা চুলার উপর থেকে পাতিল নামারে না এবং খামার দিয়ে রুটি বানাবে না ৷

    আমি আমার বাড়ীতে এলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজন নিয়ে এসে পৌছলেন ৷ আমি আমার
    ত্রীর নিকট উপস্থিত হলাম ৷ সে আমাকে দোষারুপ করে বলল, আপনি কী করলেন ? আমি
    বললাম, তুমি যেভাবে বলতে বলেছিলে আমি সেভ৷ ৷রেই বলেছি ৷ সে আ টা৷গুলো বের করে দিল ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (না) তার মধ্যে পবিত্র মুখের লাল৷ মিশিয়ে দিলেন এবং বরকওে র দৃ আ করলেন ৷
    তারপর গোশতের পাতিলে লাল৷ মিশিয়ে বরকতের দু আ করলেন ৷ত তারপর বললেন, রুটি
    বানাতে পারদর্শী একজন লোক ডেকে আন ৷ সে তোমার সাথে রুটি বানাবে ৷ আর তুমি প৷ ৷তিল
    থেকে (পয়ালা ভর্তি করে গোশত ৩পরিবেশন করবে ৷ পাতিল কিন্তু চুলা থেকে নামাবে না ৷ তারা
    ছিলেন ১০০০ জন, জ বিব (বা) বলেন, আমি কসম করে বলছি তারা সকলেই থেয়েছিলেন ৷
    সবাই চলে যাওয়ার পরও ওই পাতিলে পুর্বের মত ই গোশত টগবগ করছিল ৷ আর আমাদের
    আটাও ওে তমনি থা কল, যেমনটি পুর্বে ছিল ৷

    ইমাম মুসলিম (বা) এই হাদীছ হাজ্জা জ ইবন শাইর সুত্রে আবু আসিম থেকে অনুরুপ বর্ণনা
    করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এই হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে কোন কোন বিষয়ে তিনি

    একক বর্ণনাকারী হয়ে গিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, সাঈদ ইবন মীনা হাদীছ বর্ণনা করেছেন জাবির
    ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে খন্দকের যুদ্ধে
    অংশ নিয়ে পরিখ৷ খনন করছিলাম ৷ আমার একটি ছোট্ট ক্ষীণকায় বকরী ছিল ৷ আমি মনে মনে
    বললাম, যদি এটি দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর জন্যে একটু খাবার তৈরী করতে পারতাম তবে
    ভালই হত ৷ আমি আমার ত্রীকে নির্দেশ দিলাম ৷ যে আমাদের জন্যে কিছু য়ব পিয়ে নিল ৷ তা
    দিয়ে আমাদের জন্যে রুটি তৈরী করল ৷ আমি বকরীটি য়বাই করলাম ৷ যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
    জন্য ভাজ৷ করে নিল ৷ সন্ধ্য৷ হয়ে এল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ী ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন ৷
    জাবির (বা) বলেন, তখন আমরা দিনভর পরিখ৷ খনন করতাম ৷ আর সন্ধ্য৷ হলে বাড়ী ফিরে
    যেতাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমলের ছোট্ট একটি বকরী
    ছিল, আমরা সেটি দিয়ে আপনার জন্যে একটু খাবারের ব্যবস্থা করেছি ৷ সাথে যবের অল্প কয়টা
    রুটিরও ব্যবস্থা রয়েছে ৷ আমি আশা করছি যে, আপনি আমার সাথে অমাদের বাড়ী যাবেন ৷
    জাবির (বা) বলেন, আমি মনে করেছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা ) একাই আমার সঙ্গে আসবেন ৷ কিন্তু
    আমি যখন তাকে একথা বললাম , তখন তিনি বললেন, হা, মার এবং তিনি জনৈক ঘোয়ককে
    ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ সে চীৎকার করে ঘোষণা দিচ্ছিল যে, আপনারা সকলে রাসুলুল্লাহ্
    (না)-এর সাথে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর বাড়ী চলুন ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি তখন
    “ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন” পাঠ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা ) এলেন ৷ তার সাথে
    সকলেই এলেন ৷ তিনি বসলেন ৷ আমরা খাবারগুলো তার সম্মুখে উপস্থিত করলাম ৷ তিনি
    বরকরুতর দুআ করলেন ৷ ৰিসৃমিল্লাহ্ পাঠ করলেন ৷ তারপর নিজে খেলেন এবং লোকজনকে
    খাবার দিতে লাগলেন ৷ একদলের খাওয়া শেষ হলে৩ তারা চলে মাচ্ছিল ৷ অপর দল আসছিল ৷
    অবশেষে খন্দক যুদ্ধে মারা ৷ই উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই খ৷ ৷ওয়৷ দাওয়৷ করে বিদায় নিলেন ৷
    এটি অবাক ব্যাপার যে, ইমাম আহমদ (র) এটি সাঈদ ইবন মীন৷ জাবির (বা) সুত্রে
    অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন মীন৷ বলেছেন যে , তিনি
    হাদীছ গুনেছেন যে, বাশীর ইবন সাদের কন্যা যিনি নুমান ইবন বাশীরের বোন ছিলেন ৷ তিনি
    বলেছেন, আমার মা আমরাহ্ বিনৃত বাওয়াহা ৷ আমাকে ডেকে আমার কাপড়ে দুযুঠে৷ খেজুর দিয়ে
    বললেন, প্রিয় কন্যা ! তুমি এগুলো নিয়ে তোমার বাবা ও মামা আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহার নিকট
    যাও ৷ এগুলো দিয়ে তারা খ৷ ৷রারের কা জ সেরে নিবেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন আমি ওগুলো নিই এবং
    তাদের উদ্দেশ্যে৷ মাত্র ত্রাকরি ৷ পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে আমার দেখা হয় ৷ আমি আমার বাবা
    ও মামাকে খুজছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, এই যে, ছোট্ট যেয়ে, এদিকে আস, তোমার
    সাথে কী ? আ ৷মি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এটি খেজুর, আমার মা এগুলো পাঠিয়েছেন আমার
    পিতা বাশীর ইবন সা দ এবং আমার মামা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহার জন্যে ৷৩ তাবা এগুলো দিয়ে
    নাশত৷ সেরে নিবেন ৷ তিনি বললেন, এগুলো আমাকে দাও ৷ আ৩মি ৩র পবিত্র হাতের দু তালুতে
    তা ঢেলে দিলাম ৷ তাতে তার আজলা তরেনি ৷ তিনি একটি কাপড় আনতে নির্দেশ দিলেন ৷
    কাপড়টি বিছানাে হল ৷৩ তারপর তিনি কাপড়ের উপর থেজুরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেগুলো
    কাপড়ের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল৷ তারপর জনৈক ব্যক্তিকে বললেন খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত
    সকলকে ডেকে বল যেন সব৷ ৷ই নাশত৷ খেতে আসে ৷ সব ই তার নিকট সমবেত হলেন ৷ সকলে

    ওই কাপড়ের উপর থেকে যেতে শুরু করেন ৷ আর ওই খেজুর গুড়ার পরিমাণ ক্রমেই বাড়তে
    থাকে ৷ এক পর্যায়ে সবাই তৃপ্তি সহকারে থেয়ে চলে যায় ৷ আর তখনও কাপড় থেকে থেজুরের
    টুকরো ঝরে ঝরে পড়ছিল ৷ ইবন ইলহাক এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটির সনদে বিচ্ছিন্নতা
    রয়েছে ৷ হাফিয বায়হাকী আপন সনদে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ রুন্ধ্রার্জিরক্ত কিছু বলেননি ৷

    ইবন ইসহাক বলেন সালমান ফারসী (রা)-এর বরাস্তে আমার নিকট হাদীছ বর্ণনা করা
    হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, পরিখ৷ এলাকার এক পাশে আমি একটি পরিখ৷ খনন করছিলম্মে ৷
    আমার সামনে পড়ল একটি সুকঠিন পাথর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কাছেই ছিলেন ৷ তিনি যখন দেখলেন
    যে, আমি শাবল মারছি আর ওই পাথরটি আমার জন্যে অতাত শক্ত ঠেকছে, তখন তিনি নেমে
    এলেন এবং আমার হাত থেকে শাবল নিয়ে ওই পাথরে প্রচণ্ড এক আঘাত হানভ্রুড়াে ৷ তাতে
    শাবলের নীচে থেকে ৰিজলীয় ন্যায় আলো ৰিচ্ছুবিত হয় ৷ ৷’ৰুন্-ন্;ান্ন্৷ পুনরায় শাবল মারলেন ৷ পুনরায়
    আলো চমকাল ৷ তিনি তৃর্তীয়বার আঘাত করলেন ৷ তৃতীয়বার আলো চমকাল ৷ আমি বললাম,
    ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার বাপ-মা আপনার জন্যে কুরবান হোন , ওা৷পনি শারল মারছিলেন আর
    আপনার শারলের নীচে আলো চমকাচ্ছিল, ওই আলো কিসের ন্ তিনি বললেন, হে সালমান ! তু
    কি ওই আলো দেখতে (পয়েছ ? আমি বললাম, জী হী, দেখেছি ৷ তিনি বললেন, প্রথমরারে
    আল্লাহ্ তাআলা ইয়ামান রাজেব্রর দরজা আমার জন্যে খুলে দিয়েছেন ৷ ২য় বারে সিরিয়া রাজেদ্বর
    ও পশ্চিমা রাজেব্রর দরজা আমার জন্যে খুলে দিয়েছেন ৷ তৃতীয় বারে আল্লাহ্ তাআলা আমার
    জন্যে পুর্বদেশীয় রাজ্যসমুহের দরজা খুলে দিয়েছেন ৷

    বায়হাকী (র) বলেছেন যে, ইবন ইসহাক যা বলেছেন মুসা ইবন উকবা তার মাগাযী গ্রন্থে
    তা-ই উল্লেখ করেছেন ৷ আবুআসওয়াদ এটি বর্ণনা করেছেন উরওয়৷ থেকে ৷ এরপর বায়হাকী ও
    (র) মুহাম্মাদ ইবন ইউনুস কুদায়মী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এই হাদীছের ৰিশুদ্ধতা
    সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে ৷ ইবন জারীর এই হাদীছ তার ইতিহাস গ্রন্থে উদ্বুতে করেছেন মুহাম্মাদ ইবন
    বাশৃশার ও গুনদার — ৷

    আমর ইবন আওফ ঘুযানী সুত্রে ৷ ওই হাদীছে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) প্রতি দশজনের
    জন্যে : : হাত করে পরিথা খননের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন ৷ হযরত সালমান ফারসীর
    পরামর্শে পরিখ৷ খননের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তার মযদাি বৃদ্ধি পায় ৷ ঘুহাজিরপণ ও আনসারপণ হযরত
    সালমান (রা) কে তাদের নিজ নিজ দলভুক্ত বলে দাবী করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ফায়সালা
    দিয়ে বলেন, সালমান আমাদের আহলে বায়জ্জ্বক্ত ৷ আমর ইবন আওফ (বা) বলেন আমি
    সালমান, হুযায়ফা, নৃমান ইবন মৃকাররিন এবং ছয়জন আনসারী মিলে : : হাত খননের দায়িতৃ
    পাই ৷ আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ প্রথম স্তরের পর আমরা যখন দ্বিতীয় স্তরে খনন করতে
    শুরু করি তখন একটি সাদা চকচকে পাথর আমাদের সামনে পড়ে ৷ সেটিতে আঘাত করাতে

    সালমান (বা) তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট যান ৷ তিনি তখন একটি তুর্কী তাবুত্তুত অবস্থান
    করছিলেন ৷ তিনি র্তাকে ঘটনা জানালেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নিজে এলে সালমান (র৷ ) এর হাত
    থেকে শাবলটি নিয়ে ঐ পাথর খণ্ডে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করলেন ৷ পাথরটি ভেঙ্গে গোল এবং

    আঘাতের সাথে পাথর থেকে আলো ৰিচ্ছুরিত হয়ে মদীনায় দু’ পাহাড়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল
    আলোকিত করে ফেলল ৷ ওই আলো যেন অন্ধকার রাতের প্রদীপ্ত প্রদীপ ৷ এটা দেখে র ৷সুলুল্লাহ্
    (সা) বিজয়ের তাকবীর ধ্বনি দিলেন ৷ মুসলমানগণওত তাকবীর দিয়ে উঠলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    দ্বিতীয় বার আঘাত হানলেন ৷ তারপর তৃভীয়বার ৷ প্রতোকবারই অনুরুপ ঘটলাে ৷ সালমান ও
    মুসলিমগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ওই আলোর রহস্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ উত্তরে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, প্রথম আলোতে আমার নিকট স্পষ্ট দেখা দিাদুয়ছিল হীর৷ রাজোর প্রাসাদ
    গুলো এবং পারস্যের শহরগুলো ৷ ওগুলো কুকুরের দীতের মত দেখাচ্ছিল ৷ জিবরাঈল (আ)
    আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই অঞ্চল জয় করবে ৷ দ্বিতীয়বার আমার নিকট রোম
    সাম্রাজ্যের লাল লাল প্রাসাদগুলো উদ্ভাসিত হয়েছিল ৷ সেগুলো মনে হচ্ছিল কুকৃরের র্দ৷ ৷তের ন্যায় ৷
    জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই এলাকা ও জয় করবে ৷ত তভীয়বারের
    আলোতে আমি দেখেছিলাম , সানআ রাজ্যের প্রাসাদগুলো ৷ সেগুলো কুকুরেব দাতের মত মনে
    হচ্ছিল ৷ জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই অঞ্চলও জয় করবে ৷
    সুতরাং সুসংবাদ গ্রহণ কর , খুশী হও ৷ এতে মুসলমানগণ পরম খুশী হন এবং তারা বলে উঠেন,
    “আলহামৃদৃ লিল্লাহ্” এটি সত্য প্রতিশ্রুতি ৷

    বর্ণনাকারী বলেন, সম্মিলিত শক্তিপক্ষ যখন কাছাকাছি এসে পৌছল তখন ঈমানদারগণ
    বলল :

    এটিতোত ৷-ই অ ৷ল্লাহ্ ও ত ৷র রাসুল বা ব প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ্ ও
    ত৷ ৷র রাসুল সত্যই বলেছিলেন ৷ আর এতে তাদের ঈমা ৷ন ও আনুগ৩ তাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ৷

    তখন মুনাফিকগণ বলেছিল “তার কাগু দেখ, ইয়াছরিবে অবস্থান করে তিনি বলছেন যে,
    তিনি হীর৷ রাজেদ্রর রাজ-প্রাসাদ ও পারস্য সাম্রাজেব্রর শহবগুলো দেখছেন আর ওইগুলো তোমরা
    জয় করবে ৷ অথচ তোমরা এখন আত্মবক্ষার জন্যে খন্দক খুড়ছ ৷ বাইরে বের হয়ে মুকাবিলার
    সাহস পাচ্ছ না ৷” ওদের এই বিরুপ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অ ৷ল্লাহ্ তাআল৷ নাযিল করলেন০ ং

    মুনাফিকরা এবং যাদের অস্তরে ব্যাধি ছিল তারা বলছিল” আল্লাহ এবং তার রাসুল

    আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রত৷ ৷রণ৷ ব্যতীত কিছুই নয় ৷ (৩৩ আহযাবং : ১২)
    এটি একটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷

    হাফিয আবুল কাসিম তাবারানী বলেন, হারুন ইবন মালুল আবদুল্লাহ ইবন আমব (রা)
    থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিথা খননের নির্দেশ দিলেন ৷ মদীনায়
    সীমানায় পরিথা খনন করা হচ্ছিল, সংশ্লিষ্ট খননকারিগণ বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা একটি

    পাথর পেয়েছি যে, আমরা তা ভাঙ্গতে পারছি না ওই জায়গায় খনন করতে পারছি না ৷ বাসুলুল্লাহ্
    (সা) দীড়ালেন, আমরাও তীর সাথে দীড়ালাম , সেখানে এসে তিনি শাবল হাতে নিলেন ৷ তিনি
    শাবল দ্বারা পাথবে সজােরে আঘাত করলেন এবং তাকবীর বলে উঠলেন ৷ আমি তখন এমন
    একটি ভাঙ্গার শব্দ শুনলাম যা অতীতে কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, পারস্য সাম্রাজ্য বিজিত
    হল ৷ তিনি দ্বিতীয় বার আঘাত করলেন এবং তাকবীর বললেন ৷ আমি এমন এক ভাঙ্গার শব্দ
    শুনলাম যা অতীতে কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, রেড়ামক সাম্রাজ্য বিজিত হল ৷ তিনি তৃতীয়বার
    আঘাত হানলেন এবং তাকবীর বললেন ৷ আমি এমন একটি ভাভ্রচ্চর শব্দ শুনলাম যা ইতিপুর্বে
    কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা আলা হিম্য়ার গোত্রকে’ আমাদের সাহায্যকারী হিসেবে
    মঞ্জুর করেছেন ৷ অবশ্য এই সনদের বিবেচনায় এটিও একটি গরীব বা একক রর্থাং৷ ৷ এ সনদের
    একজন রাবী আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনউম আফ্রিকীর মধ্যে দৃর্বলতা আছে ৷ আল্লাহ্ই
    ভাল জানেন ৷
    তাবারানী আরো বলেছেন আবদুল্লাহ্ ইবন আহমদ ইবন হাম্বল ইবন আব্বাস (রা)
    থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সশরীরে পরিখা খননে অংশ নিয়েছিলেন ৷
    সাহাবীগণ তখন ক্ষুধায় পেটে পাথর বেধেছিলেন ৷ এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
    তোমরা কি আমাকে এমন একজন লোকের কথা বলে দিতে পার যে আমাদের জন্যে সামান্য
    খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে ? এক ব্যক্তি বলল, জী হী, ইয়া বাসুলাল্লাহ্ (সা) ! পারব ৷ তিনি
    বললেন, তবে তুমি আগে আগে যাও আমাদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাও ৷ যেতে যেতে তারা
    এক লোকের বাড়ী উঠলেন ৷ লোকটি তখনও তার জন্যে নির্ধারিত অংশের পরিখা খননে
    নিয়োজিত ছিল ৷ তার শ্রী সংবাদ পাঠালেন যে, বাড়ীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাশরীফ এসেছেন, আপনি
    তাড়াতাড়ি আসুন ৷ তিনি দ্রুত বেগে হেটে বাড়ী পৌছলেন ৷ তিনি বললেন, তার একটি ছাগী
    আছে, ওই ছাগীর সাথে একটি বাচ্চা আছে ৷ তিনি ছাপীটি যবাই করতে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    বললেন ৷ ছাগী নয় বরং তার বাচ্চাটিই যবাই কর ৷ বাচ্চাটি যবাই করা হল ৷ মহিলাটি তার আটা
    খুজে বের করে খামীর বানিয়ে রুটি তৈরী করলেন এদিকে গোশতও রান্না হয়ে এসেছিল ৷ তিনি
    পেয়ালা ভরে গোশত ও রুটি নিয়ে বাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সম্মুখে হাযির করলেন ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা)
    বাটিতে আব্দুল রেখে বললেন,৷ আল্লাহ্র সালে শুরু করছি, হে
    আল্লাহ্ৰু আপনি এর মধ্যে বরকত র্দান করুন ! তিনি বললেন, এবার সকলে যেতে শুরু কর,
    সবাই তৃপ্তি সহকারে খেলেন, এবং নিজ নিজ জায়গায় ফিরে গেলেন ৷ দেখা গেল যে, সবাই
    মিংলপ্খড়াবারের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ খেতে পেরেছেন ৷ দুই-তৃতীয়াংশ খাবার অবশিষ্ট রয়ে
    গেছে ৷ ওই বাড়ীওযালার সাথে যে দশজন খনন কাজ করছিল তিনি তাদেরকে দ্রুত পাঠিয়ে
    বললেন এবার তোমরা যাও এবং আরো দশজন এখানে পাঠিয়ে দাও ৷ তারা গেলেন এবং নতুন
    দশজনকে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তীরাও এসে তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা)
    উঠলেন এবং বাড়ীওয়ালার ও তার পরিবার-পরিজনের জন্যে দুআ করলেন ৷ তারপর তিনি
    পরিখড়ার নিকট ফিরে গেলেন ৷

    এবার তিনি বললেন চল, আমরা সালমানের (বা) নিকট যাই ৷ সালমানের (বা) সম্মুখে একটি

    বিরাট পাথর পড়েছিল যা তিনি তাঙ্গতে পারছিলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমাকে সুযোগ
    দাও, আমি প্রথম আঘাত করি ৷ তিনি “বিসৃমিল্লাহ্” বলে সেটিতে আঘাত করলেন ৷ সেটির এক-
    তৃভীয়াৎশ ফেটে গেল ৷ তিনি বললেন “আল্লাহ আক্বার” , কারা গৃহের মালিকের কলম, এ যে
    সিরিয়া সাম্রাজোর প্রাসাদগুলাে ৷ তিনি আবার আঘাত করলেন ৷ এবার আরো একটু অংশ খসে
    গেল, তিনি বললেন, আল্লাহ আক্বার, কাব৷ গৃহের মালিকের কলম ! এ যে পারস্য সাম্রাজোর
    প্রাসাদগুলাে ৷ তখন ঘুনাফিকগণ ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল, আমরা জান ইা৷চানাের জন্যে পরিখ৷ খনন
    করছি আর উনি আমাদেরকে পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ৷

    হাফিয বায়হাকী বলেছেন, আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান বাবা ইবন আযিব
    আনসারী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ৷,সা) আমাদেরকে পরিখ৷ খননের
    নির্দেশ দিলেন ৷ তখন একটি পরিখার মধ্যে আমাদের সম্মুখে একটি বড় ও কঠিন পাথর এসে
    পড়ল, শাবল তার মধ্যে কোন কাজ করতে পারছিল না ৷ সৎগ্নিন্ত্র লোকজন সংবাদটি রাসুলুল্লাহ
    (সা)-কে জানান ৷ তিনি পাথরটির দিকে তাকালেন এবং কোদাল হাতে নিয়ে বিসৃমিল্লাহ্ বলে
    তাতে আঘাত করলেন ৷ সে আঘাতে এক তৃভীয়াৎশ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ
    আক্বার সিরিয়া ৷র চাবিগুচ্ছ আমাকে দেয়৷ হল ৷ আল্লাহর কলম , আমি অবশ্যই সেখানকার লাল
    লাল প্রাসাদগুলাে আমি দিব্যি দেখতে পাচ্ছি ৷ তিনি পাথরে দ্বিতীয়বার আঘাত করলেন ৷ এবার
    অপর তৃভীয়াংশ ভেঙ্গে পড়ল ৷ তিনি বললেন, “আল্লাহ আক্বার পারস্য সাম্রাজোর চাবিগুলাে
    আমাকে দেওয়া হল ৷ আল্লাহর কলম, আমি মাদায়েনের সাদা সাদা প্রাসাদগুলাে দেখতে পাচ্ছি ৷
    তৃভীয় আঘা৩ ৩হানলেন পাথরের উপর এবং বিসৃমিল্লাহ্ বললেন ৷ তাতে পাথরের অবশিষ্ট

    অংশ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ আক্বার ইয়ামান রাজোর চাবিগুলো আমাকে দেওয়া
    হল ৷ আল্লাহর কলম, আমি এখন এই স্থান থেকে সানআ নগরীর য়ল্টকগুলাে দেখতে পাচ্ছি ৷
    এই হাদীছ ও পারীব তথা একক বর্ণনাকারীর বর্ণনা ৷ মায়মুন ইবন উসতা এটি একা বর্ণনা

    করেছেন ৷ তিনি বসর৷ নগরীর লোক ৷ ধারা এবং আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে তিনি হাদীছ
    বংনাি করেছেন ৷

    ইমাম নাসাঈ (র) বলেছেন, ঈসা ইবন ইউনুস জনৈক সাহাবী (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
    তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন পরিখ৷ খননের নির্দেশ দিলেন তখন পরিখ৷ খননকারীদের
    সম্মুখে একটি পাথর এসে পড়ল ৷ তাতে খনন কার্য বন্ধ হয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) উঠে শাবল
    হাতে নিলেন ৷ তার চাদরটি পরিখার এক পার্থে রাখলেন ৷ তারপর বললেন :
    ও ন্যায়েরদিক দিয়ে
    আপনার প্রতিপা ৷লকের বাণী সম্পুণ এবং তার বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নেই ৷ তিনি সবশ্নোতা

    সর্বজ্ঞ) ৷ তিনি স্বহস্তে পাথরে আঘাত করলেন ৷ পাথরের একতৃভীয়াত্শ ভেঙ্গে গেল ৷ হযরত
    সালমান ফা ৷রসী (রা) দাড়িয়ে দাড়িয়ে তা দেখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঘাতের সাথে

    বিদ্যুচছটার মত চমকাচ্ছিল ৷ তিনি দ্বিতীয় বার আঘাত করলেন এবং বললেন :

    এবার পাথরটির আরেক

    তৃভীয়াৎশ ভেঙ্গে গেল ৷ আঘাতের সাথে আলো জ্বলে উঠেছিল ৷ হযরত সালমান (রা) তা
    দেখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)ত তর্জীয়বার আঘাত করলেন এবং বললেনং : ;াট্রুট্রু ইাদ্বু ট্রু,
    ৰুাট্রুপু ৷ স্পো ৷ মোঃ, মোঃ ট্রুাণ্রু ৰুশুট্রুধ্ ৷প্ৰু এবার অবশিষ্ট ভৃভীয়াৎশও ভেঙ্গে
    গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ থেকে উঠে এলেন ৷ তিনি তার চাদরত তুলে নিলেন এবং বললেন ৷
    হযরত সালমা ৷ন (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা)! আমি দেখেছি, আপনি যতৰারই আঘাত
    করেছেন ততবারই বিদ্যুতের মত আলো জ্বলে উঠেছে ৷ রাসুগৃল্লাহ্ (সা) বললেন, সা লমা ন তুমি
    কি তা দেখেছ ? তিনি বললেন ত্মী হা, যে মহান সত্তা আপনাক সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন
    তার শপথ, আমি তা দেখেছি ৷

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি যখন প্রথমবার আঘাত করি তখন পারস্যের কিসরার মাদায়েন
    ও আশেপাশে বহু শহর আমার নিকট তুলে ধরা হয়েছিল ৷ আমি স্বচক্ষে সেগুলো দেখেছি ৷
    উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! দুআ করুন , আল্লাহ্ যেন ওইগুলোর উপর
    আমাদেরকে বিজয়ী করে দেন ৷ আমরা যেন ধন-সম্পদ গনীমতের মাল রুপে পেতে পারি এবং
    নিজ হাতে ওদের শহর নগর পদদলিত করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে দৃআ করলেন ৷ তিনি
    বললেন, আমি যখন দ্বিতীয়বার আঘাত করি তখন বোমক সম্র৷ ৷ট কায়সারের রাজধানী এবৎ৩ ৷ তবে
    আশেপাশে অবস্থিত ৩শহরগুলে৷ আমার নিকট তুলে ধরা হয় ৷ আমি স্বচক্ষে ওহীগুলাে দেখেছিা
    তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ আল্লাহর নিকটদু আ করুন ৷ তিনি যেন ওইগুলে৷ আমাদের
    করায়ত্ত করে দেন ৷ আমরা যেন ওদের ধন-সম্পদ ও ছেলে যেয়েদেরকে গনীমতের মালরুপে
    পেতে পারি এবং ওদের নগর শহরগুলি পদানত করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ করলেন ৷
    তিনি বললেন, আমি যখন তৃতীয় আঘাত করলাম তখন আবিসিনিয়৷ ও তার আশে পাশের
    জনপদগুলে৷ আমার নিকট তুলে ধরা হয় ৷ আমি স্বচক্ষে সেগুলো দেখতে পাই ৷ তারপর
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যত দিন আবিসিনিয়ার লোকেরা ৷দেরকে উতক্তে না করে তোমরা ও
    ততদিন তাদেরকে উত ৩ক্ত করবে না ৷ আর তুর্কীর৷ যতদিন তােমাদেরকে আক্রমণ না করে
    তোমরাও ৩৩শেন ৩াদেরওে আঞমং৷ কর(র না ৷ নাস৷ ৷ঈ (র) এভাবে দীর্ঘ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
    -আবু দাউদ

    নাসাঈকে উদ্ধৃত করে শেষের অংশটুকু বর্ণনা করেছেন ৷

    এরপর ইবন ইসহাক বলেছেন, বিশ্বস্ত এক ব্যক্তি আমার নিকট আবু হুরায়র৷ (রা ) সুত্রে বর্ণনা
    করেছেন যে, হযরত উমর (রা ) , উছমান (রা) ও তাদের পরে যখনই এসব শহর বিজিত হত
    তখন আবু হুরায়র৷ বলতেন, তোমরা যত সুযোগ পাও জয় করে নাও, আবু হুরায়রা এর প্রাণ যার
    হাতে তার কলম, তোমরা যত শহর জয় করেছ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত শহর জয় করবে তার
    সবগুলোর চা ৷বি পুর্বেই আল্লাহ্ তা আলা মুহাম্মাদ (সা ) কে দিয়ে দিয়েছেন ৷ এ সনদটি বিচ্ছিন্ন,
    তবে অন্যত্র তা পুর্ণ সনদসহ হয়ে বর্ণিত হয়েছে ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার ৷

    ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাজ্জাজ — — হযরত আবু হুরায়র৷ (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলছিলেন আমি প্রেরিত হয়েছি

    “স্বল্প ভাষায় অধিক মর্য প্রকাশের ক্ষমতা দিয়ে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গান্তীর্য দ্বারা আমি
    সাহায্য প্রাপ্ত হ৫য়ছি, একদিন আমি ঘুমন্ত ছিলাম তখন পৃথিবীর সকল সম্পদের চাবি এসে আমার
    হাতে দেয়৷ হয় ৷ বুখারী একা এই হাদীছঢি ইয়াহ্য়ড়া ইবন বুকায়র ও সাদ ইবন উফায়র সুত্রে লায়ছ
    থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে, আবু হ্রায়র৷ (বা) ব গেছেন , র ৷ পুণুগ্লাহু (সা) বিদায়
    নিয়েছেন আর ৫ তামরা ওই সম্পদটি সংগ্রহ করছ ৷

    ইমাম আহমদ (ব) বলেন , ইয়াযীদ — আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
    বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “পান্তীর্য দ্বারা আমাকে সাহান্হা৷ করা হয়েছে, আমি
    “জাওয়ামিউল কালিম” তথা স্বল্প শব্দে অধিক মর্য প্রকাশের শক্তি পেয়েছি সমগ্র ভুজপত আমার
    জনাে মসজিদ স্বরুপ ও পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে ৷ আমি একদিন ঘুমত্ণ্শ্ব ছিলাম , তখন পৃথিবীর
    যাবতীয় সম্পদের চাবি আমার নিকট উপস্থিত করা হয় এবং আমার হাতে তা তুলে দেওয়া হয় ৷
    ইমাম মুসলি৫মর শর্ত মুতাবিক এই হাদীছের সনদ খুব মযবুত হলেও অন্যানার৷ তা উদ্ধৃত
    করেননি ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ ঘুসলি৫ম আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “ব ৩মান রোম
    কায়সার সম্রাটের) পতন হলে এরুপ কায়সার আর হবে না ৷ বর্তমান কিসরার পতন হলে ( এরুপ)
    কিসরা আর হবে না ৷ যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম, ওই সাম্রাজ্যগুলোর ধন-সম্পদ আল্লাহর
    পথে তোমরা ব্যয় করবে ৷ ’সহীহ্ হাদীছে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্( (যা) বলেছেন : রুা৷ ৷
    -আল্লাহ্ তা আলা পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলসমুহ সংকুচিত করে আমার নিকট উপস্থিত
    করেছিলেন ৷ যেই সীমা পর্যন্ত আমার নিকট উপস্থিত করা হয়েছে আমার উম্ম৫ত র রাজতু ওই
    সীমা পর্যন্ত বিন্তুত ও প্রসারিত হয়ে ৷

    অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ খনন শেষ করলেন ৷ মক্কার দিক
    থেকে কুরায়শর৷ এলে রুম৷ অঞ্চলে জুরুফ ও ষুপাবাহ্ এর মাঝামাঝি মুজতামা আল আসইয়াল
    নামক স্থানে অবস্থান নেয় ৷ তাদের সং থ্যা ছিল ১০ হাজার ৷ তাদের সাথে ছিল অস্ত্র শ্াস্ত্র বাহন ও
    অন্যান্য সনদপত্র ৷ বানু কিনানা ও তিহামাবাসী কতক ৫লাকও সাথে ছিল ৷ পাতফান ও নাজদের
    লোকজন এসে অবস্থান নেয় উহু৫দর দিকে যাম৫র নাকমায় ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (,সা)ও মুসলিম
    সেনাবাহিনী ৫বর হলেন ৷ তাদের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৷ সাল৷ পাহাড়কে ৫পছ৫ন রেখে তারা
    অবস্থান নিলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে তার সৈন্যদলকে যুদ্ধের জন্য প্রন্তুত করে রাখলেন ৷ শত্রু
    সৈন্য ও মুসলমানদের মাঝখানে রইল খন্দক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এব নির্দেশে শিশু ও মহিলাদেরকে
    একটি ঢিলার উপরে অবস্থিত দুনুে নিয়ে রাখা হয় ৷ ইবন হিশাম বলেন, মদীনার শাসনভার তখন
    হযরত আবদুল্লাহ ইবন উম্মি মাকতুমের হাতে ন্যস্ত ছিল ৷ আমি বলি, নিম্নের আয়াতে এদিকেই
    ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ আল্লাহ তা আল৷

    তোমাদের বিরুদ্ধে সমাপত হয়েছিল উচ্চ অঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চল হ৫তশ্ ৫তামাদের চক্ষু বিম্ফারিত

    হয়েছিল,তামাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কন্ঠ গত এবং তে তমরা আল্লাহ সম্বন্ধে নানাবিধ ধারণা
    পোষণ করছিলে ৷ (৩৩ অ হযাবং : ১০) ৷

    ইমাম বুখারী (র) বলেন, উছাংান ইবন আবুশায়বা —- আইশ৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন
    আয়াত সম্পর্কে তিনি
    বলেন এ ঘটনা ঘটেছিল খন্দকের যুদ্ধের দিনে ৷

    মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, সম্মিলিত শত্রু বাহিনী মদীনায় উপকণ্ঠে অবতরণের পর বনুকুরায়যা
    গোত্র নিজেদের দুর্গের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ৷

    ইবন ইসহাক বলেন হুয়ই ইবন আখতার নাযীবী এণয়ে গেল ৷ সে কুরয়যা গোত্রের
    নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি কা ব ইবন আসাদ কুরযীর নিকট গািহ্ পৌছল ৷ হুয় ই ইবন আ খতরের
    আগমন সংবাদ শুনে কাব ইবন আসাদ দুর্গের দরজা ভালভাবে বন্ধ করে দিল যাতে সে ভেতরে
    প্রবেশ করতে না পারে এবং তার সাথে সাক্ষত না হয় ৷ হুয়ই দরযয় গিয়ে ভেতরে প্রবেশের
    অনুমতি চাইল কিন্তু কা ব তাকে অনুমতি দিল না ৷ হুয ই ডেকে ডেকে বলল, দৃর্ভে৷ ৷গ তোমার
    হে কা ব ৷ আমি এসেছি দরয খুলে দাও ৷ কা ব বলল, হে হয় ৷ই , দৃর্ভোগ তোমার তুমি একজন
    অপয় লোক ৷ আমি ঘুহাম্মদের (সা) সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ৷ এখন আমি ওই চুক্তি ভঙ্গ করতে
    পারব ন, আ তার পক্ষ থেকে চুক্তি রক্ষা ও সতত ছাড় আন্য কিছু পা ইনি ৷ হুয়ই বলে ধুত্তরী,
    তুমি দরজা খােল, আমি৫ আমার সাথে কথা বলব ৷ কা ব বলল ন আমি দরজা খুলব না ৷ হয় ই
    বলল, বুঝেছি, আমি ভেতরে ঢুকে তোমার খবরে ভাগ বসাবএ ভয়ে তুমি আমার জন্যে দরজা
    বন্ধ করে রেখেছ ৷ এতে কা বের আত্মসম্মনে আঘাত লাগে এবং সে দরজা খুলে দেয় ৷ হুয়ই
    বলল, হে ক ব আমিৰু তামার নিকট একটি বিরাট ও বিরল সম্মান ও অতল সাগরের সন্ধান নিয়ে
    এসেছি ৷ সে বলল,৩ ত আবার কী ? হুয়ই বলল কুরয়শের সকল নেতৃস্থানীয় লোকদেরকে আমি
    সাথে নিয়ে এসেছি ৷ ওদেরকে রুমা অঞ্চলের “মুজতামা আল আসয়ল” নামক স্থানে রেখেছি ৷
    আমি গতফান গোত্রের লোকজনকে ওদের ণ্নতকর্মীসহ নিয়ে এসেছি ৷ ওদেরকে উহুদ পাহাড়ের
    পাদদেশে নাকমা-তে রেখেছি ৷ ওর সকলে আমার সাথে ওয়দাবদ্ধ হয়েছে যে, মুহাম্মাদ (সা) ও
    তার সাথীদেরকে নির্মুল না করে কেউ ফিরে যাবে ন ৷ কাব বলল , তুমি আমার নিকট থুশীর
    খবর আননি; বরং এনেছ অপমান ও লাঞ্চুনর খবর ৷ তুমি আমার নিকট নিয়ে এসেছ এমন
    যেঘমালা য পানি শুন্য ৷ যা শুধু বজ্রপাত করে ও বিদ্যুৎ চমকয়; কিন্তু তার মধ্যে কোন পানি
    নেই ৷ হে হুয়ই ! তুমি আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও ৷ কারণ, আমি মুহাম্মদের (সা) পক্ষ
    থেকে কােনদিন চুক্তি তলের কোন উদ্যোগ দেখিনি, তিনি সততর সাথে বরং চুক্তি ও অঙ্গীকার
    পালন করে চলেছেন ৷ এ বিষয়ে আমর ইবন সাদ কুরযীও কথা বলেছিল ৷ যে খুব উত্তম কথা
    বলেছিল বলে মুসা ইবন উকব উল্লেখ করেছেন ৷ রসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ওদের চুক্তি ও
    অঙ্গীকরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সে তখন বলেছিল, তে আমরা যদি মুহাম্মাদ (স) কে সাহায্য
    করতেন না চাও তবে তাকে ছেড়ে দাও ৷ তিনি নিজে নিজেরট বুঝবেন ৷ কিন্তু তোমরা তার
    শত্রুদেরকে সাহায্য করতে যেয়েন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন , হুয়াই ইবন আখতার নাছোড়বান্দা ৷ সে কাব (ক ধরেছে তো ধরেছেই
    আর ছাড়ছে না ৷ আকাশ পাতাল অনেক বুঝাতে বুঝাতে শেষ পর্যন্ত কা ব চুক্তিভঙ্গ করতে রাজয
    এবং রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করতে রাষী হয়ে গেল ৷
    তবে একটা শর্ত ছিল যে , এ ব্যাপারে হুয়াই ইবন আখতার অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে যে , মুহাম্মাদ
    (সা)-কে পরাজিত করতে না পেয়ে যদি কুরায়শ ও পাতফান গোত্র ফিরে যায় তাহলে সে বনু
    কুরায়যা গোত্রের দুর্গে ঢুকে পড়বে এবং ওদের যে পরিণতি হবে স্ব,স- ওই পরিণতি ভোগ
    করবে ৷ তখন কাব ইবন আসাদ তার ও রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর মাঝে যে চুক্তি ছিল তা বাতিলের
    ঘোষণা দিল ৷

    মুসা ইবন উক্বা বলেন, কাব ইবন আসাদ ও বনু কুরায়যার (হুন্ব্বকজন হুয়াই ইবন
    আখতাবকে নির্দেশ দিল কুরায়শ ও পাতফান গোত্রের কতক লোককে বন্দণ্শ্ব১ রাখতে ৷ ওরা বনু
    কুরায়যার নিকট আবদ্ধ থাকবে যাতে মুহাম্মাদ (সা)ন্-£ক পরাজিত না করে ওরা ফিরে পেলে বনু
    কুরায়যার গোত্র অত্যাচারিত না হয় ৷ তারা বলল যে, ওদের ৯০ জন স্ন্তুাম্ভ লোক বন্ধক হিসেবে
    থাকবে ৷ হুয়াই ইবন আখতার এ বিষয়ে কুরারশী ও পাতফানীদেরকে রাযী৷ করাল ৷

    এ পর্যায়ে বনুকুরায়যার লোকেরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করল এবং চুক্তিপত্র ছিড়ে ফেলল ৷ তবে
    সানার পুত্রএয় আসাদ উসায়দ ও ছালাবা ইয়াহ্রদীদের পক্ষ ত্যাগ করে রাসুলুল্লাহ্ ( সা;)-এর নিকট
    চলে যায় ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহুদীদের প্রতিশ্রুতি তলের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) এবং অন্যান্য
    মুসলমানদের নিকট (পৌছে যায় ৷ তিনি আওস প্রধান সাদ ইবন মুআয এবং খাযরাজ গোত্র প্রধান
    সাদ ইবন উবাদা (রা)-কে সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জানা পাঠালে ন ৷ তাদের সাথে ছিলেন
    তা৷বদুল্লাহ্ ইবন রাওয়া হা ও খাওয়াত ইবন জুবায়র ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা ওই
    সম্প্রদায়ের নিকট যাও ৷ তারপর দেখ, আমরা যা শুনেছি তা সত্য কিনা ৷ যদি ওই ঘটনা সত্য হয়,
    তবে সাংকেতিক শব্দ দ্বারা পরিস্থিতি আমাকে জানাবে ৷ মুসলমানদের আম মজলিসে তা ঘোষণা
    করবে না ৷ আর যদি ওরা চুক্তি বহাল রাখে তবে মুসলমানদের আম মজলিশে তা প্রকাশ করতে
    পার ৷ তারা গেলেন ওদের নিকট ৷ তারা ওদের দুর্পের মধ্যে প্রবেশ করলেন ৷ তাদেরকে চুক্তি
    নরায়ন ও পুনঃচুক্তি সম্পাদনের আহ্বান জানালেন ৷ তারা বলল, হার এখন ? অথচ আমাদের
    একটি ডানা ভেঙ্গে গেছে ৷ অর্থাং বানু নাযীর গোত্র বহিষ্কৃত হয়েছে ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
    সম্পর্কে কর্টুক্তিও করে ৷ সাদ ইবন উবাদাহ (রা) ওদেরকে পাল মন্দ করতে লাপলেন ৷ তারা
    তাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল ৷ হযরত সা“দ হইল মৃআয বললেন, আল্লাহর কসম, আমরা ঝগড়া
    করতে আসিনি ৷ এখন আমাদের যে পরিস্থিতি তা গালপ্মান্দর চেয়েও গুরুতর ৷ এবার সাদ ইবন
    মু“আয (রা ) ওদেরৰুক ডেকে বললেন, হে বনু কুরায়যা গোত্র ! তোমাদের মাঝে এবং রাসুলুল্লাহ্
    (সা ) এর মাঝে কী চুক্তি ছিল তা তোমাদের জানা আছে ৷ ওই চুক্তি ভঙ্গ করলে বনু নাযীরের ন্যায়
    কিংবা তদপেক্ষা কঠিন পরিণতি তোমাদের হতে পারে বলে আমি আশংকা করছি ৷ তারা তখন
    তার প্রতি অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে ৷ তিনি বললেন, শালীন ভাষা ব্যবহার করাটাই তোমাদের
    জন্যে উত্তম ছিল ৷

    ইবন ইসহাক বলেন , ওরা রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সম্পর্কে কর্টুক্তি করেছিল ৷ তারা বলেছিল,

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবার কে ? মুহাম্মাদ ও আমাদের মধ্যে কোন চুক্তি নেইা সা দ ইবন মু“আয
    তাদেরকে ভব্সনা করলেনা ওরাও তাকে পাল্টা ভহ্সনা করলা সাদ ইবন মুআয (রা ) ছিলেন
    অত্যন্ত তেজম্বী প্রকৃতির লোকা সাদ ইবন উবাদা (রা) বললেন থাক থাক পাল মন্দের দরকার
    নেই ৷ এখন আমাদের আর ওদের মধ্যকার পরিন্থিতিতার চেয়ে অনেক বেশী গুরুতরা হযরত
    সা দ ইবন মু আর, সা দ ইবন উবাদাহ্ এবং৩ তাদের সাথে যারা ছিলেন তারা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
    নিকট ফিরে এলেনা তারা তাকে সালাম জানিয়ে সাং কোতক তার য় বললেন, “আমল ও কারাহ
    গোত্র”া অর্থাৎ আযল ও কারাহ গােত্রদ্বয় যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করে হযরত থুবায়ব (বা) ও তার
    সাথীদেরকে হত্যা করেছিল এরাও তেমনি বিশ্বাসঘাতকতার পথ ব্বরছে নিয়েছে ৷ তাদের বক্তব্য
    শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলে উঠলেন “আল্লাহ আকবার ” হে মসলিমপণ ! সুসংবাদ গ্রহণ করা

    মুসা ইবন উকবা বলেন, বনুকুরায়যা গোত্রের সংবাদ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাপড়ে মাথা
    ঢেকে শুয়ে পড়লেনা দীর্ঘক্ষণ তিনি এ অবস্থায় ছিলেন ৷ তাকে শায়িত দেখে লোকজন
    দৃশ্চিন্তাগ্নস্ত ও শংকিত হয়ে পড়লা তারা বুঝতে পারল যে, বনু কুরায়যার ব্যাপারে ভাল সংবাদ
    আসেনিা এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা তুললেন এবং বললেন সকলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে
    সাহায্য ও বিজয়ের সুসংবাদ গ্রহণ করা

    ভোরবেলা উভয় পক্ষ মুখোমুখি হল ৷ তীর ও পাথর নিংক্ষাপর ঘটনা ঘটলা রাবী সাঈদ ইবন
    ঘৃসায়িব্রর (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তখন বলেছিলেন :

    “হে আল্লাহা আমি আপনার দেয়া ওয়াদা ও অঙ্গীকার পুর্ণ করার প্রার্থনা জানাচ্ছিা হে আল্লাহ!
    আপনি যদি চান যে , আপনার ইবাদত করা হবে না তবে তাই হয়ো” ইবন ইসহাক বলেন, এ
    সময়ে এক দারুণাপরীক্ষা উপ ত হয়া লোকজনের মা,ন প্রচন্ড ভীতির নঞ্চার হয়া শত্রু পক্ষ
    এগিয়ে আসে তাদের উধ্বঞ্চিল ও নিম্নাঞ্চদ্বন্া থেকো ঈমানদারগণের মনে নানাবিধ ধারণা সৃষ্টি হয়া
    আর মুনাফিকরা প্রকাশো মুনাফিকী কথাবা৩া শুরু করে দেয়া আমর ইবন আওফ গোত্রের
    মৃআত্তা ব ইবন কুশায়র বলে উঠে, মুহাম্মাদ তো আমাদেরকে রোমকও পারস্য সম্রাাটর ধন-সম্পদ
    ভোগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনা অথচ আমাদের সঙ্গীরা এখন পায়খানায় যাওয়ার নিরাপত্তাও
    পাচ্ছেন না আওস ইবন কায়সী বলেছিল ” হে আল্লাহর রাসুল ! আমাদের বাডীঘর শত্রু পক্ষের
    সম্মুখে অরক্ষিতা ওদের অনেকেই এরুপ কথা বলে ৷ সুতরাং হে রাসুল ! আমাদেরকে আমাদের
    বাড়ী যাওয়ার অনুমতি দিনা অামাদের বাড়ী তো মদীনায় বাইরে অবস্থিতা আমি বলি, আল্লাহ
    তা আালা নিম্নের আয়াতে ওদের কথ ই বলেছেন, আল্লাহ্ তা অালা বলেহ্নো :
    মুনাফিকর৷ এবং যাদের অন্তরে ছিল ব্যাধি তারা বলছিল ৷ আল্লাহ এবং তার রাসুল
    আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় ৷ এবং ওদের একদল
    বলেছিল, হে ইয়াছরিবরাসী ৷ এখানে তোমাদের কে ন স্থান নেই ৷ তোমরা ফিরে চল, এবং
    ওদের মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত ৷
    অথচ ওগুলো অরক্ষিত ছিল না ৷ আসলে পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্যে ৷ (৩৩ আহযাব :
    ১২, ১৩) ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থ৷ ৷নিলেন ৷ আর মুশরিকরা

    নিক্ষেপ ছা ড়৷ অন্য কো ন যুদ্ধ হয়নি ৷ বিপদ খুব কঠিন দেখতে পেয়ে র ৷ নুলুল্লাহ্ (সা) পাতফান
    গোত্রের দৃনেতা উয়ায়না ইবন হিসন এবং হারিছ ইবন আওফের নিরন্ট প্রস্তাব পাঠালেন যে, ওরা
    যদি ওদের সাথীদেরকে নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরে যায় তবে তাদের ক মদীনায় উং পাদিত মোট
    থেজুরের এক তৃভীয়াৎশ প্রদান করা হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও পাত ফানী নেতাদের মাঝে চুক্তি
    বিষয়ক আলাপ আলোচনা চলছিল ৷ চুক্তিপত্র লিখা হয়ে গিয়েছিল ৷ তবে স্বাক্ষর ও সত্যায়ন
    তখনো হয়ে সারেনি ৷ ইত্যবসরে বিষয়টি সম্পর্কে পরামর্শের জন্যে তিনি সাদ ইবন মুআয ও সাদ
    ইবন উবাদা (রা)-কে ডেকে পাঠালেন ৷ তারা এলেন র ৷ সুপৃল্লা হু (সা) তাদেরকে ঘটনা আ ন৷ লে ন ৷
    এবং এ ব্যাপারে তাদের পরামর্শ চাইলেন ৷ তারা বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এটি কি আপনার
    ব্যক্তিগত পসন্দের সিদ্ধ ন্ত ?ত তাহলে আমরা অবশ্যই তা মেনে নিব ৷ অথবা এটি কি অ ল্লাহব
    নির্দেশ ? তাহলেও আমরা অবশ্যই এটি মােন নেব ৷ অথবা এটি ক আমাদের স্বার্থের দিকে
    তাকিয়ে আপনি করতে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন এটি বরং তোমাদের স্বার্থেই আমি
    করতে চাচ্ছি ৷ আমি এজন্যে এটি করতে চাচ্ছি যে, আমি দেখছি আরবদের সকলে একজােট
    হয়ে তোমাদের উপর আক্রমণ করছে একই ধনুক থেকে তারা ভীর ছুড়ছে তোমাদের প্ৰতি এবং
    চারিদিক থেকে ওরা ঘিরে ফেলেছেওে তােমাদেরকে ৷ আমি চাচ্ছি যে এ কৌশলের মাধ্যমে ওদের
    ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে ওদেরকে দুর্বল করে দিই ৷ সা দ ইবন মু আয় (রা) বললেন, ইয়া
    রাসুলাল্লাহ্ (না)! এমন এক সময় ছিল যখন আমরা এবং ওরা সকলে শিরকরাদী ছিলাম ৷
    মুর্তিপুজা ৷রী ছিলাম ৷ আমরা তখন অ ৷ল্লাহ্র ইবাদত করত ৷ম না আল্লাহ্কে চিনতাম না ৷ তখন তারা
    ক্রয় কিৎবা আমাদের পক্ষ থেকে আতিথ্য ব্যতীত আমাদের একটা থেজুরের দিকে লোলুপ দৃষ্টি
    নিক্ষেপ করতে পারেনি ৷ আর এখন আল্লাহ্ তাআল৷ আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মানিত
    করেছেন ৷ আমাদেরকে ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছেন ৷ আপনার উপস্থিতি ও তার দয়ায়
    আমাদেরকে মহিমাযিত করেছেন ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! এখন কি আমরা আমাদের মাল-সম্পদ
    ওদের হাতে তুলে দেব ? এমন চুক্তির আমাদের প্রয়োজন নেই ৷ আল্লাহর কলম! আমরা
    ওদেরকে কিছুই দেব না ৷ শুধুউচিয়ে ধরব তরবাবি যতক্ষণ না মহান আল্লাহ্ আমাদের আর ওদের
    মাঝে ফায়সালা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ঠিক আছেত মি যা চাচ্ছে৷ তাই হবে ৷ হযরত
    সা দ ইবন মু আয় চুক্তি পত্রটি হাতে নিয়ে সকল লিখা মুছে ফেললেন ৷ তারপর বললেন, এবার
    ব্যাটার৷ আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করুক ৷

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও সাহাবীগণ অবরুদ্ধ হয়ে রইলেন ৷ বড় কোন সংঘর্ষ তখনও হয়নি ৷ হঠাৎ
    কুরায়শের কতক অশ্বারোহী সাহসী যোদ্ধা বনু আমির ইবন লুওয়াই গোত্রের আমর ইবন আবদে
    উদ, ইকরিমা ইবন আবু জাহল , হুরায়রা ইবন আবু ওয়াহব মাখবুযী , দিরার ইবন খাত্তাব ইবন
    মিরদাস প্রমুখ সম্মুখ যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেল ৷ তারা তপ্লোর অশ্ব দলে চেপে বলল এবং বনু
    কিনান৷ গোত্রের অবস্থান ক্ষেত্রে গিয়ে বলল, হে বনু কিনান৷ গোত্র যুদ্ধের জন্যে প্রন্তুত হও ৷
    আজই তোমরা বুঝতে পারবে অশ্বারোহী যোদ্ধা কাকে বলে ৷ এরপর তারা বীরত্বের সাথে যোড়া
    হাকিয়ে পরিখার নিকট পৌছে ৷ পরিখ৷ দেখতে পেয়ে তারা বলল, হায় আল্লাহ্ৰু এ যে, এক নতুন
    ফন্দী দেখছি ৷ আরবর৷ তো এমন কৌশল কােনদিন অবলম্বন করেনি ৷ প্রশস্ত পরিখ৷ অতিক্রমে
    অপারগ হয়ে তারা এমন স্থান খুজতে লাগল যেখানে পবিখার প্রশস্তত৷ কম ৷ খন্দক ও নানা
    পাহাড়ের মধ্যবর্তী এরুপ একটি স্থানে৩ তারা গিয়ে পৌছে হ৷ ৷কিয়ে৩াব৷ পরিখ৷ পা ৷রও হয়ে
    যায় এবং তাদেরকে নিয়ে তাদের অশ্বগুলাে পরিখ৷ ও মধ্যখানে লাফাতে থাকে ৷
    এদিকে কয়েকজন মুসলিম যোদ্ধা নিয়ে বেরিয়ে এলেন হযরত আলী (রা৷ ৷ যে পথে শত্রু পক্ষ
    পরিখ৷ ৷পার হয়েছিল তারা সেখানে এলেন ৷ শত্রুপক্ষের অশ্বারোহির৷ বীরত্বের সাথে৩ তাদের দিকে
    এগিয়ে গেল ৷ শত্রুপক্ষের আমর ইবন আবদ উদ্দ বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে আহত হয়ে প্রাণে
    বেচে গিয়েছিল ৷ এই যখমের জন্যেই সে উহুদ যুদ্ধে যে অংশ নিতে পারেনি ৷৩ তাই খন্দক যুদ্ধে
    বীরতু দেখানোর জন্যে পতাকা হাতে বের হয় ৷ অশ্বারোহী সঙ্গিগণ সহ পরিখ৷ পর হয়ে সে
    মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে বলে, কে আছ যে, আমার সাথে লড়াই করতে আসবে ? তার
    মুকাবিলায় বেরিয়ে আসলেন হযরত ৩আলী (রা ) ৷ তিনি বললেন, হে আমর ! তুমি তো আল্লাহর
    সাথে অঙ্গীক৷ ৷র করেছিলে যে, কোন কুরায়শী লোক যদি তামাকে দুটো প্রস্তাব দেয়৩ তুমি দুটোর
    যে কোন একটি মেনে নিয়ে ৷ সে বলল, হা৩াইতে৷ ৷ হযরত আলী বললেন, তবে আমি
    তোমাকে আল্লাহর পথে, তার রাসুলের পথে এবং ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জ নাচ্ছি ৷ আমর
    বলল, না ও সরের আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, তবে আমি তোমাকে
    যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানাচ্ছি ৷ সে বলল, ভাতিজ ৷আল্লাহ্র কসম, তোমার মত যুবককে
    হত্যা করতে আ ৷মি পসন্দ করি না ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, আ ৷মি কিন্তু তোমাকে হত্যা করতে
    খুবই আগ্রহী ৷ একথা শুনে আমর রেগে যায় এবং ঘোড়া থেকে নেমে পড়ে ৷ আপন তরবাবিতে
    যে নিজের ঘোড়ার পা কেটে দিয়ে তার মুখে আঘাত করে ৷ এরপর হযরত আলীর (রা) সম্মুখে
    উপস্থিত হয় ৷ উভয়ে তরবারি পরিচালনা শুরু করেন ৷ শেষ পর্যন্ত হযরত আলী (বা) ওকে হত্যা
    করেন ৷ তার সাথী অশ্বারোহ্নিাণ পরাজয় বরণ করে , পরিখ৷ পার হয়ে পালিয়ে যায় ৷
    ইবন ইসহাক বলেন, এ প্ৰসৎগে হযরত আলী (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন ;;

    সে সাহায্য করেছে পাথরের মুর্ডিং ৷ এটি ছিল তার মুর্থতাপুর্ণ সিদ্ধান্ত ৷ আমি সাহায্য করেছি
    মুহাম্মাদ (সা) এর প্রতিপা ৷লকের ৷ আ ৷মি অনুসরণ করেছি সঠিক পথের ৷
    তাকে মাটিতে (ফলে দিয়ে আমি যখন ফিরে আমি তখন তাকে মনে হয়েছিল বালুস্তুপ ও
    পাহ৷ ৷ড়ী টিলা র মাঝখানে সে একটি কর্তিত বৃক্ষ কাণ্ড ৷

    আমিও ৷ ৩ার কাপড়-চােপড় ও অস্ত্রশস্ত্র ছেড়ে এসেছি ৷ আমি যদি ক ৷তাইই৷ জাম৷ ৷পরিধান করতে
    চাইতাম তবে তা পার৩ ৷ম ৷ কিন্তু আম৷ র কা ৷পড়ই আমার জন্যে যথেষ্ট ৷

    হে সম্মিলিত শত্রু বাহিনী ৷ কখনো মনে করোন৷ যে আল্লাহ তাআল৷ তার দীনকে এবং তার
    নবীকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করবেন ৷

    ইবন হিশাম বলেন, কবিতা বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে সন্দেহ করেন যে, এটি আলী (বা ) এর
    কবিতা কিন৷ ৷ ইবন হিশাম বলেন, আমরের করুণ অবস্থা দেখে ই ক রাম ৷সেদিন বশা ফেলে
    পালিয়ে যেচেছিল ৷ এ প্রসংগে হাসৃসান ইবন ছ বি৩ (র ) বলেন চ

    আমাদের জন্যে বর্শ৷ ৷ফেলে রেখে যে পালিয়ে গিয়েছে ৷ তুমি যদি বীর পুরুষ হতে তবে
    এরুপ করতে পারতে ন৷ ৷
    তুমি তো পৃষ্ঠ প্ৰদশ্নি করে পালিযেছ ৷ যেমন উটপাখী তার স্থান থেকে পালায় ৷
    বন্ধুতু ও সহা নুভুতি লাভের আশায় তুমি পিছনে ফিরে তাকাওনি (তামার ঘাড় যেন ছিল
    ইবন হিশাম বলেন, দু); ৷শব্দের অর্থ হচ্ছে ভল্লুক ছান৷ ৷
    হাফিয বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ইবন ইনহাক থেকে যে আমর ইবন
    আবৃদ উদ্দ লৌহ বর্মে মুখ ঢেকে উপ ড়হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে ৷ সে হাক ছেড়ে বলল, (ক
    আছ যে, আমার সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে ? হযরত আলী (র৷ ) দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) — এর
    অনুমতি চেয়ে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি আছি ওর বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) বললেন, যে যে আমর, তুমি বসে পড় ৷ আমর আবার হাক ছেড়ে বলল, এমন কোন বীর
    পুরুষ কি নেই যে আমার সাথে লড়৷ ৷ই করতে পারবে ? সে মুসলমানদেরকে বিদ্রুপ করতে লাগল
    এবং বল তোমাদের ওই জান্নাত কোথায় যা সম্পর্কে তোমরা বলে থাক যে তোমাদের :কউ
    নিহত হলে ওই জা ন্নাতে প্রবেশ করবে ? তোমরা কো ন পুরুষকে আমার সাথে লড়ওে পাঠাচ্ছনা
    কেন প্ হযরত আলী (বা) দাড়িয়ে বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ আমি প্রস্তুত ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
    বললেন, তুমি বসে পড় ৷ আমর তভীয়বার হাক ছেড়ে রললং :

    আমিও” তা ওদের সকলকে উদ্দেশ্য করে ডাক ছেড়ে বলেছি, তোমাদের মধ্যে লড়াই করার
    কেউ আছে কি ?

    আমি তো আমার অবস্থানে ঠায় দাড়িয়ে রইলাম ৷ বীর পুরুষের মত যখন সাহসী বীর পুরুষ
    হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে ৷

    তা এজনাে যে তরবারি পরিচ৷ ৷ালন র পুর্বেই আমি শত্রুখো ঘায়েল করতে অভ্যস্ত ৷
    নিঃসন্দেহে যুবকের মধ্যে বীরতৃ-সাহসিকতা ও দানশীলত৷ ৎাকা তার জন্যে সবােত্তম সম্পদ ৷
    বর্ণনাকারী বলেন, এবারও হযরত আলী (রা) উঠে দাড়ালেন এবং বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ !

    আমি প্রস্তুত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওয়ে আমর হয়রত্ আলী (বা) বললেন সে আমর হলেও

    আমিত তর ঘুকাবিলার জন্য প্রস্তুত ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ;ন্াক অনুমতি দিলেন ৷ তিনি এগিয়ে
    গেলেন আমরের দিকে এবং বললেন :

    ওহে, তুমি অত তাড়াহুড়া করো না ৷ তোমার হাক-ডাকের উপযুক্ত জবাব দানকারী তোমার
    সম্মুখে এসে পড়েছে ৷ এই ব্যক্তি অক্ষম ও দুর্বল নয় ৷
    উদ্দেশ্য ও দুরদৃষ্টিতে মোটেই অক্ষম নয় ৷ত তদুপরি সত্য হল সকল সফলতার চাবিকাঠি ৷
    গােড্রু১১১
    আমি আশা ৷করছি যে আমি তোমার সবদ্যেহর উপর বিলাপক৷ রিণীর ব্যবস্থা করব ৷

    এমন এক তরবারির আঘাতে আমি তোমার মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়ে দিব যে আঘাত প্রচণ্ড কর্তন
    শক্তি সম্পন্ন ৷ প্রত্যেক যুদ্ধের সময় ওই আঘাতের কথা মানুষ স্মরণ করবে ৷
    হযরত আলী (রা) এর বণ হুৎকার শুনে আমর বলল, “তুমি কে ?” তিনি বললেন, “আমি
    আলী সে বলল, আবৃদ মানাফের পুত্র আ ৷লী ? তিনি বললেন না, আমি আবৃত তালিবের পুত্র আলী ৷
    সে বলল, “ভাতিজা তোমার তো অনেক চাচা আছে যারা তোমার চেয়ে বয়স্ক ওদের কাউকে
    পাঠাও, আমিব্ তা তোমার মত বাচ্চা ছেলের রক্ত প্রবাহিত করতে চ ই না ৷ ” হযরত আলী (বা)
    তার উদ্দেশ্যে বললেন,ত তবে আল্লাহর কসম আমি তোমার রক্ত প্রবাহিত করাকে তাপসন্দ করি
    না ৷ এ কথায় আমর রেগে অগ্নিশমা হল ৷ সে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে পড়ল ৷ তার তরবারি
    বুকাযমুক্ত করে উচিয়ে ধরল ৷ সেটি যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ৷ এরপর রাপে পরপর করতে করতে সে
    তাঃাসর হল হযরতঅ আলী (রা) এর দিকে ৷ হযরত আ ৷লী (রা) আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যে ঢাল
    প্রস্তুত রেখে এগিয়ে গেলেন ৷ আমর আক্রমণ করল হযরত আলী (রা) এর চালের উপর ৷ ঢাল
    কেটে তরবারি বের হয়েত ৷গিয়ে লাগল হযরত আলী (বা ) এর মাথায় ৷ তার মাথা যখম হয়ে

    গেল ৷ হযরত আলী (বা) পাল্টা আক্রমণ করেন আমরের ঘাড়ের শিরায় ৷ অমনি সে মাটিতে
    লুটিয়ে পড়ে ৷ চারিদিকে জয়ধ্বনি উঠে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকবীরধ্বনি শুনলেন ৷ তাতে আমরা
    বুঝে নিলাম যে, আলী (বা) তাকে হত্যা করেছেন ৷ তখন হযরত আলী (রা) বললেন :

    ওহে আলী এভ ৷বে তুমি শত্রুপক্ষের অশ্বারোহী যোদ্ধাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে আমার নিকট

    থেকে এবং মুসলমানদের নিকট থেকে ৷ তুমি আমার সাথীদেরকে ওদের আক্রমণ থেকে দুরে
    সরিয়ে রাখবে ৷

    আমার আত্মমযদািবােধ আজ আমাকে পিছু হটতে বারণ করছে আ ৷৷ম তরবারির তীক্ষ্ণ
    আঘাত করি মাথায় ৷ মুখে নয় ৷ তিনি আরো বললেন ষ্

    সে তার বিবেক ও বিবেচনায় ভ্রান্তি ও বোকামীর কারণে পাথর পুজা তথা ৷মুর্তি পুজা
    করেছে ৷ আর আমি সত্য ও সরল পথের অনুসরণে মুহাম্মাদের (সা ) প্রতিপালক মহান আল্লাহর
    ইবাদত করেছি ৷ শেষ পর্যন্ত ৷ এবার আলী (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে অগ্রসর হলেন ৷
    তার চোখে মুখে তখন আনন্দের দ্যুতি ৷ উমর ইবন খাত্তাব (বা ) বললেন, আরে, ওর যুদ্ধের
    লৌহবর্ম খুলে নিয়ে এলে না কেন ?৩ তার বর্মের চেয়ে উৎকৃষ্ট বর্ম< তা সমগ্র আরবে আর নেই ৷

    আলী (রা) বললেন, আমি তাকে আঘাত করেছি ৷ সে তার লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে আত্মরক্ষার
    প্রয়াস পেয়েছে ৷ তার তা ৷তিজ৷ সম্বোধনের কারণে যুদ্ধে বর্য খুলে নিয়ে তাকে বিবস্ত্র করতে আমি
    লজ্জাবােধ করেছি ৷ অবশেষে আমরের সাথী অশ্বা রাে ৷হীরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় ৷

    বায়হাকী ইবন ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, আলী (বা) শত্রুনেতা আমরের
    কণ্ঠনালীর গোড়াতে তরবাবি দিয়ে এমন আঘাত করেন যে তা তার র্মুক্রালী ভেদ করে যায় ৷
    ফলে সে পরিখার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করে ৷ মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট প্রস্তাব পাঠায় যে,
    তারা ১০ :০০ দিরহামের বিনিময়ে আমরের লাশ কিনে নিয়ে ৷ তিনি জবাবে বলেন যে , ওর লাশ
    তোমরা এমনিন্ব৩ ই নিয়ে যাও ৷ আমরা লাশ বিক্রি করে মুল্য থাই না

    ইমাম আহমদ বলেন, নাসর ইবন বাব ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেছেন, মুসলমানগণ খন্দকের যুদ্ধ দিবসে জনৈক মুশরিককে হত্যা করেন ৷ ওরা লােকটির
    লাশের বিনিময়ে অর্থ-সম্পদ দিতে চায় ৷ এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ওর লাশ ওদেরকে
    এমনিতেই দিয়ে দাও ৷ কারণ নাপাক লাশের বিনিময় ও মুক্তিপণও নাপাক ৷ তিনি এজন্যে
    মুশরিকদের নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করেননি ৷

    বায়হাকী এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন, হাম্মাদ ইবন সালাম৷ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা
    করেছেন ৷ তবে তাতে তাদের বিনিময় মুল্য ১০,০০০ স্থলে ১২,০০০ রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    এ প্রসঙ্গে বললেন, ওর লাশের মধ্যেও আমাদের কোন কল্যাণ নেই, ওর লাশের মুল্যের মধ্যেও
    আমাদের কোন কল্যাণ নেই ৷

    তিরমিযী এটি বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান ছাওরী ইবন আব্বাস সুত্রে ৷ তিনি মন্তব্য করেছেন যে,
    এটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ মুসা ইবন উক্ব৷ উল্লেখ করেছেন যে, মুশরিকরা নাওফল ইবন
    আবদুল্লাহ মাখযুমীর নিহত হওয়ার পর লাশ ফেরত ঢেয়েছিল ৷ আর মুক্তিপণ দেয়ার প্রস্তাব
    পাঠিয়েছিল ৷ উত্তরে বাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন“ ৷
    ণ্ ট্রু;হ্ , সেতে৷ খাবীছ নাপাক ৷ তার মুক্তিপণও নাপাক ৷ চার ৷উপর আল্লাহর লা নত ৷ তার
    মুক্তিপণের উপরও আল্লাহর লানত ৷ ওর মুক্তিপণে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ ওকে দাফন
    করতে আমরা তােমাদেরকে বাধা দেবনা ৷

    ইউনুস ইবন বুকায়র বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক থেকে, তিনি বলেছেন যে, নাওফল
    ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুগীরা মাখযুমী মাঠে এসে মুসলিম পক্ষাক মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷
    তাকে মুকাবিলার জন্যে এগিয়ে আসেন যুবায়র ইবন আওয়াম বা ) ৷ তিনি প্রচণ্ড আঘাত হানেন
    তার উপর ৷ এক আঘাতে তিনি তাকে দৃটুকরে৷ করে ফেলেন ৷ তাতে তার তরবারির ধার নষ্ট
    হয়ে যায় ৷ তিনি নিম্নের পংক্তি উচ্চারণ করতে করতে তাবুতে ফিরে আসেন :

    আমি এমন এক লোক যে, আমি নিজেকে রক্ষা ৷করি শত্রুর আক্রমণ থেকে এবং উমী নবী
    মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সা) কে আক্রমণ থেকে রক্ষা করি ৷

    ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, নাওফল যখন পরিখার মধ্যে পড়ে ছুটোছুটি শুরু করে,
    তখন মুসলমানগণ তার প্ৰতি পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন ৷ তখন সে বলতে থাকে যে, হে
    আরব সম্প্রদায় ! আমাকে এভাবে লাঞ্চুনার সাথে যেরো না; বরং একটু সম্মানের মৃত্যু দাও ৷ তখন
    হযরত আলী পরিখড়ার মধ্যে নেমে তাকে তরবারির আঘাতে তহত্যা করেন ৷ মুশরিকরা মুক্তিপণের
    বিনিময়ে বাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটত ৷র লাশ ফেরত চায় ৷ ওদের নিকট থেকে কিছু নিতে

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) অস্বীকা ৷র করেন এবং ওদেরকে ওই লাশ নিয়ে যাবার সুযোগ প্রদান করেন ৷ এই
    বর্ণনাটিও গরীব ৷

    বায়হাকী (র) হাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা) থেকে বর্ণনা
    করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধের দিবসে আমাকে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছিল ঢিলার উপর
    অবস্থিত দৃর্ণে শিশু ও মহিলাদের দেখা শোনা করার ৷ আমার সহযোগী ছিলেন উমার ইবন৷ স লা৷মা
    বাহিরে কী ঘটছে তা দেখার জন্যে আমি ও উমার ইবন আবু সালামা পালাক্রমে ঘাড় নীচু করে
    তাকে উপরের পিঠে উঠে বাহিরে তাকিয়ে দেখতাম ৷ আমি সেদিন বাইরে আমার বাবাকে
    দেখেছি যে, তিনি একবার এদিকে এসে হামলা করছেন আবার ওদিকে গিয়ে হামলা করছেন ৷
    আর যখন কেউ কিছু উচিয়ে ধরতে৷ তখনই তিনি সেখানে গিয়ে পৌছছেন ৷ সন্ধ্যায় আমার বাবা
    দুর্গের মধ্যে আমাদের নিকট আসলে আমি বললাম বাবা আজ আপনি যা যা করেছেন আমি তা
    দেখেছি ৷ তিনি বললেন, প্রিয়পুত্র ৷ তুমি কি সত্যিই তা দেখেছ ? আমি বললাম, ত্মী৷ হা” ৷ তিনি
    বললেন, আমার পিতা-মাতা তোমার জন্যে কুরবা ন হোন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, আবু লায়লা আবদুল্লাহ ইবন সাহ্ল আনসারী আমাকে জানিয়েছেন যে
    উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা (রা) খন্দক দিবসে বনু হারিছার দুর্গে ছিলেন ৷ ওই দুর্গটি ছিল
    মদীনায় সবচেয়ে সুরক্ষিত দুর্গ ৷ সাদ ইবন মুআযের (বা) না ও তার সাথে দুর্গে ছিলেন ৷ হযরত
    আইশা (বা) বলেন, তখনও পদবি বিধান নাযিল হয়নি ৷ হযরত সাদ ণ্চুসখানে এসেছিলেন ৷ তার
    পবিধানে ছিল একটি খাটো লৌহ বর্ম ৷ তার পুরোটা হাতই বর্মের বাহিহ্বর ছিল ৷ তার হাতে ছিল
    বশা ৷ তিনি বার বার জামা টানছিলেন আর বলছিলেন :

    হে জামাল ! অপেক্ষা কর খুব অল্প সময় ৷ তারপর যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হও ৷ কারণ, মৃত্যুর
    নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু বরণে কোন দোষ নেই ৷

    তখন তার যা তাকে বললেন, বৎস ! তুমি তাড়াতাড়ি যুদ্ধ ক্ষেত্রে চলে যাও ৷ আল্লাহর কসম ৷
    তুমি তো দেরী করে ফেলেছ ৷ হযরত আইশা বলেন, তখন আমি সাদের মা কে বললাম ,
    আল্লাহর কসম , সাদের বর্মটি যদি আরেকটু বড় হত তবে আমি খুশী হতাম ৷ সাদের মা
    বললেন, আমি তো ভয় পাচ্ছি না জানি ওই খোলা অংশে এসে শত্রুর তীর বিদ্ধ হয় নাকি ৷ ঠিক
    তাই হল ৷ হযরত সাদ (রা) তীর ৰিদ্ধ ২ণেন ৩ ৷ রের ৩া৷খাওে তার হ্াওের রগ কেটে গেল ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন যে , হায়্যান ইবন
    কায়স ইবন আরাকাহ্ তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ করেছিল ৷ সে ছিল বনু আমির ইবন লুওযাই
    গোত্রের লোক ৷ হযরত সাদ (বা) তীর ৰিদ্ধ হবার পর ইবন আরাকা বলেছিল, নাও এটি আমার
    পক্ষ থেকে তোমার উপহার ৷ চিনে নাও আমি আরাকাহ এর পুত্র ৷ হযরত সাদ (রা) বললেন,
    আল্লাহ তাআলা তোর চেহারাকে জাহান্নামের আগুনে ঘমক্তি করুন ৷ তিনি আরো বললেন, হে
    আল্লাহ ৷ কুরায়শের সাথে মুসলমানদের যদি আরো যুদ্ধ আপনি অবশিষ্ট রেখে থাকেন তবে ওই
    যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্যে আপনি আমাকে বাচিয়ে রাখুন ৷ কারণ, অন্যান্য সম্প্রদায়ের চেয়ে
    কুরায়শ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যদি আমার বেশী পসন্দনীয় ৷ যেহেতু তারা আপনার
    রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে ৷ হে আল্লাহ!
    আর যদি আমাদের মাঝে ও তাদের মাঝে যুদ্ধ শেষ করে দিয়ে থাকেন তবে এই যখম দ্বারা যেন
    আমাকে শহীদ হিসেবে মঞ্জুর করে নেন ৷ অবশ্য বনু কুরায়যার উপযুক্ত শাস্তি দেখে আমার চোখ
    জুড়ানাের পুর্বে আমার মৃত্যু দিবেন না ৷

    ইবন ইসহড়াক বলেন, জনৈক বিশ্বন্ত ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে আমার
    নিকট বর্ণনা করেছেন যে, সেদিন হযরত সাদ (রা)-কে তীরে আক্রান্ত করেছে আবু উসামা
    জাশামী, সে ছিল বনুমাখযুম গোত্রের মিত্র ৷ এ উপলক্ষে ইকরামা ইবন আবু জাহ্লকে উদ্দেশ্য
    করে আবু উসামা নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করে :

    অর্থাৎ হে ইকরামা , যখন তুমি আমাকে বলছিলে মদীনায় টিলাসমুহ চিরকালের জন্য তোমার
    জন্যে উৎসর্গীকৃত হোক, তখন তুমি কি আমাকে ভব্লুর্সনা করনি রং

    আমিই কি সেই ব্যক্তি নই যে সাদকে কনুইয়ের মধ্যভাণ্গ র্তীরবিদ্ধ করে প্ৰবহমান রক্ত
    ঝরিয়েছি ৷ তাতে সাদের জীবনাবসান হয় তারপর উঠতি বয়সের যুবতীরা ছিন্ন বসনে তার জন্যে
    বিলাপ করেছে ৷

    তৃমিই সেই ব্যক্তি যে তার পক্ষ হয়ে প্রতিরোধ করেছিল ৷ আর উবায়দা ঐ কষ্টের মুহুর্তে
    তার দলবলকে সাহায্যার্থে আহ্বান জানিয়েছিল ৷

    যখন লোকসব তার কাছ থেকে দুরে সরে পড়ে এবং অন্যরাও কাছে ঘেষতে সাহস পাচ্ছিল
    প্ না ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, মুলত কে তীর নিক্ষেপ করেছিল তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

    ইবন হিশাম বলেন, কথিত আছে যে, হযরত সাদ (রা)-কে তীর মেরে যখম করেছিল
    খাফাজা ইবন আসিম ইবন হিবৃবান ৷ আমি বলি, মহান আল্লাহ বনুকুরায়যড়া গোত্র সম্পর্কে হযরত
    সাদ (বা) এর দুআ কবুল করেছিলেন ৷ ওদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা তার চোখ
    জুড়িয়েছিলেন ৷ মহান আল্লাহ্ পরম দয়ায় ওদের জন্যে তাকেই ফায়সালা দানের ক্ষমতা দান
    করেন এবং এ দাবীটা তারাই উত্থাপন করেছিল ৷ এ বিষয়ে বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷ হযরত
    সাদ (রা) রায় ঘোষণা করলেন যে, বনু কুরায়য৷ গোত্রের যুদ্ধক্ষম সকল পুরুষকে হত্যা করা
    হবে এবং তাদের শিশুদেরকে বন্দী করে রাখা হবে ৷ এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে
    সাদ তুমি তো সাত আসমানের উপর থেকে আল্লাহ্র দেয়া ফায়সালার অনুরুপ ফায়সালা
    প্রদান করেছ ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন যুবায়র তার পিতা আব্বাদ
    থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন যে, হযরত সাফিয়্যা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব ফারি দৃর্গে অবস্থান
    করছিলেন ৷ ওই দুর্গে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) ও ছিলেন ৷ সাফিয়্যা বলেন, ওই দৃর্গে
    নারী ও শিশুসহ আমাদের সাথে হযরত হাসৃসান (রা) ছিলেন ৷ জনৈক ইয়াহুদী আমাদের দুর্গের
    নিকট এসে ঘোরাঘুরি শুরু করে ৷ ওদিকে বনু কুরায়যার ইয়াহুদী গোত্র রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
    সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ এ সময়ে ওই গোত্রের আক্রমণ থেকে আমাদের
    দৃষ্স্থিত সােকদেরকে রক্ষা করার কেউ ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলিম সেনাবাহিনী মুল যুদ্ধ
    ক্ষেত্রে সম্মিলিত বাহিনীর মুখোমুখি প্রতিরোধ সৃষ্টিতে নিয়োজিত ছিলেন ৷ ওখান থেকে এদিকে

    ২৭ ——

    আমার কোন সুযোগ ছিল না তাদের ৷ তখনই জনৈক ইয়াহদী আগমন করে আমাদের দুর্গের
    নিকট ৷ আমি হাসসান (বা) কে ডেকে বললাম, হাসসান ৷ ওই যে, ইযাহদীকে দেখছ, সে
    আমাদের দুর্গের চাবিদিকে ঘুরছে ৷ আমি আশংকা করছি যে, আমাদের এখানে আশ্রয় নেয়া ৷মহিলা
    ও শিশুদের কথা যে ইয়াহদীদেরকে জা নিয়ে দেবে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ওত ৷র ৷সাহাবীগণতে৷ ৷যুদ্ধ
    ক্ষেত্রে ব্যস্ত ৷ আপনি নীচে নামুন এবং এই ইয়াহদীকে হত্যা করুন ৷ হাসসান বললেন, হে
    আবদুল মুত্তালিবের কন্যা ! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি জানেন যে, আমি ওই কাজের
    যোগ্য নই ৷ সাফিয়্যা (বা) বলেন, তিনি যখন এ কথা বললেন, তথ্যা আমি দেখলাম যে, তাকে
    দিয়ে কোন কাজ হবে না ৷ তখন আমি কোমরে কাপড় পেচিয়ে নিল ম ৷ তারপর একটি লাঠি
    হাতে দুর্গ থেকে নেমে এসে ওই ইয়াহ্দীকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করলাম ৷ তাতেই তার
    মৃত্যু হয় ৷ তাকে হত্যা করে আমি দুর্গে ফিরে আসি ৷ হাসসান (বা) কে বলি, এবার যান ওর
    অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পােশ ৷ক খুলে আসুন ৷ ও পুরুষ হওয়াতে আমি৩ ৷ খুলে আনিনি ৷ হাসসান (রা)
    বললেন, হে আবদুল মুত্তালিবের কন্যা, ওর অস্ত্রশস্ত্র ও পােষাকের আমশু ণ্ৱ কো ন প্রয়োজন নেই১ ৷

    মুসা ইবন উক্বা বলেন, মুশরিকরা ঘিরে রেখেছিল মুসলমানদেরকে ৷ ওদের সৈন্যরা সশস্ত্র
    পাহারায় রেখেছিল মুসলমানদেরকে ৷ প্রায় বিশদিন অবরোধ করে রাখার পর মুশরিক সৈন্য
    একযোগে সকল দিক থেকে অগ্রসর হতে থাকে ৷ ওদের প্রতি সতর্ক মনোযোগ নিবদ্ধ রাখার
    কারণে নামাযীদের নামাযে সন্দেহ হয়ে যেত যে নামায পুর্ণভাবে আদায় হয়েছে কি না ৷ শত্রুপক্ষ
    একযোগে রাসুলুল্লাহ (না)-এর তাবুর দিকে অ্যাসর হতে থাকে ৷ সেটি ছিল প্রচণ্ড শক্তিশালী
    বাহিনী, সেদিন পুর্ণ দিন ঘুসলমানগণ ওদেবকে প্রতিরোধের জন্যে যুদ্ধ করেন ৷ ঠিক আসর
    নামায়ের সময় শত্রুপক্ষ কাছাকাছি এসে পৌছে ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সহ সাহাবীগণের কেউই
    যথা সময়ে আসরের নামায আদায় করতে পারেন নি ৷ রাতে র বেলা শত্রু সৈন্য ফিরে যায় ৷ হা ৷দীছ
    বিশারদগণ বলেন যে, এ সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন ; “ওরা আমাদেরকে আসর নামায
    আদায়ে বাধা দিয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ওদের পেট ও অন্তর আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ এক বর্ণনায়
    আছে যে, আরো বলেছিলেন এবং ওদের কবরগুলাে আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷

    কষ্ট যখন বৃদ্ধি পেল তখন রহুলোক মুনাফিকী প্রদর্শন করতে লাগল এবং বিভিন্ন অশালীন
    কথাবার্তা বলতে লাগল ৷ মুসলমানদের এই দুঃখ-কষ্ট দেখে রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে সুসংবাদ
    দিতে শুরু করলেন এবং বলতে লাগলেন০ ং “যে মহান প্রভুর হাতে আমার প্রাণ তার কসম ! এই
    বালা-মুসীবত অবশ্যই আল্লাহ৩ তা আলা দুর করবেন ৷ আমি অবশ্যই আশা রাখি যে, আমি
    নিরাপদে বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করব এবং এও আশা রাখি যে, আমার হাতে আল্লাহ
    তাআলা কাবা গৃহের চাবি প্রদান করবেন ৷ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রোমান ও পারস্য সম্রাটকে
    ধ্বংস করবেন ৷ আর তাদের ধন-সম্পদ তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করবে ৷

    বুখারী বলেন, ইসহাক হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) খন্দক যুদ্ধের
    দিবসে বলেছিলেন “আল্লাহ তাআলা ওদের গৃহসমুহ ও কবরসমুহ আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ যেমন

    ১ টীকা ঙ্ক সৃহায়লী এ বর্ণনার বিশুদ্ধতা সম্পকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ৷ যদি তা বিশুদ্ধ হয়েও থাকে
    তবে হয়তে৷ সেদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন ৷ ইবন আবদুল বার এ বর্ণনাটির বিশুদ্ধতা অস্বীকার
    করেছেন ৷ (দ্র মুলগ্রস্থ পাদটীকা)

    তারা আমাদেরকে আসরের নামায আদায় করা থেকে বিরত রেখেছে ৷ এ অবস্থায়ই সুর্য ডুবে
    যায় ৷” অন্যান্য ইমামগণও এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে ইবন মাজাহ এটি বর্ণনা করেছেন হিশাম
    ইবন হাসৃসান আলী (রা) সুত্রে ৷ মুসলিম ও তিরমিযী সাঈদ ইবন আবু আরুবা আলী (রা) সুত্রে
    এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী (ব) বলেন, এটি হাসান ও সহীহ্ হাদীছ ৷

    বুখারী (ব) বলেছেন, মকী ইবন ইব্রাহীম জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা করেন
    যে, খন্দকের যুদ্ধের দিন সুযর্নন্তের পর হযরত উমর (রা) ণ্বুচুরায়শদেরকে পালমন্দ শুরু করেন
    এবং বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! সুর্য প্রায় ডুবছে আমি কিন্তু এখনও আসরের নামায আদায়
    করতে পারিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহর কসম , অমিও ওই নামায আদায় করতে
    পারিনি ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)সহ আমরা বুতহান অঞ্চলে গেলাম ৷ তিনি উঘু করলেন ৷
    আমরাও উয়ু করলাম ৷ তারপর তিনি সুযাস্তের পর আসরের নামায পড়লেন এবং আসরের পর
    মাগরিব আদায় করলেন ৷ ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (ব) ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু
    কাহীর সুত্রে আবু সালামা থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷

    ইমাম আহমদ (ব) বলেন, আবদুস সামাদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলেন ৷ একটুও অবসর পাননি ৷ এ
    অবস্থাতেই আসরের ওয়াক্ত চলে যায় ৷ তখন তিনি বললেন চ “হে আল্লাহ ! যারা আমাদেরকে
    মধ্যবর্তী নামায থেকে বাধা দিল আপনি ওদের ঘরগুলােকে আগুনে পুর্ণ করে দিন এবং ওদের
    কবরগুলোকে আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ ইমাম আহমদ এরুপ একক বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটি
    হিলাল ইবন খাবৃবাব আবাদী কুফী এর বর্ণনা ৷ তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী ৷ তিরমিযী ও অন্যান্যগণ
    তার বর্ণনা বিশুদ্ধ বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷

    এই সকল হাদীছ দ্বারা একদল আলিম প্রমাণ করেন যে, মধ্যবর্তী নামায হল আসরের
    নামায ৷ এ সব হাদীছ দ্বারা ত৷ সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় ৷ কাযী মাওয়ারদী বলেছেন যে, এটা ই ইমাম
    শাফিঈ (র) এর অভিমত ৷ ক বণ এই হাদীছগুলাে বিশুদ্ধ সহীহ্ ৷ এবিষয়টি আমরা ৷
    এ তোমরা সালাতের প্ৰতি ৩যত্নবান
    হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে৫ তামরা বিনীততাবে দাডাবে ৷ (২
    বাকারাং : ২৩৮) ৷ আয়াতের ব্যাখ্যায় দলীল প্রমাণসহ উল্লেখ করেছি ৷

    এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একদল এ মত গ্রহণ করেছেন যে, যুদ্ধ বিগ্রহের উযরের কারণে
    আসরের নামায নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলন্বিত করা বৈধ ৷ এটি ইমাম মাকহুল ও আওযাঈ-এর
    অভিমত ৷ ইমাম বুখারী এই শিরোনামে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীছ দ্বারা তিনি দলীল পেশ
    করেছেন ৷ আরো একটি দলীল পেশ করেছেন যে, বনুকুরায়যা যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সংশ্লিষ্ট
    সবাইকে বনু কুরায়যা গোত্রের এলাকায় যাবার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন” ও ৷ এপ্রু ব্লু!
    ৷ কেউ যেন বনু কুরায়য৷ গোত্রের নিকট না পৌছে আসরের নামায
    আদায় না করে ৷” এ নির্দেশের পর সেদিন কতক লোক সময়মত ৩পথেই আসরের নামায পড়ে
    নিয়েছিলেন আর কতক বনু কুরায়যাদের এলাকায় গিয়ে সুযবিস্তর পর আসরের নামায আদায়

    করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উভয় দলের কাউরেইি দোষারোপ করেননি ৷ এ বিষয়ে দলীল স্বরুপ
    ইমাম বুখারী (র) সাহাবীগণের আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তাহল হযরত উমরের যুগে
    ২০ হিজরীতে মুসলিম সৈন্যগণ শত্রুদের তৃন্তার দুর্গ অবরোধ করেছিলেন ৷ ওই সৈন্য দলে
    অনেক সাহারা ও তাবিঈ ছিলেন ৷ দুর্গ জয় নিকটবর্তী হওয়া এবং লড়াই বিদ্যমান থাকার কারণে
    তারা সেদিন ফজরের নামায সুর্যোদয়ের পরে আদায় করেছিলেন ৷

    অপর একদল অড়ালিম বলেন, এ দলে ইমাম শাফিঈ (র) এবং জমহুর আলিমরাও বলেছেন
    যে, খন্দক দিবসের এই নিয়ম পরবত্তীকািলে সালাত আল খাওফ ভয়কালীন নামাষের বিধান নাযিল
    হওয়ায় রহিত হয়ে গিয়েছে ৷ খন্দক দিবসে ভয়কালীন নামাষের বিধান ছিল না বলে তারা নামায
    বিলন্বিত করেছিলেন ৷ অবশ্য, এ ব্যাপারটি জটিলতামুক্ত নয় ৷ কারণ, ইবন ইসহড়াক বলেছেন যে,
    একদল উলামার মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভয়কালীন নামায আদায় করেছেন উছফান অভিযান কালে ৷
    আর মাগাযী ঘটনা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিতৃ ইবন ইসহাক বলেছেন যে, উছফান অভিযান পরিচালিত
    হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের পুর্বে ৷ তদ্রুপ যাতুর-রিকা অভিযানও পরিচালিত হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের
    পুর্বে ৷ আল্লা ইে ভাল জানেন ৷

    কেউ কেউ বলেছেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে নামায বিলন্বিত হয়েছিল ভুলবশত যেমন সহীহ্
    মুসলিমের কোন কোন ভাষ্যকার তা বলেছেন এ ব্যাখ্যাও জটিলতা মুক্ত নয় ৷ কারণ, নামাষের
    প্রতি সাহারা-ই-কিরামের প্রবল আগ্রহ থাকা সত্বেও সেখানে উপস্থিত সকলেই নামাষের কথা
    ভুলে যাবেন তা কল্পনাই করা যায় না ৷ তা ছাড়াও বর্ণিত আছে যে, সেদিন তারা যােহর , আসর ও
    মাপরিব তিন ওয়াক্ত নামায বিলম্বিত করেছিলেন এবং ইশার সময়ে সবগুলো নামায আদায়
    করেছিলেন ৷ আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ (বা) এ হড়াদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

    ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াযীদ ও হাজ্জাজ আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেন, খন্দক দিবসে আমরা বাধা প্রাপ্ত হই ৷ এভাবে রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে
    যায় ৷ শেষ পর্যন্ত আমরা ঝামেলামুক্ত হই ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

    যুদ্ধে মুমিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান , পরাক্রমশালী, (৩৩ আহষাব :
    ২৫) ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা) কে ডেকে ইকামত দেয়ার নির্দেশ
    দিলেন ৷ তিনি ইকামত দিলেন ৷ সকলে যােহরের নামায আদায় করলেন যেমন আদায় করতেন
    ঠিক সময়ে, তারপর আসরের জন্যে ইকামত দিলেন ৷ আসরের নামায অনুরুপ আদায় করলেন ৷
    তারপর মাগরিবের জন্যে ইকামত দিলেন ৷ নিয়মমত মাগরিবের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর
    ইশার নামাষের ইকামত দিলেন এবং যথা নিয়মে ইশার নামায আদায় করলেন ৷ এটি ছিল সংশ্লিষ্ট
    আয়াত নাযিল হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ বর্ণনাকারী হাজ্জাজ বলেন, এটি ভয়কালীন নামাষের বিধান
    সম্পর্কে ,র্চুস্ আয়াত নাযিল হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷

    ইমাম নাসাঈ (র) ফরািস ’ ইবন আবুযিব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
    যুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের দিনে আমাদেরকে যুহরের নামায থেকে বিরত রাখে ৷ এভাবে সুর্য
    অস্তমিত হয়ে যায় ৷ এভাবে তিনি পুর্ণ হড়াদীছ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, হুশায়ম

    আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, মুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের দিনে
    রাসুলুল্লাহ (সা) কে চার ওয়াক্ত নামায আদায় করা থেকে বিরত রাখে ৷ এভাবে রাতের কিছু অংশ
    ও অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ এরপর তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ দেন ৷ বিলা ৷ল (রা) আযান দিলেন ৷
    ৷ তারপর ইকামত দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) যুহরের নামায আদায় করলেন ৷ত তারপর বিলাল (রা)
    ইকামত দিলেন ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) আসরের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর বিল৷ ৷ল (বা) ইক৷ ৷মত
    দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) মাগরিরের নামায আদায় করলেন ! তারপর হযরত বিলাল (বা) ইকামত
    দিলেন ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) ইশার নামায আদায় করলেন ৷

    হাফিয আবু বকর রায্যার বলেন, মুহাম্মাদ ইবন মামার জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)
    থেকে বর্ণনা করেন যে, বাসুলুল্লাহ (সা) খন্দক যুদ্ধের দিন যোহর আসর, মাপরিব ও ইশার নামায
    আদায়ে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ এরপর তিনি বিলাল (রা) কে আযান দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ বিলাল
    (রা) আমান ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহরের নামায আদায় করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ
    (সা) বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দেন ৷ তিনি আমার ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আসরের
    নামায আদায় করেন ৷ তিনি বিলাল (রা) কে আবার নির্দেশ দেন ৷ বিল৷ ৷ল (বা) আমান ও ইকামত
    দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাপরিবের নামায আদায় করেন ৷৩ তারপর তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ
    দেন ৷ বিলা ৷ল (রা) আযান ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশা ৷র নামায আদায় করেন ৷ তারপর
    তিনি বললেনং তােমরা
    ব্যতীত জমিনের বুকে অন্য কোন সম্প্রদায় নেই যারা এই সময়ে আল্লাহর যিকর করে, আল্লাহকে
    স্মরণ করে ৷’ ’বায্য৷ র একাই এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে,এ সুত্র ছাড়া অন্য কো ন সুত্রে
    এটি আমি পাইনি ৷ কেউ কেউ এই হাদীছ আবদুল করীম আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

    খন্দকের যুদ্ধে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসুলুব্লাহ্ (না)-এর দৃআ
    ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু আমির আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করে ৷ , তিনি
    বলেন, আমরা খন্দকের দিবসে বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমরা কি এক্ষণে কোন দৃআ পাঠ
    ন্ করব ? আমাদের প্রাণ তো এখন কণ্ঠাগত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন হা এই দৃআ পাঠ কর ন্ৰুৰুা৷’া
    ভয়৩ ভীতি ও অশা ৷ন্তি দুর করে শান্তি দান করুন ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, এরপর আল্লাহ তা আল৷ প্রচণ্ড
    ঝঞা বায়ু প্রেরণ করে শ ৷ত্রুদের মুখ মলিন করে দিলেন ৷ ইবন আবী হাতিম তার তাফসীর গ্রন্থে
    তার পিতা — — — আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে এই হাদীছ উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটাই সঠিক ৷
    ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুসায়ন জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণনা করেন
    যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মিলিত বাহিনীর অবস্থান ক্ষেত্রের নিকটস্থ মসজিদে এলেন ৷ তিনি তার চাদর
    খুলে রাখলেন এবং দাড়িয়ে দৃহাতঙু লে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে দুআ করলেন ৷ তখন তিনি ওখানে

    নামায পড়েননি ৷ এরপর তিনি আবার সেখানে এলেন এবং ওদের জন্যে বদ দৃআ করলেন ৷
    তারপর সেখানে নামায পড়লেন ৷

    সহীহ বুখা ৷রীও সহীহ মুসলিমে ইসমাঈল ইবন আবু৷ খ৷ লিদ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা
    শ্ংাষ্ক বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে এই বলে

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.