১ জা ফর ইবন আবু৩ তালির আল হ শিমী ও তার শ্রী আসম৷ বিনত উমাইস (বা) ৷ তার পুত্র
আবদুল্লাহ যিনি হাবশায় জন্মগ্রহণ করেন ৷
২ খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আল আল ইবন উম৷ ইয়৷ ইবন অ বদে ণ্া৷মস (রা) ৷৩ তার ত্রী
উমাইনা১ বিনত থালফ ইবন স৷ দ,৩ তার পুত্র সাঈদ যিনি হাবশায় জনাগ্নহণ করেন ৷
ও তার মাতা বিনত খালিদ, তার ভাই আমর ইবন সাঈদ (রা)৷
৪ মুঅড়াবঈব ইবন আবু ফাতিমা ৷ তিনি সাঈদ ইবন আল অসে এর পরিবারের সাথে
ছিলেন ৷
৫ আবু মুসা আল-অম্পেআরী আবদুল্লাহ ইবন কায়স (বা) , ইনি উতবা ইবন রাবীআর
পরিবারের মিত্র ছিলেন ৷
৬ আসওয়াদ ইবন নওফল ইবন থুয়ায়লিদ ইবন আসাদুল আসাদী
৭ জাহ্ম ইবন কায়স ইবন আবদু সুরাহ্বীল আল-আবদারী , তীর স্বী উম্মু হারমাল৷ বিন্ত
আবদুল আসওয়াদ যিনি হাবশায় মারা যান ৷ তার এক ছেলে আমর , এক মেয়ে খুযাইম৷ , দু’জনই
হাবশায় মারা যান ৷
৮ আমির ইবন আবু ওয়াক্কাস আয-যুহরী (বা) ৷
৯ উতবা ইবন মাসউদ (রা) হুযায়ল গোত্রের মিত্র ৷
১০ হারিছ ইবন থালিদ ইবন সখর আ৩ তায়মী, তার ত্রী রী৩ তা বিনত হারিছ (বা) ৷
১ ১ উছমান ইবন রা ৷বী আ ইবন আহব৷ ন আল-জুমাহী ৷
১ ২ মাহ্যীয়া ইবন জুয়৷ যুবায়দী, বনু ছাহমের মিত্র ৷
১৩ মা’মার ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন নুদলা আল-আদয়ী ৷
১৪ আবু হাতির ইবন আমর ইবন আরদে শামৃস ৷
১৫ মালিক ইবন রাবীআ ইবন কায়স ইবন আরদে শাম্স আল আমিরী , তার শ্রী আমৃরাহ
বিনত সাদী (বা) ৷
১৬ হারিছ ইবন আবদু শামস ইবন লাকীত আল-ফিহরী (রা) ৷
গ্রন্থকা র (র) বলেন, ইবন ইসহাক ঐ সকল আশআরীর নাম উল্লেখ করেননি যার৷ আবু মুসা
আল আশআরী ও তার দুই ভাই আবু বুরদা ও আবু রুহম এবং তার চাচা আবু আমরের সাথে
ছিলেন; বরং তিনি আবু মুসা আল আশআবী ব্যতীত অন্য কোন আশআরীর উল্লেখ করেননি,
এমনকি তার চাইতে বয়ােজেষ্ঠ তার দুই ভাইয়েরও কোন উল্লেখ করেননি ৷ অথচ সহীহ
বুখারীতে তাদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে ৷ সম্ভবত ইবন ইসহাক এ সম্পর্কে আবু মুসা
(রা) এর হা ৷দীছ সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ত ৷লাই অধিক জ্ঞা ৷ত ৷
রাবী বলেন, দুটি জাহাজের মধ্যে৩ তাদের সাথে ঐ মুসলিম মহিলারাও ছিলেন যাদের স্বামীগণ
সেখানে ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (র) এ সম্পর্কে বহু চমৎকার তথ্য পরিবেশন
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমাদেরকে আলী ইবন আবদুল্লাহ্ (র) আমরাস৷ ইবন
১ ইসাব৷ গ্রন্থে৩ তার নাম উমায়ম৷ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
সাঈদ এর সনরুদ বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রা) রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর দরবারে
উপস্থিত হয়ে খায়বারের গনীমতের অংশ চা ছিলেন ৷ তখন বনু সাঈদ ইবন আলআশের এক ব্যক্তি
বলল, তাকে গনীমতের অংশ দেবেন না ৷ খনত আবু হুরায়রা (বা) বলেন, “এ লোকটি প্রসিদ্ধ
সাহাবী ইবন কুকালের হতাকা ৷রী ৷ ” তখন লোকটি বলল, “এ লিক্লিকে সাপঢির আগমনে আমি
অবাক হচ্ছি ৷ যাল নামক পর্বতের চুড়া হতে নেমে এসেছে ৷ এটা বুখারী (র)-এর একক বর্ণনা৷
বুখারী (বা) বলেন আমবাসা ইবন সাঈদের বরাতে ঘুবায়দী (র) বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “আবু হুরায়রা (রা) সাঈদ ইবনুল আসকে সংবাদ দেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনা হতে নজদের দিকে আবানকে একটি অভিযানের দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন ৷ আবু হুরায়রা (রা)
বলেন, খায়বার জয়ের পর আবান এবং তার সাথিপণ খায়বারে রাসুলুরুম্রড়াহ্ (সা)এর সাথে সাক্ষাৎ
করেন ৷ এসময় তাদের ঘোড়া র দড়ি ছিল থেজুরের পাতায় নিঃবত ৷ আবু হুরায়রা ( বা) বলেন,
আমি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কে বাংলায়, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! তাদেরকে ন্াৰীমতের কোন অংশ দেবেন
না ৷ ” আবান তখন বলে উঠলেন : “এ ব্যাপারে তুমি কেন কথা বলছ ? হে খরগােস ! তুমিত
যাল নামক পর্বতের চুড়া হতে নেমে এসেছ ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “ হে আধান, তুমি বসে
পড় ৷ ’রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কোন অংশ দিলেন না ৷
এ হাদীছটি আবু দাউদ (ব) ষুবাইদী থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
এরপর ইমাম বুখারী (ব) সাঈদ ইবন আমর (বা) এর সনদে বলেন, আধান ইবন
সাঈদ (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসলেন এবং সালাম দিলেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলে
উঠলেন, ইয়৷ বাসুলাল্লাহ্ ! এ ব্যক্তিটিই ইবন কুকালের হতাকােরী ৷ আবান (বা) আবু হুরায়রা
(রা) কে বললেন, হে থেরগােস, তোমাকে নিয়ে অবাক হতে হয়, বলে নামক পর্বতের চুড়া হতে
তুমি নেমে এসে ঐ লোকটির মৃতু রে জন্যে তুমি আমাকে দায়ী ঠাওরাচ্ছে৷ ! অথচ আল্লাহ্
তাআলা আমার হাতে তাকে শাহাদতের মর্যাদা দান করেছেন এবং আমাকে তার হাতে
অপমানিত করার দায় থেকে রক্ষা করেছেন ? ইমাম বুখারী (র) এককভারে এ বর্ণনাটি পেশ
করেছেন এবং জিহাদের অধ্যায়ে হুমায়দী (রা)-এর হাদীছ বর্ণনা করার পর আবুহুরায়রা (রা)-এর
বরাতে বলেন , অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সুফিয়ান থেকেও আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে
অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত রয়েছে ৷ লক্ষণীয় যে, এ হাদীছের মধ্যে আবু হুরায়রা (বা ) হতে স্পষ্টভাবে
বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি খায়বার যুদ্ধে উপ ত ছিলেন না ৷ এ অভিযানের বিবরণের শুরুতে তা
উল্লেখ করা হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (র) আবুহুরায়রা (বা) হতে বণ্টা৷ করেন ৷ তিনি বলেন, খায়বার
বিজয়ের পর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগমন করেন এবং মুসলমানদের সাথে এ
ব্যাপারে কথা বলেন ৷ তাতে মুসলমানগণ তাকে তাদের পনীমতের অংশে অন্তভুক্ত করেন ৷
ইমাম আহমদ (ব) আমার ইবন আবুঅ৷ ৷ম্মার (বা )-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, যে যুদ্ধে গনীমত পাওয়া ৷গিয়েছে এরুপ যে কোন যুদ্ধেই আমি অ×শ নিয়েছি, বাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে গনীমতের অংশ দিয়েছেন ৷ কিন্তু খায়বার যুদ্ধে দেন ন ই ৷ কেননা ৷,হুদায়বিয়া
সন্ধিতে যারা উপস্থিত ছিলেন৩ ৷দেরই জন্যে খায়বায়ের গনীমত স০ ×বক্ষিত ছিল ৷
গ্রন্থকার বলেন, “আবুহুরায়রা (রা) ও আবুঘুসা (রা) হুদায়বিয়৷ ও খায়বারের মধ্যবর্তী সময়ে
বাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে আগমন করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (ব ) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা খায়বার বজয় করি; কিন্তু আমরা তাতে
স্বর্ণ ও রৌপোর কোন গনীমত লাভ করিনি ৷ আমরা গনীমত লাভ করেছি উট,গ্ গরু, আসবাবপত্র
ও রাগ-বাপিচা ৷ এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে ও যা৷দল করায় যাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
-এর সাথে মিদআম নামক তার এক দাস ছিল ৷ বনুদাবীবের এক ব্যক্তি ওরাসুলুল্লাহ ( না) কেত
উপচৌকন স্বরুপ দিয়েছিলেন ৷ সে রাসুলুল্লাহ (সা) এর উটের গদি নামাবার সময় একটি তীর
এসে তার উপর পড়ল এবং যে তাতে মারা যায় ৷ জনতা তাকোহীদ জ্ঞানে অঙিনন্দিত করল,
কিভু রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, কখনও না ৷ কেননা, খ যবারেব দিন যে গনীমত বণ্টনের পুর্বেই
একটি চাদর চুরি করেছিল ৷ এ চা ৷দরটি তার উপর আগুন ঝরাচ্ছে৷ একথা শোনার পর কেউ কেউ
জুতার একটি ফিতা কিৎব৷ দুটি ফিতা নিয়ে হাযির হয়ে বহুন্ারুত লাগল, “এ জিনিসটি আমি
নিয়েছিলাম ৷” বাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এটি জাহান্নামের একটিাইৰুতা বা দুইটি ফিত৷ ৷”
বিষ মিশ্রিত বকরীর ঘটনা ও নবুওয়াতের জলজ্যাম্ভ প্রমাণ
বুথারী (র) বলেন, উরওয়৷ (র) উম্মুল মু’মিনীন আইশ৷ (রা)-এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা)
হতে বর্ণনা করেছেন ৷ অপর সনদে তিনি আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, খায়বার বিজয় কালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে একটি বিষ মিশ্রিত ভোন৷ বকবী হাদীয়া
স্বরুপ দেওয়া হয়েছিল ৷ এরুপে তিনি ঘটনাটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাজ্জাজ — আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
“যখন খায়বার বিজয় হয় তখন রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে একটি বিষ মিশ্রিত ভোন৷ বকবী হ৷ ৷দিয়া
দেওয়া হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, এখানে যত ৩ইয়াহদী আছে সকলকে আমার কাছে ডেকে
নিয়ে আস ৷ তাদের সকলকে সমবেত করা হলে বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি তোমাদেরকে
কিছু প্রশ্ন করব , তোমরা কি সত্য বলবে ? তারা বলল, “হী৷ , হে আবুল কাসিম !” বাসুলুল্লাহ (সা)
তাদেরকে বললেন, “ (শ্তামাদের পিতা কে ? তারা বলল, অমুক আমাদের পিতা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তোমরা মিথ্যা বলেছ; বরং তোমাদের পিতা হচ্ছে অমুক ব্যক্তি ৷ তারা বলল, “আপনি
যথার্থ বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তামরা কি আম৷ ৷র সাথে সত ৷ কথা বলবে, যদি আমি
তোমাদেরকে আরো একটি কথা জিজ্ঞেস করি ? তারা বলল, জী হ্যা হে আবুল কাসিম ৷ আর
আমরা যদি মিথ্যা বলি তাহলেও আপনি আমাদের মিথ্যা বুঝতে পারবেন ৷ যেমন আমাদের পিতা
সম্বন্ধে মিথ্যা উক্তিটি আপনি বুঝতে পেরেছেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “জাহান্নামের
বাসিন্দা কারা ?ত তারা বলল, আমরা কিছু দিনের জন্যে জাহান্নামে থাকব ৷ এরপর আপনারা ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমরা কখনো তোমাদের পরে জাহান্নামে
থাকবন৷ ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ ( সা) তাদেরকে বললেন, “৫৩ আেরা কি আমার কাছে সত্য কথা
বলবে যদি আ ৷মি তোমাদেরকে আরো একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ? ” তারা বলল, জী হ্যা হে আবুল
কাসিম ! তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এ বকরীতে কি তোমরা বিষ প্রয়োগ করেছ ? তারা
বলল, “জী হীড়া ৷ ” রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কেন তোমরা এ কাজটি করতে গেলে ? তারা
বলল, “আমরা এটা এ উদ্দেশ্যে করেছিলাম যে, যদি আপনি মিথ্যাবাদী হয়ে থাকেন তাহলে
আমরা আপনার করল থেকে পরিত্রাণ পার আর যদি আপনি সত্য নবী হা;য় থাকেন, তাহলে এটা
আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ ”
উপরোক্ত হাদীছটি ইমাম বুথারী (র) জিঘৃইয়া অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ এবং মাপাযী
অধ্যায়ে কুতায়বা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
রায়হাকী (র) আবুআবদুল্লাহ হাফিয — — আবুহুরায়র৷ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একজন ইযাহুদী রমণী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে একটি বিষ মিশ্রিত বকরী হাদিয়া স্বরুপ
দিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাহাবীপণকে বললেন, “ এটা খ;শ্ওয়া থােহুৰু বিরত থাক ৷ কেননা,
এটাতে বিষ মিশ্রিত রয়েছে ৷” এবং রমণীটিকে বললেন, “তুমি <কন এটা করতে গেলে ?
রমণীটি বলল, “আমি আপনাকে পরীক্ষার মাধ্যমে জানবার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম ৷ যদি আপনি
সত্য সত্য নবী হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দেবেন ৷ আর
যদি আপনি মিথ্যারাদী হন তাহলে আমি জনগণকে আপনার অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাবার ব্যবস্থা
করতে পারবো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আর কিছু বললেন না ৷
আবু দাউদ (র) ও ইমাম রায়হাকী (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) ওরায়হ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে
এতে অতিরিক্ত আছে এরপর হতে যখনই রাসুলুল্লড়াহ্ (সা ) কোন প্রকার বিষক্রিয়া অনুভব করতেন
তখনই রক্ত মোক্ষণ করাতেন ৷ একবার তিনি উমরা আদায়ের জন্যে বের হন ৷ যখন তিনি ইহরাম
র্বাধেন তখনই বিয়ের ক্রিয়া অনুভব করতে লাপলেন, তখন তিনি রক্ত মােক্ষণ করালেন ৷ ইমাম
আহমদ (র) এককভাবে এ রর্ণনাটি পেশ করেন ৷
ইমাম বুখারী ও মুসলিম ণ্ড’বা আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একজন য়াহ্রদী মহিলা একটি বিষমিশ্রিত বকরী সহকারে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
সাক্ষাত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বকরীর গোশত খান এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন ৷
সে বলল, “আমি (চয়েছিলাম আপনাকে হত্যা করার জন্যে ৷ রাসুণুদ্বুত্রাহু (সা) বল ণে ন “আং;া৷হু
তাআলা কোন দিনও তোমাকে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করতে দোবন না ৷ সাহাবায়ে কিরাম
বললেন, “আমরা কি ৩াকে হত৷ করব ?” রাসুপুপ্লাহু (সা) রলপেন, “না” আনম্পে (বা) বলেন,
“আমি সব সময়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আলজিভে এ বিষক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতাম ৷
ইমাম আবু দাউদ (র) সুলায়মান ইবন দাউদ জাৰিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “খায়বারের একজন ইয়াহ্রদী মহিলা একটি ভুনা বকরীতে বিষ মিশায়
ও পরে তা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে হাদিয়া স্বরুপ পাঠায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি সামনের
রানের গোশত নিলেন ও খেলেন এবং তার সাহাবীরা কয়েকজন খেলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাহাবাপণকে বললেন, “ তোমরা হাত গুটিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে ডেকে পড়াঠালেন
এবং তাকে বললেন, “তুমি কি এ বকরীতে বিষ মিশিয়েছ ? য়াহ্রদী মহিলাটি বলল, “আপনাকে
কে এ স বাদ দিল ? ” বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আমার হাতে যা আছে এটা ই আমাকে সং বাদ
দিয়েছে অর্থাৎ বাশেব গােশত৷ ” মহিলাঢি বলল জী হ্যা রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “তুমি কেন এ
কাজটি করতে গেলে ?” মহিলাটি বলল, “আমি মনে করেছিলাম, আপনি যদি নবী হয়ে থাকেন
তাহলে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না আর যদি নবী না হয়ে থাকেন তাহলে
আমরা আপনার অনিষ্ট থেকে অব্যাহতি অর্জন করব ৷” রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এ যহিলাটিকে ক্ষমা করে
দেন, তাকে কোন শাস্তি দেননি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীদের মধ্যে হারা এ গোশত
থেয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ মৃতু ভ্যু মুখে পতিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিষ মিশ্রিত বকরী
খাওয়ায় পিঠের উপরিভাগ থেকে রক্ত মােক্ষণ করান ৷ এক সাহাবী আবু হিন্দ (রা), একটি ছুরি ও
সিৎগার সাহায্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রক্ত মােক্ষণ করেন ৷ তিনি ছিলেন অন্যেসারের বনু বায়াদার
একজন আযাদকৃত দাস ৷
এরপর আবু দাউদ (ব) ওহব ইবন বাকিয়্যা আবু সালাম৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, “ খায়বারে এক ইয়াহুদী মহিলা একটি ভুন৷ বকবী হাদিয়৷ স্বরুপ প্রেরণ
করেছিলেন ৷ বাকী হাদীছ পুর্বরুপ জাবিরের হাদীছের ন্যায় বর্ণনা করেন ৷ এরপর আবু সালামা (রা )
বলেন, এরপর বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর (রা)-এর বিষক্রিয়ায় ইন্তিকাল করেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াহুদী মহিলার কাছে লোক প্রেরণ করেন ও তাকে বলেন, তুমি এ কাজটি
কেন করলে ? ” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) এ মহিলাটিকে হত্যা করার হুকুম দিয়েছিলেন ৷ এ হাদীছে
রক্ত মােক্ষণের কোন উল্লেখ নেই ৷
বায়হাকী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, প্রথমে
যহিলাটিকে হত্যা হয়ত করা হয়নি ৷ এরপর যখন বিশর ইবন বার৷ ইনতিকাল করেন তখন তাকে
হত্যা করার হুকুম দেওয়া হয় ৷
বায়হাকী( ব ) আবদুর রহমান ইবন কা ৷’ব ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একজন ইয়াহ্রদী মহিলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে খায়বারে একটি ভুনা বকরী হাদিয়া
প্রেরণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কি ? সে বলল, “হাদিয়৷ ৷” সে সাদকা
না বলার ব্যাপারে সতর্ক ছিল, কেননা, তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) খাবেন না ৷ রাবী বলেন, “এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং তার সাহাবীগণ তা থেকে খেলেন ৷ এরপর তিনি বলেন, খাওয়া থেকে
বিরত থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি বিষ মিশ্রিত করেছ ?
মহিলাটি বলল, “আপনাকে কে এ সংবাদটি দিল ? তিনি বললেন, এ হাড়টি, যা৩ তার হাতে ছিল ৷
মহিলাটি বলল, “জী হ্যা” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কেন ?” মহিলাটি বলল, নামি ইচ্ছে
করেছিলাম যে, যদি আপনি মিথুাক হন তাহলে আমরা আপনার উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পাব ৷ আর
যদি আপনি সত্যিক৷ ৷র নবী হন তাহলে এটা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ রাবী বলেন
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) পিঠের উপরিভ৷ ৷গ থেকে রক্ত মােক্ষণ করান এবং সাহাবায়ে কিরামকেও
এরুপ করতে হুকুম দেন ৷ সাহাবায়ে কিরামও রক্ত মোক্ষণ করান ৷ তবে তাদের একজন মারা
যান ৷ যুহরী (র ) বলেন, “মহিলাটি পরে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে
ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ৷