Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » জা’ফর পরিবারের প্রতি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সদর আচরণ

জা’ফর পরিবারের প্রতি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সদর আচরণ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • যায়দ (বা) , জা ফর (বা) ও আবদুল্লাহ (রা)-এর
    ফযীলত

    যায়দ (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত গোলাম ৷ তার বহু পরম্পরা নিম্নরুপ :

    ইবন হারিছা ইবন শুরাহীল ইবন কাব ইবন আবদুল উঘৃযা ইবন ইমরুল কায়স ইবন আমির
    ইবন নুমান ইবন আ ৷মির ইবন আবদুদ ইবন আউফ ইবন কিনান৷ ইবন বকর ইবন আউফ ইবন
    উয্রাহ ইবন যায়দ আল লাত ইবন বুফায়দা ইবন ছাওর ইবন কা লব ইবন উবারাহ ইবন না আর
    ইবন হুলওয়ান ইবন ইমরান ইবন আলহাফ ইবন কুদ ৷য়াহ আল-কালবী আল কুযায়ী ৷

    তার মা একদিন তাকে নিয়ে তার পরিবার-পরিজনদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্যে রওয়ানা
    হলেন ৷ পথে তাদের কাফেলায় ডাকাত হামলা করে ৷ ভাকাতরা তাকে ধরে নিয়ে যায় ৷ তারপর
    হাকীম ইবন হিযাম তার ফুফু খাদীজা বিনৃত খুয়ায়লিদ (রা)-এর জন্যে তাকে খরিদ করেন ৷ কেউ
    কেউ বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) নিজেই তাকে খরিদ করেছিলেন ৷ নুবুওয়াতের পুর্বে খাদীজা (রা)

    তাকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর খিদমতে সমর্পণ করেন ৷ তারপর তার পিতা তার সন্ধান পান ৷ কিন্তু

    তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে থাকাটইি পসন্দ করেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা)৩ ৷ তাকে আযাদ করে দিয়ে
    পালক পুত্ররুপে গ্রহণ করেন ৷ তাই তাকে যায়দ ইবন মুহাম্মাদ বলে ডাকা হত ৷ আর রাসুলুল্লাহ্
    (না) তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ৷ আযাদকৃত দাসদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমান
    হয়েছিলেন ৷৩ তার সম্পর্কে কুরআনের একাধিক আয়াত নাযিল হয় ং
    অর্থাৎ তোমাদের পোষ্য পুত্র,
    (যাদেরকে অ ৷ল্লাহ্) তোমাদের পুত্র করেন নাই ৷

    অর্থাৎ তোমরা তাদেরকে
    ডাক তাদের পিতৃ পরিচয়ে; আল্পাহ্র দৃষ্টিতে এটা অধিকতর সংগত ৷
    অর্থাৎ মুহাম্মাদ তোমাদের
    মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন ৷
    অর্থাৎ “স্মরণ কর, আল্লাহ্ যাকে
    অনুগ্রহ করেছেন এবং তুমিও যার প্রতি ৩অনুগ্রহ করেছ তুমি বলছিলে, তুমি তোমার ব্রীর সাথে
    সম্পর্ক বজায় রায় এবং আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ ’তৃমি তােমার অন্তরে যা গোপন ব্লেখেছিলে আল্লাহ
    তা প্রকাশ করে দেবেন : তুমি লোককে ভয় করছিলে অথচ আল্পাহ্ই ভরের অধিকতর হকদার ৷
    ৫৬ —

    এরপর যায়দ যখন যয়নবের সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে
    পরিণয়সুত্রে আবদ্ধ করে দিলাম ৷

    মুফাস্সিরগণ এ ব্যাপারে একমত যে, উপরোক্ত আয়াতসমুহ৩ তারই সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে ৷
    আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন’ এর অর্থ হচ্ছে ইসলাম দান করার মাধ্যমে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন ৷
    আর তুমি অনুগ্রহ কাছে এর অর্থ হচ্ছে, আযাদ করার মাধ্যমে তুমি তার প্ৰতি অনুগ্রহ করেছ ৷
    আমরা তাফসীরে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

    এখানে গ্রণিধানযােপ্য যে, আল্লাহ তাআল৷ যায়দ (রা) ব্যতীত অন কোন সাহাবীর নাম
    কুরআন মজীদে উল্লেখ করেননি ৷৩ তাকে আল্লাহ্ তা জানা ইসলামের প্রতি পথ প্রদর্শন করেছেন ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আযাদ করে দিয়েছিলেন এবং তার আযাদকৃত দা ৷সী উম্মে আয়মানের সাথে
    তার বিয়ে দিয়েছিলেন ৷ উম্মে আয়মানের নাম ছিল বারাকা ৷ তার গার্ভ জন্ম নেন উসামা ইবন
    যায়দ (রা) ৷ উসামা ( রা)-কে বলা হত আল-হিব্ব ইবনুল হিব্ব ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
    ফুফ ৷তে৷ বোন যয়নব বিনৃত জ ৷হাশ (রা) কে তার সাথে বিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চাচা

    তার চাচাতাে ভাই জা ফর ইবন আবু তালিব (রা) এর পুর্বে ৷৩ তাকে যুদ্ধের আমীর নিযুক্ত করেন ৷

    ইমাম আহমদ (র) ও আবু বকর ইবন আবু শায়বা (ব) — আইশা (বা) হতে বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন হারিছা ৷(রা) কে কোন অভিযানে প্রেরণ
    করতেন তখন তাকেই তাদের আমীর নিযুক্ত করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরে তিনি যদি বেচে
    থাকতেন তাহলে তাকেই তার স্থলাভিষিক্ত করতে তন ৷ ইমাম নাসাঈ (র)ও অনুরুপ বর্ণনা
    করেছেন ৷ এ বর্ণনাটির সনদ উত্তম, তবে এতে বিরলত৷ রয়েছে ৷

    ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা ) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
    একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন এবং উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে আমীর
    নিযুক্ত করেন ৷” কেউ কেউ তার নেতৃত্বের প্রতি কটাক্ষ করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্দাড়িয়ে
    বললেন, “তোমরা যারা তার নেতৃত্বের প্রতি কটাক্ষ করছ তারা পুর্বেও তার পিতার নেতৃত্বের প্রতি
    কটাক্ষ করেছিল ৷ আল্লাহর শপথ, সে (যায়দ) ছিল নেতৃত্বের যোগ্য ৷ আর আমার কাছে অত্যন্ত
    প্রিয় ব্যক্তি ৷৩ তার পরে তার সন্তান উসামা (রা)ও আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ৷ সহীহ্ বুখারী ও
    সহীহ্ ম্সলিমে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে অনুরুপ বর্ণনা এসেছে ৷

    বাবযার (র) আইশা (রা) থােক বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন যায়দ ইবন
    হারিছ৷ (রা) শাহাদত বরণ করলেন এবং উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে
    আনা হল, তখন তার দুচােখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল ৷ তারপর যে চলে গেল এবং পরদিন আবার
    তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে হাযির করানো হল তখন তিনি বললেন, আজ্যক তোমার
    সাথে যেরুপ আনন্দ চিত্তে মুলাকাত করছি গতকাল এরুপ আনন্দ ছিল না ৷ ’ এটা একটা তায়ীব
    পর্যায়ের হাদীছ ৷

    সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ র্মুসলিমে উল্লেখ রয়েছে যেমন পুর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তাদের
    শাহাদতের কথা উল্লেখ করার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন,

    যায়দ (রা) পতাকা ধারণ করেছে এবং শাহাদত বরণ করেছে ৷ এরপর জাফর পতাকা ধারণ
    করেছে ও শাহাদত বরণ করেছে ৷ তারপর আবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা পতাকা ধারণ করেছে এবং
    সেও শাহাদত বরণ করেছে ৷ তারপর আল্লাহ্র তলোয়ার সমুহ হতে একটি তলোয়ার (খালিদ
    ইবন ওলীদ) পতাকা ধারণ করেছে এবং আল্লাহ্ তাআলা তার হাৰ্ত বিজয় দান করেছেন ৷ রাবী
    বলেন , আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুটো চোখ হতে অশ্রু ঝরছিল ৷ তিনি বললেন, “তারা এখন আর
    আমাদের নিকট থেকে সুখ ও আনন্দ পায়না ৷ অন্য এক হাদীছে ররুল্রছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীদের
    শাহাদতের বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন ৷ সুতরাং তারা ঐসর ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত যাদের জন্যে
    নিঃসন্দেহে জান্নাত রয়েছে ৷ যায়দ ইবন হারিছা (রা) ও ইবন রাওয়াহা (রা)-এৱ জন্যে হাসৃসান
    ইবন ছাবিত শোকগাথা রচনা করেন যা নিম্নরুপ :

    হে আমার নয়ন ! সামান্য অশ্রুতে তুমি অশ্রুসিক্ত ৷ নরম ও বিস্তীর্ণ ভুমিতে সমাহিত
    কবরবাসীদেরকে তুমি স্মরণ কর ৷ মুতাকে তুমি স্মরণ কর আর যা কিছু ঐ ভুমিতে ঘটে গিয়েছে
    তাও তুমি স্মরণ কর সেদিন মুসলমানগণ বিরাট এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন র্তারা সকাল ও
    সন্ধ্যায় অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত ছিলেন ৷ এরপর যুদ্ধের আমীর যায়দ (রা)-কে স্মরণ কর ৷ অর্থাৎ তাদের
    জন্যে অশ্রুপাত কর ৷ আমীর ছিলেন অসহায় ও কয়েদীদের জন্যে উত্তম আশ্রয়স্থুল ৷ (তার মধ্যে
    ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রেম-প্রীতি ও ভালবাসা ৷) উত্তম সৃষ্টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রেম-প্রীতি
    ভালবাসাই সব কিছুর উৎস ও সারবন্তু ৷ তিনি ছিলেন সকলের সর্দার ও প্রধান ৷ সুতরাং তার
    প্রেম-প্রীতি ও ভালবাসা প্রত্যেকের অম্ভরে বিরাজ করুক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বা আহমদ (সা)
    তোমাদের মৃত্যুর সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে পরিবেশন করেন ৷ তাই তার তুলনা হয় না ৷ এ সংবাদে
    সুখ-দুঃখ মিশ্রিত ৷ (তাকে হারিয়ে ফেলা আমার জন্যে দুঃখের বিষয় আর তার জান্নাত প্রাপ্তি
    নিঃসন্দেহে একটি মহাসুখের সংবাদ ৷) নিশ্চয়ই যায়দ (বা) আমাদের সমাজে একটি বিরাট সম্মান
    নিয়ে বসবাস করতেন ৷ তার এ সম্মান ও ইয্যত কোন মিথ্যাবাদী কিত্বা কোন প্রতারকের
    ভেল্কিবাজী নয় ৷ এরপর আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা আনসারী খাযরাজীর জন্যে অশ্রুপাত কর, হে

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ জা’ফর পরিবারের প্রতি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সদর আচরণ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.