এবং ছানিয়াতুস সুকলার পথে বের হয়েছিলেন (বুখড়াবী মুসলিম মালিক) ৷ ইবন উমর ও
আইশা (বা) থেকে বখাবী মুসলিম (র) এর অনুরুপ আরো দুটি রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ মোট
কথা নবী কবীম (সা ) এর দৃষ্টি বায়তুল্লাহর উপরে পড়লে তিনি বললেন, শাফিঈ (র)-এর
রিওয়ায়াত সাঈদ ইবন সালিম (র) ইবন জুরায়জ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী কবীম (না)
যখন আল্লাহর মর দেখতেন তখন তার দু’হাত তুলতেন এবং বলতেন-
হে আল্লাহ; এঘরের মর্যাদা মড়াহাত্মা সম্মান ও প্রতিপত্তি বাড়িয়ে দিন এবং যারা এ ঘরের
সম্মান করে মর্যাদা দেয়, যারা এ ঘরে হজ্জ ও উমরড়া করে তাদের মর্যাদা সম্মান, মড়াহাত্ম্য ও
পুণ্য বাড়িয়ে দিন (ঘুসন্যদে শাফিঈ) ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, এ হাদীসটি বনকাতি’১
তবে সুফিয়ান ছাওবী (র) (আবু সাঈদ আশশামী মাধ্যমে) মড়াকহুল (বা) থেকে এর সমর্থনে
(শাহিদ) একটি মুরসাল’২ রিওয়ায়পুত রয়েছে ৷ মড়াকহুল (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন
মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং আল্লাহর ঘর দেখতে পেতেন তখন দু’হাত উপরে তুলে আল্লাহ
আকবার ধ্বনি দিতেন এবং বলতেন ৷
হে আল্লাহ আপনিই শান্তি (এর উৎস), আপনার নিবল্ট হতেই শান্তি আসে; তাই সমৃদ্ধ
রাখুন, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জীবনকে শান্তিময় করে দিন ৷ হে আল্লাহ্ এ ঘরের
মর্যাদা মড়াহাত্ম্য সম্মান প্রতিপত্তি ও পুণ্য বাড়িয়ে দিন এবং যারা এ ঘরের হজ্জ বা উমরড়া করে
তাদের মর্যাদা মহ্যেত্ম্য সম্মান ও পুণ্য বাড়িয়ে দিন ৷ শাফিঈ (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন
সালিম (র) (ইবন জুরড়ায়জ হতে তিনি ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন (তিনি) নবী
কবীম (সা) বলেহেন হা৩ উচুওে (৩ালা হবে (১) সালাতে; (২) বায়তুল্লাহ দর্শনকালে; (৩)
সফোয়; (৪) মড়ারওয়ায় ; (৫) আরড়াফাতে অবস্থানের অপরাহে (৬) মুযদালিফাতে; ( ৭৮ ) দুই
আমরা-র কাছে এবং (৯) মৃত ব্যক্তির জন্য (জানাবায়) ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, মুহাম্মদ
ইবন আবদুর রহ্মম্পে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে এবং (বাকি সুত্রে ) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন এবং তা কখনো মড়াওকুক রুপে আবার কখনো মড়ারফু রুপে বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে এ রিওয়ায়াতে মৃত ব্যক্তির কথা (৯বং) উল্লেখিত হয়নি ! ইবন আবু লায়লা
(র) বলেছেন, এ রিওয়ায়াতটি সরল নয় ৷
তারপর নবী কবীম (সা) বনু শায়বা দরজা দিয়ে মসজিদুল হারড়ামে প্রবেশ করলেন ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন ইবন জুবারয়জ (র ) অতো ইবন আবু রড়াবাহ (বা) সুত্রে আমরা
রিওয়ায়াত করেছি ৷ তিনি (আতা) বলেন, ইহরামকরীি যে দিক দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে
১ তাবিঈ পর্যন্ত সনদ সীমিত তার উধের্ধ ৰিছিন্ন ৷
২ সড়াহাবী পর্যন্ত সনদ ৷
পারে ৷ তিনি আরো বলেছেন ৷ নবী করীম (সা) বনু শড়ায়ব দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন এবং
বনু মাখযুম দরজা দিয়ে সাফার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন ৷ তারপর বায়হাকী (র) বলেছেন, এ
হাদীস উত্তম মুরসাল ৷ তবে বনু শায়বা দরজা দিয়ে মসজিদুল হড়ারড়ামে প্রবেশ করা মুসতাহাব
হওয়ার ব্যাপারে বায়হাকী (র) আবু দাউদ তায়ালিসী (র) হতে আহরিত তার একটি
রিওয়ায়াত দিয়ে দলীল পেশ করেছেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালামা ও কড়ায়স ইবন সাল্লাম (র) আলী
(বা) সুত্রে তিনি বলেন, ন্জুরহুম গোত্রের নির্মাণের পরে যখন কাবা শরীফ বিধ্বস্ত হয়ে গেল
তখন কুরায়শীরড়া তা পুনঃনির্মাণ করল ৷ যখন তারা হাজারে আসওযড়াদ (যথাস্থানে ) স্থাপনের
পর্যায়ে পৌছল তখন কে তা স্থাপন করবে তা নিয়ে তাদের মাঝে কলহের সুত্রপাত হল ৷ পরে
তারা এ সিদ্ধান্তে পৌছল যে ঐ দরজা দিয়ে সবার আগে যে প্রবেশ করবে সেই তা স্থাপন
করবে ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) বনু শায়বা দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন ৷ তখন রড়াসুলুল্লাহ
(সা) একটি কাপড় নিয়ে আসতে বললেন এবং নিজের হাতে তার মাঝখানে পাথরটি তুলে
রেখে দিয়ে প্রতিটি উপগােত্রকে কাপড়ের এক একটি প্রান্ত ধরতে বললেন ৷ এভাবে তারা সেটি
তুলে নিলে রাসুলুল্লাহ (সা) নিজ হাতে তা উঠিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করলেন ৷ নবুয়াত
পুর্বকালীন কাবা নিযাণ অধ্যায়ে এ ঘটনার বিশদ বিবরণ আমরা দিয়ে এসেছি ৷ তবে এ
হাদীস দিয়ে ইহরামকারীদের বনু শায়বা দরজা দিয়ে প্রবেশ মুসতাহাব হওয়ার বিষয়টি
প্রশ্নাভীত হয় ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্পামের তাওয়াফের বিবরণ
বুখাবী (র) বলেন, আসৰাগ ইবনুল ফারজ (র) উরওয়ড়া (র) বলেন, আইশা (বা)
আমাকে খবর দিয়েছেন নবী করীম (সা) যখন আগমন করলেন “তখন তিনি প্রথমে উযু
করলেন তারপর তাওয়ড়াফ করলেন ৷ তারপর আবু বকর ও উমর (রা) ও অনুরুপ হজ্জ করেন ৷
উরওয়া (র) বলেন পরে আমি আমার পিতা যুবায়র (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি ৷ তিনি প্রথম
তাওয়াফ দিয়ে শুরু করলেন ৷ তা ছাড়া ঘুহাজির ও আনসারদেরকেও করতে দেখেছি ৷ আর
আমার মা (আসিয়া রা) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, তিনি এবং তার বোন আইশা (আমার
পিতা) যুবায়র এবং অমুক অমুক ব্যক্তি উমরা করেছেন ৷ পরে যখন তারা ককন (ইয়মােনী)
স্পর্শ করলেন তখন তারা হালাল হয়ে গেলেন ৷ এটা বুখড়াৰীর ভাষ্য ৷ অন্যত্রও বুখারী ও
মুসলিম ভিন্ন ভিন্ন সনদে এ হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ তবে তার (আইশার ) উক্তি
তারপর তা উমরা হালাল নির্দেশ করে যে, নবী করীম (সা) দুই আমলের (হজ্জ ও উমরার )
মাঝে হালাল হননি ৷ আর সর্ব প্রথম রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাওয়ড়াফ শুরু করার আগে হাজরে
আসওয়ড়াদ চুস্বন দিয়ে সুচনা করেন ৷ যেমনটি জাবির (রা) বলেছেন অবশেষে আমরা যখন তার
সাথে বায়তুল্পাহ-এ পৌছলাম তখন রুকন (হাজার আসওয়ড়াদ) চুম্বন করলেন ৷ তারপর তিন
চক্কর রমল করলেন ও চার চক্করে হাটলেন ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ই বন কাহীর
(র) উমর (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি হাজার আসওয়াদের কাছে এলেন এবং
তা ঢুম্বন করে বললেন, “আমি ভাল করেই জানি যে, তুমি একটা পাথর বৈ কিছু নও ৷ ক্ষতিও
করতে পায় না উপকারও করতে পায় না ৷ রড়াসুলুল্লাহ (সা) তোমাকে চুম্বন করছেন, আমি যদি
তা না দেখতাম তবে আমিও তোমাকে চুম্বন করতাম না ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইয়াহয়া ইবন ইয়াহয়া প্রমুখ সুত্রে আৰিস ইবন রাবীআ (র) থেকে তিনি বলেন ৷
আমি দেখেছি যে, উমর (রা) হাজারে আসওয়াদে চুঘু খাচ্ছেন এবং বলছেন আমি নিশ্চিত
জানি যে, তুমি একটি পাথর বৈ কিছু নও ৷ কোন ক্ষতি করতে পায় না, কোন উপকারও করতে
পায় না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে যদি না আমি তোমাকে চুমু খেতে দেখতাম তবে আমি তোমাকে
চুমু খেতাম না ৷ তবে এ বর্ণনায় তার উক্তির পর চুযু খেয়েছিলেন বলে উল্লিখিত রয়েছে ৷ কিন্তু
বুখারী-যুসলিমের বণ্নাি উক্তির আগেই চুমু খাওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷
এ মর্মে ইমাম আহমদের একটি রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেনঃ সাঈদ
ইবন আবু মারয়ড়াম (র) আসলাম (র) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, ইবনৃল খাত্তাব (রা) হাজরে
আসওয়ড়াদকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কলম! আমি ভাল ভাবেই জানি যে, তুমি একটি
পাথর বৈ কিছু নও ৷ লাভ-ক্ষতি করতে পাবনা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমাকে চুম্বন করছেন তা যদি
আমি না দেখতড়াম তবে তোমাকে চুম্বন করতাম না ৷ তারপর তাতে চুম্বন করলেন এবং বললেন
রামল এর সাথে আমাদের কী সম্পর্ক ও দিয়ে তো আমরা ঘুশরিকদের শক্তি প্রদর্শন করেছিলাম;
আর আল্লাহ তো তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন (তাই রামল করা আর জরুরী নয়) ৷ তারপর তিনি
বললেন, একটি বিষয় যা রাসুলুল্লাহ (সা) করেছেন, তাই তা বর্জন করা আমরা পসন্দ করছি না ৷
এ রিওয়ায়াতেও প্রতীয়মান করে যে, চুম্বন হয়েছিল বক্তব্যের পরে ৷
অন্যদিকে বুখারী (র) বলেন হযরত উমর (রা) চুমু খাওয়া যে বক্তব্য প্রদানের আগে ছিল ৷
এ মর্মে বুখারী মুসলিমেও ভিন্ন ভিন্ন রিওয়ায়াত পাওয়া যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ ইমাম
আহমদ (র)-এর অপর একটি রিওয়ায়াতে উমর (রা)-এর উক্তির পর, তাতে অধিক বলেছেন
তারপর তাকে চুমু খেলেন ও জড়িয়ে ধরলেন ৷
ইমাম আহম্মদ (র) আরো বলেন, (হাদীস) আফফান (র) সাঈদ ইবন জুবায়র (র) ইবন
আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) রুকুন (ই-য়ামানী হাজারে
আসওয়ড়াদ)-এর উপর ঝুকে পড়লেন এবং বললেন আমি ভাল করেই জানি যে, তুমি একটা
পাথর আমার প্রিয়জনকে যদি আমি না দেখতাম যে, তোমাকে চুম্বন করছেন ও স্পর্শকরছেন
তবে তোমাকে স্পর্শ করতাম না এবং চুম্বন করতাম না ৷
(তোমাদের জন্য রয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাঝে উত্তম আদর্শ (৩৩ : ২১) ৷ এটি একটি
বেশ উত্তম ও সরল সনদ ৷ তবে সিহাহ গ্রন্থকারগণ এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷
আবু দাউদ তড়ায়ালিসী (র) বলেছেন, মক্কার বাসিন্দা জাফর ইবন উছমান আল কুরাশী (র)
বলেন, ঘুহড়ামদ ইবন আব্বাস ইবন জাফর (র)-কে আমি দেখেছি যে, হাজারে আসওয়“াদকে
চুম্বন করছেন এবং তাতে সিজদা করছেন, তারপর আমাকে বলেছেন তোমার (জাফরের)
মামা ইবন আব্বাস (না)-কে আমি দেখেছি তাকে চুযু খেতে এবং তাতে সিজদা করতে এবং
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (না)-কে আমি দেখেছি তাকে চুমু খেতে
এবং তাতে সিজদা করতে ৷ তারপর উমর (রা) পুর্ব বর্ণিত উক্তিটি করেন ৷ আর আবু য়ালা