“চোখ অশ্রু টলমল, হৃদয় যেদনাহত; এবং আমরা এমন কিছু বলব না যা প্রতিপালকের
৫ক্রাধ সৃষ্টি করে ৷ আর হে ইব্রাহীম! তোমার বিয়ােগে আমরা সকলেই দুঃখ ভারাক্রাত ৷
ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর পুত্র ইবরাহীম ইনতিকাল করেন দশম হিজরীর রবিউল
আউয়াল মাসের দশ দিন যেতে ৷ তখন তার বয়স ছিল আঠার মাস ৷ তার মৃত্যু হয়েছিল
নাজ্জার গোত্রের বনু মাযিন পরিবারের উন্মু বারযাঃ বিনতুল মুনযির (রা)-এর বাড়িতে এবং
ভীকে সমাহিত করা হয়েছিল বড়াকীতে ৷
প্রস্থাকারের মন্তব্য : আমরা পুর্বে উল্লেখ করে এসেছি যে, ইব্রাহীম (রা)-এর মৃত্যুর দিন
সুর্য গ্রহণ হয়েছিল ৷ তখন লোকেরা বলতে লাগল, ইবরাহীমের মৃত্যুর কারণে সুর্য গ্রহণ
হয়েছে ৷ তখন নবী করীম (সা) ভাষণ দিয়ে বললেন,
“সুর্য ও চন্দ্র মহান মহীয়ান আল্লাহর নিদর্শন সমুহের দুটি নিদর্শন ৷ ক ৷রো মৃত্যুর কারণে
এগুলোর গ্রহণ হয় না ৷’ ড়াহ ড়াফিয আবুল কা ড়াসিম ইবন আসাফির (র) এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
নবী করীম (না)-এর গোলাম, বাদী, খ ৷দিম,
সচিববৃন্দ ও বিশ্বস্ত সহচরবৃন্দ
আ ল্লাহ্ পাক্যে৷ সাহায্য প্রা ৷র্থনা করে এ প্রসংগের আ দ্যে পােম্ভ বিবরণ প্রদানের প্রয়াস পাব
একং : আবু যায়দ উসামা ইবন হ রিছা আল কা ৷লৰী (বা) ৷ মত স্তেরে আবু যায়ীদ বা আবু
মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা)এর আযাদকৃত গোলাম এবং অন্যতম আযাদকৃত গোলাম (যায়দ)-
এর পুত্র; তার প্রিয়জন ও প্রিয়জনের পুত্র ৷ তার মা হলেন উম্মু আয়মান; যীর নাম ছিল
বারাকা৪, যিনি রাসুলুল্লাহ (সা) কে শৈশবে কোলে-পিঠে করে লালন-পালন করেছেন এবং
নৃবুওয়্যাৎ প্রাপ্তির পরে প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷
জীবনের শেষ দিনগুলিতে রাসুলুল্লাহ (সা) উসড়াম৷ (রা) কে সেনাপতি নিয়োগ করেছিলেন ৷
তখন তার বয়স মাত্র আঠার কিৎবা উনিশ ৷ নবী করীম (না)-এর ওফাতকালে তিনি এক
বিশাল বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন ৷ যে বাহিনীতে তালিকাভুক্ত ছিলেন উমর ইবনুল খাত্তাব
(রড়া)-ও ৷ কারো কারো মতে আবু বকর সিদ্দীক (রড়া)-ও ৷ তবে এ অভিমতটি দুর্বল ৷ কেননা,
বাসুলুল্লাহ (সা) ই র্তাকে (সালা তের) ইমামতির জন্যে নিয়োগ করেছিলেন ৷ আগেই বিবৃত
হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে যাওয়ার সময় উসড়ামা বাহিনী জুরদে অবস্থান
করছিল ৷ আবু বকর (বা) উমর (রা) কে রেখে যাওয়ার জন্য উসড়ামড়াকে অনুরোধ করলেন ৷
যাতে তিনি তার কাছে র্কাছে থাকতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে র্তার পরামর্শের আলো
পেতে পারেন ৷ তখন উসামড়া (রা)৩ তাকে রেখে পেলেন ৷ উসামা বাহিনীকে পরিকল্পিত অভিযান
অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আবু বকর (বা) এর সংগে সড়াহাবা ই কিরামের দীর্ঘ বাদানৃবাদ ও
মত বিনিময়ের পুর্বেও৩ তিনি তাতে দৃঢ় সং কল্প থাকলেন ৷ সকলের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি
বললেন, “আল্লাহর কসম রাসুলুল্লাহ (সা) এর বেধে দেওয়া পতাকা আ ড়ামি কখনো খুলব না ৷ ”
বাহিনী অভিযাত্রা শুরু করে শাম (বৃহত্তর লিবিয়া) দেশের৩ তুখুম আল-বালকা য় উপনীত হল ৷
এখানেই শাহাদাত বরণ করেছিলেন একে একে উসামাব পিতা য়ায়দ ৷ জাফ৷ র ইবন আবু
তালিব ও আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়৷ ৷হা (রা) ৷ ঐ অঞ্চলে আক্রমণ পবিচ৷ ৷লন৷ করে তিনি ৷ণীমত
লাভ করলেন এবং আনককে বন্দী করে বিজয়ীরুপে প্রত্যাব৩ ’:: করলেন ৷ বিবরণ শীঘ্রই
আসছে ৷ এ ক ৷রণেই উমর (রা) যখনই উসামা (রাএর দেখা পােতন তখনই বলতেন, হে
সেনাপতি! আসসালাযু আলায়কা ৷৷ রাসুলুল্লাহ (সা) র্তাকে দ্রুক্ত নাধক্ষের প্রতীর্কী পতাকা রেখে
দিলে কেউ কেউ তার সেনাপতিত্বের ব্যাপারে সমালোচনা করেছিলেন ৷ তখন বাসুলুল্লাহ ( যা)
তার এক ভাষণে এ প্রসং গে বলেছিলেন,
তোমরা যদি তার সেনাপতিত্বের সমালোচনা করে ত্ক তবে তো ব্ইার পতার
সেনাপতিত্বেরও সমালোচনা করেছিলে ৷ অথচ আল্লাহর কলম!
ছিল ৷ আর অবশ্যই তীর পরে এ (উসামা)-ই সৃষ্টি জগতের স্ঝে আমার সকধিকপ্ ৷প্নর এর বণ্নাি
রয়েছে সহীহু গ্রন্থে মুসা ইবন উকবা (র) সুত্রে ৷ এছাড়াও সই হ বুখত্ত্বরীতে ণ্:খাদ ৩সামা (বস্তু)
থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলোহ্ব, ৱাসুলুল্পাহ (স ) আমাকে এবং হাসানকে (কোলে) তুলে
নিয়ে বলতেন,শুন্ ণ্কাষ্ ইয়া আল্লাহ! আমি এ দু জনকে ভালব৷ ৷সি, আপনিও এ
দু’জনকে ভালবাসবেন ৷ শাবী (র) আইশ্য (বা) থেকে রিওয়ায়াত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-কে
আমি বলতে শুনেছি “ যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তীর
রাসুলকে ভালবাসে সে যেন উসাম৷ ইবন যায়ুদ (রা)কে ভালবাসে ৷ এ কারণেই, উমর (রা)
যখন লোকদের জন্য রঞ্জীর ণ্কাষগাের থেকে ভাতা নির্ধারণ করলেন তখন উসামা (রা)-কে পাচ
হাজারী তালিকায় তালিকাভুক্ত করলেন, আর খলীফা পুত্র আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)কে রাখলেন
চার হাজারীতে ৷ এ বিষয় র্তাকে বলা হলে তিনি বললেন, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট সে
তোমার চেয়ে অধিক প্রিয় ছিল এবং তার বাপও রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট তোমার বাপের চেয়ে
অধিকতর প্রিয় ছিল ৷ আবদুর রাজ্জাক (র) রিওয়ায়াত করেছেন, মামার (র) উসাঘা (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) সাদ ইবন উবাদা (রা)-কে তীর অসৃস্থতাকালে দেখতে
যাওয়ার সময়-বদর অভিযানের আগে-র্তীকে (উসামাকে) নিজের পিছনে পাধার পিঠে সহ-
আং;রাহী করেছিলেন ৷ গাধার পিঠে ছিল একটি মখমলি চাদর ৷
গ্রন্থকারের বক্তব্য৪ অনুরুপ, বিদায় হতজ্জও আলোচনায় আমর৷ যেমন বিবৃত করে এসেছি ৷
অর্বরর্চক ৷ত হতে ঘুযদালিফ৷ ৷য় প্ৰস্থানকালেও নবী করীম (সা)৩ তার উটনীর পিঠে উসামা (রা) কে
অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, উসামা (বা) আলী (রা) এর আভযাননমৃহে র কােনটিতে
গ্রহণ করেননি এবং এ বিষয় সে নবী করীম (সা) এর সেই উক্তি উদ্ধৃত করে
প্অ ৰু ত :কশ্ করেছিলেন লা ইলাহাই ধ্ল্লাল্লাই বলা সত্বেও তাকে হত্যা করা
নবী করীম (না ) বলেছিলেন,
লা-ইলাহা ইল্লাল্পাহ-এর প্রতিপক্ষে কিয়ামতের দিন কে তোমার যিম্মা নেবে ? সে লা-
ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলার পরেও তুমি র্তাকে হত্যা করলে ? কে নিয়ে তোমার যিম্মা লা-ইলাহা
ইল্পাল্লাহু-এর ঘুকাবিলার কিয়ামতের দিন ?” (আল-হাদীস) তীর ফযীলতের বিবরণ সুদীর্ঘ ন্
আল্লাহ তার প্রতি তুষ্ট থাকুন ৷ তার পাত্র বর্ণ ছিল রাতের মত নিকষ কালো ৷ ঘেটে লোক,
মাধুর্যপুর্ণ ও সুদর্শন অবয়ব ৷ উচুদরের বাশ্মী ও আল্লাহ ওয়াল! আলীম ছিলেন হ্র র্তার পিত
ছিলেন গুণাবলীতে র্তারই অনুরুপ ৷ তবে তীর বর্ণ ছিল ধবধবে সাদা ৷ এ জন্য বংশ্ সুত্র সম্বন্ধে
অজ্ঞ লোকেরা কেউ কেউ তার বংশ ধারার ব্যাপারে বিরুপ ম্স্তব্য কৰেজ্জি এবং এ করেণেই
তরাে যখন পিতা-পুত্র কম্বল ঘুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন, তাদের দৃজনের পা উসাম্াহু সেই কনে
আর তার পিতা যায়দের সে সাদা পা ছিল কমন্সের বইিৰে ৷ তখন মুল্যাং সৃদনীি (রা)
সে স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তিনি বলে উঠলেন সুবহানাল্পাহা এ পাগুলির ডো অৰুষ্ই অন্য
কতক হতে নির্গত (অথচ এক জোড়া সাদা ও অন্য জোড়া কাল)১ ৷ তার এ কথার রাক্ষোহ
(সা) আনন্দিত হলেন এবং আইশা (রা)-এর র্কাছে গিয়ে বললেন, তখন আনন্দে তীর
মুখমণ্ডলের রখাগুলি জ্বল জ্বল করছিল ৷
“তুমি দেখেছ কি যে, (কিয়ড়াফাৰিদ) যুজাযযায এইমাত্র যারদ ইবন হারিছ৷ ও উসামা ইবন
যড়ায়দ কে দেখে বলেছে, অবশ্যই এ পাগুলির কতক অন্য কতক হতে ৷ ”’
এ হাদীসের যুক্তিতে হাদীস বিশারদ ফকীহগণ ষ্যেমন শাফীঈ ও আহমাদ (র) প্রমুখ
ইমড়ামগণ বংশ সুত্রে মিশ্রণ ও দ্বিধার ক্ষেত্রে কিয়াফা তথা হড়াত-পায়ের রেখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে
মীমড়াৎশায় উপনীত হওয়া যথার্থ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ কারণ, এ হড়াদীসে বিষয়টির
প্রতি নবী করীম (না)-এর অনুমেড়াদন এবং এতে তার আনন্দবােধ প্রমাণিত হয়েছে ৷
ইমামদ্বয়ের এ অভিমতের বিবরণ যথাস্থানে বর্ণিত হয়েছে ৷ (এখানে আলী (রা)-এর প্ৰসংগ
উথাপনে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা প্রতিপন্ন করা যে) উসামা (বা) ইনতিকাল
করেছিলেন চুয়ান্ন হিজরী সনে ৷ আবু উমর (র) এ বর্ণনাকে যথার্থ বলেছেন ৷ অন্যান্যদের মতে
আটান্ন কিংবা উনষাট হিজরীতে ৷ আবার কেউ কেউ বলেছেন, উসমড়ান (রা)-এর শাহাদাত
লাভের পর ৷ আল্লাহ্ সমধিক অবগত ৷ সিহাহ সিত্তার সংকলকগণ সকলেই তাদের নিজ নিজ
গ্রন্থে উসামা (বা) সুত্রের হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷
দৃই ও নবী বরীিম (সা)এর আযাদকৃত গোলামের তালিকায় রয়েছেন আসলাম (বা) ৷ মতান্ত
রে, ইবরড়াহীম; মতান্তরে ছাৰিত; মতান্তরে হুরযুয ৷ তীর কুনিয়াত আবু রাফি এবং জাতি রুপাষ্ঠিতে
তিনি কিবতী ৷ বদরের আগে ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি ৷ কেননা,
১ মুজামৃযায (রা) ছিলেন নববী যুগের শ্রেষ্ঠ কিরাফা (হাত-পায়ের রেখা) ৰিশারদদের অন্যতম ৷ অনুবাদকা
তখনও তিনি তীর মনিব পরিবার আব্বাসীদের সংগে মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি (কাঠ
ছেচে) তীর তৈরী করতেন ৷ বদর যুদ্ধের খবর মক্কায় পৌছলে খবীছ আবু লাহাবের সংগে তীর যে
ঘটনা ঘটেছিল তীর বিবরণ বথাস্থানে বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহর জন্য সব ’ হামদ ৷ পরে তিনি হিজরত
করেন এবং উহুদ ও পরবর্তী যুদ্ধাভিযানসঘুহে অংশগ্রহণ করেন ৷ তিনি লিখতে জানতেন ৷ কুফায়
আলী (রা)-এর দফতরে নিবন্ধকের কাজ করেছেন ৷ এ তথ্য দিয়েছেন মুফাযযাল ইবন গাসসান
আল গুলাবী (র) ৷ উমর (রা)-এর যুগে তিনি মিশর বিজয়ের অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ৷ প্রথমে
তিনি আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর মালিকানায় ছিলেন ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর
জন্য জকে হিবা করে দিলে নবী করীম (সা) র্তাকে মুক্তি দিয়ে দিলেন এবং তার আযাদকৃত বীদী
সালমা (রা)-কে তীর সংগে বিয়ে দিয়ে দিলেন ৷ র্তাদের অনেক সন্তন-সম্ভতি হয়েছিল ৷ তিনি নবী
কবীম (না)-এর আলবাব-পত্র হিফাজতের দায়িত্ব পালন করতেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন,
মুহাম্মদ ইবন আকার ও বাহয (র)আবু রাফি (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা)
মাখযুম গোত্রের এক ব্যক্তিকে সাদকাের দায়িত্বে নিয়োজিত করলে সে আবু রাফি (রা)-কে বলল,
তুমি আমার সংগে চল, যাতে সাদড়াকার কিছু অংশ (ভাতা রুপে) পেতে পড়ার ৷ আবু রড়াফি (রা)
বললেন, না, যতক্ষণ না রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকটে গিয়ে জকে জিজ্ঞাসা করে নেই ৷ তিনি তখন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর র্কীৰুছ এসে জকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন,
“সাদাকা আমাদের (নবী পরিবারের) জন্য হালাল নয়, আর কোন জনগােষ্ঠির
মাওলা (আযাদকৃত গোলাম)-ও ভীদের আঃর্ভুক্ত ৷” ছাওরী (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন
মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) সুত্রে ৷ আবু ইয়ালা (র) তীর মুসনাদে
আবু রড়াফি (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খায়বারে থাকাকালে র্তারা ত্তীব্রে শীতের সম্মুখীন
হলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, যীর লেপ আছে
সে যেন মার লেপ নেই তাকে নিজের লেগে শরীক করে নেয় ৷” আবু রাফি (রা) বলেন, আমাকে
লেগে শরীক করে নিয়ে এমন কাউকে না পেয়ে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর র্কাছে এলে তিনি
নিজের লেপ আমার পায়ে তুলে দিলেন ৷ আমরা সকাল পর্যন্ত (এক সংগে) ঘুমিয়ে থাকলাম ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) র্তার পায়ের কাছে একটি সাপ দেখতে পেয়ে বললেন,
আবু রাফি ! ওটাকে মেরে ফেল, ওটাকে মেরে ফেল” ছয় সহীহ গ্রন্থের সংকলকগণ জদের
গ্রন্থসনুহে আবু রাফি (রা) সুত্রের রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷ আলী (রা)-এর খিলাফত কালে
তিনি ইনতিকাল করেন ৷
তিন : নবী কবীম (সা)এর মাওলাদের আর একজন হলেন আনসাঃ ইবন যিয়াসাঃ ইবন
মুশারৱাহ, মতাম্ভরে আবু মুসাররাহ ৷ মাহাজিরী আন সারাহ (পর্বতশ্রেণী) অঞ্চলের মুয়ড়াল্লার্প
বংশোদ্ভুত ৷ উরওয়া, যুহরী, মুসা ইবন উশবা, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও বুখাবী এবং অন্য
অনেকের মতে তিনি বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ মজলিসে উপবেশনকালে আগন্তুকদের জন্য
নবী করীম (না)-এর নিকট অনুমতি গ্রহণে নিযুক্তদের (অর্থাৎ দ্বার প্রহবীদের) অন্যতম
ছিলেন ৷ খলীফা ইবন খ্যায়্যাত (র) তার কিভাবে উল্লেখ করেছেন, আলী ইবন মুহাম্মদ (র)
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বলেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (না)-এর আযাদকৃত গোলাম
আনসা (বা) বদর যুদ্ধে শবীক ছিলেন ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বিষয়টি আমাদের কাছে
প্রামাণ্য নয় ৷ তবে আমি ৰিদ্বান মনীষীদের তার উহুদে উপস্থিতির কথা সপ্ৰমাণ করতে দেখেছি
এবং অনেক দিন বেচে থাকার পরে আবু বকর (রা) এর খিলাফতকালে র্তার ইনতিকাল করার
কথা র্তারা উদ্ধৃত করেছেন ৷
চার : নবী করীম (না)-এর অন্যতম আযাদকৃত গোলাম হলেন আয়মড়ান ইবন উবায়দ ইবন
যায়দ আল হাবশী (রা) ৷ ইবন মড়ানদা (র) তার বংশধারা আওফ ইবনৃল খাযরড়াজের সাথে
সম্পৃক্ত করেছেন ৷ কিন্তু এতে ভিন্নমতের অবকাশ রয়েছে ৷ ইনি উসামড়া (রা)এর বৈমাত্রেয়
ভাইশ্অর্থাৎ উসাযার মা বারাকাহ উন্মু আয়মড়ান ছিলেন এ অড়ায়নাব (রা) এরই যা ৷ ইবন ইসহাক
(র) বলেছেন ৷ ইনি ছিলেন নবী করীম (সা)-এর উযু-গোসলের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ হুনায়ন
যুদ্ধের সংকটকালে অবিচল স্বল্প সংখ্যকের মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন ৷ তিনি বলতেনঃ যে র্তার
ও তার সহযোগী অন্যদের সম্বৰ্ন্ধই এ আয়াত নাযিল হয়েছে-
সুতরাং যে তার প্ৰতিপালকের দীদারের আশা করে সে যেন লেক আমল করে এবং র্তার
প্ৰতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে” (১৮ : ১ ১০) ৷
শাফিঈ (র) বলেছেন, নবী করীম (সা) এর সংগে হুনায়ন যুদ্ধে শরীক হয়ে অদ্বয়ঘান (রৰু )
সেখানেই শাহাদাত বরণ করেন ৷ সুতরাং তার নিকট হতে বর্ণিত মুজাহিদ (র)এর
রিওয়ায়াতের সনদ বিচ্ছিন্ন ৷ অর্থাৎ মনসুর-মুজাহিদণ্ণ্ণ্আতা (র) সনদে আয়মান হাবশী (রা)
থেকে বর্ণিত ছাওরী (র) এর রিওয়ায়াত ষ্আয়মান (রা) বলেনঃ, নবী কৰীম (সা) ঢাল এর
সমমুল্যের জিনিসের ক্ষেত্রেই শুধু চোরের হাত কটেছেন ৷ আর সে সময় ঢাল-এর বাজার দর
ছিল এক দীনার ৷ আষুণ কাল্ডিং বাগাবী (র)-ও মুজ্যঘুস সাহারা গ্রন্থে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেনহারদ্ন ইবন আ“বদুল্লাহঘুজাহিদ ও আতা (র) সুত্রে, আয়মান (রা) থেকে ৷ তিনি
নবী করীম (সা) থেকে ষ্অনুরুপ বর্ণিত করেছেন ৷ এ বর্ণনার দাবী হল তার মৃত্যু নবী করীম
(সা) এর পরে হওয়া ৷ (যদি না হাদীসের সনদকে মুফাল্লাস (উর্ধতন রাবীর নাম উহ্য বলা
হয় ৷ —-) তবে আয়মান নামের অন্য কাউকে বৃঝানাের সন্তাবনাও রয়েছে ৷ তবে ইবন ইসহড়াক
(র) সহ জামহুরের মতে, আয়মনে (রা)কে হুনায়নে শাহাদাত বরণকারী সাহাবীগণের অভ
র্ভুক্ত ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমড়ার (রা) এর সংগে তার ছেলে হাজ্জাজ
ইবন আয়মাট্টন (রা) এর একটি ঘটনা রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর অন্যতম মড়াওলা বাযামএর
আলোচনা তাহমড়ান (রা) প্রসঙ্গ আলোচিত হবে ৷
পাচ : নবী করীম (সা)-এর অন্যতম মড়াওলা (আযাদকৃত গোলাম) ছিলেন ছাওবড়ান ইবন
বাহদাদ (বা) ৷ ম ৩াত রে , ইবন ওা৷২পার ৷ ঘুদ্বুনিরা৩ আৰু আবদুল্লাহ, মতাম্ভরে আবু আবদুল
কবীম; ম৩াতরে আৰু আবদুর রহমান ৷ তার বংশের আদি বাসস্থান হচ্ছে মক্কা ও ইয়ামড়ানের
মধ্যবর্তী অব্বস-সারাহ ( পর্বত শ্রেণীর) এলাকা ৷ মতাম্ভরে, তিনি য়ামা“নবাসী হিময়ার গোত্রের
এবং কারো কারো মতে হান বং শর ৷ আবার কেউ কেউ বলেছেন, মাযহিজ এর শাখা
; খাটি আবর নয় এমন ৷ অনৃবাদক
ইবন সাদ আল আশীরা গোত্রের ৷ জাহিলী যুগে তিনি যুদ্ধ বন্দী হন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (সা)
তাকে খরীদ করেন এবং তাকে মুক্তি দান করে এই মর্মে ইখতিয়ার প্রদান বমরন যে, তার
ইচ্ছা হলে সে স্বগােত্রে ফিরে যেতে পারে, আবার ইচ্ছা করলে সে থেকেও যেতে পারে ৷ এবং
তেমন বরেলে সে আহলে বায়ত নবী পরিবারের সদস্য সাব্যন্ত হবে ৷ তিনি নবী কবীম (সা)-
এর অ্যাযাদকৃত রুপে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে
যাওয়া পর্যন্ত ণ্দাশবিদেশে ও বাড়িতে-সফরে কখনো তার মা গ ত্যাগ করেন নি ৷ উমর (রা)-
এর যুগে মিশর বিজয় অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং পরে হিমস-এ চলে যান এবং
সেখানে একটি বাড়ি তৈরী করেন ৷ শেষ জীবন পর্যন্ত সেখানে বসবাস করে ঢুয়ান্ন হিজরীতে
নৈতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ তার মৃত্যু চুয়াল্লিশ হিজরীতে বলেছেন, কিন্তু এ মতটি সঠিক
নয় ৷ মতান্তরে, তার মৃত্যু মিশরে হওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ তিঃ হিমস-এ হাওয়ার অভিমতই
সঠিক ৷ যেমনটি পুর্বেই উল্লেখ হয়েছে ৷ আল্লাহ সৰ্বাধিক অবগত ৷ বুখাবী কিতাবুল আসার-এ
তার রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ সহীহ মুসলিম শরীফে এবং সুনড়ান চতৃষ্টয়েও তার রিওয়ায়াত রয়েছে ৷
হয় : নবী কবীম (না)-এর মাওলা চ্নায়ন (রা) ৷ তিনি ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ (ইবন
হুনায়ন)-এর দাদা ৷ আমাদের র্কাছে এরুপ রিওয়ায়াত রয়েছে যে, তিনি নবী কবীম (না)-এর
খিদমত করতেন এবং তাকে উযু করিয়ে দিতেন ৷ নবী কবীম (না) উযু সম্পন্ন করলে তিনি উযুর
অবশিষ্ট পানি নিয়ে সাহাবী (বা) গণের নিকট যেতেন ৷ তীদের কেউ তা পান করতেন এবং কেউ
তা মুখে মাখতেন ৷ একবার হুনায়ন (বা) তা নিজের র্কাছে রেখে দিয়ে একটি কলসিতে করে
লুকিংয় রাখলেন ৷ সাহাৰীগণ নবী কবীম (না)-এর দরবারে তীর নামে অভিযোগ করলে নবী
কবীম (সা) বললেন, ব ণ্ত্রএেও ০ তুমি তা দিয়ে কি করবে ? তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা
আমার র্কাছে তা সঞ্চিত রেখে পান করব ৷ নবী কবীম (সা) বললেন,
’ ণ্তামরা কোন তরুস্পভৈক এমন কিছু সংরক্ষণ করতে দেখেচ্ বা এ তরুণ সংরক্ষণ
করেছে ?“ পরে নবী ক্ৰীম্ (সা) স্বীয় চাচা আব্বাস (বা) শুরু তার এ মাওলাটিকে ইিবা করে
দেন ৷ তিনি র্তাকে যুক্তি দিয়ে দেন ৷ (আল্লাহ তাদের প্রতি রাযী হোন) ৷
নবী কবীম (সা) এর অন্যতম মাওলা ছিলেন যাকওয়ান (বা) ৷ তাহমড়ান (না)-এর
আলোচনায় তার কথা আলোচিত হবে ৷
সাত : অন্যতম মাওলা বাফি ফিৎবা আবু রাফি; ডাক নাম আবুল বাহী ৷ আবু বকর ইবন
বায়ছামা (র) বলেন, প্রথমে তিনি আস-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র আবু উহায়হা সা ঈদ-এব মালিকানায়
ছিলেন ৷ তার পুত্ররা তাকে মীরাছ রুপে পাওয়ার পরে র্তাদের তিনজন নিজেদের অংশ আনন্দ করে
দিলেন ৷ বদর যুদ্ধে তাদের সংগে তিনিও অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ র্তাদের তিন জনেরইন্ মৃত্যু হল ৷
পরে আবু রাফি (বা) তার মনিব সাঈদের পুএদের নিকট হতে খালিদ ইবন সাঈদের অংশ বাদে
অন্যান্য অংশ খব্লিদ করলেন ৷ খালিদ (বা) তার অংশ নবী কবীম (না)-কে হিবা করলেন ৷ নবী
কবীম (সা) হিবা গ্রহণ করলেন এবং তীরে যুক্ত করে দিলেন ৷ এ কারণে তিনি বলতেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-এর মাওলা ৷ তীর পরে তার সন্তড়ানরড়াও অনুরুপ আত্মপরিচয় দিত ৷
আট ও অন্যতম গোলাম রাবাহ, আল আসওদ (কৃষ্ণকার রাবাহ) ইনিও নবী কবীম (সা)-
এর দরবারে অনুমতি গ্রহণ করে দেয়ার (দ্বার রক্ষী) দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতেন ৷ নবী কবীম
(সা) তীর স্তীগণের সংগে ঈলা১ করে পরে তীদের ৎশ্রব বর্জনের উদ্দেশ্যে যখন মড়াশরাবা
কক্ষে অবস্থান করছিলেন তখন ঐ কক্ষে প্রবেশের ব্যাপারে উমর (রা)-এর জন্য তিনিই
অনুমতি গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইকরিম৷ ইবন আত্মার (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে উমর (রা)
থেকে বর্ণিত হাদীসে তীর নামের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওকী
(র)সালামা ইবনুল আকওয়া (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাবাহ নামে নবী কবীম
(সা)ষ্এর একজন গোলাম ছিলেন ৷
নয় : নবী করীম (সা) এর অন্যতম মাওলা রুওয়ায়ফি (বা) ৷ ঘুসআব ইবন আবদুল্লাহ
আর যুবড়ায়রী ও আবু বকর ইবন আবু খায়ছামা (বা) তীকে এভাবে মাওলা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত
করেছেন ৷ তীরা বলেন, উমর ইবন আবদুল আষীয (র)এর থিলাফত কালে রুওয়য়েপ্ফি (রন্ )
এর পুত্র খলিফার দরবারে প্রার্থী প্রতিনিধিরুপে উপস্থিত হলে খলিফা তীর জন্য ভহ্বস্তা মনজুবু
করলেন ৷ বর্ণনাকারীদ্বয় বলেন, তীর বংশধারা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকেনি ৷
গ্রহুকারের মন্তব্য : খিলাফতে রাশিদার অনুসারী মহান খলীফা উমর ইবন আবদুল আযীয (র)
রাসুলুল্লাহ (সা)ণ্এর মড়াওলাদের প্ৰতি অত্যন্ত মনযােগী ছিলেন ৷ তীদের পরিচিতি লাভ এবং তীদের
মনীষী আবু বকর ইবন হাঘৃম (রা)-এর র্কাছে এই মর্মে লিখে পাঠিয়েছিলেন যে, তিনি যেন
খিলাফতের পক্ষে রাসুলুল্লাহ (সা) এর আযাদকৃত গোলাম-বীদী ও খাদিমদের অনুসন্ধানেব্ৰভী হন
(এবং তীদের পরিসংখ্যান তৈরী করেন) ৷ এ বর্ণনা ওয়াকিদী (র) এর ৷ আবু আমর (র)
রুওয়ায়ফি (রা)-এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, তীর সুত্রে বর্ণিত কোন
হাদীসের অবপতি আমি লাভ করিনি ৷ ইবনৃল আহীর (র) তীর (উসদুল) গাবা৪ গ্রন্থে এ বক্তব্য
উদ্ধৃত করেছেন ৷
দশ : নবী করীম (না)-এর প্রিয়তম মাওলা যড়ায়দ ইবন হারিছা আল কালবী (রা) ৷ মুতা যুদ্ধে
তীর শাহাদাত লাভের বিষয় বংনাির ক্ষেত্রে আমরা তীর সম্বন্ধে কিঞ্চিত আলোচনা করেছি ৷ ঘুতা
অভিযান ছিল মক্কা বিজয়ের কয়েক মাস আগে অষ্টম হিজরীর জুমৰুদা (আউয়াল) মাসে ৷ যায়দ
(রা)-ই ছিলেন সে অভিযানের প্রধান সেনাপতি ৷ তীর পরে সেনাপতি হলেন জাফার (বা) এবং
তাদের দুজনের পরে হলেন আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ৷ আইশা (বা) হতে এ উক্তি বর্ণিত
হয়েছে ৷ তিনি বথােছুন, রাসুণুঘুা৷হ (সা) যায়দ ইবন হারিছা (রা)কে (কান অভিযানে পাঠালে
তীকেই সেনাপতি নিয়োগ করতেন এবং নবী করীম (সা) এর পরে তিনি বেচে থাকলে অবশ্যই
তিনি তীকে খলিফা মনােণীত করে যেতেন ৷ রিওয়ায়াত আহমদ (র) এর ৷
এ পায় ও নবী কবীম (না)-এর মাওলা আবু ইরত্ত্বসার যায়দ (রা) হ্ ভ্র:ন্থ
আবুল কাসিম বাপাবী (র) বলেছেন, তিনি মদীনায়
বলা হয়েছে ,
মড়াওলা থেকে ৷ তিনি তার পিতা সুত্রে দাদা (যায়দ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ
( সা) কে বলতে শুনেদুছন,
ঞ ৬“
“যে ব্যক্তি দৃআ বলবে (অর্থাৎ আমি ইসতিপফার ও ক্ষমা তিক্ষা
করছি যে আল্লাহর সকাদুশ যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই; যিনি চিরঞ্জীব, চির বিদ্যমান;
এবং তার কাছে তাওবা করছি ও ধাবিত হচ্ছি) তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে, এমন কি যুদ্ধ
ক্ষেত্র থেকে পলায়ন (এর ন্যায় মহা পাপ) করে থাকলেও ৷” আবু দাউদ (র) আবু সালাম৷ (র)
থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন
ইসমাঈল বুখারী (র) আবু সালামা (র) ঐ সনদে ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন,
গরীর-একক সুত্রীয়; এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় আমরা এ হাদীসের পরিচিতি লাভ
করিনি ৷
বার : নবী করীম (না)-এর অন্যতম বিশিষ্ট মাওলা আবু আবদুর রহমান সাফীনা (বা) ৷
মতান্তরে, আবুল বুখতারী ৷ তার প্রকৃত নাম ছিল মিহরান ৷ মতাতরে, আরস; মতান্তরে আহমার;
মতাতরে রুমান ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ভীকে সাফীনা উপাধি দিলেন ৷ কারণের বর্ণনা আসছে এবং
সেটিই তার নামের উপরে প্রাধান্য পেয়ে যায় ৷ প্রথমে তিনি উম্মু সালাম৷ (রা)-র গোলাম
ছিলেন ৷ আমৃত্যু রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমত করার শর্তে উম্মু সালামা (বা) তাকে যুক্ত করে
দিলেন ৷ তিনি এ শর্ত গ্রহণ করে বললেন, আপনি আমার উপর শর্ত আরোপ না করলেও আমি
তার নিকট হতে বিচ্ছিন্ন হতাম না (এ হাদীস রয়েছে সুনান গ্রন্থসমুহে) ৷ তিনি ছিলেন আরবী
ৎ শাদ্ভুত অনারব ৷ মুলত তিনি পারস্য দেশীয় ৷ তিনি হলেন সাফীনা ইবন মাফিনা (রা) ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবৃন নায্র (র) সাফীনা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বদুলছেন,হ্এে
উম্মতের মাঝে খিলাফত (পদ্ধতি) ত্রিশ বছর (স্থায়ী হবে) ৷ তার পরে হবে রাজতন্ত্র ৷” তারপর
সাফীনা (বা) বললেন, ধর আবু বকর (রা)-এর খিলাফত, উমর (রা)-এর খিলাফত, উসমান
(রা)-এর খিলাফত এবং সেই সাথে ধর আলী (রা)-এর খিলাফত ৷ তারপর রড়াবী বললেন,
আমরা এতে ত্রিশ বছর পেলাম ৷ পরবর্তী খলীফাদুদর প্রতি আমি নজর করলাম ৷ কিন্তু হিসাবে
তাদের জন্য ত্রিশ বছরের মিল দেখতে পেলাম না ৷ রাবীড়া হ্ড়াশ্ ৷রাজ (র) বলেন, আমি সাঈদ
(র)-কে বললড়াম, সাফীনা (রা)-এর সং গে আপনার সাক্ষড়াত হল কোথায় ? তিনি বললেন,
বাতন-ই-ন৷ ৷খলা-য়ষ্হাজ্জাজ এর শাসনামলে ৷ আমি তার কাছে তিন রাত অবস্থান করে তাকে
রাসুলুল্লাহ (না)-এর হাদীস জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম ৷ এক পর্যায়ে আমি তাকে বললড়াম,
আপনার নাম কি ? তিনি বললেন, যে খবর আমি তোমাকে দিচ্ছি না ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আমার
নাম সাফীনা রেখেছেন ৷ আমি বললড়াম, তিনি আপনার নাম সাফীনা রাখলেন কেন ? তিনি
বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাৰীদের সং দুগ নিয়ে বের হলেন ৷ তাদুদর পথের বোঝা তাদের
কাছে তা ৷রী হতে থাকলে নবী কৰীম (সা) আমাকে বললেন, তোমার চাদরটি বিছিদুয় দাও ৷
আমি তা বিছিদুয় দিলে তারা তাদের আসবাবপত্র তাতে রাখতে লাপলেন ৷ তারপর তা আমার
মাথায় তুলে দিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে বললেন,
নাও, তুমি তো এবল্টা জাহাজ ৷” সুতরাং সে দিন যদি আমি একটা উটের বোঝা কিৎবা দুই
উটের, কিৎবা তিন উটের, কিৎবা চার, কিৎবা পাচ, কিৎবা ছয়, কিত্বা সাত উটের বোঝা তুলে
নিতাম তবুও তা আমার জন্য ভারী হত করতেন ৷
উরেৰ্বা ত হাদীসটি আবু দাউদ, নাসাঈ ও তিরমিযী (র) ও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তাদের ভাষ্য
হল,“নৃবুয়্যাতের অনৃগামী খিলড়াফত ত্রিশ বছর; তার
পরে হবে রাজকীয় পদ্ধতি ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, বড়াহব (র)সাফীনা (রা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা এক সফরে ছিলাম ৷ পথে যখনই কেউ ক্লান্ত হয়ে
পড়ত, তখন সে তার কম্পোড়-চােপড়, ঢাল-তরবারী আমার উপর ফেলে দিত ৷
এভাবে আমি এধরনের অনেক কিছু বহন করলাম ৷ তখন নবী কবীম (সা ) বললেন, তুমি সাফীনড়া, জাহাজ ৷ তার সাফীনড়া নামকরণের ব্যাপারে এটাই প্রসিদ্ধ বিবরণ ৷
ওদিকে আবুল কড়াসিম রাগাবী (র) বলেছেন, আবুর রাবী সুলায়মান ইবন দাউদ আম বড়াহ রানী
ও মুহাম্মদ ইবন জাফার আল ওয়ারকানী (র)উম্মু সালামা (বা) এর একজন আযাদকৃত
সেড়ালাম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসলুল্লাহ (সা) এর সংগে ছিলাম ৷ আমরা
একটি নিনতুমি কিৎরা একটি খালের কাছে পৌছলাম ৷ আমি তখন লোকদের পার করিয়ে
দিচ্ছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা ) আমাকে বললেন, “আজ দিন
তর তুমি তো এবল্টা জন্বহাজই ছিলে ৷ ইমাম আহমদ (র) আসওয়াদ ইবন আমির (র) সুত্রে
অনুরুপ রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আবু আবদুল্লাহ ইবন মানদা (র) বলেছেন, হাসান ইবন মুকরিম
(র)সাফীনা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সাগরে আমরা একটি জাহাজের
আরােহী হলাম ৷ জাহাজ ভেঙ্গে পেলে আমি তার একটি তক্তায় উঠলাম ৷ সাগর আমাকে একটি
দ্বীপে ঠেলে দিল ৷ যেখানে একটি সিংহ ছিল ৷ হঠাৎই জকে দেখে আমি ভড়কে গেলাম ৷
আমি বললাম, হারিছের বম্পো (বনরাজ)১ আমি আল্লাহর রাসুল (না)-এর গোলাম ৷ তখন সে
আমাকে তীর কাধ দুলিরে ইংপিত করতে লাগল এবং এভাবে আমাকে রাস্তার তুলে দিল ৷ পরে
গলা ঘড়ঘড় করল ৷ আমি ভাবলাম যে , ওটা র্তার সালাম ৷
আবুল কাসিম আল বড়াগাবী (র) এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ইবরাহীম ইবন হড়ানি
(র)যুহাম্মদ ইবনৃল মৃনকাদির সনদে সাফীনড়া (বা) হতে ৷ বপোৰী (র) মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ আল ঘুখড়াররাঘী (র) সনদেও বিষয়টি বর্ণনা করেছেন ৷ তার অন্য একটি রিওয়ারাত
হারুন ইবন আবদুল্লাহ (র)রাসুলুল্লাহ (সা)এর আযাদকৃত গোলাম সাফীন৷ (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এক সিংহের সাথে আমার সস্ফোত হলে আমি র্তাকে বললাম, আমি
রাসুলুল্লাহ (সা)-এর গোলাম সাফীনা ৷ সাফীনা (রা) বলেন, সিংহ তখন তীর লেজ দিয়ে মাটিতে
আঘাত করল এবং বসে পড়ল ৷
মুসলিম (র) এবং সুনান গ্রন্থকারপণ র্তার বর্ণিত হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর ইনম
আহমদ (র)-এর ব্রিওয়ারতে উল্লেখিত হয়েছে যে তিনি বাতনইনাখলড়ায় বসবাস করতেন
এবং হাজ্জাজের স্পলনকল পর্বত তিনি উবন প্ারেছিলেন
তের : আবু আবদুল্লাহ সালমান আল ফারিসী (রা) ৷ ইসলাম গ্রহণ সুত্রে নবী কবীম (সা)
এর মাওলা ৷ ১ মুলতঃ তিনি পারস্য দেশীয় ৷ ঘটনা পরস্পরড়ায় দেশে দেশে ঘুরতে ঘুরতে
অবশেষে মদীনায় জনৈক ইয়ড়াহুদীর গোলামরুপে তিনি মদীনায় নীত হন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
হিজরত করে মদীনায় আগমন করলে সালমান (রা) ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং রাসুলুল্লাহ
(সা) র্তাকে পরামর্শ দিলে তিনি নিজের ইয়াহুদী মনিরের সাথে বিনিময় প্রদান সাপেক্ষে যুক্তির
চুক্তি করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এ ব্যাপারে ভীকে সহায়তা দিয়েছিলেন ৷ এ কারণে তিনি
তাকে নিজের সংগে সম্পৃক্ত করে বললেন, ণ্ষ্,ষ্া৷৷ এে এে :এেণ্ সালমান আমাদের নবী
পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ৷ তার দেশ ত্যাগ এবং একে একে ভিড়াবন্ন ধর্ঘযাজকের সান্নিধ্যে অবস্থান
এবং অবশেষে তার মদীনায় উপনীত হওয়ার বিবরণ পুর্বেই প্রদত্ত হয়েছে ৷ তার ইসলাম
গ্রহণের বিবরণ দেয়া হয়েছে নবী কবীম (সা)এর হিজরতের পরবর্তী প্রাথমিক ঘটনাসমুহের
বিবরণ প্রসৎগে ৷ তিনি ইনতিকড়াল করেন উসমান (রা) এর খিলাফত যুগের শেষ দিকে পহ্ইত্রিশ
ইিজবীতে কিংবা ছত্রিশ-হিজবীর প্রথম পর্বে ৷ কারো কারো মতে র্তার মৃত্যু হয় উমর (রা) এর
খিলাফত যুগে ৷ তবে প্রথম অভিমতটি সংথ্যাণরিষ্ঠের ৷ আব্বাস ইবন ইয়াঘীদ আল বাহরানী
(ব) বলেন, সালমান (রা)-এর জীবন অন্তত দৃইশত পঞ্চাশ বছর হওয়ার ব্যাপারে বিদ্বানবর্গ
দ্বিধান্বিত নন ৷ তবে এর অধিক সাড়ে তিনশত বছর পর্যন্ত সংখ্যায় তাদের বিভিন্ন মত
পরিলক্ষিত হয় ৷ পরবর্তী যুগের হাফীযুল হড়াদীসণণের কেউ কেউ অবশ্য দাবী করেছেন যে,
তার বয়স একশ বছরের সীমা অতিক্রম করেনি ৷ আল্লাহ সঠিক ও সমধিক অবগত ৷
চৌদ্দ ও নবী কবীম (সা) এর অন্যতম গোলাম শুকরান আল, হড়াবশী (রা) ৷ তার নাম ছিল
সালিহ ইবন আদী ৷ নবী কবীম (সা) তাকে পৈত্রিক সুত্রে পেয়েছিলেন ৷ ঘুসআব আর
যুবড়ায়বী ও মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) বলেছেন, প্রথমে তিনি আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)
এর মালিকানায় ছিলেন ৷ তিনি র্তাকে নবী কবীম (না)-এর জন্য হিবা করলেন ৷ আহড়ামদ ইবন
হাবল (র) ইসহাক ইবন ঈসা (র) সুত্রে আবু মাশার (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
শুকরান (রা) কে বদরে অংশগ্রহণকারী ৷;পালামদের তালিকাভুক্ত করেছেন ৷ এ কারণে র্তাকে
গণীমতেব পুর্ণাঙ্গ অংশ দেয়া হয়নি ৷ তবে নবী কবীম (সা) র্তাকে যুদ্ধ বন্দীদের দেখণ্ডেনাব
কাজে নিয়োজিত করেছিলেন ৷ পরে প্রত্যেক বন্দী পুরুষ র্তাকে কিছু কিছু অর্থ প্রদান করলে
র্তার প্রাপ্ত অংশ গণীমতের একটি পুর্ণাঙ্গ অংশের ঢেরে অধিক হয়ে গেল, বর্ণনাকাবী (আবু
মাশার) বলেন, বদরে আরো তিন জন গোলাম উপস্থিত ছিলেন৪ ১ ৷ আবদুর রহমান ইবন
অড়াওফ (রা) এর ণ্গালাম; ২ ৷ হাতির ইবন আবু বালতাআ (বা) এর গোলাম এবং ৩ ৷
সাঈদ ইবন লুআয (রা) এর গোলাম ৷ নবী কবীম (না) তাদের শান্তুনা পুরস্কাররুপে কিছু
কিছু উপহার দিয়ে দিলেন, পুর্ণাঙ্গ অংশ দিলেন না ৷ তবে আবুল কাসিম বপোবী (র ) বলেছেন,
যুহবী (র)শ্এর কিভাবে এবং ইবন ইসহাক (র)-এর কিতড়াবেও বদরে অৎশগ্নহণকড়াবীদের
তালিকায় শুকরান (রা)-এব উল্লেখ নেই ৷ ওয়ড়াকিদী (র) আবু বকর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু
সাবরা (র) সুত্রে আবু বকর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু জাহম (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে,
২ আত্মীয়-স্বজন বিহীন কেউ কারো হাতে হাত দিয়ে বিশেষ সম্পর্কের (ভ্রাতৃতৃ) চুক্তিতে ইসলাম গ্রহণ
করলে পরস্পরকে মাওলাল-ইসলামইসলাম গ্রহণ সুত্রে বন্ধুতৃ বলা হয় ৷ শ্অনৃবড়াদক
তিনি বলেন, যুরায়সী যুদ্ধে শত্রুপক্ষের যুদ্ধকালীন অবস্থান ক্ষেত্রে প্রাপ্ত যাবতীয় পার্দুস্থ্য
আসৰাব পত্র, সমরােপকরণ এবং উট, বকরী ইত্যাদির জন্য রাসুলুল্লাহ (সা) তীর মাওলা
শুকরান (রা) কে তত্ত্বত্ত্ববধায়ক নিফুক্ত করেছিলেন এবং নারী-গ্রিজােদর একদিকে সমবেত
করেছিলেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আসওদ ইবন আমির (র) য়াসুলুল্লাহ (না)-এর মাওলা শুকরান
(বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি তীকেঅর্থাৎ নবী কবীম (সা)ণ্কে দেখেছি, একটি
গাধার পিঠে খায়বার অভিমুখী, তীর উপরে থেকেই সালাত আদায় করছিলেন এবং ইশারা
করে করে (ককু০িসিজদা) আদায় করছিলেন ৷ ১ এসব হাদীসে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি এসব
অভিযানে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ তিরমিযী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, যায়দ ইবন আখযাম
(র) শুকরান (বা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, আমিই-আল্লাহর কলম ৷ কবরে রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দেহের নীচে চাদর রেখে দিয়েছিলাম ৷ জ্যফার ইবন ঘুহন্মেন (র) থেকে তীর পিতা সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী কবীম (সা ) এর কবর খনন করেছিলেন আবু তালহ৷ (রা ) ৷ আর
ঢাদর রেখে দিয়েছিলেন শুকরান (রা) ৷ এ হাদীস বর্ণনার পরে তিরমিষী (র) মন্তব্য করেছেন,
একক সুত্রে হাসান হাদীস ৷ এছাড়া, রাসুলুল্লাহ (সা)-কে গোসল প্রদানে তীর উপস্থিতি নবী
কবীম (সা)ষ্এর কবরে তীর অবতরণ এবং যে চাদর ৰিছিয়ে নবী কবীম (সা) সালাত আক্তার
করতেন তা কবরে নবী কবীম (সা)এর দেহের নীচে রেখে দেয়ার ঘিবয়গুলি ইভােপুহ্র্ব
উল্লেখিত হয়েছে ৷ তিনি তখন বলেছিলেন, “আল্লাহর কসম ৷ আপনার পরে অন্য কেউ তা
পরিমাণের অবকাশ পাবে না ৷ হাফিব আবুল হাসান ইবনৃল আন্থীর (র) তীর (উসুদুল) গারাঃ
তে উল্লেখ করেছেন যে, শুকরান (রা)-এর বংশধারা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং হারুন আর
রশীদের যুগে মদীনায় এ বংভ্রুশর সর্বশেষ ব্যক্তির মৃত্যু হয় ৷
পনের : যুমায়রাঃ ইবন আবু ষুমায়রাঃ (বা) ৷ মাহিলী যুগে তিনি বন্দীদশার শিকার হন ৷
নবী করীম (সা) তীকে খরিদ করে মুক্ত করে দেন ৷ মুসআব আযযুবায়রী (র) তীর কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, বাকী মহল্লায় তীর বাড়ি ছিল এবং তীর সন্তান-সম্ভতিও
ছিল ৷ আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহব (র) বলেন, ইবন আবু যিব শ্হুসায়ন ইবন আবদুল্লাহ ইবন
যুমায়রা, তীর দাদা যুমায়র৷ (রা) থেকে এ মর্মে যে, য়াসুলুল্লাহ (সা) যুমায়রা-র মায়ের নিকট
দিয়ে মাচ্ছিলেন ৷ তিনি তখন র্কাদছিলেন ৷ নবী কবীম (সা) তখন বললেন, ৷ এেক্ট তুমি কীদছ কেন ? তোমার কি ক্ষুধা পেয়েছে ? তোমার কি পরিমাণের
কাপড় নেই ? তিনি বললেন, ইয়া রা“সুলড়াল্লাহ! আমাকে আমার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া
হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, মা ও তীর সন্তানের মাঝে
বিচ্ছেদ ইাটানো যাবে না ৷” তারপর যুমায়র৷ যার কাছে ছিলেন রড়াসুলুল্লাহ (সা) তীকে ডেকে
পাঠালেন এবং তীর নিকট থেকে যুমায়রাকে একটি উঠতি বয়সের উটের বিনিময়ে খরিদ
করলেন ৷ ইবন আবু ষিব (া) ধ্দে ন,ারে হসারন ইবন আবদুল্লাহ তার নিকট রক্ষিত একটি
লিপি আমাকে পড়তে দিলেন ৷ জ্যোন্দো জ্জি)
দয়াৰান দয়ালু আল্লাহর নামে এটি একটি সনদ আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (না)-এর তরফে
আবু যুমায়রা ও তার পরিবারের জন্য ৷ এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের মুক্ত করে
দিয়েছেন, এবং এ মর্মে যে, তারা আরবের একটি পরিবার ৷ তারা ভাল মনে করলে রাসুলুল্পাহ
(না)-এর নিকটে অবস্থান করতে পারবে ৷ আর ভাল মনে করলে তারা তাদের স্বগােত্রেও ফিরে
যেতে পারবে ৷ সুতরাং ন্যায়সংগত কারণ ব্যতীত তাদের জন্য কোন প্ৰতিবহ্মক সৃষ্টি করা যাবে
না ৷ আর মুসলমানদের যার সংগেই তাদের সাক্ষাত হয় সে যেন তাদের সংগে সদাচারণ
করে ৷ লিখক উবায় ইবন কাব ৷
ষোল : নবী করীম (না)-এর অন্যতম মাওলা তাহমান (বা) ৷ মতাতরে যাকওয়ান; মতাত
রে মিহরান; মতান্তরে মায়মুন; কারো কারো মতে কায়সান এবং কারো কারো মতে বযােম ৷
ইনি নবী করীম (সা) থেকে এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন,
“সাদাকা আমার জন্য এবং আমার পরিবার পরিজনের জন্য হড়ালাল নয় ৷ এবং কোন
সম্প্রদায়ের মাওলা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত ৷ বাণাৰী (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন মিনজাব
ইবনুল হারিছ (র) প্রমুখ হতেআলী ইবন আবু তালিব (রা)-এর জনৈকা কন্যা সুত্রে-তিনি
হলেন উম্মু কুলছুম ৰিনত আলী (রা) ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না)-এর জনৈক মাওলা
ষ্যাকে তাহমান বা যাকওয়ান নামে ডাকা হত-আমড়াকে হাদীস শুনিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন বলে পুর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷
সতের : নবী করীম (না)-এর মাওলা উবায়দ (রা) ৷ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেন,
শুবা (র)জনৈক শায়খ হতে ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর মাওলা উবায়দ (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি বললাম, নবী করীম (সা) করব ব্যতিরেকে অন্য কোন সালাতের
আদেশ প্রদান করতেন ফি ? তিনি (উবায়দ) বললেন, মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী একটি
সালড়াতের ৷ আবুল কাসিম বাগাবী (র) বলেন, তিনি এ হাদীস ব্যতীত অন্য কোন হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমার আশা নেই ৷ ইবন আসাকির (র) বলেছেন, বাগাবীর এ বক্তব্য
যথার্থ নয় ৷ তারপর তিনি উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত আবু ইয়ালা আল মাওসিলী (র) সুত্রের
একটি হাদীস উপস্থাপন করেছেন ৷ আবদুল আলা ইবন হাম্মাদ (র)রাসুলুল্লাহ (না)-এর
মাওলা উবায়দ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, দুই জন মহিলা সিয়ামরত অবস্থায় গীবত
করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) একটি থেয়ালা আনিয়ে সে দুইজনকে বললেন, বমি কর ৷” তারা
বযি করল পুজ, রক্ত এবং তাজা র্কাচা গোশত ৷ তারপর নবী করীম (সা) বললেন,
“এ দ’জন তাে হালাল জিনিস হতে সিয়াম পালন’করেছে আর হারাম জিনিস দিয়ে ইকতার
(সিয়াম ভঙ্গ) করেছে ৷” ইমাম আহমদ (র) হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ ইয়াঘীদ ইবন
হারুন ও ইবন আদী (র) সুত্রেরাসুলুল্লাহ (না)-এর মাওলা উবায়দ (বা) থেকে (অনুরুপ
উল্লেখ করেছেন) এ হাদীসে আহমদ (র)-এর অন্য একটি রিওয়ড়ায়ড়াত : গুনদুর (র) উছমড়ান
ইবন গিয়াস (র) থেকে তিনি বলেন, আমি আবু উছমান (র)এর মজলিসে ছিলাম, তখন
এক ব্যক্তি বলল, সাঈদ কিৎবা-নৰী করীম (না)-এর মাওলা উবায়দ (দ্বিধাটি উছমানের)
আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন বলে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷
আঠার : নবী করীম (না)-এর মাওলড়া ফুযলো (বা) ৷ মুহাম্মদ ইবন সাঈদ (র) বলেন,
ওয়াফিদী (র) উতবা ইবন খিয়ারা আল আশহালী (র) থেকে ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন
আবদুল আযীয (র) আবু বকর মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হাযম (র)-এর নিকট এ মর্মে
লিখে পাঠালেন যে, আমার পক্ষে রাসুলুল্লাহ (না)-এর খাদিমণ্শ্নারী, পুরুষ ও মাশুলাদের
তত্তুতালাশ করুন ৷ জবাবে ইবন হাযম (র) লিখে পাঠালেনফুযালা নামে তীর একজন
ইয়ামানী মাওলা ছিলেন; যিনি পরে শাম দেশে অৰিভাসিত হয়েছিলেন ৷ আর আবু মুওয়ড়ায়হিবা
(মা) ছিলেন মুযায়না গোত্রের মিশ্র গ্রেণীভুক্ত একজন আরব গোলাম ৷ পরে তাকে যুক্ত করা
হয় ৷ ইবন আসাকির (র) বলেন, এ সুত্র ব্যতিরেকে অন্য কোন সুত্রে মাওলা তালিকায়
ফুযালা (না)-এর উল্লেখ আমি পইিনি ৷
উনিশ ও অন্যতম মাওলা কাফীয (বা) ৷ ( )ধুএভ্র) আবু আবদুল্লাহ ইবন মানৃদা (র) বলেন,
সাহল ইবনৃল সায়ী (র)আবু বকর ইবন আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, কাফীয’ নামে অভিহিত রাসুলুল্পাহ (না)-এর একজন গোলাম ছিলেন ৷ (মধ্যবর্তী রানী)
মুহাম্মদ ইবন সুলায়মান (র)-এর একক সুত্রে হাদীসটি বণিক্তি হয়েছে ৷
বিশ ও অন্যতম মাওলড়া কার্কারা ৷ কোন কোন পাযওয়া অভিযানে রাসুলুল্লাহ (না)-এর
আসবাবপত্র হিফাজতের যিম্মায় নিয়োজিত ছিলেন ৷ উমার ইবন আবদুল আযীম (র)-এর
কাছে পাঠানো মাওলা তালিকায় আবু বকর ইবন হড়াযম; (র) তীর নামও উল্লেখ করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান (র)আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর আনবাবপত্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল এক ব্যক্তি ৷ যার নাম ছিল
কারকারাঃ ৷ সে মারা গেলে নবী করীম (না) বললেন, যে জাহান্নামী ৷ তারা ঘোজ-খবর নিয়ে
দেখলেন যে, তার পার একটি আবা রয়েছে ষ্কিৎবা একটি যেটিড়া চাদর যা সে গণীমতের
সাল থেকে চুরি করেছিল ৷ বুখারী (র) হড়াদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আলী ইবনৃল মাদীনী
(র) শ্সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷
গ্রস্থুকারের মন্তব্য : কাবৃকারা-র এ ঘটনাটি বনু নাসীরের রাফাআ-র উপহৃত ৷:গালড়াম
মিছআম-এর ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ এর বর্ণনা পরে আসছে ৷
একুশ ও অন্যতম মাওলা কায়সান (রা) ৷ বাগাৰী (র) বলেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বা
(র) আতা’ ইবনৃল সইিব (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আলী (না)-এর কন্যা
উম্মু কুলছুম (রা)-এর কাছে গেলাম ৷ তিনি বললেন, কায়সান (রা) নামে নবী করীম (না)-এর
জনৈক মাওলা আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন-নবী করীম (সা) তাকে সাদাকা সম্পর্কে
বলেছিলেন ৷
“অমাদের অযােদকৃত ণ্গালাম অমোঃদবই অন্তর্ভুক্ত; সুতরাং তুমি সাদাকা খাবে না ৷”
’ বইিশ ও অন্যতম মাওলা খােজা মাবুর কিবৃতী ৷ আলেকজাদ্রিয়ার শাসক মারিয়া ও শীরীন
এবং একটি খচ্চরের সাথে র্তাকেও উপহাররুপে পাঠিয়েছিলেন ৷ মারিয়া (রা)এর আলোচনায়
তার সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিত আলোচনা আমরা করে এসেছি ৷
তেইশ ও অন্যতম মাওলা মিদআম ৷ তিনি কৃষকোয় ছিলেন ৷ হিসমা১ অঞ্চলের মিশ্র আরব
গ্রেণীভুক্ত ৷ রড়াফআ ইবন যায়দ আল-জুযামী তাকে উপহার রুপে পাঠিয়েছিলেন ৷ নবী করীম
(সা)এর জীবনকালেই সে নিহত হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছিল খায়বার অভিযান শেষে তাদের
প্রত্যাবর্তন কালে তারা ওয়াদিল ক্যুড়া-য় উপনীত হলেন ৷ মিদআম রাসুলুল্লাহ (না)-এর
উটের উপর হতে গদি-পাক্ষী নামজ্যি ৷ ইতোমধ্যে অতর্কিংত একটি অজ্ঞাত তীর এসে র্তাকে
ৰিদ্ধ করল এবং তার জীবন নাম করে দিল ৷ লোকেরা বলে উঠল, শাহাদত তার জন্য যুবারক
হোক ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
কক্ষনাে নয় ! যাব হাতে আমার জীবণ তার কসম ! সে শামলা (বড় চাদর) টি, যা বারবার
অভীযান কালে সে নিরেছিল-গনীমতের বীটোয়ারার অধীনে যা আসেনিতা অবশ্যই আগুন
হয়ে তার উপরে দাউ দাউ করে জ্বলছে ৷ ” সাহাবীগণ এ কথা শুনলে এক ব্যক্তি একগাছি
(জুতার) ফিতা-কিংবা দুই গাছি ফিতা-নিয়ে এল ৷ নবী করীম (না) বললেন,
এন্-ন্ ষ্ঠাং :শ্রো)রুট্ট আগুনের একগাছি ফিতা-কিংৰা আগুনের দুই গাছি ফিতা ৷ ” বুখারী-মুসলিম
(র) এ হড়াদীসটি উদ্ধৃত করেছেন মালিক (র) এর বরাতে, আবু হুরায়রা (রা) থেকে ৷
নবী করীম (না)এর মাওলা তালিকায় আর একটি নাম মিহরান ৷ তার নাম তাহমানও বলা
হয়েছে ৷ ইনিই সেই ব্যক্তি যার নিকট হতে উম্মু কুলছুম বিনত আলী (রা) বনু হাশিম ও তাদের
মাওলাদের জন্য সাদাকা হারাম হওয়া সম্পর্কিত হড়াদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ যেমনটি পুর্বেই
বর্ণিত হয়েছে ৷ আর একটি নাম মারমুন (রা) ৷ ইনিও জ্বিগৃ নামে পুর্বোল্লিখিত ব্যক্তি ৷
চব্বিশ : নবী করীম (না)-এর বিশিষ্ট মাওলা নাফি (রা) ৷ হাফিয ইবন আসারি (র)
বলেন, আবুল ফাতহ আল মাহানী (র)রাসুলুল্লাহ (না)-এর মাওলা নাফি (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছি,
১ হিসমা শামের মরু অঞ্চলে ওয়াদিল কুরা হতে দৃদিনের দুরত্বে অবহিত;
“জান্নাতে প্রবেশাধিকার পাবে না বুড়াে ব্যাভিচাবী; দাস্তিক ফর্কীর এবং স্বীয় আমলের
বদৌলতে মহান মহীয়ান আল্পাহ্র প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শনকারী ৷”
পচিশ ও অন্যতম মাওলা নুফায় (বা), মতান্তরে মড়াসরুহ; মতান্তরে নাফি ইবন মাসরুহ
(বা) ৷ তবে যথার্থ হল নাফি ইবনুল হারিছ ইবন কালদা ইবন আময় ইবন আল্লাজ ইবন সালামা
ইবন আবদুল উযযা ইবন গায়রা (গয়ড়ারা) ইবন আওফ ইবন কায়স (ইবন) ছাকীফ-আবু
ৰাকরা আছ ছাকাফী ৷ তার যা হল যিয়ড়াদের মা সুমায়্যা ৷ গোলামদের একটি জামাআতসহ
নৃফায় (বা) তায়েফের নগর রেষ্টনী টপকে চলে এসেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের মুক্ত করে
দেন ৷ তার প্রাচীর থেকে অবতরণ যেহেতু বাকরাহ১ হয়েছিল, এজন্য নবী করীম (সা) তীর নাম
ণ্রখেছিলেন আবু বাকরা ৷ আবু নুআয়ম (র) বলেছেন, তিনি একজন ৫নককার ও ভাল লোক
ছিলেন ৷ নবী করীম (সা) আবু বারযাঃ আল আসলামী (রা)-এর সংগে তার ভ্রাতৃবন্ধন স্থাপন
করে দিয়েছিলেন ৷
গ্রস্থকারের মন্তব্য : তিনিই ওসিয়াতের কারণে তার (আবু বারযা-র) জানড়াযা সালাত আদায়
করেছিলেন ৷ আবু বাকরা (বা) উটের যুদ্ধে এবং সিফফীনের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেননি ৷ তীর
ওফাত হয়েছিল একান্ন হিজরীতে , মতান্তরে বায়ান্ন হিজরীতে ৷
ছাব্বিশ : ওয়াকিদ কিংবা আবু ওয়াকিদ আল লায়হী (বা) ৷ রাসুলুল্পাহ (না)-এর আর
একজন মাওলা ৷ হাফিয আবু নৃআয়ম ইসপাহাবী (র) বলেন, আবু অড়ামর ইবন হড়ামাদান
(র) নবী করীম (সা)-এর মাওলা ওয়াকিদ (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করল যে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর যিকর ও স্মরণ করল,যদিও
তার সালাত, সিয়াম ও কুরআন তিলাওয়াভ ভাল হয় ৷ আর যে আল্লাহর অবাধ্য হয় সে
আল্লাহর যিকর করল না, যদিও তার সালাত, সিয়াম ও কুরআন তিলাওয়াত অধিক হয়
নবী করীম (না)-এর অন্যতম মাওলা আবু কায়সান হুরমুয (বা) ৷ মতান্তরে হুরমুয অথবা
কায়সান তীর নাম ৷ তার নাম তাহমান হওয়ার অভিমতও রয়েছে ৷ যেমনটি পুর্বে বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, আলী ইবন আব্বাস (র)ফাতিমা বিনত আলী কিংবা
উম্মু কুলছুম বিনত আলী (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আবু কায়সান উপনাম ও হুরঘুয
নামের আমাদের এক মাওলাকে আমি বলতে শুনেছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে
শুনেছি
“আমরা এমন একটি পরিবারের সদস্য যে, আমাদের জন্য সাদাকা হালাল নয় ৷ আর
আমাদের মাওলারা আমাদেরই অন্তর্ভুক্ত ৷ তাই তোমরা সাদাকা খাবে না ৷” রাবী ইবন
সদলবলে অথবা কুপ থেকে পানি তোলার চাকভী ঘোরাবার স্থান ৷
সৃলারমান (র)-ও হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আসাদ ইবন মুসা (র)আতড়াড়া ইবনুস
সাইব (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি উম্মু কুলছুম (রা)-এর নিকটে গেলাম ৷ তিনি
বললেন, হুরমুয অথবা কায়সান আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, ধামর৷ সাদাকা থাই না ৷ আবুল কাসিম বাপাবী (র) বলেছেন, মনসুর ইবন আবু
যুযাহিম (র) যুআবিয়া (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বিশ জন মামলুক (গোলাম)
বদরের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ এদের মধ্যে ছিলেন নবী কবীম (সা)-এর অন্যতম
গোলাম যাকে হুরমুয নামে ডাকা হত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তীকে যুক্ত করে দিলেন এবং
বললেন,
আল্লাহ্ই তোমাকে আযাদ করে দিয়েছেন ৷ কোন কওমের মড়াওলা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত এবং
আমরা এমন একটি পরিবার যে, আমরা সাদাকা থাই না ৷ অতএব তৃমিও তা থেয়াে না ৷
সাতাশ : নবী কবীম (সা)-এর মাওল৷ হিশাম (বা) ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) বলেন,
সুলারমান ইবন উবায়দুল্লাহ আর বাকী (র)ৱাসুলুল্লাহ (না)-এর মাওলা হিশাম (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার শ্রী কোন
স্পর্শকারীর’ হাত ফিরিয়ে দেয় না ৷ নবী কবীম (সা) বললেন,র্তাকে তালাক দিয়ে
দাও ৷ ” সে বলল, র্তাকে আমার ভাল লাগে ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, ৷গ্লু৷ ব্লুওস্ত্রব্ল র্তাকে
উপভোগ করতে থাক ৷ ” ইবন মানদা (র) বলেন, এক দল রড়াবী হাদীসটি সুফিয়ান ছাওবী (র)
বনু হাশিম পরিবারের (জনৈক) মাওল৷ সুত্রে নবী কবীম (সা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তবে এতে মাওলা-র নাম উল্লেখ করেন নি ৷ উবায়দুল্পাহ ইবন আমর (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন আবদুল কারীম (র) জাবির (বা) থেকে ৷
আঠাশ : নবী কবীম (সা)-এর মড়াওলা ইয়াসার (রা) ৷ কথিত আছে যে, উরানী দস্যুরা
একেই হত্যা করেছিল এবং তীর অংগ-প্ৰঅংগ কেটে বিকৃত করেছিল ৷ ওয়াকিদী (র) তার
সনদে ইয়াকুব ইবন উতবা (র) থেকে উল্লেখ করেছেন যে, কারকারা আল কুদর অভিযানে
পাতফান ও সুলায়ম গোত্রের পশুপড়ালের সংগে এ ইয়াসারকেও রাসুলুল্লাহ (সা) পাকড়াও করে
এসেছিলেন ৷ পরে সাহাবীপণ তাকে রাসুলুল্পাহ (সা)-এর জন্য হিবড়া করলে তিনি তাদের নিকট
হতে তড়াকে গ্রহণ করেন ৷ (এবং) যেহেতু তিনি তাকে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে
দেখেছিলেন, তইি তিনি তাকে যুক্তি দিয়ে দিলেন ৷ পরে লোকদের মাঝে এ অভিযানে প্রাপ্ত
উট পাল বন্টন করে দিলে প্রত্যেকের ভাগে সাতটি করে উট পড়েছিল ৷ তারা সংখ্যায় ছিলেন
দুইশত জন ৷
উনত্রিশ : নবী কবীম (সা)-এর মড়াওলা ও খাদিম আবুল হামরা (রা) ৷ তার সম্পরেইি বলা
হয়েছে যে, তার সামছিল হিলালইবনুল হারিছ ৷ মতড়ান্তরুরইবন ব্ড়াফকারব্ কেউ কেউ
বলেছেন, হিলাল ইবনুল হারিছ ইবন জাফর আস সৃলামী ৷ জাহিলী যুগেই তিনি যুদ্ধ বন্দী
হয়েছিলেন ৷ আবু জাফার মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন দৃহায়ম (র) বলেন, হড়াযিম (র) আবুল
হামরা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিট্রি,ন্ত্র,লুন্দ্াৰু,জৌশুনায় আমি লাগাতার সাত মাস প্রহরার
সাঃ গ্ল্লন ক্ষাংভ্রুঘী গ্রেটি৷ সময়টা ছিল বেন মাত্র ”এক দিন ৷ নবী করীম প্ (সা) প্রতিদিনের ও ফাতিঘা (বা) এর দবজায় এসে বলতেন,
“সালাত,স ৷লাতস ! ! আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের হতে অপবিত্রত৷ দুর করতে এবং
তোমাদের সম্পুর্ণ পবিত্র করতে হে নবী পরিবার” (৩৩ : ৩৩) ৷
আহমদ ইবন হাযিম (র) আরো বলেন, উবায়দুল্পাহ্ ইবন মুসা ও ফাযল ইবন দুকায়ন
(র) আবুল হামরা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না) এক ব্যক্তির পাশ
দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তার কাছে একটি পাত্রে খাদ্যদ্রব্য ছিল ৷ নবী করীম (সা) তাতে নিজের
হাত প্রবিষ্ট করে দিয়ে বললেন, ঢু ভো মোঃ (াএ মোঃ “তুমি এতে প্রতারণা করেছ
যারা প্রতারণা করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় ৷” ইবন মাজ৷ (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) , আবু নৃআয়ম (র) সুত্রে এবং তার কাছে এটি
ব্যতীত অন্য কোন হাদীস সেই ৷ আর (আবুল হামরা-র অধস্তন) রাবী এ আবু দাউদ হল
অন্ধ নু ফায় ইবনুল হ ৷রিছ; দুর্বল ও পরিত্যাক্তদের অন্য৩ তম ৷ আব্বাস আদ দাওরী (র) ইবন
মাঈন (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ আবুল হামর৷ (বা) রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহাবী; র্তার
নাম হিলাল ইবনুল হারিছ ৷ তিনি হিম্সে অবস্থানঃ করতেন ৷ সেখানে আমি কিশোর বয়সী
তার এক বংশধরকে দেখেছি ৷ অন্যদের মতে জর বা ৷ড়ি ছিল হিমসের নগর ভোরণের
বাইরে ৷ আবুল ওয়াফি (র) সামুরা (র) থেকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, আবুল হামরা (রা)
মাওলাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷
তার নাম ছিল হুরায়ছ ৷ আবুল কাসিম বাগাবী (র) বলেন, কামিল ইবন তালহ৷ (র) নবী
করীম (সা) এর রাখাল আবু সালম৷ (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি
বলতে শুলেছি,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাতে হাযির হবে এ অবস্থায় যে, সে সাক্ষ্য দেয় যে, এক আল্লাহ
ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং (এই যে) মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল এবং সে পুনরুথান ও
হিসাবে (কিয়ামতে) বিশ্বাস করে, সে জ ৷ন্নারুত দা ৷খিল হবে ৷” (রাবী বলেন) আ ৷মরা বললাম,
আপনি নিজে রাসুলুল্লাহ (সা) হতে এ কথা শুন্যেছন ? তিনি তখন নিজের দুই আং গুল দু’ কড়া নে
ঢুকিয়ে দিলেন ৷ এ কথা আ ৷মি নবী করীম (সা) এর কাছে শুনেছি শুধু একবার নয়, দুইবার
নয়, তিনবার নয়, চারবার নয়, (বরং আরো অধিক বার) ৷ ইবন আসাফির (র)৩ তার বর্ণিত এ
একটি মাত্র হাদীস উপস্থাপন করেছেন ৷ নাসা ৷ঈ (র) তার গ্রাস্ (কিতাব) তার আর
একটি হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং ইবন মাজ৷ তার বর্ণিত তৃতীয় একটি হাদীস উদ্ধৃত
করেছেন ৷
একত্রিশ৪ ংনবী করীম (সা) এর মাওলা আবু সা ৷ফিয়্যা (বা) ৷ আবুল কাসিম বাগাবী (র)
বলেন, আহমদ ইবনুল মিকদাম (র)বাহুলু লুল্লাহ (সা) এর মাওলা আবু সাফিয়্যা (রা)
সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, তার জন্য একটি চামড়া বিছিয়ে দেয়া হত এবং ৎকর ভর্তি একটি
পদে এনে রেখে দেয়া হত ৷ তিনি তা দিয়ে দুপুর পর্যন্ত তসবীহ পাঠ করতে থাকতেন ৷ পরে
তা তুলে নেয়া হত এবং যুহর সালাত আদায়ের পরে আবার সন্ধ্য৷ পর্যন্ত তাসবীহ পড়তে
থাকতেন ৷
বত্রিশ : নবী করীম (না)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু ঘুমায়র৷ (বা) ; পুর্বে আলোচিত
যুমায়রা (বা) এর পিতা এবং উম্মু য়ুমাররা (রা)-এর স্বামী ৷ যুমায়রা (রা)এর আলোচনায়
এ দুজনেরও যৎকিঞ্চিত আলোচনা এবং তাদের (জন্য প্রদত্ত নবী করীম (সা) এর) সনদ
পত্রের উল্লেখ হয়েছে ৷ ঘৃহাম্মদ ইবন সাদ (র) তাবাকাত গ্রন্থে বলেছেন, ইসমাঈল ইবন
আবদুল্লাহ আলু মাদানী (র) হুসায়ন ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু যুমাররা (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আবু যুমায়রাকে যে সনদপত্র লিখে দিয়েছিলেন, তা ছিল যে,
রিসমিল্লাহির রড়াহমড়ানির রাহীম আল্লাহর রাসুল যুহাম্মদের পক্ষ হতে লিখিত সনদ আবু
যুমড়ারবা ও তার পরিবারের জন্য ৷ এরা ছিল একটি আরবী পরিবার ৷ এবং তারা ছিল আল্লাহ
তার বাসুলকে যে ফায়’ দিয়েছিলেন তার অন্তর্ভুক্ত ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে যুক্তি দিয়ে
দিলেন ৷ পরে আবু যুমায়রা (রা)-কে ইখতি য়ার দিলেন, যে যদি তার স্বগােত্রে যাওয়া পসন্দ
করে তবে তো তাকে ইজাবাত অনুমতি দেয়া হয় ৷ আর পসন্দ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
ৎগে থেকে যেতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে তার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ৷ সে তখন
আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ইখতিয়ার করেছে এবং ইসলামে প্ৰবিষ্ট হয়েছে ৷ সুতরাং কল্যাণ
ব্যতীত কেউ যেন তাদের জন্য বাদ না সারে এবং মুসলমানদের বারই সংগে তাদের সস্ফোত
হয়ে সে যেন তাদের শুভ কামনা করে ৷ লিখক উবায় ইবন কাব ৷
ইসমাঈল ইবন আবু উরয়ায়স (র) বলেন, সুতরাং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর মাওলা ; তিনি
ছিলেন হিমৃরার গোত্রীয় ৷ তাদের একদল লোক সফরে বের হয়েছিল এবং তাদের সংগে এ
সনদপত্র ছিল ৷ দস্যুরা পথিমধ্যে তাদের আক্রান্ত করল এবং তাদের সংগে যা কিছু ছিল তা
নিয়ে নিল ৷ তখন তারা এ সনদপত্রটি বের করে তাদেরকে এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত
করলেন ৷ তরাে তা পাঠ করল এবং যা কিছু নিয়েছিলেন তা প্রত্যর্পণ করল এবং তাদের জন্য
কোন সমস্যা সৃষ্টি করল না ৷ বর্ণনাকাৰী (ইনমাঈল) বলেন, হুসায়ন ইরন আবদুল্লাহ ইবন
ষ্াবু যুমারর৷ (বা) খলীক৷ মাহদী-র দরবারে প্রার্থী প্রতিনিধিরুপে আগমন করলেন এবং সংগে
আদর এ সনদটি নাির আসলেন ৷ মাহদী তা হাতে নিলেন এবং তা নিজের চোখে (মুখে)
বুদালেন হ্ এবং হুসারন (রা)-(ক তিনশত দীনার দিয়ে দিলেন ৷
ভেত্রিশ ও নবী করীম (সা) এর মাওলা আবু উবায়দ (বা) ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন,
আফফান (র)আবু উবায়দ (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি নবী করীম (সা)-এর জন্য
এক হাড়ী গোশত পাকড়ালেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমাকে তার
(বকবীর) বাহু দাও ৷” অর্থাৎ তা তাকে তুলে দিলাম ৷ তিনি আবার বললেন,
আমাকে তার বাহু তুলে দাও ৷” আমি তা তাকে তুলে দিলাম ৷ তিনি আবার বললেন আমাকে তার বাহু তুলে দাও ৷ আমি বললাম, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ ৷ এবণ্টা বকবীর একটা
বাহু হয়ে থাকে ? তিনি বললেন,
এেত্রষ্ ব্লু
য়ীর হাতে আমার জীবন তার কসম ! তুমি যদি নীরবতড়া অবলম্বন করতে তবে আমি যতক্ষণ
চইিতড়াম তুমি আমাকে তার বাহু দিতে থাকতে ৷” তিরমিযী (র) হাদীসটি তার শামাইল-এ
রিওয়ায়াত করেছেন বুনদার (র)আবাস ইবন ইয়াযীদ আল আত্তাব (র) সুত্রে ৷
চৌত্রিশ ও অন্যতম মড়াওলা আবু উশায়ব ( ণ্শ্াট্টং) ৷ কারো কারো মতে আবু উসায়ব
(ৰু-ষ্থ্চ্-) ৷ প্রথম অভিমত বিশুদ্ধ ৷ তবে কেউ কেউ আবার দু’জন লোককে ভিন্ন ভিন্ন
বলেছেন ৷ পুর্বেই ৰিবৃত হয়েছে যে, তিনি নবী করীম (সা) এর জানাযায় অংশ্যাহণ করেছেন
এবং তার দাফনে হাযির ছিলেন ৷ তিনি নৃগীরা ইবন শুবা (রা)-এর (আৎটি সম্পর্কিত) ঘটনাটি
বর্ণনা করেছেন ৷ হারিছ ইবন আবু উসামা (র) বলেছেন, ইয়ড়াযীদ ইবন হারুন (র) বাসুলুল্লাহ
(সা) — এ র মাওলা আবু উসায়ব (বা ) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন-, রাসুলুল্লাহ (সা ) বলেছেন :
“জ্বর ও প্লেগ নিয়ে জিববীল আমার কাছে এলেন ৷ আমি জ্বরকে মদীনায় জন্য রেখে দিলাম
এবং প্লেগ পাঠিয়ে দিলাম শামে ৷ সুতরাং প্লেগ আমার উম্মতের জন্য শাহড়াদাত লাভের উপায়
এবং রহমতস্বরুপ ৷ আর কাফিরের জন্য তা আমার ও পংকিলতা ৷” ইমাম আহমদ (র)
ইয়াষীদ ইবন হড়ারুন (র) থেকে অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু আবদুল্লাহ ইবন মানদা
(র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াকুব (র) রাসুলুল্লাহ (সা) এ র মড়াওলা আবু উসায়ব (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক রাতে রড়াসুলুল্লাহ (সা) রের হলেন এবং আমার
পাশ দিয়ে পথ চলতে চলতে আমাকে ডাক দিলেন ৷ পরে আবু বকরের (বাড়ির) পাশ দিয়ে
যেতে যেতে তাকে ডাক দিলেন ৷ তিনি বের হয়ে এলেন ৷ তারপর উমর (রা) এর কাছে গিয়ে
তাকে ডাক দিলে তিনি বের হয়ে এলেন ৷ এরপরে তিনি হেটে চলতে চলতে র্জ্যনক আনসারীর
বাগানে প্রবেশ করলেন ৷ সেখানে রাসুলুল্লাহ (সা) বাগানের মালিককে বললেন,
“আমাদের আর পাকা খেজুর খেতে দাও ৷” তিনি তা এনে রেখে দিলে রাসুলুল্লাহ (সা) খেতে
লাগলেন এবং অন্য সকদুলুও খেতে লাগলেন ৷ পৃরে পানি আনিয়ে তা পান করলেন ৷ তলাে
বললেন,
(নিয়ড়ামত রাজী) কিয়ামতের দিন তোমাদের কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ দ্যে
উমর (রা) থেজুরের র্কাদিটি ধরে মাটিতে আছড়াড় দিলে বাড়াচা-পাকড়া খেজুর ছড়িয়ে পড়া ৷
তিনি বললেন, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহা কিয়ামতের দিন এ নিয়ামত সম্পর্কে আমরা জিজ্ঞাসিত হব ?
নবী করীম (সা) বললেন-
হী, (জবাবদিহী করতে হবে) তবে তিনটি বিষয় এর ব্যতিক্রম; এক টুকরা কাপড়, যা
দিয়ে কোন মানুষ তার গুপ্তস্থান আবৃত করে রাখে; কিৎবা এক টুকরা রুটি, যা দিয়ে সে তার
ক্ষুধা নিবৃত্ত করে; কিৎবা একটি কক্ষ যেখানে সে প্রবেশ করে অর্থাৎ পরমে বা শীতে ৷” ইমাম
আহমদ (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন শুরায়হ (র) সুত্রে ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) তার
তড়াবাকাতে রিওয়ায়াত করেছেন, মুসা ইবন ইসমাঈল সুত্রে, মায়মুন৷ বিনত আবু উসায়ব (রা)
সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আবু উসায়ব (রা) তিন দিন পর্যন্ত লাগাতার ( ৰুাগ্র) সিয়াম পালন
করতেন ৷ এবং পুবাহ্নের (চাশত) নফল সালাত দাড়িয়ে আদায় করতেন ৷ পরে তিনি অপারগ
হয়ে গেলেন ৷ এছাড়া তিনি আইয়ামে বীয -এর সিয়াম পালন করতেন ৷
মড়ায়মুন৷ (র) বলেন, তীর খাটের সাথে একটি ঘন্টি ছিল ৷ কখনো কখনো মেয়েকে ডাকড়ার জন্য
তার আওয়ায যথেষ্ট হত না ৷ তখন তিনি সে ঘন্টিটি নাড়া দিলে মায়মুন৷ তার কাছে আসত ৷
পয়ত্রিশ : নবী করীম (সা)-এগ্ অন্যতম মাওলা আবু কাবশা আল আনমারী ৷ ইনি প্রসিদ্ধ
মতে মাযহিজ এর শাখা আনমার-এর লোক ৷ তার নাম সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে ৷ এগুলির
মধ্যে অধিক প্রসিদ্ধ মতে তার নাম ছিল সুলায়ম (সালীম) ৷ মতান্তরে অড়ামর ইবন সাদ এবং
মতান্তরে এর বিপরীত অর্থাৎ সাদ ইবন আমর (বা) ৷ মুল বংশধারায় তিনি দাওস পােত্রীয়
অঞ্চলের মিশ্র আরব গ্রেণীভুক্ত ৷ তিনি বদরে অংশ্যাহণকারীদের অন্যতম ৷ মুসা ইবন উকবা
(র) যুহরী (র) থেকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য ব্যক্ত করেছেন ৷ ইবন ইসহাক, বুখারী, ওয়াকিদী,
যুসআব আয্ যুবড়ায়রী ও আবু বকর ইবন আবু খায়ছামা (র) প্রমুখ তার বিষয় আলোচনা
করেছেন ৷ ওয়াকিদী (র) অধিক তথ্য সংযোজন করেছেন ৷ উহুদ ও পরবর্তী অভিযানসমুহেও
অৎশ্চাহণ করেছেন ৷ পরে উমর ইবনুল খাত্তার (বা) খলীফা নিযুক্ত হওয়ার দিন ইনতিকাল
করেছেন ৷ তা ছিল হিজরী ত্রয়োদশ সনের জুমড়াদাল আখির মাসের অটি দিন অবশিষ্ট
থাকাকালীন মংপলবার ৷ আর খলীফা ইবন খায়্যাত (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর মাওলা
আবু কাবশা (বা) তেইশ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷
আবু কড়াবশা (বা) সুত্রের এ রিওয়ায়াতটি পুর্বেও উদ্ধৃত হয়েছে যে, তাবুক অভিযানে
গমনকালে যখন রাসুলুল্পাহ (সা) হিজর অতিক্রম করছিলেন, তখন লোকেরা সেখানকার
ৎসপ্রাপ্ত বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করলে ঘোষণা দেয়া হল-সালাতের জামাত তৈয়ার ৷ ”
লোকেরা সমবেত হলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, মোঃ
-ণ্শু-ওৰু ত্রা “যাদের উপরে আল্লাহ্র গযব পড়েছে তেমন সম্প্রদায়ের মাঝে প্রবেশে তোমরা
এমন ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কারণ কী ? এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লড়াহ ৷ তাদের ব্যাপারে
ৰিস্ময় বোধ (এর কারণ) ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-
“এর চাইতেও অধিকতর বিস্ময়কর বিষয়ে আমি কি তোমাদের অবহিত করব ? তোমাদের
মধ্যকার এক ব্যক্তি তোমাদের আগে যা হয়েছিল এবং তোমাদের পরে যা হবে তা তোমাদের
সামনে ব্যক্ত করে দেন ৷” (পুর্ণ হাদীস) ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুর রহমান ইবন
মাহদী (র)আবু কাবৃশা আল আনমারী (রা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না) তার
সাহাবীপণের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ হঠাৎ তিনি উঠে ভিতরে গেলেন এবং আবার বেরিয়ে
এলেন ৷ ইতোমধ্যে তিনি গোসল করে এসেছেন ৷ আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! বিশেষ
কিছু ঘটেছিল কি ? তিনি বললেন,
“ ই অমুক নারী আমার সম্মুখ দিয়ে যেতে লাগলে আমার মনে নারী বাসনার উদ্রেক
হল ২ তা ড়াই আমি আমার কো ন শ্রীর কাছে গিয়ে তার সাথে মিলিত হলাম ৷ ওে ৷“মরাও এমনই
করবে ; কেননা, এটাই ব স্তব যে, হালালকে ব্যবহার করা দুই তোমাদের আদর্শ আমল ৷ ”
আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী (র)আবু কাবশা আনমারী (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“এ উম্মতের দৃষ্ট ন্ত হচ্ছে চার প্রকার লোকের দৃষ্ট ন্ত ৷
(এক) এক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ মা ল ও ইলম দান করেছেন, সে তার ইলম অনুসারে তার
সম্পদে কমসুচী বা ম্ভেবড়ায়ন করে এবং যথাযথ স্থানে তা ব্যয় করে ৷
(দুই) আর এক ব্যক্তি, যাকে আ রহ ইলম দান করেছেন, মাল দেননি ; লে বলে, ঐ ব্যজ্যি
সম্পদের ন্যায় আমার সম্পদ থ কলে আ মি তা দিয়ে (৩ মনই (ভ ল) কা জ করতাম যেমন কাজ সে
করে যা কে ৷ র মুেলুল্লাহ (সা) বলেন, এ দুই ব্যক্তি সওয়ড়া বের ব্যাপারে সমতুল্য
(তিন) আর এক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, ইলম দেননি, যে তা অপাত্রে ব্যয়
করে এবং (চার) আর এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ সম্পদও দেননি, ইলমও দেননি ৷ সে বলে,
আমার যদি ঐ ব্যক্তির ন্যায় সম্পদ থাকত তবে আ ড়াযি তা দিয়ে সে যেমন (তাপকর্ম) করে
(র্ভমন কাজ করতাম ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, দৃই জন পাপের
মুহাম্মদ (র) থেকে ঐ সনদে হাদীসটি ব্রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ ইবনশ মজাে (র) এর আর একটি
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে মানসুর (র) কাবশা (রা) সুত্রে ৷
আহমদ (র) বলেন, ইয়াষীদ ইবন অড়াবদু রাব্বিহী (র) আবু কাবশা আনমারী (রা)
থেকে, আবু আমির আল হুরনী (র) সুত্রে ৷ এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, আবু কাবশা (বা) তার
কাছে এসে বললেন, তোমার ঘোড়াটি আমার যোড়ীকে প্রজননের জন্য ধার দাও ৷ কেননা,
আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শৃনেছি
“যে ব্যক্তি কোন মুসলামনকে প্রজননের জন্য ঘোড়া (ইত্যাদি পশু) ধার দিল সে মহান
মহীয়ান আল্লাহর রাস্তায় সত্তর জন (ঘুজাহিদ)-কে বাহন দেয়ার হওয়ার পারে ৷” তিরমিযী (র)
রিওয়ায়াত করেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইনমাঈল (র) আবু কাবশা (রা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন
তিনটি বিষয় তোমাদের কলম দিয়ে বলছি এবং সে বিষয় একটি হাদীস তোমাদের শুনাচ্ছি;
তোমরা তা সংরক্ষণ করার (এক) সাদকা বান্দার মান কমিয়ে দেয় না ৷ (দুই) বোন বড়ান্দা
জুলুম নিপীড়নের শীকার হয়ে তাতে সবর করলে আল্লাহ তার মান-মর্যড়াদা বাড়িয়েই দেন ৷
(তিন) বোন বান্দা হাত পাতায় দরজা উন্মুক্ত করলে আল্লাহ তার জন্য দারিদ্রের দরজা উন্মুক্ত
করে দেন ৷” (পুর্ণ হাদীস) তিরমিযী (র)-এর মন্তব্য ষ্হড়াদীসঢি হাসান-সহীহ ৷ আহমদ (র)
হড়াদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন গুণদার (র) আবু কাবৃশা (বা) সুত্রে ৷ আবু দাউদ ও ইবন মড়াজা
(র) রিওয়ায়াত করেছেন ওলীদ ইবন মুসলিম (র) আবু কশো আনমাবী (রা) সুত্রে এ মর্মে
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) মাথার তালুতে এবং র্কাধের মাঝে শিংপা লাগাতেন ৷ তিরমিষী (র)
রিওয়ায়াত করেছেন হুমায়দ ইবন মাসআদা (র) আবু সাঈদ (আবদুল্লাহ ইবন বুসর) (র)
থেকে ৷ তিনি বলেন, আবু কাবৃশা আনমারী (রা)-ফে আমি বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
সাহাবীগণের টুপি ছিল চ্যাপ্টা (মাথায় মিশে থাকে এমন) ধরনের ৷
ছত্রিশ : নবী কবীম (সা) এর মাওলা আবু মুওয়ায়হিবা (রা) ৷ মুযায়না গোত্রের মিশ্র আরব
ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (মা) তাকে খরিদ করে আমাদ করে দেন ৷ তার মুল নাম জানা যায় না ৷
আবু মুসআব আয-যুবায়রী (র) বলেছেন, আবু মুওয়ায়হিবা (বা) মুরায়সী যুদ্ধে অংশ্যাহণ
করেছিলেন ৷ ইনিই আইশা (রা)-এর বাহন উট টেনে নিয়ে চলতেন ৷ ইমাম আহমদ (র)-এর
রিওয়ায়াত এবং আবু মুওয়ায়হিবা (বা) পর্যন্ত সংযুক্ত তার সনদে পুর্বে উল্লেখিত হয়েছে নবী
করীম (মা) তাকে সংগে করে রাতের বেলা বাকী পােরস্তানে গমন করেছিলেন এবং সেখানে
দাড়িয়ে নবী করীম (সা) কবরবাসীদের জন্য দুআ করেছিলেন এবং তাদের জন্য মাপফিরাত
কামনা করেছিলেন ৷ পরে বলছিলেন “তোমাদের জন্য সুখকর হোক সে অবস্থা যাতে তোমরা রয়েছ সে অবস্থার চেয়ে যাতে
কিছু লোক রয়েছে ৷ ফিতনা ও বিপদ এসে পড়েছে আধার রাতের টুকরােগুলির ন্যায় ৷ যার
একটি অন্য টিকে দাবিয়ে দেবে ৷ যার পরবর্তীটি পুবল্কির্তীটির চেয়ে কঠিনতর ৷ সুতরাং তোমরা
যাতে রয়েছো তা তোমাদের জন্য সুখকর হোক ৷ পরে তিনি ফিরে এসে বললেন, আবু
মুওয়ায়হিবা! আমাকে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে আমার পরে আমার উম্মতকে যে বিজয় দেয়া
হবে তার চ ৷রিওচ্ছ এবং জানতে অথবা আমার প্রতিপালকেব সাক্ষাত লাভের মধ্যে আমি
আমার প্ৰতিপালকের স গে সাক্ষাতকে গ্রহণ করেছি ৷ আবু মুওয়ায়হিব৷ (রা) বলেন, এরপরে
সাত কিৎব৷ অট দিন যেতে না যেতেই তাকে উঠিয়ে নেয়া হয় ৷
এ পর্যন্ত ছিল নবী করীম (সা) এর মাওলা ও গোলামদের বিবরণ ৷
নবী করীম (সা) এর ৰ্বা দী-দাসীগণ
এক নবী কবীম (না) এর দাসী-বাদীগণের তালিকায় রয়েছেন আম৷ তুল্লাহ বিনত রাযীনা ৷
তবে বিশুদ্ধ মতে তার মা রাযীন ই সাহাবী ছিলেন যে বর্ণনাঢি পরে আসছে ৷ ইবন আবু
আসিম (র)-এর বিওয়ায়াত রয়েছে, উকব৷ ইবন ঘুকরিম (র)নবী কবীম (না)-এর
পরিচালিকা আমাতুল্লাহ-এর না হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বনু কৃরায়জা ও
বনু নাযীব ( ?) অভিযানে সাফিয়া৷ (রা) কে বন্দী করেন এবং তাকে যুক্তি দিয়ে (শ্রী রুপে গ্রহণ
করেন এবং ) আমাতুল্লাহ-র ম৷ রাযীনা (রা) কে মহররুপে দান করেন ৷ এ হাদীস অতিশয়
বিরল ৷
দুই ইবন আহীর বলেন, নবী করীম (সা) এর আযাদকৃতা অন্যতম ৰ্বাদী উমায়মা (রা) ৷
শামবাসী ঘুহাদ্দিসগণ তার বর্ণিত হাদীসে রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ জুবায়র ইবন নুফায়র (বা)
তার সম্পর্কে বিওয়ড়ায়াত করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে উযু করিয়ে দিতেন ৷ একদিন
এক ব্যক্তি এসে নবী করীম (না)-কে বলল, আমাকে ওসিয়ত করুন ৷ নবী করীম (সা)
বললেন-
আল্লাহর সং গে কো ন কিছুকে শবীক করবে না; তোমাকে কেটে ফেলা হলে কিংবা অ ৷গুনে
জ্বালিয়ে দেয়৷ হলেও না ৷ ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন সালাত ত্যাগ করবে না ৷ কেননা, স্বেচ্ছায়
স্বজ্ঞানে কেউ সালাত ত্যাগ করলে তার ব্যাপারে আল্লাহর দায়শ্দায়িতু ও তার রাসুলের দায়-
দায়িতৃ রহিত হয়ে যায় ৷ তুমি অবশ ৷ব্রই মাদকদ্রব্য পান করবে না ৷ কেননা, তা সব পাপেব মুল
এবং অবশ্যই তোমার পিতা মাতার অবাধ্য হবে না৷ যদিও তারা তোমাকে তোমার পরিবার
এবং তোমার সং সার হতে সম্পর্কচ্যুত্ত হতে হুকুম করে ৷
তিন আয়মান (বা) ও উসামা ইবন যায়দ ইবন হারিছ৷ (বা) এর মা বারাক৷ (বা) ৷ তার
বংশ সুত্র বারাক৷ বিনত ছালাব৷ ইবন আমর ইবন হুসায়ন (হিসন) ইবন মালিক ইবন
সালামা ইবন আমর ইবনুন নুমান হাবাশিয়৷ ৷ তবে উম্মু আয়মান কুনিয়াত তার নামের
উপরে প্রাধান্য বিস্তার করেছে ৷ আয়মান হল তার প্রথম স্বামী উবায়দ ইবন যায়দ হাবাশী হতে
তার পুত্র ৷ পরে যায়দ ইবন হারিছ৷ (না) তাকে বিবাহ করেন এবং এ ঘরে তাদের সন্তান
উসামা ইবন যায়দ (রা) এর জন্ম হয় ৷ উম্মুজজিবা না মেও তার পরিচিতি ৩রয়েছে ৷ তিনি দু টি
হিজর৩ ই (হাবাশা ও মদীনায়) করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর মা আমিনা বিনত ওয়াহব