হতজ্জর সাথে কিৎবা আগে বা পরে একেবারেই উমর৷ না করা বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তবে কোন
আলিম এহেন মত পোষণ করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ তা ছাড়া এ দাবী তখন আইশা
(রা) প্রমুখ হতে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত রিওয়ায়াত নবী করীম (সা) চারবার উমরা
করেছিলেন, বিদায় হদুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরাটি ব্যতীত যার প্রতিটি ছিল যিলকদ
মাসে ৷ ’-এর সাথে সরাসরি বিরােধপুর্ণ হবে (কিরান শীর্ষক অনুচ্ছেদে এ বিষয়ের বিশদ বর্ণনা
দেয়া হবে) ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
অনুরুপ ইমাম আহমদ (র)-এর মুসনাদে বর্ণিত, তার আর একটি রিওয়ায়াত রাওহ (র)
নবী করীম (সা) এর সহধর্গিনীন্ আইশা (রা) সুত্রে বলেছেন, বিদায় হরুজ্জ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ
ও উমরার (সমন্বিত) ইহরাম বীধলেন এবং সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) নিলেন; তীর সন্সের
কিছু লোক (শুধু) উমরার ইহরাম বাধলেন এবং হাদী সাথে নিলেন এবং অন্য কিছু লোক
উমরার ইহরাম বাধলেন, তবে তারা কো ন ৷হাদী সাথে নিলেন না ৷ আ ৷ইশা (রা) বলেন, আমি
ছিলাম সে দলে যারা উমরার ইহরাম বাধলেন, তবে আ ৷মি হাদী সাথে নিলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্
যখন মক্কায় উপনীত হলেন তখন বললেন-
“ তোমাদের মাঝে যারা উমরার ইহরাম বেধেছে এবং সাথে হাদী নিয়ে এসেছে তারা যেন
বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করে, আর তাদের হজ্জ সমাধ৷ না করা
এবং দশ তারিখে তাদের হাদী কুরবানী না করা পর্যন্ত তাদের জন্য যা হারাম হয়েছিল তার
কিছুই হালাল হবে না ৷ আর তোমাদের মাঝে যার৷ উমরার ইহরাম বেধেছে তবে সাথে হাদী
নিয়ে আসে নি, তারা যেন বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করে,
তারপর চুল ভুাটে ও হালাল হয়ে যায় ৷ পরে যেন (যথাসময়) হত্তজ্জর ইহরাম করে এবং
হাদী কুরবানী করে; অবশ্য যারা তাতে সমর্থ না হয়ে তাদের জন্য হস্কজ্জর দিনগুল্যেতে
তিনটি এবং যখন বা ৷ড়িতে ফিরে যাবে তখন সাতটি (মো ৷ট দশটি) রােয৷ ৷ আ ৷ইশা (রা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন হজ্জ যা ছুটে যাওয়ার আশং কা করছিলেন, আগে সমাধা
করলেন, পরে উমরা করলেন ৷ এ হাদীসটিও ইমাম আহমদ (র) এর একক বর্ণনা ৷ এর
কতক শব্দ অপরিচিতি দুষ্ট; তবে কতকের আবার বিশুদ্ধ বর্ণনার সমর্থক’ (শাহিদ)
রয়েছে৷ ৷ত৷ ছাড়া (সনদের দ্বিতীয়) রাৰী সালিহ ইবনুল আখযার (তার শায়খ ইব ন শি ৷হাব)
যুহরী (র) এর সেরা ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত নয়; বিশেষত যখন অন্যান্য রা ৷বী তার প্রতিকুল
বিবরণ দেয় ৷ যেমন এ ক্ষেত্রে তার বর্ণিত কতক শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ তদুপরি হজ্জ যা
ছুটে যাওয়ার আশং কা করছিলেন, আগে আদায় করলেন এবং উমর৷ পিছিয়ে দিলেন ৷
উক্তিটি এ হাদীসের প্রথমাং শের হজ্জ ও উমরার (সমন্বিত) ইহরাম করলেন’ এর সাথে
সঙ্গভিপুর্ণ নয় ৷ কেননা, এ কথার উদ্দেশ্য যদি এমন হয় যে, যে ৷টামুটিভাবে হজ্জ ও উমরা
উভয়ের ইহরাম (অর্থাৎ নিয়াত) করেছিলেন এবং হরুজ্জর কার্যক্রম আগে সম্পন্ন করেন এবং
তা সম্পন্ন করার পরে উমরার ইহরাম করলেন ৷ যেমনপ্শ্ ইফরাদের অভিমত পােবণকারিগণ
বলে থাকেন,তবে সেটাই তো আমাদের প্রতিপাদ্য ৷ আর যদি এমন উদ্দেশ্য হয় যে, আগে
থেকেই উমরার ইহরাম করা সত্বেও তার কার্যক্রম পুরোপুরি পিছিয়ে দিয়েছেন তবে,
আলিমগণের মাঝে এহেন অভিমত পােবণকারী এমন কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই ৷
আর যদি এ কথার উদ্দেশ্য এমন হয় যে, হয়ুজ্জর কার্যক্রম আদায়ের উমরার কার্যক্রম আদায়
হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ উমরাটি হরুজ্জ্বর মাঝে অনুপ্রবিষ্ট’ হয়ে গিয়েছে (বিধায় উমরার জন্য
স্বতন্ত্র তাওরাফ ইত্যাদি কার্যক্রম প্রয়োজনীয় নয়) ৷ তবে, তা তো তাদের বক্তব্য যারা (নবী
করীম (সা) এর হজ্জ) কিরান ধরনের হওয়ার অভিমত পােবণ করেছেন ৷ তবে এ অভিমত
পােবণকারিগণ সে সব হাদীস যাতে এরুপ বর্ণনা রয়েছে যে, নবী কবীম (সরু) ইফরাদ (অর্থাৎ
স্বতন্ত্র ) হজ্জ করেছিলেন এ গুলোর ব্যাখ্যা এভাবে দিয়ে থাকেন যে, তিনি হরুজ্জর জন্যই
(শুধু) স্বতন্ত্র আমল ও কার্যক্রম সমাধা করেছিলেন, যদিও হত্তজ্জর সাথে উমরারও নিয়ত
করেছিলেন (যেহেতু উমরা হসুজ্জর মাঝে অনুপ্রৰিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলে) ৷ তাদের এ ব্যাখ্যার
পিছনে যুক্তি হল এই যে, (র্তীরা বলেন) যে সব বর্ণনাকারী কিরান’ হজ্জ হওয়ার রিওয়ায়ড়াত
করেছেন, র্তীরাই সকলে ইফরাদ হজ্জ হওয়ারও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বর্ণনা সামনে আসছে
অর্থাৎ র্তীদের দৃষ্টিতে কিরান ও ইফরাদ মুলত অভিন্ন বিষয় ৷ নিয়তের বিচারে কিরান এবং
কার্যক্রমের বিচারে তাই ইফরাদ ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু ঘুআবিয়া (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) হতে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু) তীর হৰুজ্জ শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম করেছিলেন ৷ এ হাদীসের সনদ মুসলিম,
(র)-এব শর্তানুরুপ উত্তম ৷ বায়হাকী (র) এ হাদীস রিওয়ায়ড়াত করেছেন হাকিম (র)
প্রযুখজাবির (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর হব্জ্জ (শুধু) হরুজ্জর ইহরাম
করলেন, যার সাথে উমরা ছিল না ৷ এ শেষের বর্ধিত অংশটুকু একান্ত বিরল ধরনের এবং
আহমদ ইবন হাবল (র) এর রিওরায়াত অধিক বিশুদ্ধ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ সহীহ্
মুসলিমে জাফর ইবন মুহাম্মদ (র) জাৰির (রা) সুত্রে তিনি বলেন, আমরা হভ্রুজ্জর ইহরাম
বীধলড়াম, আমরা হভৈপুজ্জর সময় উমরাও যে করা যায় তা জানতাম না ৷ ইবন মজ্যে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন, হিশাম ইবন অস্ফোর (র) জাৰির (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু)
ইফরাদ হজ্জ করেছেন ৷ এটি একটি উত্তম’ সনদ ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুল
ওয়াহ্হড়াব আছ-ছাকাফী (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সরু) নিজে এবং তার সাহাবীগণ হত্তজ্জর ইহরাম র্যড়াধলেন; নবী কবীম (সরু) এবং
তালহা (রা) ব্যতীত র্তাদের কারো সাথে হাদী ছিল না (এরপর হাদীসটি আনুপুর্বিক উল্লেখ
করেছেন) ৷ এ দীর্ঘ হাদীস বুখায়ী (র)এর সহীহ্ গ্রন্থে রয়েছে যা পরে আসবে ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইসমাঈল ইবন ঘৃহাম্মদ (র) ইবন্ উমর (রা)-এর বরাতে
বলেন, আমরা নবী করীম (সা) এর সাথে ইফরাদ হয়ুজ্জর ইহরাম র্যড়াবলাম ৷ মুসলিম (র)
তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসখানড়া ভিন্ন সনদে রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷
হাফিজ আবু বকর আলবাবযড়ার (র) বলেছেন, হাসান ইবন আবদুল আষীয ও মুহাম্মদ
ইবন যিসকীন (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সন্ব) হয়ুজ্জর
অর্থাৎ ইকরাদ ইহরড়াম করলেন ৷ এ হাদীসের সনদ বেশ উত্তম ৷ তবে ছয় গ্রন্থকড়ারপণ তা
আহরণ করেন নি ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, রাওহ্ ইবন উবড়াদা (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম বাধলেন ৷ যিলহয়ুজ্জর চারদিন
অতিক্রাম্ভ হলে তিনি মক্কায় পৌছলেন এবং আমাদের নিয়ে বার্তৃহড়ায়’ (ৰায়তুল্লাহ্র কাছে
কৎকরময় ভুমিতে) ফজরের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর বললেন ৰু৬ৰুপ্রু () এে (,এে
শ্শ্লে ট)এং “যে এটিকে উমরা বানাতে চার যে তা করতে পারে ৷ ” পরে তিনি (বায়হড়াকী)
বলেছেন যে, মুসলিম (র) ও এ হাদীসখানা রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আর ইবন আব্বাস (বা)
হতে কাতাদা (র) এর এ রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) যুল হুলায়ফায়
যুহরের সড়ালড়াত আদায় করলেন, পরে তার হাদীর উট নিয়ে আসা হলে সেটির কুজের ডান
পাশে যখম করলেন ৷ পরে তার বাহন নিয়ে আসা হলে তাতে আরোহণ করলেন ৷ তারপর
বাহন তাকে নিয়ে প্রাতরে স্থির হয়ে র্দাড়ালে তিনি হব্লুজ্জর ইহরাম বীবলেন ৷ সহীহ্ যুসলিমে এ
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে ৷
হাফিজ আবুল হাসান দারড়া কুতনী’ (র) বলেছেন, হুসায়ন ইবন ইসমাঈল (র)
আসওয়াদ (র) সুত্রে তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনি শুধু
হজ্জ করেছেন; উমর (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনিও শুধু হজ্জ করেছেন এবং উছমান
(রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনিও শুধু হজ্জ করেছেন ৷ ’ ছাওবী (র) আবু হুসড়ায়ন (র) সুত্রে
এ হাদীসের অনুপড়ামী (ভাবি) হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এখানে (খলীফাপণের আমলের) এ
বিষয়টি উল্লেখ করার যুক্তি এই যে, বড়াহ্যত ইসলামের এ পুরােধা ব্যক্তিবর্গ (রা) এ আমল
তাওফীকী (অর্থাৎ শরীআত প্রবর্তক নবী করীম (সা) এর অনুসরণের) পদ্ধতিতেই করে
থাকবেন ৷ এ বনািয় শুধু হজ্জ বলতে ইফরাদ হজ্জ বুঝানো হয়েছে ৷ দড়ারা কুতনী (র) আরো
বলেছেন, আবু উবায়দুল্লাহ্ কাসিম ইবন ইসমাঈল ও মুহাম্মদ ইবন মাখলাদ (র) ইবন উমর
(রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী কৰীম (সা) আত্তাব ইবন আসীদ (র) কে হরুজ্জর
আমীর নিয়োগ করলেন, তিনি ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷
তারপর নবম হিজরীতে আবু বকর (রা)£ক আষীরুল হজ্জ নিয়োগ করলেন, তিনিও
ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর দশম হিজরীতে নবী করীম (সা) (নিজে) হজ্জ করলেন ৷
তিনিও ইফরড়াদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গেল এবং আবু বকর
(বা) খলীফা মনোনীত হলেন ৷ তিনি উমর (রা)-কে আমীকল হজ্জরুপে পাঠালেন ৷ তিনিও
ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর আবু বকর (বা) (নিজে) হজ্জ করতে ৷:পলেন ৷ তিনিও ইফরড়াদ
হজ্জ করলেন ৷ তারপর আবু বকর (রা) এর ওফাত হল এবং উমর (রা) খলীফা মনোনীত
হলেন; তিনি আবদুর রহমান ইবন আওক (রা)-ক্লে হরুজ্জ পাঠালেন, তিনিও ইফরড়াদ হজ্জ
করলেন ৷
তারপর তিনি নিজে হজ্জ করলেন এবং ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর উছমড়ান (রা)
অবরুদ্ধ হলে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রন্ব)-ভ্রুক জনতার জন্য প্রতিনিধি বানড়ালেন ৷ তিনিও
ইফরড়াদ হজ্জ করলেন ৷ এ সনদে অন্যতম রাৰী রয়েছেন আবদুল্লাহ ইবন উমর আল-উময়ী
(র) ৷ যিনি দুর্বল ৷ তবে হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন যে, বিশুদ্ধ সনদে এ হাদীসের সমর্থক
(শাহিদ) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷
নবী করীম (না) আশা ত্তু হজ্জ পালন করেছিলেন বলে অভিমত
পোষণকা ৷রিগণের প্রসঙ্গ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাজ্জাজ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সুত্রে বলেন, বিদায়
হৰ্জ্জ রাসুলুল্পাহ্ (সা) হকজ্জর সাথে উমর৷ মিলিয়ে তামাত্তু করেছিলেন ৷ তিনি যুলহুলায়ফায়
ইহরাম বেধে হাদী সঙ্গে নিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) সুচনায় উমরার ইহরাম করলেন, তারপর
হরুজ্জর ইহরাম র্বীধলেন ৷ লোকদের মাঝে কিছু এমন ছিলেন যারা হাদী সাথে নিয়েছিলেন,
তারা যুলহুলায়ফা হতে হাদী সঙ্গে নিলেন এবং তাদের মাঝে এমন কিছু ছিলেন যারা হাদী
সাথে নিলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় পৌছলে লোকদের বললেন, “তোমাদের মাঝে যারা
হাদী নিয়ে এসেছে তারা হজ্জ সম্পাদন না করা পর্যন্ত তাদের জন্য যা হারাম হয়েছিল তার
কিছুই হালাল হবে না ৷ আর যারা হাদী নিয়ে আসে নি, তারা যেন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে ও
সাফা মারওয়৷ সাঈ করে এবং চুল ছেটে হালাল হয়ে যায়; তারপর (যথাসময়) হজ্জ করে
(তড়ামড়াডু হভ্রুজ্জর) দম’ কুরবানী করে ৷ দম’ কুরবানী করতে যারা সমর্থ না হয়ে তারা যেন
(হহুজ্জর দিনণ্ডলােতে) তিন দিন এবং যখন বাড়িতে ফিরে যাবে তখন সাত দিন সিয়াম পালন
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় উপনীত হয়ে তাওয়াফ করলেন ৷ প্রথমত হাজ়য়ে আসওয়াদ চুম্বন
করলেন৷ ,
তারপর সাত চক্করের তিনটিতে দ্রুতগতিতে এবং হোলদুলে (বমল করে) চললেন এবং
চার চক্করে স্বাভাবিকভাবে ইাটলেন ৷ বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ শেষ করে মাকামে ইবরাহীমে
দু’রাকআত নামায আদায় করলেন এবং সালাম ফিরিয়ে সাফায় পৌছে সাফা-মারওয়ায় সাঈ
করলেন ৷ তারপর যা কিছু হারাম হয়েছিল তার কিছুই তীর জন্য হালাল হল না যতক্ষণ না
তিনি তার হজ্জ সম্পাদন করলেন এবং দশ তারিখে তীর হাদী কুরবানী করলেন এবং
আরাফাত-মুযদড়ালিফা হতে চলে এসে রায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ (তাওয়াফে যিয়ারত বা ইফায়া)
করলেন ৷ লোকদের মাঝে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন, জরাও রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
আমলের অনুরুপ আমল করলেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, হাজ্জ ৷জ (র) উরওয়৷ ইবনুম যুরায়র (র) থেকে এ ময়ে
বর্ণনা করেন যে, আ ৷ইশা (রা) তাকে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে হরুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে
তামাত্তু’ করার এবং র্তার সাথে অন্য লোকদের তামা ত্তু করার কথা অবগত করেছেন ৷ যেমন
সালিম ইবন আব,দুল্লাহ্ (র) আবদুল্লাহ (ইবন উমর) সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে আমাকে
(উরওয়াকে) অবগত করেছেন ৷ বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ (র) ও নাসাঈ (র)ও
(সকলে) এ হাদীস উরওয়া আইশা (বা) সুত্রে ইমাম আহমদ (রা)এর বর্ণনার অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নবী করীম (না)-এর হল্কজ্জর প্ৰকরণ সম্পর্কিত তিনটি অভিমতের
-প্ৰতিটির প্রেক্ষিতেই হাদীসটি জটিল ৷ ইফরাদ অভিমত পােষণক৷ রীদের জন্য জটিল এ কারণে
যে, এতে উমরার কথা রয়েছে হভুজ্জর পুর্বে কিৎব৷ তার সাথেই (অর্থাৎ পরে নয়) ৷ আর বিশেষ
ধরনের তামাত্তু১-এর অভিমত পােষণকড়ারীদের জানা জটিল এ কারা;ণ যে, এখানে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, তিনি (সা) সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পরেও তীর ইহরাম হতে হালাল হন নি ৷
অথচ এটা তামাত্তু হজ্জ পালনকারীর অবস্থা নয় ৷ তবে এ ক্ষেত্রে যারা এ দাবী করেছেন যে,
(বিশেষ তামাতু হওয়া সত্বেও) সাথে হাদী নিয়ে যাওয়া তার হালাল হওয়ার ব্যাপারে অম্ভরায়
সৃষ্টি করেছিল যা হযরত হাফসা (বা) হতে (ইবন উমর রা ) সুত্রে হাদীসের মর্ম; যাতে তিনি
বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ব্যাপারটি কী, লোকেরা তাদের উমরা হতে হালাল হয়ে গেল,
আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না ? তখন তিনি বলেছিলেন, আমি আমার মাথায়
আঠাল দ্রব্য জড়িরেছি এবং আমার হাদীকে মল্দো’ পরিয়েছি; অতএব, কুরবানী না করা পত্তি
আমি হড়ালাল হচ্ছি না ৷ এ বক্তব্যও যুক্তিসিদ্ধ নয় ৷ কেননা, কিরান’ সম্পর্কিত হাদীসসমুহ এ
বক্তব্য নাকচ করে দেয় এবং তা নবী করীম (সা) প্রথম উমরার ইহরাম করেছিলেন, পরে
সাফা-মড়ারওয়ড়ায় সাঈর পরে পুনরায় হব্পুজ্জর ইহরাম বেধেছিলেন ৷ এ বর্ণনাকেও নাকচ করে
দেয় ৷ কেননা, বিশুদ্ধ সনদে, বরং উত্তম (হাসান) সনদে, এমনকি দুর্বল সনদেও কোন
বর্ণনাকারী এক্ষেত্রে এ ধরনের ইহরাম, উমরা ও হরুজ্জর কথা উদ্ধৃত করেন নি ৷
তাছাড়া উল্লিখিত হাদীসে বিদায় হরুজ্জ্ব রাসুলুল্লাহ্ (সা) হল্কজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে
তামাত্তু করেছিলেন এ উক্তির উদ্দেশ্য যদি ৰিণেষ তামাক্কু’ হয়; যাতে সাঈর পরে হালাল
হওয়া যায়; তা হলে ; তা গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ৰুণ্ কেননা, হাদীসের পুর্বাপর , বর্ণনা এ ব্যাখ্যা
অস্বীকার করে ৷ তদুপরি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর হরুজ্জর সাথে উমরা মিলানাের প্রমাণ্যতাও এ
দাবীকে প্রত্যাখ্যান করে ৷ আর যদি এ তামাভু দ্বারা ব্যাপক অর্থের (আভিধানিক) তামাতু
উপকার ও সুযোগ লাভ বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তবে তাতে তে ৷ বক্ষমান আলোচ্য বিষয়ের
উদ্দেশ্য কিরানও অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ৷
, পরবর্তী উক্তি, রড়াসক্ট্র-বুল্যুহ্ (না) প্রথমে উমর র ইহরাম বাধলেন, পরে হরুজ্জর ইহরাম
বাধলেন ৷ এ উক্তির উদ্দেশ্য যদি এ কথা বুঝা নো হয় যে, প্রথমে উযরা’ শব্দ এবং তার পরে
হজ্জ’ শব্দ উচ্চারণ করে এভাবে বলেছেন যে, ইয়া আল্লাহ! উমরা ও
হরুজ্জ্বর উদ্দেশ্য আপনার সকাশে হাযির হচ্ছি! তবে এ ব্যাখ্যা সহজ এবং তা কিরান-এর
প্রতিকুল নয় ৷ আর যদি এ কথা বুঝানো উদ্দেশ্য হয় যে, তিনি প্রথমে উমরার ইহরাম
করেছেন, তারপর বিলস্বে তার সাথে হজ্জকেও শামিল করেছেন তবে তাওয়াফ শুরু করার
আগে; তবে সে ক্ষেত্রেও কিরান’ সাব্যস্ত হবে৷ আর যদি উদ্দেশ্য এমন হয় যে, প্রথমে তিনি
উমরার ইহরাম বেধে তার কার্যক্রম সমাধা করেছেন ৷ তারপর হালাল হয়েছেন কিংবা হাদী
নিয়ে আসার কারণে হড়ালাল হতে পারেন নি (যেমন কেউ কেউ দাবী করেছেন) ৷ এভাবে
১ তামাভু দৃপ্রকার; বিশেষত তামাত্তু অর্থাৎ বিশেষ অর্থে তথা পারিভাষিক অর্থে তামাত্তু যাতে প্রথমে
উমরার ইহরাম করা হয় এবং বায়তুল্লাহ্ তাওয়ষ্কে ও সাফা-যারওয়ায় সৌড়াবার পরে মুহরিম হালাল হয়ে যায় ৷
পরে হহ্বজ্জয় তার আগে (৭ তারিখে) মক্কায় হরুজ্জর ইহরাম করে হজ্জ সম্পাদন করা হয় ৷ আর একটি তামাভু
ব্যাপক অর্থে অর্থাৎ আভিধানিক (একই সফরে একাধিক আমলের) উপকার ও সুযোগ লাভ ৷ এ তামাতু মুলত
কিরান (এক সাথে হজ্জ ও উমরার নিয়তে করে প্রথমে উমরা পালন করে হালাল না হয়ে যথাসময় হজ্জ পালন
করা) এর সমর্থক ৷ আলোচ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অর্থের তামাভু হতে পারে না ৷ যেহেতু ন্