রয়েছে ৷ অনুরুপ ওণদার (র)আবু ওয়াইল (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সাৰী ইবন
মাবাদ (র) বলেন, আমি খৃস্ট ধমৰিলম্বী এক ব্যক্তি ছিলাম; আমি ইসলাম গ্রহণ এবং (এক
সময়) আমি হজ্জ ও উমরার ইহরাম ৰীধলাম ৷ যায়দ ইবন সাওহান ও সালমান ইবন রাৰীআ
আমাকে ঐ দৃকাজেব্ল জন্য তালৰিয়া উচ্চারণ করতে শুনলেন ৷ তখন তারা বললেন, এ
ণ্লাকটি তার বাড়িওয়ালার উটের চইিতেও বিভ্রান্ত ৷ তাদের দুজানর কথায় আমার মাথায় যেন
পাহাড় ভেঙ্গে পড়ল ৷ আমি উমর(রা)এর কাছে ট্রপাছলে তাকে এ বিষয় অবগত করলাম ৷
তিনি ঐ দৃ’জনের কাছে এগিয়ে গেলেন এবং তাদের তিরস্কার করলেন এবং আমার কাছে
এসে বললেন, “তুমি নবী করীম (না)-এর সৃন্নতের প্ৰতি হিদায়াত প্রাপ্ত হরেহ ৷
আবদা (র) বলেন, আবু ওরইিল (র) বলেছেন, আমি এবং মড়াসরাক এ হাদীস সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করার জন্য অনেক সময় সাবী ইবন মাবাদ (র)-এর কাছে ষেতাম ৷
উল্লিখিত সনদগুলো সহীহ্ (বুখারী)এর শর্তানুরুপ বেশ উত্তম ৷ আবু দাউদ, নাসাঈ ও
ইবন মাজা ও আবু ওয়াইস লার্কীকইবন সালাম৷ (র) হতে উল্লিখিত সনদের বিজ্যি সুত্রে এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নাসাঈ (র) তার সুনানের কিতাবুল হজ্জ-এ বলেছেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন আলী ইবনুল হাসান ইবন শাকীক (এ শাকীকই হলেন আবু ওয়ইিল) উমর (রা) সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের যুতআ
করতে নিষেধ করছি; অথচ তা অবশ্যই আল্লাহ্র কিতাৰেও রয়েছে এবং নবী করীম (সা)ও
তা অবশ্যই করেছেন (তবুও একটি বিশেষ কারণে আমি নিষেধ করছি) ৷ এ হাদীসের সনদ
জামািদ বেশ উত্তম ৷
আযীরম্স মৃমিনীন উদ্যান ও আমীরম্স মৃমিনীন আলী (বা) হতে আগত রিঅ্যাংত ষ্ক ইমাম
আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িাব (র) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, (মক্কার) উসফানে আলী ও উছমান (রা) একত্রিত হলেন ৷ উছমান (বা)
যুতআ (তামাত্তু) কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ, হজ্যের সাথে) উমরা করতে নিষেধ করতেন ৷ আলী
(বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে কাজ করেছেন সে ব্যাপারে আপনার এ কেমন ইচ্ছা যে, তা
নিষেধ করছেন ! উছমান (বা) বললেন, এ ব্যাপারে আপনি আমাকে আমার মত করতে দিন !
ইমাম আহমদ এভাবে সংক্ষিপ্ত আকারেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুবরীি-মুসলিমে ইমামদ্বয় এ
হাদীস আহরণ করেছেন তারা (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িব (র)-এর বরাতে, তিনি বলেন,
আলী ও উছমান (বা) তামাত্তুর ব্যাপারে মত ভৈদ্বধতায় লিপ্ত হলেন, তখন র্তারা উসফ্যা:ন
অবস্থান করেছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গিয়েস্ফো এমন এক কাজে
আপনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান?আলী (বা) এ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে একত্রে দৃটির
(হজ্জ ও উমরা) ইহরাম ৰীধলেন ৷ বুখারী (র)-এর ভাষ্য-শব্দ অনুরুপ ৷
বুখারী (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র) ;মারওয়ান ইবনুল হাকাম (র)
হতে, তিনি বলেন, আমি উছমান ও আলী (না)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম, যখন উছমান (বা)
তামাত্তু এবং (হজ্জ ও উমরা এ) দুটি একত্রিত করা নিষেধ করছিলেন ৷ আলী (বা) অবস্থা
দেখে দৃটির তন্যে ইহরাম তালৰিয়া উচ্চারণ করে বললেন , “আপনার
সকাশে হাষির ৷ উমরা ও হজ্জ সহ ! তিনি বললেন, “কারো কথার আমি নবী কয়ীম (না)-এর
সুন্নত ণ্াপরিভ্যাগক রী হতে প৷ ৷রি না ৷” নাসা ৷ঈ (র) এ হাদীস একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন জা ফর (র)আবদুল্পাহ্ ইবন শার্কীক
(র) বলেন, উছমান (বা) তামাভু নিষেধ করতেন আর আলী (বা) তা করতে বলতেন ৷ এ সুত্রে
উছমান (রা) আলী (রা)-কে বললেন, আপনি শুধু এমন এমন ! (ঝামেলা লাগান); পরে আলী
(বা) বললেন, আপনি তো নিশ্চিতই জানেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তামাভু
করেছিলাম ৷ উছমান (রা) বললেন, ছুা, তাই ৷ তবে আমরা তখন নিরাপত্তার ব্যাপারে শংকিত
ছিলাম ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তারা (র) সুত্রে ৷ মোট কথা, এতে আলী
(রা) এর বর্ণনার প্রতি উছমান (রা) এর স্পষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে ৷ আর এ কথা তো বিদিত
হয়েছে যে, বিদায় হজের বছর আ ৷লী (রা) নবী করীম (সা) এর ইহ্রামের ন্যায় ইহ্রাম একথা
উচ্চারণ করে ইহরাম করেছিলেন এবং সাথে হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ নবী কবীম (মা) তাকে
ইহ্রাম অবস্থায় থাকা র নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং নবী করীম (সা) তার হ দীতেও র্তা চেক শরীক
করে নিয়েছিলেন ৷ বর্ণনা পরে আসছে ৷
ইমাম মা ৷লিক (র) তার মুঅ ৷ত্তার বিওয়ায়াত করেছেন ৷ জাফর ইবন মুহাম্মদ (র) তার
পিতা হতে এ মর্মে যে, মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (বা) সুকয়ায় হযরত আ ৷লী ইবন আবু
তালিব (না)-এর কাছে গেলেন, তখন তিনি উটের বাচ্চাদের পাত৷ ও আট৷ যেশানো খাবার
তৈরি করে দিচ্ছিলেন ৷ মিকদাদ (বা) বললেন, এই যে, উছমান ইবন আফ্ফান (রা) হজ্জ ও
উমরা একত্রিত করতে নিষেধ করছেন ৷ তখন আলী (রা) বেরিয়ে এলেন, তার হাতে মাখানাে
আট৷ ও পাতায় চিহ্ন লেগেছিল; তার দু বাহুতে লেগে থাকা পাতা ও আটার চিহ্নের কথা আমি
ভুলে যাব না ৷ তিনি এসে উন্ছমান (রা) এর কাছে প্রবেশ করে বললেন, হজ্জ ও উমরা
একত্রিত করতে আপনি নিষেধ করছেন? উছমান (রা) বললেন, ওটা আমার (ব্যক্তিগত)
অভিমত ৷ আলী (বা) তখন রাপান্বিত হয়ে বেরিয়ে এলেন এবং বলতে লাগলেন, “লাব্বায়কা
আল্পাহুম্মা লাব্বায়কা হাষির ইয়৷ আল্লাহ! হাযির এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার নিয়তে ৷ আবু
দউিদ (র) তার সুনানে বলেছেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন মাঈন (র) বার৷ ইবন আযিব (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন আলী (রা)-কে ইয়ামানেয় প্রশাসক নিয়োগ
করলেন তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম ৷ আলী (রা)-এর হাজ্জ আগমন সম্পর্কিত হাদীসের
বর্ণনা দিয়েছেন ৷ আলী (রা) বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে বললেন,
কেমন ইহ্রাম বেধেছো? আলী (রা) বলেন আমি বললাম, “আমি (তা নবী করীম (না)-এর
ইহ্রামের ন্যায় ইহ্রাম করেছি ৷ রাসুল কবীম (সা) বললেন
তো হাদী নিয়ে এসেছি এবং (হজ্জ ও উমরা একত্রিত করে) কিরান করেছি ৷”
নাসাঈ (র)ও এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ইয়াহ্য়া ইবন মাঈন (র) হতে উল্লিখিত
সনদে ৷ এ সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুরুপ ৷ তবে হাফিজ বায়হাকী (র) এ কথা বলে এ
হাদীসের সমালোচনা করেছেন যে, জাবির (রা) বর্ণিত হাদীসে এ (কিরান) শব্দটি উল্লিখিত হয়
১ মক্কাগামী পথে একটি সংযোগবস্তি ও কাফেলোর সুকয়৷ বা পানি উঠানাের স্থান ৷
নি ৷ কিন্তু এ সমালোচনার দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে ৷ কেননা, জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর
হাদীসেও কিরান’ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইনশাআল্লাহ্ ! একটু পরেই তা উল্লেখ করছি ৷ ইবন হ্নিা৷ম
(র) তার সহীহ্’ গ্রন্থে আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) মদীনা হতে সফর করলেন ৷ আমি সফর শুরু করলাম ইয়ামান হতে ৷ আমি
ইহ্রামের সময় বললাম, লাব্বায়ক আমি হাঘির আপনার সকাশে ৷ নবী কয়ীম (সা) ইহ্রামের
ন্যায় ইহ্রামের সাথে ৷ তখন বললেন ৷,,ওএে আমি তো হজ্জ ও
উমরার জন্য একত্রিত ইহ্রাম ণ্বধেছি ৷
আনাস ইবন মালিক (রা)-এর রিওয়ায়াত : তাবিঈদের একটি দল আনাস (বা) হতে এ
বিষয় রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বর্ণনা বিন্যাসের স্বার্থে আমর৷ (আরবী) বর্ণ ক্রমিক অনুসারে রিওয়ায়াতগুলো উদ্ধৃত করছি ৷
(১) বকর ইবন আবদুল্লাহ আল-সুমানী (র) বলেন, ত্া৷ নাস ইবন মালিক (রা)ৰুকে আমি
বর্ণনা দিতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্দ্বুক একত্রে হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ করতে শুনেছি ৷ ইবন উমর (রা)-এর কাছে আমি এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি
বললেন, তিনি কেবল হব্লুজ্জর তালৰিয়া ইহরাম করেছেন ৷ আমি আসলে (রা)এর সাথে
সক্ষোত করে তার কাছে ইবন উমর (রা) এর উক্তি ৰিবৃত করলাম ৷ তিনি বললেন, (ইা)
আমাদের ক্লেব্ল শিশু ঠাওরানো হচ্ছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শ্যুনছি এ-ম
এষ্ঠ “হাযির আপনার কাছে উমর৷ ও হজ্জ সহকারে ৷”
বুখারী (র) ও মুসলিম (র) এ হাদীসখান৷ বিভিন্ন সনলে ৰিওরারাত করেছেন ৷
(২) ছাবিত আল-বুনানী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী (র)
(ইবন আবু ছাবিত) আনাস (বা) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বলেছেন-
-ম৷ হাঘির আপনার সকাগাে এক সঙ্গে উমরা ও হজ্জ নিয়ে ! এ সুত্রে
আনাস (বা) থেকে হাসান নসরী (র) একাকী বৰ্ন্নি৷ করেছেন৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, রাওহ (র) আনাস ইবন মালিক (র) সুত্রে এ মর্মেবর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)
ও তার সাহাৰীগণ মক্কায় উপনীত হলেন, এ অবস্থায় যে, র্তারা হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ কঃরছিলেন ৷ র্তার৷ বায়তৃল্লাহ্ব তাওয়াফ ও সফো-মারওয়ায় সাঈ করার পরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং একে উমরা সাব্যস্ত করতে
বললেন ৷ মনে হল যেন সব লোক এতে ৰিব্রত হল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন
“আমি যদি হাদী নিয়ে না আসতাম, তবে অবশ্যই হালাল হয়ে
যেতাম ৷”
তখন লোকেরা হালাল৷ হল এবং তামাত্তু (উমরার সমাপ্তিতে নতুন ইহরামে হজ্জ) করল ৷
হাফিজ আবু বকর আলবায্যার (র) বলেন, হাসান ইবন কাঘৃ আ (র) (হাসান) আনাস
(রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) নিজে এবং তার সাহা-র্বীগপ হজ্জ ও
উমরার ইহরাম তালৰিয়া করেছেন ৷ র্তারা মক্কায় উপনীত হয়ে বায়ভুল্লাহ্র তাওয়াফ এবং
সাফা-মারওয়ায় সাঈ করলে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) র্তাদের হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দিলেন; এতে
তারা রুিবত হলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন
তোমরা হালাল হয়ে যাও; আমার সাথে যদি হাদী না থাকত, তবে আমিও হালাল হয়ে
যেতাম ৷ তখন র্তারা হালাল হলেন এমনকি শ্রী গমন পর্যন্ত করলেন ৷ রিওয়ায়াত করার পরে
বাঘৃযার (র) মন্তব্য করেছেন, আনাস (রা)-এর শাগরিদ হাসান (র) হতে আশআছ ইবন
আবদুল মালিক ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা
(৩) হুমায়দ ইবন তীরুয়া আততাবীল (র) আনাস (বা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন,
ইয়াহ্য়া (র) হুমায়দ (র) হতে (তিনি বলেন) আমার (রা)-ফে বলতে শুনেছি (যে, তিনি বলেন,)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বরত্তে শ্যুনছি “আপনার সক্যাশ হাযির হাযির ৷
হজ্জ উমরা ও হজ্জ নিঃর !” এ সনদটি একটি ন্হ্রলাহী (তিন সুত্রীয়) সনদ১ এবং এটা দুই প্রধান
ইমাম (বুখাৰী-মুসলিম)-এর শর্তানুকুল ৷ তবে তারা দুজন এবং ছয় গ্রন্থমালার সংকলকদের
কেউ এ সুত্রে হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র),হুমায়দ (র) ও অন্য দুজন ওনেছেন আনাস ইবনমালিক (রা)-
কে “তিনি বলেন, ; আমি: রা সু লুল্লাহ্ (না)-কে ঐ দুটি একত্রিত করে ইহরাম করতে শুনেছি
“আপনার সকাশে হাযিবা উমরাও হস্তজ্জা জন্য; আপনার সকাশে হাষির হাষির! উমরা ও
হরুজ্জর জন্য ! ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, ইয়ামুর ইবন ষুসৃর (র)আনাস ইবন মালিক
(বা) সুত্রে তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনেকগুলো উটহাদীরুপে সাথে নিলেন এবং বললেন,
“আপনার সকাশে হাযির! উমর৷ ও হজ্জ সহকারে ৷ ” তখন আমি তার (বাহন) ণ্উটনীয় বাম উরুর
কাছে ছিলাম (এ সুত্রেও আহমদ (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন) ৷
(৪) হুমায়দ ইবন হিলাল আল-আদাবী আল-বসৃয়ী (র) আনাস (রা) সুত্রে হাফিজ আবু
বকর আন-বায্যার (র) তার র্মুসনাদে বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল শ্মুছান্ন৷ (র):আনাস ইবন
মালিক(রা) সুত্রে, তিনি বলেন, আমি আবু তালহ৷ (রা)-এর (উটে) সহ-আরোহী ছিলাম, আর
তার ছুাট্রু রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর ছুাটু স্পর্শ করছিল ৷ আর তিনি হজ্জ ও উমরার তালৰিয়া
উচ্চারণ করছিলেন ৷ এ সনদটি সহীহ্-এর শত ৷র্তানুরুপ বেশ উত্তম ও মজবুত সনদ, তবে সিহাহ্
গ্রন্থকারগণ এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ ওদিকে বায্যার (র) ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, যিনি হজ্জ ও
উমরার তা ৷লবিয়৷ উচ্চারণ করছিলেন তিনি আবু তালহ৷ (রাসুল সা নন), তবে নবী কৰীম
(না) তাতে আপত্তি করেন নি ৷ করে বায্য৷ র (র) এর এ ব্যাখ্যার দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে ৷
বরং এটি অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ৷ কেননা, আনাস (বা) হতে অনব্রুান্য সুত্রেও (রাসুল সা এর
রুিরালের) বিষয়টি সাব্যন্ন্তু হয়েছে ৷ (পুর্বাপর বর্ণনা দ্রষ্টব্য) তাছা ৷ড়৷ তিনি ( ঙু১) সর্বনড়ামটি তার
পুর্বে উল্লিখিত দুই শব্দ এর নিকটবর্তী শব্দ (রাসুলুরাহ্) এর সাথে
১ রাসুলুরাহ (সা) হতে মাত্র তিন সুত্র মাধ্যহ্ম আহরিত হাদীছক্কক হ্রনাহী তিন সুত্রীয় হড়াদীছ বলা হয় ৷
এ ধরনের সনদ ও হাদীছ ৰিৰুল্ ও বিংশ ৷ষ মর্যাদা সম্পন্ন ৷ অ্নুবাদক
২ অর্থাৎ বামৃষার (র)-এর মতে এ হাদীছে আবু৷ তা লহার কিরান হজ্জ এবং তাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিরর অনুমোদন সাবন্তে হলেও খােদ নবী করীম (সা) এর কিরান হজ্জ করা সাব্যস্তহয় না ৷-অনুবাদক
সম্পৃক্ত হওয়াই অধিক উপযোগী এবং সে ক্ষেত্রে বত্তল্যটি সুস্পষ্ট অর্থ নির্দেশক হবে ৷ আল্পাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ আনাস (রা) থেকে বর্ণিত সালিম ইবন আবুল জাদ (র)-এর রিওয়ায়াত
উল্লিখিত ব্যাখ্যার সরাসরি প্রত্যাখ্যান রয়েছে ৷
যায়দ ইবন আসলাম (র) আনাস (বা) হতে হাফিজ আবু বকর আলৰুবাবৃযার (র) আনাস
(রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী করীম (না) হজ্জ ও উমরার ইহরাম করেছিলেন ৷
হাসান ইবন আবদুল আযীয আল-জ্বাবারী ও মুহাম্মদ ইবন মিসকীন (ব) আনাস (রা) সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
মন্তব্য : এটি সহীহ্ বুখারীর শর্তানুরুপ একটি বিশুদ্ধ সনদ, তবে এ সুত্রে সিহাহ্
গ্রস্থাকারগণ হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে হাফিজ আবু বকর বায়হাকী (র) এ বর্ণনার চেয়ে
ৰিশদভাবে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবু আবদৃল্লাহ্ আল-হাফিজ ও
আবু বকর আহমদ ইবনুলহাসান আলকাযী (ব)যায়দ ইবন আসলাম (র) প্রুযুখ্ সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, একবাক্তিৰুইবন উমর (রা)-এর কাছে এসে বলল, রাসুলুল্পাহ্ (সা) কী
বলে ইহরাম বেধেছিলেন? ইবন উমর (রা) বললেন, “হজ্যের ইহরাম বেধেছিলেন ৷” লোকটি
চলে গেল এবং পরের বছর আমার তার কাছে এসে বলল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কী বলে ইহরাম
করেছিলেন? ইবন উমর (রা) বললেন, তৃযি গত বছর আমার কাছে এসে ছিলে না ? সে
বলল, জী হী, তবে আনাস ইবন মালিক (রা) বলে থাকেন যে, তিনি কিরান করেছিলেন ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, আনাস ইবন মালিক “তো নারীদের মাঝে আসা-যাওয়া করতেন, যখন
তাদের মাথা খোলা থাকত (অর্থাৎ তখন তীর বয়স কম ছিল) ৷ আর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
উটনীর ছায়াতলে ছিলাম, তার উটনীটির লালা আমার গায়ে লাগছিল, আমি তাকে (শুধু)
হাজ্জর ইহরাম করতে শ্যুনছি ৷
(৬) সালিম ইবন আবুল জা দ আল-গাতফানী আল কুফী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, য়াহ্য়া ইবন আদম (র),-আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (সনদটি)
নবী করীম (সা) পর্যন্ত উন্নীত করে বলেছেন যে, তিনি (নবী করীম সা) হজ্জ ও উমরা
একত্রিত করে বললেন, আপনার সকাশে বারংবার হাযির,এক সাথে হজ্জ ও উমরা নিয়ে ৷ এর
সনদ হাসান উত্তম, তবে তারা (বিশিষ্ট হয় হাদীস গ্রন্থকার) তা উদ্ধৃত করেন নি ৷ ইমাম
আহমদ (র) আরো বলেন, আফ্কান (ব)হাসান ইবন আলীর আযাদকৃত গোলাম সাদ (ব)
থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা আলী (রা)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা খুল-
হুলায়ফায় পৌছলে আলী (বা) বললেন, আমি হজ্জ ও উমরা একত্রিত করার ইরাদা করছি,
সুতরাং যারা তা ইচ্ছা করবে তারা যেন তেমনি বলে যেমনটি আমি বলছি ৷ এ কথা বলার পর
তিনি এই বলে তালৰিয়া উচ্চারণ করলেন, “আপনার সকাশে হায়ির, এক
সাথে হজ্জ ও উমরা নিম্নে ! বর্ণনাকারী বলেন, সালিম (র) বলেছেন, আনাস ইবন মালিক (রা)
আমাকে অবগত করেন ৷ তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র কসম৷ আমার পা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পা
স্পর্শ করছিল (প্রায়) ৷ তিনি অবশ্যই ঐ দুটি একত্রিত করে ইহরামের তালৰিয়া উচ্চারণ
করছিলেন ৷ এ সুত্রেও এটি জায়িাদ, বেশ উত্তম সনদ ৷ তবে সিহাহ্ গ্রহুকারগণ তা উদ্ধৃত
করেন নি ৷ এ বর্ণনা আনাস (রা) থেকে গৃহীত হুমায়দ ইবন হিলাল (র)-এর হাদীস সংক্রান্ত
বায্যার (র) এর প্রদত্ত ব্যাখ্যা খণ্ডন করে (পুর্বে আলোচিত হয়েছে) ৷ আল্পাহই সমধিক
অবগত ৷
(৭) সুলায়মান ইবন তারখান আততায়মী (র) আনাস (বা) হতে হাফিজ আবু বকর
আল-বাঘৃযড়ার (র) বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন হাবীব ইবন আৱাবী (র)আনাস ইবন মানিক (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি নবী করীম (না)-কে ঐ দু’টি একত্রিত করে তালবিয়া
উচ্চারণ করতে শুনেছি ৷ তারপর বাঘৃযার (র) বলেছেন, (সুলায়মান) তায়মী (র) হতে তার
ছেলে মুতা ৷মির (র) ব্যতীত আ র কেউ হাদীস শুনে নি ৷ আর তার নিকট হতে ইয়াহ্য়া ইবন
হাবীব আল-আরাবী (র) ব্যর্তীত আর কেউ শ্যুন নি (অর্থাৎ সনদঢি আস্বা৷ গোড়া একক
সুত্রীয়) ৷ আমার মস্তব্যং হাদীসটি সহীহ্-এর শতানুরুপ, যদিও সহীহ গ্রন্থক৷ ৷রগণ তা উদ্ধৃত
করেন নি ৷
(৮) সুওয়ায়দ ইবন হুজ্যয়র (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ
ইবন জাফর (র)(সুওয়ায়দ আবু কাযাআ) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে তিনি বলেন,
আমি আবু তালহা (রা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ (চলার সময়) আবু তালহা (র) এর হীটু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাটুর সাথে লেগে যাচ্ছিল প্রায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ ও উমরার কথা
উল্লেখ করে ত ৷লবিয়৷ পাঠ করছিলেন ৷ এটি একটি জা ৷ব্যিদ, বেশ উত্তম সনদ যা আহমদ (র)
একা ৷কী গ্রহণ করেছেন; তবে তা সহীহ গ্রন্থক৷ রাগণ উদ্ধৃত করেন নি ৷ এ বর্ণনায় হ ফিজ
বাঘৃযার (র) এর ব্যাখ্যা র স্পষ্ট খণ্ডন রয়েছে ৷
(৯) আবদুল্লাহ ইবন যারদ আবু কিলাবা আল-জারমী (র), আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক (র)(আবু কিলাবা) আনাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন,
আমি আবু তালহা (রা’)-এর সহ-আরােহী ছিলাম তখন নবী করীম (না)-এর পাশাপাশি পথ
চলছিলেন ৷ তিনিশুরলেন, (অবস্থা এমন ছিল) যে, আমার পা নবী ন্করীম (না)-“এর (বাহনের)
পাদানী স্পর্শ করছিল; আমি তখন তাকে এক সাথে হজ্জ ও উমরার তালবিয়া ন্ন্ পাঠ করতে
শুনলাম ৷ বুখারী (র)ন্ও এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আয়ুাব (র) (আবু কিলাবা) আনাস
হতে একাধিক সুত্রে তিনি (আবাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যুহ্র সালাত মদীনায় চার
রাকআত আদায় করলেন এবং আসর আদায় করলেন যুল-হুলায়ফায় দুই রাকআত আদায়
করলেন ৷ তারপর সকাল পর্যন্ত সেখানে রাত কটিালেন ৷ তারপর তার শ্বাহনে আরোহণ
করলেন ৷ তারপর বাহন তাকে নিয়ে প্রাম্ভরে সোজা হয়ে র্দাড়ালে আল্পাহ্র হাৰুমৃদ, তাসৰীহ্ ও
তাকৰীর (আলহ্যমদু লিল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ্ ও আল্লাহ আকবার) উচ্চারণ করলেন এবং হজ্জ ও
উমরার ইহরাম বীধলেন ৷ সােকেরাও ঐ দু’ঢির একত্রিত ইহরাম র্বীধলো ৷ তার অন্য একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে “আমি আবু তালহা (রা) এর সহ-আরােহী ছিলাম, , লোকেরা একত্রে ঐ
দুটির, হজ্জ ও উমরার কথা উট্চ্চ৪স্বরে বলছিল” ৷ আয়ুাব (র) আনাস (রা) সুত্রে বুখ৷ ৷রীর
(র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে তিনি (জানান) বলেন তারপর রাত যাপন
করলেন, অবশেষে সকাল হলে ফজর সালাত আদায় করার পর তার বাহনে আরোহণ
করলেন ৷ অবশেষে তা তাকে নিয়ে প্রম্ভেরে স্থির হলে উমরা ও হহ্বজ্জর ইহরাম-তান্সবিয়া পাঠ
করলেন ৷
(১০) আবদুল আযীয ইবন সুহড়ায়ব (র) আনাস (রা)সুত্রে হুমায়দ আত-তারীল (ক)-এর
রিওয়ায়াত মুসলিম (র) আহরিত-এর সাথে র্তার রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
(১১) আলী ইবন যড়ায়দ ইবন জাদআন (র) আনাস (বা) সুত্রে হাফিজ আবু বকর আল-
বাঘৃযার (র) বলেন, ইব্রাহীম ইবন সাঈদ (র) (আলী ইবন যড়ায়দ) আনাস (রা) সুত্রে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে দুটি একত্রিত করে র্তালবিয়া পাঠ করলেন ৷ এ সুত্রে এটি
গরীব বিরল ৷ সুনান গ্রন্থকারদের কেউ এটি উদ্ধৃত করেন নি, তবে এটি তাদের শর্ত পুরণ করে ৷
(১২) কড়াতাদা ইবন দি আনা আস-সাদুসী (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম আহমম (র)
বলেন, বাহ্য (র) ও অড়াবদৃসন্সড়ামড়াদ (র)কাতাদা (র) সুত্রে বলেন, আমি আনাস ইবন
মালিক (রা) কে প্রশ্ন করলাম বললাম, নবী কৰীম (সা) কতবার হজ্জ করেছেন? তিনি
বললেন, একবার হজ্জ করেছেন;অ আর চারবার উমরা করেছেন ৷ (১) হুদায়বিয়ার সময়; (২)
যিলকা ৰুদ মাসে মদীনা হতে তার উমরাতুল কাযা; (৩) যিলকাদ মাসে জিইররানা থেকে তার
উমরা, যেখানে হুনায়ভ্রুনর পনীমত বৃউন করেছিলেন এবং (৪) হরুজ্জর সাথে তার উমরা ৷
বুখাবী-মুললিম্ (র) তাদের গ্রন্থদ্বয়ে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷
(১৩) যুস আব ইবন সুলায়ম আবৃযুবায়রী (র) (যুবায়রীদের আযাদকৃত গোলাম) আনাস
(বা) হতে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) (মুসআব বলেন, আমি শুনেছি,) আনাস
(বা) বলেছেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরার তঙ্কুলৰিয়া উচ্চারণ করেছেন ৷ এ হাদীস
আহমদ (র) এক কী বর্ণনা করেছেন ৷
(১৪) ইয়াহয়া ইবন ইসহড়াক আল-হাযরামী (র) আনাস সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বলেন,
হুশায়ম (র) (ইয়াহ্য়া ইবন ইসহাক, আবদুল আযীয ইবন সুহায়ব ও হুমায়দ আততাবীল র
সকলে) আনাস (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, এরা তাকে বলতে শুন্যেছন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে হজ্জ ও উমরা একত্রিত করে “আপনার সকাশে হাষির! আপনার
সকাশে হাযির ! বলে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি ৷” পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, মুসলিম (র)-
ও এ হাদীস ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) হুশায়ম সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেছেন, আবদুল আ লীে (র) (ইয়াহ্য়া) আনাস (রা) সুত্রে তিনি বলেন, আমরা
রাসৃলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলাম; (তিনি বলেন) আমি তাকে বলতে
ওনলাম আপনার লক বেশ হাযির উমরা ও হস্তুজ্জর উদ্দেশ্যে ৷ ন্
(১৫) আবুস সড়ায়কড়া ড়াল (র) আনাস (রা) থেকে ইমড়াম অ হমদ (র) বলেন, হাসান (র) ও
আহমদ ইবন আবদুল-মালিক (র)(আবু আসমা আস-সায়কা ন্ল) আন স ইবন মালিক (বা)
হতে, তিনি বলেন, আমরা বের হলাম তখন আমরা সশ ব্দে হভৈজ্জর তালবিয়া উচ্চারণ
করছিলাম; যখন আমরা মক্কায় পৌছলাম তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) সেটিকে উমরায় পরিণত
করতে আমাদের নির্দেশ দিলেন এবং মললেনষ্-
“বা আমি পরে বুঝেছি, তা যদি আগে বুঝতে পারতাম তাহলে অবশ্যই আমি এটিকে
উমরায় পরিণত করতাম; জ্যি আমি হাদী নিয়ে এসেছি এবং হজ্জ ও উমরা একত্রিত করেছি ৷
আর নাসাঈ (র) এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন, আবুল আহওয়াস (র) (আবু আসমা
আস-সায়কাল) আনাস ইিবৃন মালিক (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ঐ
দু টির তালৰিয়া উচ্চারণ করতে ওনেছি ৷
(১৬) আবু কুদাম৷ আল হ্ানাফী (মুহাম্মদ ইবন উবায়দ) (র) আনাস (রা) সুত্রে ইমাম
আহমদ (র) বলেন, রাওহ ইবন উবাদ৷ (র)আবু কুদাম৷ আল-হানাকী (র) সুত্রে তিনি
বলেন, আমি আনাস (রা)ন্ণ্ক লোঃ রাসুলুল্লাহ্ (সা)রুি দিয়ে তালৰিয়া পড়ছিলেন? তিনি
বললেন, আমি তাকে সাতবার (দশ-বিশ অর্থাৎ একাধিকবার) শুনেছি যে, উমরা ও হজ্জ-এর
তালবিয়৷ পাঠ করছেন ৷ ইমাম আহমদ (ব) একাকী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটি
একটি সুদৃঢ় ও বেশ উত্তম সনদ ৷ (মার প্রাপ্তিতে) আল্লাহ্বই জন্য যাবতীয় হামৃদ; তাবই সব
অনুকম্পা এবং তিনিই তাওফীক দাতা ও হিফাজতকারী ৷
ইবন হাব্বান (র) তায় সহীহ্ গ্রন্থে আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ ,(সা) হুজ্জ ও উমরা একত্রে মিলিয়ে করেছিলেন, উার সাথের
লোকেরাও একত্রে মিলিয়ে করেছিলেন ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বিন্তুতভ্যন্নে এ সব সুত্রের কোন
া:কানটি উপস্থাপন করেছেন ৷ তারপর তিনি এগুলোর সমালোচনা পর্যালোচনার এমন কিছু মত
বা করেছেন যাতে ভিন্নমত রয়েছে ৷ তার বক্তব্যের সার কথা হল এক্ষেত্রে থােদ আনাস (রা)-
ই তালগােল পাকিয়ে ফেলেছেন ৷ তার পরবর্তী রাৰীগণ নয় ৷ অন্য একটি সম্ভাবনা হতে পারে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) অন্য কাউকে কিরান পদ্ধতির ইহরাম ও তালৰিয়া শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন
আনাস (বা) তা শুনতে পেয়েছিলেন এবং াসেটিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইহরাম মনে
করেছিলেন ৷ অথচ নবী করীম (সা) নিজের হজ্জ ও উমরার ইহরাম করেন নি ৷ আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷ তিনি আরো বলেছেন যে, আনাস ইবন মালিক (রা) ব্যতিরেকে অন্যান্যরা এ
বিষয়টি রিওয়ায়াত করেছেন, তবে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত নয় ৷
গ্রহুকারের মন্তব্য : এ মন্তব্যে যে বাহ্যতই দ্বিমত (পাষণের অবকাশ রয়েছে, যে কেউ ণ্
একটু চিন্তা করলেই তা তার কাছে স্পষ্ট প্রতিভাত হবে ৷ বরং এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন না
করাই যে ইমাম বায়হাকীর জন্য উত্তম ছিল, এ কথা নির্থিধায় বলা যায় ৷ কেননা, এতে একজন
মহান সাহাবীর স্মরণ শজাি ব্যাপারে প্রশ্ন তোলায় অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে অথচ যেমন আমরা
বর্ণনা করে এলাম, বিষয়টি তার কাছ থেকে উপর্বুপরি বহু সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এছাড়া কোন
সাহাবী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য একটি বড় ধরনের গর্হিত বিষয় এবং তা হটকারিত৷ ও
অন্যায় সমালোচনার দুয়ার খুলে দিতে পারে ৷ আল্পাহ্ তা আলাই সমধিক অবগত ৷
কিরান সম্পর্কে বারা ইবন আযিব (রা) এর হাদীস
হাফিজ আবু বকর আল বায়হাকী (র) বলেন, আবুল হুনায়ন ইবন বুশরান (র);;বাৱা
ইবন আযিব (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসৃলুল্পাহ্ (সা) তিনবার উমরা করেছেন
যার সবগুলোই ছিল যিলকদ মাসে ৷ তখন অইিশা (রা) বললেন, তিনি তো ভাল করেই জানেন
যে, তিনি তবে যে উমর ৷টির সাথে হজ্জ করেছিলেন সেটিকে সহ চা ৷রবার উমরা করেছেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ হাদীসটি সুরক্ষিত নয় ৷ আমার মতে (এটি সং রক্ষিত, কেননা)
আইশ ৷৷ (রা) এর সাথে সংযুক্ত বিশুদ্ধ সনদে এর অনুরুপ হাদীস একটু পরেই উল্লিখিত হবে ৷
জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)-এৱ রিওয়ায়াত : হাফিজ আবুল হাসান দার৷ কুতনী (র)
বলেন, আবু বকর ইবন আবু দাউদ ও মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন রামীস, আবু উবায়দ কাসিম
ইবন ইসমাঈল ও উছমান ইবন জাফর আল লাব্বান (র) প্রমুখ(সৃফয়ান ছাওরী র)
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তিনবার হজ্জ করেছেন;
দৃবার হিজরত করার আগে আর একবার হাজ্জর সাথে উমরা সৎ যুক্ত করেছেন ৷ তিরমিষী ও
ইবন মাজা (র) ও এ হাদীস সুফিয়ান ইবন সাঈদ আছ-ছাওরী (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে তিরমিষী (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ
(র) যায়দ ইবন হবার মাধ্যমে, সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷ তারপর তিনি বলেছেন, সুফিয়ান (র) এর
হাদীস বিরল পর্যায়ের ৷ কেননা, যায়দ ইবনুল হ্বাব (র) ব্যতীত অন্য কো ন সুত্রে আমরা
হাদীসটির পরিচিতি লাভ করি নি ৷ আর আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান, রাযী (র) কে আ ৷মি
দেখেছি যে, তার পাণ্ডুলিপিাত তিনি আবদুল্লাহ ইবন আবু যিয়াদ (র) সুত্রেই হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমি মুহাম্মদ (বুখারী)কে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এর
পরিচিতি স্বীকার করলেন না এবং র্তাকে আ ৷মি দেখেছি যে, তিনি এটিকে সৎরক্ষিত পর্যায়ের
মনে করছেন না ৷ তিনি বলেছেন যে, ছাওরী (র) মৃজা ৷হিদ (র) সনদে মুরসাল (সাহাবীর
সাথে সং যুক্ত নয়) রুপে বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হাকী (র) কৃত আস-সুনানুল কাৰীর এ রয়েছে ৷
আবু ঈসা তিরমিষী (র) বলেছেন, আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (র) কে এ হ দীস
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটি একটি ত্রুটিপুর্ণ (সনদের) হাদীস; প্রকৃতপক্ষে
এটি ছাওরী (র) সুত্রে মুরসাল’রুাপ রিওয়ায়াত হয়েছে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, যায়দ
ইবনুল হুবাব (র) যখন ক্রটিপুর্ণ (সনদে) রিওয়ায়াত করতেন, তখন তার কোন কিছুাত ভ্রাস্তির
শিকার হাতন ৷ অবশ্য ইবন মাজা (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন কাসিম ইবন মুহাম্মদ
ইবন আব্বাস আল-ষুহাল্পাবী (র) সুত্রে সুফিয়ান ছাওরী (র) হতে, উল্লিখিত সনদে (অর্থাৎ এ
সনদে যায়দ ইবনুল হুবাৰ্ (র) যেই ৷ অনুবাদক) ৷ এটি এমন একটি সুত্র যার অবনতি
তিরমিষী ও বায়হাকী (র) লাভ করতে পারেন নি এবং এমনকি সম্ভবত বুখারী (র)-ও নয় ৷
যেহেতু তিনি যায়দ ইবনুল হুবাব (র) কে এ হাদীসের একক বর্ণনাক৷ রী ধারণা করে তার
ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ অথচ বাস্তবে তিনি একক নন ৷ এ হাদীসের শ্া৷হিদ
(সমর্থক) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগ্াত ৷
জাবির (বা) হতে অন্য একটি সুত্র ও আবু ঈসা তিরমিষী (র)ষ্বলেন, ইবন আবু উমর
(আবুয-যুবায়র) জাবির (রা) সুত্রে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরা
মিলিয়ে করলেন এবং সে দৃটির জন্য অভিন্ন তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর তিরমিষী (র)
বলেছেন, এটি একটি উত্তম হাদীস (তিরমিষীর কোন কোন সংস্করণে হাসান (উত্তম) স্থলে
সহীহ্ (বিশুদ্ধ) শব্দ রয়েছে) ৷ ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসটি জাবিব (রা) সুত্রে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তার হজ্জ ও উমরার জন্য একটি মাত্র