জন্যে ক্ষমা প্রাংনি৷ করুন ! এরপর সন্ধ্য৷ হলেও তিনি জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দণ্ডায়মান
হলেন ৷ প্রথমে আল্লাহর যথোপোযুক্ত প্রশংসা করলেন ৷ তারপরে বললেন, তোমাদের পুর্ববর্তী
জাতিসমুহ এ কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে যে, তাদের কোন অভিজাত লোক চুরি করলে তারা তাকে
ছেড়ে দিত ; কিন্তু কোন দুর্বল লোক চুরি করলে তার উপর দণ্ড প্রয়োগ করতে৷ ,
যার হাতে মৃহাম্মাদের জীবন যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাত ৷তিমাও চুবি করতো তা হলে অবশ্যই আমি
তার হাত কেটে দিতাম ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশক্রমে সে মহিলা র হাত তকেটে দেয়া
হয় ৷ পরবর্তীতে তার এ ত ৷ওব৷ উত্তম প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্য এক পুরুষের সাথে তার বিবাহ
হয়েছে ৷ আ ৷ইশ৷ (রা ) বলেন, এরপর সে প্রায়ই আমার কাছে আসাত৷ এবং আমি তার আবেদন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পেশ করত তাম ৷ বুখারী তার গ্রন্থের অন্য স্থানে এবং মুসলিম ইবন
ওহবের সুত্রে আইশা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা ৷করেচ্ছেন ৷
সহীহ্ মুসলিম গ্রন্থে সাবুরা ইবন মাবাদ জুহানী সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বিজয়ের বছর
মক্কা প্রবেশকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে মুতআ (সাময়িক বিবাহ) এর অনুমতি দেন !
এরপর তার মক্কা থেকে বের হয়ে আমার পুর্বেই এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন ৷
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, আজকের এই দিন থেকে
কিয়ামত পর্যন্ত ঘুত্অ৷ হারাম ঘোষণা করা হলো ৷ মুসনাদে আহমদ ও সুনান প্রন্থসমুহের এক
বর্ণনা মতে কিয়ামত পর্যন্ত হারাম হওয়ার এ ঘোষণা বিদায় হরুজ্জ দেয়৷ হয়েছিল ৷ সহীহ্ মুসলিমে
আবু বকর ইবন আবু শায়বা সুত্রে সালামা ইবন আক্ওয়৷ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন
৪আওতাসের বছর রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে মহিলাদের সাথে মুত তআ করার অনুমতি
দিয়েছিলেন তিন দিনের জন্যে ৷ এরপর তিনি আমাদেরকে এ থেকে ধারণ করে দেন ৷ বায়হাকী
বলেন, আওতাসের বছর ও বিজয়ের বছর একই ৷৩ তাই উক্ত হাদীছ ও সাবুরা বর্ণিত হা ৷দীছ অভিন্ন ৷
আমি বলি, যে সব আলিম খায়বারেব যুদ্ধে মুতঅ৷ হারাম হওয়া প্রমাণ করেন তাদের মতে
মুত্আ দৃ’বার মুবাহ করা হয়েছে এবং দৃ’বার হারাম করা হয়েছে ৷ ইমাম শাফিঈ প্রমুখ এ ব্যাপারে
সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণের অবতারণা করেছেন ৷ কারও কারও মতে দৃ’ বারের চেয়েও অধিক বার
একে মুবাহ ও হারাম করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ইভ তাল জা নেন ৷ কারও মতে এটা একবারই মুবাহ
করার পর হারাম করে দেওয়া হয়েছে ৷ আর তা হয়েছে মক্কা বিজয়ের কালে ৷ আবার কেউ কেউ
বলেছেন, প্রয়োজনের তাকিদে এটা মুবাহ করা হয়েছে ৷ এ মত তঅনুয়ায়ী যখনই প্রয়োজন দেখা
দেবে তখনই তা মুবাহ হয়ে যাবে ৷ ইমাম আহমদ থেকে এরুপ একটি মতের কথা জানা যায় ৷
কারও কারও মতে ঘুত্আ আদৌ হারাম করা হয়নি; বরং তা এখনও মুবাহ আ ছ ৷ ইবন আব্বাস
এই মত পোষণ করেন বলে প্রসিদ্ধ আছে ৷ এ ছাড়াত তার শিষ্যবর্গ এবং কতিপয় সাহাবীও এই
মত পোষণ করেন ৷ আহ্ক৷ ম বা বিধি-বিধানের অধ্যায়ই এ আলোচনা ৷র উপযুক্ত স্থান ৷
অনুচ্ছেদ
ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট আবদুর রায়যাক — — মুহাম্মাদ ইবন আসওদ সুত্রে
বংনি৷ করেন যে, তার পিতা আসওদ রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে বিজয়ের দিন লোকদেরকে বায়আত
করতে দেখেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যায় তুল্লাহ্র কবৃণ’ এর নিকট র্তাকে সম্মুখে
রেখে উপরেশন করেন ৷ এরপর লোকদের নিকট থেকে ইসলাম ও শাহাদণ্ডে র উপর বায়আত
গ্রহণ করেন ৷ রাবী ইবন জুরায়জ তার শায়খ আবদুল্লাহ ইবন উছমানের নিকট জিজ্ঞেস করেন
“কিসের শাহাদত ? জবাবে আবদুল্লাহ বলেন, মুহাম্মাদ ইবন আসওদ ইবন খালট্রুফ আমাকে
জানিয়েছেন যে তিনি লোকদেরকে আল্লাহর প্রতি ঈমান ও এ
এ মোঃ এর উপর বায়আত গ্রহণ করেন ৷ আহমদএ পর্যন্ত এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ বায়হাকীর বর্ণনায় এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ছোট ও বড়, নারী ও পুরুষ
নির্বিশেষে আগমন করে ৷ তখন তিনি তাদের থেকে ইসলাম ও শাহাদতেণ উপর বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ ইবন জাবীর বর্ণনা করেনং : এরপর লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা) )এর৷ ৷নকট ইসলামের উপর
বায়আত গ্রহণের উদ্দেশ্যে মক্কায় সমবেত হয় ৷ আমার জানা তথ্য মহ্বত রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফা
পাহাড়ের উপর অবস্থান নেন ৷ তার থেকে কিছু নীচে উমর ইবন খাত্তাব (রা) ছিলেন ৷ এরপর
তিনি লোকজনের কাছ থেকে আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা শ্রবণ করা ও নাধ্যমত আনুগত্য করার
উপর বায়আত নেন ৷ পুরুষদের থেকে বায়আত নেয়ার পর তিনি মহিলাদের থেকে বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ মহিলাদের দলে হিনদ বিনত উত্বাও ছিল ৷ হামযার প্রতি তার আচরণের ঘটনায় লজ্জিত
হয়ে অবগুণ্ঠন টেনে মুখমওল ঢেকে সে তথায় উপস্থিত হয় ৷ ঐ ঘটনার কারণে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আজ তাকে পাকড়াও করতে পারেন বলে সে আশংকা করছিল ৷ বায়আতের উদ্দেশ্যে মহিলারা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসলে তিনি বলেন :
তোমরা আমার নিকট এই মর্মে বায়আত গ্রহণ কর যে, আল্লাহর সাথে অন কিছুকে
শরীক করবে না ৷
হিনদ বললাে, আল্লাহর কসম ! আপনি আমাদের থেকে এমনঅ অংগীকার নিচ্ছেন যা
পুরুষদের থেকে নেননি ৷
১৷ এ তোমরা চুরি করবে না ৷
তখন হিনদ বললে৷ আল্লাহর কসম ! আমি যে প্রায়ই আবু সুফিয়ানের মাল-সম্পদ না বলে
নিয়েছি৷ (৩ আর কি হবে ? ) ৷ ঐ৷ মা ল আমার জন্যে বৈধ কি না তা আমি জ৷ ৷ন৩াম না ৷ আবু সুফিয়ান
তখন সেখানে উপ তছিলেন এবং হিনদের সব কথা শুনছিলেন ৷ তিনি বললেন, পুর্বে যা কিছু
তুমি নিয়েছো তা সব মাফ ৷ তার উপর আমার কো ন দাবী নেই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
কি হে ! তুমি কি উত্বা ৷র কন্যা হিনদ নাকি ? সে জবাব দিল, হীা, তবে পুর্বে যা কিছু হয়েছে সে
জন্যে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন ! অ ৷ল্লাহ্ আপনার মত্গল করবেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা )
বললেন :
ব্যভিচার করবে না ৷
হিনদ রললে৷ , ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ স্বাধীন (সৃম্ভাম্ভ) মহিলারা কি ব্যভিচার করতে পারে ? ১৷ ,
তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না ৷
হিনদ বললাে, আমরা৩ তাদেরকে শিশুক৷ ৷লে লালন পালন করেছি ৷ কিন্তু তারা বড় হবার পর
আপনি ও আপনার সাহাবীরা তাদেরকে বদর প্রান্তরে হত্যা করেছেন ৷ এ কথা ওনার পর উমার
ইবন খাত্ত ওাব উচ্চ৪স্বরে হাসলেন ৷