ইমাম মুসলিম ও সুনানের সংকলকগণ মায়মুন৷ বিনত আল-হারিছ (বা) হতে ৩বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বিবাহ করেন তখন আমরা সারিফে ইহরামযুক্ত
ছিলাম ৷ ”
হাফিয বায়হার্কী আবু রাফি (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসৃল্লুল্লাহ্ (না)
যখন মায়মুন৷ (রা) কে বিবাহ করেন, তখন তিনি ছিলেন ইহ্রামযুক্ত এবষ্ তার সাথে বাসর
উদযাপন করেন তখনও তিনি ছিলেন ইহরামযুক্ত ৷ আমি র্তাদের উভয়ের মাধ্যম ছিলাম ৷ তিরর্বৃমষী
ও নাসাঈ অনুরুপ বং৷ ৷ করেন ৷ তিরমিযী বর্ণনাটিকোহাস ন’ বলে অভিহিত করেছেন ৷
গ্রন্থকার বলেন, “মায়মুনা (রা) সারিফে ৬৩ ইিজরী মতাতরে ৬০ ৰিজ্রয়ীতে ইনতিকাল
করেন ৷
কফোর উমর৷ পালনের পর মক্কা থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তনের বিবরণ
মুসা ইবন উক্বা বর্ণনা করেন, কুরায়শগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে চার দিন অতিবাহিত
হওয়ার পর ১ হুয়াইতিব ইবন আবদুল উয্যাকে প্রেরণ করল যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) শর্ত মৃতাবিক
মক্কা থেকে চলে যান ৷ কাফিরদেরকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাদের কাছে মায়মুনা (রা)-এর
বিবাহের পর ওলীমা করার জন্যে রাসুলুল্পাহ্ (না) প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান
করে এবং বলে, আপনি আমাদের এখান থেকে চলে যান ৷ তখন তিনি চলে গেলেন ৷ ইবন
ইসহাকও অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেন ৷
ইমাম বুখ৷ ৷রী (র) আ ল বারা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ষুলকা ’দ৷ মাসে ওমরাহ পালন করতে আসেন ৷ মক্কাবাসীর৷ তাকে মক্কায় প্রবেশ করার অনুমতি
দিতে অস্বীকৃতি ৩জানায় ৷ তিনি তাদের সাথে সন্ধি করেন যে, পরবর্তী বছর তারা তাকে মক্কা য় তিন
দিন থাকতে দেবে ৷ যখন তারা সন্ধিপত্র লিখল লিখা হল যে এটা একটি সন্ধিনামা যা মুহাম্মাদুর
রাসুলুল্লাহ্ সম্পাদন করেন ৷ কাফিরর৷ বলল, “আমরা এটা মানিন ৷ ৷ আমরা যদি আপনাকে রাসুল
বলে জানতামই তাহলে আমরা আপনার জন্যে কিছুই নিষেধ করতাম না তবে আপনি মুহাম্মাদ
ইবন আবদুল্লাহ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন আমি আল্লাহর রাসুল এবং আমি মুহাম্মাদ ইবন
আবদৃল্লাহ্ও বটে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা) কে বললেন, “তুমি
রাসুলুল্লাহ্’ শব্দটি মুছে ফেল ৷” তিনি বললেন, না, আল্লাহর শপথ ! আ ৷মি আপনার নাম কখনও
মুছতে পারব না ৷ ’ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সন্ধিনড়ামাটি হাতে ৩নািলন এবং তিনি খুব ভ ৷ল লিখতে
পারতেন না ৷ তবুও৩ তিনি লিখবেন, এটা এমন একটি সন্ধিনামা যা মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ
সম্পাদন করলেন যে, তিনি তলোয়ার কোষবদ্ধ রেখে মক্কায় প্রবেশ করবেন, মক্কাবাসীদের কেউ
যদি তা ৷র অনুগত হয়ে মক্কা থেকে বের হয়ে যেতে চায় তাহলে তিনি তাকে বের করে নেবেন না,
প্াক্ষাম্ভরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীগণেব মধ্য থেকে যদি কেউ মক্কায় থেকে ’,যতে চায়
তাহলে৩ তিনি তা নিষেধ করতে পারবেন না ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) যখন সন্ধি মুতাবিক মক্কায় প্রবেশ
করলেন এবং নির্ধারিত সময় অতিক্রা ৷ম্ভ হয়ে গেল তখন কাফিবর৷ হযরত আলী (র, ) এর কাছে
১ ইবন হিশামের মতে তিন দিন ৷ ন্ষ্সস্পাদকদ্বয়
আসল এবং বলল, তোমার সাথীকে বল, তিনি যেন আমাদের এখান থেকে বের হয়ে যান ৷
কেননা, নির্ধারিত সময় অতিক্রাত্ত হয়ে গিয়েছে ৷ সেমতে, রাসু লুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে গেলেন ৷ এ
সময় হাময৷ (রা)-এর শিশু কন্যা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পিছু নিলেন এবং হে চাচা, হে চাচা , বলে
ডাকতে লাগলেন, আলী (রা) তাকে গ্রহণ করেন এবং তার হাতে ধরেন ৷ আর ফাতিমা (না)-কে
বললেন (তামার চাচার কন্যাকে নিয়ে নাও ৷ তখন তিনি তাকে উঠিয়ে নিলেন ৷ এরপর আলী
(রা), যায়দ (না) ও জা ফর (রা) ৩ ৷কে নিয়ে ৰি৩ ণ্ডায় লিপ্ত হলেন ৷ আলী (রা) বললেন ,আমি
তাকে উঠিয়ে নিয়েছি এবং সে আমার চাচার কন্যা ৷ জা ফর (রা)ও বলে উঠলেন, সে আমার
চাচার কন্যা এবং তার হলো আমার শ্রী ৷ যায়দ (রা)ও বলে উঠলেন, সে আমার ভাইয়ের কন্যা ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার খালার সাথে তাকে থাকার পক্ষেই রায় দিলেন এবং বললেন, ম্বুা;৷ ৷
ণ্ ১৷ ৷ :;৷ ;;ৰু খালা হচ্ছে মায়ের ভুল্য ৷ আলী (রা)-€ক রাসুলুল্লাহ্, (সা) বললেন, তুমি আমার
এবং আমি তোমার ৷ জাফর (রা)-কে বললেন আমার শরীরের গঠন ও চরিত্রের সাথে তোমার
সাজুয্য রয়েছে এবং যায়দ (রা)-£ক বললেন, তুমি আমাদের ভাই ও আমাদের মাওলা ৷ আলী
(রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললেন, আপনি কি হাময৷ (রা)-এর কনা৷কে বিয়ে করবেন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, “সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা ৷ উপরোক্ত সনদে ইমাম বুখারী এ
হাদীছের একক বর্ণনাকায়ী ৷
ওয়াকিদী ইবন আব্বাস (বা) হতে ৩বর্ণন৷ করেন ৷ তিনি বলেন “হামযা ইবন আবদুল
ঘুত্তালিব (বা ) এর কন্যা আম্মারা (রা) মক্কায় অবস্থান করছিল৩ ৷ তার মায়ের নাম ছিল সালুম৷ বিনত
উমায়স ৷ রাসুলুন্নাহ্ (সা) যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা ) এ
ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে কথা বলেন ৷ তিনি বলেন , কোন যুক্তিতে আমরা আমাদের
চাচার কন্যাকে মুশরিকদের মাঝে ইয়াতীম রুপে মক্কায় ছেড়ে যাবো ? রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে বের
করে নেয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার নিষেধ করলেন না ৷ তাই তিনি তাকে বের করে নিলেন ৷ যা য়দ
ইবন হারিছা (বা) এ ব্যাপারে কিছু কথা বললেন ৷ তিনি ছিলেন হাময৷ (রা)-এর মনোনীত ব্যক্তি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যত্নি মৃহাজিরীনকে পারস্পরিক ভ্রাতৃতৃ বন্ধনে আবদ্ধ করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হাময৷ (রা) ও যায়দ (রা) ইবন হারছার মধ্যে ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছিলেন ৷ এজন্যে
তিনি বলেন আমার ভাইয়ের কন্যা হিসেবে৩ ৷র সম্বন্ধে আমার অধিকার বেশী ৷ যখন একথা
জাফর (রা ) শুনলেন, তখন তিনি বললেন, খালা মায়ের সমতুল্য ৷ যেহেতু তার খালা আসৃমা
বিনত উমায়স আমার শ্রী, সেহেতু আমিই বেশী হকদার ৷ আলী (রা) বলেন, কী হল, আমি
দেখতেছি যে, তোমরা তাকে নিয়ে যত বিরোধ করছ অথচ সেতে৷ আমার আপন চাচার কন্যা:
আর আমিই তাকে কাফিরদের মধ্য থেকে উদ্ধার করে এসেছি ৷ কাজেই তোমাদের কাছে আম ৷
মত কোন গ্রহণযোগ্য দাবী নেই ৷ সুতরাৎ তার সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে আমার দাবীই অগ্নগণ৷ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, আমি তোমাদের মধ্যে মীমাংস৷ ৷করে দিচ্ছি ৷ হে যায়দ! তুমি আল্পাভ্রদ্বুও
আল্লাহর রাসুলের মাওলা ৷(আযাদকৃত (গালাম) আর হে জা ফর, তুমি আমার শারিরীক গঠন ও
চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্য পেয়েছ ৷ হে জাফর, তুমি আবার তার সম্পর্কে অধিক অধিকার র ৷খ,
কেননা, তার খালা তোমার শ্রী ৷ খালার সাথে বিয়ে করে কোন নারীকে একত্রিত করা যায় না ৷
অনুরুপ ফুফুর সাথেও বিয়ে করে কোন নারীকে একত্রিত করা যায় না ৷ অতএব, ব্দ্র:াফর
(রা) এর পক্ষেই রাসুলুল্লাহ (সা) রায় প্রদান করলেন ৷ ওয়াকিদী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন
জা ফর (রা) এর পক্ষে রায় প্রদান করলেন তখন জ ফর উঠে দাড়ালেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
চতুর্দিকে আনন্দে এক পায়ে চলতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, এটা কী হে জা ফর ?
উত্তরে তিনি বললেন, হে আল্পাহ্র রাসুল ! আবিসিনিয়ার শাসক নাজ্জাসী যখন কারো প্রতি সন্তুষ্ট
হতেন, দাড়িয়ে যেতেন এবং ঐ ব্যক্তির চতৃর্দিকে এক পায়ে ইাটতেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে
বললেন, “আপনি তাকে বিয়ে করুন ৷’ ’রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,, সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা ৷
তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে সালামা ইবন আবু সালামা এর সাথে বিয়ে দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলতেন, আমি কি আবু সালামার গােধ দিতে পেরেছি ?
প্রস্থকার বলেন, ওয়াকিদী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, সালামা তার মা উম্মে সালামার সাথে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিবাহ দিয়েছিলেন ৷ আর সালামা ছিল ৫জ্যষ্ঠ পুত্র অর্থাৎ উমর ইবন আবু
সালামার চাইতে বয়ােজেষ্ঠ ৷ আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “যিলহাজ্জ মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তাই
মুশরিকরাই এ হভ্রুজ্জর তত্ত্বাবধান করে ৷ ইবন হিশাম বলেন, এ উমরা সম্পর্কে আল্লাহ্ তা আলা
বভীর্ণ করেন :
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আল্লাহ তার রাসুলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা
অবশ্যই মাসজিদৃল হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে কেউ কেউ মস্তক মুণ্ডিত করবে, কেউ কেউ
কেশ কর্তন করবে ৷ তোমাদের কোন ভয় থাকবে না ৷ আল্লাহ্ জানেন তোমরা যা জান না ৷ এটা
ছাড়াও তিনিও আমাদের দিয়েছেন এ সদ্য বিজয় ৷ অর্থাৎ আসন্ন খায়বারের বিজয়” ( ৪৮ ২ ৭) ৷
ইবন আবুল আওজা আস-সৃলামীর অভিযান
ইমাম বায়হাকী (র ) যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যখন সপ্তম হিজররী যিলহাজ্জ মাসে কাযার উমরা পালন করে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তখন
তিনি ইবন আবুল আওজা আস-সুলামীকে ৫০জন অশ্বারোহীসহ বনু সুলায়মের প্রতি প্রেরণ
করেন ৷ তাদের গুপ্তচর তাদেরকে মুসলিম ক্ষুদ্র সৈন্যদল সম্পর্কে সংবাদ দিয়ে সতর্ক করল ৷
তাতে তাদের বহু সং খ্যক লোক মুসলিম সৈন্যদলের বিরুদ্ধে একত্রিত হল ৷ ইবন আবুল আওজা
মুষ্টি:ময় সৈন্য নিয়ে তাদের সম্মুখীন হলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্র সাহাবীগণ তাদের সমাবেশ প্রত্যক্ষ করে
তাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দিলেন ৷ কিন্তু তারা মুসলিম সেনাদের কথায় কর্ণপাত না
করে তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে লাগল এবং বলতে লাগল, “ তোমরা যে ইসলামের প্রতি
আমাদেরকে দাওয়াত দিচ্ছ তাতে আমাদের কাজ সেই ৷ একঘণ্টা যাতে তারা তীর নিক্ষেপ করে ৷