সুত্রে বলেন, আমি দেখেছি, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মিনার ভাষণ দিচ্ছেন যখন প্রথম প্রহর চড়ে
গিয়েছে ; একটি উজ্জ্বল সাদা-কড়াল খচচরের পিঠে ; আলী (বা) তার ভাবণের পুনরাবৃত্তি করে
চলছেন আর জনতা কেউ দাড়িয়ে কেউ বলে ৷ নাসাঈ (র) এ হাদীস রিওরড়ায়াত করেছেণ
দুহায়ম (র)হতে ঐ সনদে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আবু ঘুআৰিয়া (র)আমির
(বা) হতে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লড়াহ্ (না)-কে মিনার একটি খচচরের পিঠে লোকদের
সামনে ভাষণ দিতে দেখেছি; আর তার গায়ে ছিল একটি লাল চাদর ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আর
একজন বদরী সাহাবী তীর সামনে থেকে তার কথার পুনরাবৃত্তি করছিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
আমি (কাছে) গিয়ে তার পা এবং চপ্পলের ফিতার মাঝে আমার হাত প্রবিষ্ট করলাম ৷
বর্ণনাক ৷রী বলেন, আ ৷মি তার পায়ের শীতল স্পর্শে মাে ৷হিত হতে থাকলাম ৷ মুহাম্মদ ইবন
উবায়দ আ ৷মির আ ল্ মুযানী (রা) হতেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ” ভিন্ন সুত্রে আবু দ ৷উদ
(র) এ হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আবু ড়াদাউদ (র) এর পরবর্তী অনুচ্ছেদ৪ মিনার প্রদত্ত ইমামুন হজ্জ এর থুতৰা র আলোচ্য
বিষয়০ মুসাদ্দাদ (র)আবদুর রহমান ইবন ঘু আয আত্-তায়মী (রা) হতে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন; আমরা তখন মিনার ৷ আমাদের কানগুলি
খোলা থাকল, এমন কি আমরা আমাদের অবস্থান ক্ষেত্র থেকেই তীর বক্তব্য শৃনতে
পাচ্ছিলাম ৷ তিনি হজ্জ ও কুরবানীর বিধি-বিধান শিক্ষা দিচ্ছিলেন ৷ এ ভাবে জামরাসমুহের
আলোচনা পর্যন্ত পৌছলে মাঝের দু আং গুল (তজনী ও মধ্যমা, পাশাপাশি) তুলে ধরে বললেন,
“ঢিল ছেড়াড ন্র আকারের কৎকর ৷ তখন মুহাজিরদের হুকুম করলে র্তারা
(মিনার) মসজিদের সামনে অবস্থান নিলেন; আনসারদের হুকুম করলে ভীরা মসজিদের পিছনে
অবস্থান নিলেন এবং অন্য লোকেরা মুহড়াজির আনসারদের পেছনে অবস্থান নিলেন ৷” আহমদ
ও নাসাঈ (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে এ হাদীসটি রিওরায়াত করেছেন ৷ আহমদ (র)-এর রিওয়ায়াত
পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷
সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে আমর ইব নুল আস (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দশ তারিখে মিনার) ভাষণ দিচ্ছিলেন; এ সময় এক ব্যক্তি তীর সামনে দাড়িয়ে
বলল, “আমি ভেবেছিলাম অমুক অমুক বিষয় অমুক অমুক বিষয়ের আগে, তখন আর এক
ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল, আমি ধারণা করেছিলাম যে, অমুক অমুক কাজ অমুক অমুক কাজের
আগে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন বললেন, ফু)১ শ্বড্রু এে “করে যেতে থাক, কোন অসুবিধা ’
নেই!” গ্রন্থকারদ্বর এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, মালিক (র) থেকে ৷ মুসলিম (র) ঐ সনদে
অতিরিক্ত বলেছেন এবং যে ভাষা বেশ ব্যাপক (যার পুর্ণাত্গ বিবরণের উপযোগী ক্ষেত্র এটা
নয় ৷ তার উপযোগী ক্ষেত্র হল কিতাবুল আহ্কাম) ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের ভায্যে আরো রয়েছে
বর্ণনাকারী বলেন, এদিন যথাসময়ে আগে বা পরে করা যে কোন বিষয়ের জিজ্ঞাসার জবাবে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “করে যাও, ক্ষতি নেই !”
মিনার অবস্থান ও রামী সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি : তারপর, কথিত মতে-নবী করীম (না) মিনার
আজকাল যেখানে মসজিদ রয়েছে সেখানে অবস্থান গ্রহণ করলেন এবং তার ডান দিকে
মুহাজিরদের ও বাম দিকে আনসারদের অন্যান্য লোকদের ওদের পরবর্তী স্থানে অবস্থান নিতে
বললেন, হাফিজ বারহাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আলু হাফিয (র) আইশা (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলা হল-আপনাকে ছায়া দেয়ার জন্যে আমরা মিনার
আপনার জন্য কোন ঘর তৈরী করবো কি ? তিনি বললেন,
মিনা হল আগে আসলে আগে উট বসাবার স্থান ৷ এ সনদে কোন ত্রুটি নেই; তবে এ সুত্রে তা
যুসনাদে (আহমদ) কিংবা ছয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থে উদ্ধৃত হয় নি ৷
আবু দাউদ (র) বলেন, আবু বাকর মুহাম্মদ ইবন খাল্লাদ আল্-রাহিলী (র) ইবন জুরায়জ
কিৎবা আবু হুরায়য (র) আবদুর রাহমান ইবন ফাররুয (র)-কে ইব ন উমড়ার (রা)এর কাছে
জিজ্ঞাসা করতে শুনেছেন ৷ তিনি বললেন আমরা (হস্তুজ্জর সফরে) লোকজনের মালপত্র
যেচাকেনা করতে থাকি ৷
এ ভাবে আমাদের কেউ কেউ মক্কায় পৌছে মালপত্র নিয়ে রাত কাটার ৷ ইবন উমড়ার (রা)
বললেন, রাসুলুল্পাহ্ তো মিনার রাত কাটিয়েছেন এবং (র্তাবুর আচ্ছাদনের) ছায়ায় ৷ “এ
রিওয়ায়াত একাকী আবু দাউদ (র)এর ৷ আবু দউিদ (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা উছমান ইবন
আবু শায়বা (র) ইবন উমর (বা) হতে, তিনি বলেন, আব্বাস (রা) র্তার (যমযমের) পানি পান
করাবার ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্ব পালন সুত্রে মিনার রাতগুলিতে মক্কায় রাত যাপনের ব্যাপারে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে অনুমতি চাইলে নবী করীম (না) র্তাকে অনুমতি দিলেন ৷” বুখারী ও
মুসলিম (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্র হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র) সনদ বিহীন রুপেও
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিনার তীর সাহাবীগণকে নিয়ে (চার রাকআত যুক্ত) সালাতসমুহ দুই
রাকআত করে আমার করতেন ৷-এ হচ্ছে সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে ইবন মাসউদ ও হারিছা ইবন ওয়াহ্ব
(রা)-এর হাদীসের ভাষ্য ৷ এ কারণে একদল আলিমের অভিমত হল এই যে, মিনার সালাতের
কসর’ হজ্জ সম্পর্কিত বিধানের অংগ ৷ কতক মালিকী মাযহাব অনুসারী এবং অন্য অনেকে এ
অভিমত পেষণ করেছেন ৷ র্তারা এ কথাও বলেছেন যে, নবী করীম (সা) মিনার মক্কাবসীদের
উদ্দেশ্যে বলতেন-“(তত্ত্বমরা সালাত পুর্ণ করে নাও; আমরা মৃসাফির দল এ রাণী যারা এ
ক্ষেত্রে প্রমাণ রুপে উপস্থাপন করতে চান তাদের ধারণা ভুল ৷ কেননা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ কথাটি
বলেছিলেন, মক্কা বিজয় কালে আবৃতাহ্-এ অবস্থান কালে ৷ যেমনটি পুর্বেই উক্ত হয়েছে ৷
নবী কবীম (সা) মিনার অবস্থানের দিনওলিতে প্রতিদিন দুপুরের পর তিন জামরার প্রতিটি
জামরায় কংকর মারতেন ৷ (-যেমন জাবির (রা) বলেছেন এবং ইবন উমর (রা)-এর বক্তব্য
অনুসারে এ সময় তিনি) পদব্রজে কংকর মারতেন ৷ প্রতি জামরায় সাতটি করে কংকর; প্রতি
ৎকরের সাথে তিনি তাক্বীর ধ্বনি দিতেন ৷ প্রথম ও দ্বিতীয় জামৃরায় কংকর মারার পরে
থেমে দাড়িয়ে মহান মহীয়ান আল্লাহ্র কাছে দুআ করতেন এবং তৃতীয় জামরা (জামরাতুল
আকাবা)-এর পরে সেখানে র্দাড়াতেন না ৷ আবু দাউদ (র) বলেন, আলী ইবন রাহ্র (শব্দ
ভাষ্যে) ও আবদুল্লাহ ইবন সাঈদ (র) (অর্থ ভড়ায্যে) আইশা (বা) হতে, তিনি বলেন, “যে
দিনের (দশ তারিখ) শেষ ভাগে সালাত আদায় করার সময় রাসুলুল্লাহ্ (না) (তাওয়াফে)
ইফাযা (ফরম তাওয়াফ) করার পরে মিনার প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ আইয়াংম তম্পোরীক-এর
দিনগুলি সেখানে অবস্থান করে সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়ার সময় জামরায় কংকর মারতে
থাকলেনশ্ প্রতি জামরায় সাত কংকর এবং প্রতি কংকরের সাথে তাকবীর ধ্বনি দিতেন ৷ প্রথম
ও দ্বিতীয় জামরায় কংকর মারার পরে থেমে র্দাড়াতেন এবং দীর্ঘ সময় অবস্থান করে কাকুতি-
মিনুতির সংগে দুআ করতেন এবং তৃতীয় (বড়) জামরায় কংকর মারার পরে র্দাড়াতেন না ৷ এ
হাদীস একাকী আবু দাউদ (র)-এর রিওয়ায়াত ৷
বুখারী (র) ইউনুস ইবন ইয়াযীদ (ব)ইবন উমার (রা) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেনএ
মর্মে যে, তিনি ইবন উমার (রা) নিকটবর্তী (প্রথম) জামরায় সাতটি কংকর মারতেন, প্রতি
কংকরের পরেই তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ বন্মতেন ৷ তারপর একটু এগিয়ে গিয়ে সমতলে সহজ
ভাবে র্দাড়াতেন এবং কিবলামুথী হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দৃহাত তুলে দুআ করতেন ৷ তারপর
মধ্যবর্তী (দ্বিতীয়) জামরায় কংকর মারতেন ৷ তারপর একটু বামে সরে গিয়ে সমতলে
কিবলামৃথী হয়ে সহজভাবে র্দাড়াতেন এবং দৃহাত তুলে দুআ করতেন এবং (এ ভাবে)
দীর্ঘক্ষণ র্দাড়িয়ে থাকতেন ৷ তারপর উপত্যকার নিম্নভুমি হতে জামরাতুল আকাবায় (তৃতীয় ও
াশব জামরায়) কংকর মারতেন এবং পরে সেখানে না থেমে চলে য়েতেন ৷ তিনি বলতেন
“রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে আমি এ রুপই করতে দেখেছি ৷”
ব্যতিক্রমী বর্ণনা ও ওয়াৰারা ইবন আবদুর রহমান (র) বলেছেন, “ইবন উমর (বা) শেষ
জামরায় কাছে সুরা বকোরা তিলাওয়াতের সম-পরিমাণ সময় র্দাড়িয়েছেন ৷” আবুমিজ্বলায (র)
বলেছেন, “কংকর মারার পরে তার (ইবন উমর) র্দাড়াবার পরিমাণ আমি অনুমান করেছি সুরা
ইউসুফ তিলাওয়াতের সমপৰিমাণ ৷ এ দুটি রিওয়ায়াত বায়হাকী (র)-এব ৷
রাখানদের কংকর মারার সহ্জীক্যাণ প্রসংগ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র)আবুল কাদ্দাহ (র)-এর পিতা
হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রাখালীদের জন্য একদিন কংকর মারার এবং
একদিন বিরতি দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷” আহমদ (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর (র)আবুল কাদ্দাহ্-এব পিতা (আসিম) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) রাখালদের
জন্য পালাক্রাম কংকর মারার অনুমতি দিয়েছেন ৷
অর্থাৎ তারা দশ তারিখে কংকর মারার পরে একদিন একরাত বাদ দিয়ে পরের দিন কংকর
মারবে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, আবদুর রহমান (র)আবুল কাদ্দাহ্ ইবন
আসিম ইবন আদী (র) তার পিতা (আসিম (রা)) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উটপালের রাখলেদের দশ তারিখের রাতে) মিনার চলে গিয়ে রাত যাপনের অনুমতি দিয়েছেন,
যাতে তারা দশ তারিখে কংকর মারতে পারে (এভাবে তারা দশ তারিখে কংকর মাববে,
তারপর তার পরের দিন কিংবা তারও পরের দিন (মোট) দুদিন কংকর মারবে, তারপর
ফেরার দিন (তেব তারিখে) কংকর মারবে ৷ আবদুর রাঘৃযাক (র) (মালিক) ইতেও অনুরুপ
রিওয়ায়ত করেছেন ৷ চার সুনান গ্রন্থ সংকলক মালিক ও সুফিয়ান ইবন উয়ড়ায়না (র) সুত্রে এ
হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) বলেছেন, মালিক (র)-এৱ রিওয়ায়াত বিংন্দ্ধতর
এবং এটি হাসানসহীহ্ ৷