ইমাম আহমদ (র)-এর অভিমত হলো এই যে, তামাত্তু হজ্জ পালনকারীর জন্যও একটি
তাওয়াফ তার হজ্জ ও উমরা আদায়ে যথেষ্ট হবে, যদিও এ ক্ষেত্রে উভয় আমলের মাঝে হালাল
হওয়ার অবকাশ রয়েছে ৷” তবে তীর এ অভিমত একটি বিরল বক্তব্য যার উৎস হাদীসের বাহ্য
পাঠ ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
পক্ষান্তরে আবু হানীফা (র)এর অনুগামীগণ তামাভু হন্বজ্জর ক্ষেত্রে মালিকী ও শাফিঈ
মতাবলম্বীদের অভিমত দুই তাওয়াফ ও দুই সাঈর ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করছেন কিন্তু,
তারা এ বিধান টি কিরান হভ্রুজ্জর ক্ষেত্রে পর্যন্ত সম্প্রারিত করে বলেছেন যে, কিরান পালনকারীও
(হজ্জ উমরার জন্য ভিন্ন ভিন্ন) দুই তাওয়াফ দৃই সাঈ করবে ৷ এটি তাদের একক মড়াযহাব এবং
এটির স্বপক্ষে আলী (রা) পর্যন্ত মাওকুফ রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷ আবার আলী (বা) হতে
মারফু নবী করীম (সা) পর্যন্ত সনদ উন্নীত) রিওয়ায়াত ও বর্ণিত হয়েছে ৷ তাওয়াফ পরিচ্ছেদে
এ সব রিওয়ায়াতের উপরে আমরা আলোচনা করে এসেছি এবং এ কথাও বিবৃত করেছি যে ঐ
সব রিওয়ড়ায়াতের সনদ দুর্বল এবং সেগুলি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ হাদীসসমুহের পরিপন্থী ৷
আল্লাহই সৰ্বাধিক অবগত ৷
দশ তারিখের যুহ্র সালাজ্যে স্থান প্রসত্গে
মক্কায় যুহর সালাত আদায়ের পরে নবী কবীম (সা) মিনায় প্রত্যাগমন করলেন ৷” এ হল
জাবির (রা)-এর হাদীসের প্রতিপাদ্য ৷ পক্ষান্তরে ইবন উমর (না)-এর ভাষ্য ফিরে এসে
মিনায় যুহ্র সল্দোত আদায় করলেন ৷ উভয় রিওয়ায়াত মুসলিম (র)-এর ৷ যেমনটি ইত্যেপুর্বে
বর্ণিত হয়েছে ৷ মক্কা ও মিনায় দৃ’ৰার সড়ালাত আদায় করার কথা মেনে নিয়ে এ দৃয়ের মাঝে
সমন্বয় বিধান করা যায়্ ৷ ইবন হাঘৃম (র) এ বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত প্রদানে বিরত রয়েছেন ৷
বিশুদ্ধ উদ্ধৃতিতে পরস্পর বিরোধিতার কারণে তার এ অপরাগতা বিবেচ্য ও গ্রহণাযাগ্য ৷ তবে,
আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ এ ছাড়া মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, আবদুর রহমান
ইবনুল কাসিম তীর পিতা সুত্রে অইিশা (বা) হতে, তিনি বলেন, যে দিনের ৷:শয়ে ঘুহ্র সালাত
আদায়ের সময়’ তিনি ইফাযা (ফরম তাওয়াফের উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন) করলেন, তারপর
মিনায় ফিরে এলেন এবং আইয়ামে তাশরীকের (১১, ১২, ১৩ তারিখের) রাতগুলি সেখানে
অবস্থান করে প্রতিদিন সুর্য পশ্চিম সুখী হওয়ার সময় আমরা সমুহে কংকর মারলেন ৷ প্রতি
জামরায় সাত কংকর এবং প্রতি কংকরের সাথে তাকবীর ধ্বনি দিলেন ৷ ” এ রিওয়ায়াত
একাকী আবু দাউদের ৷ এ হাদীস প্রতীয়মান করে যে, দশ তারিখে নবী করীম (না)-এর মক্কা
গমন হয়েছিল দৃপুরের পরে ৷ সুতরাং এ হাদীস নিশ্চতরুপেই ইবন উমর (রা)-এর হাদীসের
সাথে সংঘটিত ৷ তবে এটি জাবির (রা)এর হাদীসের পরিপন্থী কিনা সে ব্যাপারে আিমতের
অবকাশ রয়েছে ৷ আল্লাছু সমধিক অবগত ৷
মিনায় নবী করীম (সা) এর তাবগ প্রসৎগ
এ মহান দিবসে রাসুলুল্লাহ (সা) একটি গুরুত্বপুর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন ৷ হাদীসের বহুল ও
উপর্বুপরি ধারাবাহিক (যুতাওয়াতির) রিওয়ায়াত বিষয়টি প্রমাণিত ৷ আমরা এখানে মহান
মহীয়ান আল্লাহর উপরে ভরসা করে যথা সম্ভব তা উল্লেখ করার প্রয়াস পাব ৷ বুথাবী (র)-এর
অনুচ্ছেদ শিরোনাম মিনার দিনগুলিতে থুত্বা দান আলী ইবন আবদুল্লাহ (র) ইবন আব্বাস
(রা) হতে এ মর্মে বনর্ণা করে রাসুলুল্পাহ (সা) দশ তারিখে লোকদের সমনে ভাষন দিলেন ৷
তিনি বললেন, “লোক সকল ! এ টি কোন দিন ? লোকেরা বলল, “সম্মানিত
দিন ৷ ” নবী করীম (সা) বলেন, মিঃ“এটি কােনৃ নগর ?” লোকেরা বলল, “সম্মানিত
নগর ৷ নবী করীম (সা) বললেন ষ্১গ্রাণ্ণ্ন্ট্টণ্ ৷ঠো “তবে এটি কোন মাস?” তারা বলল, “পবিত্র
মাস!” নবী করীম (সা) বললেন-
যে মাসটি পবিত্র তোমাদের এ মাসে তোমাদের এ নগরে তোমাদের এদিনটির সম্মান ও
পবিত্রতার ন্যায় তোমদের জীবন ও সম্পদ (জান-মান) ও আবরু-ইজ্জ্বত তোমাদের জন্য
পবিত্র ৷ বর্ণনাকারী বলেন, নবী করীম (সা) এ কথাটি কয়েকবার পুনর্ব্যক্ত করলেন এবং পরে
মাথা তুলে বললেন ইয়া আল্লাহ ! পৌছিয়ে দিয়েছি তো ?
ইয়া আল্লাহ! পৌছিয়ে দিয়েছি তো !” ইবন আব্বাস (রা) বলেন, “যার অধিকারে আমার
জীবন তড়ার শপথ! এ ভাষা! অবশ্যই তার উম্মতের কাছে তার অন্তিম ওসিয়ত (তিনি আরো
“উপস্থিত ব্যক্তি অনুপস্থিতকে পৌছিয়ে দিবে ৷ আমার পরে কাফিরে পরিনত হয়ে যেয়াে না
যে, একে অন্যের গর্দান মারতে থাকবে !” তিরমিষী (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
ফাল্লাস (র) ইয়াহয়া আল-কাত্তান সুত্রে ঐ সনদে ৷ এবং এটিকে হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য
করেছেন ৷
বৃবরীি (ব) আংরা বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) আবু বাক্রা (বা) হতে ৷ তিনি
ববুক্ষা, দশ তারিখে রাসুলুল্পাহ (না) আমাদের সামনে খুত্বা দিলেন ৷ তিনি বললেন, ভো
১ “তোমরা জান কী এটি কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুল অনেক
জানেন ৷ তখন তিনি নিরবতা অবলম্বন করলে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি এখনই এ
দিনটির অন্য কোন নাম রেখে দিবেন তিনি বললেন, “এটি কি নাহ্র দিবস
নয়?” আমরা বললাম, জী হী অবশ্যই! তিনি বললেন, এটি কোন নাম ? আমরা বললাম, আল্লাহ
এবং তীর রাসুল সমধিক অবগত ৷ তখন তিনি নিরবতা অবলম্বন করলেন, এমন কি আমরা
ধারণা করলাম যে, তিনি এখনই এটিকে তার নাম ব্যতীত অন্য কোন নামে অভিহিত করবেন ৷
তিনি বললেন,“এটি যিলহজ্জ (মাস) নয় কি? ’ আমরা বললাম, জী অবশ্যই !
তিনি বললেন, এটি কোন নগর ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তীর রাসুলই ভাল জানেন ৷
তিনি নিরবতা অবলম্বন করলেন, এমন কি আমরা ভাবলাম তিনি এটি কে এর নাম কোন
নামে আখ্যায়িত করবেন ৷ তিনি বললেন,এটি কি পবিত্র নগরী নয়? আমরা
বললাম, র্জু৷ হী অবশ্যই! তিনি বললেন, “তবেই, তোমাদের জান-মাল তোমাদের জন্য পবিত্র
তোমাদের এ নগরে ৷ তোমাদের এ শাসক তোমাদের এ দিনটির পবিত্রতার ন্যায় ৷
তোমড়াদের প্রতি পালকের সান্নিধ্যে গমনের দিন পর্যন্ত ৷ ” আমি পৌছিয়ে দিলাম কী? জরা
বলল জী-ছু৷ ৷ (তিনি বললেন) ইয়৷ আল্লাহ! সাক্ষী থাকুন! তাই, উপস্থিতরা অনুপস্থিদের পৌছে
দিবে ৷কেননা, অনেক (প্রত্যক্ষ) শ্রোতার চইিতে মাকে পৌছিম্নে
দেয়া হয় অর্থাৎ পরোক্ষ শ্রোতা অধিকতর সংরক্ষণকারী হয় ৷ আমার পরে এমন কাফির দলে
পরিণত হয়ো না যে তোমাদের একে অন্যের গর্দান মারতে থাকবে ! “বুখারী মুসলিম (র)
মুহাম্মদ ইবন সীবীন (র) হতে একাধিক সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম
(র) আবদুল্লাহ ইবন আওন (র) আবু বাক্রাহ (রা) হতেও রিওয়ারাভ করেছেন ৷
এ রিওয়ায়াজ্যে শেষে অতিরিক্ত রয়েছে এরপর নবী করীম (সা) দুটি সুশ্ৰী হৃষ্টপৃষ্ট দুম্বার
কাছে এগিয়ে গিয়ে যে দুটি জবইি করলেন, এবং একটি ছোট ছাপ পালের কাছে গিয়ে তা
আমাদের মাঝে বন্টন করে দিলেন ৷
ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, ইসমাঈল (র) (মুহাম্মদ ইবন সীবীন সুত্রেই) আবু বাক্রা (রা)
হতে, এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (না) তার হচ্ছে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, ঘোনাে ! সময়
তার নিজস্ব ও প্রকৃত অবস্থানে অতীত হয়ে এসেছে যেদিন আল্পাহ্ আসমানসমুহ এবং যযীন
সৃষ্টি করেছিলেন, যে দিনের মতই বছর বার মাস, যার মধ্যে চারটি পবিত্র ও নিষিদ্ধ মাস ৷
তিন মাস পরপর যিলকাদ, যিলহজ্জ ও মুহাররম এবং যুযার গোত্রীয়দের রজব নাম যা রয়েছে
জুমাদাল উখৃরা ও শাবান মাসের মাঝে ৷” তারপর তিনি বললেন-
গােনাে ! এটি কোন দিন ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তীর রাসুল ভাল জানেন ৷ নবী
করীম (সা) নিরব থাকলে আমরা ভাবতে লাগলাম যে, তিনি এটিকে এর অন্য কোন নাম
দিবেন ৷ তিনি বললেন, এটি কুরবানীর দিন নয় কী?, আমরা বললাম, ব্জী-ষ্হী অবশ্যই !” আবার
তিনি বললেন, “এটি কােনৃ মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই সমধিক অবগত ৷
তখন তিনি নিরব থাকালন, এমন কি আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি এটিকে এখনই তার
নাম ভিন্ন অন্য কোন নামে অভিহিত করবেন ৷
তিনি বললেন, “এটি যিলহজ্জ নয় কি?” আমরা বললাম, হী অবশ্যই ! আবার বললেন “এটি
কোন নগরী ? আমরা বললাম, আল্লাহ এবং তার রাসুল ভাল জানেন ৷ তিনি তখন নিরব
থাকবেন, এমন কি আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি এখনই এটিকে তার নাম ভিন্ন অন্য কোন
নাম দিবেন ৷
তিনি বললেন, এটি কি পবিত্র নগরী নয় ? আমরা বললাম, জী হী অবশ্যই ! (তিনি বললেন)
তবেই তোমাদের রক্ত ও সম্পদ (জান-সাল) (আমার ধারণা, তিনি আরো বললেন) তোমাদের
ইজ্জত আবরু ণ্তামাদের জন্য পবিত্র, ণ্তামাদের এই নগরীতে, তোমাদের এই মাসে তোমাদের
এ দিনটির পৰিত্রতা (ও নিষিদ্ধতার) অচিরেই
তোমরা তোমাদের প্ৰতি পালকের সাক্ষাতে উপস্থিত হবে, তিনি তোমাদের কাছে তোমাদের
আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন ৷
ণ্শাভৈনা ! আমার পরে ভ্রান্ত’ দলে পরিণত হয়ে যেয়াে না যে, একে অন্যের গর্দান উড়াতে
থাকল ৷ গােনাে! আমি পৌছিয়ে দিলাম কী? গােনাে৷ উপস্থিতরা অনুপস্থিতদের কাছে পৌছিয়ে
দেবে ৷ “কেননা, হতে পারে, যার কাছে
তা পৌছিয়ে দেয়া হবে যে এর কোন শ্রোতার চেয়ে ঐ বিষয়ের অধিক সংরক্ষণশালী প্রতিপন্ন
হবে ৷ ” ইমাম আহমদ (র)-এর মুসনাদ গ্রন্থে এভাবেই মুহাম্মদ ইবন সীরীন (র) আবু বকর
(বা) হতে (সরাসরি) উল্লিখিত হয়েছে ৷ অনুরুপ, আবু দাউদ (র) মুসাদ্দাদ (র) হতে এবং
নাসাঈ (র) অড়ামৃর ইবন যুরারা (র) হতে ইবন সীরীন (র) আবু বাকরা (বা) হতে (সরাসরি)
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ কিন্তু, এভাবে সনদটি বিচ্ছিন্ন সুত্র (মুনকাতি) ৷ কেননা, বুখারী-মুসলিম
এ হাদীস আহরণ করেছেন (আযুদ্রব হতে বিভিন্ন সুত্রে) মুহাম্মদ ইবন সীরীন হতে; তিনি
আবদুর রহমান ইবন আবু বাকরা হতে এবং তিনি তার পিতা আবু বাকরা (বা) হতে ৷
বুখারী (র)ইবন উমর (বা) হতে ঈষৎ শাব্দিক পরিবর্ত্যাসহ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী (র) তীর গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন এবং তিরমিষী (র) ব্যতীত
সিহাহ সিত্তা সঙ্কলকগণের অন্য সকলে বিভিন্ন সনদে হাদীসঢি উল্লেখ করেছেন ৷
বুখাবী (র) বলেন, হিশাম ইবনুল গায্ (র) বলেছেন, নাফি সুত্রে ইবন উমর (বা) হতে
নবী করীম (সা) যে হজ্জ পালন করেছিলেন যে হত্তজ্জ জামরাসমুহের মাঝে থেমে দাড়িয়ে এ
ভাষণ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন ঞ্জো৷ ল্গুত্র৷ ণ্স্শ্ ৷১ঞ “এটি প্রধান হক্কজ্জা দিন’ নবী
করীম (সা) বলে তোলেন, “ইয়া আল্লাহ সাক্ষী থাকুন ! এবং (এভাবে) তিনি লোকদের
বিদায় জানালেন ৷ তাই তারা এর নাম দিল হাজ্জাত্নল বিদা’ বিদায় হজ্জ ৷ আবু দাউদ (র)
এ হাদীস পুর্ণ সনদে উল্লেখ করেছেন মুআম্মাল ইবনুল ফাবৃল (র) হতে ৷ আর ইবন মার্জা
(র) হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন হিশাম ইবন আম্মার (র) সুত্রে আবুল আব্বাস আদ-
দিমাশকী (র) পুর্ব সনদে ৷ এ ভাযণের সময় নবী করীম (না)-এর জামৃরাসমুহের কাছে
অবস্থান দশ তারিখে জামরায় কংবন্ম মারার পরে এবং তাওয়াফ করার আগে যেমন হতে
পারে, তেমনি মিনার প্রত্যার্বতন ও জামরাসমুহ কংকর মারার পরেও হতে পারে ৷ তবে
নাসাঈ (র)-এর রিওয়ড়ায়াত প্রথম সম্ভাবনাকে সরল করে ৷ যেহেতু তিনি বলেছেন, আমর
ইবন হিশাম আল-হার রানী (র) তার উম্মু হুসায়ন (বা) হতে ৷ তিনি বলেন, নবী কবীম
(সা)এর হরুজ্জর সময় আমিও হজ্জ করেছি ৷ তখন দেখলাম বিলাল তীর বাহনের রশি ধরে
রয়েছেন আর উসামা ইবন যায়দ নবী ব্ৰ্ৰীম্ (না)-এর উপরে তার কাপড় তুলে ধরে র্তাকে
সুর্য তাপ হতে ছায়া দিচ্ছেন তখনও তিনি ইহরাম অবস্থায় ছিলেন ৷ এভাবে জামরাভুল
আকবায় কংকর মারলেন ৷ তারপর লোকদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ প্রথমে আল্লাহর হামৃদ
ও হলো বয়ান করলেন এবং অনেক অনেক কথা বললেন ৷ ঘুসন্সিম (র) ও এ হাদীসঢি
উল্লিখিত সনদে উম্মু হুসায়ন (বা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, বিদায় হরুজ্জ
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে হজ্জ পালন করলাম ৷ আমি দেখলাম, উসামা ও
বিলালকে; তাদের একজন রাসুলুলল্লাহ্ (সা)এর উটনীর লাগাম ধরে রেখেছেন, অন্যজন
তীর একটি বস্ত্র ধরে ভীকে সুর্য তাপ হতে ছায়া দিচ্ছেন জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা
পর্যন্ত ৷ উম্মুল হুসড়ায়ন৷ (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনেক কথা বললেন, পরে আমি ভীকে
বলতে
“কোন নাক কাটা (-রাবী বলেন, আমার ধারণা উম্মুল হুসায়ন এ শব্দটিও বলেছেন যে,)
কাফ্রী যেড়ালাম তোমাদের আমীর নিযুক্ত হলেও, যে তোমাদের আল্লাহর কিতাব অনুসারে
পরিচালিত করে, তবে, তার কথা শুনবে এবং আনুগত্য করবে ৷” ৰু
ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন উৰায়দুলাহ (র)সুত্রে জাবির (বা) হতে, তিনি
বলেন দশ তারিখে রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন,“কোন দিনটি মযদািয় সর্বাধিক মহান ? র্তারা (সাহাবীগণ) বললেন, আমাদের এ
দিনটি ৷ নবী করীম (সা) বললেন, কোন মাসৃটি মমদািয় সব চাইতে মহান ? র্তারা বললেন,
আমাদের এ মাসৃটি ৷ নবী কয়ীম (সা) বললেন, মর্যাদার কোন নগরী সব চাইতে উত্তম ? ভীরা
বললেন,“ আমাদের এ নগবীটি ৷ নবী করীম (সা) বললেন, সুতরাং তোমাদের জানমাল
তোমাদের জন্য পবিত্র ও মর্যাদাবান, যেমন তোমাদের এ নগরে তোমাদের এ মাসে তোমাদের
এ দিনটি পবিত্র ও মযদািবান ৷ আমি পৌছিয়ে দিলাম তো ! তারা বললেন, ত্মী হী৷ ! তিনি
বললেন, ইয়া আল্লাহ! সাক্ষীণ্ থাকুন ! এ সুত্রে ইমাম আহমদ (র) একাকী বর্ণনা করেছেন,
এবং এ সনদ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের শর্তানুরুপ ৷ আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) এ হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন আবু ঘুআবিয়া আমড়াশ (র) হতে ঐ সনদে ৷ আর আরাফা দিবসে
নবী করীম (সা) এর ভাষণের বিবরণ সম্বলিত জাফর ইবন মুহাম্মদ জাবির (রা)-এর হাদীস
পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমাধিক অবগত ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আলী ইবন্ বাহ্র (র) সালিহ্ সুত্রে আবু সাঈদ থুদবী (বা)
হতে তিনি বলেন, বিদায় হরুজ্জ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, (সমর্থক হাদীস) ইবন মাজা (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন হিশাম ইবন আম্মার ঈসা ইবন ইউনুস (র) হতে ঐ সনদে ৷
এর সনদও সহীহ্ ৰুখারীঘুসলিমের শর্তানুরুপ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
হাফিজ আবু বকর আল-বাঘৃযার (র) বলেন, আবু হিশাম (র)আবু হুরায়রা ও আবু
সাঈদ (বা) হতে এ মর্মে বচ্নাি করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভাষণ দিতে গিয়ে বললেন, “এটি
কোন দিন ?” তারা বললেন, “পবিত্র দিন ৷ ” নবী করীম (সা) বললেন, “সুতরাং তোমাদের
জান-মাল তোমাদের জন্য পবিত্র যেমন তোমাদের এ দিনটি পবিত্র তোমাদের এ মাসে এবং
তোমাদের এ নগরে ৷” তারপর বাঘৃযার (র) বলেছেন, আবু যুআবিয়া (র)ও আবু হুরায়রা ও
আবু সাঈদ (বা) হতে এ মর্মে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর আবু হিশাম (র) হাফস ইবন
গিয়াস (র) সুত্রে এ উভয় রিওয়ায়াত আমাদের কাছে একত্রিত পরিবেশন করেছেন ৷ এ ছাড়া,
মুহাম্মদ ইবন উবায়দ আৎ তানাফিসী (র)-এর মাধ্যমেজাবির (বা) হতে হাদীসটি ইমাম
আহমদ (র) এর উদ্ধৃতিতে পুর্বে উলিখিত হয়েছে ৷ যার অর্থ হল যে, সম্ভবত আবু সালিহ (র)
তিন জন সাহাবীর কাছেই এ হাদীস পেয়েছেন ৷
হিলাল ইবন ইয়াসাফ (র) বলেছেন সালামা ইবন কড়ায়স আলু আশজাঈ (বা) হতে তিনি
বলেন, বিদায় হজ্যে রাসুলুল্লাহ্ (রা) বললেন,
“গুরুতৃপুর্ণ বিষয় চারটি “( ১ ) আল্লাহ্র সাথে কোন কিছু শরীক করবে না ; (২) আল্লাহ্ যে
প্রাণ (বর করা) হারাম করেছেন তা ন্যায়সংপত কারণ ছাড়া বধ করবে না ; (ও) ব্যাতিচার
করবে না এবং (৪) চুরি করবে না ৷” বর্ণনক্যেরী বলেন, “যে দিন আমি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)এর
কাছে এ কথাগুলি ওভ্রুনছিলাম সে দিনের চাইতে আজও এ সবের প্রতি অধিক আগ্রহী নই ৷
আহমদ ও নসােঈ (র) এ হাদীসটি বিওয়ায়াত করেছেন মানসুর (র) সুত্রে এবং অনুরুপ,
সুফিয়ান ইবন উয়ারনা ও সুফিয়ান ছাওয়ী (র) ও মড়ানসুর (র)হতে ৷
ইবন হাঘৃম বিদায় হজ্জ সম্পর্কে বলেন, আহমদ ইবন উমর ইবন আনাস আলু “আরবী
(র)উসামা ইবন শায়ীক (বা) হতে তিনি বলেন, বিদায় হরুজ্জ আমি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)কে
দেখেছি যখন তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন; তিনি বলেছিলেন
“(সেবা ও সদাচরণ করবে) তোমার মার প্রতি, তোমার বড়াপের প্রতি, তোমার বোনের
প্রতি, তোমার ভাইয়ের প্ৰতি, তারপর ক্রমান্বয়ে নিকট আত্মীয়দের প্রতি ৷
বর্ণনক্যেরী বলেন, তখন একদল লোক এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের পুর্বেকড়ার বনু
ইয়ারবুদের কী হবে ? তিনি বললেন, “কোন ব্যক্তি অন্যের
অপরাধের দায় ভোগ করবে না ৷ তখন জাম্রড়ায় কৎকর মারতে ভুলে গিয়েছে এমন এক ব্যক্তি
র্তীকে (এ বিষয়) জিজ্ঞাসা করল, তিনি বললেন, “(এখন) কৎকর মেরে নাও ,
কোন অসুবিধা নেই! তখন অন্য এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্দ্ভ আমি (যথা-সময়ে)
তাওয়ড়াফ করতে ভুলে গি;য়ম্বীষ্টু ৷ তিনি বললেন, “(এ খন) তাওয়ত্ত্বক করে নাও,
কোন অসুবিধা নেই !” তখন আর এক ব্যক্তি এল যে জবাই (কুরবড়ানী) করার আগেই মাথা
কামিয়ে ফেলেছে ৷ নবী করীম (সা) বললেন, গ্লু) শ্ব; রুপ্রুট্রট্ট“(এখন) জবাই করে নাও, কোন
সমস্যা নেই !” যেটিকথা, এ সময় তাদের যে কোন বিষয় জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বললেন,
কোন দোষ (নই ! অসুবিধা নেই ! পরে বললেন-
“আল্লাহ্ সব সংকট দুর করে দিয়েছেন; তার যে ব্যক্তি কোন ঘুসলিমের গীবত করল সেশ্ই
ত্কটাপন্ন ও ধ্বংস হল ৷ তিনি আরো বললেন
“আল্লাহ্ যত রোগ অবতীর্ণ করেছেন, তীর চিকিৎসাও তিনি অবতীর্ণ করেছেন, তার
বড়ার্ধক্য এর ব্যতিক্রম ৷ ইমাম আহমদ (র) এবং সুনান গ্রন্থসমুহের সংকলকবৃন্দ এ সুত্রে এ
হড়াদীসের আৎশিক বিবরণ উদ্ধৃত করেছেন ! তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন, “হাসানসহীহ্ ৷ ’
দোভাষী প্রসংগ : ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাজ্জাজ (র)জারীর (রা) হতে বর্ণনা
করেন যে, নবী করীম (সা) বিদায় হরুজ্জ বললেন, “হে জাবীর ! লোকদের নিরব হতে বল ৷