Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৪ » মিহলাম ইবৃন জুছামা যে ক্ষুদ্র যুদ্ধে আমির ইবৃন আল-আয্ৰাতকে হত্যা করেছিল

মিহলাম ইবৃন জুছামা যে ক্ষুদ্র যুদ্ধে আমির ইবৃন আল-আয্ৰাতকে হত্যা করেছিল

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • প্ৰতি ৩ক্রুদ্ধ হবেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ (সা) যদি তোমাদের প্রতি লা’নত করেন তাহলে৩ তার লানতের
    দরুন আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্ৰতি লা’নত করবেন ৷ তোমরা তাকে যেমন করেই হোক
    বাসুলুল্ল হ (সা) এর কাছে রক্তপণ গ্রহণ করার জন্যে নিয়ে আস; অন্যথায় বনু নতামীমের
    ৫০জনকে দাড় করিয়ে আমি সাক্ষ্য দিতে বলবো যে নিহত ব্যক্তিটি কাফির ছিল, সে কোন দিনও
    এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করেনি ৷ কাজেই তা র হত্যার জন্যে রক্তপণ দেয়া দরকার হবেনা ৷ তার
    এ কথায় তারা রক্তপণ নিতে রাযী হয় ৷

    এ বংনািটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক হাসান রসরী (র) হতে বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেন, মিহলাম যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে বললেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    তাকে বললেন, “তুমি কি তাকে নিরাপত্তা দেয়ার পরও হত্যা করেছ ০” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    তার জন্যে রদ দৃ আ করলেন ৷ হ সান রসরী (র) বলেন, “আল্লাহর শপথ এরপর মিহলাম মাত্র
    সাতদিন বেচে ছিলেন ৷ মৃত্যুর পর তাকে মাটি উপরে নিক্ষেপ করে দিয়েছিল ৷ এরপর মিহলামের
    আত্মীয়াজন আবার তাকে দাফন করল; কিছু; এবারও তাকে মাটি উপরে নোক্ষেপ করল ৷ এরপর
    তারা আবার তাকে মাটিতে দাফন করল, কিন্তু এবারও তাকে মাটি নিক্ষেপ করে দিল ৷ এরপর
    তারা তার উপর কুচি পাথর দিয়ে তাকে চাপা দিল ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছার
    পর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ভুমি তার থেকে অধিক খারাপ লোককেও বুকে ধারণ করে রয়েছে;
    কিন্তু আল্লাহ তা আলার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাদের লোকদের বেলায় সংঘটিত ঘটনা দ্বারা
    তােমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া ৷

    ইবন জ বীর ইবন উমর (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা)
    মিহলাম ইবন জুছামাকে একটি দলের দাযিতৃ দিয়ে অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ পথিমধ্যে আমির
    ইবন আল আযবাত সৈনাদলের সাথে মুলাকাত তকরেন ও ইসলামী কায়দায় সালাম দেন ৷ তবে
    তাদের মধ্যে জাহিলিয়াতে র যুগে মনােমালিন্য ছিল বিধায় মিহলাম আমিরের প্রতি তীর নিক্ষেপ
    করে তাকে হত্যা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এ সংবাদ পৌছল ৷৩ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ
    ব্যাপারে যীমা০ সার জন্যে উয়ায়না এবং আক্রা এর সাথে আলোচনা করেন ৷ আক্রা (বা ) বলেন,
    হে আল্লাহর রাসুল ! আজকে এ ঘটনা ঘটছে, কাল আবার অন্যটা ঘটবে ৷ এরুপ চলতে
    থাকবে ৷ তাই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন ৷ উয়ায়না বলে উঠলেন০ : “না, আল্লাহর শপথ, এ
    ব্যাপারে কোন মীমাংসা নেই যত তক্ষণ না আমাদের রমণীরা যেরুপ কষ্ট পেয়েছে৩ তাদের রমণীরাও
    তদ্রুপ কষ্ট পায় ৷ এরপর মিহলাম দুটো চাদরে নিজেকে আচ্ছাদিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
    সামনে জড়সড় অবস্থায় বললেন যাতে রাসুল (সা) তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আল্লাহ তাআলা তোমাকে ক্ষমা না করুন ’ তখন তিনি নিজ চাদর
    দিয়ে অশ্রুজল মুছতে ঘুছতে উঠো দা ড়ালেন এবং সাত দিন না যেতে তই তিনি ইনতিকাল করলেন ৷

    তাকে মাটিতে দাফন করা হলে মাটি তাকে উপরের দিকে নিক্ষেপ করে ৷ মিহলামের আত্মীয়-
    াজনরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে এসে এ সংবাদ দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, নিশ্চয়ই মাটি
    তোমাদের সাথীর চেয়েও নিকৃষ্টতর লোককে বুকে ধারণ করে রয়েছে ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা
    তােমাদেরকে তোমাদের কারো শাস্তির মাধ্যমে উত্তম শিক্ষা প্রদান করে থাকেন ৷ এরপর তাকে

    তারা সকলে মিলে পাহাড়ে রেখে আসে এবং তার উপরে পাথর চাপা দিয়ে দেয় ৷ এ পটভুমিতে
    নিম্নবর্ণিত আয়াত টি অবতীর্ণ হয়ং

    ব্লুাখু ৷ ৷ ) অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! তৌমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন পরীক্ষা

    গ্রন্থকার বলেন বায়হান্ কী প্রমুখ সুত্রে এ ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে এবং অত্র আঘাতের শানে
    নুয়ুল হিসেবে এ ঘটনাটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে; কিন্তু এগুলাের্ধ্ব ৩মিহলাম ও আমিরের নাম
    উল্লিখিত হয়নি ৷

    আবদুল্লাহ ইবন হুযাফ৷ আস-সাহমীর অভিযান

    সহীহ্ বুখাবী ও মুসলিমে আ মাশ (র) হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা) হতে
    বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা এক আনসারীকে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের
    নেতৃতৃ দান করেন এবং সৈন্যদলের সদস্যদেরকে নির্দেশ দেন যেন তারা তার কথা শুনে ও তার
    আনুগত্য করে ৷ রাবী বলেন “তিনি কোন ব্যাপারে সৈন্যদের প্ৰতি রাগাম্বিত হন এবং তাদেরকে
    তার জন্যে কাঠ জমা করার নির্দেশ দেন ৷ তারা কাঠ জমা করলেন ৷ তখন তিনি তাদেরকে তাতে
    আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ তারা তা করলেন ৷ এবার তিনি তাদেরকে বললেন,
    তৈ“ামাদেরকে আমার কথা শুনার ও আনুগত্য করার জন্যে কি রাসুলুল্লাহ্ (সা) নির্দেশ দেন
    ই? ” ত ৷রা বললেন, “জী, হয় ৷” তখন তিনি বললেন, “ তোমরা এ আগুনে ঝাপ দাও ” রাবী
    বলেন, তখন তারা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগলেন এবং বললেন, আমরা আগুন থেকে
    রাচার জন্যেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সুশীত তল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছি ৷ রাবী বলেন, এরই মধ্যে
    নেতার রাগ পড়ে যায় এবং আগুনও নিতে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফিরে এসে তারা
    যখন এ ঘটনাটি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অবগত করলেন, তখন তিনি বললেন, যদি তারা
    তাদের নেতার কথায় এ আগুনে ঝাপ দিত তাহলে তারা কোন দিনও এ আগুন থেকে বের হতে
    সক্ষম হতন৷ ৷ এ্))৷ ৷ ১ ড্রু:া৷ এ্৷ @ ৷ কেননা, আনুগত্য হয় শুধুমাত্র পণ্যের কাজে ৷
    হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর মাধ্যমেও সহীহ্ বুখারী এবং সহীহ্ মুসলিমে এ ঘটনাটির
    উল্লেখ রয়েছে ৷

    গ্রন্থকার বলেন, “এ ঘটনা টি সম্পর্কে আমার তাফসীরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

    উমরাতৃল কাযা
    হুদায়বিয়৷ সন্ধির সময় বাধাপ্রাপ্ত ও স্থগিত উমরাটি সপ্তম হিজরীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আদায়
    করেন ৷
    এ উমরাকে উমরা ল কিসাসও বলা হয় ৷ সুহাইলী (র) এ অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷
    কেউ কেউ উমরাতু ল কাযিয়্যা নামেও এ উমরাকে অভিহিত করেছেন ৷ আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ

    করেনং সমস্ত পবিত্র বিষয় যার অবমাননা নিষিদ্ধ তার জন্যে
    কিসাস ৷ কেননা, কোন বন্তুর পবিত্রতা উভয় পক্ষের সমভাবে রক্ষণীয় ৷ (২-বাকারাং : ১৯৪) ৷

    তৃতীয় নাম মীমাংসার উমরা ৷ কেননা, হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মীমাংসা করা
    হয়েছিল যে, এ বছর ঘুসলমানগণ উমরা না করেই মদীনায় ফিরে যাবেন এবং পরের বছর তারা
    উমরা পালনের উদ্দেশ্যে কােষবদ্ধ অস্ত্র সহকারে মক্কা প্রবেশ করতে পারবেন ৷ আর তারা তিন
    দিনের বেশি মক্কায় অবস্থান করতে পারবেন না ৷ এই উমরা- এর কথা : ৮নং সুরা
    অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ তার রাসুলের স্বপ্ন বা ৷স্তবায়িত ৩করেছেন, আল্লাহর ইচ্ছার তোমরা অবশ্যই
    মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে কেউ কেউ মস্তক মুণ্ডিত করবে, কেউ কেউ কেশ
    কর্তন করবে ৷ তোমাদের কোন ভয় থাকবে না ৷ আল্লাহ জানেন বা তোমরা জাননা ৷ এছাড়াও
    তিনিণ্ আমাদেরকে দিয়েছেন এক সদ্য বিজয় অর্থাৎ খায়বারের বিজয় ৷

    প্রন্থকার (র) বলেন, “আমা ৷রত তাফসীরে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি” ৷

    উমর (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলেছিলেন, আপনি কি আমাদেরকে বলেননি যে, আমরা
    কাবা ঘরে আগমন করব এবং তার তওয়াফ করব ? রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন “হ্যা, তবে আমি
    কি তোমাকে বলেছিলাম যে এ বছরই তুমি আগমন করবে এবং৩ তার তওয়াফ করবে ? উমর
    (রা) বললেন, ত্মী না’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, নিশ্চয়ই তুমি পরবর্তী বছর এখানে আগমন
    করবে এবং তার তওয়াফ করবে ৷ আর এ কথাটিই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়হাে
    (রা) এর কবিতায় এবং উপরেক্তে আয়াতে ৷ কাযার ওমরাহ পালনের দিন যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    মক্কায় প্রবেশ করছিলেন তখন তিনি৩ ড়ার সামনে নিম্ন বর্ণিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :

    অর্থাৎ হে কড়াফিরের গোষ্ঠি, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রাস্তা থেকে সরে পড় ৷ আজকে আমরা
    তেড়ামাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে যেমন আমরা
    তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তীর উপর অবতীর্ণ বাণীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ৷ কাযার ওমরাহ
    ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেখা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ৷ আর এ বাস্তবায়ন ছিল ভোরের আলোর ন্যায়
    স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ৷
    ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার হতে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন তখন
    তথায় রবিউল আউয়াল, রবিউছ ছানী , জুমাদাল উলা , জুমাদাল উখরা , রজব , শাবান , রমযান ও
    শাওয়াল মাস পর্যন্ত অবস্থান করেন ৷ এ ক্যয়ক মাসে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৈন্যদল

    প্রেরণ করেন ৷ এরপর যুলকাদা মাসে তিনি গত বছরের একই মাসে মক্কার কাফিরগণ কর্তৃক
    বাধাপ্রাপ্ত উমরা আদায় করার জ্যন্য ঘর থেকে বের হলেন ৷ ইবন হিশড়াম বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)

    মদীনায় উয়ায়ফ ইবনুল আযবাত আদ-দুয়ালীকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন ৷ কাযার উমরাহকে
    কিসাসের উমরাও বলা হয় ৷ কেননা, মক্কার মুশরিকগণ ৬ষ্ঠ হিজরীর যুলকাদাহর পবিত্র মাসে
    উমর৷ করার জন্য আগত রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সংগিগণকে বাধা প্রদান করেছিল ৷ পরবর্তী বছর
    একই নামে উমরা পালন করে পুর্বের অনুরুপ উমরা আদায় করেন ৷৩ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৭ম
    হিজরীর যুলকাদ দামাসে উমরাহ পালনের জন্যে পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ ইবন আব্বাস (বা)
    হতে বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আল্লাহ তা লার এ সম্পর্কে অব৩৷ দীর্ণ করেন : , ন্ ৷ ,
    ৰু,ংএ অর্থাৎ সমস্ত পবিত্র বিষয় যার অবমাননা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সমান ( ২-বাক ৷রা ং
    ১৯৪ ) ৷ মুতামির (র) নিজ পিতা ৷র বরাতে তা ৷র মাগাযী গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, যখন রাসুলুল্লাহ্
    (সা) খায়রার থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ও মদীনায় অবস্থান করেন তখন বিভিন্ন দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র

    লোকজনকে তা পালনের জন্যে তৈ ৩রির ঘোষণা দেন ৷ লোকজন বি হলেন এবং মক্কার
    উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে পড়লেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, “মুসলমানদের সাথে কাযার উমরাহ্তে এমন ব্যক্তিবর্গ ছিলেন যারা
    গত বছর উমরাহ পালনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ এটা ৭ম হিজরীর ঘটনা ৷ মুসলমানদের
    আগমনের কথা শুনে মক্কাবাসীর৷ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং কৃরায়শরা ইত্যবসরে বলতে
    লাগল যে, মুহাম্মাদ দীনহীন ও অনটনগ্রস্ত ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আমাকে আবদুল্লাহ ইবন
    আব্বাস (রা) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও৩ ৷র আসহাবের প্রতি ৩দৃষ্টি নিক্ষেপ করার
    জন্যে মক্কাবাসীরা৷ দা রুন নদ ওয়ার কাছে সারিবদ্ধভাবে দাড়াল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মসজিদে
    হারামে প্রবেশ করেন তখন রাম কীধের উপর এবং ডান বগলের নীচে চাদর স্থাপন করে ডান বাহু
    খোলা রাখেন ৷ এরপর বলেন, আজকে যে ব্যক্তি কাফিরদের সামনে শক্তিমত্তা প্রদর্শন করবে তার
    প্রতি হে আল্লাহ তাআল৷ রহম করুন ! হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার পর দ্রুতগতিতে তিনি ও
    তার সাহাবীগণ তওয়াফ করেন ৷ অর্থাৎ বায়তৃল্লাহ-এর তওয়াফকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার
    সাহাবীগণ রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করেন ৷ তারপর সাধারণ গতিতে চলতে থাকেন ও রুকনে
    আসওয়াদ চুম্বন করেন ৷ এরপর আবার দ্রুতগতিতে চলতে থাকেন ৷ এরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    তিনটি তওয়াফ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করেন ৷ আর অন্য সবগুলােতে সাধারণভাবে তওয়াফ করেন ৷
    ইবন আব্বাস (রা) বলেন, লোকজনের ধারণা ছিল যে, এটা তাদের জন্যে করণীয় হিসেবে
    অনুমোদিত হবে না এবং এটা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শদের দেখাব৷ র জন্যেই করেছিলেন ৷ কেননা,
    তারা ধারণা করেছিল ও বলেছিল যে, ঘুসলমানগণ মদীনায় জ্বর ভোগের পর কৃশকায় ও দুর্বল হয়ে
    পড়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বিদায় হজ্জ সম্পাদন করেন তখনও তিনি তা আদায় করেন ৷ তাই
    তা সুন্নত হিসেবে চলে আসছে ৷

    বুখারী (র) বলেন, আমাদেরকে ইবন আব্বাস (বা) হাদীছ বংনি৷ করেন ৷ তিনি
    বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও তার সংগিগণ উমরা পালনের জন্য মক্কা আগমন করলে ঘুশবিকরা
    বলতে লাগল যে, মুহাম্মাদ মক্কায় আসছেন তবে মদীনায় জ্বর তাকে এবং তার সংগীদেরকে দুর্বল
    করে দিয়েছে ৷ সেজন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সংগিগণকে তওয়াফের তিন পাকে রমল

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ মিহলাম ইবৃন জুছামা যে ক্ষুদ্র যুদ্ধে আমির ইবৃন আল-আয্ৰাতকে হত্যা করেছিল Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.