প্ৰতি ৩ক্রুদ্ধ হবেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ (সা) যদি তোমাদের প্রতি লা’নত করেন তাহলে৩ তার লানতের
দরুন আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্ৰতি লা’নত করবেন ৷ তোমরা তাকে যেমন করেই হোক
বাসুলুল্ল হ (সা) এর কাছে রক্তপণ গ্রহণ করার জন্যে নিয়ে আস; অন্যথায় বনু নতামীমের
৫০জনকে দাড় করিয়ে আমি সাক্ষ্য দিতে বলবো যে নিহত ব্যক্তিটি কাফির ছিল, সে কোন দিনও
এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করেনি ৷ কাজেই তা র হত্যার জন্যে রক্তপণ দেয়া দরকার হবেনা ৷ তার
এ কথায় তারা রক্তপণ নিতে রাযী হয় ৷
এ বংনািটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক হাসান রসরী (র) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, মিহলাম যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে বললেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে বললেন, “তুমি কি তাকে নিরাপত্তা দেয়ার পরও হত্যা করেছ ০” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার জন্যে রদ দৃ আ করলেন ৷ হ সান রসরী (র) বলেন, “আল্লাহর শপথ এরপর মিহলাম মাত্র
সাতদিন বেচে ছিলেন ৷ মৃত্যুর পর তাকে মাটি উপরে নিক্ষেপ করে দিয়েছিল ৷ এরপর মিহলামের
আত্মীয়াজন আবার তাকে দাফন করল; কিছু; এবারও তাকে মাটি উপরে নোক্ষেপ করল ৷ এরপর
তারা আবার তাকে মাটিতে দাফন করল, কিন্তু এবারও তাকে মাটি নিক্ষেপ করে দিল ৷ এরপর
তারা তার উপর কুচি পাথর দিয়ে তাকে চাপা দিল ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছার
পর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ভুমি তার থেকে অধিক খারাপ লোককেও বুকে ধারণ করে রয়েছে;
কিন্তু আল্লাহ তা আলার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাদের লোকদের বেলায় সংঘটিত ঘটনা দ্বারা
তােমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া ৷
ইবন জ বীর ইবন উমর (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা)
মিহলাম ইবন জুছামাকে একটি দলের দাযিতৃ দিয়ে অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ পথিমধ্যে আমির
ইবন আল আযবাত সৈনাদলের সাথে মুলাকাত তকরেন ও ইসলামী কায়দায় সালাম দেন ৷ তবে
তাদের মধ্যে জাহিলিয়াতে র যুগে মনােমালিন্য ছিল বিধায় মিহলাম আমিরের প্রতি তীর নিক্ষেপ
করে তাকে হত্যা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এ সংবাদ পৌছল ৷৩ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ
ব্যাপারে যীমা০ সার জন্যে উয়ায়না এবং আক্রা এর সাথে আলোচনা করেন ৷ আক্রা (বা ) বলেন,
হে আল্লাহর রাসুল ! আজকে এ ঘটনা ঘটছে, কাল আবার অন্যটা ঘটবে ৷ এরুপ চলতে
থাকবে ৷ তাই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন ৷ উয়ায়না বলে উঠলেন০ : “না, আল্লাহর শপথ, এ
ব্যাপারে কোন মীমাংসা নেই যত তক্ষণ না আমাদের রমণীরা যেরুপ কষ্ট পেয়েছে৩ তাদের রমণীরাও
তদ্রুপ কষ্ট পায় ৷ এরপর মিহলাম দুটো চাদরে নিজেকে আচ্ছাদিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সামনে জড়সড় অবস্থায় বললেন যাতে রাসুল (সা) তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আল্লাহ তাআলা তোমাকে ক্ষমা না করুন ’ তখন তিনি নিজ চাদর
দিয়ে অশ্রুজল মুছতে ঘুছতে উঠো দা ড়ালেন এবং সাত দিন না যেতে তই তিনি ইনতিকাল করলেন ৷
তাকে মাটিতে দাফন করা হলে মাটি তাকে উপরের দিকে নিক্ষেপ করে ৷ মিহলামের আত্মীয়-
াজনরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে এসে এ সংবাদ দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, নিশ্চয়ই মাটি
তোমাদের সাথীর চেয়েও নিকৃষ্টতর লোককে বুকে ধারণ করে রয়েছে ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা
তােমাদেরকে তোমাদের কারো শাস্তির মাধ্যমে উত্তম শিক্ষা প্রদান করে থাকেন ৷ এরপর তাকে
তারা সকলে মিলে পাহাড়ে রেখে আসে এবং তার উপরে পাথর চাপা দিয়ে দেয় ৷ এ পটভুমিতে
নিম্নবর্ণিত আয়াত টি অবতীর্ণ হয়ং
ব্লুাখু ৷ ৷ ) অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! তৌমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন পরীক্ষা
গ্রন্থকার বলেন বায়হান্ কী প্রমুখ সুত্রে এ ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে এবং অত্র আঘাতের শানে
নুয়ুল হিসেবে এ ঘটনাটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে; কিন্তু এগুলাের্ধ্ব ৩মিহলাম ও আমিরের নাম
উল্লিখিত হয়নি ৷
আবদুল্লাহ ইবন হুযাফ৷ আস-সাহমীর অভিযান
সহীহ্ বুখাবী ও মুসলিমে আ মাশ (র) হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা) হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা এক আনসারীকে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের
নেতৃতৃ দান করেন এবং সৈন্যদলের সদস্যদেরকে নির্দেশ দেন যেন তারা তার কথা শুনে ও তার
আনুগত্য করে ৷ রাবী বলেন “তিনি কোন ব্যাপারে সৈন্যদের প্ৰতি রাগাম্বিত হন এবং তাদেরকে
তার জন্যে কাঠ জমা করার নির্দেশ দেন ৷ তারা কাঠ জমা করলেন ৷ তখন তিনি তাদেরকে তাতে
আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ তারা তা করলেন ৷ এবার তিনি তাদেরকে বললেন,
তৈ“ামাদেরকে আমার কথা শুনার ও আনুগত্য করার জন্যে কি রাসুলুল্লাহ্ (সা) নির্দেশ দেন
ই? ” ত ৷রা বললেন, “জী, হয় ৷” তখন তিনি বললেন, “ তোমরা এ আগুনে ঝাপ দাও ” রাবী
বলেন, তখন তারা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগলেন এবং বললেন, আমরা আগুন থেকে
রাচার জন্যেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সুশীত তল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছি ৷ রাবী বলেন, এরই মধ্যে
নেতার রাগ পড়ে যায় এবং আগুনও নিতে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফিরে এসে তারা
যখন এ ঘটনাটি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অবগত করলেন, তখন তিনি বললেন, যদি তারা
তাদের নেতার কথায় এ আগুনে ঝাপ দিত তাহলে তারা কোন দিনও এ আগুন থেকে বের হতে
সক্ষম হতন৷ ৷ এ্))৷ ৷ ১ ড্রু:া৷ এ্৷ @ ৷ কেননা, আনুগত্য হয় শুধুমাত্র পণ্যের কাজে ৷
হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর মাধ্যমেও সহীহ্ বুখারী এবং সহীহ্ মুসলিমে এ ঘটনাটির
উল্লেখ রয়েছে ৷
গ্রন্থকার বলেন, “এ ঘটনা টি সম্পর্কে আমার তাফসীরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
উমরাতৃল কাযা
হুদায়বিয়৷ সন্ধির সময় বাধাপ্রাপ্ত ও স্থগিত উমরাটি সপ্তম হিজরীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আদায়
করেন ৷
এ উমরাকে উমরা ল কিসাসও বলা হয় ৷ সুহাইলী (র) এ অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷
কেউ কেউ উমরাতু ল কাযিয়্যা নামেও এ উমরাকে অভিহিত করেছেন ৷ আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ
করেনং সমস্ত পবিত্র বিষয় যার অবমাননা নিষিদ্ধ তার জন্যে
কিসাস ৷ কেননা, কোন বন্তুর পবিত্রতা উভয় পক্ষের সমভাবে রক্ষণীয় ৷ (২-বাকারাং : ১৯৪) ৷
তৃতীয় নাম মীমাংসার উমরা ৷ কেননা, হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মীমাংসা করা
হয়েছিল যে, এ বছর ঘুসলমানগণ উমরা না করেই মদীনায় ফিরে যাবেন এবং পরের বছর তারা
উমরা পালনের উদ্দেশ্যে কােষবদ্ধ অস্ত্র সহকারে মক্কা প্রবেশ করতে পারবেন ৷ আর তারা তিন
দিনের বেশি মক্কায় অবস্থান করতে পারবেন না ৷ এই উমরা- এর কথা : ৮নং সুরা
অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ তার রাসুলের স্বপ্ন বা ৷স্তবায়িত ৩করেছেন, আল্লাহর ইচ্ছার তোমরা অবশ্যই
মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে কেউ কেউ মস্তক মুণ্ডিত করবে, কেউ কেউ কেশ
কর্তন করবে ৷ তোমাদের কোন ভয় থাকবে না ৷ আল্লাহ জানেন বা তোমরা জাননা ৷ এছাড়াও
তিনিণ্ আমাদেরকে দিয়েছেন এক সদ্য বিজয় অর্থাৎ খায়বারের বিজয় ৷
প্রন্থকার (র) বলেন, “আমা ৷রত তাফসীরে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি” ৷
উমর (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলেছিলেন, আপনি কি আমাদেরকে বলেননি যে, আমরা
কাবা ঘরে আগমন করব এবং তার তওয়াফ করব ? রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন “হ্যা, তবে আমি
কি তোমাকে বলেছিলাম যে এ বছরই তুমি আগমন করবে এবং৩ তার তওয়াফ করবে ? উমর
(রা) বললেন, ত্মী না’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, নিশ্চয়ই তুমি পরবর্তী বছর এখানে আগমন
করবে এবং তার তওয়াফ করবে ৷ আর এ কথাটিই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়হাে
(রা) এর কবিতায় এবং উপরেক্তে আয়াতে ৷ কাযার ওমরাহ পালনের দিন যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় প্রবেশ করছিলেন তখন তিনি৩ ড়ার সামনে নিম্ন বর্ণিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
অর্থাৎ হে কড়াফিরের গোষ্ঠি, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রাস্তা থেকে সরে পড় ৷ আজকে আমরা
তেড়ামাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে যেমন আমরা
তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তীর উপর অবতীর্ণ বাণীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ৷ কাযার ওমরাহ
ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেখা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ৷ আর এ বাস্তবায়ন ছিল ভোরের আলোর ন্যায়
স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার হতে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন তখন
তথায় রবিউল আউয়াল, রবিউছ ছানী , জুমাদাল উলা , জুমাদাল উখরা , রজব , শাবান , রমযান ও
শাওয়াল মাস পর্যন্ত অবস্থান করেন ৷ এ ক্যয়ক মাসে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৈন্যদল
প্রেরণ করেন ৷ এরপর যুলকাদা মাসে তিনি গত বছরের একই মাসে মক্কার কাফিরগণ কর্তৃক
বাধাপ্রাপ্ত উমরা আদায় করার জ্যন্য ঘর থেকে বের হলেন ৷ ইবন হিশড়াম বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনায় উয়ায়ফ ইবনুল আযবাত আদ-দুয়ালীকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন ৷ কাযার উমরাহকে
কিসাসের উমরাও বলা হয় ৷ কেননা, মক্কার মুশরিকগণ ৬ষ্ঠ হিজরীর যুলকাদাহর পবিত্র মাসে
উমর৷ করার জন্য আগত রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সংগিগণকে বাধা প্রদান করেছিল ৷ পরবর্তী বছর
একই নামে উমরা পালন করে পুর্বের অনুরুপ উমরা আদায় করেন ৷৩ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৭ম
হিজরীর যুলকাদ দামাসে উমরাহ পালনের জন্যে পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ ইবন আব্বাস (বা)
হতে বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আল্লাহ তা লার এ সম্পর্কে অব৩৷ দীর্ণ করেন : , ন্ ৷ ,
ৰু,ংএ অর্থাৎ সমস্ত পবিত্র বিষয় যার অবমাননা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সমান ( ২-বাক ৷রা ং
১৯৪ ) ৷ মুতামির (র) নিজ পিতা ৷র বরাতে তা ৷র মাগাযী গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, যখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) খায়রার থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ও মদীনায় অবস্থান করেন তখন বিভিন্ন দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
লোকজনকে তা পালনের জন্যে তৈ ৩রির ঘোষণা দেন ৷ লোকজন বি হলেন এবং মক্কার
উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে পড়লেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “মুসলমানদের সাথে কাযার উমরাহ্তে এমন ব্যক্তিবর্গ ছিলেন যারা
গত বছর উমরাহ পালনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ এটা ৭ম হিজরীর ঘটনা ৷ মুসলমানদের
আগমনের কথা শুনে মক্কাবাসীর৷ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং কৃরায়শরা ইত্যবসরে বলতে
লাগল যে, মুহাম্মাদ দীনহীন ও অনটনগ্রস্ত ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আমাকে আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও৩ ৷র আসহাবের প্রতি ৩দৃষ্টি নিক্ষেপ করার
জন্যে মক্কাবাসীরা৷ দা রুন নদ ওয়ার কাছে সারিবদ্ধভাবে দাড়াল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মসজিদে
হারামে প্রবেশ করেন তখন রাম কীধের উপর এবং ডান বগলের নীচে চাদর স্থাপন করে ডান বাহু
খোলা রাখেন ৷ এরপর বলেন, আজকে যে ব্যক্তি কাফিরদের সামনে শক্তিমত্তা প্রদর্শন করবে তার
প্রতি হে আল্লাহ তাআল৷ রহম করুন ! হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার পর দ্রুতগতিতে তিনি ও
তার সাহাবীগণ তওয়াফ করেন ৷ অর্থাৎ বায়তৃল্লাহ-এর তওয়াফকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার
সাহাবীগণ রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করেন ৷ তারপর সাধারণ গতিতে চলতে থাকেন ও রুকনে
আসওয়াদ চুম্বন করেন ৷ এরপর আবার দ্রুতগতিতে চলতে থাকেন ৷ এরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তিনটি তওয়াফ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করেন ৷ আর অন্য সবগুলােতে সাধারণভাবে তওয়াফ করেন ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, লোকজনের ধারণা ছিল যে, এটা তাদের জন্যে করণীয় হিসেবে
অনুমোদিত হবে না এবং এটা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শদের দেখাব৷ র জন্যেই করেছিলেন ৷ কেননা,
তারা ধারণা করেছিল ও বলেছিল যে, ঘুসলমানগণ মদীনায় জ্বর ভোগের পর কৃশকায় ও দুর্বল হয়ে
পড়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বিদায় হজ্জ সম্পাদন করেন তখনও তিনি তা আদায় করেন ৷ তাই
তা সুন্নত হিসেবে চলে আসছে ৷
বুখারী (র) বলেন, আমাদেরকে ইবন আব্বাস (বা) হাদীছ বংনি৷ করেন ৷ তিনি
বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও তার সংগিগণ উমরা পালনের জন্য মক্কা আগমন করলে ঘুশবিকরা
বলতে লাগল যে, মুহাম্মাদ মক্কায় আসছেন তবে মদীনায় জ্বর তাকে এবং তার সংগীদেরকে দুর্বল
করে দিয়েছে ৷ সেজন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সংগিগণকে তওয়াফের তিন পাকে রমল